নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বন্দীপঃঃ ভয়ংকর যাত্রার স্মৃতি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

বন্ধু মোঃ শফিকুৱ ৱহমান এর বিয়ে। শফিকের পোস্টিং ঢাকায় কিন্তু তার বিয়ে স্বন্দীপে বাড়িও স্বন্দীপে, আর আমার পোস্টিং তখন চট্টগ্রামে।
আমি কখনও স্বন্দীপে যাইনি। নোয়াখালীর নদী ভাংগনে যুগ যুগ ধরে অনেক নোয়াখালীবাসী স্বন্দীপে আশ্রয় নিয়েছিল। তাই সেখানে নোয়াখালী আর চাটগাঁইয়ার মিশ্রণ। কিন্তু যেহেতু চাটগাঁইয়ারা নোয়াখাইল্লাদের দেখতে পারে না, তাই স্বন্দীপের কেউ আর নিজেদেরকে নোয়াখালী বলে প্রকাশ করে না। আবার অন্যদিকে স্বন্দীপের একটা অংশ নিয়মিত ভাংগনের মুখে। মূল শহরের অনেক অংশ সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এই ভাংগন প্রতিরোধে সরকারি কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না। সেখানে এই ইস্যুটা একটা বড় রাজনৈতিক ইস্যুও বটে। আশীর দশকে জলোচ্ছাসের ঘটনা ঐ অঞ্চলের নিয়মিত আলোচনার বিষয়। এরকম অনেক কাহিনী শফিকের মুখে শুনতাম। তাই সুযোগ পেলে একবার স্বন্দিপে যাওয়ার একটা বাসনা ছিল মনে। বন্ধুর বিয়ের দাওয়াতে সেই সুযোগটা সামনে আসে। আমি দাওয়াত গ্রহণ করলাম।
বিয়ের আগের দিন আমি শফিক আর স্বন্দীপবাসী আমাদের বন্ধু Masud Rahman রওয়ানা দিলাম। সাগর পাড়ি দেয়া লাগবে, সেই থ্রীলটাও কাজ করছিল।
সাগর পাড়ি দিতে হবে একটা ইঞ্জীন চালিত বড় সাইজের নৌকায়। এছাড়া স্পীডবোটেও যাওয়া যায়। তবে নৌকায় যাওয়ারই প্ল্যান ছিল।

সেদিন সাগরে ৩ নং বিপদ সংকেত। কিন্তু শফিক আর মাসুদের এ বিষয়ে কোন টেনশন নেই। ৩ নং বিপদ সংকেত সত্ত্বেও ইঞ্জীনচালিত নৌকাগুলোও সেদিন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা ছাড়াও প্রচুর মানুষ সাগর পাড়ি দেয়ার জন্য ঘাটে প্রস্তুত। আমার অস্বস্তি দেখে শফিক আর মাসুদ আমাকে অভয় দেয়।
নৌকায় ওঠার আগে হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া আর ওরা দুইজন দুইটা আখ কিনে নেয় নৌকায় যেতে যেতে খাবে বলে। নৌকায় উঠার আগেই তাদের আখ খাওয়া শুরু।
সাগরের পাশে খাড়ির মতো একটা পাড়ে আমাদের নৌকা যাত্রী নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। তীড়ের একটা বাঁকানো অংশ খাঁড়িটাকে সাগর ঢেউ থেকে আলাদা করে রেখেছে। তাই নৌকায় উঠার সময় সাগরের ঢেউ সম্পর্কে কোন ধারণাই করা যায় না।
ইঞ্জীনচালিত নৌকাটা যেই খাঁড়ি থেকে বের হয়ে সাগরে পড়লো, তখনই সাগরের ঢেউটা আঁচ করা গেলো। এই ঢেউ সম্পর্কে সামান্যতম আইডিয়াও ছিল না কারো। সারাজীবন স্বন্দীপে কাটানো শফিক আর মাসুদের আখ খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে, আধ খাওয়া আখ হাতে ধরে চুপচাপ পাটাতনে বসে থাকলো দুইজনই। নৌকার বেশীরভাগ যাত্রী স্বন্দীপের বাসিন্দা। একজন প্রবাসী আর তার ফ্যামিলী, আর বেশ কিছু মাদ্রাসার ছাত্র। এদের সবারই নিয়মিত সাগর পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে। খুব সম্ভবত আমি একাই এই রুটে বহিরাগত। খাঁড়ির মুখ দিয়ে সাগরে আসতেই বেশ খানিকটা সময় অতিবাহিত হয়েছে, ফেরত যাওয়ার কথাও তাই কেউ বলেনি। উত্তাল সমুদ্র সবাইকে টেনসড করে ফেলল। সবাই মিলে দোয়া দরুদ পড়তেছে উচ্চস্বরে। অনেকেই চুপচাপ থাকলেও তাদের চোখেমুখে টেনশন স্পষ্ট। দুই একজনকে কান্না-কাটি করতে দেখলাম। বিদেশফেরত লোকটা তার সন্তানকে জড়িয়ে ধরে আল্লাহ আল্লাহ করতেছে, আর কিছুক্ষণ পর পর ডুকরে কেঁদে দিচ্ছে। আর কিছু মাদ্রাসার ছাত্রকেও সুরা ক্বেরাত উচ্চারণ করতে আর কান্নাকাটি করতে দেখছি। আমার দুই বন্ধু আধা খাওয়া আখ হাতে নিয়ে চুপচাপ সাগরের দিকে দৃষ্টি দিয়ে রেখেছে, কোন কথা নাই তাদের মুখে। আসলেই কেউই কল্পনা করে নাই সাগরের এরকম রূপ দেখবে।

