নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূণ্যতা জীবনে পূর্ণতা পাওয়ার আশা

সোহেল চৌধুরী

মুহাম্মদ সোহেল চৌধুরী, সত্যকে আকড়ে ধরে, জীবনকে রঙ্গিন করে, আজীবন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান।

সোহেল চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কালা ভূত" এর গল্পের আজ প্রকাশ করা হল দ্বিতীয় পর্ব

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯



কালা ভূত
সোহেল চৌধুরী


আজ সূয ‍অস্ত যাবার আগেই কালা ভূতকে তাড়াতে হবে।
গ্রামবাসী ল্যাংড়া পাগলার কথায় দিয়ে বলল হা হা হা হা আজ আমরা কালাভূত কে ছাড়ব না। যে ভাবে হউক কালা ভূত কে খতম করা চাই।
তাহলে তোমরা রেড়ি থাকো। শমসের তুই কোথায়? পোড়া বাড়ির কালা দড়িটা নিয়ে আয়। দেখতো ভেদা কানাই কোথায় গেছে। ওকে আমার সামনে আসতে বল।
জি ল্যাংড়া বাবা। আমি বলছি।
শোন শমসের কামরুক কামেক্ষা থেকে যে পচা তেল নিয়ে আসছিলাম ঐ তেল বের কর।
এই ল্যাংড়া পাগলা তোর পোড়া বাড়ির পোড়া দড়ি দিয়ে কিছুই করতে পারবি না। আর পচা তেল ঐ তেল তো আমরা স্নান করি যে পানি দিয়ে সেই ময়লা পানি। পোড়া দড়ি আর তেল দিয়ে আমায় কিছুই করতে পারবি না। হা: হা: হা: ‍হা.........
কি কয় কালা ভূত ও ল্যাংড়া পাগলা তুমি কালাভূতির পারবে?
কাশেম তোমার ভয় নাই। আমি আছি তো। তোমরা কালাভুত কে তাল গাছে সাথে শক্ত করে বেধে রাখো। আর একটা কাজ করতে হবে।
কি কাজ ল্যাংড়া পাগলা।
কাজটা হলো ঐ তালগাছের চার পাশে পাচ হাত দূর দিয়ে গোলাকার এক দাগ দিতে হবে। যাতে করে কালা ভূত বাহিরে না যেতে পারে।
ল্যাংড়া পাগলা একাজ আমরা করতে পারবো না। এইটা তোমার লোক দিয়ে কর।
ঠিক আছে। তোমরা বেশি ভয় পাচ্ছো মনে হয়। আমর কাছে পোড়া দড়ি আছে। ভয় নাই ভয় নাই। তোমরা ভয় পাইলে আমার লোকে করবে।
ল্যাংড়া পাগলার কথা শুনে কালা ভূত হাসছে হা: হা: হা: ‍হা.........
আর ভয়ংকার ভয়ংকার চিতকার দিচ্ছে। চিতকার শুনে ..... গ্রামের লোক জনের মধ্যে
কানা কানি কথা হচ্ছে। সবার মধ্যে আবার ভয় পাচ্ছে। যদি ..... কালা ভূত
দড়ি কেটে বের হয়ে আমাদের উপর ভর করে। তাহলে আমাদের কারও রক্ষা নাই।
ল্যাংড়া পাগলার কথা মতো ভেদা পাগলা এসে তাল গাছের চার পাশ দিয়ে যখন গোলাকার দাগ টানা প্রায় শেষ শুধু বাকি আছে কালা ভূতের সামনের অংশ। কালা ভূতের সামনে যখন দাগ টান দিল তখনই কালা ভূত মারল এক লাথি ভেদা পাগলাকে। এক লাথি মারায় ভেদা পাগলা তাল গাছের মাথায়। এখন ভেদা পাগলার উপর ভর করল কমলা সুন্দরী ভূত। কমলা সুন্দরী হলো কালা ভূতের বউ।
তালগাছের মাথা একবার এদিক আর একবার ওদিক নুয়ে পড়ছে। মাঝে মাঝে তালগাছের পাতার থেকে এক ভয়ংকার শব্দ বের হয়ে আসছে। হালুম হালুম হালুম খাবো তোরে হালুম তোরে খাবো।
এই শব্দ শুনে গ্রামবাসী ভয়ে বাড়ি ছুটতে শুরু করল।
তোমাদের ভয় নাই। আমি তোমাদের সাথে আছি। অভয় দিচ্ছি তোমাদের, কালাভূত আর কামলা সুন্দরী কিছু করতে পারবে না।
কমলা সুন্দরী বলল, ল্যাংড়া পাগল এতো দিন তোর কথা শুনেছি এখন তোর কথা শুনব না। আজ তুই আমার কথা শুনবি। এই কমলা সুন্দরীকে দিয়ে অনেক পাগলামি করেছিস। আজ তোকে নিয়ে আমি পাগলামি করব। হা: হা: ‍হা......... আমি তোর সব মন্ত্র জানি হা: হা: ‍হা......... হা: হা: ‍হা.........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.