নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অজানা মহাবিশ্বে ভ্রমণশীল...

রাজনীতি-মুক্ত ব্লগ

এস. এম. রায়হান

আমি লেখক নই, নই কোন কবি-সাহিত্যিক কিংবা সাংবাদিক। অবসরে কিছু লেখালেখির চেষ্টা করি মাত্র।

এস. এম. রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা – ৪

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২১

বিবর্তন মানে হচ্ছে পরিবর্তন বা ক্রমবিকাশ – এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় উত্তোরণ। বিবর্তন শব্দটাকে বিভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করা যায় - নির্ভর করছে উদ্দেশ্য ও ব্যক্তিবিশেষের উপর। যেমন: অতি ক্ষুদ্র শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণীর রূপ ধারণ; ক্ষুদ্র একটি বীজ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বিশাল একটি গাছের রূপ ধারণ; অতি সাধারণ একটি ক্যালকুলেটিং মেশিন থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে আধুনিক কম্পুটার ও ক্যালকুলেটর এর রূপ ধারণ; ইট-সিমেন্ট-বালি থেকে শুরু করে দৃষ্টিনন্দন একটি টাওয়ার এর রূপ ধারণ; ইত্যাদি। এগুলোর সবগুলোকেই বিবর্তন বলা যায় – যা দিনের আলোর মতই সত্য। এগুলোর পক্ষে কেউ কখনো প্রমাণ দেখতে চায় না।



অন্যদিকে বিবর্তন তত্ত্ব বা বিবর্তনবাদ হচ্ছে ডারউইন-প্রস্তাবিত বিশেষ একটি তত্ত্ব বা মতবাদ – যে তত্ত্ব অনুযায়ী একটি অণুজীব থেকে "এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন" এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে পুরো উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়েছে। আমরা ডারউইন-প্রস্তাবিত তত্ত্বকে ভুল ও কল্পকাহিনী বলি – স্রেফ বিবর্তন-কে নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে বিবর্তনবাদীরা তাদের লেখায় "বিবর্তন তত্ত্ব" বা "বিবর্তনবাদ" না লিখে স্রেফ "বিবর্তন" লিখে অসচেতন পাঠকদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত – যেটি একটি ধোঁকাবাজী।



সংজ্ঞা অনুযায়ী শূন্য থেকে যেমন বিবর্তন শুরু হতে পারে না তেমনি আবার পাথর বা কোনো জড় বস্তু বিবর্তিত হতে হতে জীবে রূপান্তরিত হওয়াও অবাস্তব। একটি পাথর বিবর্তিত হতে থাকলে তার আকার-আকৃতির পরিবর্তন হতে পারে মাত্র কিন্তু সেই পাথর থেকে কেউ একটি জীব আশা করতে পারে না। সে-রকম কিছু হলেও সেটি হবে অলৌকিক ঘটনা। অতএব, জীবের বিবর্তন শুরু হতেও প্রথম জীবকে সৃষ্ট হতেই হবে। তারপরই না কেবল সেই জীব থেকে বিবর্তন এর প্রশ্ন আসতে পারে। অথচ বিবর্তনবাদী নাস্তিকরা সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেন কেনো তা তো বোঝা যায় না। তারা নিজেরাই কল্পকাহিনীর চেয়েও অযৌক্তিক ও হাস্যকর কিছুতে বিশ্বাস করে উল্টোদিকে সৃষ্টিতত্ত্বে যৌক্তিক বিশ্বাস নিয়ে বোকার মতো হাসি-ঠাট্টা করেন! নিজের বিশ্বাস-অবিশ্বাসকে এক পাশে রেখেও নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের গোঁয়ারগোবিন্দপনা দেখে সত্যিই বিনোদিত হতে হয়। সত্যকে তিক্ত মনে হলেও মেনে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর এই সত্যকে মেনে নিলে বিবর্তনবাদী নাস্তিকদের থাকেটা কী!



এ-জন্যই জীবের উৎপত্তি তথা প্রথম জীবের প্রসঙ্গকে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। ভাবসাব দেখে মনে হবে যেনো এটি একটি অতি তুচ্ছ বিষয়! কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখানেই আসল রহস্য রয়ে গেছে। এই রহস্যকে উন্মোচন করতে গেলেই তাদের এড়িয়ে যাওয়ার গোমর ধরা পড়বে। কেউ কেউ হয়ত তেড়ে এসে বলবেন, "বিবর্তনবাদ তত্ত্ব 'প্রথম প্রাণ' নিয়ে মাথা ঘামায় না!" হ্য, সেটা সকলেই জানে। কিন্তু প্রথম প্রাণ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস নিয়ে আবার বোকার মতো হাসি-ঠাট্টা করা হয় কেনো!



যাহোক, এই পর্বে বিবর্তনবাদীদের কিছু আত্মপ্রতারণা নিয়ে আলোচনা করা হবে:



- অনেকেই হয়ত জানেন যে, বিবর্তনবাদীরা বিবর্তনকে গাছ থেকে ভূমিতে অ্যাপেল পড়ার মতই একটি সত্য ঘটনা বলে দাবি করেন। অথচ এই তত্ত্ব নিয়ে যখন অত্যন্ত মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন করা হয় বা প্রমাণ হাজির করতে বলা হয় তখন ইউটার্ন নিয়ে আমতা আমতা করে যা বলা হয় তার অর্থ মোটামুটি এরকম, “হুমম! আপনারা তো বিজ্ঞানের কিছুই জানেন না! বিজ্ঞান ধীরে ধীরে এগোয়! বিজ্ঞানে শেষ কথা বলে কিছু নেই! ইত্যাদি।” এগুলোকে স্রেফ আত্মপ্রতারণা ছাড়া আর কী-ই বা বলা যেতে পারে? তাদের বক্তব্য অনুযায়ীই আগামীকাল যদি এই তত্ত্ব ভুল প্রমাণ হয় তাহলে তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে যারা বিবর্তনকে গাছ থেকে ভূমিতে অ্যাপেল পড়ার মতই সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে – সেই সকল অজ্ঞ লোকজনের কী হবে! তাদেরকে কি তাহলে বিজ্ঞানের নামে প্রতারিত করা হচ্ছে না?



- কেউ কেউ প্রসঙ্গক্রমে বাঁদর থেকে মানুষ বিবর্তিত হওয়ার কথা বলে হাসি-ঠাট্টা করে থাকেন। এই কথা শোনার সাথে সাথে বিবর্তনবাদীরা তেড়ে এসে বলা শুরু করেন, “হেঃ! হেঃ! কিছু অজ্ঞ লোকের বিশ্বাস অনুযায়ী মানুষ নাকি বাঁদর থেকে বিবর্তিত হয়েছে! কিন্তু মানুষ তো বাঁদর থেকে বিবর্তিত হয়নি! বরঞ্চ মানুষ ও বাঁদর একটি ‘সাধারণ পূর্বপুরুষ’ থেকে বিবর্তিত হয়েছে!” কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই ‘সাধারণ পূর্বপুরুষ’ কি মানুষ নাকি বাঁদর নাকি অন্য কিছু – সেটা কখনোই পরিষ্কার করে বলা হয় না। সেই ‘সাধারণ পূর্বপুরুষ’ যদি মানুষ হয় তাহলে তো বিবর্তনবাদীদের আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না! ফলে সেটা তারা কখনোই চাইবেন না। তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ীই প্রমাণ দেখানোর চেষ্টা করবেন। আর তা-ই যদি হয় তাহলে বাঁদর জাতীয় কোনো প্রজাতি থেকেই মানুষ বিবর্তিত হতে হবে। অথচ একই কথা অন্য কেউ বললে তারা তেড়ে আসেন কেন? নাকি তারা মুখে যা বলেন, অন্তরে হয়ত তা বিশ্বাস করেন না! যাহোক, প্রফেসর ডকিন্স সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “Monkeys and we come from a common ancestor and that common ancestor would probably have been called the monkey.” বিবর্তনবাদীদের আত্মপ্রতারণার নমুনা দেখলেন তো! একই কথা প্রফেসর ডকিন্স বললে ঠিক আছে কিন্তু অন্য কেউ বললে অজ্ঞ ও হাসি-তামাশার পাত্র হয়ে যায়!



