নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষক এবং শিক্ষকতা

১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৪


যিনি শিক্ষাদান করেন তিনিই হলেন শিক্ষক আর শিক্ষাদান করাটাই হলো শিক্ষকতা। জাতির ভবিষ্যৎ নাগরিকদের শিক্ষার ভার শিক্ষকদের ওপরই অর্পিত থাকে। একটি সমাজ বা জাতি কতটা সভ্য হবে সেটা নির্ধারিত হয় সুশিক্ষার মাধ্যমে। সুশিক্ষা দেবার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষক। তাই শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড না হয়ে সুশিক্ষকই জাতির মেরুদণ্ড হওয়া উচিত।

আপনি যদি কোন ছাত্র/ছাত্রীকে প্রশ্ন করেন যে, তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও? উত্তর পাবেন আমি বড় হয়ে ডাক্তার হবো বা ইঞ্জিনিয়ার হবো ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু কখনো কি শুনেছেন যে আমি বড় হয়ে শিক্ষক হবো? কারণ ওরা সমাজের অসংগতিগুলো দেখছে, শিক্ষকদের দুরবস্থাগুলো দেখছে। শিক্ষক যদি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয় এর চেয়ে জাতির দূর্ভাগ্য আর কি হতে পারে। আজ আমাদের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর কাজে আমরা কি আশা করতে পারি?

সমাজে যাদের অবদান বেশি অর্থাৎ যাদের কাজ সমাজে সবচেয়ে বেশি মূল্য যোগ করে তাঁরা হলেন কৃষক। কৃষকের অবদান সমাজে সরাসরি যোগ হয় অর্থাৎ ইহা দৃশ্যমান অপর পক্ষে শিক্ষকদের অবদান কৃষকের পরেই; শিক্ষকের অবদান দৃশ্যমান নয় কিন্তু তাদের অবদানের মূল্য যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদী।

স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে শিক্ষক কারা হবেন? যিনি বেশি জানেন তিনিই শিক্ষক হবেন। শিক্ষকের জ্ঞান ছাত্রদের থেকে বেশি হলে তবেই জ্ঞানের প্রবাহ সম্ভব। বাস্তবতা হচ্ছে ভিন্ন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের শিক্ষা দেবার মতো যোগত্যা নেই কারণ মেধাবীরা এই পেশায় আসছেনা দূর্গতির কারণে। অথচ উন্নত বিশ্বে সবচেয়ে মেধাবীর আসছে শিক্ষকতায়; সেখানে শিক্ষকদের মূল্যায়ন আছে, সম্মান আছে সর্বোপরি সমাজে সচ্ছলভাবে বেঁচে থাকার মতো ভাতা আছে পক্ষান্তরে আমাদের দেশে অযোগ্যরা শিক্ষকতায় আসছেন নেই তাদের মূল্যায়ন, নেই সম্মান এবং না আছে সমাজে ভালোভাবে বেঁচে থাকার মতো ভাতা।

ঢাকার একটি স্বনামধন্য স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন একজন নির্বাচিত এমপি তিনি তার নিজের লোক, দলীয় লোক এবং পয়সার বিনিময়ে অনেক লোক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ফলে স্কুলটির শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পরেছে। নেই কোন পড়াশুনা বা নেই কোন ভালো শিক্ষক; তাহলে কিভাবে গড়ে উঠবে একটি সভ্য সমাজ বা সভ্য জাতি? :(



ছবি ; অর্ন্তজাল।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একদিন সব কিছুই নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে। শিক্ষকতাও :((
(হুমায়ুন আজাদ এর উক্তি)

১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

২| ১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



সেদিন কোন একটা দেশের কথা শুনলাম যেখানে সবচেয়ে মেধাবীদেরকে শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মেধাবীদের সেরা যারা হন তারা চান্স পান শিশুদের পড়ানোর। দ্বিতীয় ধাপের মেধাবীরা পড়ান স্কুলের উপরের দিকে। তৃতীয় ধাপের মেধাবীরা পড়ানোর সুযোগ পান ইউনিভাসিটিতে।
আর আমদের দেশের মেধাবীরা এর ধারে কাছেও যাবে না।

১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তাহলে আমাদের এই সমাজ ও জাতি কিভাবে সভ্যতার শিখড়ে পৌঁছবে?

