নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুনভাবে নিজের চিন্তার শক্তি আর ভাবনার বিশ্লেষণ করার সামর্থ অর্জনের জায়গা হল ব্লগ। বিচিত্র ভাবনারাশির আলোয় নিজেকে আলোড়িত আর আলোকিত করার উদ্দেশেই আমরা ব্লগে আসি। অবসর সময়টাকে ভালোভাবে কাটানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম উপায় আর নেই। তদুপরি বিনোদন এখানে উপরি পাওনা

এস এম ইসমাঈল

মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।

এস এম ইসমাঈল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহলে বায়েত কারা?

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

আহলে বায়তের মর্যাদা



নবী করিম (দঃ) এর আওলাদগণকে আহলে বায়ত রাসূল (দঃ) বলা হয়। ইসলামী দুনিয়ার আকাশে তাঁরা সুউজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি। তাঁরা সর্বস্তরের মানুষের আদর্শ। ইসলামের প্রতিটি নীতিমালা বাস্তবায়ন হয় তাঁদের জীবনে। তাঁরা মানবতার মুক্তি দিশারী। তাঁদের অনুসরণই ইসলাম, তাঁদের প্রতি ভালবাসাই ঈমাণ। তাঁরা নবীজীর অসীম জ্ঞানসমুদ্র থেকে জ্ঞান আহরণ করেন। নবীজীর দেখানো পথে তাঁরা জীবন পরিচালিত করেন।তাঁদের চলনে-বচনে কুরআন সুন্নাহ্র আদর্শ সমুজ্জ্বল। তাই তাঁদের চরিত্র অনুপম।তাঁরা কুরআন সুন্নাহর ধারক বাহক। নবুয়তের ধারা সমাপ্তির পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত তাঁদের মাধ্যমেই ইসলাম জীবিত থাকবে।

ইসলামে তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা সুউচ্চ। কুরআন-সুন্নাহতে তাঁদের মান-মর্যাদার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করা মুমিন মাত্রেই ওয়াজিব। তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, তাঁদেরকে মহব্বত করা মানেই রাসূল (দঃ) কে মহব্বত করা। আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) ই সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন,দেশ থেকে দেশান্তরে ছুটে গিয়েছেন অসংখ্য মানুষকে ঈমাণের মত মহামূল্যবান নেয়ামত দান করেছেন। কুফরী-শিরকীর অন্ধকার থেকে মানব সমাজকে আল্লাহর পথে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় জান-মাল,ধন-সম্পদ, আওলাদ পর্যন্ত কোরবানী দিতে দ্বিধা করেননি। যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে তা-ই আল্লাহর রাস্তায় কোরবানী দিয়েছেন। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা তার উজ্জ্বল প্রমাণ। যেখানে হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) স্ব-পরিবারে শাহাদাত বরণ করেছেন। তাই মুসলমান মানেই তাঁদের নিকট ঋণী। আল্লাহ এবং রাসূলেরও নির্দেশ তাঁদেরকে মহব্বত করা,তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদশৃন করা। আল্লাহ তায়ালার বাণীঃ

অর্থাৎ হে হাবীব (দঃ)! আপনি বলুন,আমি তোমাদের কাছে আমার দাওয়াতের জন্য (দ্বীন প্রচারের বিনিময়ে) আমার আত্নায়-স্বজনের মহব্বত ব্যতীত কোন বিছুই চাই না । (শুরা,আয়াত-২৩) ।আন্তরিকতাপূর্ণ নিস্কলুষ ভালবাসার এই দাবী মু’মিনের উপর কেবল মাহবুবে খোদা (দঃ) এর নিকটাত্মীয়ের জন্যই রাখা হয়েছে। অত্র আয়াতে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে মুমিনদেরকে নবী করিম (দঃ)’র আত্মীয় তথা বংশধরদের প্রতি মহব্বত প্রদর্শন করাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অতএব ঈমানদারের উপর আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল (দঃ) এর পরে আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) এর প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন করা একান্ত অপরিহার্য। এ আয়াতের আলোকে বিখ্যাত মুসলিম মনীষি ইমাম বদিউজ্জআমান সাইদ নুরসী (রঃ) বলেছেন- ”আল্লাহ তায়ালা ভাল করেই জানেন যে,আহলে বায়তের মাধ্যমেই কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ ইসলাম পাবে,তাঁদের অনুসরণের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবে। তাই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা তাঁদেতর মবব্বতকে অবধারিত করে দিয়েছেন।”

