নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা নির্দিষ্ট গন্ডীর মাঝেইথাকতে চাই।।

সচেতনহ্যাপী

সচেতনহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলিংগুয়ার শিক্ষা, আমাদেরই প্রয়োজনে।।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৭

ভাষা নিয়ে কিছু বলাই বাহুল্য।। কারন প্রতিটি জাতির কাছেই তাদের মাতৃভাষাই পৃথিবীর সেরা ভাষা।। যদিও আমাদের মত এত প্রান আর রক্তের বিনিময়ে আর কোন জাতি মায়ের ভাষাকে এমন করে পেয়েছে কি না।।
কিন্ত বর্তমান বিশ্বের চলমান অবস্থায় নিজের মাতৃভাষার সাথে আরেকটি আন্তর্জাতিক ভাষা শেখাটা অতীব গুরুত্বপূর্ন হয়ে দাড়িয়েছে।। এবং এতে নিজের ভাষাকেও অসন্মান না করে শুধু যুগের চাহিদাকে মেটাতে আমাদের সবারই উচিৎ মাতৃভাষার পাশাপাশি আরেকটি আন্তর্জাতিক ভাষাকে রপ্ত করা।।
বিশ্বের অনেক দেশেই আজ শিশুরা মাতৃভাষার পাশাপাশি একটি/দুটি আন্তর্জাতিক ভাষা শিখছে।। কারন দেশ এখন আর শুধুমাত্র মাতৃভূমির মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকছে না।। উপার্জন,চাকুরী,শিক্ষা, নাগরিকত্ব ইত্যাদির কারনে মানুষ আজ দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।। তাই পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় আজ দ্বিতীয় ভাষাটার গুরুত্বও স্বভাবতঃই বেড়ে গেছে।।।
দেশে বোঝাই যায় না, কিন্ত দেশের বাইরে যারা বিভিন্ন সুত্রে অবস্থান করছেন, তারাই এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন।। কাউকে ছোট না করেও বলতে হচ্ছে, আমাদের অনেকে মাষ্টার্স/অনার্স করেও এই মধ্যপ্রাচ্য শুধুমাত্র পিছিয়ে আছে দ্বিতীয় ভাষায় দক্ষতার অভাবে।।কিন্ত দেশের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই চলছে মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে!! এবং অনেক ক্ষেত্রে আমরাও ভাষা ভাষা করে নিজেদের পায়ে তো কুড়াল মেরেছিই, ভবিষ্যৎ জেনারেশনকেও ছাড়ছি না।।
তবে এটাও ঠিক যে, দ্বিতীয়ভাষা শিক্ষায়, ব্যয়বহুল হওয়াতে অনেক পিতামাতার পক্ষেও সম্ভব হয় না দ্বিতীয় ভাষা শেখাতে।। সেক্ষেত্রে সরকারী উদ্যোগেই স্কুল-কলেজগুলিতে প্রথম থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।।

