নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা নির্দিষ্ট গন্ডীর মাঝেইথাকতে চাই।।

সচেতনহ্যাপী

সচেতনহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রবাস জীবন.................৬

২৯ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:০৩

অনেকদিন পর আবার প্রবাস জীবনের গল্প শুরু করলাম। কারন সবারই জানা উচিৎ অর্থের সাথে প্রবাসীদের দুঃখ-বেদনরও কথা। তা ছাড়া সময়ও হাতে প্রচুর,সেই ১০টায় ডিউটি। মাত্র ৪ঘন্টা। এরমাঝে প্রায় ২ ঘন্টা কাটবে ঘুমিয়ে। অর্থাৎ কাজের চাপ একেবারেই কম। তার উপর আমি আবার চীফবসের শুধু চমচাই না, তারচেয়ে একটু উপরে মানে" হাথা"। সুতরাং আমার লেজ ছোয়ারও অধিকার কারো নেই। করন তার হুকুম সে ছাড়া আর কেউ আমাকে দিয়ে কোন কাজ রাতে পারবে না। (প্রভাব বিস্তর র কাকে বলে)? জানি না এই সুখ র কতদন কপলে আছে??

কম্পানী থেকে মুক্ত হতেই নিজেকে জেলমুক্ত কয়েদী বলে মনে হলো। কোন বাধ্যবাধকতা নেই। নেই ফোর্যান তথা তার চামচাদের এটা করো,এভাবে চলো, সবচেয়ে বড় কথা ঘন্টায়,ঘন্টায় তল্লাসী। আর ইউনিফর্মের বেড়াজাল থেকে মুক্তি। এটা পড়লেই নিজেকে এতদিন কয়েদী বলে মনে হতো।

বেতন একলাফে ৩গুন হয়ে গেলো। শুধু সমস্যা হলো এতোদিনের সাথীদের ছেড়ে যেতে হবে। যারা এতদিন সুখে-দুঃখে,সমবেদনায় পাশে ছিল। তবে যাই হোক সবাই কিন্তু স্বাগত জানালো।

ব্যারাক ছেড়ে যাবার কথা মনে হতেই একটা গোপন ব্যাথা চিড়িক দিয়ে উঠতো। কিন্তু ছেড়ে যেতে হবে, তাই খুজতে হলো নূতন বাসা। খুজতে যেয়েই পরিচয় হলো রাশেদ, মিজানদের সাথে। মিজান পূর্ব পরিচিত। এলাকার ছোটঁ, একজন। দেশে চাচা বলে ডাকতো, এখানে এসে হয়ে গেলাম ভাই। বাপেরও ভাই ছেলের ও ভাই। এর পিছনে কাহিনী হলো, কম্পানীতে থাকাকালিন সময়ে আমি বন্ধের দিনগুলিতে এই কুয়েতে বাঙ্গালীদের মিলনমেলা শুক্রবারে কখনো মুরগাব নামক অঞ্চলে যাই নি। নিজেকে বন্দী করে রাখতাম ব্যারাের চারদেয়ালের মাঝেই। মুক্ত হবার দ্বিতীয় সপ্তাহে মুরাগাবের স্যুক মিছিলায় যেতেই হঠাৎ করে আমার নাম অর্থাত গুরুভাই বলে ডাক শুনে পিছন ফিরে দেখি নাসির,মিজান,জিদ্দিসহ সবাই দাড়িয়ে আছে। আমর কল্পনাতেও ছিল না যে, ওরা এখানে আছে। ফিরে তকাতেই সবাই একে একে বুকে জড়িয়ে ধরলো। দেশ থেকে এতদুরে নিজের এলাকার ছেলেদের পেয়ে আমিও আপ্লুত। কথা-বার্তার মাধ্যমে জানলাম নজরুল,আলম সহ আরো অনেকে আছে।। যদিও সবাই এক তসলিম,বেকারী মানে ঈসমাইল আর আন্ডা মানে মুকুল ছাড়া আর সবাই জুনিয়র। (যারা আমরা হোটেলে থাকলে,সেখানে ঢুকতোই না, আর আগে থাকলে আমরাই তাদের বিল পরিশোধ করতাম)।

সেই মিজান,রাশেদ,নুর ইসলামদের সাথে মিলে আমাকে রুম শেয়ার করতে হলো। প্রবাসে এতো বাছ-বিচার চলে না, তাই। এখানে মূল হলো অর্থের সংস্থান।।

আমিও সেই পথেই গেলাম। আজো আছি সেই ফ্লাটেই। কতলোক এলোগেলো। কিন্তু আমি রয়ে গেলাম সেই আমিই হয়ে।। আজ আমার প্রোমোশন স্যরি প্রবাসীদের প্রোমোশন হয় না কিন্তু ওয়াস্তা বা ব্যাকিয়্যংর জোরে বেতন বাড়ে,তাই বেড়েছে কিন্তু প্রমোশনের খবর নেই। আমিও এতেই খুশী এবং সুখীও।।

