নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অজানা মহাবিশ্বে ভ্রমণশীল...

রাজনীতি-মুক্ত ব্লগ

এস. এম. রায়হান

আমি লেখক নই, নই কোন কবি-সাহিত্যিক কিংবা সাংবাদিক। অবসরে কিছু লেখালেখির চেষ্টা করি মাত্র।

এস. এম. রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা – ৫

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬

বিবর্তনবাদী নাস্তিকদের অন্ধ বিশ্বাস অনুযায়ী সরল একটি অণুজীব থেকে "এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন" এর মাধ্যমে মানুষ-সহ মিলিয়ন মিলিয়ন ধরণের প্রজাতি বিবর্তিত হয়েছে। তাদের এহেন বিশ্বাসের কথা শুনে পৌরাণিক কল্পকাহিনীতে বিশ্বাসীরাও নড়ে-চড়ে বসে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করবেন এই ভেবে যে, বিবর্তনবাদীদের বিশ্বাসের চেয়ে তাদের বিশ্বাস অনেক বেশি যৌক্তিক। এমনকি নৈতিক দিক দিয়েও পৌরাণিক কল্পকাহিনীতে বিশ্বাসীরা এগিয়ে থাকবেন। কেনোনা পৌরাণিক কল্পকাহিনীকে অন্তত বিজ্ঞানের নামে সত্য বলে দাবি করা হয় না।



যাহোক, এই পৃথিবীর শতভাগ মানুষ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে নিদেনপক্ষে কয়েক হাজার বছর ধরে যা দেখে আসছেন তা হচ্ছে: মানুষ থেকে মানুষই হয়; গরু থেকে গরুই হয়; ছাগল থেকে ছাগলই হয়; বাঘ থেকে বাঘই হয়; বিড়াল থেকে বিড়ালই হয়; হরিণ থেকে হরিণই হয়; কুকুর থেকে কুকুরই হয়; সিংহ থেকে সিংহই হয়; হাতি থেকে হাতিই হয়; বান্দর থেকে বান্দরই হয়; গরিলা থেকে গরিলাই হয়; মুরগীর ডিম থেকে মুরগীই হয়; বকের ডিম থেকে বকই হয়; টিয়া পাখির ডিম থেকে টিয়া পাখিই হয়; ইলিশ মাছের ডিম থেকে ইলিশ মাছই হয়; কুমিরের ডিম থেকে কুমিরই হয়; টিকটিকির ডিম থেকে টিকটিকিই হয়; তিমি থেকে তিমিই হয়; পিপীলিকা থেকে পিপীলিকাই হয়; মৌমাছি থেকে মৌমাছিই হয়; আমের বীজ থেকে আমেরই গাছ হয়; অ্যাপেলের বীজ থেকে অ্যাপেলেরই গাছ হয়; কাঁঠালের বীজ থেকে কাঁঠালেরই গাছ হয়; তালের বীজ থেকে তালেরই গাছ হয়; ইত্যাদি; ইত্যাদি; ইত্যাদি। এগুলোর ব্যতিক্রম কিছু হয়েছে কি-না জানা নেই – তবে সে-রকম কিছু ঘটে থাকলে সেটিকে অপ্রাকৃতিক কিংবা অস্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয়।



এই যখন দিনের আলোর মতো বাস্তবতা তখন বিবর্তনবাদী গুরুরা আধুনিক বিজ্ঞানের নামে রাতের অন্ধকারের মতো সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প শুনাচ্ছেন! কোনো এক মাছ থেকে নাকি ধাপে ধাপে উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ বিবর্তিত হয়েছে! তবে তার আগে-পরে হাজার হাজার ধরণের মাছ ও উভচর প্রাণী যে কোথা থেকে এলো, কে জানে! কোনো এক সরীসৃপ থেকে নাকি ধীরে ধীরে পাখি হয়ে আকাশে উড়তে শিখেছে! তবে তার আগে-পরে হাজার হাজার ধরণের সরীসৃপ যে কোথা থেকে এলো, কে জানে! সরাসরি ডিম পাড়া কোনো এক অস্তন্যপায়ী প্রজাতি থেকে নাকি ধীরে ধীরে সরাসরি বাচ্চা দেয়া স্তন্যপায়ী প্রজাতি বিবর্তিত হয়েছে! তবে তার আগে-পরে হাজার হাজার ধরণের অস্তন্যপায়ী প্রজাতি যে কোথা থেকে এলো, কে জানে! কোনো এক চতুষ্পদী প্রাণী থেকে নাকি ধীরে ধীরে তিমি বিবর্তিত হয়েছে! তবে তার আগে-পরে হাজার হাজার ধরণের চতুষ্পদী প্রজাতি যে কোথা থেকে এলো, কে জানে! বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রাইমেটস থেকে নাকি বিবর্তনবাদীদের মতো মানুষ বিবর্তিত হয়েছে! তবে তার আগে-পরে শত শত প্রকারের বান্দর প্রজাতি যে কোথা থেকে এলো, কে জানে! অসংখ্য ও অদ্ভুত ধরণের ছোট-বড় কীট-পতঙ্গ যে কোথা থেকে ও কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে, সেটাই বা কে জানে! উদ্ভিদ থেকে প্রাণী কিংবা প্রাণী থেকে উদ্ভিদ এর বিবর্তনের প্রসঙ্গ তুলে তাদেরকে আর লজ্জা দেয়ার ইচ্ছা নাই!



