নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবার যখন দেহ থেকে বা’র হ’য়ে যাব আবার কি ফিরে আসবো না আমি পৃথিবীতে? আবার যেন ফিরে আসি কোনো এক শীতের রাতে একটা হিম কমলালেবুর করুণ মাংস নিয়ে। কোনো এক পরিচিত মুমূর্ষুর বিছানার কিনারে”

দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সোহেল

স্পন্দিত রক্ত

দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবিতে বেতনসহ ভর্তি ফি বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভ

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছরই কোন না কোন উছিলা তে ভর্তি ফি থেকে শুরু করে বেতন পর্যন্ত অসামঞ্জস্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সাধারণ ছাত্রদের মাঝে এক তীব্র অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বিভিন্ন রকম ভিত্তিহীন যুক্তি উপস্থাপন করছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রথম ব্যাচ ২০১১-১২শিক্ষাবর্ষ।তাদের মাস্টার্স কার্যক্রম'১৬ এর ভর্তির ফি হিসেবে বিজ্ঞান অনুষদের জন্য ১৬৮৮০ টাকা এবং ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক অনুষদের জন্য ১৪৮৮০ টাকা নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি এর দুই থেকে চারগুন বেশি । প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা উঠে আসলে ছাত্রদের পক্ষ থেকে একজন বলেন , “ আমরা ধরে নিলাম, যে নতুন অগ্রগামী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিভাগ উন্নয়ন ও অবকাঠামো গত উন্নয়নের জন্য ব্যায় টা অনেক বেশি, কিন্তু জনগণের ট্যাক্স এর পয়সা দিয়ে নির্মিত উদীয়মান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারী বাজেট এ এর পরিকল্পিত ব্যায় কাঠামো রয়েছে এবং সেই অনুপাতেই এর কার্যক্রম চলে ।ফলে ‘আমরা মাস্টার্স করতে অনুৎসাহিত করছি বা জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে’ এই সমস্ত খোড়া যুক্তিতে ভর্তি সহ বেতন বৃদ্ধির কোন এখতিয়ার তাদের নেই ।
আরেকজনের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ের গভীরতা জানতে চাইলে তিনি বলেন “ আসলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ইচ্ছামত অনেক কিছুই নির্ধারণ করেছে যেমন হল ভাড়া ৩৫০ টাকা যা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই, আবাসিক-অনাবাসিক প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিবহণ বাবদ ৬০০ টাকা দিতে হয় যা রীতিমত অযোক্তিক, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হয়তো জানেন না যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী সহ শিক্ষক দের পরিশোধিত পানি উচ্চ মূল্য কিনে খেতে হয়, যা গোপালগঞ্জে নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয় স্বত্বাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশের ৩৭ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বশেমুরবিপ্রবি ৩৪তম হলেও এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নেত্রীর যে সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা ছিলো, তার প্রতিফলন কতটুকু সম্ভব সেটা নিয়েও বরং সংশয় রয়েছে”।
আসলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণতা তখনই নিশ্চিত হয় যখন তার প্রবীণ শিক্ষার্থী গুলো তাদের জীবনলব্ধ অভিজ্ঞতা ও দান্দনিকতার সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয় স্বত্বার উন্মোচনকে ত্বরান্নিত করে । সেখানে যদি তাদেরকে বেতন-ভর্তি বৃদ্ধির কৃত্তিম জালে আঁটকে ফেলে তাদের চলে যাওয়াকে নিশ্চিত করতে চাই তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক মহল ভুল পথে এগোচ্ছে। কেননা তারা যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসে থাকে তাহলে তারা যথেষ্ট পরিমান অবগত যে এখানকার অধিকাংশই আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবার থেকে আসে। তাদের তিল তিল করে গড়া মেধার সমন্বয়ে দরিদ্রতা ঘোচানোর পাশাপাশি দেশের সেবা করার দিঢ় প্রত্যয় নিয়ে যখন তারা মাঠে নামে তখন তাদের কাছে থেকে রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা ছিনিয়ে নেওয়ার মানে কি শিক্ষার্থীদেরকে তীব্র হতাশার মাঝে ছেড়ে দেওয়া নয়?
কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত ছাত্র জোট এর অপব্যবহারের তীব্র বিরোধিতা প্রকাশ করছে। সেই সাথে তারা সাধারণভাবে নির্ধারিত ভর্তি ফি ছাড়া এর বাড়তি কোন কিছুই দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেনে। তবে তারা আশা রাখছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও যোক্তিক অবস্থান বিবেচনা করে অবিলম্বে তাদের পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন । উল্লেখ্য যে ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থীরা প্রথম অনার্চে ভর্তি হয়েছিলেন বিজ্ঞান অনুষদে ৩৬৮০ টাকা এবং ব্যবসায় অনুষদ ও মানবিক অনুষদ ৩১৮০ টাকা দিয়ে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.