নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুনভাবে নিজের চিন্তার শক্তি আর ভাবনার বিশ্লেষণ করার সামর্থ অর্জনের জায়গা হল ব্লগ। বিচিত্র ভাবনারাশির আলোয় নিজেকে আলোড়িত আর আলোকিত করার উদ্দেশেই আমরা ব্লগে আসি। অবসর সময়টাকে ভালোভাবে কাটানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম উপায় আর নেই। তদুপরি বিনোদন এখানে উপরি পাওনা

এস এম ইসমাঈল

মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।

এস এম ইসমাঈল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকায় গাউসে জমান হজরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহঃ) – কিছু কথা-কিছু স্মৃতি (পর্ব -১)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

• খিলাফত লাভ ও এদেশে আগমনের শুভ সূচনা- হুজুর কেবলা হজরত সৈয়্যদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহঃ) ১৯৫৮ সালে রেয়াজুদ্দিন বাজারে শেখ আফতাব উদ্দিন আহমদ সাহেবের কাপড়ের দোকানে খতমে গাউসিয়া শরীফের পবিত্র মাহফিলে কাদেরিয়া তরীকার খিলাফাত লাভ করেন। খিলাফাত লাভের পর এদেশে তাঁর প্রথম আগমন হয় পিতার চেহলাম শরীফ উদযাপন উপলক্ষে ১৯৬১ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে।এর পর থেকে প্রতি বছর নিয়মিত তিনি এদেশে আসতে থাকেন।যা ১৯৭১ সাল অবধি অব্যাহত ছিল।এর মধ্যে কোন কোন সময় তিনি পুরা রমজান মাসও এখানে মুরিদদের সাথে থেকে রোজা পালনসহ খতম তারাবী, ঈদের নামাজে ঈমামতি করেছেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে তাঁর প্রথম আগমন হয় ১৯৭৬ সালে।১৯৮৬ সাল অবধি এ ধারা অব্যাহত ছিল। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে এদেশে হুজুর কেবলা তৈয়্যব শাহ্‌ (রহঃ) এর স্বশরীরে অবস্থান ছিল (৭১-৬১= ১০ বছর, আর ৮৬-৯৬= ১০ বছর) মোট= ২০ বছর। আবার এর মধ্যে তিনি ঢাকায় ছিলেন প্রতিবারে গড়ে ১০-১৫ দিন। এবার আমি ঢাকায় গাউসে জমান হজরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌’র (রহঃ) এ সকল মুবারাক সফর নিয়ে সামান্য আলোকপাত করব ইনশাআল্লাহ্‌।

• হুজুর কেবলা হজরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌’র (রহঃ) সাথে প্রথম সাক্ষাত –

১৯৬৫ সালের কথা, আমি তখন স্কুলের ৪র্থ কি ৫ম শ্রেণীর ছাত্র।আমার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর সব সময় আমার সাথে সাথে থাকত। ও আমার ১ ক্লাস নীচে পড়ত। দুষ্টুমি, খেলাধুলা আর পড়াশুনা সব কিছু দুজনে মিলেই করতাম। আব্বার কাছে সব সময় হুজুর কেবলার (রহঃ) গল্প শুনে ভাবলাম এক বার গিয়ে দেখতে হয়। কার সাথে দেখা করার জন্য ঘর-সংসার এমনকি দোকানদারী পর্যন্ত বাদ দিয়ে দিনের পর দিন আব্বাজান সেখানে পড়ে থাকতেন? যাই হোক ১৯৬৫ সালে মিলে গেল হুজুর কেবলাকে (রহঃ) এক নজর দেখার সুবর্ণ সু্যোগ। আব্বার সাথে একদিন আমরা দুই ভাই কায়েৎটুলী খানকা শরীফে গেলাম। হুজুর কেবলার (রহঃ) নূরানি সুরত দেখে আমি অভিভূত।আব্বা আমাদের দুই ভাইকে হুজুর কেবলার (রহঃ) সামনে বসিয়ে দিলেন। আর বল্লেন, “নামাজের মত করে বসো”। আমরা খুশী মনে হুজুর কেবলার (রহঃ) সামনে দোজানু হয়ে বসে পড়লাম। হুজুর কেবলা (রহঃ) তখন আমাদেরকে হাতে হাত দিয়ে মুরীদ করে নিলেন। আর বল্লেন, “তোমরা ছাত্র! তাই তোমাদের অযিফা বড়দের অর্ধেক।আর সময় মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে নেবে”। আমরা হুজুর কেবলাকে (রহঃ) কদমবুসী করে ঘরে ফিরে এলাম।