বিবর্তনবাদীদের এই ধরণের দাবিকে এমনকি অপবিজ্ঞানও বলা যাবে না। কারণ অপবিজ্ঞানের মধ্যে কিছুটা হলেও বিজ্ঞান অথবা নিদেনপক্ষে যুক্তি থাকে। এগুলো হচ্ছে স্রেফ কল্পকাহিনী। এর চেয়ে বড় কল্পকাহিনী মানব জাতির ইতিহাসে দ্বিতীয়টি আছে কি-না সন্দেহ। তবে বিবর্তনবাদী গুরুরাও ভালভাবেই অবগত যে, বাস্তবে এ-রকম কিছু সম্ভব নয়। আর এ-জন্যই ‘মিলিয়ন মিলিয়ন বছর’, ‘মন্থর গতি’, ও ‘সাধারণ পূর্বপুরুষ’ নামক কিছু অস্পষ্ট পরিভাষার মধ্যে মাথা গুঁজে সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানের নামে প্রতারিত করা হচ্ছে।



বিবর্তনবাদী গুরুরা যখন দেখলেন যে বাস্তবে এ-রকম কিছু ঘটছে না বা ঘটা সম্ভব নয় তখন সবকিছুকে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পেছনে নিয়ে গেলেন। মনে হচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পেছনে নিয়ে গেলেই সব কিছু এমনি এমনি হয়ে যাবে! যখন দেখলেন যে বান্দরের মতো লেজওয়ালা কোনো প্রজাতি থেকে মন্থর গতিতে মানুষের বিবর্তন সম্ভব নয় তখন বলা শুরু করলেন যে, বান্দর ও মানুষ উভয়েই একটি ‘সাধারণ পূর্বপুরুষ’ থেকে বিবর্তিত হয়েছে! এই ‘সাধারণ পূর্বপুরুষ’-কে ঠেলে ঠেলে যে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, কে জানে! শেষ পর্যন্ত ‘প্রথম অণুজীব’-এ যাওয়া ছাড়া মনে হয় কোন উপায় নেই! বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের নামে এভাবে প্রতারণা ও চাপাবাজি করে সবাইকে তো আর বোকা বানানো সম্ভব নয়।



একটি প্রজাতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রজাতি তো দূরে থাক এমনকি কুকুর আর শিয়ালের দৈহিক গঠন, আচার-আচরণ, ও খাদ্যাভাস মোটামুটি একই রকম হওয়া সত্ত্বেও প্রমাণ ছাড়া কেউ জোর দিয়ে বলতে পারবেন না যে, কুকুর থেকে শিয়াল কিংবা শিয়াল থেকে কুকুর মন্থর গতিতে বিবর্তিত হয়েছে। কাক ও কোকিল দেখতে খুব কাছাকাছি হলেও প্রমাণ ছাড়া কেউ জোর দিয়ে বলতে পারবেন না যে, কাক থেকে কোকিল অথবা কোকিল থেকে কাক মন্থর গতিতে বিবর্তিত হয়েছে। অনুরূপভাবে, বিড়াল ও বাঘ দেখতে একই রকম হওয়া সত্ত্বেও প্রমাণ ছাড়া কেউ জোর দিয়ে বলতে পারবেন না যে, বিড়াল থেকে বাঘ কিংবা বাঘ থেকে বিড়াল বিবর্তিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, যৌক্তিক ও বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি প্রজাতি থেকে মন্থর গতিতে নতুন একটি প্রজাতি বিবর্তিত হওয়া আদৌ সম্ভব নয়।



যাহোক, একটি প্রজাতি থেকে ভিন্ন একটি প্রজাতি মন্থর গতিতে বিবর্তিত হয়ে থাকলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন দুটি প্রজাতির মধ্যবর্তী পর্যায়ে অসংখ্য জীবাশ্ম থাকার কথা। যদিও মধ্যবর্তী প্রজাতিগুলো যে কেমন হবে, কে জানে! কিন্তু বাস্তবে তা তো দেখা যায় না। সাধারণ মানুষকে দুটি প্রাণীর মধ্যবর্তী পর্যায় বুঝানোর জন্য হারুন ইয়াহিয়ার এক বইয়ে নাকি একটি ড্রয়িং দেখানো হয়েছে। অথচ প্রফেসর ডকিন্স এই ধরণের মধ্যবর্তী পর্যায়ের ড্রয়িং-কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বেশ হাস্যকর হিসেবে উপস্থাপন করে অন্ধ ভক্তদের থেকে হাততালি আদায়ের চেষ্টা করেছেন। ভাবসাব দেখলে মনে হবে যেন প্রফেসর ডকিন্স জীবনেও কখনো ‘মধ্যবর্তী পর্যায়’ বা ‘মিসিং লিঙ্ক’ বলে কিছু শোনেননি! উনি কোনো ভাবেই এই অভিনয় করতে পারেন না। কেনোনা এটি বিবর্তনবাদীদেরই দাবি, অন্য কারো নয়। নিজের হাস্যকর বিশ্বাস নিয়ে বিপদে পড়ে পিছুটান দিলে কীভাবে হবে, প্রফেসর ডকিন্স!