মূলতঃ স্বীয় স্বার্থেই মুমিনদের ঈমাণী জীবনে এটি এক অপরিহার্য কর্তব্য। আহলে বায়ত রাসূল (দঃ) সর্বদা মানবতার কল্যাণকামী,পূত পবিত্র তাঁদের ব্যক্তিসত্ত্বা,নিস্কলুষ তাঁদের জীবন চরিত। তাঁরা খোদাভীরু। তাঁরা সর্বদাই আল্লাহর নৈকট্য লাভে সচেষ্ট। তাঁরাই আল্লাহর পূন্যাত্ম বান্দা। আল্লাহতায়ালা তাঁদের কাছ থেকে সব রকমের নাপাকী ও পঙ্কিলতা দূর করেছেন। এই মর্মে কুরআন পাকে তিনি ইরশাদ করেছেন-

“হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূতঃপবিত্র রাখতে”। সুরা আহযাব,আয়াত-৩৩।

অত্র আয়াতে নবী করিম(দঃ) এর পরিবারবর্গের ফজিলত ও মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা তাঁদের মর্যাদাকে সুউচ্চ করেছন এবং তাঁদেরকে সর্ব প্রকারের পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মু্ক্ত করে পূত পবিত্র করেছেন। এ প্রসংগে একটা বিষয় লক্ষণীয়। আয়াতে বল হয়েছে- আল্লাহ তায়ালা তাঁদেরকে পবিত্র করতে ইচ্ছা করেনবশতঃ আল্লাহ তায়ালা যা ইচ্ছা করেন বা করতে চান তা অবশ্যই করেন। যেমন- তিনি বলেছেন,“বস্তুত তাঁর সৃষ্টিকার্য এরূপ যে,যখন তিনি কোন কিছু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করেন,তখন তিনি তাকে বলেন হও,অমনি তা হয়ে যায়। (ইয়াসিন-৮২)।

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-

হে আহলে বায়ত! আল্লাহর রহমত ও বরকতসমূহ তোমাদের প্রতিই রয়েছে। নিঃসন্দেহে তিনিই সমস্ত প্রশংসার মালিক এবং সম্মানের অধিকারী।



আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) কারা?

বিশুদ্ধ মত অনুসারে আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) গণ হচ্ছেন- খাতুনে জান্নাত ফাতেমাতুজ্জাহরা (রাঃ) ও শেরে খোদা ইমাম আলী (রাঃ) দম্পতির মাধ্যমে আওলাদে রাসেূলের যে বংশ ধারা অব্যাহত থাকবে। অথ্যাৎ ইমাম হাসান,ইমাম হোসাইন ও সৈয়দা যয়নব (রাঃ) এর বংশধরগণ। কোন কোন মনীষী,নবীজীর সহদর্মিণীগণ তথা উম্মাহাতুল মু’মিনীনগণকে আহলে বায়তের অন্তর্ভূক্ত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।





আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) এর ফজিলত

হুজুর নবী করীম (দঃ) এর আহলে বায়ত হওয়ার গৌরব অর্জন করা মানে দুনিয়া আখিরাতে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী হওয়া। কারণ রাসূলূল্লাহ (দঃ) এর বংশধারা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ট ও সর্বোত্তম বংশধারা। কারণ তাঁরা সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও আল্লাহর তায়ালার প্রিয় হাবীবের (দঃ) সন্তান। তাঁদের সাথে রাসূল (দঃ)’র রক্তের সম্পর্ক। বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামগণ এ কথার উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে,আওলাদে রাসূল (দঃ) তথা সৈয়দজাদাগণ বংশের দিক থেকে সর্বোত্তম মানুষ। তবে শরীয়তের অন্যান্য হুকুম আহকামের ব্যাপারে তারা সাধারণ মানুষের মত। পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহতে আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) এর প্রশংসায় অনেক প্রমাণাদি বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন,“(হে আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) গণ!) আল্লাহ তায়ালা আপনাদের থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূরীভূত করতে ইচ্ছা করেছেন এবং তিনি আপনাদেরকে পূতঃ পবিত্র করবেন।”

বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামগণ বলেছেন,অত্র আয়াতে “আহলে বায়ত শব্দটি পরিবারের সদস্য ও বংশধরদের শামিল করে। তাই রাসূল (দঃ) এর বিবিগণ তাঁর পরিবারের সদস্য হিসেবে আহলে বায়ত। আর তাঁর (দঃ) আত্মীয়-স্বজন বংশধর হিসেবে আহলে বায়ত।

এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে ইমাম আহমেদ বিন হাম্বল (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছে নবী করিম (দঃ),হযরত আলী (রাঃ),হযরত ফাতেমা (রাঃ),হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (রাঃ)- এর প্রসঙ্গে। অর্থাৎ আয়াতে আহলে বায়ত দ্বারা তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। এ অভিমতের সমর্থনে আরো বিশুদ্ধ হাদীস রয়েছে। যেমনঃ একদা নবী করিম (দঃ) তাঁদেরকে নিয়ে এক জায়গায় বসে একটি চাদর দ্বারা আবৃত হলেন এবং বললেন,“হে আল্লাহ! এরা আমার আহলে বায়ত,এরা আমার প্রিয় ভাজন। তাঁদের থেকে আপনি সব প্রকারের পঙ্কিলতা দূর করুন এবং তাঁদের পূতঃ পবিত্র করুন।” অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে যে,রাসূলুল্লাহ (দঃ) তাঁদের উপর চাদর রাখলেন এবং তাঁর হস্ত মোবারক তাঁদের উপর রেখে দোয়া করলেন,“হে আল্লাহ! এরা মুহাম্মদ (দঃ) এর পরিবারবর্গ। আপনার অফুরন্ত রহমত ও বরকতের ধারা তাঁদের প্রতি অহরহ বর্ষণ করুন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও অতীব সম্মানিত।

যে সমস্ত আয়াতে করীম আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) এর ফজিলত বর্ণনা পূর্বক অবতীর্ণ হয়েছে তন্মধ্যে নিন্মোক্ত আয়াতটি প্রনিধানযোগ্য। মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন-

“অতঃপর হে মাহবুব! যে ব্যক্তি আপনার সাথে ঈসা (আঃ) সম্পর্কে বিতর্ক করে আপনার নিকট ওহী আমার পরও তবে তাঁদেরকে বলে দিন,এসো আমরা ডেকে নিই আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের,আমাদের নারীদের এবং তোমাদের নারীদের এবং আমাদের নিজেদের ও তোমাদের নিজেদের। অতঃপর “মোকাবেলা” করি। তারপর মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লানত দিই।”

তাফসীরবেত্তাহণ বলেছেন,যখন উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হল তখন রাসূলুল্লাহ (দঃ) হযরত আলী,ফাতেমা,হাসান ও হোসাইন (রাঃ) কে ডাকলেন। অতঃপর ইমাম হোসাইন (রাঃ) কে কোলে নিলেন এবং ইমাম হাসান (রাঃ) এর হাত ধরে চলতে লাহলেন। হযরত ফাতেমা (রাঃ) তাঁর পেছনে এবং হযরত আলী (রাঃ) উভয়ের পেছনে চলতে লাগলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (দঃ) দোয়া করলেন- হে আল্লাহ! এরা আমার আহলে বায়ত।

