নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক বিন্দু জলের সুখ সাগরে মিশে হারিয়ে যাওয়ায় ....

এক বিন্দু জল

এক বিন্দু জল › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেলিভিশনের ভয়াবহতা এবং আমাদের সমাজের অবক্ষয়

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

একমাত্র টেলিভিশন ব্যবহারের পর থেকে মানুষের জীবনের এবং মানব সমাজের চরম দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। মানুষের যে যে ক্ষতিগুলো হয়েছে......

১। অযথা সময়ের অপচয়হেতু সময় কম পড়ে যাওয়া,
২। অভাব বৃদ্ধি, কারন চাহিদা বা প্রয়োজন বৃদ্ধি পেয়েছে,
৩। পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হয়েছে এবং একাকী থাকার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে,
৪। শারিরিক প্রতিবন্ধকতা ও নানাবিধ অসুস্থতা বৃদ্ধি,
৫। অপ্রয়োজনীয় জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য অসুস্থ মানষিকতা,
৬। চতুরতা ও অপরাধপ্রবনতা বৃদ্ধি হেতু পরস্পরের প্রতি সন্দেহ বৃদ্ধি এবং সম্মান কমে যাওয়া,
৭। নানাধরনের মানুষ দেখার ফলে আত্নবিশ্বাসের অভাব বা অতিমাত্রিক আত্নবিশ্বাস,
৮। চোখের জিনা ও মনের জিনার কারনে মানষিক অতৃপ্তির ব্যপকতা,
৯। সরকার বা ক্ষমতাবানদের নিয়ন্ত্রিত হবার কারনে ভূল তথ্য বা ভূল পথে পরিচালিত হওয়া,
১০। শিশুদের মারাত্নক ভয়াবহ পরিনতি যাহা অপূরনীয়,

ইত্যাদি নানাবিধ ভয়াল আগ্রাসন থেকে বাঁচতে আসুন আমরা নিজেদের রক্ষা করি, টেলিভিশন দেখা বন্ধ করি। আমরা টিভি থেকে কি শিখছি? কি জানছি? যা শিখছি তা কি আমাদের আদৌ প্রয়োজন আছে? আল্লাহতায়ালা মদের অনেক প্রকার উপকার থাকার পরেও মদকে হারাম করেছেন, টেলিভিশনের কিছু কিছু ব্যবহার হয়তো উপকারজনক কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে এটার উপকারের চেয়ে ক্ষতির মাত্রা অনেক অনেকগুন বেশি।

প্রয়োজনে কিছুদিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে টিভিকে বাসা থেকে সরিয়ে দিয়ে দেখুন। আপনার জীবন কত সুন্দর হবে, আপনার আচরনে কত পরিবর্তন আসবে, আপনার সময় কত বেচে যাবে।
আপনার সন্তানরা হবে সুস্থ, স্বাভাবিক, উন্নত এবং তারা রেজাল্ট ভাল করবে, আপনাদের সম্মান যেমন করবে তেমনি তারাই পারবে একটি উন্নত জাতী উপহার দিতে।
আপনার স্ত্রী বা স্বামী হবে আপনার আরও ঘনিষ্ট এবং মননশীল। তখন আপনাদের চোখ টিভিতে না থেকে থাকবে এক অন্যের দিকে।
তারা নিজেদের একটু বিরতী দিতে পারবে এটাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
নিজ নিজ কাজের প্রতি আরও বাড়বে দরদ।
মন হবে সুন্দর এবং পরশ্রী অদর্শন হেতু তারা অনেক মানষিক জটিলতা থেকে বেঁচে যাবে। মানষিক তৃপ্তি এবং অনাবিল আনন্দ যাহা জীবনকে করবে আরও সুন্দর।

যেমন সকল নেশার জন্ম যেমন হয় সিগারেট খাওয়া শুরু করা থেকে, ঠিক তদ্রুপ সকল পর্ন এবং ব্যভিচারের জন্ম হয় টিভি দেখা থেকেই, আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন। তাই নিজে বাঁচুন এবং আপনার পরিবারকে এর ভয়ানক থাবা থেকে রক্ষা করুন।

ধন্যবাদ

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪

অলিউর রহমান খান বলেছেন: জনাব আপনার কথায় যুক্তি আছে তবে অনেক কিছুই আমরা নিজেদের উপর
নির্ভর করে। তবে এ যুগে কেউ এসব থেকে সরে আসবে বলে আমার মনে
হয় না। তাই আমাদের নিজেরা এবং পরিবার কে এর কবল থেকে রক্ষা করার জন্য
সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। শিশুদেরকে সঠিক ভাবে লালন পালন করে গড়ে তুলা
উচিত।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৯

এক বিন্দু জল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা অনেক কঠিন বর্তমান সময়ে...