বিবর্তনবাদীরা নিজেরাই জানেন যে, দুটি প্রজাতির মধ্যবর্তী পর্যায়ের একাধিক জীবাশ্ম পাওয়া যেমন অসম্ভব তেমনি আবার মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগের কিছু জীবাশ্ম বা জীবাশ্মের অংশবিশেষ দিয়ে নিজের মতো ড্রয়িং করে বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে প্রমাণ করাও সম্ভব নয়। এটি আর যা-ই হোক বিজ্ঞান নয়! কিন্তু প্রফেসর ডকিন্সের মতো বিবর্তনবাদীরা এই বাস্তবতাকে স্বীকার না করে উল্টোদিকে তাদের নিজেদের দাবি নিয়েই হাসি-তামাশা করে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন! যেখানে পুরো বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে কাল্পনিক ড্রয়িং-এর মাধ্যমে দেখিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের নামে আমজনতাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সেখানে তাদেরই একটি দাবিকে ড্রয়িং-এর মাধ্যমে সহজভাবে বুঝাতে গেলে হাসি-তামাশা করা হয়! এ কেমন আত্মপ্রতারণা, প্রফেসর ডকিন্স! আপনাদের হাসি-তামাশা যে আপনাদের দিকেই বুমেরাং হচ্ছে সেটা কি বুঝতে পারছেন!



আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে প্রথম অণুজীব থেকে শুরু করে এ-পর্যন্ত কত মিলিয়ন ধরণের জীব-জন্তু ও উদ্ভিদ যে এই পৃথিবীতে এসেছে তার কোনো হিসাব নাই। ফলে একটি প্রজাতি থেকে নতুন একটি প্রজাতি বিবর্তিত হতেই যদি লক্ষ লক্ষ বা মিলিয়ন মিলিয়ন বছর লেগে যায় তাহলে মিলিয়ন মিলিয়ন প্রজাতি বিবর্তিত হতে যে কত সময় লাগতে পারে সেটা কিন্তু সহজেই অনুমেয়। অথচ এই পৃথিবীর বয়স মাত্র পাঁচ বিলিয়ন বছরের মতো। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে বিজ্ঞানই কিন্তু তাদের অন্ধ বিশ্বাসকে ধরাশায়ী করছে।



বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে প্রমাণ করতে হলে জীবাশ্ম দিয়েই প্রমাণ করতে হবে। কেনোনা একটি প্রজাতি থেকে ভিন্ন একটি প্রজাতির মন্থর গতিতে বিবর্তনের যে অস্বাভাবিক গল্প শুনানো হচ্ছে সেগুলো আসলে অতীত ঘটনা। এই অতীত ঘটনাগুলোকে প্রমাণ করতে হলে জীবাশ্ম ছাড়া অন্য কোনো যৌক্তিক পন্থা নেই। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে শত চেষ্টা করেও তারা ফসিল দিয়ে কিছুই করতে পারেননি। এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে পেরে তারা নিও-ডারউইনিজম এর উপর গুরুত্ব দেয়া শুরু করেছেন; যার সাথে, প্রফেসর ডকিন্সের দাবি অনুযায়ী, চার্লস ডারউইনের তত্ত্বের নাকি তেমন কোনো সম্পর্কই নেই!

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৬/-২৪

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১১

ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: প্রফেসর ডকিন্সের দাবি অনুযায়ী, চার্লস ডারউইনের তত্ত্বের তেমন কোন সম্পর্কই নেই........
.....
প্রফেসর ডকিন্স দোষ করলে দোষ না, দোষ শুধু হারুন ইয়াহিয়া আর ডঃ জাকির নায়েকের ।
.......

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৬

এস. এম. রায়হান বলেছেন: তারা ঠিক তেমনই ভাবে।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

শুভ রহমান বলেছেন: আপনি যে কথাবার্তা বলছেন (ফসিল নিয়ে) তা উনিশ শতকের শেষদিকে বেশ জোড়দার যুক্তি ছিল। তখন ফসিল রেকর্ড কম ছিল। যতই ফসিল রেকর্ড পাওয়া গেছে ততই তা বিবর্তনবাদকে জোড়দার করেছে। রেফারেন্স সূচনা, আইজ্যাক আসিমভ, রোদেলা প্রকাশনী।

তবে হারুন ইয়াহিয়া, মরিস বুকাইলি টাইপের বইতে আমি আপনার অনুরূপ বক্তব্য পেয়েছি। 8-|

বেশ, ধরে নিলাম ফসিল রেকর্ড দিয়ে বিবর্তনবাদ মেনে নেয়া যাচ্ছে না।

তাহলে বলুন বিভিন্ন শিলা স্তরে যখন অনুসন্ধান চালানো হয়;
যখন ক্রমে নিচের শিলা স্তরে অর্থাৎ প্রাচীন শিলাস্তরে ক্রমাগত কাছাকাছি দেখতে ফসিল পাওয়া যায়;
যাদের স্বরূপের বাস্তব অস্তিত্ব আজকের পৃথিবীতে দেখা যায় না বা
উপরের অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত আধুনিক শিলাস্তরে পাওয়া যায় না,
এই ধরণের আদিম জীবনের কিংবা
ফসিলের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা কি??

অনুগ্রহ করে একটি ব্যাখ্যা দিন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "যতই ফসিল রেকর্ড পাওয়া গেছে ততই তা বিবর্তনবাদকে জোড়দার করেছে।"

- তাই নাকি!