- অনেকদিন আগে বিবর্তনবাদ তত্ত্বের উপর আমার একটি লেখাতে বলা হয়েছিল, “বিবর্তনবাদীদের দাবি অনুযায়ী ব্যাকটেরিয়ার মতো অতি ক্ষুদ্র একটি জীব থেকে সকল প্রকার প্রজাতি বিবর্তিত হয়েছে।” সেই লেখাটি প্রকাশ হওয়ার পর-পরই এক বিবর্তনবাদী তেড়ে এসে অন্ধকে হাইকোর্ট দেখানোর মতো বিজ্ঞানের উপর বিশাল একখান লেকচার দিয়ে যা বলেছেন তার অর্থ হচ্ছে, “ব্যাকটেরিয়া থেকে তো সকল প্রকার প্রজাতি বিবর্তিত হয়নি। অন্য কোন সরল জীব থেকে প্রজাতির উদ্ভব রয়েছে।” ভাবসাব দেখে মনে হবে যেন উনি জেনে-শুনে নিশ্চিত হয়েই তবে একদম নতুন কিছু বলেছেন! কিছুদিন আগেও একজন একই রকম কথা বলেছেন। অথচ আমার লেখাতে বলা হয়েছে ‘ব্যাকটেরিয়ার মতো’ কোন জীব থেকে। ‘ব্যাকটেরিয়ার মতো’ বলতে ব্যাকটেরিয়া বা সে-রকম কোন সরল জীব হতে পারে, যদিও সেটা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না। কিন্তু প্রফেসর ডকিন্স বা অন্য কোনো বিবর্তনবাদী একই দাবি করলে তারা বালির মধ্যে মাথা গুঁজে থাকেন! কেউই তেড়ে যেয়ে তাকে বিজ্ঞানে অজ্ঞ বলেন না কিংবা হাইকোর্ট দেখানোরও চেষ্টা করা হয় না!



- আমার কোনো এক লেখায় বলা হয়েছিল, “প্রফেসর ডকিন্সের বিশ্বাস অনুযায়ী ছাগলের মতো কোনো এক স্থলচর প্রাণী থেকে তিমির মতো জলচর প্রাণীর বিবর্তন এর কথাই ধরা যাক।” এই কথার উপর ভিত্তি করে এক বিবর্তনবাদী বলেছেন, “কুযুক্তিটা ব্যাপক ইন্টারেস্টিং। এতো কিছু থাকতে নিরীহ ছাগুদের টানাটানি করার ব্যাপক প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” অথচ এই মন্তব্যের জবাবে প্রফেসর ডকিন্সের ভিডিও লিঙ্ক দেয়া হলে আর কিছু বলেন না! তার মানে তারা নিজেরাই এ-রকম কোনো কল্পকাহিনীতে বিশ্বাস করেন না! কিন্তু প্রফেসর ডকিন্স বললে ঠিক আছে!



- বিবর্তনবাদ তত্ত্বে সংশয়বাদীরা একটি প্রজাতি থেকে নতুন কোনো প্রজাতির বিবর্তনের পক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা লব্ধ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেখাতে বললে বিবর্তনবাদীরা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ক্যান্সার, ও মেডিসিন নিয়ে গবেষণার উপর কিছু পেপার বা প্রবন্ধের লিঙ্ক দিয়ে আমজনতাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন, যেগুলো আসলে জানতে চাওয়া হয় না! অর্থাৎ প্রমাণ চাওয়া হয় এক জিনিসের কিন্তু দেখানো হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। কিছুটা ‘হাত সাফাই’ বলা যেতে পারে।



বিবর্তনবাদীদের আত্মপ্রতারণার এ-রকম উদাহরণ আরো আছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তারা নিজেরাই বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের নামে প্রতিনিয়ত এমন সব অদ্ভুত দাবি করছেন যেগুলো আসলেই হাস্যকর। কিন্তু তাদের দাবিকে উদ্ধৃত করে অযৌক্তিক ও হাস্যকর বলার সাথে সাথে কেউ কেউ বেনামে এসে না জানার ভান করে সেগুলোকে উল্টোদিকে আপনার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে হাসি-ঠাট্টা কিংবা আক্রমণ করবে। ‘মৌলবাদী’ বলতে যদি খারাপ কিছু বুঝায় তাহলে এরাও এক শ্রেণীর মৌলবাদী।

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +৭/-২৯

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৬

লাল সাগর বলেছেন: আজকে এই ফ্লাডিং এর দিনে কেন তুমি এমন পোষ্ট দিলে, হে বৎস

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৬

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "ফ্লাডিং এর দিনে" মানে বুঝলাম না।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৯

ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: বিবর্তন নিয়ে কথা বলে ছিলাম বলে শয়তান আপনাকে নিয়ে ঊল্টা পালটা বলছে

যদি বিবর্তন(আপনারা যে রূপ বলেন) সত্য হয়, তাহলে অন্যায় শ্রেষ্ট । (নাস্তিকদের মতামত ও জানতে চাই )
শয়তান ময়তান যে কোই থিকা আসে , যুক্তি থাকলে যুক্তি দিবে , না থাকলে নাই । আপনি একটু দেখুন প্লিজ ।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩০

সারওয়ার ইবনে কায়সার বলেছেন: draft koren taratari...............kalke diyen

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৪

এস. এম. রায়হান বলেছেন: কেন কিছু বুঝতে পারছি না। একটু খুলে বলেন।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একখান কথা। এই প্রফেসর ডকিন্স কেডা? যারে নিয়া ব্যাকর ব্যাকর করতাছেন? উনি এ্যাসিস্ট্যন্ট প্রফেসর ছিলেন বিশাল একখান সময়ে। পরে পাবলিক ফিগার মনে কইরা অক্সফোর্ডে সিমুনেয়ি বানাইছে! তার সারা জীবনই গেছে খ্রিষ্টধর্মের ঈশ্বর নিয়া কথা কইতে কইতে। আর এই ডকিন্স কইলেই কি সব হাছা হইয়া যায়!
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে তো নিউটনরেও উষ্টা দিবার চায়!

আর ডারউিনবাদের উপর নাস্তিকতা কেমনে খাড়ায়? নাস্তিকগো অনেক যুক্তি আছে ওগুলা নিয়া বলেন পারলে। পারলে বিগ বাউন্সের সাথে ঈশ্বরের লিংক দেখান।

আরেকটা কথা যে বিবর্তন বাদের এতো বিরুদ্ধে তার নিজেরই অনেক জীনের বিবর্তনবাদের উপর এইডার কি হইবো!


