নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা নির্দিষ্ট গন্ডীর মাঝেইথাকতে চাই।।

সচেতনহ্যাপী

সচেতনহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব নারীদিবসে আমার কিছু কথা

১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০১

গেল রবিবার,৮ই মার্চে হয়ে গেল জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক নারী দিবস।।মহা উৎসাহের সাথে পালিত হলো নারীদের রাজনৈতিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের সাফল্যের দিন হিসাবে।। প্রায় প্রতিটি দেশেই।।প্রতিটি বছরই পালিত হয় দিবসটি,নারী স্বাধীনতা,অধিকার আদায়ের সাফল্য এবং প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।। এমন কি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও।।প্রতি বছরের বছরের তুলনায় এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি।।
ভেবেছিলাম দিবসটি উপলক্ষ্যে কিছু লিখবো,সেদিনটিতেই।। কিন্তু সময় ও সুযোগ হয়ে উঠে নি।। কাল-পরশু ছুটি,তাই আজ বসলাম।। পাঠকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।।একটু ঘুড়িয়ে বলি যদি, দিবসটি নারীদের পাওয়ার নয়,বরং তাদের সংগ্রাম সম-অধিকার তথা বেতনের বৈশম্য আর রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার।।এখানে উল্লেখ্য,যদিও আমাদের দেশসহ পার্শ্ববর্তি কয়েকটি দেশসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে নারীরা রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করলেও তাদের বিরাট একটা অংশ (বলাই বাহুল্য,একমাত্র তারা ছাড়া)এখনো নির্যাতিতা,বঞ্চিতা।।কোন প্রকার অধিকারতো দুরের কথা,নিজ গৃহেই তারা তারা দেবদাসী!!বিভিন্ন ভাবে তারা অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। তালাকের নামে,অনার কিলিংএর (বিশেষ করে ভারত,পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে) নামে,মিথ্যে বদনামের নামে।।গালাগালি আর মারধরের কথা উল্লেখ আর করলাম না।। এ ব্যাপারে পাঠকদের শুধু এটুকুই বলতে চাই,আজ আমরা ভাই,পিতা ও স্বামী।।ঘরের বাহিরে ঠিক আমরা “যা” করছি(সবাইকে এক পাল্লায় তুলছি না,তবে অধিকাংশই)ঠিক সেই কাজটিই যদি আমাদের বোন,মেয়ে বা স্ত্রী করতে যায়?? প্রতিক্রিয়া কি হবে??এখানেই নারীদের প্রতি আমাদের যত সন্মান ও শ্রদ্ধা!!
এতকিছুর পরও আমরা দেখি এইদিনটির অনুকুলে সারাবিশ্বেই প্রায় নারীরা তো বটেই,পুরুষদেরও অনেক কথা বলতে দেখা যায়।।কিন্তু লক্ষ্যে পৌছানো কি সম্ভব??যেখানে স্ত্রী কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেই আমাদের দেশেই অনেক পিতাসহ আত্মীয়-আত্মীয়াদের মুখ কালো হয়ে যায়।।