৩| ১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি কোন সালের দিকে পড়ালেখা শেষ করেছেন বা করবেন?

১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমি ১৯৮৮ সালে আমার লেখাপড়া শেষ করেছি।

৪| ১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ছেলেবেলায় সংস্কৃত ভাষায় একটি প্রবাদ পড়েছি-“ছাত্রনং অধ্যায়ণ তপঃ”-অর্থাত, অধ্যয়ন ও জ্ঞানার্জনই ছাত্রদের একমাত্র তপস্যা। আজ সে ধ্যান-ধারণার আমূল পরিবর্তন হয়েছে বলা যায়। এক শ্রেনীর ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী ছাত্র নামধারী ক্যাডারদের জন্য ছাত্রদের জ্ঞানার্জন গোল্লায় যেতে বসেছে। লেজুড়বৃত্তি সর্বস্ব ছাত্র রাজনীতির কর্মীদের কাছে “অধ্যয়ন” নামক শব্দটির অবস্থা আজ ত্রাহি মধুসূদন। পবিত্রতার সঙ্গে অতুলনীয় এবং মানব সম্পদ সৃষ্টির উতপত্তিস্থল হিসেবে পরিগণিত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ দূরাচার এবং অপরিপক্ক রাজনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে-বিষয়টি সচেতন মহলের কাছে যথেষ্ট পীড়াদায়ক। ক্ষমতালোভী ও কালিমালিপ্ত রাজনীতির ব্যবসায়ীরা নিজেদের আখের গোছাতে দুর্বার প্রাণশক্তির অধিকারী ছাত্রদের কুতসিত ভাবে ব্যবহার করছেন। রাজনীতি ও ছাত্র আন্দোলনের নামে কোন কোন ক্ষেত্রে দেশের ভবিষ্যত ছাত্রসমাজকে বেপথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাস ও ততসংলগ্ন এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া, ভাঙচুর, মারামারি এবং খুনোখুনির ঘটনা অহরহ ঘটছে। এমনটি দেশের ছাত্রসমাজের কাছ থেকে সাধারণ জনগণ মোটেই আশা করেন না।

বর্তমানে অনেকেই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে নিতান্তই অন্য কোথাও চাকরি পায়না বলেই।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৪৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছাত্ররা পড়াশুনার চেয়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররানীতিতে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছে; কারণ পাতি নেতা হতে পারলেই টাকা ক্ষমতা সবই হাতরে মুঠোয়।

৫| ১৫ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আমার প্রিয় শিক্ষক "নামের সব প্যারাগ্রাফ, রচনা,প্রবন্ধ,কলাম বোধহয় উঠেই গেলো একেবারে।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৪৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: প্রিয় শিক্ষক থাকলে তবেই তো রচনা প্রবন্ধ লিখবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

সিয়াম হোসেন মোল্লা বলেছেন: শিক্ষকতার মত একটি পেশা মানুষ নিজের সর্বশেষ পছন্দ হিসেবে রাখে। ভালো কোনো স্টুডেন্টকে জিজ্ঞেস করি ভবিষ্যতে কোন পেশা তোমার পছন্দের, কেউ বলে ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার।আবার কারো পড়ালেখার একমাত্র উদ্দেশ্য পাবলিকে চান্স পাওয়া। খুব কম লোক মন থেকে শেখানোর উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষকতা পেশা বেছে নেয়।এই বেছে নেয়া লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৫১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শিক্ষকতাকে পেশা হিবেবে বেছে নেয়া গুটি কয়েক মেধাবীরা এখন সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারছেনা।

৭| ১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ মশিউর রহমান,




যে জাতির সামনে কোনও "ভিশন" নেই সেখানে সুশিক্ষা তো দুর, শিক্ষারও কোনও জায়গা নেই!
সহব্লগার জুল ভার্ন এর মন্তব্যের সাথে সহমত। তার এই কথাটিই চরম সত্য ---
বর্তমানে অনেকেই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে নিতান্তই অন্য কোথাও চাকরি পায়না বলেই।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৫৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অবস্থাটা এখন এই পর্যায়ে রয়েছে কোন উপায় যখন আর থাকেনা তখন শিক্ষকতায় আসছে তবে ধীরে ধীরে হয়তো এর পরিবর্তন ঘটছে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: সৈয়দ মশিউর রহমান সাহেব, আমার মন্তব্যটাকে আপনি খুব তাচ্ছিল্য করলেন! ৫ জানুয়ারী ২০১১ সনে এই ব্লগেই লিখেছিলাম, সেই পোস্ট থেকে একটা অংশ তুলে দিয়েছিলাম....