বিবর্তনবাদ একটা প্রক্রিয়া এইডা সত্য, পারলে উনি একখান তত্ব দিতো যেইটা দিয়া বৈজ্ঞানিক ভাবে সব ব্যাখ্যা করা যায়! এগো লিগাইতো এখন যতোসব সায়ামীজ না রায়ামীজ থিওরী এতো পপুলার!

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৫

রাগিব বলেছেন: "প্রফেসর ডকিন্সের বিশ্বাস অনুযায়ী ছাগলের মতো কোন স্থলচর প্রাণী থেকে তিমির মতো জলচর প্রাণীর বিবর্তন এর কথাই ধরা যাক।” এই কথার উপর ভিত্তি করে এক ডারউইনবাদী বলেছেন, “কুযুক্তিটা ব্যাপক ইন্টারেস্টিং। এতো কিছু থাকতে নিরীহ ছাগুদের টানাটানি করার ব্যাপক প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

আপনার সেন্স অফ হিউমারে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে, এই বক্তব্যটাকে নিয়ে আবার গবেষণা করছেন তা দেখেই বোঝা যায়। :)

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: এখানে সেন্স অফ হিউমার বা গবেষণার কিছু নাই। লেখাতে কারো নামও উল্লেখ করা হয়নি। বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। ডারউইনবাদীদের আত্মপ্রতারণা সবায় জানুক।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২৬

সাহোশি৬ বলেছেন: অবশ্যই বিবর্তনবাদ ভুল, এটা ভুল না হয়ে পারেই না। শুধু ভুল-ই না, বরং এত বড় ভুল যে এরপর থেকে বিবর্তন শব্দটা উচ্চারণ করাটাই মস্ত ভুল বলে ধরা হবে।

অনস্বীকার্যভাবে প্রমান হয়ে গেল যে বিবর্তনবাদ ভুল, তাহলে একটা প্রশ্ন এবার চলে আসে - পৃথিবীতে প্রানী এবং উদ্ভিদের আগমন হলো কিভাবে? প্রাণ সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক কারন এবং process কি? এই প্রশ্নের উত্তরে যে কেউ অবশ্যই বলতে পারে, 'অত বৈজ্ঞানিক প্রমানের দরকার কি, ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে, সুতরাং intellectual design (ID)'ই হলো পৃথিবীতে প্রাণের উৎস। ধর্ম যুক্তির উপর নির্ভর করে না, ধর্ম নির্ভর করে বিশ্বাসের উপর, সুতরাং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে, ID কেন, যে কোন দেবতা, অথবা উপাস্য যে কেউই প্রাণ সৃষ্টি করতে পারেন। সমস্যা হলো বিজ্ঞানকে নিয়ে, বিজ্ঞান বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে না, বিজ্ঞানের মূল চালিকা শক্তি হলো যুক্তি এবং কার্যকরন। বৈজ্ঞানিকভাবে কিছু প্রমাণ করতে হলে যুক্তি এবং কারণ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। বিবর্তনবাদ ভুল, তাহলে 'প্রাণ পৃথিবীতে কিভাবে এল', এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি হবে?

এস. এম. রায়হান বিবর্তনবাদকে ভুল প্রমানের জন্য শুধু লিখেই যাচ্ছে। মেনে নিলাম, বিবর্তনবাদ ভুল। এস. এম. রায়হান সাহেব এবার দয়া করে প্রমাণ করুন প্রাণ পৃথিবীতে কিভাবে আসল? অবশ্য এ পৃথিবীতে বসবাসকারী যে কোন মানুষের অধিকার আছে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করার এবং সে যা চায় ত-ই বিশ্বাস করবার। এস. এম. রায়হান সাহেবও যদি সে গোত্রীয় কেউ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই উনি বলতে পারেন, 'এত প্রমাণের কি দরকার, বিজ্ঞান-ফিজ্ঞান কোন ব্যাপার না, ID অথবা আল্লাহ/গড/ভগবান এর কারণেই পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব হয়েছে।' কিন্তু এস এম রায়হানের মধ্যে যদি বিজ্ঞানের প্রতি সামান্যতম ভক্তি বা শ্রদ্ধা থেকে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই আশা করতে পারি, উনি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করে দেবেন পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হলো কিভাবে।

বি:দ্র: আমরা কিন্তু আগেই স্বীকার করে নিয়েছি যে বিবর্তনবাদ ভুল, সুতরাং সেটাকে আর ভুল প্রমাণের চেষ্টা করবার দরকার নেই। তারচেয়ে বরং এস. এম. রায়হান সাহেবের প্রাণের সৃষ্টির পক্ষের প্রমান দেখতেই আমরা বেশী আগ্রহী।

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩২

এস. এম. রায়হান বলেছেন: প্রথম পর্বের একদম শুরুতেই বলা হয়েছে:

বিবর্তনবাদ তত্ত্ব প্রকৃতপক্ষেই সত্য কি-না–এই বিষয়টাকে এক পাশে রেখে ডারউইনবাদীদের বিশ্বাস ও তথাকথিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নিয়েই মূলতঃ আলোচনা-সমালোচনা করা হবে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪২

এস. এম. রায়হান বলেছেন: এখানে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব ও ডারউইনবাদীদের তথাকথিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা হচ্ছে, স্বয়ং বিজ্ঞান নিয়ে নয়; এবং সেটা করা হচ্ছে যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেই। অতএব চালাকি-চতুরির আশ্রয় নিয়ে কাউকে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ঠেলে দিয়ে কোন ফায়দা লোটার চেষ্টা করাটা বৃথা। তাছাড়া এখানে মনে রাখতে হবে যে বিজ্ঞান কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমি ইসলামে বিশ্বাসী, আইডি'র প্রবক্তা নই। আইডি'র প্রবক্তাদের ফিলোসফি সম্ভবত আলাদা।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩২

শয়তান বলেছেন: খালি হাসি পায় :D

৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৪

সাহোশি৬ বলেছেন: "প্রথম পর্বের একদম শুরুতেই বলা হয়েছে:

বিবর্তনবাদ তত্ত্ব প্রকৃতপক্ষেই সত্য কি-না–এই বিষয়টাকে এক পাশে রেখে ডারউইনবাদীদের বিশ্বাস ও তথাকথিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নিয়েই মূলতঃ আলোচনা-সমালোচনা করা হবে।"


-হা হা হা। ধরা খাইছে, এস. এম. রায়হান ধরা খাইছে। দিনের পর দিন শুধু বিবর্তনবাদকে নহুল প্রমাণের জন্য বিভিন্ন যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের পর যখন মেনে নেয়া হলো, 'আরে ব্যাটা এস. এম. রায়হান, তোমার কথাই ঠিক, তাল গাছটা তোমারই, অর্থাৎ বিবর্তনবাদ ভুল। এইবার বাপের বেটা হয়ে থাকলে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করে দেখাও যে প্রাণ পৃথিনীতে আসল কেমন?' এই কথা শুনে এস. এম. রায়হান আবোল-তাবোল বকতে শুরু করছে, এখন সে বলে "ডারউইনবাদীদের বিশ্বাস ও তথাকথিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নিয়েই মূলতঃ আলোচনা-সমালোচনা করা হবে।"

আমরা তো মেনেই নিয়েছি ডারউইনবাদ ভুল। ভুল থিউরির আবার আলোচনা-সমালোচনা কিসের? বাপের বেটা হয়ে থাকলে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করে দেখাও প্রাণের সৃষ্টি পৃথিবীতে কিভাবে হলো। নইলে তোমার এতদিনের পন্ডশ্রমের কি মূল্য থাকল? এটাতো সবাই-ই জানে, যেকোন কিছুর সমালোচনা করা খুবই সহজ, কিন্তু কোন কিছু প্রমাণ করা খুবই কঠিন। ৭ নম্বর মন্তব্যের উত্তরে করা লেখকের মন্তব্যে কি আমরা ধরে নেব যে লেখকের আসলে বিজ্ঞানের উপর দখল নেহায়েতই কম, এবং সে আসলে কোন কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করতে অক্ষম, শুধুমাত্র শস্তা প্রচারণা পেতেই সে দিনের পর দিন বিজ্ঞানের একটা বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছে?