"তবে হারুন ইয়াহিয়া, মরিস বুকাইলি টাইপের বইতে আমি আপনার অনুরূপ বক্তব্য পেয়েছি।"

- বিবর্তনবাদ পড়ানোর পাশাপাশি আপনাদেরকে তাহলে ভালয় মস্তক ধোলায় করা হচ্ছে।

"বেশ, ধরে নিলাম ফসিল রেকর্ড দিয়ে বিবর্তনবাদ মেনে নেয়া যাচ্ছে না। তাহলে বলুন বিভিন্ন শিলা স্তরে যখন অনুসন্ধান চালানো হয়;
যখন ক্রমে নিচের শিলা স্তরে অর্থাৎ প্রাচীন শিলাস্তরে ক্রমাগত কাছাকাছি দেখতে ফসিল পাওয়া যায়; যাদের স্বরূপের বাস্তব অস্তিত্ব আজকের পৃথিবীতে দেখা যায় না বা উপরের অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত আধুনিক শিলাস্তরে পাওয়া যায় না, এই ধরণের আদিম জীবনের কিংবা ফসিলের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা কি??"

- আপনার এই দাবি নিয়ে বিতর্কে না যেয়েও প্রশ্ন হচ্ছে, তার মানে কি প্রমাণ হচ্ছে যে একটি প্রজাতি থেকে ভিন্ন একটি প্রজাতি বা একই প্রজাতির মধ্যে একটি প্রাণী থেকে ভিন্ন একটি প্রাণী ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে?

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪০

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "বেশ, ধরে নিলাম ফসিল রেকর্ড দিয়ে বিবর্তনবাদ মেনে নেয়া যাচ্ছে না। তাহলে বলুন বিভিন্ন শিলা স্তরে যখন অনুসন্ধান চালানো হয়; যখন ক্রমে নিচের শিলা স্তরে অর্থাৎ প্রাচীন শিলাস্তরে ক্রমাগত কাছাকাছি দেখতে ফসিল পাওয়া যায়; যাদের স্বরূপের বাস্তব অস্তিত্ব আজকের পৃথিবীতে দেখা যায় না বা উপরের অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত আধুনিক শিলাস্তরে পাওয়া যায় না, এই ধরণের আদিম জীবনের কিংবা ফসিলের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা কি??"

- এগুলো কি মিসিং লিঙ্ক নাকি পূর্ণাংগ প্রজাতি?

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৯

শুভ রহমান বলেছেন: তার মানে কি প্রমাণ হচ্ছে যে একটি প্রজাতি থেকে ভিন্ন একটি প্রজাতি বা একই প্রজাতির মধ্যে একটি প্রাণী থেকে ভিন্ন একটি প্রাণী ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে?

-যদি তা নাই হয় তাহলে বিভিন্ন শিলাস্তরে কাছাকাছি গঠনের জীবের ব্যাখ্যা কি?
ফসিল রেকর্ড হতে প্রজাতির পরিবর্তনের ব্যাখ্যা আপনি উড়িয়ে দিয়েছেন। সুতরাং ফসিল রেকর্ডের অন্য ব্যাখ্যা দেওয়ার দায়িত্ব আপনারই।

(অফটপিক: লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সময় প্রচলিত ধারণা ছিল শয়তান ঈশ্বরের সৃষ্টির অনুকরণের ব্যার্থ প্রচেষ্টার নিদর্শন এগুলি। ভিঞ্চি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন যে এ প্রায় অনুরূপ কিন্তু বিকৃত প্রাণীগুলো আগে ছিল, পরে ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু এ ধারণা তাত্ত্বিকেরা মধ্যযুগে গ্রহণ করে নি যে তা হলে স্রষ্টার সৃষ্টি কুশলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।)

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "যদি তা নাই হয় তাহলে বিভিন্ন শিলাস্তরে কাছাকাছি গঠনের জীবের ব্যাখ্যা কি?"

- এর ব্যাখ্যা যে কী সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু আমার প্রশ্ন যৌক্তিক কি-না সেটা আগে দেখতে হবে। যদি যৌক্তিক হয় তাহলে আপনি বলতে পারবেন না যে, এই কারণেই একটি প্রজাতি থেকে ভিন্ন একটি প্রজাতি বা একই প্রজাতির মধ্যে একটি প্রাণী থেকে ভিন্ন একটি প্রাণী ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে। ঠিক কি না?

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২১

শুভ রহমান বলেছেন: অফটপিক ২: বারবার মগজধোলাই এর উল্লেখ ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে পড়ে। আমি যা পড়ি, যা বুঝি ও যা বলি তার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনিই কিন্তু অযাচিতভাবে হারুন ইয়াহিয়া আর মরিস বুকাইলিকে টেনে নিয়ে এসেছেন। ভাবখানা যেন এমন, তারা ছাড়া বিবর্তনবাদ তত্ত্বের বিরুদ্ধে আর কেউ লিখে না।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২৮

শয়তান বলেছেন: এই পোষ্টেও কি রেকর্ড হৈবেক :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: মানুষরূপী শয়তানরা চেষ্টা করলে হতেও পারে। :D

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩৭

দন্ডিত বলেছেন: আপনার অধ্যাবস্যায় প্রশংসনীয়।:)

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ক্রেইগ ভেন্টার নামের একজন লোক আছেন, উনার নাম কি শুনেছেন? উনি একটা কিছু নিয়েকাজ করছেন, যার সফলতা মোটামোটি খুব কাছেই, অহংকার বা ঔদ্ধত্য কমিয়ে একটু পরে দেখবেন আর এই সব তাত্বিক হামবড়া হকিন্স নিয়ে না মাতলেও চলবে যদিও এখনো বলেননি ডকিন্স নিজে কেনো জীনএভুলেশন মানে জেনেটিক বিবর্তনবাদ তত্ব দিলেন?