[sbএকটু ফিরে যাই বিলিংগুয়ার শিক্ষার দিকে।।/sb]
এটা শিশুদের কনফিউজ করে না: বেশীরভাগ পিতা/মাতারই দুঃশ্চিন্তা শিশুদের জন্য দুটি ভাষা, তাদের মানসিকভাবে বোঝা হয়ে যায়।।কিন্তু গবেষনা প্রমান করেছে যে,শিশু/ছাত্ররা অনায়াসেই একসাথে দুটি ভষায় পরঙ্গম হতে পারে।। এবং একই সাথে দুটি/তিনটি ভষার মাঝে “স্যুইচ্ড”ও করতে পারে।। এমন কি মনের ভাব প্রকাশে দুটি ভাষার অনয়াস মিশ্রনের ব্যাবহারও করে চলে।।
দুটি ভাষা একই সাথে ভিন্নতায় রাখা স্বার্থক হয় না[/sb
:সাধারনতঃ যে সব প্যারেন্টস্ ভাবছেন সন্তানদের একটি ভাষাই তাদের মানসিক চাপের জন্য যথেষ্ট কিন্ত এরও কোন বাস্তব প্রমান পাওয়া যায় নি।। যারা সন্তানদের বিলিংগুয়াল ভাষায় দক্ষতা বাড়াতে চান, তারা সাধারনতঃ ঘরের সবাই একটি ভাষার দিকেই বিশেষ জোর দেন একই কারনে।। কিন্তু এর সমর্থনেও গুরুত্বপূর্ন কিছু পাওয়া যায় না।।বরং দেখখা যায় শিশুরা মাতৃভাষার সাথে অনায়াসেই দ্বিতীয় ভাষাটাতে দক্ষতা অর্জন করে।। এখানে অহরহ দেখা যায়, সন্তানরা স্কুলে ইংরেজী ভাষায় পড়াশুনা করে বাসায় এসে তাদর মাতৃভাষায় কথা বলে।। ফলে অনায়াস দক্ষতায় তারা দুটি এমনকি তিনটি ভাষায়ও রপ্ত করতে পারছে।।
বিলিংগুয়ালিজম ভায়ায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে না:
একটা ভ্রান্ত ধারনা আছে যে, দুটিভাষা শিক্ষা শিশুদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে তাদের শিক্ষার গগতি শ্লো করে দেয়।। এটা পুরোটা না হলেও কিঞ্চিত সত্যি।। কিন্ত সময়ের সাথে সাথে তারা একটি ভাষর ছাত্রদের খুব সহজেই সবদিক দিয়েই পিছনে ফেলে দেয়। এবং এটা প্রমানিতও।।
বিলিংগুয়ালিজম মনের ভাব প্রকাশেও মনোলিংগুয়ালদের চেয়ে এগিয়ে: দুটি ভাষার দক্ষতা স্বভাবতঃই তাদের লেখা-পড়ার এবং মনের ভাব প্রকাশের এ্যাবিলিটিও বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।। যা একটি ভাষার ছাত্রদের মাঝে দেখখা যায় না।। যেমন অনেকে বাংলায় কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে সঠিক বাক্যেটি খুজে না পেয়ে তার ইংরেজীটি অনায়াস দক্ষতায় ব্যাবহার করতে পারে যা কিন্তু একটি ভাষার ছাত্রদের মাঝে খুব কমই দেখা যায়।।
পরিশেষে বলবো, শুধু শিশুদেরই নয় আসুন আমরা সবাই জোর দেই এই দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষার দিকে।।আমাদের বেশির ভাগের ধারনা যে, প্রাথমিক বয়সটাই গুরুত্বপূর্ন দ্বিতীয়ভাষা শিক্ষার জন্য। আবার অনেকে মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দিতে যেয়ে ভবিষ্যত নাগরিকদের ভবিষ্যতটাই ঠেলে দিচ্ছেন এক অনিশ্চয়তার দিকে।।
কারন বর্তমানের বিশ্ববানিজ্যের যুগে কাকে কখন নিজের উন্নতির জন্য কোথায় না যেতে হচ্ছে!! যেখানেই যান দেশ থেকে বেড়োলেই আপনার প্রয়োজন পড়বে দ্বিতীয় ভাষার।। তখন শত যোগ্যতা থাকা সত্বেও শুধুমাত্র একটি আন্তর্জাতিক ভাষার জন্য আপনি প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে থাকবেন!! এই ব্লগেও প্রবাসী অনেকেই এই ভাষা নিয়ে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন।। (যদিও কয়েকটিই আন্তর্জাতিক ভাষা আছে।। কিন্ত আমি আলোচনা করছি শুধু ইংরেজীকে সাথে নিয়ে)।।
পরিশেষে বলবো, যদিও শিশুকালে না শিখেছেন, কিন্ত আর যেন দেরী না হয়।। শিশুকে শেখান সম্ভব হলে, নিজেও শিখুন।।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দু-চারটা ভাষা শেখা খুব কঠিন না । মধুসূদন, শহিদুল্লাহ্ অনেক ভাষা জানতেন! তবে সমস্যা হচ্ছে, ইদানীং অনেকেই সব ভাষার মিশ্রণ করে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলছে! মাতৃভাষা চর্চায় গাফেলতি খুবই দৃষ্টিকটু!

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ।।
মাতৃভাষার গাফিলতি আমিও পছন্দ করি না।। বলেছি পাশাপাশি আরো দু/একটি ভাষার ব্যাপারে।।
কেমন আছেন।।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার পোস্টের শিরো নামটা, "বাইলেংগুয়্যাল এডুকেশন, আমাদের প্রয়োজনেই", বা এ ধরণের কিছু হলে ভালো হতো; বাইলেংগুয়্যাল'এর পর "ভাষা" শব্দটি অতিরিক্ত শোনায়

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ এডিট করছি।।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আছি কোনমতে! আপনার বর্তমান অবস্থা বলুন! শরীর-স্বাস্থ্য কেমন?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মনে হচ্ছে সমস্যায় আছেন!!
আমি বরাবরের মতই ভাল।।
ধন্যবাদ।।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোটামুটি সমস্যাই বলা যায়! এখন সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার সময় অথচ কিছুই হচ্ছে না!

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এখন সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার সময় এটুকু যখন জানা আছে, তখন আজ/কাল এই সমস্যাকে জয় করবেনই।। আমার বিশ্বাস।। যারা এত সুন্দর করে মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারেন, তাদের ইচছে শক্তির কাছে, সব প্রতিবন্ধকতা হার মানে।।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিদেশি ভাষা জানা থাকলে সে দেশের/জাতির সম্পর্কে ভালভাবে জানা যায়। অর্থাৎ চায়ের দামে শরবত পাবেন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সাথে নিজের ভবিষ্যৎ্ প্লাস কালচার :-P

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

শিশুকে শেখান সম্ভব হলে, নিজেও শিখুন।।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ।। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে।।
ভাল থাকবেন।।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৫৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার বেশ ভালো ও যুক্তিপূর্ণ কথা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন । তাছাড়াও সব শিখে রাখাই ভালো।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রবাসে যারা আছেন, গুরুত্বটা অনুধাবন করবেন তারাই বেশী।।
অনেক ধন্যবাদ।।

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২২

মিঃ আতিক বলেছেন: ভিন ভাষা শিক্ষার প্রয়োজন আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে তা উপলব্দি করার ক্ষমতাও জাতী হারিয়েছে।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রথমত: আর্থিক স্বচ্ছলতা, দ্বিতীয়ত: বহির্বিশ্ব সম্বন্ধে জ্ঞ্যানের অভাব।।
ধন্যবাদ।।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: খুব সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন !!