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:০৪

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আবালের মত লাফালাফি করে বিনা পয়সায় বিনোদন দাও কেন? আমার লেখা যেখানে শুরুই হয়েছে সেই বাক্য দিয়ে সেখানে তুমি নতুন করে কী আবিষ্কার করলা!!! ধরা আমি খাইলাম নাকি তুমি খাইলা!! তুমি তো নিজেকেই বেকুব বানিয়েছ!

"আমরা" বলতে কি তুমি একা নাকি সকল ডারউইনবাদীদেরকে বুঝাচ্ছ? সকল ডারউইনবাদীদের পক্ষ হয়ে এই কথা বলার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে? যাও ডারউইনবাদীদেরকে রাজি করিয়ে তোমার স্বীকোরুক্তি মিডিয়াতে আগে প্রচার কর। নিদেনপক্ষে রিচার্ড ডকিন্সকে রাজি করাও। তারপর এখানে আসো।

৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: :D :D :D :D :D

১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৯

সাহোশি৬ বলেছেন: আপনি বলেছেন "এখানে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব ও ডারউইনবাদীদের তথাকথিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা হচ্ছে, স্বয়ং বিজ্ঞান নিয়ে নয়"

- বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আর বিজ্ঞান কিভাবে আলাদা হলো?

আপনি বলেছেন "অতএব চালাকি-চতুরির আশ্রয় নিয়ে কাউকে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ঠেলে দিয়ে কোন ফায়দা লোটার চেষ্টা করাটা বৃথা। তাছাড়া এখানে মনে রাখতে হবে যে বিজ্ঞান কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।"

-আমি কখনো কাউকে বিজ্ঞানের পক্ষে বা বিপক্ষে ঠেলে দেই নি। বরং আমি সব সময় সবাইকে বিজ্ঞানের পক্ষে আসতে বলি। আপনাকেও বলেছি, বাপের বেটা হয়ে থাকলে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করে দেখান প্রাণের উৎপত্তি পৃথিবীতে কি করে হলো?

আমি বিশ্বাস করি, বিজ্ঞান অবশ্যই IDতে বিশ্বাসস্থাপনকারীদের পৈত্রিক সম্পত্তি।

১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৪

সাহোশি৬ বলেছেন: @ লেখক, আপনি বলেছেন "আমি ইসলামে বিশ্বাসী, আইডি'র প্রবক্তা নই। আইডি'র প্রবক্তাদের ফিলোসফি সম্ভবত আলাদা।"

-৭ নম্বর মন্তবযের উত্তরে আপনার মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কোন কিছুর প্রবক্তা হবার যোগ্যতা আপনার নেই।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:১৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: কাম অন বেবি! আমি একজন সাধারণ মানুষ, কোন কিছুর প্রবক্তা হওয়ার চেষ্টাই করি না।

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:১৪

সাহোশি৬ বলেছেন: ("আমরা" বলতে কি তুমি একা নাকি সকল ডারউইনবাদীদেরকে বুঝাচ্ছ? সকল ডারউইনবাদীদের পক্ষ হয়ে এই কথা বলার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে? যাও ডারউইনবাদীদেরকে রাজি করিয়ে তোমার স্বীকোরুক্তি মিডিয়াতে আগে প্রচার কর। নিদেনপক্ষে রিচার্ড ডকিন্সকে রাজি করাও। তারপর এখানে আসো।)

-আমি ডারউইনবাদী হতে যাব কোন দু:খে? আমি তো স্বীকারই করলাম ডারউইনবাদ ভুল। আমি কাউকে রাজী করাতে পারব না, অত energy বা ক্ষমতা কিছুই আমার নাই। রিচার্ড ডকিন্সটা কে? আমি কিন্তু ডারউইনবাদী না, মিছামিছি আমার গায়ে ঐ তকমা লাগিয়ে কি লাভ? আমি একজন সাধারন মানুষ, যে তোমার কথা বিশ্বাস করেছিলাম এবং বুঝেছিলাম যে ডারউইনবাদ ভুল। এরপর আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছিল, ডারউইনবাদ ভুল প্রমাণিত হয়ে গেল, এবার বৈজ্ঞানিকভাবে প্রাণের উৎপত্তির ব্যাখ্যা কি হবে? এই প্রশ্নটা আমি তোমাকে করেছিলাম, তুমি উত্তর দিতে না পেরে আবোল-তাবোল বকা শুরু করেছ।

---------------------------------------------------------

এস এম রায়হান, তোমার সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নাই। তাল গাছটা তোমাকে দিয়ে দেবার পরও তুমি আস্ফালন করতেই থাকবে যে তাল গাছ তোমার।

আমি স্বীকার করেছি ডারউইনবাদ ভুল, এবার তোমার কাছে বিনীত অনুরোধ তুমি দয়া করে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ কর প্রাণ পৃথিবীতে কিভাবে এল। না পারলেও ক্ষতি কিছু না-ই। অনেকেই পারে নাই, তুমিও পারলে না, তাতে কোন সমস্যা নাই। তোমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবার তা আমি পেয়ে গিয়েছি। আশা করি আমার সম্পর্কেও তুমি ধারণা পেয়ে গিয়েছ।

১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫০

শুভ রহমান বলেছেন:
আপনি বলেছেন
এ জন্যই জীবের উৎপত্তি তথা প্রথম জীবের প্রসঙ্গকে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়

আরেকবার বোঝা গেল আপনি বিজ্ঞান বোঝেন না। বিবর্তনবাদ তো নয়ই।

কেননা এই তত্ত্বে কিভাবে প্রথম প্রাণ পৃথিবীতে এলো তা নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নাই। বরং কিভাবে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভব হলো তাই এর প্রতিপাদ্য বিষয়।

কিভাবে প্রাণ পৃথিবীর বুকে আসলো তার অনেক ব্যাখ্যা আছে। একটি উল্লেখযোগ্য তত্ত্ব হলো ক্যামিক্যাল ইভোলিউশান। (আমাদের পাঠ্য বইয়ে আছে :-B )


আপনি উদ্ধৃত করেছেন
“Monkeys and we come from a common ancestor and that common ancestor would probably have been called the monkey.” ডারউইনবাদীরা যে আসলেই আত্মপ্রতারক তার প্রমাণ দেখলেন তো! একই কথা প্রফেসর ডকিন্স বললে ঠিক আছে কিন্তু অন্য কেউ বললে অজ্ঞ ও হাসি-তামাসার পাত্র হয়ে যায়!