• হুজুর কেবলা হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহঃ) কে ঢাকার ভাইদের উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা- হুজুর কেবলার (রহঃ) আগমনের সংবাদ পেলে ঢাকার পীর ভাইদের মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে যেত।হাই কোর্ট মাজারে প্রবেশ পথের সামনে ৮-১০ জন লোক তাজা ফুলের মালা ও তোড়া বিক্রি করত। ওখান থেকে মালা কিনে নিয়ে হুজুর কেবলাকে (রহঃ) বরণ করার জন্য আমরা সবাই মিলে তেজগাঁ এয়ারপোর্টে হাজির হতাম। তখন ঢাকার রাজপথে এখনকার মত এত্ত গাড়ী ছিল না। কিছু সংখ্যক ঘোড়ার গাড়ি রাস্তায় চলাচল করত। আর ছিল মুড়ির টিন নামে পরিচিত কিছু বাস। প্রাইভেট কারের সংখ্যা ছিল হাতে গোনার মত। তেজগাঁ এয়ারপোর্টে তখন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু ছিল। লুঙ্গি পরিহিত কারো ভিতরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। ফলে তেজগাঁ এয়ারপোর্টের প্রবেশ পথে ঢাকার ৫-৭জন আর চট্টগ্রামের ১০-১৫ জন মিলে প্রায় ২০-২৫ জন লোকের একটা জটলা লেগে যেত। এদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন এয়ারপোর্টের ভিতরে প্রবেশ করতে পারতেন। বিমান আসতে বিলম্ব হলে অনেক সময় হুজুর কেবলা (রহঃ) যোহর/আসর/মাগরিবের নামাজ এয়ারপোর্টের বিপরীত দিকের মসজিদে সবাইকে নিয়ে আদায় করে নিতেন। তারপর খানকায় যাবার পালা।এভাবে ১৯৬৩-৬৪ পর্যন্ত চলে।

• ১৯৬৪ সালে আমার বাবা হাজী সিরাজুল ইসলাম সওদাগর সাহেব, হুজুর কেবলার (রহঃ) আরামদায়ক সফরের কথা চিন্তা করে লন্ডনফেরত নিউমার্কেটের এক দোকানদারের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকায় একখানা গাড়ী খরিদ করেন।গাড়ীর নাম ছিল“সিংগার গ্যাজেল”। আর এর রং ছিল মেরুন। এরপরে দেখাদেখি চিনু মিয়া সাহেব, আশরাফ আলী সাহেব আর ইসলামপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আবদুল হাই সাহেবও গাড়ী কিনেন। ফলে অতঃপর ঢাকায় অবস্থানকালে হুজুর কেবলার (রহঃ) যাতায়াতের আর খুব একটা সমস্যা হয়নি। আমরা দুইভাই কিন্তু সব সময় আব্বার সাথে হুজুর কেবলাকে (রহঃ) আনতে এয়ারপোর্টে যেতাম। এয়ারপোর্টের ভিতরে ঢুকে বিমান অবতরণের জন্য অপেক্ষা করতাম। এয়ারপোর্টের ভিতরে মহিলা ঘোষিকা মাইকে কিছুক্ষন পর পর বিভিন্ন বিমান ল্যান্ড করার ঘোষনা দিতেন। পি আই এর নির্দিষ্ট ফ্লাইটের আগমণ বার্তা ঘোষিত হওয়া মাত্রই আমরা দুই ভাই সোজা দৌড়ে একেবারে বিমানের সিড়ির গোঁড়ায় পৌঁছে যেতাম। বয়সে কচি থাকার কারনে হয়তঃ গার্ডেরা আমাদেরকে কিছু বলত না। ৬৭-৭১ পর্যন্ত মাত্র ১০ টাকা দামের একটা ডায়না ক্যামেরা দিয়ে হুজুর কেবলার অনেক ছবি তুলেছি। আমাদের সাথে আরো দুইজন ছিল। একজন চিনু মিয়া চেয়ারম্যান এর ছেলে মামুন। ও অবশ্য আমাদের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট ছিল। আর চট্টগ্রামের মফজল আহমদও আমাদের পিছনে পিছনে দৌড়াত হুজুরকে মালা দেবার জন্য।



