নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুপারনোভা

আহেমদ ইউসুফ

I am a introverts person would like to hide myself.

আহেমদ ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৌলবাদী ও ধর্মান্ধ কি শুধুই গালি?

২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

★★★ মৌলবাদী ও ধর্মান্ধ শব্দদ্বয় সেকুলার ও প্রগতিবাদীদের কাছে ইসলাম ও মুসলমানদের হেয়-প্রতিপন্ন করার এক মোক্ষম অস্ত্র। তারা একে গালি স্বরুপ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু অকাল কুষ্মান্ডরা এর শাব্দিক, আভিধানিক কোন অর্থকেই গ্রহন করে না। বরং মনগড়া এক উদ্ভট অর্থে ব্যবহার করে। যেমন, বামপন্থী কিছু গবেট বুদ্ধিজীবিরা আলেমদেরও গনহারে ধর্মান্ধ বলে গালি দেয়। নিজে ধর্ম না জেনে, না মেনে অন্যকে ধর্মান্ধ বলা কতটা যুক্তিসংগত? প্রশ্ন হতে পারে ধর্মান্ধতা কি? আমার মতে এর দুটো অর্থ হতে পারে। ১। ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা, ২। ধর্মকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা ও অনুসরন করা। মানলাম মুসলমানদের মধ্যে অনেকেরই ইসলামের সঠিক জ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞতা রয়েছে। তবে মজার ব্যপার হল এসব ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞরা কিন্তু সেকুলারদের ধর্মান্ধ গালির লক্ষ্যবস্তু নয়, বরং ধর্মকে যারা হৃদয়ে লালন করেন, চর্চ্চা করেন, জীবনের সর্বক্ষেত্রে ধর্মকে অনুসরন ও অনুকরন করেন তারাই হচ্ছেন লক্ষ্যবস্তু। অপরদিকে আর এক প্রকার ধর্মান্ধ হল যারা ধর্মকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করেন ও মেনে চলেন। মাথামোটা বুদ্ধির ঢেকিগুলা এটা বুঝতেই চান না, ধর্ম বিষয়টা পুরোটাই বিশ্বাসের ব্যাপার। আর বিশ্বাসটা হতে হবে অন্ধভাবেই। চর্মচক্ষে দেখে, যুক্তি তক্কের দাড়িপাল্লায় মেপে বিশ্বাসের কোন ব্যাপার থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না। সুতরাং বিশ্বাসটা হতে হবে না দেখে, না চেখে! ধর্মবিশ্বাসটা হতে হবে এমনই না দেখে, অন্ধভাবে। একটু চিন্তা করলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে পাঠকের কাছে। সুতরাং যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন এবং তদানুযায়ী জীবন পরিচালনা করেন তাদের কে কোন অবস্থায়ই ধর্মান্ধ বলা যুক্তিসংগত হবে না।

★★★ মৌলবাদী আর এক গালিসূচক শব্দ বিশেষ করে নয় বরং পুরোটাই এখন মুসলমানদের হেয় করার এক মোক্ষম অস্ত্র। স্কুলের রসায়নে পড়েছিলাম পৃথিবীতে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ১০৯ টি। আর যৌগিক পদার্থের সংখ্যা হাজার হাজার বা লক্ষের অধিক। সংখ্যার ক্ষেত্রেও একথা সত্য। মৌল বা মূল বিষয়ের সংখ্যা হাতে গোনা। মৌলবাদী হল যারা কোন মৌল বিষয়ের উপর দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকেন, কোন ধর্ম বা মতাদর্শের উপর অটল থাকেন। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ইউরোপে খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ও চার্চের বিভিন্ন নীতির বিরোধীতা করে কিছু প্রগতিশীল ব্যক্তি ও তরুন সম্প্রদায়। ক্রমান্বয়ে এরা দলে ভারী হলে যাজক সম্প্রদায় চাপে পড়ে তারাও জনমত বৃদ্ধির জন্য কৌশল অবলম্বন করে। যাজক রা ধর্মের মূল বানীকে সাধারন মানুষের দোর গোড়ায় পৌছানোর জন্য মৌলবাদ প্রবর্তন করে। যাজকদের সাথে যারা একমত হয়ে মৌলবাদে বিশ্বাস স্থাপন করে তারাই মৌলবাদী হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। এই হল মৌলবাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। এককালে যে মৌলবাদ খ্রিষ্টান ধর্মের মূল অনুসারীদের বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হত, সেই মৌলবাদী শব্দটি আজকাল মুসলমানদের হেয় করার জন্য গালি স্বরুপ ব্যবহৃত হচ্ছে। যাই হোক মৌলবাদী কিন্তু যে কোন ধর্মের হতে পারে। একজন লোক যে কোন ধর্মের মৌল বা মূল বিষয়ের উপর অটল থাকলেই তাকে মৌলবাদী বলা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আমি ইসলাম ধর্মের মূল বিষয়ের উপর বিশ্বাস করি, এর উপর অটল থাকি, সুতরাং মৌলবাদী ও ধর্মান্ধ হতে আমার কোন আপত্তি নেই। আপনার আছে কি???

আহমাদ ইউসুফ
পাবনা সদর, ২৬ মে ২০১৫ খ্রিঃ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: এই পোষ্টের যাবতীয় লেখা অামার একান্তই নিজস্ব মতামত। যে কারো দ্বিমত থাকতেই পারে। গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.