ডকিন্স বলেছেন would probably have been called the monkey - এদের ফ্যামিলি কে বলে প্রাইমেট। আর আপনি কোন (কু)অর্থ ধরে বসে আছেন।



আমি অবাক হয়ে যাই আপনি যখন বলেন

- বিবর্তনবাদ তত্ত্বে সংশয়বাদীরা একটি প্রজাতি থেকে নতুন কোন প্রজাতি বা অন্য কোন প্রজাতি থেকে মানুষ বিবর্তনের পক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষালব্ধ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হাজির করতে বললে ডারউইনবাদীরা ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন ভাইরাস, ও মেডিসিনের উপর গবেষণালব্ধ কিছু পেপার বা আর্টিকলের লিঙ্ক দিয়ে বিজ্ঞানের নামে আমজনতাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে, যেগুলো আসলে জানতে চাওয়া হয় না!


তার মানে এইসব জার্নালের আর্টিকেল ভুয়া? বিজ্ঞান আসলে এইসব জার্নালে গাঁজাখুরি জিনিসপাতি দেয়? আধুনিক যুগে কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আছে, সূত্র আছে যা কোন জার্নালে প্রকাশিত না হয়ে প্রমাণিত হয় কিংবা প্রমাণিত হয়ে জার্নালে যায় না? কোন জার্নাল দেখান তো যেখানে বিবর্তনবাদ ভূল প্রমাণিত হয়েছে? কিংবা এইখানে এত কষ্ট না করে আপনার চতুর্খন্ডের প্রবন্ধ(?) কোন আন্তর্জাতিক জার্নালে (মাসিক মদিনা কিংবা কিশোরকন্ঠ না) পাঠায় দেন। =p~


আপনি বলেছেন
বিবর্তন মানে হচ্ছে পরিবর্তন–এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর। যেমন অতি ক্ষুদ্র শুক্রাণূ ও ডিম্বানুর মিলন থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ একটি শিশুর রূপ ধারণ। শিশুর ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের রূপ ধারণ। অনুরূপভাবে, ক্ষুদ্র একটি বীজ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বিশাল একটি গাছের রূপ ধারণ। ইত্যাদি।

নতুন সংজ্ঞা আবিষ্কার করেছেন মনে হয়! তাইলে ভাই জীবনচক্র কারে বলবো? !:#P

আপনি বলেছেন
একটি পাথর বিবর্তিত হতে থাকলে তার আকার-আকৃতির পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু সেই পাথর থেকে কেউ হঠাৎ করে একটি জীব আশা করতে পারে না। সেরকম কিছু হলেও সেটি হবে দৈব ঘটনা। ডারউইনবাদী নাস্তিকরা তো আবার দৈব-টৈব কিছুতে বিশ্বাস করে না!

আগ্রহীরা ক্যামিক্যাল ইভোলিউশন গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন।



আমি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতী নিচ্ছিলাম। এন্ডোসিম্বাযোটিক থিওরি পড়ছিলাম। এর বক্তব্য হলো কিভাবে আদিম কোষী জীব (প্রাচীন ব্যাক্টেরিয়া, আর্কিয়া ইত্যাদি) হতে আধুনিক কোষী জীব (প্রোটোজোয়া ইত্যাদি) এর উৎপত্তি হয় এবং তার প্রমাণ। (আপনার ভাষ্য অনুযায়ী আমাদের বিজ্ঞানের নামে অবিজ্ঞান-অপবিজ্ঞান পড়ানো হচ্ছে
! :-& )
আশা করি সামনে নতুন কোন পোস্ট দিতে পারবো এ বিষয়ে।


ভালো কথা, বিভিন্ন কমেন্টে আপনার উত্তর কিন্তু ধোঁয়াশাপূর্ণ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনি ছাত্র মানুষ। বয়স কম। ফলে বিজ্ঞানের নামে ডারউইনবাদীদের অপপ্রচারের দ্বারা প্রতারিত যে হয়েছেন বোঝাই যায়।

আপনি বলেছেন: "আরেকবার বোঝা গেল আপনি বিজ্ঞান বোঝেন না। বিবর্তনবাদ তো নয়ই। কেননা এই তত্ত্বে কিভাবে প্রথম প্রাণ পৃথিবীতে এলো তা নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নাই। বরং কিভাবে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভব হলো তাই এর প্রতিপাদ্য বিষয়।"

- আমি কী বুঝাতে চেয়েছি সেটা না বুঝে উত্তেজিত হবেন না। বিবর্তনবাদ তত্ত্বে প্রথম প্রাণের উত্‌পত্তি নিয়ে মাথাব্যাথা নাই ঠিকই কিন্তু ডারউইনবাদীরা যে প্রথম প্রাণের উত্‌পত্তি সম্পর্কে না জেনেই সৃষ্টিতত্ত্বে যৌক্তিক বিশ্বাস নিয়ে বোকার মতো হাসি-তামাসা করে তার কী হবে? আমি কি লেখাতে সেটাই বুঝাতে চাইনি?

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "ডকিন্স বলেছেন would probably have been called the monkey - এদের ফ্যামিলি কে বলে প্রাইমেট। আর আপনি কোন (কু)অর্থ ধরে বসে আছেন।"

- হাহ-হা! দেবতার বেলায় লীলা-খেলা আর দোষ হয় মোদের বেলা! আরে ভাই, কোন কু অর্থে ধরা হয়নি। ডকিন্স নিজেই তো মাঙ্কি বলেছেন, তাই নয় কি?

আপনি মনে হচ্ছে লেখা না বুঝেই তড়িঘড়ি করে মন্তব্য করেছেন। লেখাতে আসলে কী বুঝাতে চাওয়া হয়েছে সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন। তারপর কিছু বলার থাকলে যুক্তি দিয়ে বলুন।

ডকিন্সকে এখানে যেভাবে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছেন সেটা ডারউইনবাদীদের পরবর্তী প্রতারণার লিস্টের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হতে পারে কিন্তু! তবে আপনাকে আমি প্রতারক বলবো না। আপনি আসলে তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "তার মানে এইসব জার্নালের আর্টিকেল ভুয়া? বিজ্ঞান আসলে এইসব জার্নালে গাঁজাখুরি জিনিসপাতি দেয়?"

- আপনি যে আমার লেখা না বুঝেই কিছু অংশ কোট করে তড়িঘড়ি করে মন্তব্য করেছেন - তার হাতে-নাতে প্রমাণ দিলেন। আমি তো জার্নালের আর্টিকলকে ভূয়া বলিনি! আমি বলতে চেয়েছি, প্রমাণ দেখাতে বলা হয় একটার আর প্রমাণ হাজির করা হয় আরেকটার। অর্থাৎ তেল নিয়ে আসতে বললে বেল নিয়ে আসা হয়! এবার বুঝতে পেরেছেন তো?

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫০

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "আপনার ভাষ্য অনুযায়ী আমাদের বিজ্ঞানের নামে অবিজ্ঞান-অপবিজ্ঞান পড়ানো হচ্ছে! আশা করি সামনে নতুন কোন পোস্ট দিতে পারবো এ বিষয়ে।"

- আমার মুখে কোন কথা গুঁজে দেবেন না। আমি কোথায় কী বলেছি সেটা আগে ভাল করে বোঝার চেষ্টা করুন। তারপর লিখুন।

১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৪

শুভ রহমান বলেছেন: আপনার পরবর্তী আকর্ষণ কবে আসছে? :P

১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১০

শুভ রহমান বলেছেন: আপনিতো বেশ জনপ্রিয় ব্লগার! এত হিট। এত রেটিং। আর আমি এত জ্ঞানী জ্ঞানী পোস্ট দেই তাও ........

