নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক বিন্দু জলের সুখ সাগরে মিশে হারিয়ে যাওয়ায় ....

এক বিন্দু জল

এক বিন্দু জল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজা কেন ফরজ করা হলো তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৫


হে ঈমানদারগন, তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। এটি গুটি কয়েকটি দিনের জন্য। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে অথবা ভ্রমনে থাকবে (তারা ব্যতিত), অন্য সময় সে তার রোজার সংখ্যা পুরন করে নিবে আর এটি যাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়, তারা তৎপরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করবে। কেউ খুশির সাথে সৎকর্ম করলে তা তার জন্য কল্যানকর। আর যদি রোজা রাখ, তবে সেটা হবে তোমাদের জন্য অধিক কল্যানকর, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে পার। (সুরা বাকারাহ- আয়াত ১৮৩ ও ১৮৪)।

মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন স্বয়ং বলেছেন এটা মানুষের জন্য কল্যানকর যতই কষ্টকর হোক। এতদিনে বিজ্ঞান এটা কেন মানুষের জন্য কল্যানকর তা আবিষ্কার করতে পেরেছে। সেই ব্যপারটা হলো প্রানীকোষের অটোফ্যাগি (Autophagy) বা আত্নভক্ষন (নিজে নিজেকেই খেয়ে ফেলা)।



যখন আমরা আমাদের শরীরকে নিদিষ্ট পরিমান খাদ্য না দেই অর্থ্যাৎ বাইরে থেকে যখন খাবার সাপ্লাই বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন শরীরের খাদ্য ঘাটতি হতে শুরু করে কিন্তু কোষগুলোর তো খাদ্য প্রয়োজন আর তারা চুপচাপ বসে থাকে না। তখন তারা অপেক্ষাকৃত দুর্বল, অসুস্থ, মৃত, অপ্রয়োজনীয় কোষগুলোকে পরিশোধন করে নিজেদের খাদ্য করে নেয়। ফলে আমাদের দেহের আবর্জনা তথা এই অসুস্থ ও মৃত কোষগুলি নির্মূল হয়ে যায় এবং শরীর হয় মৃত ও অসুস্থ কোষশুণ্য এবং আবর্জনামুক্ত। এই প্রক্রিয়া শরীরের ভিতরের সকল আবর্জনা পরিস্কার করে আমাদের শরীরকে অনেক প্রকার রোগ থেকে রক্ষা করে বিধায় ইহা একটি অতি উত্তম পদ্ধতি শরীরকে নিরোগ রাখার। অটোফ্যাগি ব্যপারটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে জাপানের বিজ্ঞানী ওশিনরী ওসুমী (Yoshinori Ohsumi) নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন ২০১৬ সালে।

বিশেষ করে এ্ই অটোফ্যাগী বেশী উপযোগী বৃদ্ধদের জন্য কারন তাদের শরীরের অসুস্থ, মৃত ও অপ্রয়োজনীয় কোষ বেশী হয় এবং এর ফলে হতে পারে ক্যান্সার বা পার্কিনসন্স ডিজিজ বা স্মৃতিভ্রংশসহ নানা জটিল রোগ। কিন্তু বেশীরভাগ বৃদ্ধরাই রোজা রাখেন না অসুস্থ হবার ভয়ে। এটা ভুল। বরং চেষ্টা করা উচিত রোজা রাখতে একটু কষ্ট হলেও।

আমরা এটা জানতাম না কিন্তু যে এর কারিগর সে ঠিকই জানত বলে রোজাকে সকল সময় অবশ্য পালনীয় করেছেন সকল মানুষের জন্য।

তাই যত কষ্টই হোক রমজান মাসে রোজা রাখুন এবং মাঝে মাঝে সুন্নত বা নফল রোজা করুন। এতে আপনি উপকৃত হবেন নিশ্চিত। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১৭

নতুন বলেছেন: হিন্দুরা তো ইসলাম আসার হাজার বছর আগে থেকেই উপবাস করে থাকে?

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৬

এক বিন্দু জল বলেছেন: হা, আল্লাহ সেটাই বলেছেন.. "তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর‍"।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:২২

ওমেরা বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়ের ।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৮

সত্যের ছায়া বলেছেন: রোজা সবার রাখা উচিৎ, যার যার ধর্মে যেভাবে বলা আছে।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫১

এক বিন্দু জল বলেছেন: সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০৭

এক বিন্দু জল বলেছেন: আসলে ধর্ম পালন করলে ধর্মের কোন লাভ নেই। কোন লাভ নেই সৃষ্টিকর্তার। ধর্ম মুলত সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক একটা গাইডলাইন মানুষের জীবন যেন সন্দর, সুস্থ, সুষ্ঠ ও নিষ্কন্টক হয়। মানুষ সৃষ্টি করে তাকে পৃথিবীতে প্রেরন করেছিলেন এবং তিনি জানতেন মানুষ কি কি ভুল করতে পারে বা মানুষের খুতগুলো কোথায়। তাই মুলত আল্লাহ মানুষকে জীবনবিধান দিলেন, আদেশ, উপদেশ, নিষেধ করলেন যাতে মানুষ ভুল না করে, বিপদে না পড়ে। সকল সময়েই কিছু মানুষ এটার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব উপলব্দি করতে পেরেছে আবার কিছু মানুষ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে দরকার নেই বলে। মানুষ বার বার ভুলে গেছে, সৃষ্টিকর্তা বার বার নবী-রসুল পাঠিয়ে বা বিভিন্নভাবে আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে। সর্বশেষ যাকে পাঠিয়েছেন তিনি হযরত মুহম্মদ (সঃ)। ব্যপারটা আপনি বিশ্বাস করলে করবেন না করলে না করবেন। লাভ বা ক্ষতি যাই হোক সেটা আপনার। তবে আমাদের সবার নিজ নিজ ধর্ম পালন করলেই হবে আত্নিক ও মানষিক উন্নতি। ধন্যবাদ

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

অলিউর রহমান খান বলেছেন: মাসআল্লাহ্ অতি চমৎকার একটি পোষ্ট।
আল্লাহ্ আপনাকে উওম প্রতিদান দিন সেই দোয়া করেছি।

সুন্দর পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিবেন।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৯

এক বিন্দু জল বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.