আর অদ্ভুৎভাবে সাগরের পানিকে সাগরের পানি বলেই মনে হচ্ছে না। এতো ঘোলা পানি আমি কখনও দেখিনি। মনে হচ্ছে বালির মন্ড, পানি কোথায়!! পানির স্বচ্ছতা রূপ পরিহার করে বালু কালারের রূপ ধারণ করে সিচুয়েশনটাকে আরও ভয়ংকর করে তুলেছে। আমি এই পানিটাকে ঘৃণা করা শুরু করলাম।

আমি তো সাঁতারও জানি না। বেশ কয়েকবার নদী-সাগরে নৌকা ভ্রমণ করে প্রতিবার সাঁতার শেখার প্ল্যান করেও শেখা হয়নি। সাঁতার না শেখার জন্য নিজেকে গালমন্দ করতে লাগলাম। মনে মনে আয়াতুল কুরসী আর বড় খতমের দোয়া পড়তেছি।

মাঝ দরিয়ায় যাওয়ার পর নৌকার মাঝিদের টেনশন, সাগরের ঢেউ, নৌকার দুলুনি আর যাত্রীদের দোয়া-দরুদ আহাজারি দেখে আমি মোটামুটি কনফার্ম হলাম যে আমার আজকেই সব শেষ।

আয়াতুল কুরসী আর বড় খতমের দোয়া শুরু থেকেই পড়তেছি।
বারবার মায়ের কথা মনে পড়তেছে। মাসের বেতন পেয়ে মা-কে কি কিনে দেয়ার প্ল্যান আর ছোট ভাই দুটোকে কি কিনে দেয়ার প্ল্যান তা মনে পড়ল আর দুঃখ ঝাপিয়ে পড়ল। "মা-কে কি আর দেখবো না" এই দুঃখটা নাড়া দিচ্ছিল বেশী।
মানসিক অবস্থা লিখে বোঝানো সম্ভব না। ভয়ের চেয়ে দুঃখ আর অভিমান বেশী ছিল।
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করলাম মা-কে ফোন দেয়ার জন্য। কিন্তু ফোন দিলেই তো কান্না-কাটি শুরু করে দিবে, এখন কি ওনাকে কাঁদাবো?
ফোন দিতে যেয়েও কেটে দিলাম। কিন্তু ডায়াল লিস্টের প্রথমেই আম্মার নাম্বারটা রাখলাম, আর কল বাটনে আংগুল রাখলাম। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আম্মাকে একটা ফোন দিব। যদি মরেই যাই, তার আগে আম্মুর সাথে একবার কথা বলে নিব।

আচ্ছা যদি ডুবেই যাই তাহলে কথা বলবো কিভাবে? চারিদিকে তাকালাম। বিদেশ ফেরত লোকটার কয়েকটা বড় বড় ব্রীফকেস। আস্তে সরে বড় ব্রীফকেসের পাশে বসলাম। ব্রীফকেসটার উপর হাত রাখলাম, বাম হাত, কারণ ডান হাতের মোবাইলটা ধরা, ডান হাতের বৃদ্ধাংগুলীটা মোবাইলের সবুজ বাটনটার উপর রাখা।প্ল্যান করে ফেললাম, যদি নৌকা উল্টে যায়, তাহলে ব্রীফকেসটা ধরবো, আর মোবাইলে মা-কে কল দিব, যতক্ষন বেঁচে থাকবো, ততক্ষণ মা-য়ের সাথে কথা বলবো। কি বলবো ওনাকে? ভাবতেছিলাম।