আমার সবচেয়ে রাগ হয়ে, যখন আমার বাংলা ভাষা দিয়ে খারাপ ভাষায় কথা বলে ; তখন মনে চায় তাকে থাপড়াই ।।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: থাপরানোই উচিৎ।। আমরাই বুঝি মায়ের ভাষয় কথা বলার সুখ!!
তবে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে, দ্বিতীয়ভাষা না জানাতে, যে সমস্যা এবং পিছিয়ে আছি সেই আলোকে লিখেছি।।
আপনি ব্লগে একটি "নূতন দৃষ্টান্ত" স্থাপন করছেন, আমাকে সন্মান দিয়ে।। যা ব্লগের "আচরন বহির্ভুত"।। আমি কৃতজ্ঞ।।

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যথার্থই ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাইটি।।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মনের ভাব একমাত্র মাতৃভাষায় প্রকাশ করা যায়।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সেজন্য্ই সাারাদিন কথা বলার পরও আমু,যামু,খখামুইই মন কেড়ে নেয়।।

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি,

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ।। নোটিফিকেশনে আসে নাই।।। তারপরও নিজ দায়িত্বে খোজ নিতে যেয়ে আপনাকে পেলাম!!
শুভরাত্রি।।

১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৫৯

ওমেরা বলেছেন: খুব ভাল একটা বিষয় আলোচনা করেছেন ।ক্লাস শুরু করলাম ,ভাষা তো কিছুই পারি না খুব ভয় পেতাম । ক্লাস টিচার খুব সাহস দিত আর বলত তুমি জান, একটা ৫ থেকে ১০ বছরের বাচ্চা চাইলে ১০টা ভাষা রপ্ত করে অর্নগল কথা বলতে পারবে, ১০-২০ বয়সে মানুষ চাইলে ৬টা ভাষা শিখতে পারবে ২০-৩০ বয়সে মানুষ চাইলে ৩টা ভাষা শিখতে পারবে ।৩৯-৪০ বয়সে মানুষ চাইলে ২ টা ভাষা কথা বলতে পারবে আর ৪০ এর পরে দ্বিতীয় ভাষা শিখতে না চাওয়াই ভাল ।

আলহামদুল্লিলাহ মাত্র কয়েক মাসেই এই ভাষাটাই আমার কাছে সহজ হয়ে গেল , তিন বছর পর দেখলাম আমি আমার বাংলা ভাষাই ঠিকমত বলতে পারছি না । কারন এই ভাষাটা শিখার জন্য এতবেশী জোর দিয়েছিলাম বাসায় বাংলা বলা হত না একমাত্র আমার আম্মুর সাথে কথা বলার সময় বাংলা বলতাম । আমার মুখের জড়তা দেখে আম্মুই এটা খেয়াল করে ভাইয়া ভাবীকে জানালেন । তখন আবার বাসায় বাংলা বলা শুরু হল । এখন মোটামুটি বাংলা ,সুইডিশ সহ আরো কয়েকটা ভাষা পারি ।

ধন্যবাদ ভাইয়া ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের পৃথিবীটা এখন আর দেশের চৌহদ্দীতে আটকা নেই।।
নিজের প্রয়োজনেই এটা প্রয়োজন।। আপনি সেটা উপলব্ধি করেছেন।। করেছি আমিও।।
ধন্যবাদ।।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

আনু মোল্লাহ বলেছেন: আপনার আলোচনা আমার ভাল লেগেছে।
আমাদেরকে বাস্তবতা অনুধাবন করেই শিশুদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করা উচিত। সমস্যা হল আমাদের দেশে কোন কার্যকর নীতিমালা নাই।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেশে থাকলে এর গুরুত্ব তেমনটা অনভুত হয় না।। বোঝা যায় বাাংলার গন্ডি পেরিয়ে এলেই।। যেমনটা আমরা, প্রবাসীরা বুঝি।।
সমস্যা হল আমাদের দেশে কোন কার্যকর নীতিমালা নাই। সুন্দর একি কথা।।

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

আজীব ০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন !!

