নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একদিন মারা যাব, এই সত্যটা নিয়ে আমার খুব বেশি আক্ষেপ নেই। তবে, আমার মৃত্যুর পর আরও অসংখ্য অসাধারণ সব বই লেখা হবে, গান সৃষ্ট হবে, চলচিত্র নির্মিত হবে।কিন্তু আমি সে সব পড়তে, শুনতে কিংবা দেখতে পারবো না।এই সত্যটা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়।
জয়িতার কথা:
ঢাকায় জয়িতার ভাল লাগছে না। একটা শহরকে চার মাসে কতটা অপছন্দ করা যায়? যতটা করা যায়, জয়িতা ঢাকার উপর তার চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি বিরক্ত। নাহ, শহরের অস্থিরতা, জ্যাম বা নোংরা (আর নোংরামো) নয়, জয়িতার বিরক্তির মূল কারণ তার নতুন চাকরিটা।
জয়িতা যশোরের মেয়ে, খুলনা ভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে অনার্স করেছে। ফাইনাল পরীক্ষার পর অনেকটা খেয়ালের বশেই ঢাকার একটি পত্রিকায় সিভি সাবমিট করেছিল। তাই দৈনিক পূর্বাভাষ যখন তাকে প্রিলিমিনারি ইন্টারভিউর জন্য ডাকলো, জয়িতা প্রথমবারের মত ব্যাপারটা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে শুরু করলো। ক্রাইম রিপোর্টার জয়িতা আহমেদ; আহ, বলতেই তো ভালো লাগে! সত্যি সত্যি চাকরিটা হয়ে যাবার পর তার খুশির সীমা থাকবার কথা নয়, কিন্তু পরিস্থিতিটা দাঁড়ালো সম্পূর্ণ বিপরীত। জয়িতাকে ডেস্ক জব দেওয়া হলো। তার কাজ বিভিন্ন বিদেশী ওয়েবসাইট থেকে শোবিজের খবরগুলো বাংলায় অনুবাদ করে দেওয়া। তাই "কারিনার নতুন লেহেঙ্গা" অথবা "বিবারের পুরানো প্রেম" টাইপ নিউজ লিখে তার দিন কাটছে। ঢাকায় জয়িতার একদমই ভাল লাগছে না।
ঢাকায় থাকি :
কারওয়ান বাজার থেকে নাখালপাড়া। বেশি দূর নয়, আবার খুব একটা কাছেও নয়। এই পথটুকু জয়িতা রোজ হেঁটেই আসা-যাওয়া করে। সকালে সবার ব্যস্ত হয়ে যাওয়া আর সন্ধ্যায় তার চেয়েও ব্যস্ত হয়ে ফেরার দৃশ্য দেখতে জয়িতার ভালোই লাগে। কিন্তু বাকি সময়টুকু যেন কাটতেই চায়না। অবশ্য বাসায় থাকলে মিলি খালার সাথে গল্প করা যায়।
মিলি খালা জয়িতার আপন খালা নয়, এমনকি আত্নীয়ও নয়। জয়িতার নানাজান আর মিলি খালার স্বামী দুজনেই পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতেন। সেই সূত্রে চেনা আর আসা-যাওয়া। ইন্টারভিউয়ের সময় জয়িতা দুদিন মিলি খালার বাসায় ছিল। পরে খালা ফোন করে যখন শুনলেন চাকরিটা হয়ে গিয়েছে, নিজে থেকেই বললেন তার সাথে এসে থাকতে। মিলি খালার দুই ছেলে-মেয়ে, দুজনেই বিদেশে থাকে। বছর তিনেক আগে স্বামী মারা যাবার পর থেকে তিনি একলাই থাকেন। সুতরাং জয়িতার না করার কোন কারণ ছিল না।