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫০

এক বিন্দু জল বলেছেন: কঠিন হয়তো, কিন্তু কি অসম্ভব?

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন:
কিছুদিন পূর্বের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তিন বছরের শিশুদের যেন টিভির সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া না হয়।
এখান থেকেই আমরা বুঝে নিতে পারি টিভি কতটুকু খারাপ প্রতিক্রিয়াশীল যন্ত্র।

শুভকামনা জানবেন। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

এক বিন্দু জল বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন একটা তথ্যের জন্য

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬

তার ছিড়া আমি বলেছেন: আপনার সাথে আমি শতভাগ একমত পোষণ করছি, তবে এ যুগে টিভিকে বাদ দেয়া অসম্ভব। বরং আপনি টিভি প্রোগ্রামারদের উদ্দেশ্যে ভাল কিছু উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়ে লিখুন। জাতি কোন দিকে যাবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে মিডিয়ার উপর।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: উপরে দু/তিন জন বললেন যে টিভি বাদ দেওয়া অসম্ভব। আসলে খুব একটা কঠিন কাজ না। আমার বাসায় বড় বড় দুইটা টিভি আছে। একটা আছে শো হিসাবে; আর একটা আছে কম্পিউটারের মনিটর হিসাবে। ডিজাইনের কাজ করি; তাই বড় একটা লাগে, খরচ কম দেখে টিভি কেনা। আপনাকে শুধু যেটা করতে হবে, তা হলো বাদ দিতে হবে। কিছুদিন পর দেখবেন আর এমনিতেই ভালো লাগবে না। এবং বাদ দেবার পর খুব দ্রুতই দেখবেন আপনার চিন্তা ধারায় অনেক পরিবর্তন এসে যাবে।

শেষ কবে টিভিতে কোন প্রোগ্রাম দেখেছি মনে পড়ে না। খুব সম্ভবত ২০১৬ এর প্রথম দিকে কোন এক দিন হবে মনে হয়।

টিভি একটা এ্যাডিকশন, সময় নষ্ট করবার জিনিষ। সমস্যা হচ্ছে যেহেতু আমাদের সমাজে হুজুরেরা এটার বিরুদ্ধে, তাই অনেকেই হুজুরদের বিরুদ্ধাচারণ করতে গিয়ে আর টিভির বিরুদ্ধে নামতে পারেন না।

কয়েকদিন আগে বিজনেস ইনসাইডারের এই লেখাটি পড়ছিলাম। এখানে ধনী গরীবের কিছু কাজের ফারাক দেখানো হয়েছে; তার ৩নং বিষয়টাই হচ্ছে ধনীরা টিভি কম দেখে, আর দরিদ্ররা টিভি বেশী দেখে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

এক বিন্দু জল বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে গুছিয়ে বলার জন্য।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: সব ইহুদী-খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্র।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

এক বিন্দু জল বলেছেন: হাহাহা... ব্যপারটা কিন্তু এমন নয়।
মাঝেমাঝে কিন্তু তাদের কথাও মানতে হবে। তবে বিচার-বিশ্লেষন জ্ঞান আমাদের সবারই আছে। ধন্যবাদ

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমি টিভি দেখি না। তবে হলো, না থাকলে আপনি তো বহির্বিশ্বের বাইরে চলে যাবেন। আসক্তি না হলেই হলো।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

এক বিন্দু জল বলেছেন: বহির্বিশ্ব সম্পর্কে জানতে নিউজ পেপার যথেষ্ঠ হতে পারে। অথবা আপনি ইন্টারনেট থেকেও সব জানতে পারবেন খুব বেশী প্রয়োজন হলে।
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.