নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিয়ম মানায় হাজতবাস

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

৪) অত্যন্ত হাস্যকর ভাবে ভিকারুন্নেসার ক্লাস টিচারকেও থানায়/জেল হাজতে নেয়া হয়েছে। ক্লাস টিচারের দোষ কি ছিল? দোষ কি এটাই ছিল যে, স্কুলের নিয়ম কানুনে যেটা লেখা আছে সেটা সে পরিপালন করেছে?
প্রধান শিক্ষকের দোষ কি ছিল? দোষ এটা ছিল যে সেও লিখিত নিয়ম কানুনের বিষয়ে সতর্ক ছিল?
বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের কি শিক্ষা দেয়? প্রাতিষ্ঠানিক ভালো বা পঁচা নিয়ম যেটাই হোক না কেন, সেই নিয়ম পালন করার প্রতিজ্ঞা করে চাকরিতে ঢুকে নিয়ম অনুসরণ করলে জেলেও যেতে হতে পারে, দোষীও হতে পারে?
তারা কি বিদ্যালয়ের লিখিত নিয়মের বাইরে কিছু করেছিল? আমি তো এমন কিছু দেখলাম না। অনলাইনে ভিকারুন্নিসার নিয়মের মধ্যে লেখা ছিল মোবাইল বা অন্যান্য আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে গেলে তাকে টিসি দেয়া হবে, তাহলে শিক্ষকরা তো সেই নিয়মই অনুসরন করেছে। তাহলে তাদেরকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? কে গ্রেফতার করাইছে? কোন আইনে?
আত্মহননে উৎসাহিত করণের কারণ দেখিয়ে?
হাস্যকর।
কোন স্টাডী বা তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে আসলে আত্মহননের পিছনের কারণটা কি ছিল?
মূলত সমস্যা হচ্ছে লিখিত নিয়মে। তো নিয়মকে হাজতে নেয়া হয় নি কেন? নিয়মকে ঘষা-মাজা করা হয়নি কেন? যারা আজ ক্লাস টিচার বা হেড মাস্টারের দোষ খুঁজছেন তারাই নিয়মের পরিবর্তন মেনে নিবে না।
কিন্তু সেন্ট্রালী কেউ কি নেই, এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর?

অনুগ্রহ করে শিক্ষকদের দোষ না পেলে মুক্ত রাখুন, শিক্ষার্থীদের নিকট ভুল ম্যাসেজ পাঠাইয়েন না।
আসল দোষী হচ্ছে হাস্যকর নিয়ম আর দোষের বিপরীতে কাউন্সিলিং এর সুযোগ না রেখেই শাস্তি প্রদান। এটা আওব স্কুলের সমস্যা।
নিয়ম মানার কারণে হাজতে রাখা শিক্ষকদের মুক্ত করুন এবং প্রতি স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে শাস্তিপ্রদান সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করুন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: মোবাইল বা আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে গেলে টিসি দেওয়া হবে

এটা কি কোন নিয়ম হোল বা কেউ যদি তার নিয়মাবলির মধ্যে এই ধরনের রুলিংয়ের কথা বলে সেটা কি গ্রহন যোগ্য ? একজন আরেক জনকে ধরে থাপ্পর দিয়েছে বা আরো বেশি আহত করেছে, তাহোলে কি এর শাস্তি হবে মৃর্তু দন্ড ?
কেউ যদি খারাপ কিছু করে তার জন্য কাউনসিলিং আছে , সেই সবের ধার না ধেরে সরাসরি টিসি !!! এটা কি কোন রুলিং হোল ?
এই ধরনের রুলিং তো আদালতে নিয়ে গেলে টিকবে না । মোবাইল ফোন সাথে ছিল কিন্তু মোবাইল ফোন থেকে নকল করতে কি তিনি দেখেছেন ?
কাহিণীটি এমন -- এক মহিলার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে নকল টাকা বানাবার মেসিন খুজে পায় এবং তারা মহিলাটিকে থানা নিয়ে যেতে চায় ।
তখন মহিলাটি বল্লো এই মেসিন সম্পর্কে তার কোন ধারনা নেই এবং তার কাছে কোন জাল টাকা নেই , তাহোলে তাকে কেন এরেস্ট করা হচ্ছে ?
পুলিশ উত্তরে জবাব দেয় --- জাল টাকা থাকুক বা না থাকুল টাকা জাল করার মেসিন থাকার জন্য জালিয়াতির দায়ে তিনি অপরাধী ।
সাথে সাথে মহিলা জবাব দেয় -- তাহোলে আমি আপনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করবো ।
পুলিশ জবাবে বলে --- আমি তো ধর্ষণ করি নি, তাহোলে কি জন্যে ধর্ষণের মামলা করবেন ?
জবাবে মহিলা বলে--- আপনি ধর্ষণ করেন নি কিন্তু ধর্ষন করার মেসিনটা তো আপনার কাছে আছে , তাই আপনি একজন ধর্ষক !!
মোবাইল ফোন আছে কিন্তু নকল করতে কেউ দেখেনি সুতরাং তুমি একজন নকলবাজ ।