• হুজুর কেবলাকে (রহঃ) স্বাগত জানাবার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আগমনকারী সম্মানিত পীর ভাইদের নাম- হুজুর কেবলা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহঃ) কে এয়ারপোর্টে স্বাগতঃ জানাবার জন্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু সংখ্যক পীর ভাইয়েরা ঢাকায় আসতেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হাজী নূর মুহাম্মদ সওদাগর, হাজী আমিনূর রহমান সওদাগর,হাজী ওয়াজের আলী সওদাগর,হাজী আকরাম আলী খান, হাজী নজির আহমদ সওদাগর,হাজী সিরাজুল হক সওদাগর, মাষ্টার আবদুল কাইয়ুম সাহেব, হাজী জাকের হোসেন কন্ট্রাক্টার প্রমুখ সহ নেতৃস্থানীয় আরো বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হুজুর কেবলার (রহঃ) সাথে ঢাকায় অবস্থান করতেন। বাকীরা এয়ারপোর্টে থেকে কায়েতটুলী খানকায় পৌঁছার পর হুজুর কেবলার (রহঃ) কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফুলবাড়িয়া ষ্টেশন থেকে রেলের টিকেট কেটে চট্টগ্রামে ফিরে যেতেন।

• হুজুর কেবলার (রহঃ) ঢাকায় অবস্থানকাল- দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) মত হুজুর কেবলা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহঃ) এর ঢাকায় অবস্থানও ছিল সংক্ষিপ্ত। চট্টগ্রামে আসা যাওয়ার পথে প্রতিবারে ৪-৫ দিন, আর কখনো বা খুব বেশী হলে সাত-আট দিন। এর কারন চট্টগ্রামের পীর ভাইদের সংখ্যা বরাবরই ঢাকার চেয়ে বেশী ছিল এবং তাঁরা হুজুর কেবলার প্রতি অধিক অনুরক্ত ছিলেন।

• দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) মুরীদানদের মধ্যে ছিলেন হুজুর কেবলার খলিফা আবু বকর সাহেব, ডাঃ সাইদুজ্জামান চৌধুরী, এবি চৌধুরী, ইসলামপুরের দোকানদার হাজী আবুল মোজাফফর (চিটাগাং ক্লথ স্টোর), কাজী হাফেজ আহমদ ও আবদুল আজিম সাহেব। দাদা হুজুর কেবলার আর এক জন মুরীদ পঞ্চাশোর্ধ বয়সী জনাব রদিওল্লাহকে আমি বেশ কয়েকবার ঢাকায় আসতে দেখেছি। তিনি আমাদের বাসায় অবস্থানও করেছেন।

• চেয়ারম্যান চিনু মিয়া সাহেবের বাসায় অবস্থান – পশ্চিম পাকিস্তান থেকে দীর্ঘ ২-৩ ঘন্টার হাওয়াই জাহাজের সফরে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হুজুর কেবলার (রহঃ) আরামের কথা বিবেচনা করে সম্ভবতঃ ১৯৬৭ সাল থেকে হুজুর কেবলাকে (রহঃ) চেয়ারম্যান চিনু মিয়া সাহেবের হুমায়ুন রোডের বাসায় রাখা হত।

• প্রাক স্বাধীনতাকালিন মুরীদানগণ- ঢাকায় অবস্থানরত হুজুর কেবলা তৈয়্যব শাহ্‌ (রহঃ) এর তখনকার মুরিদানদের মধ্যে হাজী সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, চিনু মিয়া চেয়ারম্যান, হাজী আশরাফ আলী সাহেব ছাড়াও আরো ছিলেন হাজি আবদুল হাই ও তাঁর বড় ভাই হাজী আহমদ হোসেন। বনগ্রাম রোডে তাঁদের বাসা ছিল। তাঁদের গ্রামের বাড়ী নরসিংদির নুরালাপুর গ্রামে হুজুর কিবলা (রহঃ) সফরও করেছেন। আর ছিলেন সিবকো বেকারীর মালিক জনাব শাহাবুদ্দিন আহমদ। (বর্তমান বাংলা মোটরের মোড়ে তাঁর বেকারীর দোকান ছিল)।