মিলি খালার ১০৫০ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটটা নাখালপাড়ায়। দুটো বেডরুম আর একটা ড্রইং-ডাইনিং। বেডরুমের সাথে একটা বারান্দাও আছে। যে বারান্দায় মিলি খালাকে প্রায়ই বসে ছোট একটা উলের সোয়েটার বুনতে দেখা যায়। তার মেয়ে স্বামীর সাথে কানাডায় থাকে আর বড় ছেলেটা অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানেই এক বিদেশিনীকে বিয়ে থা করেছে, একটা ছেলেও হয়েছে সম্প্রতি। সোয়েটারটা সম্ভবত সেই নাতির জন্যই বোনা হচ্ছে।
ইউটার্ন:
বৃহস্পতিবার একটু রাত করেই ফিরছিল জয়িতা। সময় তখন প্রায় নয়টা। বাসায় যাবার পথে একটা বাজার পড়ে। সে বাজারের বাম পাশ দিয়ে একটা গলি চলে গিয়েছে। গলির মুখের কাছে বেশ কিছু মানুষের একটা জটলা। জয়িতার অনুসন্ধিৎসু "ডেস্ক" সাংবাদিক মন ঠেলে তাকে সেই জটলায় নিয়ে গেল। জানা গেল, গলির তিন নম্বর বাসায় নাকি এক লোককে খুন করা হয়েছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে, পাঁচ মিনিটের ভেতর চলে আসবে। জয়িতাকে আর পায় কে! খুব গম্ভীর মুখে "দেখি সরুন, আমি পত্রিকার লোক" বলে ভীড় ভেদ করে বিল্ডিংটায় ঢুকে পড়লো।
দোতালায় উঠে রক্তের দাগ দেখেই বুঝে ফেললো কোন ঘরে যেতে হবে। ঘরের মুখেই পড়ে ছিল লাশটা। পুরুষ, বয়স ত্রিশের একটু নীচে। খালি গা, নীচে লুঙ্গি পড়া। লাশের সারা গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। গাল আর পেটের বাড়তি মাংস মৃতের খাদ্যপ্রীতির কথা জানান দিচ্ছে। রুমটা একদমই ছোট, বড়জোর বারো ফিট বাই আঠারো ফিট হবে। তবে ঘরটা বেশ গোছানো। রুমের এক কোনায় একটা সিঙ্গেল খাট আছে আর অপর পাশে একটা আলনায় বেশ কিছু ফর্মাল শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, লুঙ্গি ঝোলানো। আলনার নীচে একজোড়া ফর্মাল শু আর স্নিকার রাখা। খাটের পাশে একটা টেবিল। টেবিলে একটা ল্যাম্প, একটা ল্যাপটপ, দুটো পুরানো স্পিকার, দুটো চায়ের দাগ লাগা চামচ, একটা পিরিচ (পিরিচে একটা ভেজা টি ব্যাগ), একটা কফি মগ (তাতে চায়ের তলানি পড়ে আছে), একটা লেখার প্যাড আর কলম, মোবাইলের চার্জার, এক প্যাকেট সিগারেট, একটা লাইটার, একটা সিগারেট ভরা অ্যাশট্রে, একটা বড় দাঁতের চিরুনি, তিনটে বডি স্প্রে একটা ঘড়ি আর অনেক বই রাখা। বইগুলো বিভিন্ন বিষয়ের। সেখানে শেক্সপীয়ার থেকে শিবরাম, মীর মশাররফ থেকে আরজ আলী সবার বই আছে। জয়িতা বিসিএসের দুটো গাইড বইও দেখলো। আর সেই টেবিল আর খাটের পাশে অনেকটা ৪৫ ডিগ্রি কোণ সৃষ্টি করে লাশটা পড়ে আছে। হঠাৎ করে দেখলে যেন মনে হবে যেন ঘুমিয়ে আছে লোকটা। নষ্ট করার মত সময় হাতে নেই। জয়িতা ঝটপট মোবাইলে অনেকগুলো ছবি তুলে ফেললো। কি মনে করে লাগোয়া বাথরুম আর রান্নাঘরের সবকিছুরও ছবি তুললো। হঠাৎ করেই যেন চারপাশটা অনেক নীরব লাগলো জয়িতার কাছে। পরক্ষণেই বুঝতে পারলো কি হয়েছে। এতক্ষণ বাইরের সবার কথা শোনা যাচ্ছিল। জনতার সেই পিনপিন শব্দটা আর নেই। সম্ভবত পুলিশ এসে পড়েছে। জয়িতা নীচে নেমে এলো।