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৩

মনির হাসান বলেছেন:

তবে হতাশ হইয়েন না । খোদার উপর তোয়াক্কেল রাইখেন । (আচ্ছা ভালো কথা, তোয়াক্কেল জিনিষটা কি?)

যাই হোক ... আপনে নাকি কয়েকজনরে ব্লক করছেন ? এইটা আপনার কাছ থেকে আশা করি নাই ... তাও এমন কয়েকজনকে করেছেন ব্লগে যারা বেশ প্রতিষ্ঠিত ...

এভাবে চালালে আখেরে আপনারই ক্ষতি হবে ।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমি নিজের খেয়ে ও অবসরে ব্লগে একটু-আধটু সময় দেই। ফলে হতাস হওয়ার বিন্দুমাত্র কোন কারণ নাই। আর আখেরে কী হবে সেটা পড়ের কথা। কিন্তু যারা দীর্ঘ এক থেকে দেড় বছর ধরে আমার ব্লগে এসে লেখা ছেড়ে একইভাবে ব্যক্তি আক্রমণ ও লাদাতে থাকে তাদেরকে ব্লক করা ছাড়া অন্য কোন গতি নাই। অনেক সময় ও সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোন রকম উন্নতি হয়নি। কথায় বলে, দুষ্ট গরুর চেয়ে নাকি শূন্য গোয়ালই ভাল!

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৫

শুভ রহমান বলেছেন: তাহলে ফসিলের ব্যাখা দিতে পারছেন না? ভিন্ন প্রশ্ন বলে পাশ কেটে যাচ্ছেন?

আপনার ফসিল সম্পর্কিত বক্তব্য অযৌক্তিক। কেন, তার কারণ
১) অতি সরলীকৃত শিশুতোষ চিন্তাভাবনা।
২) আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে বলছেন সেগুলো নিয়েই জানেন না। যেমন, বিবর্তনের ভুল সংজ্ঞা (পোস্ট ৪), ফসিল সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ব্যাপারে ফ্যাক্টগুলো যে আপনি জানেন না তা আপনার বক্তব্যগুলো পড়লে বোঝা যায়। ফসিলের ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না, অথচ সেখান হতে প্রাপ্ত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন!

শুধু ফসিল বিষয়ে ফ্যাক্টগুলো নিয়ে লেখতে হলে কয়েকটা পোস্টেও কুলাবে না। তাই এখানে দিচ্ছি না। শুধু এটুকু বলে রাখি, আপনি ভিন্ন প্রশ্ন বলে যেখানে এড়িয়ে গেলেন, সেখানেই বিবর্তনের একটি রূপ লুকিয়ে আছে, সেখানেই এর জবাব।


বিবর্তন নিয়ে আগ্রহীরা জানুন, অন্তত যৌক্তিক ভাবে বিরোধিতা করার জন্যেও!
ডাউনলোড করুন "বিবর্তনের পথ ধরে"

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনি তো তৃতীয় পর্বের একটি যুক্তিও খন্ডন করতে পারেননি। আর তৃতীয় পর্বের যুক্তিগুলো যদি খন্ডন করতে না পারেন তাহলে বিবর্তনবাদের আর কী থাকে! এমনকি এই পর্বেও সময়ের ব্যাপারটাকে এড়িয়ে গেছেন।

'ভিন্ন প্রশ্ন' বলে আমি পাশ কেটে যাচ্ছি না। আমি কী বুঝাতে চেয়েছি সেটা আগে বুঝার চেষ্টা করুন। আপনার উল্লেখিত ফসিলের ব্যাখ্যা না জানা মানে এই নয় যে, একটি প্রজাতি থেকে ভিন্ন একটি প্রজাতি ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে। আপনি তো যুক্তি বুঝার চেষ্টা করেন না।

আমি কোথায় বিবর্তনের ভুল সংজ্ঞা দিয়েছি সেটা সেখানে না বলে এত পরে এসে এখানে বলছেন কেন। আপনি যদি রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করে দিতে পারেন যে আমি বিবর্তনের ভুল সংজ্ঞা দিয়েছি তাহলে আমি আমার লেখাকে এডিট করবো। এখানে তো তর্কাতর্কির কিছু নাই, তাই না?

আপনার লিঙ্কের বই থেকে বিবর্তনের গল্প অনেক আগেই পড়েছি।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২০

সাহোশি৬ বলেছেন: শুভ, নালায়েক, নামাকূল, এই মাইক্রোবায়োলজীর মুরতাদ টিচাররা তোমাদের মত বাচ্চাদের মাথাটা চিবিয়ে খেয়েছে। নাউজুবিল্লাহ।

তোমার এত স্পর্ধা তুমি হযরত শাহ সুফি বাবা হয়রানপুরিকে সাওয়াল কর? তাও আবার বিবর্তনবাদের মতো একটা অপবৈজ্ঞানিক আইডিওলজী নিয়ে?

