নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূণ্যতা জীবনে পূর্ণতা পাওয়ার আশা

সোহেল চৌধুরী

মুহাম্মদ সোহেল চৌধুরী, সত্যকে আকড়ে ধরে, জীবনকে রঙ্গিন করে, আজীবন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান।

সোহেল চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালা ভূতের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি আমি "সোহেল চৌধুরী" ধারাবাহিক ভাবে সাজানো হয়েছে তিন পর্বে কালা ভূত এর গল্প। কালা ভূত- প্রথম পর্ব

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪


কালা ভূত
সোহেল চৌধুরী
..............

কাশেম ভাই, শুনছ, কালীবাড়ি না কি কালা ভূত ধরা পড়ছে।
শুনলাম কানাই পাগলার মাইয়ার ওপর ভর করছে। তুই যাবি?
কি কও, আমি যাবো না, কালা ভূতের নাম শুনছি অহন সত্যি সত্যি কালা ভূত দেখব।
হ্যাঁ শুনলাম সাতলা, বাগধার সব মানুষ আইতে আছে। আজ কালা ভূত কে ছাড়ব না।

সয়তান তোরা আমাকে ছেড়ে দে, ছেড়ে দে বলছি। না দিলে তোদের সব পোলা মাইয়ারে ধবংস করে দিব। হা: হা: হা: ‍হা.........
কি কয়, কি কয়, কালা ভূত কি কয়? তোরে আজ ছাড়ব না। আজ তোরে ‍পাইছি, মাইরা ফেলবো। মারো- মারো- কালা ভূতকে সবাই মারো।

করিম ভাই, শোন কালা ভূতিকে ভিটার উপর বড় তালগাছের সাথে বেঁধে রাখো- আমি ফকির ল্যাংড়া পাগলারে খবর দিচ্ছি। ওরে আজ একটা কঠিন শাস্তি দিতে হবে।

খবরদার বলছি, তোরা যদি বাঁচতে চাস তো আমার গায়ে হাত দিবি না। যদি হাত দিস তাহলে রাঙ্গামাটি থেকে সব কালা ভূত চলে আসবে।

একথা শুনার পর গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়ের আতং ছড়িয়ে পড়ল। যদি সব কালা ভূত এসে আমাদের উপর ভর করে। তাহলে আমরা কেউ বাঁচতে পারব না।

আরে মিথ্যা বলছে ওকে বাঁচাতে কেউ আসবে না। তোমরা ভয় ‍পাইও না। ল্যাংড়া পাগলার ভয়ে ও এই কথা বলছে।
আসুক তোর ল্যাংড়া পাগলা, আমারে কি করে দেখে ছাড়ব। হা: হা: হা: ‍হ.....

সময় যতো গড়াচ্ছে গ্রামবাসীর ভীড় ততোই বাড়ছে। সবাই আসছে কালা ভূতকে একবার দেখবে বলে। সবার ভিতর উত্তেজনা কাজ করছে। যে যে ভাবে পারছে ছুটে চলছে কালা ভূতকে দেখার জন্য।
আমার মাইয়াটার বয়স কত দিন হলো বিয়া হচ্ছে না। দিন দিন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। এই ডাইনি কালা ভূতির জন্য।
ঠিক বলছো মরিয়াম বু। আমারে ও কত রাত ভয় দিয়েছে জানালার ফাক দিয়ে। দেখ দেখ মরিয়াম বু আবার দাত বের করে হাসে। হ্যা ওরে আগুন দিয়ে ‍পুইড়া মারা দরকার, আর কারও যেন ক্ষতি না করতে পারে।

এলাকাবাসীর লোকজনের মধ্যে কালা ভূতকে মারা জন্য রাগ পুঞ্জিভূত করছে। এলাকার লোকজন যার যার মতো মারা শুরু করছে। ওমনিতে কালা ভূত চিতকার করছে। চেহারার মাঝে এক ভয়ংকার রুপ ধারণ করছে।

ওরে এলাকাবাসী, তোরা আমায় মারিস না। মারিস না বলছি, এর প্রতিশোধ নিতে কালা ভূতের ডাইনিরা আসবে।

এদিকে খবর পেয়ে ল্যাংড়া পাগলা তার দলবল নিয়ে হাজির। ল্যাংড়া পাগলাকে দেখে কালা ভূত তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে।
শোন ল্যাংড়া পাগলা তুই আমারে কিছু করতে পারবি না। আমি কালা ভূত। আমার অনেক শক্তি।
শোন কালা ভূতি তোর মতো কত কালা ভূতিরে দেখলাম। কালা ভূতি, তুই আমারে মারা ভয় দেখাচ্ছো। আমি ভয় পাই না। আজ তোর রক্ষা নাই আমার হাত থেকে।
তুই কিছু করতে পারবি না আমারে -হা: হা: হা: ‍...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.