বাড়ির মালিক (দোতালার দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে তিনি থাকেন) পুলিশের ওসি'র সাথে কথা বলছেন। বাড়িওয়ালা হাজি আসমত আলী কথা বলতে ভালোবাসেন। তার দেওয়া অনেক তথ্যর মাঝে প্রয়োজনীয় যে কথাগুলো জানা গেল : যে ছেলেটা মারা গিয়েছে তার নাম রুলিন রহমান, একাই থাকতো। বাড়ি চাঁদপুরে, ঢাকায় বনানীর একটা গার্মেন্টসে চাকরি করতো। আসমত আলী মাগরিব আর এশার নামাজ একসাথে পড়ে বাসায় ফিরছিলেন। তখন আধখোলা দরজা আর রক্তের দাগ দেখে রুলিনের রুমের ভেতরে ঢুকেন। পুলিশকে খবরটা তিনিই দিয়েছেন। রুলিন দুই বছর ধরে এই বাসায় আছে। খুব চুপচাপ ছেলে। বন্ধু-বান্ধব আসলেও তারা বেশিক্ষণ থাকতো না। এমনিতে ভাড়া নিয়ে কখনো সমস্যা হয়নি। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মাঝে রুলিন ভাড়া দিয়ে দিত (শুধু একবার রোজার ঈদের পরে ভাড়া দিতে দেরী করেছিল)। সবমিলায় রুলিন অনেক "কিলিয়ার" একটা পোলা।
ইউটার্ন টু:
ব্লগার "লীন" মারা গিয়েছে দুই সপ্তাহ হলো। পুলিশ আর কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া তো দূরে থাক, ভেতরেও ঢুকতে দেয়নি। আমজনতা খুন-খারাবি থেকে দূরে থাকলেও, এই জাতীয় নিউজ খুব "খায়"। তাই জয়িতার তোলা ছবিগুলো পত্রিকায় ছাপা হওয়ার সাথে সাথেই হটকেকে পরিণত হল। ফেসবুকে শেয়ার্ড হলো অসংখ্যবার। ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যাও রাতারাতি অযুতে গিয়ে ঠেকলো। জয়িতার ক্রাইম রিপোর্টার হবার স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে। সেইরাতেই একটা ফিচার লিখে ছবিগুলো অ্যাটাচ করে সম্পাদক সৌমিত্রদাকে মেইল করেছিল জয়িতা। পাঁচ মিনিট পেরোবার আগেই সৌমিত্রদার ফোন এলো : "নিউজটা তুমিই কাভার করো। ক্রাইমের আবীর তোমাকে অ্যাসিস্ট করবে। আর হ্যাঁ, গুড রাইট-আপ, জয়ী"। জয়িতা আর কিছু বলার আগেই ওপাশের লাইন কেটে গেল। সেই থেকে এই ঘটনাটা নিয়ে জয়িতা প্রতিদিন লিখছে। তাকে এই কাজে হেল্প করছে সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার আবীর চৌধুরী। এই প্রথম জয়িতার নাম সহ প্রথম পাতায় নিউজ যাচ্ছে, নিয়মিত!
শুক্রবার সকাল। জয়িতা বাসায় বসে ল্যাপটপে রুলিন রহমান হত্যাকান্ডের ফলো-আপ লিখছে। মিলি খালা রান্নাঘরে একটা বই পড়ছেন আর রান্না করছেন। সেই সাথে মাঝে মাঝে গুনগুন করে গানও গাইছেন। জয়িতা কিছুটা অবাক হলো। মিলি খালার বয়স পঞ্চাশের বেশি। এই বয়েসি কেউ সাধারণত বই দেখে রান্না করে না।
-"এই ছুটির দিনেও বসে কি লিখছিস রে, জয়ী?" রান্নাঘর থেকে বলে উঠলেন মিলি খালা।
-ক্রাইম রিপোর্টারের আবার ছুটি কিসের, খালা? যে সময় ক্রাইম হবে তখনি আমার ডাক পড়বে। সেদিন বাসার কাছে একটা খুন হলো না, ওটা নিয়ে লিখছি।
-"ও আচ্ছা।" বলে একটু থেমে মিলি খালা আবার বললেন "পুলিশ কাউকে ধরেছে নাকি রে? ইশ্, এতোটুকুন একটা ছেলেকে কে যে মেরে রেখে গেল!"