শুনে রাখ নামাকূল, আজ থেকে বাবা হয়রানপুরি যেটা বলবেন সেটাই বিজ্ঞান আর বাকি সব অপবিজ্ঞান। কোনটা বিজ্ঞান আর কোনটা বিজ্ঞান নয় সেটা জানার জন্য তোমাকে বাবা হয়রানপুরির বাইয়্যাত নিতে হবে।

মাশাআল্লাহ, সুবহানোয়াতালা বাবা হয়রানপুরিকে এত জ্ঞান দিয়েছেন বলেই আজ আমাদের চক্ষু খুলে গেল, নইলে আমাদের মতো নালায়েকদের অপবিজ্ঞানকেই বিজ্ঞান মনে করে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে হতো।

বাবা হয়রানপুরি আপনার জয় হোক।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪০

এস. এম. রায়হান বলেছেন: লেখা ছেড়ে বারবার ব্যক্তি আক্রমণের জন্য আপনাকে এবার ব্লক করা হলো। এমনকি আলাদা পোস্ট দিয়েও ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন যেটি এই ব্লগের পরিপন্থি। গুরুজনেরা বলেছেন, দুষ্ট গরুর চেয়ে নাকি শূন্য গোয়ালই ভাল। আপনার ব্লগেও ইসলাম সম্পর্কে আপনার স্ট্যান্ড পরিষ্কার। আপনার মত কারো লাদি এই ব্লগে দরকার নাই। বাই।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৬

সাহোশি৬ বলেছেন: হযরত হয়রানপুরি,

আসসালাম। বাবা, আমি শুনিয়াছি যে আপনি নাকি কিছু নামাকূলকে আপনার ব্লগে ব্লক করিয়াছেন। বেশ করিয়াছেন। ঐসব মুরতাদদের এত সাহস, আপনার ব্লগে এসে আপনাকে প্রশ্ন করে? নাউজুবিল্লাহ।

বাবা, আপনার দরবারে আমি বিনীত নিবেদন পেশ করিতেছি, আপনার দরাজ দিলে মেহেরবানী করে আমার মত নালায়েককে স্থান দিবেন। আমার আগেকার যত বাত্তামিজি সব মাফ করে দেবেন এবং আপনার প্রতি আমার একান্ত আর্জি, আপনি আমাকে ব্লক করিবেন না। আমি আপনার মুরিদ হয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই।খক মওলা। জয় বাবা হয়রানপুরি।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমি এককালে এইসব ব্লগীয় প্রানীদের বিবর্তনের বহুত চেষ্টা করেছিলাম। এখন এদের ভুল শোধরানোর ইমানী জোস পাচ্ছি না।

আপনে চালায়া যান, এইসব বিনোদনমূলক পোস্ট না থাকলে ব্লগে মজা নাই।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫০

ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: সাহোশি পাত্তা পায় না তো, এখন, আমার ব্লাগেও গিয়ে গেঞ্জাম লাগাইতাছে । অরে পাত্তা দিয়েন না । শুধু ব্যক্তি আক্রমন করে ।

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০০

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আসলে এই পোস্টের সিরিজগুলো এতই আবাল গোত্রীয় যে এখানে যাই লিখা হবে তা লেখকের কাছে ব্যক্তি আক্রমন মনে হবে। লেখকের নিজের ব্যক্তিত্ব অবশ্য এখনও পোস্টের স্তরেই রয়ে গেছে :)

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার কুশ্চেন গুলান তার উত্তর পাইলো না!

১৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৬

শয়তান বলেছেন: ব্যক্তি আক্রমনের নয়া ভুঙভাঙ সংজ্ঞা তৈরি হৈছে এই লেখকের কল্যানে । কৈ যাই এতো রাইতে =p~ =p~ =p~

১৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৬

চার্লস চ্যাপলিন বলেছেন: ছাগোলুর রহমান

১৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৮

শুভ রহমান বলেছেন: যাদের মাথা গরম হয়ে গেছে তাদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞাপন বিরতী

সিক্রেট গার্ডেন শোনেন, মাথা ঠান্ডা হয়ে যাবে।

(একটি হিট বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প। বলা যায় না, মাইনাসও বাড়তে পারে!)

১৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২১

দেশীসাইকো বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো পড়ে সন্দেহ জাগে ,
আপনি কি সবার সঙ্গে মজা করছেন ।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৬

এস. এম. রায়হান বলেছেন: কথায় বলে না, রতনে রতন চেনে।

২০| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪০

শুভ রহমান বলেছেন: বিশ্মিত হলাম! B:-/
বিবর্তনের গল্প পড়েছেন, অথচ তথ্য দিচ্ছেন ভুল!! এমন এমন বক্তব্য দিচ্ছেন যা বিবর্তনের তত্ত্বে বলা নেই। গত কয়েকদিনের কমেন্টে যে সব "সিলি মিসটেক" উঠে এসেছে তা তে তো মনে হয় না বিবর্তনে কি বলে তাই বোঝেন।


অফ টপিক ৩ : বিবর্তনের সংজ্ঞার ভুল ধরিয়ে দিয়েছি কি না গত দিনের পোস্ট দেখেন। আর পোস্ট ৩ এ আমার আগের কমেন্টগুলা কোথায় গেল?

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনার লেখা শতভাগ অভ্রান্ত কি-না জানি না তবে আমার লেখাকে শতভাগ অভ্রান্ত বলে দাবি করি না। আপনি পারলে আমার লেখা থেকে সরাসরি উদ্ধৃতি দিয়ে ভুল ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। এমনি এমনি বলে তো কোন লাভ নাই।

গত পর্বে বিবর্তনের সংজ্ঞাকে ভুল বলেছেন কিন্তু সঠিক সংজ্ঞা কী হবে সেটা তো বলেননি।

পর্ব-৩ যে পোস্ট করার পর-পরই মুছে দেয়া হয়েছে সেটা তো বলাই হয়েছে। সেখানে আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকলে সেটাও মুছে গেছে। তবে আপনি তো মনে হয় একই মন্তব্য আবার করেছেন।