ধন্যবাদ আপনাকে

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রথম ভ্রমনে স্বাগতম ভই আজিব ০০৭।।
আপনারা কষ্ট করে পড়ছেন বলে আমি কৃতজ্ঞ।।

১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: খুব ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন,ভালো লাগল ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইটি।।
ভাল থাকুন।।

১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৫৬

ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত) বলেছেন: :(
প্রথম এবং প্রধান ভাষা হওয়া চাই মাতৃভাষা, তার পর অন্য ভাষা শেখা যাবে
আমি ৫ টি ভাষায় কথা বলতে পারি।
এবং ৬/৭ টি ভাষা বুঝতে পারি আমার কাছে তো প্রধান এবং প্রিয় আমার বাংলা ভাষা।
:|
ধন্যবাদ ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:০২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এতগুলো ভাষা জানেন বলে খুশী হয়েছি।। কিন্তু আমার লেখাটির শিরোনাম থেকে কোথাও কি একটি বাক্য দেখাতে পারবেন, যেখানে মাতৃভাষাকে অস্বীকার করে ভিন্নভাষার কথথা বলা হয়ছে!!??
প্রথম ভ্রমনে স্বাগতঃ।।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ কথা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।। আসলে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বিষয়টাা তুলে ধরার চেষ্টাা করেছি।।

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার চারিপাশে কি ঘটছে?

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সত্যি কথাতো বলতে পারি নাা।। কোন আইনে আবার ফেঁসে যাই।। মধ্যপ্রাচ্যেই ব্লগারদের জেলে যাবার হুজুগ বেশী।।
কেমন আছেন।। তিন/চারদিন ধরে লেখা দিচ্ছছেন না যে!!
ধন্যবদ।।

২০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:০৫

উদাস মাঝি বলেছেন: আমার আবার চাইনিজ ভাষা শিখার খুব সখ ।

ভাল বিষয় নিয়ে লিখেছেন । ভাল লাগল ব্রাদার ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৩৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: চায়নিজ কেন প্রয়োজনে যা মন চায় তাই শিখুন, কাজে লাগবে।।
গোয়েন্দাদের মত খালি অনুসরন করে বেচে যাবেন, তা হবে না আমিও অনুসরন করবো।।

২১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৫৩

উদাস মাঝি বলেছেন: এইটা কি করলেন আপনি... মান সম্মান আর কিছুই রাখলেন না :((

এখন তো ভাবিও বলবে,"এইটা কি করলা তুমি,এত্ত বড় লেখক হয়ে শেষে কিনা ২পয়সার এক
সামান্য মাঝিরে অনুসরন করলে, ছিঃ ছিঃ সমাজে এ মুখ দেখাব কি করে " :(

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৫৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না না ভাই এটা নিয়ে একদম ভাববেন না!! আপনার ভাবি খাটি ওডিসি :P ।। মাঝি ায় না মাথয় দেয়, জানেই না!!

২২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:১৭

উদাস মাঝি বলেছেন: না ভাই,আপনি যতই বলেন,টেনশন আমার কমবে না। |-)

একটু কস্ট করে ভাবির থেকে শুনে আসুন না ভাই,তারপর না হয়....
দেখা গেল,সামান্য কারনে ভাবির সাথে রাগারাগি,এরপর হাতাহাতি শেষে যদি (আল্লাহ না করাক)
কিছু একটা হয়ে যায়.... তখন ??

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না না, একদম ভাববেন না।। আপনার ভাবি জানে আমি রাজপথের।। বিয়ের পর উনার রাাজা হয়েছি।। সো নো চিন্তা, ডু ফুর্তি।।
আর ছোট/বড় লেখক বলে লজ্জা দেবেন না।। আমি এখানে আসি সত্যি বলতে, রাতের এই সময়টুকু কাটাতে।। লেখাটা মনের খেয়ালে, ওছিলা মাত্র।।
পুরাই আনন্দ পাচ্ছি।। শুধু মন্তব্য আর উত্তর দিতে দিতে বোর লাগছিলো।। আপনারা "কয়েকজন" এই প্রতিবন্ধকতা কে অতিক্রম করতে প্রেরনা দিচ্ছেন।। ধন্যবদ।।

২৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন:
বহু ভাষাজ্ঞান যে কতটা মারাত্মক উপকারী জিনিস তা দেশের বাইরে গেলে টের পাওয়া যায়? বাচ্চাকালেই ইংরেজির পাশাপাশি আরো একটা ভাষা শিখে নিতে পারলে ভালো। বয়সকালে নতুন করে ভাষা শেখা অনেক ধৈর্য্যের ব্যাপার।


আপনার এই সুন্দর লেখাটি অাগে চোখে পড়ে নি। তাই মন্তব্যও করা হয় নি। সেজন্য দুঃখিত।

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলেই প্রবাসে যে মাতৃভাষা অচল!! আর বাচ্চাাকালে ইংরেজীর পাশে না বরং মাতৃভাষার পাশে ইংরেজীর গুরুত্ব অর্থাৎ কমন আন্তর্জাতিক ভাষার কথা আমি বুঝাতে চেয়েছি।। কারন আমরা যারা যেদেশেই থাকি না কেন, এর প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই অনুভব করি।।
প্রশংসার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।। ভাল থাকুন সর্বদা।।

২৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:০১

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ঈদের শুভা কামনা, আপনাকেও।।

২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

জুন বলেছেন: সচেতনহ্যাপি আপনি এতই অনিয়মিত ব্লগ লেখক যে ভুলেই যাই আপনিও লিখে থাকেন :)
আজ হঠাৎ করেই এসে দেখি ইদানীংকালে জেনারেশনের সবার জন্য দ্বীতিয় ভাষা জানাটা কতটা উপকারী । তবে এখানে ইংরাজীতো আমাদের দেশের মানুষ মোটামুটি বলতে, বুঝতে, লিখতে পারে । আমি দ্বীতিয় ভাষা হিসেবে ফ্রেঞ্চ, স্প্যানীশ অথবা অন্য একটি ভাষা শিক্ষার পক্ষপাতী ।একাধিক ভাষা জানাটা কর্মক্ষেত্রেও অনেক সুযোগ এনে দেয় যুব সমাজকে । অথবা চাকরী প্রার্থীর জন্যও এক বিশাল প্লাস পয়েন্ট।
সময়োপোযগী লেখাটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন।। তারপরও যে মনে রেখেছেন, সে জন্য কৃতজ্ঞ।। বাসী ঈদ মুবারক ও অনেক শুভেচ্ছা রইলো।।
এখনকার জেনারেশন ভালই উন্নতি করেছে এটাও ঠিক।। আমি লিখেছি আমার দেখা প্রবাসীদের দেখে।। পাশাপাশি দেশের মানুষগুলি তুলনামূলক ভাবে এ্যাকাডেমিক শিক্ষায় কম হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র ট্যাকনিক্যাল শিক্ষা এবং ইংরেজীতে পরদর্শী হওয়াতে আমাদেরর চেয়ে অনেক এগিয়ে!!
আর ফ্রেন্চ বা স্প্যানিশের গুরুত্ব কিন্তু আমিও মানি।। কিন্তু অর্থনৈতিক বিঘ্নতাকে উপেক্ষা করতে পারি নি বলে বাহুল্য রেখেছিলাম।।

২৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,




দুঃখিত, এমন সুন্দর ও প্রয়োজনীয় লেখাটি আমার চোখ এড়িয়ে গেছে বলে ।

"...... বর্তমানের বিশ্ববানিজ্যের যুগে কাকে কখন নিজের উন্নতির জন্য কোথায় না যেতে হচ্ছে!! যেখানেই যান দেশ থেকে বেড়োলেই আপনার প্রয়োজন পড়বে দ্বিতীয় ভাষার।। তখন শত যোগ্যতা থাকা সত্বেও শুধুমাত্র একটি আন্তর্জাতিক ভাষার জন্য আপনি প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে থাকবেন!! .............." একদম যথার্থ বলেছেন ।
যতো বেশী ভাষা শেখা যাবে তত সহজ হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জগুলো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আহমেদ ভাই, দুঃখিত হবার কিছুই নেই।। অনিয়মিত হলে যা হয়, আর কি।।
প্রবসে থাকার সুবাদে বুঝি আমাদের দুখঃ।।
অন্ততঃ মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে আমরা শুধু পিছিয়ে আছি, শুধুমাত্র এই একটা কারনে!!
সত্যিই খুব কষ্ট যখন দেখি "আর সব" দিকে পিছিয়েও শুধুমাত্র "সমন্বয়ের" দিকটি থেকেই, আমরা শতেক যোজন দুরে!!
অনেক শুভেচ্ছা

২৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১০

উদাস মাঝি বলেছেন: নতুন পোস্ট দেন মিয়া X(

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনি আসলে বন্ধুই না!! না হলে বন্ধুকে এমন বিপদে আমন্ত্রন জানাতে পারেন ।।হটও ভুলে গেছি যে, ৭১রে আম ভারতীয়দের চোখে আমরা এমনই ছিলাম!! দেখছেন না, নির্যাতিত একটি জাতির শিক্ষার মানদন্ডই মূখ্য।। যেন আমরা কত শিক্ষিত !!
তবে লেখার কথা ভাবছি।। তা হবে মধ্য্রাচ্যের হবু নূতন রনাঙ্গন।। আসিতেছে.....। চরম ফ্লপ সচেতনীয় লেখা।।
তবে ফাজলামী না, মনে রেখেছেন জেনে আপ্লুত।।

২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেখাটি বেশ মনযোগ দিয়ে পড়লাম । গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর সুন্দরভাবে আলোকপাত করা হয়েছে । নীজের মাতৃভাষার সাথে
শিক্ষা জীবনের প্রথম থেকেই দ্বিতীয় একটি ভাষা শিক্ষার উপর বেশ জোড়ালো কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় ভাষার গুরত্ব ও সম্ভাবনার কথা সুন্দর যুক্তিগ্রায্য ভাবে তোলে ধরা হয়েছে । এই প্রয়োজনের সাথে আমি সম্পুর্ণ একমত ।