১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৪

শুভ রহমান বলেছেন: ডকিন্সের ভিডিওটা দেখলাম। মানুষ যা বলতে চায় কথা বলার সময় একভাবে বলে, লেখার সময় আরো গুছিয়ে লেখে। আর এ ধরণের টক শো, যেখানে বক্তব্য আগে থেকে গুছানো না সেখানে এ ধরণের স্লিপ অব টঙ হওয়া তো অস্বাভাবিক নয় বন্ধু। তিনি ভূল বলতেই পারেন।



এরা প্রাইমেট পরিবার। সবাই বাদরের মত দেখতে। কিন্তু সবাই বাদর নয়। মানুষও বাদর নয়। কিন্তু মানুষের বৈজ্ঞানিক নামকরণ দেখেন, সেও এই পরিবারের অংশ। চেক ইট।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৬

এস. এম. রায়হান বলেছেন: হাহ-হা! দেবতার বেলায় লীলা-খেলা, আর দোষ হয় মোদের বেলা!

যাহোক, আপনি আর সাহোশি৬ কোন্‌ কোন্‌ প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়েছেন সেটা যদি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সহ একটু বলতেন। :D

১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৭

শুভ রহমান বলেছেন: ১৩নং মন্তব্য হতে উত্তর:
আপনি ছাত্র মানুষ। বয়স কম। ফলে বিজ্ঞানের নামে ডারউইনবাদীদের অপপ্রচারের দ্বারা প্রতারিত যে হয়েছেন বোঝাই যায়।

হায় হায়। ঢাবি র স্যার রা প্রতারক! ডিপার্টমেন্টের স্যাররা প্রতারক!! আমাগো টেকস্ট বই যে লিখসে হেও প্রতারক!!! যাই কই এখন। আমার মগজ ধোলাই করা হয়েছে।। কেউ আছেন সাহায্য করার??



- আমি কী বুঝাতে চেয়েছি সেটা না বুঝে উত্তেজিত হবেন না। বিবর্তনবাদ তত্ত্বে প্রথম প্রাণের উত্‌পত্তি নিয়ে মাথাব্যাথা নাই ঠিকই কিন্তু ডারউইনবাদীরা যে প্রথম প্রাণের উত্‌পত্তি সম্পর্কে না জেনেই সৃষ্টিতত্ত্বে যৌক্তিক বিশ্বাস নিয়ে বোকার মতো হাসি-তামাসা করে তার কী হবে? আমি কি লেখাতে সেটাই বুঝাতে চাইনি?


আপনি বোঝাতে চাননি? তো লেখলেন ক্যান? আপনার লেখা তো ভাই পরিস্কার না, যা লেখেন তা বোঝাতে চান না!
সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যাখ্যা যৌক্তিক হলে এত প্যাচায়া কথা বলার কি আছে, যুক্তি দিয়ে তত্ত্ব প্রমাণ করেন। কোন বিজ্ঞানের জার্নালে প্রকাশ করেন। একটু জাইনাশুইনা আইসেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "আপনি বোঝাতে চাননি? তো লেখলেন ক্যান? আপনার লেখা তো ভাই পরিস্কার না, যা লেখেন তা বোঝাতে চান না!"

- লে-এ বাবা! আমি বলি একটা আর আপনি বোঝেন আরেকটা! আপনি আমার লেখা সহ মন্তব্যটা আরেকবার পড়ুন।

"সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যাখ্যা যৌক্তিক হলে এত প্যাচায়া কথা বলার কি আছে, যুক্তি দিয়ে তত্ত্ব প্রমাণ করেন। কোন বিজ্ঞানের জার্নালে প্রকাশ করেন। একটু জাইনাশুইনা আইসেন।"

- আপনি কিন্তু এবার বোকার মত কথা বললেন। সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যাখ্যা যে বিজ্ঞানের জার্নালে প্রকাশ করা হয় না সেটা জানেন নিশ্চয়। সৃষ্টিতত্ত্ব হচ্ছে যৌক্তিক ও ফিলোসফিক্যাল ইসু, বৈজ্ঞানিক ইসু নয়। না বুঝে কথায় কথায় বিজ্ঞানকে টেনে নিয়ে এলেই কিন্তু বিজ্ঞানী হওয়া যায় না! সবকিছুরই যে কম-বেশী সীমাবদ্ধতা আছে সেটা বুঝতে হবে।

১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০০

সাহোশি৬ বলেছেন: @শুভ "সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যাখ্যা যৌক্তিক হলে এত প্যাচায়া কথা বলার কি আছে, যুক্তি দিয়ে তত্ত্ব প্রমাণ করেন। কোন বিজ্ঞানের জার্নালে প্রকাশ করেন। একটু জাইনাশুইনা আইসেন।"

-শুভ, তুমি বয়সে আমার চেয়ে অনেক ছোট, তা-ই তোমাকে তুমি করে বললাম। শোন, এস এম রায়হানদের মতো সৃষ্টিতত্ত্ব-বিশ্বাসীদের হাতে সৃষ্টিতত্ত্ব ব্যাখ্যা করার মতো কোন প্রমাণ নাই, তাই তারা উল্টা রাস্তা ধরেছে। তারা প্রমাণ করতে চায় বিবর্তনবাদ ভুল। অথচ এরা এটা বোঝে না যে বিবর্তনবাদ ভুল প্রমাণিত হলেই কিন্তু সৃষ্টিতত্ত্ব সত্য বলে প্রমাণিত হয়ে গেল না, বরং সৃষ্টোতত্ত্বকে সত্য বলে প্রমান করতে হলে সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়েই গবেষনা করতে হবে, কিন্তু এরা গবেষনা কিংবা বিজ্ঞানের যুক্তি তর্কের ধার ধারে না, এদের কাছে বিশ্বাসই হলো সব। নিজেরা যা বিশ্বাস করে অন্যকেও তা জোর করে গেলাতে চায়। অথচ এটা বোঝে না যে বিজ্ঞান জোর করার কোন বিষয় নয়। বৈজ্ঞানিকভাবে কিছু প্রমাণ করতে হলে বিজ্ঞানের নিয়মেই তা করতে হবে, জোর গলায় নয়।

১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৫

সাহোশি৬ বলেছেন: লেখক পিটার প্যানের মন্তব্য মুছে ফেলেছে। পিটার প্যান বলেছিল, শুভ রহমান ভাই, সময় নষ্ট করেন না। কোন কিছু বোঝার জন্য ব্রেনের দরকার। লেখকের সেটার অভাব আছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমার সাথে বিতর্ক করতে এসে তোমার ব্রেন কি কমে গেছে যে অন্য কারো থেকে ধার করতে হবে।

২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৭

সাহোশি৬ বলেছেন: @লেখক: সৃষ্টিতত্ত্ব হচ্ছে যৌক্তিক ও ফিলোসফিক্যাল ইসু, বৈজ্ঞানিক ইসু নয়।"

যৌক্তিক ও ফিলোসফিকাল ইসুটা কি জিনিষ ভাই যেটা আবার বৈজ্ঞানিক না। দয়া করে আপনার লেখা এই বাক্যটার ব্যাখ্যা দিন। আমি মূর্খ মানুষ বুঝি কম। আপনার মতো জ্ঞানী আমার মতো মূর্খকে কিছু বোঝাতে সময় নষ্ট করবেন সে আশা অবশ্য আমি করি না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৫৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমি নিজেকে জ্ঞানী বলে দাবি করি না বা অন্য কাউকে সহজে মূর্খও বলি না। ইসলামিক সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা প্রথম জীব সৃষ্টি করেছেন। তার পর সেই জীব বিবর্তিত হয়ে অন্য কোন প্রজাতি হয়েছে কি-না সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু সেই প্রথম সৃষ্ট জীবকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করা সম্ভব নয় বিধায় এটি বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত নয়। তবে এটি একটি যৌক্তিক ও ফিলোসফিকাল ইসু। যেখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় না সেখানে যুক্তি ও দর্শন ব্যবহার করা যেতে পারে।