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৫৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভাইজান, আমি আপনাকে অনেক সম্মান করি কিন্তু আমি তো বুঝতেই পারছিনা কোথায় কেমন করে আপনাকে আমি তাচ্ছিল্য করলাম? বিষয়টা একটু পরিস্কার করবেন?

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আসলে আমি বুঝতে পারছিনা। বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করবেন?

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভাই আপনি কি আমার উপর রেগে আছেন?

৯| ১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নষ্টদের হাতে যেতে এখনো ক বাকী আছে?

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:০০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কিছুই বাকী নেই; সবই ওদের হাতে।

১০| ১৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছা ছিলো।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:০২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখনো সে ইচ্ছা আপনি পূরণ করতে পারেন।

১১| ১৬ ই জুন, ২০২২ ভোর ৬:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শিক্ষকতা পেশাটার ওপর থেকে শ্রদ্ধা উঠে গিয়েছিল আমার কিছু শিক্ষকের ছোটোলোকি আচরণের কারণে। শুধুমাত্র প্রাইভেট না পড়ার কারণে নাম্বার কম দিত, নিজেদের তারা বিরাট কিছু মনে করত।
শিক্ষকতা একসময় পছন্দ না করলেও এখনও প্রাইভেট-টিউশনি-কোচিং করাতে হয়। মোটামুটি ভালোই লাগে। ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়াতে পারলে ভালো হতো।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:০৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কিছু শিক্ষক আছেন এরকমই; এদের জন্য শিক্ষকরা সমাজে ছাত্রদেরকাছে ছোট হচ্ছে। শিক্ষকতাতে অনেক আনন্দ আছে যদি ভালো শিক্ষক হওয়া যায়। আমার বিশ্বাস আপনি শিক্ষক হিসেবে খুবই ভালো হবেন এবং ভালো করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা।

১২| ১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শিক্ষকতা একটি চমৎকার পেশা যদি এটাকে শুধুমাত্র পেশা হিসেবে না নিয়ে সেবা হিসেবেও দেখতে হবে।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শিক্ষকেরা শিক্ষকতাকে ব্যবসা মনে করছেন।

১৩| ১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৬

অরণি বলেছেন: আমার শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে শিক্ষকদের খুবই দূর্দশা সেই সংগে যোগ শিক্ষক নেই।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইচ্ছা করলে এখনো শিক্ষকতা করতে পারেন।

১৪| ১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ঢেলে না সাজালে ভবিষ্যত আরো খারাপ হবে।

১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ১০০% সত্য কথা বলেছেন।

১৫| ১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২২

রবিন.হুড বলেছেন: সুশিক্ষা বিতরনের মাধ্যমে সুশিক্ষিত ও শক্তিশালী জাতি গঠনে নিষ্ঠাবান ও স্বশিক্ষিত শিক্ষকের কোন বিকল্প নেই। তাই আমি শিক্ষকদের সুশিক্ষিত করার প্রয়াসে সামান্য কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার মহামূল্যবান উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৩