আমাদের দেশে ছাত্র ছাত্রীদেরকে বিশেষ করে মুসলমান কমিউনিটির কোমলমতি ছাত্রদেরকে বলতে গেলে বাল্যকালেই ভাষা শিক্ষার ভার বহন করতে হয় । বাংলা ইংরেজী শিক্ষার পাশাপাশি কোরান শরীফ পাঠের জন্য মুসলিম ছেলেমেয়েরকে আরবী পড়া শিখতে হয় । সকালে কিংবা বিকালে মসজিদ , মক্তব কিংবা বাসা বাড়ীতে হুজুরদের কাছে নিয়মিত প্রায় ঘন্টাখানেক এই শিক্ষায় ব্যয় হয় । দ্বিনী শিক্ষার জন্য এর প্রয়োজন অস্বিকার করা যায় না ।

তবে এ বিষয়ে আমার কিছু ব্যক্তিগত ধারণা শেয়ার করতে চাই শুধুমাত্র আলোচনার জন্য । সেটা হলো আমাদের কোমলমতি শিশুদেরকে প্রথম শ্রেণী হতেই দুটি এবং ক্ষেত্র বিশেষে তিনটি ভাষার উপর জোর দিলে তাদের উপর কি পরিমান মানসিক চাপ পরে তার কি কোন সমীক্ষা কিংবা তুলনামুলক স্টাডি হয়েছে আমাদের দেশে ।

যে সময় মেধা ও পরিশ্রম কোমলমতি ছাত্ররা দেয় নীজ মাতুভাষার বাইরে দ্বিতীয় আর একটি ভাষা শিক্ষায় সে সময়টা যদি তারা
অন্য কোন বিষয়ে নিয়োগ করে তাহলে নীজের উপর কম ভার নিয়েই প্রয়োজনীয় বিষয়ে তারা আরো বেশী সময় ব্যয় করে অাবশ্যকীয় বিষয়গুলি শিখতে পারে ভাল করে । অস্টম শ্রেণী পার হওয়ার পরে নবম শ্রেণী হতে যদি দ্বিতীয়ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয় তাহলে শিশুরা কিছুটা ভার মুক্ত হয়ে অস্টম শ্রেণী পর্যন্ত কম আয়েসেই প্রয়োজনীয় আবশ্যকীয় বিষয় গুলি ভাল করে শিখতে পারে । তারপর নবম শ্রেণী হতে মোটামুটি মেচিউরড নলেজ নিয়ে দ্বিতীয় কোন ভাষা বিশেষ করে ইংরেজী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করলে তাদের জন্য ভার কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে ।

পরিনত বয়সে যে কোন সময় একটি দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষা লাভ অনেকটা সহজ হতে পারে । উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় ইউরোপিয়ান কিছু দেশ বিশেষ করে জিসিএস ই লেভেল থেকে দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানা যায় । এছাড়াও দেখা গেছে ইন্টার মেডিয়েট পাশ করে কিংবা আরো উচ্চ শিক্ষার জন্য আমাদের দেশ হতে যারা বিদেশে বিশেষ করে রাশিয়য় গিয়েছেন পড়তে তারা মাত্র ৬ মাসের ভাষা শিক্ষা নিয়ে বেশ ভাল করেই রাশিয়ান ভাষায় পড়াশুনা করতে পারছেন । তাই কোমলমতি ছাত্রদের উপরে শিশুকালেই দুটি ভাষা নিয়ে পড়াশনার ভারকে কিছুটা লাঘব করার জন্য এটা শিক্ষা জীবনের কোন স্তর হতে শুরু করা যায় তার উপরে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি ।

যাহোক এটি আমার একটি ধারণা মাত্র , খুব জোড় দিয়ে কিছু বলছিনা ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না আলী ভাই আমিও তেমনটা বলি নি বা বুঝাতে াই নি যে, শিশুকালেই দ্বিতীয় ভাষার শিখতে হবে।। শুধু পরবর্তী জীবনে যেন হোচট না খেতে হয় শুধু সেদিকটাতেই মনোনিবেশ করেছি।। তাও এশিক্ষাটা আমার হয়েছে এখানে মানে প্রবাসে এসে।। প্রতিযোগীতার এই দিনগুলিতে দেখেছি শুধুমাত্র "দ্বিতীয় ভাষা" না জানার কারনে আমরা কত পিছিয়ে আছি!!
হয়তো আমার লেখার ভুলে এটা প্রকাশ পায় নি।। তবে এখানে বাঙ্গালী কম্যুনিটির ছোট বাচ্চারাও একই সাথে ইংরেজী এবং হিন্দীভাষা অনায়াসেই শিখে যাচ্ছে।। যা দেখেই আমার ঐ লেখাটা।।
ধন্যবাদ দেশের প্রেক্ষীতে মন্তব্য করার জন্য।।

২৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক পর চোখে পড়লো আপনার এই চমৎকার লেখাটা | তাও মনে হলো কিছু বলি আমিও |এখনো কি আমাদের উচ্চকর্তারা ব্যপারটার গুরুত্ব বুঝেছেন ? মিডিল ইস্ট আমরা যদি আরবিতে ভালো করে শিখিয়ে আমাদের মানুষগুলো কে পাঠাতে পারতাম ! এখনো আমেরিকায় নার্সের কমতি | আমরা যদি ইংরেজি জানে এমন নার্স এখানে পাঠাতে পারি এই ট্রাম্প যুগেও তারা খুবই ভালো চাকুরী পাবে | দূর কি বলছি এসব ! এগুলো কি আর আমাদের কর্তা ব্যক্তিরা ভাববেন ? না তাদের ভাবার নো সময় আছে ?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিছু বলার জন্যই তো লেখা।। এটা একটা মুক্ত আলোচনা।। নার্স একটা শ্রদ্ধা এবং সন্মানের পেশাও এখানে।। তাই তাদেরও উচ্চ বেতন দিয়েই সন্মানিত করা হয়।। (ঠিক আমাদের বিপরীত!!) আমেরিকার সাথে মধ্যপ্রাচ্যেও এখন ইংরেজীই চলছে।। বিশেষ করে এখনকার জেনারেশন।।
আর কর্তারা ভাবতে যাবেন কেন?? তাদের আবাল মার্কা সন্তানরাও যে বাহিরে!!
ধন্যবদ দেরীতে হলেও আসার জন্য।।

৩০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাতৃভাষাটা প্রত্যেকের ভাল করে শেখা উচিত, বানান ব্যাকরণসহ। মাতৃভাষার ভিতটা শক্ত হলে অন্য ভাষাও সহজে শেখা যায়। আমি লক্ষ্য করেছি, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে যারা ইংরেজী বা অন্য কোন দ্বিতীয় ভাষায় দুর্বল, তারা মাতৃভাষায়ও দুর্বল হয়ে থাকে।
বাচ্চারা খুব সহজেই ভাষা আয়ত্তে আনতে পারে, এটা বহুল প্রমাণিত। আমি মধ্যপ্রাচ্যের একটা দেশে চাকুরীরত ছিলাম। আমার বড় ছেলের বয়স তখন ৫-। ওকে সেখানকার একটা ইংলিশ মিডিয়াম ইন্ডিয়ান স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলাম, যেখানে বাংলাদেশী ছাড়াও কিছু শ্রীলঙ্কান বাচ্চারাও পড়তো। তবে ৯০% ছাত্র ছাত্রী ছিল ভারতীয়। এক বছরের মধ্যেই আমার ছেলে বেশ ফ্লুয়েন্টলীই ইংরেজী ও হিন্দী, উভয় ভাষাতেই কথা বলতে পারতো। স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সে খোদ ভারতীয় সহপাঠীদের পরাজিত করে হিন্দী কবিতা আবৃত্তিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিল। হিন্দী পরীক্ষাতেও সে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু দেশে ফিরে এসে পড়লাম এক মহা সমস্যায়, কারণ ততদিনে সে বাংলা লেখা ও পড়া প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিল। শুধুমাত্র বাঙলার কারণে ওকে স্কুলে ভর্তি করাতে প্রিসিপাল সাহেব অনিচ্ছুক ছিলেন। শেষমেষ আমি মুচলেকা দিয়ে ভর্তি করাই এই শর্তে যে বাঙলায় উত্তীর্ণ না হলে তাকে পরবর্তী শ্রেণীতে ওঠানো হবেনা। অনেক বাঙলা গল্পের বই কিনে দিয়েছিলাম, যাতে বাঙলায় উন্নতি হয়, কিন্তু সেটা ততটা কাজে দেয় নাই। কাজের কাজ হলো যখন ও তিন গোয়েন্দা আর রহস্যোপন্যাস পড়া শুরু করলো। ওর বয়স অনুযায়ী তখনো সেগুলো পড়ার সময় হয় নাই জেনেও আমি উপেক্ষা করেছিলাম। পরে সে ছেলে এসএসসিতে বাংলা ও ইংরেজী, উভয় বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়েছিল (তখনো গ্রেডিং সিস্টেম বা জিপিএ সসিস্টেম চালু হয় নাই)। এতকিছু ব্যক্তিগত কথা বললাম এজন্য যে শৈশব থেকেই বাচ্চাদের বই পড়া শেখানো উচিত, বই পড়ার এর প্রতি (পাঠ্যবই বহির্ভূত) কিভাবে তাদের আকৃষ্ট করা যায়, এ নিয়ে পিতামাতা এবং অভিভাবকদের ভাবা উচিত।
একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর পোস্ট লিখেছেন। পোস্টে ভাল লাগা + +