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৮

রাগিব বলেছেন: "লেখক বলেছেন: এখানে সেন্স অফ হিউমার বা গবেষণার কিছু নাই। লেখাতে কারো নামও উল্লেখ করা হয়নি। বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। ডারউইনবাদীদের আত্মপ্রতারণা সবায় জানুক।"

আমি এখনো নিরীহ ছাগু সম্প্রদায়কে "রাজায়-রাজায় যুদ্ধ হয়" টাইপের বাহাসের বাইরে রাখবার সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই। এমনিতেই ব্লগে ছাগুরা প্রচুর ধাওয়া খাচ্ছে, তাদের বিবর্তনীয় ধাওয়া থেকেও বাদ দিন, ডকিন্স/হকিন্স যাই বলুক না কেনো, তাদের বাদ রাখেন, বেচারারা অনেক বাটে আছে :)

২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১০

সাহোশি৬ বলেছেন: রাগিব, আপনি যদি এ সমস্ত লেখকের ব্লগে সময় নষ্ট করেন তাহলে বাংলা উইকিপিডিয়ার কি হবে? পোস্টডকে সবেষনার কি এতই খরা যাচ্ছে যে এ সমস্ত পোস্টে আপনাকে ঢু মারতে হচ্ছে?

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:০৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: রাগিবের এক ক্লাউন পাওয়া গেছে তাহলে।

২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৬

শুভ রহমান বলেছেন: - বিবর্তনবাদ তত্ত্বে সংশয়বাদীরা একটি প্রজাতি থেকে নতুন কোন প্রজাতি বা অন্য কোন প্রজাতি থেকে মানুষ বিবর্তনের পক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষালব্ধ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হাজির করতে বললে ডারউইনবাদীরা ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন ভাইরাস, ও মেডিসিনের উপর গবেষণালব্ধ কিছু পেপার বা আর্টিকলের লিঙ্ক দিয়ে বিজ্ঞানের নামে আমজনতাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে, যেগুলো আসলে জানতে চাওয়া হয় না!

লেখক বলেছেন: "তার মানে এইসব জার্নালের আর্টিকেল ভুয়া? বিজ্ঞান আসলে এইসব জার্নালে গাঁজাখুরি জিনিসপাতি দেয়?"

- আপনি যে আমার লেখা না বুঝেই কিছু অংশ কোট করে তড়িঘড়ি করে মন্তব্য করেছেন - তার হাতে-নাতে প্রমাণ দিলেন। আমি তো জার্নালের আর্টিকলকে ভূয়া বলিনি! আমি বলতে চেয়েছি, প্রমাণ দেখাতে বলা হয় একটার আর প্রমাণ হাজির করা হয় আরেকটার। অর্থাৎ তেল নিয়ে আসতে বললে বেল নিয়ে আসা হয়! এবার বুঝতে পেরেছেন তো?

আপনি হাতে নাতে প্রমাণ চাচ্ছেন। বড় প্রাণীর ক্ষেত্রে, তাদের লাইফটাইম এত দীর্ঘ, হাজার প্রজন্ম পেরিয়ে বিবর্তন হয়, তা তো আর ল্যাবরেটরীতে করা যায় না। তাই ভরসা ব্যাক্টেরিয়া আর ভাইরাস। এদের এক প্রজন্মের আয়ুষ্কাল হলো 20 মিনিট হতে কয়েকঘন্টা (এক্সেপশন বাদে)। তাই ল্যাবে বিবর্তনের পরীক্ষানিরীক্ষায় এরাই ভরসা। এর যদি ইতিবাচক ফলাফল না দিত, বিবর্তনবাদ এতদিনে আস্তাকুঁড়ে চলে যেত।
আপনারা ফসিলের সাক্ষী বিশ্বাস করবেন না, মিসিং লিঙ্কের দোহাই দেবেন (যদিও 1970 এর পর থেকে প্রচুর মিসিং লিঙ্ক খুজে পাওয়া যাচ্ছে, যা নিয়ে আগেরকার হারুন ইয়াহিয়ারা লাফালাফি করতো, এখনো করে, আপনিও করছেন), ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বিশ্বাস করবেন না, আণবিক জীববিদ্যার প্রমাণকে গ্রহণ করবেন না, তেলের বদলে বেল না নিয়ে এসে কি করবো বলুন?


বিবর্তন মানে হচ্ছে পরিবর্তন–এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর। যেমন অতি ক্ষুদ্র শুক্রাণূ ও ডিম্বানুর মিলন থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ একটি শিশুর রূপ ধারণ।


অবশ্য আপনি বিবর্তনের যে সংজ্ঞা দিলেন, সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রাকৃতিক নির্বাচন ভূল অবশ্যই।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:০৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "বড় প্রাণীর ক্ষেত্রে, তাদের লাইফটাইম এত দীর্ঘ, হাজার প্রজন্ম পেরিয়ে বিবর্তন হয়।"

- তাই নাকি! ঝানতাম না তো!

"ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বিশ্বাস করবেন না।"

- অন্যের মুখে কথা গুঁজে দেবেন না। ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং এখানে কোথা থেকে এলো?

"আণবিক জীববিদ্যার প্রমাণকে গ্রহণ করবেন না।"

- আণবিক জীববিদ্যা দিয়ে আসলে কী প্রমাণ করা হয়েছে সেটা কি আদৌ জানেন বা বোঝেন!

২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৫৬

সাহোশি৬ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার সাথে বিতর্ক করতে এসে তোমার ব্রেন কি কমে গেছে যে অন্য কারো থেকে ধার করতে হবে।

-ব্রেন কমার প্রশ্ন আছে কোথা থেকে, আমার তো ব্রেনই নেই। দেখহলে না, কি সুন্দর তোমার সব যুক্তি তর্ক নির্দ্বিধায় মেনে নিলাম? সামান্যতম ব্রেন থাকলেও কি কেউ এসব গাঁজাখুড়ি জিনিষ মেনে নেয়?

আমি হলাম একজন ব্রেনহীন মানুষ। অথচ এই ব্রেনহীন মানুষের সামান্য একটা প্রশ্নের উত্তর তুমি দিতে পারলে না (পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা)। আফসুস!!!!! তোমার এত ব্রন থেকে কি লাভ হলো?

২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:২৬

হোরাস্‌ বলেছেন: @ শয়তান.... আপনের খালি হাসি পাইলে হবে? কিছু ব্রেন ওয়াশের কামে নাইমা পড়েন। তবে আমি "জোড়" দিয়ে বলতে পারি লেখকেরটা আপনি পারবেন না। কেন, বলেনতো দেখি? কুইজ।

২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪৮

সাহোশি৬ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি নিজেকে জ্ঞানী বলে দাবি করি না বা অন্য কাউকে সহজে মূর্খও বলি না। ইসলামিক সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা প্রথম জীব সৃষ্টি করেছেন। তার পর সেই জীব বিবর্তিত হয়ে অন্য কোন প্রজাতি হয়েছে কি-না সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু সেই প্রথম সৃষ্ট জীবকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করা সম্ভব নয় বিধায় এটি বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত নয়। তবে এটি একটি যৌক্তিক ও ফিলোসফিকাল ইসু। যেখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় না সেখানে যুক্তি ও দর্শন ব্যবহার করা যেতে পারে।

- বাহ বাহ। মারহাবা মারহাবা। এতক্ষণ তাইলে বিজ্ঞান বিজ্ঞান করে জপাইলেন কেন?