উল্লেখ্য সারাবিশ্বে শুধু চীন,রাশিয়া আর কিউবা ছাড়া আর কোন দেশেই দিনটিকে নারীদের ছুটি দেয়া হয় নি।।উল্লেখিত দেশগুলি ছাড়া যত সভা-সমাবেশ,লংমার্চ হয়েছে অফিস ছুটির পর নয়তো বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে।।
এপ্রসঙ্গে বিশ্বের তিন প্রধান নারী ব্যক্তিত্ব হিলারী ক্লিনটন,মেলিন্দা গেট্স এবং চেলসিয়া ক্লিনটন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন যে,মেয়েরা এখনো নেতৃত্বের ব্যাপারে পুরুষদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে।।১৯৯৫ সালের বেজিং সম্মেলনে ঘোষিত কর্মসূচীর প্রেক্ষীতে “নো সিলিং”এর রিপোর্টে এটা প্রকাশিত হয়।। যেখানে তৎকালীন আমেরিকান ফার্ষ্টলেডী ঘোষনা করেছিলেন,মানবাধীকারকে নারীদের অধিকার এবং নারীদের অধিকারই মানবাধীকার হিসাবে গন্য করা হোক।।কিন্তু আজ ২০বছর পরও নিউইয়র্ক টাইমসের জরীপে দেখা যাচ্ছে,৩০%ভাগেরও কম নারী মন্ত্রীত্বে আসতে পারছে।। ৫%ভাগের মত আছে আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকায়।। তাও শিক্ষা,স্বাস্থ্য,সমাজকল্যানের মত লো প্রোফাইলে।। বাদ পড়ে যাচ্ছে অর্থ,প্রতিরক্ষার মত হাই প্রোফাইল থেকে।।একদম যে নেই তা বলছি না।। আছে তবে ১৮৯টি দেশের মধ্যে মাত্র ২৪টি দেশে।।জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের বক্তব্য অনুসারে ৫টি দেশের সংসদে কোন নারী সদস্য নেই এবং ৮টি দেশের মন্ত্রীসভায় নেই কোন নারী সদস্য।।ব্যাসায়ীক ক্ষেত্রে মাত্র ৫%ভাগ CEO হিসাবে আছে,৫০০ কম্পানীর মাঝে।।তবে আশার কথা এই যে,এক্ষেত্রে পর্তুগাল ও নরওয়ের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে।।
এতকিছুর পরও যথাযথ ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় সিরিয়া,ইরাক, এবং আফ্রিকায় নির্যাতিতা হচ্ছে নারীরাই বেশী।। বন্দী হচ্ছে,নিহত হচ্ছে,ক্ষেত্রবিশেষে বাধ্য হচ্ছে বিবাহে।তবে পুরুষ হিসাবে বলছি,যে পর্য্ত আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন না আসবে সে পর্যন্ত নারীদের সব অধিকার অর্জনে একটা বিরাট প্রতিবন্ধকতা থেকেই যাবে।। কারন আমরা নারীদের দেখি “পন্যদ্রব্য”বা (লজ্জার হলেও) ভোগের দৃষ্টিতে।। যার প্রমান হিসাবে বলবো বিভিন্ন পন্যের প্রচার এবং প্রসারকল্পে নারীমডেলদের প্রাধান্যে।।দেখি লাস ভেগাস,হংকংসহ বিভিন্ন দেশের জুয়া এবং মদের আসরে,আর দেখি সরকারের তত্বাবধানে পতিতালয়ে।।এখানে International Democratic Women Foundation এর ঘোষিত লক্ষ্য এবং আদর্শ একেবারেই লংঘিত।।আছে কি??

