নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
পরিচিতি :
ঝিঙে , ঝিঙ্গা, ঝিঙ্গে এর ইংরেজি নাম Luffa এবং বৈজ্ঞানিক নাম Luffa luffinea যা Cucurbitaceae পরিবারভুক্ত একটি সবজি। ইহা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতাজাতীয় বর্ষজীবী উদ্ভিদ। ঝিঙে গাছের মসৃণ গাঁট থেকে নতুন কান্ড বের হয় ও পরিনত সময়ে ফুল ও ফল হয়। ঝিঙে দেখতে আকর্ষণীয় গাঢ় সবুজ রংয়ের ফল। ইহা লম্বা গড়ে ২৭ সেমি ও ওজন গড়ে ১২৫ গ্রাম এবং গাছ ৬ ফুট থেকে ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। ইহা সাধারণত বেড়ায়, মাচায় ও অন্য গাছকে আশ্রয় করে প্রসারিত হয়ে থাকে। এর ফুল হলুদ রঙের হয়ে থাকে। সন্ধ্যার আগে ফুল ফোটে। সবুজ রঙের সবজি বোঁটার দিক থেকে চিকন হয়ে আস্তে আস্তে মোটা হতে থাকে এবং সবজিটি দেখতে শিরসম্পন্ন। সবজির ভিতরে প্রকোষ্ঠগুলি দেখতে যেন জাল বুনে তৈরী, সেটা দেখা যায় ফল পাকলে। প্রকোষ্ঠের মধ্যে অনেকগুলি বীজ থাকে। এগুলি দেখতে অনেকটা ডিম্বাকৃতি ও চেপ্টা। ঝিঙে চাষের উপযুক্ত সময় হলো ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস এবং সংগ্রহের সময় হলো জুন হতে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত, এই সময় ঝিঙ্গার বাজার দর ও চাহিদা অনেক বেশি।এই সবজি চীন ও ভিয়েতনামে প্রচুর জন্মে তবে কমবেশি সবস্থানেই পাওয়া যায়।
ঝিঙের পুষ্টি উপাদানসমূহ :
ঝিঙে সারা বিশ্বে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে স্বীকৃত। এতে খাদ্য-আঁশ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, রিবোফ্ল্যাভিন, জিঙ্ক, লোহা, থায়ামিন ও ম্যাগনেশিয়াম, ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ঝিঙেতে রয়েছে ৯৩ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২.৬ গ্রাম আঁশ, ৩০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ৪.৩ গ্রাম শর্করা, ১৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬.৭ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ ও ৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
সুস্বাস্থ্য গঠনে পুষ্টি উপাদানসমূহের অবদান :
ওজন নিয়ন্ত্রণের মহৌষধ: ঝিঙে খুবই কম ক্যালরি বা খাদ্যশক্তির একটি সবজি। এতে চর্বি নেই। এর আঁশ কোলেস্টেরল কমায়। এ ছাড়া এতে প্রচুর পানিও রয়েছে। তাই ঝিঙে খেলে বারবার খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছে কমে যায়। ফলে একে ওজন কমানোর মহৌষধ বলা চলে। রক্ত শোধক: রক্তকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে ঝিঙে অতুলনীয়। যকৃতের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি। পাশাপাশি এটি অ্যালকোহলের ক্ষতিকর প্রভাবও দূর করে। জন্ডিস নিরাময়কারী: জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঝিঙে আদর্শ পথ্য। ঝিঙের ‘জুস’ পান করলে যকৃতের কর্মক্ষমতা বাড়ে। পাকস্থলী ভালো রাখে: এতে প্রচুর আঁশ থাকায় এটি পেট পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পাইলস রোগ দূরে রাখে। অ্যাসিডিটি ও আলসারও নিরাময় করে এটি। নিয়মিত ঝিঙে খেলে পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ে, খাবারও হজম হয়। ডায়াবেটিসে উপকারী: ঝিঙেতে বিদ্যমান পেপটাইড এনজাইম রক্তের চিনির পরিমাণ কমায়। রক্তের ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ঝিঙে খুবই উপকারী। প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক: প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিবায়োটিকের চমৎকার গুণ রয়েছে এই সবজিতে। শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয় এটি। ত্বকেরও সুরক্ষা দেয়। এটি বিভিন্ন রোগজীবাণু, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সূত্র
ঝিঙের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
ঝিঙের এর ক্ষতির চেয়ে দেহে আরও বেশি উপকারী এবং এটিকে সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি গর্ভাবস্থায় নিরাপদ বলে বিবেচিত হয় না।
ছবি : অন্তর্জাল।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমারো পছন্দের সবজি।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পুষ্টিগুণের হিসাব ছাড়াই এটি আমার ও বড় মেয়ের পছন্দের সবজিগুলির একটি।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: খাইতে দারুণ, বড় মা পছন্দ না করে যায় কোথায়?
