নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা নির্দিষ্ট গন্ডীর মাঝেইথাকতে চাই।।

সচেতনহ্যাপী

সচেতনহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাক স্বাধীনতা,শার্লি হেবদো এবং পশ্চিম।।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৯

কোন ধর্মই হিংসাত্মক কার্যকলাপকে সমর্থন করে না।। (যদি না দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়), কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় অস্তিত্ব রক্ষার।।যেন কোন স্বাধীন দেশের নাগরিকদেরই অধিকার আছে মুক্ত বাক-স্বাধীনতার।।কিন্তু এর সংজ্ঞা এটা বলে না যে,তোমার এই স্বাধীনতা অন্যকে বা ধর্মকে আঘাত বা ছোট করার জন্য ব্যবহৃত হোক।।মুক্তমনের প্রকাশ এই নয় যে তা আরেকধর্মকে আঘাত করুক।।এটা অবশ্যই অগ্রহনযোগ্য।।প্রতিটি ধর্মেই তাদের প্রচার এবং প্রকাশের অধিকার রয়েছে কিন্তু তা অন্য ধর্মকে ছোট না করে।। রক্তে মিশে যাওয়া ধর্ম প্রতিটি নাগরিকের অধিকার।। একে অস্বীকার করার কিছুই নেই। না অস্বীকার করা যায় অতিবড় নাস্তকের বেলায়ও(দু’একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া)।।
প্যারিসের শার্লি হেবদো পত্রিকায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড(যা একান্তই অনভিপ্রেত এবং অপ্র্যাশিত) নিয়ে ঘটে যাচ্ছে পুরোবিশ্বে তোলপার।। বেশীর ভাগই একবাক্যে দায়ী করছে ধর্মকে।। অথচ ইসলাম কখনো এইধরনের ম্যাসাকারকে সমর্থন করে না তাও ফুটে উঠছে কম হলেও কিছু পশ্চিমা নাগরিকদের ভাষায়।। তাদের কথায় এই পত্রিকা বরাবরের মতই ইসলাম বিরোধী মতামত প্রকাশ করে চলেছে, এবং পত্রিকান্তরে প্রকাশ বাংলাদেশও এর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ থেকে মুক্তি পায় নি।।কিন্তু দুঃখের সাথে দেখতে হচ্ছে পশ্চিমা শক্তিগুলি মুক্তমত প্রকাশকেই প্রাধান্য দিচ্ছে পরধর্মকে আঘাতের পরিবর্তে।।কিন্তু এখানেই তাদের ব্যর্থতা।। এটা ইচ্ছেকৃত না উপেক্ষিত না অন্য লক্ষন তা আমার বোধগম্য নয়।। তাই বলে দয়া করে কেউ ভাবতে যাবেন না আমি এই চরমপন্থাকে সমর্থন করছি বা “ট্যাগ” প্রত্যাশী।।লেখার উদ্দেশ্য অনুধাবন না করলে দয়া করে তুর্কির প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেখুন এব্যাপারে।।
সম্প্রতি ব্রাসেলসে এক ভাষনে তুর্কির প্রধানমন্ত্রী(যা ন্যাটোর সহযোগী দেশও)বলেন পশ্চিমের উচিৎ দৈত্বনীতি পরিহার করতে,যখন তা ট্যারোরিজমের ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হয়।তিনি আরেকটু এগিয়ে বলেন,পশ্চিমের উচিৎ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একই নীতি আরোপ করতে।।উদাহরন টানেন ২০১৪সালে বার্লিন এবং পুরো জার্মানীতে ৯০টা মসজিদ আক্রান্ত হয়েছে বিরুদ্ধ ধর্মের হাতে,যার কোন বিচারতো দুরের কথা,সন্ত্রাসের প্রশ্নই উঠে নাই তখন।।প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন যে,ইসরাইল যখন খেলাধুলায় মত্ম শিশুদের এবং দেশরক্ষার নামে নারী-শিশু,যুবক তথা নির্বচারে গনহত্যা চালায় তখন তা হয় বৈধ!! পশ্চিম প্রতিবাদের ভাষাও খুজে পায় না!!তাই বলে আমি নিজেও শার্লি হেবদোর হত্যাকান্ডকে কোনভাবেই,কোন দৃষ্টিকোন থেকেই সমর্থন করতে পারছি না।। আবার পারছি না এই ম্যাগাজিনটির কার্যকলাপও।। এটা যেন বিদ্রোহ ঘোষনা করছে ইসলামের তথা মুসলিমদের প্রতি?? আর এর সব কিছুই হচ্ছে বাক-স্বাধীনতার নামে।। তাহলে আমাদের স্বাধীনতা কোথায়?? না ধর্মের না মতপ্রকাশের।। (ট্যাগ অনিবার্য)।। তা না হলে ফ্রান্সের মত একটি শান্ত দেশে কেন এই রক্তের হোলী।।আর জার্মানীতে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল,যা কি না বাতল করা হয়েছে মুসলিম সন্ত্রাসী হামলার নিঃশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্টে!! আমাদের কি দেখতে হবে আমেরিকা-বৃটেনের মত,ফ্রান্স-জার্মানী যুগল??বিশ্ব-রাজনীতির শক্তির পরিবর্তন না কি রাজনীতির বিচিত্র নিয়মে বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর বলী?
মূল কথা শার্লি হেবদোর এই উস্কানীও চাই না র চাইও না ইসলামের নামে এই হত্যাকান্ড।। ইসলাম কাচের চুড়ির মত ভঙ্গুর নয় যে দু’একটা লেখায় বা কার্টুনে তা ভেঙ্গে যাবে।। অনেক ঝড়-তুফান এমনকি ক্রুসেদও জয় করে তা আজো টিকে আছে।। থাকবেও।।
বেশী বড় লেখা অনেকের বিরক্তির কারন বলে সংক্ষেপেই শেষ করলাম।।
শুভকামনা পাঠকদের প্রতি।।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩

আসাদ খাঁন বলেছেন: "মুক্তমনের প্রকাশ এই নয় যে তা আরেকধর্মকে আঘাত করুক।।এটা অবশ্যই অগ্রহনযোগ্য।"
তো মানে কি দাঁড়াইল?
আর যে প্রধানমন্ত্রীর উক্তি দিলেন!তারা কিন্তু কাদের মুল্লারেও যুদ্ধাপরাধী না কইয়া দুধের বাচ্চা কয়!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানেটা কি পরিষ্কার ভাবে বোঝাতে পারি নি?? এটা অবশ্যই আমার ব্যর্থতা।।
আর কাদের মোল্লাতো একটা পন (দাবার)।। যুদ্ধাপরাধী অবশ্যই, এটা কি আমি কখনো অস্বীকার করেছি।।
আপনার প্রতি প্রশ্ন আমার কোন লেখায় কি রজাকারদের প্রতি সহানুভূতি দেখেছেন?? দয়া করে উল্লেখ করুন।। আমি শুধরে নেবো।। ধন্যবাদ।।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বাক স্বাধীনতা মানে মুখে যা আসে তাই বলা নয়। শার্লি হেবদো যা করেছে সেটা বাক স্বাধীনতাকেও লঙ্ঘন করেছে। আবার কতিপয় মুসলিম নামধারী যে হত্যাকাণ্ড ঘটাল, তাও ইসলাম ধর্ম স্বীকার করে না। সোজা কথা দুটোর একটাও গ্রহণযোগ্য নয়।

মাঝে মাঝে আমার কাছে মনে হয় এগুলোর পিছনে বৃহৎ কোন পরিকল্পনা কাজ করছে, যার মূল হোতা আমেরিকা আর তাদের সহযোগী হিসাবে আছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স। তারা সব সময়ই মুসলমানদের একটা চাপের ভিতর রাখতে চায়। যখনই দেখে মুসলমানরা শান্ত হয়ে আছে, তখনই কোন কিছু একটা ঘটিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেয় যে মুসলমানরা আসলে সন্ত্রাসী। এটা করে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করার একটা চেষ্টা করা হয়। কারণ মুসলমানরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, তবে যে অ্যামেরিকার মতো দেশ কোন পাত্তা পাবে না, সেটা তারা ভালো করেই জানে। আবার মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলে ইসরাইল এর অস্তিত্বও যে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। ইহুদিদের টাকার পাহাড়ের কথা আমরা সবাই জানি। টাকার জোড়ে ওরা আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সের মতো দেশের সরকারকে যেকোনো কিছু করাতে বাধ্য করতে পারে। তাই ইহুদিরা যে স্যাবোটাজ করাচ্ছে না, তাই বা কে বলবে।
সাদ্দাম, লাদেন, গাদ্দাফি, হোসনে মোবারক এদের কে বানিয়েছিল? অবশ্যই আমেরিকা। তাদের ব্যবহার করা যখন শেষ হয়ে গেছে, তখন আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে।
অনেক কিছু বলার ছিল। কিন্তু মন্তব্যের আকৃতি পোস্টের চেয়ে বড় হয়ে যাবে ভেবে থামিয়ে দিলাম।
মূল কথা হল, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা কিংবা ধর্মীয় কোন অনুভূতিতে আঘাত করা কখনোই প্রশ্রয় দেয়া উচিৎ না এবং অবশ্যই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া উচিৎ না। ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নীচের মন্তব্যটা বিদ্রোহীর উত্তরে লেখা।।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলে ইসরাইল এর অস্তিত্বও যে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। ইহুদিদের টাকার পাহাড়ের কথা আমরা সবাই জানি। টাকার জোড়ে ওরা আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সের মতো দেশের সরকারকে যেকোনো কিছু করাতে বাধ্য করতে পারে। তাই ইহুদিরা যে স্যাবোটাজ করাচ্ছে না, তাই বা কে বলবে। এই প্রশ্নের জবাব নিকট ভবিষ্যতেই পাবো বলে আশা করছি।।
সাদ্দামদের সাথে উল্লেখিত ব্যাক্তিদের সাথে আরেকটু যোগ করূন আইএস(ইরাক এবং সিরিয়ার)।।
এটাই অনেকে বুঝতে চান না বা পারেন না।। হোক না লেখার চেয়ে মন্তব্য বড়,ক্ষতি কি?? যদি না তা সঠিক সমালোচনা??
আপনার বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ।। আর আমিও কখনো চাই না "শার্লি হেবদোর এই উস্কানীও চাই না র চাইও না ইসলামের নামে এই হত্যাকান্ড।"।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

হেজাজের কাফেলা বলেছেন: আঘাত ছোট হোক কিংবা বড়, সেটা আঘাতই।মত প্রকাশের নাম দিয়ে যতটুকু অপমান করা যায়,গুলি দিয়ে তা মোটেও না।
ধন্যবাদ :-P

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একবারে একমত।। আর এতেই প্রকাশ পায় পশ্চিমাদের দৈমুখো নীতি।। শার্লি হেবদোর যা প্রকাশ তা মুক্তমনের,আর প্রতিক্রিয়া রক্তাক্ত বলেই মুসলিমরা দায়ী!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.