-হু, পুলিশ জামান হায়দার সামিরী নামে একটা ছেলেকে ধরেছে। রুলিনকে অনেকদিন থেকেই ফেসবুকে, টেক্সট করে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। রুলিন বেশ ভয়ও পেয়েছিল, কাজ না থাকলে বাইরে বের হতো না। সামিরীর বাসা থেকে পুলিশ ল্যাপটপ আর কিছু সিম পেয়েছে। রুলিনকে হুমকি দেওয়া আইডি আর সিম সবই সামিরীর। এছাড়া রুলিন খুন হবার আগে তার বাসার কাছে সামিরীকে নাকি বেশ কয়েকবার ঘোরাঘুরি করতেও দেখা গিয়েছে।
-"আর ওগুলো বুঝি রুলিন ছেলেটার বাসার ছবি?" জয়িতা রুলিনের বাসায় তোলা অনেকগুলো ছবি প্রিন্ট করেছে। খালা সেই ছবিগুলো দেখতে দেখতে জিজ্ঞেস করলেন। জয়িতার মামা ইউ.এস.এ থেকে জয়িতার জন্য বেশ দামী একটা ফোন পাঠিয়েছেন। সেই মোবাইলে বেশ ভালো ছবি উঠেছে। "ওর বাসার আর ছবি আছে?"
-হু আছে। বলে জয়িতা মোবাইলটা খালার দিকে বাড়িয়ে দিল। খালা নিবিষ্ট মনে ছবিগুলো দেখতে থাকলেন। জয়িতা রিপোর্ট লেখায় এত মনযোগী ছিল যে, খালার মতো পুরদস্তুর গৃহিণীর রুলিন রহমানের বাসার ছবি দেখতে চাওয়ার মাঝে যে অস্বাভাবিকতাটুকু আছে, সেটা তার নজরে পড়লো হলো না।
রিপোর্ট লেখা শেষ। গ্রেপ্তার হওয়া সামিরীর ছবি আর তার নীচে ডিবি পুলিশকে প্রশংসা করে দুটো লাইন লিখে, একটা আবেগী ফিনিশিং টানছিল জয়িতা। খালার একটা কথা শুনে তার আঙুল থেমে গেল।
-পুলিশ ভুল লোককে ধরেছে রে, জয়ী।
-মানে?!?
-এই ছেলে খুন করেনি।
-এ কথা কেন মনে হলো তোমার?
-দুটো চামচ দেখে।
-চামচে কি হয়েছে?
-ছবিতে দেখ কফি মগ একটা কিন্তু দুটো চামচ। দুটো চামচেই আবার চা শুকিয়ে যাবার দাগ রয়েছে।
-তাতে কি বোঝা গেল?
-তুই-ই না বললি রুলিন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় কি কেউ সামিরীর মতো অজানা একজনকে ঘরে এনে চা করে খাওয়াবে।
-"দুটো চামচে চা লেগে থাকার একশো একটা কারণ থাকতে পারে।" জয়িতার ভঙ্গিটা দেখে মনে হলো, মিলি খালা বুঝি সামিরী'র হয়ে ওকালতি করছেন।
-সেটা পারে। এছাড়া আরেকটা ব্যাপার আছে?
-কি?
-বলছি...এহহে কৈ মাছটা মনে হয় এসেছে। তুই একটু বস।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২
স্নিগ বলেছেন:
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬
আরজু পনি বলেছেন:
গাল আর পেটের বাড়তি মাংস মৃতের খাদ্যপ্রীতির কথা জানান দিচ্ছে।
বড় দাতের চিড়ুনি...
এতো সুক্ষ্ণ ব্যাপার উল্লেখ করাটা ভালো লেগেছে খুব ।
আমার অবস্থাও হবে মিলি খালার মতো...৫০ এ গিয়ে বই দেখে রান্না করবো...হাহাহা
কিন্তু শেষে এসেতো ধন্দে পড়ে গেলাম, রহস্য গল্প লেখার শুরু নাকি, স্নিগ?
পড়তে কিন্তু দারুণ লেগেছে ।
অপেক্ষায় যেনো বেশিদিন থাকতে না হয়...প্লিজ ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৬
স্নিগ বলেছেন: বলেছেন: ধন্যবাদ!
ঠিকই ধরেছেন, দিদি। রহস্য গল্প লেখার ইচ্ছে ছিল অনেকদিন থেকে। শরদিন্দুর মতো "সস্তা" লেখক হতে চাই।
গতকাল তাই শুরু করলাম।
আশা করি খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০০
আবু শাকিল বলেছেন: টান টান উত্তেজনা ।গল্প পড়ছি নাকি সিনেমা দেখছি বোঝা যায় না।যত পড়ছি তত ই ভাল লাগছে-
চূড়ান্ত ভাল লাগায় এসে দেখলাম - আগামী পর্বে সমাপ্য !!