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই ভেজ টি সবার পছন্দ।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আসলেই পছন্দ করার মতো একটি সবজি।
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঝিঙে ভাজি খুব মজা লাগে। ঝিঙের তুলনায় ধুন্দুল ভাজি আবার অত মজার না। বাসায় আগে ঝিঙে গাছ লাগানো হতো, তাতে ফুলও দেখেছি, কিন্তু ফুলের কোনো রূপ আমার চোখে ধরা পড়ে নাই, অথচ দুখু মামা কী মনে করে ঝিঙে ফুল নামক একটা কঠিন কবিতা লিখেছিলেন, আমি জানি না। ক্লাস ফোর বা ফাইভে ছিল এটা। অনেক কঠিন লাগতো কবিতাটা
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঝিঙে অনেকেই পছন্দ করে এবং ইহা ডায়াবেটিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সবজি, খাইতেও মজা। ব্লগার শাহ আজিজ গুরুত্বের সংগে একটি মন্তব্য করেছেন।
দুখু মামার কবিতা ঠিক মনে করতে পারছিনা।
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: বেশ ছোটবেলা থেকেই ঝিঙ্গা আমাদের প্রিয় । বাবার ডায়াবেটিক ধরা পড়লে রাতে রুটির সাথে ঝিঙ্গের ঝোল তরকারি দিয়ে খেতেন । কোন রকম প্ররোচনা ছাড়াই ঝিঙ্গে আমার প্রিয় হয়ে উঠল । এখনো মাঝে মধ্যেই রাতে ঝিঙ্গের ছালন আর রুটি খাই । খুবই উপাদেয় খাবার ।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যে অনেকেরই হয়তো কাজে লাগবে।
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮
ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
ঝিঙে আমার কাছে এক ক্যাঁচালময় সব্জির নাম
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মনে হয় আপনি সবজির চেয়ে মাংস বেশি পছন্দ করেন।
৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: ঝিঙে কেবল চিংড়ি মাছ দিয়ে পছন্দ আমার । অন্য কোন কিছুর সাথেই এটা খাওয়া হয় না !
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঝিঙে চিংড়ি অসাধারণ সমন্বয় যা খাইতে দারুণ।
৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৫
বিটপি বলেছেন: ঝিংগা খেতে সুস্বাদু। কিন্তু ছিলতে গেলে অর্ধেকই বাদ যায়। কি করা যায়, বলুন তো!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছিলতে গেলে অর্ধেকই বাদ যায় এর তো কোন সমাধান পাচ্ছিনা তবে একটা কাজ করা যেতে পারে তা হলো ছাল সহ রান্না করা।
৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ঝিংগা আর ধুন্দল ভালো লাগে
এগুলো মিষ্টি তরকারী
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হ্যাঁ এগুলো খাইতে একটু মিষ্টি মিষ্টি লাগে।
১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সবজির মাঝে যে কয়টা খুব প্রিয় তার মাঝে ঝিংগা একটি ।
ছোট ছোট চিংড়ি দিয়ে পাক করলে ,আহা বড়ই মজা।
তবে ঝিংগার সমস্যা একটাই - যতটুকু আমাদের কাজে আসে তার থেকে অনেক বেশী ফেলে দিতে হয়।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শুটকি দিয়ে ঝিঙে বেশ ভালো লাগে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কি মাছের শুটকি?
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
সোনালি কাবিন বলেছেন: আমার অন্যতম প্রিয় । তবে এত পুস্টিগুণ জানা ছিল না ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মিরোরডডল বলেছেন:
বাংলাদেশে যেটাকে বলে ঝিঙে, এখানে ওটাকে বলে Ridgegourd।
ভাজি মজা হয় কিন্তু অনেকসময় সামান্য তিতা হয়ে থাকে ।
মনে হয় কচি না হলে একটু তিতা হয়ে যায় ।
আর এখানে যেটাকে Luffa বলে, বাংলাদেশে বলে ধুন্দুল ।
ঝিঙে একটু খাঁজকাটা থাকে, ধুন্দুলে সেটা থাকেনা ।
ধুন্দুল সামান্য মিষ্টি হয়, চিংড়ি দিয়ে ধুন্দুল ভাজি খুবই মজার খাবার ।
ঝিঙের চেয়ে ধুন্দুল বেশি প্রিয় ।
১০ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সরি। সত্যিই আন্তরিক ভাবে সরি। আর ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
জুন বলেছেন: ঝিংগে আমারও অনেক অনেক প্রিয় ছিল এক সময়। কিন্ত একবার রান্নার পর মুখে দিয়ে দেখি প্রচন্ড তিতে। এরপর থেকে ঝিংগার আরেকটি জাত যা তড়ুই নামে পরিচিত সেটা খেয়ে থাকি।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তিতেটা জংলী ওটা খায়না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
জুন বলেছেন: বাজারে তো ঝিংগা সাজিয়ে দোকানীরা বসে থাকে, আর তাদের সব্জীর প্রশংসা করতে থাকে। কি করে বোঝা যাবে সেগুলো জংলী না কি? এক করা যায় মুখে দিয়ে। কিন্ত করোনা ও তার পরবর্তী সময়ে এটা সম্ভব নয়।আগে তো আমি কেনার সময় কাচামরিচও চিবিয়ে ঝাল টেস্ট করতাম
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এগুলো দেখে চেনার কোন উপায় নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা এগুলো বিক্রি করে থাকে। সন্দেহ হলে চিবিয়ে দেখতে হবে।
১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঝিঙের ছবিগুলো দেখে দু'চোখ জুড়িয়ে গেল! ঝিঙের হলুদ ফুলও দেখতে খুব সুন্দর হয়। একটি আঁশযুক্ত সব্জী হিসেবে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বহুমাত্রিকভাবে উপকারী, ঝিঙে একটি অতি উৎকৃষ্ট তরকারি। ঝিঙের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সকালে গরম রুটির সাথে খাবার জন্য ঝিঙে আমার একটি অতি প্রিয় সব্জী। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এক কেজি ঝিঙে ভাজি করলে তরকারি হিসেবে সেটা পরিমাণে অনেকই কমে যায়। আর বাজারে সাধারণতঃ ঝিঙের মূল্যও সব সময় চড়া থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: পুষ্টিগুণ বিবেচনা না করেই ঝিংগা আমার অন্যতম প্রিয় তরকারী।