প্রথমেই ফোন করে বলবো, আম্মু, আমারে মাফ কইরা দিয়েন।

আমি কনফার্ম আম্মা আমার কন্ঠ শুনেই বুঝে ফেলতো যে আমি বিপদে পড়েছি। উনি হয়তো বলতেন, কি হইছে, কি হইছে রে বাজান, কই তুই? বলেই কেঁদে দিতেন।

এরপর কি বলবো? এরপর যা ঘটেতেছে, তা বলবো,
আর কি বলবো সেটা মনে মনে ভাবতেছি, মনে মনে আউড়াইতেছি, মনে মনে আম্মার সাথে কথা বলতেছি। এতোক্ষণে আমার চোখে জল চলে এসেছে। আমি মনে মনে আম্মার সাথে কথা বলছি, আর কল্পনাতে ওনার কান্না শুনে কাঁদতেছি আর আয়তুল কুরসী পড়তেছি।
এভাবে পুরোটা সময় কাটিয়ে খেয়াল করলাম তীরের কাছে চলে এসেছি।
আমি মরে যাইনি সেবার। যখন তীরের কাছাকাছি চলে আসলাম, তখন মন কিছুটা শান্ত। স্বন্দীপে নেমে আমার মোটেও ভালো লাগছে না। আম্মাকে ফোন দিলাম। জিজ্ঞাসা করলাম "আম্মা, কি করেন?" উনি জানালেন মাত্র নামাজ পড়ে উঠলেন। এখন রান্না বসাবেন।
বললাম স্বন্দীপে এসেছি, দোয়া করিয়েন।

এরপর আমি স্বন্দীপে যে কয়দিন ছিলাম নৌকার ঘটনাটা আমার মন থেকে মুছতেই পাড়তেছিলাম না। শফিক বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়, আমি আর মাসুদ ওকে সংগ দেই। ওখানে মাসুদ আর শফিক আমার খুব যত্ন-আত্তি করে, স্বন্দীপ ঘুরে দেখায়, কিন্তু আমার অস্বস্তিটা কাটেনা।
ছুটি বেশী নেয়া ছিল না, চাইলে ছুটি নিতে পারতাম, কিন্তু নিলাম না। মূল ভূমি অনেক দূর, ঢাকা অনেক দূর, মা অনেক দূর। মাঝখানে একটা ভয়ংকর সাগর। মা এর কাছে যাইতে এই সাগর পাড়ি দিতেই হবে। তাহলে আগেভাগে দেয়াই ভালো।

চলে যাওয়ার কথা শুনে শফিক রিকোয়েস্ট করলো আরো থাকতে, কিন্তু আমি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিলাম।
নৌকা ঘাট থেকে শফিকদের গ্রাম অনেক দূর, হোন্ডা শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে যেতে হত। এতটা সময় কারো নষ্ট করাতে চাইলাম না, তাই একাই রওয়ানা হলাম ফিরতি পথে। সাগরের তিন নং সংকেত তখন দুই বা এক, মনে নেই। তিন নং পাড়ি দিয়ে এসেছি, এক বা দুই কোন বিষয়ই হবে না, শুনেছিলাম সাগর এখন অনেক শান্ত।

বর্ষার মৌসুম কোন জেটি-টেটি নেই। ছোট ডিংগী নৌকা করে বড় নৌকায় উঠতে হবে। তীরের কাছে যেয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কোথায় শান্ত সাগর? তীরেই অনেক বড় বড় ঢেউ। এখান দিয়ে কিভাবে ছোট নৌকা দিয়ে পার হব!!
ঐ দিকে বড় নৌকা আর ছোট নৌকা তাড়া দিচ্ছে, জোয়ার ভাটার সময় হিসেব করে চলতে হয় তাদের, এত সময় ব্যয় কররা মত সময়ও তাদের নেই। বাধ্য হয়ে ছোট নৌকাটাতে উঠলাম, আমিসহ ৬/৭ জন। এত দুলুনী আগে কখনও খাইনি। পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে দুই হাত দিয়ে নৌকার দুই কিনার শক্ত করে ধরে আছি। বড় বড় ঢেউ এর কারণে মাঝি নৌকা কন্ট্রোল করতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে তাদের কি!! তীরের কাছাকাছি, নৌকা উলটে গেলেও মাঝিসহ সবাই তীরে উঠতে পারবে, কিন্তু আমি? আমিতো সাঁতার জানি না।

