নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুপারনোভা

আহেমদ ইউসুফ

I am a introverts person would like to hide myself.

আহেমদ ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখকের ক্রিয়েটিভিটি ও দুর্জনের হাপিত্যেস!!!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২



*** লেখালেখি করা আমার অভ্যাস। নেশা বললেও বেশি বলা হবে না। অনেকেই সন্দিহান আমি কি করে লিখি! আজব তো! একজন শিল্পীর গান নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে না, আর্টিস্টদের আর্ট নিয়ে কেউ তো প্রশ্ন তোলে না। তাহলে লেখকের লেখা নিয়ে কেন সন্দেহ দানা বাধবে? বিষয়টা খুব পীড়াদায়ক। লেখকদের এসব টিজিং, স্লেজিং সহ্য করার মানসিকতা থাকতেই হয় বোধহয়। যারা এসব প্রশ্ন তোলেন তাদের বুদ্ধির স্থূলতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান আমি। আমার তো মনে হয় ধার করা কিংবা অনুকরন ছাড়া কোন বিদ্যাই বিকাশ লাভ করে না। এই যেমন ধরুন গান শিখতে হলে আপনাকে ভাল ওস্তাদের কাছে গান শিখতে হবে, কিংবা কোন প্রতিষ্ঠিত গায়কের কৌশলগুলো আপনাকে নখদর্পনে নিতে হবে। চিত্রশিল্পীদের তো একই ভাবে শিক্ষক কিংবা সিনিয়র কোন আর্টিস্টের কাছে যেতে হবে। খেলোয়াড়দের কথাই ভাবুন না, ভালো খেলোয়াড়দের খেলা না দেখলে, তাদের কৌশলগুলো না জানলে আপনি ভাল খেলবেন কি করে? তেমনি লেখকের ক্ষেত্রেও ভাল লেখকের লেখা আপনাকে পড়তে হবে। তাদের লেখার স্টাইল, প্রেজেন্টেশন, বিষয় নির্বাচনের কৌশল আপনাকে খেয়াল করতে হবে। এটা কোন অবস্থাতেই নকল করা নয়! একজন লেখক যাই লিখবেন সেটাই তার ক্রিয়েটিভিটি, তার নিজস্ব মেধার প্রকাশ। তবে সরাসরি কপি করে থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।


*** আর বইয়ের সাথে সথ্যতা ছোটবেলা থেকেই। স্কুলের পড়ার ফাকে, এমনকি ক্লাস রুমেও গল্প বা উপন্যাসের বই পড়তাম। পরীক্ষার রাতেও অপঠিত উপন্যাসের স্বাদ নিতে ভুলতাম না। আপাদের টেবিল থেকে বই চুরি করে রাত জেগে পড়ে আবার সাত সকালে উঠে বই নিয়ে বসে পড়তাম। যেকোন ধরনের বই আমি পড়ি। গল্প উপন্যাস ও কবিতার বই থেকে শুরু করে ভ্রমনকাহিনী, বিজ্ঞান-সাহিত্য ও দর্শণের বইও বাদ দিতে চাই না। আর নবী-রাসুলদের কাহিনীতো সেই প্রাইমারীতে পড়া অবস্থায় মুখস্থ। খুলনা পাবলিক কলেজে পড়ার সময় মেসের বড় ভাই লিটন কুমার দাসের কাছ থেকে ধার করা চন্ডীদাসের কাব্য পর্যন্ত ছিল আমার বিচরণ।


*** আমার মনে হয় পড়ার নেশাটা অনেকটাই বংশগত ব্যাপার হতে পারে। আমার মেঝো ও সেজো কাকা প্রচুর পড়াশুনা করতেন। ঐতিহাসিক কাব্য ও সমকালীন কবিতা পাঠে মেঝো চাচার খুব ঝোক ছিল বলে জেনেছি। সেজো চাচা তো এখনও ডিটেকটিভ উপন্যাস, ভ্রমন কাহিনীতে বুদ হয়ে থাকেন। পত্রিকার পাতা একটা পেলেই হলো, নতুন পুরাতন বাছ-বিচার নাই, পড়া চাই ই চাই। রাস্তাঘাটে জার্নিতে আমি খুব একটা পত্রিকা কিনি না, তবু বাড়ি যাওয়ার সময় সেজো চাচার কথা ভেবে একটা পত্রিকা অবশ্যই কিনে নিয়ে যাই।

পাবনা, 12-02-2016 ইং।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

এস এম শিবলী ওয়ার্সী বলেছেন: ভালো বলেছেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২

মহা সমন্বয় বলেছেন: কথায় বলে না- এক বই নিয়ে লিখলে হয় নকল, আর অনকগুলো বই থেকে নিয়ে লিখলে হয় গবেষণা।
আর এটাই হচ্ছে দুনিয়া।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: নকল করাটাকে আমি খুব একটা দোষারোপ করতে চাই না। নকলের আর এক নাম গবেষনা। তো দেখতেই পাচ্ছি আজ নকল/গবেষণার জয়জয়কার। আর হ্যা নকলের জন্যও মেধার প্রয়োজন আছে বৈকি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার সাথে আমার ভালই মিল আছে দেখছি। বইয়ের দিকে মারাত্মক ঝোঁক ছিল এবং এখনো যে নেই, তা নয়। বই ছিল অন্যতম সেরা বন্ধু, আছে ও থাকবে।

(ভাললাগা ও ৫) :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: বইয়ের প্রতি ভালোবাসা আমাদের অনেকেরই আছে। আমি আপনি আলাদা তো নই, সামুর খদ্দের যে ভাই।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: লেখা পড়ে ভালো লাগলো। বসন্তের শুভেচ্ছা নিবেন। :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.