নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা নির্দিষ্ট গন্ডীর মাঝেইথাকতে চাই।।

সচেতনহ্যাপী

সচেতনহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজান আসছে, এবং এর করনীয় আর বাস্তবতা

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৫

পবিত্র রমজান দোড়গোড়ায়। ২/১ দিনের মাঝেই শুরু হয়ে যাবে শিয়াম সাধনার মাস। ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই অল্প। স্কুলে থাকতে এই ক্লাসটাতেই আমার অনুপস্থিতি নজরে পড়ার মত ছিল। আরবীতো পড়তেই পারতাম না। শুধু বিদ্যা জাহির করতাম অনুবাদে আর বাংলা অর্থে। তাই প্রারম্ভেই পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।যা লিখছি সবই টুকলিফাই করা।।

১.রমজান মাস মুসলিম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নবম এবং পবিত্রতম মাস।

২.কুরআনের প্রথম আয়াত এই মাসেই নাযেল হয়েছিলো।।

৩.শুধু খাবার থেকে বিরত থাকা নয়,অন্যায়,মিথ্যা,জোচ্চুরি সব থেকেই বিরত থাকতে হবে।

৪.শারীরিক এবং মানসিক রোগীদের বাধ্যতা থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে। এবং শিশুদের যারা প্রাপ্ত নয় তাদেরকেও।

৫.প্রতিবছর এটা জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে ১১দিন এগিয়ে আসে।

৬. এইমাসে মুসলিমগন অন্যান্য মাসের চেয়ে বেশী দান-ক্ষয়রাত করে থাকে। এবং উমরাহ্ হজ্জ ও করে থাকে।

৭. এই মাসে ইফতার পার্টির আয়োজনও বেড়ে যায়। এবং বিশেষ করে নিকট আত্মীয়রা কাছাকাছি আসবার সুযোগ পায়।

৮. বিশেষ করে হত-দরিদ্র মানুষদের জন্য এই একটা মাস একটু সুখ বয়ে আনে,সাধারন মানুষদের দান-খয়রাতের কারনে। অন্ততঃ বছরের তুলনায়।

৯. বেশীর ভাগ মানুষই বছরের অন্যান্য সময়ে খেজুর বা খোরমা না খেলেও ইফতারীর শুরু করেন এগুলি দিয়েই।

১০. রমজনের শেষ হয় ঈদের আনন্দ দিয়ে।

১১.ফরজ নামাযের বাহিরে এই মাসে আরেকটি ২০বা ১২ রাকআতের নামায পড়তে হয় মুসল্লীদের যা তারাবিহ্ নামে পরিচিত।

১২. রমজানের শেষ ১০দিনের মাঝে একটি রাত আসে যা,লায়লাতুল-ক্বদর নামে অভিহিত। এই একরাতের ইবাদত হাজার রাতের চেয়েও উত্তম।

১৩.মুসলিম এবং অমুসলিমদের মাঝে প্রথম যুদ্ধ যা বদর যুদ্ধ নামে অভিহিত,তা এই মাসেই সংঘটিত হয়েছিলো।

১৪. মুসলিমগন এমসেই মক্কা বিজয় সম্পন্ন করেন।

১৫. বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় এই একটা মাসেই মুসলিমদের মাঝে দয়া-দাক্ষিন্ন এবং সাহায্যের মনোবৃত্তির পভাব বেশী দেখা যায়।

১৬. রোজা অনেক রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে,এমন কি ডায়াবেটিসকেও।

১৭. সবশেষে এই মাস শুরু হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। সুতরাং পৃথিবীর সব দেশে যে একসাথেই শুরু হবে এমন কোন শর্ত নেই।

মোটামুটি এই আমাদের পবিত্রতম মাসের পর্যালোচনা। প্রতিটি আরব দেশেই ঈদের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয় এই মাসকে। অন্ততঃ আমার দেখা এবং জানামতে।

এখন আমাদের ভেবে দেখতে হবে কতটুকু সহীভাবে এই মাসটিকে আমরা পালন করে থাকি। শুধুই উপবাস না পুরো শর্তসহ?? আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক আমাদের উপর। আমীন।।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

আরজু পনি বলেছেন:

বাহ্ রোজার আগে রোজা সম্পর্কিত পোস্ট।
ভালো লাগলো।
সাথে করে নিয়ে গেলাম।

অনেক শুভকামনা রইল।।

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:০২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরজুপনি। ব্লগে আপনাদের মন্তব্য তথা ভ্রমন নূতনদের সত্যিই উৎসাহ যোগায়। ধন্যবাদ।
আর যা লিখেছি তা সত্যিই কি এতো প্রশংসা পাবার যোগ্য?
ভাল থাকুন সারাদিন,সারাবেলা।।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ.................

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.