তারপর চলে এলাম খাইতান এলাকা থেকে ফরওয়ানিয়া এলাকায়। সাথে রাশেদ,মীজান,নূর ইসলাম সহকারে। সেই থেকে আডও আছি। মাঝখানে বদলে গেছে অনেক কিছুই। বদলে গেছে লোকজনও। আজ পাশের রুম দিতে হয়েছে সাবলেট । সব অন্ধ্র প্রদেশেষের । মিলেমিশে থাকতে হচ্ছে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

মধুমিতা বলেছেন: আপনার লেখাগুলো পড়লাম। দারূণ লাগছে। প্রাঞ্জল বর্ণনা। অনেকেই একটা সিরিজ শুরু করে কিন্তু শেষ করতে পারে না। আপনি চালিয়ে যাবেন আশা করি।

৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:১৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সাধারন ভাবেই লেখার চেষ্টা করছি। ভাল-মন্দ আপনাদের উপর নির্ভর করে। তবে এতো প্রশংসা পাবার যোগ্য আমি নই।
ভাবছিতো আজ পর্যন্ত লিখে যাবার, (যদি পাঠকদের ভাল লাগে)।
আমার ব্লগবাড়িতে ঘুরে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।।

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মধুমিতা বলেছেন চালিয়ে যেতে। আমিও তাই বলবো। অনেক কিছু বোঝার আছে প্রবাস জীবন নিয়ে আপনার লেখা থেকে।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী। লেখা কি বা কেমন হচ্ছে জানি না কিন্তু আপনাদের উৎসাহই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: প্রবাসের জীবনে দেশের মতো সেই বড় ছোট তাজিম-তমিজ ইত্যাদি মানতে গেলে চলে না। পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ সময় মানা সম্ভবও হয় না। সবার সঙ্গে মিশে যেতে পারলেই সব মান রক্ষা হয়। :D



-লিখতে থাকেন, এক সময় নিজেই টের পাবেন লেখা কেমন হচ্ছে।
ভালো থাকেন সব সময়।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। যারা একসময় আমাদের বসা দেখলে হোটেলেই ঢুকতো না। তারা সমানে হাসি-ঠাট্টা করছে,সিগারেট খাচ্ছে। বাস্তবতা বুঝে আমিই অনুমতি দিয়েছি। সাথে যারা প্রথম এসেছিল, সবাই জুনিয়র। বেচারারা কয়বার উঠে যাবে সিগারেট খেতে।তাই।
লিখছি ছুটির দিনগুলিতে একা থাকি। এখানে এলে পড়ে,লিখে সময়টা ভালই কাটে। আর মান নির্নয়ের ভার তো পাঠকদের হাতে।ধন্যবাদ।।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১২

আবু শাকিল বলেছেন: আমি আবুধাবী থাকি। প্রবাস এর জীবন নিয়ে আমরাই ভাল বোঝব।আরো লেখা চাই প্লিজ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তাহলে তো বুঝতেই পারছেন। ভাবছি আগামীপর্বে এখানকার কোম্পানীগুলি সম্বন্ধে লিখবো। মিলিয়ে দেখবেন। আবার আপনিও তো লিখতে পারেন।।ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

আজীব ০০৭ বলেছেন: সমবেদনা রইল....................।

ভালো থাকুন .............শুভকামনা..........

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সমবেদনা কেন ভাই!! এই প্রবাস যেমন নিয়েছে তেমনি দিয়েছেও অনেক। ধন্যবাদ।।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

আমি ইহতিব বলেছেন: শুধু প্রবাসে কেন বলছেন ভাইয়া, জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই ঝামেলাবিহীন ভাবে থাকতে চাইলে কত বাছ বিচার, পছন্দ অপছন্দ স্বাদ আহ্লাদ কত কিছু যে ত্যাগ করতে হয় তার শেষ নেই, আমরা মেয়েরা এটা বেশ ভালৈ জানি।

পরের পর্বে যাচ্ছি।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এটা ঠিক যে, এ ব্যাপারে আমাদের চেয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং ত্যাগ অনেক বেশী।
ধন্যবাদ এবং ঈদ মুবারক আমার কুখাদ্যগুলিকে গোগ্রাসে খাওয়ার জন্য(বিশেষ করে মানের ব্যাপারে)।।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: সব গুলি পর্ব পড়ে ফেল্লাম অনেক কিছু জানলাম ভাল লিখেছেন

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনার ধৈয্যের প্রশংসা করতেই হয়।। ধন্যবাদ ভাইটি।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.