২১| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:৫৬

ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: শুভ রহমান ,
Could you Please say which book is standard for evolution ? If anyone writes about evolution, You will say "where do you find it?" . As example: ডকিংস কেডা ? হে কইলেই কি সব ঠিক ? Or ওরজিন অব স্পিসিস, এই বই অনেক পুরান এখন বিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে ? Or যখন ফসিল বিদ্যার কোন নুতুন ফসিল নিয়ে আপনাদের সমালোচনা করা হয় তখন বলেন , আনবিক জীব বিদ্যা বুঝতে হবে আবার যখন আনবিক জীব বিদ্যার সমালচনা করা হয় তখন বলেন ফসিল বিদ্যা বুঝতে হবে । কি অদ্ভুদ ? :) :) :) :) :) :) :) :) :)
যাইহোক, সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না ?
বিবর্তন বিশ্বাস না বিজ্ঞান , অতএব সমালোচনা হবেই । আমি বলি না বিবর্তন ভুল । কিন্তু, আপনাদের সমালোচনা সহ্য করতে হবে । সহ্য করতে শিখুন । ব্যক্তি আক্রমন কইরেন না । আর যদি বলেন বিবর্তন বিশ্বাস , তাহলে আমাদের কিছুই বলারই থাকে না ;) ;) ;) ;) ;)

২২| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:২২

দন্ডিত বলেছেন: @ফুয়াদ এখানে কোথায় আণবিক জীববিদ্যার ভুল ধরাইয়া দেয়া হইল খুইজা পাইলাম না:)

রায়হান সাব

আপনি চালায়া যান, এইসব বাজে লোকের কথায় কান দেবেন না।

অট: আপনার কি বই প্রকাশের ইচ্ছা আছে? ৯৯৯টা জোকস এবং একটা ফাও শিরোনামে বই ছাপনের ইচ্ছা থাকে তাই আহসান হাবীবের সাথে যোগাযোগ কইরেন:)

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনিও লেখা ছেড়ে পাঠকদেরকে বিনোদন দিতে থাকুন। ব্লগে দু-একটি চিড়িয়া না থাকলে পাঠকরা আবার বিনোদনের অভাবে ব্লগ ছেড়ে যেতে পারে।

২৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:২৬

ম্যাভেরিক বলেছেন: আমার মনে হয়, পোস্ট ও মন্তব্য আরো সুচিন্তিতভাবে লিখলে মানুষ সিরিয়াসভাবে ভাবে আপনার ব্যাখ্যা পড়বে এবং বিবেচনা করবে।

যেমন, আপনার "কাল্পনিক ড্রয়িং-এর ব্যাপারটা" অন্তত বিবেচনার দাবি রাখে, কারণ বিবর্তনবাদী শিল্পীরা আসলেই কাল্পনিক ড্রয়িং-এ সিদ্ধহস্ত, যা পরে বিজ্ঞানীরাও অনেক সময় তাদের যুক্তির সপক্ষে ব্যবহার করে থাকেন। এমনও ঘটেছে, কোনো এক প্রাণীর একটিমাত্র হারানো দাঁতের উপর ভিত্তি করে, ঐ প্রাণীর সম্পূর্ণ, লোমশ, মানবীয় দেহ, তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ের ছবিও আঁকা হয়েছিল! প্রাণীটির নামও দেয়া হয়, নেব্রাস্কা ম্যান। পরে প্রমাণিত হয়, মানুষটি আসলে প্রাচীন, শুকর গোত্রীয় এক প্রাণী। মজার ব্যাপার হলো, যারা এ ভুলটি করেছিলেন, তারা সাধারণ নয়, বরং বিখ্যাত মানুষই ছিলেন।

তবে আপনার মন্তব্যে আরো সহনশীলতা আশা করছি। বিশ্বাস মানুষের নিজস্ব ব্যাপার; আপনি চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু মানুষকে "ভাষার সুর দিয়ে" দূরে সরিয়ে দেয়ায় মানবিক ও বিশ্বাসগত দিক থেকে কোনো উপকার নেই।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: মাত্র দু-এক জন ছাড়া আপনি যদি প্রথম পর্ব থেকে মন্তব্যগুলো দেখেন তাহলে স্পষ্টতই বুঝতে পারবেন যে তারা লেখা ছেড়ে স্রেফ বিরোধীতার খ্যাতিরে গালাগাল ও আবোল-তাবোল মন্তব্য করে যাচ্ছে। এই ধরণের মন্তব্যের যেমন যৌক্তিক কোন জবাব হয় না তেমনি আবার এক সময় সহনশীলতার বাঁধও ভেঙ্গে যেতে পারে। এদেরকে গদাম দেয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই, যদিও আমি সহসা তা করি না। তারা তো যে কোন ধর্মাবলম্বীদের চেয়ে বেশী উগ্র ও গোঁড়া। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৩

শুভ রহমান বলেছেন: গত পর্বে বিবর্তনের সংজ্ঞাকে ভুল বলেছেন কিন্তু সঠিক সংজ্ঞা কী হবে সেটা তো বলেননি।

আমার মহা ভুল হয়ৈছে। মাফ চাই। তবে আমি মনে হয় বলেছিলাম আপনার সংজ্ঞা আর জীবনচক্রের সংজ্ঞার মাঝে অদ্ভূত মিল আছে।

আপনিতো ফসিলের ব্যাখ্যাকে ভুল বলছেন। সে ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যাখ্যা তো দেন নি।


(এই তো ক্যাবজা লাগচে......)

আমি কিছু ভুল ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা মনে হয় করেছিলাম, আপনি যে উত্তর দিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট!