• এছাড়া কায়েতটুলি খানকার আশেপাশের এলাকার বেশ কয়েক জন লোকও হুজুর কেবলার (রহঃ) কাছে মুরীদ হয়েছিলেন। এদের একজন হলেন হাজী মনসুর আলী ভূইয়া। ৭ নং আবদুল হাদী লেনের নীচ তলায় তাঁর রেস্টুরেন্টের ব্যবসা দোতলায় বাসা ছিল। হাজী বাদশা মিয়া- কায়েতটুলী খানকার কাছাকাছি তাঁর বাসা ও বেকারীর ব্যবসা ছিল। তিনি সব সময় আমাদের সিলসিলার ওরস সমূহ ও মাসিক গেয়ারভী শরীফে রান্না ও বাজার সদাই এর দিকগুলো তদারকি করতেন। এবং পীর ভাইদের কারো বাসায় হুজুর কেবলার দাওয়াত থাকলে সবাই তাঁর সাথে পরমর্শ করতেন। সাপ্তাহিক খতমে গাউসিয়ায় তিনি ভাইদেরকে তাঁর বেকারীরর কেক, প্যাটীস,পেষ্ট্রি বিস্কুট ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। ১১ই রবিউস সানী ১৪১৮ হিজরি, ০৮-০৯-১৯৯৫ রোজ জুমাবার পবিত্র ফাতেহায়ে এয়াজদহম এর দিনে তাঁর ওফাত হয়। আরেকজন ছিলেন আবদুল হাকিম ওরফে দুঃখু মিয়া। তাঁর রিকশার গ্যারেজ ছিল।

• হুজুর কেবলার (রহঃ) বেশ কিছু বিহারী মুরীদান ছিল। তাঁরা মোহাম্মদপুর ও মীরপুর এলাকায় থাকতেন। তাঁদের মধ্যে নিউ মার্কেটের দোকানদার রহমত আলী পেশায় দর্জি ছিলেন। এছাড়া আরো ছিলেন মোলভী জহুর,আলাউদ্দিন, আতিকুর রহমান,সোনা মিয়া, ফুল হাছান কনট্রাকটার বাটা সূ কোম্পানীতে জুতা সাপ্লাই দিতেন। মোহাম্মদপুরে তাঁর বেশ কয়েকটা বাড়ী ছিল।

• “হাজী সাহাব! হাযারাতনে আপকো ঢাকা কা লিয়ে পছন্দ ফরমায়া”- হুজুর কেবলা (রহঃ) তখন বেশীর ভাগ সময় চিটাগাং এ থাকতেন। ঢাকায় ব্যবসার কাজে ব্যস্ততা বেশী থাকায় আমার আব্বা ইচ্ছা থাকা সত্বেও চিটাগাং –এ গিয়ে হুজুর কেবলার (রহঃ) সঙ্গ লাভ থেকে বঞ্চিত থাকতেন। এ বিষয়ে একবার আমার আব্বা হুজুর কেবলার (রহঃ) কাছে মৃদু অনুযোগ করেন। ফলে হুজুর কেবলা (রহঃ) আমার আব্বাকে এ কথা বলে শান্তনা দেন, “হাজী সাহাব! হাযারাতনে আপকো ঢাকা কা লিয়ে পছন্দ ফরমায়া”। হুজুর কেবলার (রহঃ) এ কথার তাৎপর্য ছিল সূদুর প্রসারী। পরবর্তীকালে ঢাকা শহরে হাজী সিরাজুল ইসলাম সওদাগর সাহেবের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সিলসিলার অনেক খেদমত হয়েছিল। এমনকি তাঁর শেষ শয্যাও রচিত হয়েছে ঢাকার কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে। ১৯৮৯ সালের ৩০ জানুয়ারি ভৈরবের মাঝিনা নদীর পাড়স্থ তৈয়্যবিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা দেখতে গিয়ে নরসিংদির কাছাকাছি ভূলতায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর ইন্তেকাল হয়। পরে হুজুর কেবলা (রহঃ) এক চিঠিতে তাঁকে শাহাদাতের শরাব পানকারী হিসেবে উল্লেখ করেন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.