খালি খালি সময় নষ্ট।

২৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৫৬

সবাক বলেছেন:

@ শুভ
@ সাহোশি


উনাকে আরো আগেই তালগাছ দিয়ে দেয়া হয়েছে। বরঙ উনার বক্তব্যের পক্ষে বলে, আরো কিছু বিনোদন বাইর করার চেষ্টা করেন।


রায়হান সাবরে বুঝাইতে বুঝাইতে অনেকেই হয়রান হয়ে গেছে, মাগার উনার ঠোটের থেইক্যা ফিডার নামে না। :(

২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৫৮

দন্ডিত বলেছেন: @সাহোশি আর শুভ

যে পয়েন্টে পয়েন্টে ধরা খেয়েও ব্যক্তি আক্রমনের বাইরে কোন যুক্তি দেখাতে পারে তার সাথে তর্ক করে কি লাভ?


ব্যপক বিনোদন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:১৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: কথায় বলে, রতনে রতন চেনে। আপনি যে কচু চেনেন সেটা আগে বলবেন তো।

২৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:০০

দন্ডিত বলেছেন: "যেখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় না সেখানে যুক্তি ও দর্শন ব্যবহার করা যেতে পারে।"


হাহাপগে

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:১৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: 'হাহাপগে' কি ছাগুদের ভাষা।

৩০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯

শয়তান বলেছেন: দৃঢ় বিশ্বাস এই পোষ্টটা অচিরেই বাগবুগ উছিলা দিয়া হাপিশ করা হৈবেক :D

৩১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: অফ টপিক: আপনার অনেক ব্লগেই দেখি আপনি দাবী করেন যে আপনি স্বনামে স্ব-পরিচয়ে ব্লগিং করেন, এবং অনেক ব্লগারকেই আহ্বান জানান তাদের ছদ্মবেশী নিক থেকে ব্যাক্তি আক্রমণ না করতে।

সেই সূত্র ধরেই জানতে চাইছি--আপনি কি কোন সংবাদপত্রের সাংবাদিক? আপনার নামটা জানি---এসএম রায়হান। আপনার বাকী পরিচয় কি?

৩২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১১

দুরের পাখি বলেছেন: অত্যন্ত সঠিক ও যুক্তিযুক্ত পোস্ট । আপনার পোস্ট পড়ে আমার দু'চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছে । এতদিন নাস্তিকতার কি অন্ধকারেই না নিমজ্জিত ছিলাম । হক মাওলা । ইয়া খাজা হয়রানপুরী আপনার জয় হৌক ।

৩৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি ছাত্র মানুষ। বয়স কম। ফলে বিজ্ঞানের নামে ডারউইনবাদীদের অপপ্রচারের দ্বারা প্রতারিত যে হয়েছেন বোঝাই যায়।

এই কথাটার কয়েকটা মানে:

১) ছাত্ররা সব ভূদাই, তারা সর্বদা প্রতারিত হয়!
২) যেইসব ছাত্রগো বয়স কম, তারা আরো বেশী ভূদাই, খালি প্রতারিত হইতেই থাকে!
৩) ছাত্র এবং কম বয়সীরা বাংলা দেশ অথবা বৈদেশে ডারউইন তত্ব পইড়া ফাইটা যাইতাছে, তাই তারা গন হারে প্রতারিত হইতাছে!
৪) বিজ্ঞানের নামে ডারউইনের যেই তত্ব পড়ানো হয় বায়োলজীতে সবই প্রতারনা, তাই এই প্রতারনা থিকা বাচনের জন্য এই পোস্ট পাঠ্য পুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করা হোউক!


এখন ভাইজানরে কিছু কুশ্চেন!

১) ভাইজান কুন স্কুল কলেজ বা ভার্সিটি থিকা পাশ করছেন?
২) আপনিও কি ছাত্র কালে ছোলিম বনছিলেন?
৩) যদি ছাত্র বা স্কুল না পইড়া থাকেন (যদিও আপনের লেখা পইড়া মনে হইতাছে ১০-১২ টা ওয়েব পেইজ পইড়া লেখছেন যেগুলানের কুনো সূত্রও দেন নাই এবং আপনি আপনার নিজের লজিকের বাস্তব ভিত্তিক প্রমান বা এক্সপেরিমেন্ট দেখাইতে পারেন নাই সেই লজিকে), আপনি কোন মাদ্রাসা থিকা পাশ করছেন?
৪) ভাইজানের বয়স কতো?

জানাইলে দূরের পাখির মতো আমিও কইতাম:
অত্যন্ত সঠিক ও যুক্তিযুক্ত পোস্ট । আপনার পোস্ট পড়ে আমার দু'চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছে । এতদিন নাস্তিকতার কি অন্ধকারেই না নিমজ্জিত ছিলাম । হক মাওলা । ইয়া খাজা হয়রানপুরী আপনার জয় হৌক ।

এতো হাসি কই রাখি!

২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনার মত আশ্রমের ছাগুরে জবাব দিতে হবে কেন। যাকে বলেছি সে নিজেই জিজ্ঞেস করতে পারেন। আপনারা ব্লগেও নোংরা ইজম থেকে বের হতে পারেন না।

৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি ছাত্র মানুষ। বয়স কম। ফলে বিজ্ঞানের নামে ডারউইনবাদীদের অপপ্রচারের দ্বারা প্রতারিত যে হয়েছেন বোঝাই যায়।


আরে বাপ, কথা বুইঝা কুশ্চেন করলেও দোষ না করলেও দোষ! আপনেরে ব্যাক্তিগত আক্রমন তো করি নাই এতো চেতেন কেন? আপনের ইসলামী বিবর্তন বাদে কি এই আচার আচরন শিখায়?

৩৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩১

শুভ রহমান বলেছেন: এই পোস্ট শো কেসে তুলে রাখলাম। :)

৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪০

এস. এম. রায়হান বলেছেন: সেটা আপনার ব্যাপার। তবে আপনাকে ধন্যবাদ দিতে হয় এ জন্য যে নিদেনপক্ষে আপনি অন্ততঃ লেখা থেকে কিছু বলেছেন। আমি সেটাই চাই।

৩৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:০৩

লুকার বলেছেন:

বিবর্তনবাদ সত্য না হইলে দু'পেয়ে মানূষ ছাগলে বিবর্তিত হইয়া ব্লগিং করে কেমনে?

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:১৬

এস. এম. রায়হান বলেছেন: একদম খাঁটি কথা কইছেন। তা না হলে কি আর এই লেখাতে ২৩-টি মাইনাস পড়ে!

৩৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৯

আমি বিপ্লবী বলেছেন: @লেখক,

//'হাহাপগে' কি ছাগুদের ভাষা।//

হা হা প গে = হাসতে হাসতে পরে গেলাম

৩৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কোরআন শরীফে কোথায় নাকি এভাবে বলা আছে," অহংকার পতনের মূল!"


আফসোস আমাগো মুসলমান জাতীর মুসলমানী হওনের পরই এই কথাটা ভুইলা যায়!

৩৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫১

সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: sobar hater nokh choto rakha dorkar.
ki bolen?

৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। অন্যথায় ডারুইনের প্রাইমেটসরা নখ নিয়ে খামছি দিতে পারে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.