বেশ কয়েক মিনিট লাগলো বড় নৌকার কাছাকাছি যেতে। আমি শরীর শক্ত করে বসে আছি, বড় নৌকার কাছাকাছি যেয়েও উঠে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছি। ছোট নৌকা আর বড় নৌকা দুইটাই দুলছে বেশ জোরেসোরে। একজন একজন করে যাত্রীরা বড় নৌকায় উঠছে। এর মধ্যে আরেকটা ছোট নৌকা থেকে বড় নৌকাটাতে উঠতে যেয়ে দুইজন পুরুষ সাগরে পড়ে গেছে, চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাচ্ছি। এক নজর দেখলাম ওইদিকে, লোক দুইটা সাঁতার জানে, অন্যরা তাদের দুইজনকে সাহায্য করতেছে ছোট নৌকাটাতে উঠার জন্য। আমাদের নৌকায় থাকা এক মহিলা হুহু করে কাঁদতেছে, তার স্বামী তাকে ধমকে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি বড় নৌকায় উঠার জন্য।
অন্য সবার মত আমি প্রথমে আমার হাতে থাকা ব্যাকপ্যাকটাকে বড় নৌকায় ছুড়ে দিলাম। তারপর দুলতে দুলতে পড়তে পড়তে কোনমতে বড় নৌকার কিনার বরাবর দুই হাত দিয়ে চাপ দিলাম আর ছোট নৌকার উপর পা এর চাপ দিলাম বড় নৌকায় উঠার জন্য, হঠাৎ স্রোতের কারণে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি, এক পা পিছলে যায়, হঠাৎই ধক করে উঠে বুকটা। পাগলের মত বড় নৌকায় উঠার চেষ্টা করি। হাত-পা সারা শরীর কাঁপা শুরু করেছে। দুই হাত আর এক পা দিয়ে কিনার ধরে রাখলেও আরেক পা কন্ট্রোললেস ভাবে ঝুলছে। উঠতে পারতেছিলাম না। বড় নৌকার মাঝিরা ক্রন্দনরত মহিলাটাকে বড় নৌকায় উঠানোর চেষ্টা করছে। বার বার মনে হচ্ছিল এই জংলী পানিতে পড়ে যাব। আমি প্রায় মিনিটখানেক চেষ্টার পর বড় নৌকায় উঠলাম। উঠে বিতৃষ্ণার দৃষ্টিতে সাগরের দিকে তাকালাম। আর কোথায় কি হচ্ছে দেখার ইচ্ছা নাই। আজও সাগরের পানি আসার দিনের মতই বিশ্রী, ঘোলাটে বিশ্রী।
আমি সব ভুলে যেতে চাইলাম। তাই আম্মাকে ফোন দিলাম।

নৌকা ছেড়ে দিল। সাগরের ঢেঊ গতদিনের মতই উত্তাল, কিন্তু আজকের মাঝি খুব দক্ষ, সবাই সেটাই বলাবলি করছে। সে কৌশলে দক্ষ হাতে বড় বড় ঢেউ মোকাবেলা করছে, যাত্রীদের দুলুনি বুঝতে দিচ্ছে না। তার কৌশল যাতায়াতে সময় প্রায় দেড় ঘন্টা বাড়িয়ে দিল। কিন্তু আজকে টেনশন কম। আর আমি টেনশন কমাতে কিছুক্ষণ পর পর আম্মাকে ফোন দিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন কথা বলে সময় পার করে দিলাম।
বিশ্রী সাগরটা পাড়ি দিয়ে মূল ভূমিতে পা দিয়ে সাগরটার দিকে একটা ঘৃণার দৃষ্টি ফেললাম, আমার ঘৃণায় শক্তি থাকলে সাগরটা শুকাইয়া যাইত। প্রতিজ্ঞা করলাম আর কখনও স্বন্দীপ যাব না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই অবস্হা? সন্দ্বীপের মানুষ এসব নিয়েই বেঁচে আছেন।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সন্ধীপ-চাটগাইয়া-রোহিঙগা একই ধাতুতে গড়া!

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.