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভরসা হলো ৩য় বিশ্বের মেয়েদের জন্য শিক্ষা।

১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আরে ভাই এই সমাজেই তো যতকিছু।। এই ব্যাপারে পুব-পশ্চিমে নেই ভেদাভেদ।।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন । এর উত্তর কে দিবে ? কি ভাবে দেবে ? বৈষম্য দূর হবে কবে কে জানে ?

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার ভাষায় আমাদের মানষিকতার পরিবর্তন যেদিন হবে,সেদিনই আসবে এটা।। ধন্যবাদ সেলিম ভাই।।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০১

জাফরুল মবীন বলেছেন: এ অবস্থা উত্তরণে নারী-পুরুষ উভয়েরই মানসিকতার আমুল পরিবর্তন দরকার বলে মনে হয়।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।

ভালো থাকবেন।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তা ঠিক।। কিন্তু আমি ব্যক্তগত ভাবে বলবো পুরুষদেরই পরিবর্তন দরকার বেশী।। ধন্যবাদ ভাই।।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :(

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তাই!!কেন??

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৩৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আধুনিক বিশ্বে নারী অধিকারের কথা সবা-ই বলে কিন্তু বাস্তবতায় পুরো বিপরীত চিত্র। সভা সেমিনারে নারী অধিকারের কথা বলে মুখে যারা ফেনা তুলে ফেলে, তাদেরই আবার ঘরে এসে দেখা যায় নিজের বউকেই অত্যাচার করছে। এই যদি হয় আসল চিত্র, তবে নারীরা তাদের অধিকারসমূহ অর্জন করবে কীভাবে? আপনার তথ্য উপাত্তও তাই বলছে। আসলে নারী অধিকার বলে ইদানীং অনেকে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়ানোর চেষ্টা করে। ভোটের সময় এলে এই ছলচাতুরি আরও বেড়ে যায়। সমাধানটা আপনিও দিয়েছেন, সেটা হল পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের মন মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। এটাতে আমারও সহমত আছে। কারণ আপনি যদি মন থেকে কোন কিছু মেনে নিতে না পারেন, আইন দিয়ে সেটা আপনাকে মানানো যাবে না। যেটুকু যাবে সেটা আইনের কারণে বাধ্য হয়ে হয়তো করবেন। কিন্তু আইনের প্রয়োগে যদি শিথিলতা থাকে, তখন তাও করবেন না। সুতরাং পুরুষদের এবং সাথে নারীদেরও মন মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে পারলে নারী অধিকার সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ নারী অধিকার শুধু পুরুষদের দ্বারাই খর্ব হচ্ছে না, বরং ক্ষেত্র বিশেষে নারীদের দ্বারা আরও বেশী হচ্ছে।
যৌক্তিক এবং তথ্যপূর্ণ একটা পোস্ট এবং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট। খুব ভালো লাগলো সচেতনহ্যাপী।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যে কোন লেখাতেই আপনার যুক্তিগ্রাহ্য মন্তব্য আমার বেশ ভাল লাগে।। মন্তব্য করার আগে আপনি পুরো লেখাটি পড়ে অনুধাবন করার চেষ্টা করেন। এটা কিন্তু একটা বিশেষ গুন।।
আমি আমার মনের কথাটিই অকপটে বলার চেষ্টা করেছি।। তবে আপনার এবং মবীন ভাইয়ের কথাটি মনে ধরেছে যে, "ক্ষেত্র বিশেষে নারীদের দ্বারা আরও বেশী হচ্ছে"। যা লেখার সময় আমার মাথায়ই আসে নি।।
ধন্যবাদ।।

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সমস্যা হল, আমরা বলি বেশি, করি না। এটা রিভার্স হলেই সব ঠিক।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলেই তাই ভাই।। তার মাঝে আমিও,কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে এবং পরিমানটাও অল্প।।
আশা না করাতেও এসেছেন,ধন্যবাদ।।

৭| ০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ৭:১৭

গ্রীনলাভার বলেছেন: আমি মানুষকে তাদের পিতা-মাতার ব্যপারে নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে। কেননা তার মা কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে তাকে গর্ভে ধারন করেছে এবং দুই বছর পর সে বুকের দুধ খাওয়া ছেড়েছে।

তুমি তোমার নিজের সৃষ্টির জন্যে আমার শোকর আদায় করো এবং তোমার লালন পালনের জন্য পিতা-মাতারও কৃতজ্ঞতা আদায় করো। (সুরা লোকমান)


(হে নবী!) মোমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যা কিছুই করে, আল্লাহ তৎসম্পর্কে পরিজ্ঞাত (সূরা নূর : ৩০)।


আর তারা(মোমিন নারীরা) যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর. পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভাগিনা, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত দাসী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত অন্য কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। (সূরা আন-নূর: ৩১)।


যদি ঘরের স্ত্রীলোকদের নিকট থেকে তোমাদের কোন জিনিস নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা হিজাবের আড়াল থেকে চেয়ো।(সূরা আহযাব-৫৩)।


০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১২:৩২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভাই আমি এতো গুরুগম্ভীর ভাবে ভাবি নি,যা আমার দূর্বলতা।।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।। ভাল থাকবেন সততঃ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.