@ ফুয়াদ : বিবর্তনবাদ সম্পর্কে সাধারণ ধারণার জন্য এ বিষয়ে লেখা যে কোন জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বইই প্রাথমিক যথেষ্ট বলে মনে করি। আর আপনি যে ঘটনার কথা বললেন তা মনে হয় আমার কথা না...

@ ম্যাভেরিক: আপনার কথা সত্য। বিজ্ঞানের জগতে এ রকম উদ্দেশ্যমুলক ড্রয়িঙের কথা আমিও পড়েছি। শুধু ড্রয়িঙ কেন, মিসিং লিঙ্ক নামে কৃত্রিম ফসিলও তৈরি করা হয়েছে। তবে এ ধরণের ঘটনাকে আমি মূলধারার চর্চার বাইরে বলে ধরি। ড্রয়িং নিয়ে আমার খুব সামান্য পড়াশুনা। তবু বিষয়টা আমার কাছে খুব চমকপ্রদ মনে হয় যে কিভাবে সামান্য মাথার খুলি থেকে বোঝা যায় প্রাণী কিভাবে হাটতো। ইত্যাদি।।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনি কিন্তু এবার পিছলাইয়া যাচ্ছেন। আমি তো জীবনচক্রের সংজ্ঞা দেইনি! সাধারণ অর্থে বিবর্তন বলতে যা বুঝায় সেটাই কিছু উদাহরণের মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছি। কিন্তু আপনি আমার সংজ্ঞাকে ভুল বলেও সঠিক সংজ্ঞা দিচ্ছেন না।

আমি ফসিলের ব্যাখ্যাকে ভুল বলিনি। আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হচ্ছে আপনার উল্লেখিত ফসিল থেকে যে সিদ্ধান্তে পৌচেছেন সেটি কনক্লুসিভ বা এমনকি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নয়। আপনি সেখানে থেকে জোর দিয়ে বলতে পারেন না যে, সেই কারণেই একটি প্রজাতি থেকে ভিন্ন একটি প্রজাতি ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে।

২৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৭

শুভ রহমান বলেছেন:
আমি ফসিলের ব্যাখ্যাকে ভুল বলিনি। আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হচ্ছে আপনার উল্লেখিত ফসিল থেকে যে সিদ্ধান্তে পৌচেছেন সেটি কনক্লুসিভ বা এমনকি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নয়।

স্ববিরোধী কথা-বার্তার এক অপূর্ব নিদর্শন!

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৬

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনি বারবার আপনার কথা আমার মুখে গুঁজে দিয়ে আমাকে স্ববিরোধী প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। আমি প্রথম থেকেই একই কথা বলে আসছি। আমার মন্তব্যগুলো আবার পড়ে দেখুন। এই দেখুন আপনার ২ নাম্বার মন্তব্যের জবাবে আমি কী বলেছি:

আপনার এই দাবি নিয়ে বিতর্কে না যেয়েও প্রশ্ন হচ্ছে, তার মানে কি প্রমাণ হচ্ছে যে একটি প্রজাতি থেকে ভিন্ন একটি প্রজাতি বা একই প্রজাতির মধ্যে একটি প্রাণী থেকে ভিন্ন একটি প্রাণী ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে?

কী বুঝলেন?

২৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৬

শুভ রহমান বলেছেন: বিবর্তন নিয়ে আপনার সংজ্ঞা:
বিবর্তন মানে হচ্ছে পরিবর্তন বা ক্রমবিকাশ–এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর। যেমন অতি ক্ষুদ্র শুক্রাণূ ও ডিম্বানুর মিলন থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ একটি শিশুর রূপ ধারণ। শিশুর ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের রূপ ধারণ। অনুরূপভাবে, ক্ষুদ্র একটি বীজ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বিশাল একটি গাছের রূপ ধারণ।


ক্রমবিকাশ বুঝতে আপনি ভুল করেছেন। ক্রমবিকাশে জীবের কোন রূপ আবার ফিরে আসে না। কিন্তু ক্ষুদ্র বীজ হতে গাছের যে বিকাশ হয়, সেখান হতে আবার বীজ তৈরি হয়। এটা ক্রমবিকাশ না, জীবন চক্র।

অক্সফোর্ড অভিধান বলছে: দ্যা গ্রাজুয়াল ডেভলপমেন্ট অব প্লান্ট, এনিম্যাল; ওভার মেনি ইয়ারস অ্যাস দে এডাপ্টেড টু চেঞ্জেস ইন দেয়ার এনভাইরনমেন্ট ...

আকাশ পাতাল তফাত।

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৪

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনি আবারো একই ভুল করছেন। আমার লেখাতে জীবনচক্র নিয়ে কিছুই বলা হয়নি!

মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তার সাথে আমার উদাহরণের হুবহু মিল আছে। অথচ আপনি আমার সংজ্ঞাকে বারবার ভুল বলছেন কেন বুঝতে পারছি না। আমার তিনটি উদাহরণেই তো সময়ের সাথে গ্রাজুয়াল ডেভলপমেন্ট বুঝানো হয়েছে। যেমন শিশু থেকে ধীরে ধীরে পূর্ণবয়স্ক মানুষ। বীজ থেকে ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ একটি গাছ। ইত্যাদি। দেখতে পাচ্ছেন না?

২৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১০

শুভ রহমান বলেছেন: ক্ষান্ত দিলাম।

২৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১৬

ব্রুটাস বলেছেন: মেরা জীভান কুরা কাগাজ

২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৭

সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: panir opochoy rodh kora amader noitik dayitto.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.