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পুরো লেখাটির সংক্ষিপ্ত সারমর্ম ফুটে উঠেছে আপনার মন্তব্যে।। আরো একটি বিষয় ভাল লাগলো আপনার " না ভোলাটা" আমি কৃতজ্ঞ।।
আমি এখানে দেখেছি অনেক শিক্ষিত হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র এই একটি কারনে আমরা পিছিয়ে আছি পার্শবর্তি দেশগুলি থেকে!!
দেশে এখনও ইংলিশ মিডিয়ামকে অবহহ অবজ্ঞ্যা করতে।। আমিও স্কুল/কলেজ লাইফে বন্ধুদের কেউ ইংরেজী বললে টিটকারী দিয়ে থামিয়ে দিতাম।। আসলে সেটা ছিল আমাদের ব্যর্থতা ঢাকার প্রচেষ্টা!!
ফাদার পিসাতো স্যার বলতেন, তোমরা যা জান, যথেষ্ট চলার জন্য।। শুধু কথাগুলি মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে না।।
আর বাংলাদেশী হিসাবে আমি কিন্তু কখনো বলি নি যে, মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে ভিন ভাষাকে গুরুত্ব দেয়ার কথা।।
প্রবাসীদের সন্তানরা দেশে গেলেই এই সমস্যায় পড়ে।। তিন গোয়েন্দাও তো গল্পেরই বই।।
আপনি বোধহয় ঘুরে ঘুরে পুরানো লেখা পড়তে পছন্দ করেন।।
শুভেচ্ছা রইলো অনেক।।

৩১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

কালীদাস বলেছেন: উপস, দরকারী একটা পোস্ট মিস করে গেছি অনিয়মিত থাকায় /:)
একটু অন্য পার্সপেক্টে বলি কি করা উচিত।


খুবই প্রয়োজন সেকেন্ড বা থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যাপারে জোর দেয়ার। আপনি মধ্যপ্রাচ্য নিবাসী সম্ভবত, তবুও বলছি আমাদের আরও চিন্তা এবং গবেষণা করা প্রয়োজন ভাষা চুজ করার জন্য। উইথ অল ডিউ রেসপেক্ট, মিডল ইস্টের বেশিরভাগ দেশে আমাদের খুবই নিচু চোখে দেখে। কেবল এয়ারপোর্টগুলোতে যা দেখি তাতেই মাথা গরম হয়ে যায়। এই দেশগুলোতে বেশিরভাগ বাংলাদেশিই গতর খাটিয়ে খায়, মিড লেভেলের বা ম্যানেজারিয়াল পোস্টে খুব বেশি নেই নর্থ আমেরিকা, ইউকে বা অস্ট্রেলিয়ার মত। আমরা অতি অনুকরণপ্রিয়, আগের লোকজন যে পথে গেছে সে পথেই হাঁটতে পছন্দ করি। তাহলে ১০০ ভাগ শিক্ষিত বানানোর জন্য এত আন্দোলন চালিয়ে লাভ কি?

আমাদের উচিত এমন কোন ভাষা টার্গেট করা যেটার ব্যবহারকারী যেমন বেশি তেমনি তাদের ইনকামের সোর্সও বেশি। ৯০ ভাল মুসলমানের দেশে আরবী জানা উচিত কোরআন বুঝার জন্য- ১০০ ভাগ সত্যি। কিন্তু পেট চালানোর জন্য সেটা সাফিশিয়েন্ট না। আমাদের উচিত এখনও ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানিশ বা জার্মান অন্তত বেসিকটুকু হলেও চালু করা। দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষা সম্ভবত ফ্রেঞ্চ এবং স্প্যানিশই। জব মার্কেট যেভাবে সংকুচিত হচ্ছে মিডল ইস্টে, আমাদের আরও কেয়ারফুল হওয়া উচিত।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেখা পেয়ে ভাল লাগছে।। হ্যাঁ আমি মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে কর্মরত আছি, বিগত ২৫বছর ধরে।। বোধহয় থাকবোও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত :-P
সুতরাং আমি খুব ভাল করেই জানি যে, এখানে বিদেশী বিশেষ করে আমাদের কোন চোখে দেখা হয়।। এই লেখাটি বিশেষ করে সেই দৃষ্টিতেই লেখা।। আমি মূলত আমার প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে তুলনা করতে চেয়েছি।। দেখছি, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, এমনকি ফিলিপিনোরাও শুধুমাত্র ইংরেজীতে পারদর্শি বলে, ম্যানেজারিয়াল পদগুলি দখল করে রেখেছে।। যেখানে আমাদের ছেলেরা অনেক বেশী শিক্ষিত হওয়া সত্বেও বড়জোর ক্লিনিং কোম্পানীর সুপারভাইজার!! এটার উপর ভিত্তি করেই মূলত এই লেখা।। শুধু এই কারনেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমান অনেক কম।।
আরবী শিক্ষার কথা আমি ভুলেও মনে করি না।। আমি দেখেছি মাষ্টার্সের সমমানের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে সাধারন ম্যাসেঞ্জারের চাকুরী করতে।। হয়তো দু/একজনে সুযোগ পেয়ে একটু উপরে উঠতে পেরেছে!!
আর যেখানে ইউরোপ সম্পর্কে আমার কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই, সেখানে আমি সেখানকার কথা লেখার ভরসা পাই নি।। তাই যদিও জানি ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানিশ বা জার্মান ভাষার গুরত্ব অনেক, কিন্তু ঐ বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই বলে তা বাহুল্য মনে করেছি।। এই দূর্বলতার জন্য, দুঃখিত।।
খুব ভল লাগলো নিজেকে মেলে ধরতে।। ভাল থাকুন সর্বদা।।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.