এই ধরনের ফালতু রুলিং যারা করে, তারা যদি কাউকে টিসি দিতে পারে, তাহোল রুল প্রয়োগ করতে গিয়ে হাজত বাস হলে অবাক হওয়ার কি আছে ?

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

করুণাধারা বলেছেন: আবেগের স্রোতে ভেসে না গিয়ে বিবেকচালিত একটি যৌক্তিক পোস্ট দিয়েছেন। ভিকারুননিসায় মোবাইল নেয়া নিষিদ্ধ। জরুরী প্রয়োজনে ছাত্রীরা যে কোন শিক্ষিকার মোবাইল ব্যবহার করতে পারে এবং অভিভাবকও শ্রেণীশিক্ষিকার সাথে জরুরী প্রয়োজনে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেন, এটাও নিয়ম। মোবাইল নিতে না দেবার নিয়মটা হাস্যকর মনে হতেই পারে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা তো নেই যে ভিকারুননিসাতে পড়তেই হবে, অন্য কোন স্কুলে মেয়েকে পড়ালেই হয় যেখানে মোবাইল নেয়া নিষিদ্ধ নয়........... আমার মেয়ে দশ বছর ভিকারুন্নেসায় পড়েছে, মোবাইল না থাকায় আমি দুয়েকবার বেশ অসুবিধায় পড়েছি কিন্তু আমি কখনোই তাকে মোবাইল নিতে উৎসাহ দেইনি, কারণ প্রথমত এটা স্কুলের নিয়ম বিরোধী, আর দ্বিতীয়ত স্কুলে মোবাইলের কদর্য ব‍্যবহারের অনেক উদাহরণ আমি দেখেছি। যারা ব্যবহার করেছিল, নিয়ম অনুসারে তাদের প্রথমবার ওয়ার্নিং এবং দ্বিতীয়বার ব্যবহারের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে; তারা কেউ আত্মহত্যা করেনি, ফলে কোন শিক্ষিকাই এ কারণে দায়ী হননি।

জরুরী প্রয়োজনে শিক্ষিকার মোবাইল ব্যবহার করা যায় এবং পরীক্ষার হলে মোবাইল নেয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সেখানে কেউ মোবাইল কেন লুকিয়ে নিয়ে যায়? "সেলফি তুলতে" -আবেগের স্রোতে ভেসে বলতেই পারেন। কিন্তু মোবাইল দেখার পর শিক্ষিকার কি উচিত ছিল, "বাবু জানো না, মোবাইল আনতে হয় না কেন", স্নেহমাখা সুরে এ কথা বলা? তাহলে আরো অনেকেই এই কাজ করতে উৎসাহিত হতো। শিক্ষিকার যে কাজটি করা দরকার ছিল, তিনি ঠিক তাই করেছেন। একে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া বলে না। কিন্তু যে দণ্ড তাকে দেওয়া হল, সেটা একেবারেই অন্যায়। এই চল্লিশের কোঠায় বয়সী শিক্ষিকার ঘরে নিশ্চয়ই শিশু-কিশোর সন্তান আছে, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মায়ের এই শাস্তি ও অপমানের প্রভাব তাদের উপর কতখানি পড়বে? এখন শিক্ষিকার সন্তান যদি ভাবে, আত্মহত্যা করলে বেশ একটা আলোড়ন তোলা যায়, আমিও একটা আত্মহত্যা করে দেখি..........

আমার একটা পোস্ট আছে, পড়বার অনুরোধ করছি।

কার দায়

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: যাদের কয়েকদিন থেকে শিক্ষকদের পাছায় লাগতে দেখেছি তারা কোথায়? শুধু শিক্ষকদের দায়ী করতে গিয়ে মেয়েটার বাবা,মাকে নিরপরাদের সার্টিফিকেট দিয়েছিল। যারা শিক্ষকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নকল করা কে বৈধতা দেওয়ার আন্দোলন করছিল। তাহারা কিছু বলেন

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

রাজীব নুর বলেছেন: লেবু এখন তিতা হয়ে গেছে।
একটা বিষয় নিয়ে এত বার লেখা হপয়েছে এই সামুতে। এখন জাস্ট তিতা লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.