এইডা কিছু হইল
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১
স্নিগ বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। রহস্য গল্প জীবনে প্রথম লিখছি, তাই উৎসাহ পেয়ে ভালো লাগলো।
আসলে ব্লগে বড় গল্প পড়তে গিয়ে অনেকসময় ক্লান্তি চলে। তাই দুইভাগে লিখছি।
লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। একটু জিরিয়ে নেবার সুযোগ পেলাম। আর এতে ক্লিফহ্যাঙ্গারের স্বাদটাও আসলো।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভাললাগা জানিয়ে গেলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকবো।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১২
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবন!
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২১
অপু তানভীর বলেছেন: এই টাইপের গল্প মাঝ পথ এসে থামিয়ে দেওয়া ঘোরতর অন্যায় ! আপনার নামে মামলা হয়ে যেতে পারে জানেন ?
জলদি শেষ করেন মিয়া !
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
স্নিগ বলেছেন: ঠিক আছে, ভাই। এইবারের মতো ঠান্ডা হন।
মামলার নাম শুনলে ডর লাগে।
শীঘ্রই পরের পর্ব লিখবো।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে পড়লাম । পরের পর্বের অপেক্ষায় । গল্পের নামটা গল্পটার সাথে ঠিক যাচ্ছে কি না বুঝলাম না .....।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
স্নিগ বলেছেন: আশা করি গল্পের শেষে এ দ্বন্দ্বের অবসান হবে
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৫
তানজির খান বলেছেন: দারুণ ভাল গল্প লিখেছেন। মনে হল কোন ডিটেকটিভ বই পড়ছি। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আগামী লেখার জন্য।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
স্নিগ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ খান সাহেব!
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৩০
এম এম করিম বলেছেন: আগাথা ক্রিস্টির মিস মার্পলের ছায়া পাচ্ছি, বিশেষ করে ঋতুপর্ন ঘোষের শুভ মহরত এর। জানিনা পরে কী হবে।
পুরো গল্প একবারে দিলে ভাল হত।
শুভকামনা নিরন্তর।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
স্নিগ বলেছেন: বাহ! মোক্ষম ধরেছেন। আমি অনেকদিন থেকেই মিসেস মার্পলিশ টাইপের একটা ক্যারেক্টার তৈরী করতে চাচ্ছিলাম।
এই লেখাটার শিরোনাম থেকে ন্যারেটিভ সব কিছুই আসলে ক্রিস্টির প্রতি আমার ট্রিবিউট।
শুভ মহরতের সাথে খুব বেশি মিলে যাচ্ছে কি? আমি খুব সচেতনভাবে চেষ্টা করছি চেনা কোন গোয়েন্দা গল্পের সাথে যেন মিলে না যায়। মিলে গেলে খুব লজ্জার বিষয় হয়ে যাবে।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ!
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫
হামিদ আহসান বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ...।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০
স্নিগ বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ, ভাই
১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাললাগা আর পরের পর্বের প্রতীক্ষা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ সারথিদা।
১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো। গল্প সুন্দর এগোচ্ছে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৬
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ। সবার উৎসাহ পেয়ে আসলেই ভালো লাগছে।
১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৬
টোটন বলেছেন: আপনার প্রত্যেক টি লেখা গুলি হেব্বি
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১
স্নিগ বলেছেন: আমার প্রতিটি লেখা পড়েছেন আপনি!
ধন্যবাদ
১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার লেখা পড়তে ভালো লেগেছে। প্রতিটা প্যারায় আলাদা করে ক্যাপশন টা ভালো হয়েছে
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!
১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: দ্রুত...
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৬
স্নিগ বলেছেন: আপনার আদেশ শিরোধার্য, হামা ভাই। তবে আমি যে স্লো
কমেন্টের রিপ্লাই দিতে গিয়েই খবর হয়ে যাচ্ছে
১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
ইমরান নিলয় বলেছেন: বাকীটা পরে একসাথেই বলি
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
স্নিগ বলেছেন: পরে পড়ে জানায়েন
১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: টান টান উত্তেজনা, দারুন লেখা ---- তারাতারি পরের পর্ব আসা করছি
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
১৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া!
১৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অপেক্ষায় ---
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
স্নিগ বলেছেন:
১৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
রিকি বলেছেন: নাম দেখে তো প্রেমের গল্প ভেবেছিলাম, হায় হায় রহস্যে টুইটুম্বর। চমৎকার ভাই---সামনের পর্বের অপেক্ষায়
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ!
২০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
মুনতা বলেছেন: আহ হা......এইডা হৈল কিছু
পরের পর্বের অপেক্ষায়...........
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫
স্নিগ বলেছেন: কি করবো বলেন? মাছ পুড়ে যাচ্ছিলো তো
পুরনো বন্ধু কোন ব্লগারের কমেন্ট পাবো এটা ভাবিনি। ধন্যবাদ মুনতা ভাই
২১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬
বিজন রয় বলেছেন: ভাল একটি লেখা পড়লাম।
++++
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
স্নিগ বলেছেন:
২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: বেশিক্ষণ বসতে পারবো না।
মিলি খালাকে তাড়াতাড়ি আসতে বলুন!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১২
স্নিগ বলেছেন: ওকে
২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮
মুনতা বলেছেন: অ.ট:
বাংলা মুভি রিভিউগুলোতে কমেন্ট করতে দিচ্ছেন না কেন?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
স্নিগ বলেছেন: ঐ লেখাগুলো আসলে মুখ ও মুখোশ ম্যাগাজিনে ছিল। সাইটটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ব্যাকআপ হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য সামুতে রেখে দিয়েছি।
২৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: দুর্দান্ত হইছে ভাই, চমৎকার ন্যারেশান, আর স্নিগহ্যাঙ্গারের জায়গাটাও সিরাম হইছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম.........
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৯
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ ফেলুডা!
২৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
কাউসার রুশো বলেছেন: এই টাইপের গল্প মাঝ পথ এসে থামিয়ে দেওয়া ঘোরতর অন্যায় !
গুড জব স্নিগ । চালিয়ে যান
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০
স্নিগ বলেছেন: থ্যাঙ্কস
২৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৪
ছাই তানিম বলেছেন: অনেক কাহিনী-কিচ্ছা কইরা, আমার বিলুপ্তপ্রায় সামু অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করলাম কমেন্টের উদ্দেশ্যে! যাই হোক, প্রথমেই বলি, রহস্য গল্প হিসেবে নামটা অসাধারণ। এরকম নাম কেন জানার আগ্রহেই পুরো গল্পটা পইড়া ফেলা যায়! আর, ছোটখাটো ডিটেইলিং গুলাও সুন্দর ছিলো। আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভালো লাগসে যেই ব্যাপারটা, সেইটা হইলো জয়িতা তো প্রফেশনাল গোয়েন্দা না, সেহেতু ওর গুরুত্বপূর্ণ ক্লু মিস কইরা যাওয়াটাই স্বাভাবিক! শেষের কথোপকথনে মিলি খালা যেই ক্লু টা ধরায় দিলেন- এই জিনিসটা দুর্দান্ত ছিলো! কুদোস, স্নিগ ভাই! পরেরটুকুর অপেক্ষায় রইলাম!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই!
২৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
ইঞ্জি মো:মারুফ হাসান বলেছেন: অস্বাভাবিক চমৎকার আরও পড়তে চাই পরের পর্ব কবে আসবে??
আর একটা সুন্দর ব্লগ সাইটের আমন্ত্রন রইল http://tunerpage.com/ ঘুরে আসবেন ভালো লাগবে আশা করি
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২
স্নিগ বলেছেন: পরের পর্ব শীঘ্রই আসবে। WIP
২৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার লেখা। পড়তে ভাল লাগছিল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
স্নিগ বলেছেন: গিরিডিতে এত কাজ ফেলে আমার ব্লগে ঘুরতে আসার জন্য ধন্যবাদ, প্রফেসর সাহেব!
২৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
আরজু পনি বলেছেন:
ওমা !
এতো দেখি সিনেমাখোরদের চাঁদের হাট বসেছে !
গল্পের প্লট দিয়ে তবে সিনেমাই হোক ...
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
স্নিগ বলেছেন: অনন্ত জলিল বলেছেন : মোস্ট ওয়েলকাম
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪২
আরজু পনি বলেছেন:
স্নিগ !
পড়া শুরু করে ভাবলাম প্রথম মন্তব্যটা মিস যেনো না হয়...