উপরোল্লিখিত আয়াত দ্বারা একথা সুস্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে,হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর আওলাদগণ এবং তাঁদের বংশধরদেরকেই রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর আহলে বায়ত বলা হয়। তাঁদের বংশীয় ধারা রাসূল (দঃ) এর দিকে বিশুদ্ধ রূপে প্রবাহিত আর এহেন বংশানুক্রমিক ধারা তাঁদেরকে ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে উপকৃত করবে।

কথিত আছে যে,একবার বাদশাহ হারুনুর রশীদ ইমাম মূসা কাজেম (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কিভাবে দাবী করেন যে আপনার রাসূল (দঃ) এর বংশধর? অথচ আপনারা হযরত আলীর বংশধর। কারণ বংশের নিসবত বা সম্পর্ক হয় দাদার দিকে,নানার দিকে নয়। উত্তরে তিনি নিম্নের আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন-

“আর তার সন্তানদের মধ্য থেকে দাউদ,সোলাইমান,আইয়ুব, ইউসুফ, মূসা এবং হারুনকেও এবং আমি অনুরূপভাবে প্রতিদান দিয়ে থাকি সৎকর্মপরায়নদের এবং যাকারিয়া,ইয়াহইয়া,ঈসা এবকং ইলিয়াসকেও। হযরত ঈসা (আঃ) এর পিতা ছিল না। এতদসত্বেও তাঁকে নবীগণের বংশধর বলে কুরআন পাকে বর্ণনা করা হয়েছে। আর তা করা হয়েছে মায়ের দিক থেকে। এভাবে আমরাও রাসূল (দঃ) এর সাথে আওলাদের সম্পর্কে সম্পৃক্ত হয়েছি আমাদের মা খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমাতুজ্জহরা (রাঃ) এর মাধ্যমে। হারুনুর রশীদকে সম্বোধন করে তিনি আরো বলেন,“হে আমিরুল মুমিনীন! আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন,যখন আয়াতে “মোবাহিলা” অবতীর্ণ হয়েছিল তখন রাসূলুল্লাহ (দঃ) কি হযরত আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন (রাঃ) ব্যতিত অন্য কাউকে ডেকে ছিলেন?



পবিত্র কুরআনের পাশাপাশি আহলে বায়তে রাসূল (দঃ) এর ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনাপূর্বক অসংখ্য হাদীস শরীফও রয়েছে। যেমনঃ হযরত আবু ইয়ালা (রাঃ),হযরত মাসলা বিনতে আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন,রাসূলুল্লাহ (দঃ) ইরশাদ করেছেন,“তারকারাজি আসমানবাসীদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে,আমার আহলে বায়ত আমার উম্মতদেরকে বিভেদ-বিশৃঙ্খলা থেকে নিরাপদ রাখে।”



ইমাম আহমেদ (রঃ) এর অন্য বর্ণনায় আছে,নবী করিম (দঃ) ইরশাদ করেছেন,“আমার আহলে বায়তগণ যখন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তখনই দুনিয়াবাসীদের নিকট ঐ সমস্ত বালা-মুসিবকত আসবে,যেগুলোর ব্যাপারে তাদেরকে হুঁশিয়ারি করা হয়েছিল।” ইমাম হাকেম (রাঃ),হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,রাসূলুল্লাহ (দঃ) ইরশাদ করেছেন,“আাল্লাহ তায়ালা আমার আহলে বায়তের ব্যাপারে ওয়াদা দিয়েছেন যে,তারা যদি আল্লাহ তায়ালার ওয়াহদানিয়্যাত (একত্ববাদ) স্বীকার করে এবং আমাকে রাসূল হিসেবে মেনে নেয়,তাহলে তাঁদেরকে কোন ধরনের আজাবের সম্মুখীন হতে হবে না।”



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.