রবিন.হুড বলেছেন: শিক্ষক হচ্ছেন জাতি গঠনের মহান কারিগর

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এবং শিক্ষক হচ্ছেন জাতি গঠনের মহান কারিগর। আবার সম্রাট নেপোলিয়ান বলেছেন " আমাকে একজন শিক্ষিত মা দেও আমি একটা শিক্ষিত জাতি দেব"। শিক্ষক আছেন, শিক্ষিত মা আছেন, আধুনিক শিক্ষা সামগ্রীর নেই কোন ঘাটতি কিন্তু নেপোলিওনের কাঙ্খিত সেই শিক্ষিত জাতি কোথায়, জাতির মেরুদণ্ড তো মাথা উঁচু করে দাড়ানোর মতো শক্ত হতে পারে নাই।শিক্ষা নেই তো শিক্ষা গুরুর মর্যাদাও নেই। শিক্ষকগণ তাঁদের কোটি টাকার মর্যাদা বিক্রি করেছেন হাজার টাকায়। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা না দিয়ে শর্ট সাজেশন ও মুখস্থ করে পাস করে দ্রুত সনদ পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। আবার কিছু শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে আগ্রহী না হয়ে ব্যক্তিগতভাবে বা কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে অশিক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে মেধা ধ্বংস করে ফেলছেন। সত্যি কথা বলতে আমাদের দেশে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই আছে শুধু সার্টিফিকেট তৈরির কারখানা। এর মধ্যে যে সকল মেধার বিকাশ ঘটছে তা তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টার ফল। সুশিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা বা মানবিক শিক্ষার এই অভাব এখন প্রকট আকার ধারণ করছে। এর জন্য শিক্ষা পদ্ধতি অনেকাংশে দায়ী। পাঠ্যপুস্তক বা সহশিক্ষায় অনেক কিছু আছে শেখার মতো বা জানার মতো। কিন্তু বইয়ের জ্ঞান বইয়ে রয়ে যায়। ভাবসম্প্রসারণ পড়ে মুখস্থ করে পরীক্ষায় খাতায় লিখে ভালো নম্বর পেয়েছি কিন্তু জীবন খাতায় শুন্য। যেমন " গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন"। অথবা আমরা এক কান দিয়ে শুনি আর অন্য কান দিয়ে বের করে দেই। আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি বানরের মালা গাথার মতো। সুতার নিচে গিড়া না দিয়ে ফুল গেথে যাচ্ছি কিন্তু মালা সম্পূর্ণ হচ্ছে না। আমারা প্রথম শ্রেণীতে যা শিখি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠে মনে রাখি না। দশম শ্রেণী পর্যন্ত অর্জিত শিক্ষা যদি কেউ ধরে রাখে তবে তাকে উচ্চ মাধ্যমিক বা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে কোন বেগ পেতে হবে না। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত দরখাস্ত লেখা শেখানো হয় তারপরও নিজের জীবনে প্রয়োজনীয় দরখাস্ত লিখতে অন্যের সহযোগিতা নিতে হয়। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষা। সমগ্র শিক্ষা জীবনে "আমার জীবনে লক্ষ্য (Aim in Lifein Life)" রচনা/প্রবন্ধ(Essay) লেখার চর্চা করে শিক্ষা জীবন শেষ করেও জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারি না।
আবার আমাদের শিকার অন্যতম ত্রুটি হচ্ছে অন্ধের হাতি দেখার মতো কোন বিষয় সম্পর্কে আংশিক জ্ঞান লাভ করে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানের অধিকারী মনে করে হাতিকে থাম বা কুলার মতো মনে হয়। এই গল্প আমরা সবাই জানি কিন্তু মানি না বা এখান থেকে কোন শিক্ষা নেই নি। আমরা প্রতিটি বিষয়ে আংশিক জেনে পূর্ণাঙ্গ জানার ভাণ করি(সজ্ঞানে/অজ্ঞানে) এবং ভুল কাজ করি, ভুল কথা বলি এবং ভুল সিদ্ধান্ত নেই। একজন ঘুসখোর যদি ঘুস খাওয়ার পরিণতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানত সে কখনও ঘুস খেত না। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি খুবই প্রচলিত কথা। এখানে চোরকে যদি ধর্মীও বিধি নিষেধের সাথে সামাজিক, পারিবারিক,মানষিক, শারিরীক এবং আইনগত দিক থেকে তার ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক এবং সম্পূর্ণ ধারণা (শিক্ষা/মটিভেট) দেওয়া যায় না খেয়ে মরে গেলেও চুরি করবে না।
আল্লাহ্ আমাদের সঠিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিন। আমিন।

১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যেমন ভালো শিক্ষকের অভাব তেমনী ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশুনার প্রতি প্রচন্ড অমনোযোগী হওয়ার কারনে আমরা একটি ভালো জাতি বা সমাজ গঠেনে প্রতিদিনই পিছিয়ে পড়ছি। চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৬ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনাকে ধন্যবাদ আপনি আমার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।

১৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উত্তর দেবনা কেন? আপনার সংগে তো আমার কোন শত্রুতা নেই যা কথা হয় তা ব্লগেই সীমাবদ্ধ, তাই নয় কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.