নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুপারনোভা

আহেমদ ইউসুফ

I am a introverts person would like to hide myself.

আহেমদ ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“একটি সহি সাইকেল নামা” (কিছুটা স্মৃতিচারনা আর বাকিটা আক্ষেপ)

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৭


*** সাইকেল নিয়ে ছোটবেলায় বেশ ফ্যান্টাসীতে ভুগতাম আমরা দুই ভাই। আমাদের বাড়ীতে আগত ফুফাতো, মামাতো ও খালাতো ভাইদের সাথে প্রায়শই বাই-সাইকেল থাকত। কখন সা্ইকেলের চাবি পাব আর সাইকেল চালাব এই চিন্তায় পেরেশান হতাম আমরা। নাবিস্কো চকলেট কিংবা সল্টটেস্ট বিস্কুট কোন কিছুই সাইকেল চালানোর ইচ্ছাকে নিবৃত্ত করতে পারত না। তবে আমরা ছোট বলে সাইকেলের চাবী দেওয়া তো দুরের কথা, সাইকেল ধরে দেখাও বারন ছিল।
*** তবে এ সময় কাজিনরা প্রায়শই আমাকে নিয়ে সাইকেলে ঘুরতেন। বিশেষ করে কেরামত ভাই, রুস্তুম ভাই, নেয়ামত বেয়াই ও দেলোয়ার মামা আমাকে খুবই স্নেহ করতেন।তখন এতটাই ছোট ছিলাম এবং সাইকেলে উঠায় এতটাই উৎফুল্ল থাকতাম যে মাঝে মাঝে বেখেয়ালে আমার পা চাকার ভিতরে চলে যেত। এরকম কয়েক বারই হয়েছে চাকার স্পোকে ঘষা খেয়ে পায়ের ছাল উঠে গিয়েছিল যার স্বাক্ষী আজও বহন করে চলছি।
*** ক্লাস থ্রিতে ওঠার পর একটু প্রমোশন হল, এখন সাইকেল ধরে দেখা যাবে, ইচ্ছা করলে ঠেলা যাবে, তবে কিছুতেই ফেলে দেওয়া যাবে না এই সতর্ক বানী মাথায় নিয়েই বড়দের সাইকেল ঠেলা শুরু করলাম। বড় ভাই ততদিনে স্থানীয় ফুফাতো ভাইয়ের গ্যারেজ থেকে সাইকেল ভাড়ায় নিয়ে চালানো শিখে ফেলেছে।
*** আমি তখনও সাইকেল ঠেলে যাচ্ছি। বড়দের সাইকেল কি করব? ঠেলেই যেটুকু শান্তি। যাক এ অবস্থার পরিবর্তন হল ভাইয়ার সহযোগীতায় সাইকেলের ভিতর দিয়ে পা ঢুকিয়ে দিয়ে বাম হাতে হ্যান্ডেল ধরে সাইকেল চালানো শিখে ফেললাম। আমাকে আর পায় কে? এভাবে চলল কিছুদিন। পরবর্তীতে ফুফাতো ভাইয়ের গ্যারেজ থেকে ঘন্টা হিসেবে সাইকেল ভাড়া নিয়ে চালাতাম। ফাইভে পড়তে পড়তেই ছোট বড়, মাঝারী সব সাইকেল চালানো শিখে ফেললাম। তবে এখনকার বাচ্চারা পারিবারিক আনুকুল্যে আরো আগেই সাইকেল চালানো শেখে।
*** আমার ছেলেও মনে হয় সাইকেল প্রীতি উত্তারাধীকার সূত্রে পেয়েছে। সাইকেল দেখলেই হয় আর মোটর সাইকেলের শব্দ শুনলেই হয়, ওঠার জন্য উথাল পাথাল শুরু হয়ে যায় তার।
*** সত্যি বলতে কি, পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনেই নিজের জন্য সাইকেল কেনা হয় নি। ভালো রেজাল্টের পুরষ্কার স্বরুপ ভাতৃস্থানীয় দুইজন সাইকেল গিফট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর আমার সাইকেল পাওয়া হয় নি।
27-06-17, পাবনা।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৬

রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: ভালো লাগলো গোলপোটি

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৮

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: গল্প না ভাই। ব্যক্তিগত স্মৃতিচারনা।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৭

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: আহ সাইকেল! বাড়ীতে কেউ সাইকেল নিয়ে আসলেই আমি দৌড়ায়া ঐটার কাছে চইলা যাইতাম। অবশ্য প্রায় সময়ই কিছুক্ষণ পর আমার চিল্লানী শুইনা সবাই আইসা দেখত আমি সাইকেল এর নিচে চিৎপটাং হয়া পইড়া আছি :P

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: নব্বই সালের আগেকার সকল বালকের ঘটনা প্রায় একই। তবে এখনকার বালকদিগের কথা কিন্তু আলাদা। তাহারা সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম নিয়েছেন।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫২

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: সেইই একটা মুহূর্ত।সাইকেল নিয়ে আসলে মোটামুটি প্রত্যেক ছেলেরই ফ্যান্টাসী থাকে।আপনার স্মৃতিচারণা ভালো লাগলো। :)

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১০

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৬

সুমন কর বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণা পড়ে ভালো লাগল। কেমন আছেন?

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১০

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একটি বাই সাইকেল না পাওয়ার দুঃখ আমারও ছিল।
আপনার স্মৃতিচারন পড়তে গিয়ে আমারও পেছনের অনেক কথা মনে পড়ে গেল।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।জীবনে আক্ষেপ না থাকলে আসলে আমাদের জীবনটা এতটা উপভোগ্য হত না।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: ভালো লাগল স্মৃতিচারণ পড়ে। আমিও সেই ছোটবেলায় অনেকবার পড়ে ছাল চামড়া ছিলে সাইকেল চালানো শিখেছিলাম :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.