নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারলে করো, করে দেখাও

তুমি সুবিধার জন্য ব্যালেন্স করে চলতে পছন্দ করো, তাই নীতির সাথে আপোষ করতে তোমার আর বাধে না। আমি পারি না বলে আমার কাছের মানুষগুলো ও অনেক সময় পর হয়ে যায়। নেহায়েৎ আপন স্বার্থে তুমি তোমার উপকারীর শত্রুর সাথে সখ্যতা রেখে চলো, পাছে ভুলে যেতে থাকো তোমার উপকা

শেখ মেহেদী মির্জা

পারলে করো, করে দেখাও

শেখ মেহেদী মির্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারপতি অপসারণ-সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিহিত কী?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

সম্প্রতি সরকার উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের আইন সংশোধন করে তার ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে এনেছেন। এ ব্যাপারে মাননীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন, সম্ভবত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে অভিযুক্ত বিচারকের অপরাধ তদন্ত করার জন্য। এই তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই সংসদে ভোটাভুটি হবে। যদি দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদ মনে করেন সে অপরাধী, তাহলেই কেবল অভিযুক্ত বিচারক অপসারিত হবে।



আমরা এ ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাই কেননা রাষ্ট্রের প্রত্যেক সেবাদানকারীকেই জনগনের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে। কিন্তু উদ্বেগটা অন্য জায়গায়, সেটা হলো আমাদের সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ।



৭০ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, “কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-



(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা

(খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,



তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।]”



এই অনুচ্ছেদের ফলে কোন সাংসদ যদি মনে করে যে অভিযুক্ত বিচারক নির্দোষ, তবুও সে তার দলের স্বিদ্বান্তের বাইরে এসে তাঁর ব্যাক্তিগত মত প্রকাশ করতে পারবে না। এর ফলে বিচারপতি অপসারণের এই নতুন আইন নিয়ে একটা বড় রকমের প্রশ্ন থেকেই গেলো।



সুতরাং, এই ব্যবস্থা সত্যিকারভাবে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার জন্য আনীত সংশোধনীতে একটা লাইন “ এই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংসদে ভোটাধিকার প্রয়োগের সময় এই সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ এখানে অকার্যকর থাকবে।’’



আশা করি, সংশ্লিষ্ট সবাই এ ব্যাপারে সচেষ্ট হবেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তাড়াহুড়ায় অনেক ভুল এখনো ঢাকতে পারেনি সরকার।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: শুধু বিচারপতিদের অপসারণ নয় বাংলাদেশের সংবিধানের জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ সর্বদাই একটি বিব্রতকর ব্যপার। যেহেতু এতে সামষ্ঠিক স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যক্তি নিরুপায়। তবে এই অনুচ্ছেদের পেছনে ১৯৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতিবিদদের ক্রমাগত ডিগবাজি দেয়ার ব্যপারটি রয়েছে।


সামষ্ঠিক স্বার্থ বিবেচনাও কাম্য।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

শেখ মেহেদী মির্জা বলেছেন: ৭০ অনুচ্ছেদ না থাকলে যে কোন সময় সরকার ভেঙ্গে যেতে পারে যদি দলের অনেক লোক বিরোধী দলে যোগ দেয় কিন্তু এটার কার্যকরীতা কিছু কিছু ব্যাপারে শিথিল করা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.