নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূণ্যতা জীবনে পূর্ণতা পাওয়ার আশা

সোহেল চৌধুরী

মুহাম্মদ সোহেল চৌধুরী, সত্যকে আকড়ে ধরে, জীবনকে রঙ্গিন করে, আজীবন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান।

সোহেল চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিজড়াদের নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদন- সোহেল চৌধুরী, আজ প্রথম পর্ব

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

হিজড়া নিয়ে প্রতিবেদন
সোহেল চৌধুরী

হিজড়ার ইংরেজী শব্দ হল সিমেল। বিশ্বে সব দেশে হিজড়াদের নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে সব সময় একটা কৌতুহল কাজ করে। হিজড়াদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে চিন্তার শেষ নেই। আমাদের সমাজে তাদেরকেই হিজড়া বলি যাদের আচার আচারণ স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে ভিন্ন এবং তারা পুরুষ কিংবা মহিলা কোনটাই বুঝা যায় না। বিশ্বে হিজড়ার সংখ্যা কম নয়। তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে আমেরিকা হিজড়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় সত্তর লাক্ষ হিজড়া বসবাস করে। এদিকে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ইন্ডিয়া হিজড়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ইন্ডিয়া প্রায় পঞ্চাশ লাক্ষেরও বেশি হিজড়া রয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। ১৯৮০ সালে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে হিজড়া আসা শুরু করে। তখন বাংলাদেশে হিজড়া নেই বললেই চলে। ‍অতচ বর্তমানে বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় পনের হাজার। শতকরা সত্তর ভাগ হিজড়া বাস করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে। আর বাকি গুলো রাজত্ব করছে বিভাগীয় শহরে। বাংলাদেশী হিজড়াদের ২০০৯ সালে ভোটার হবার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তেমন কোন হিজড়াদের ভোটার সংখ্যা পাওয়া যায় নাই। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার হিজড়াদের একটা ক্যাটাগরিতে রাখে এবং তাদের জন্য সরকারি ভাবে কোঠা সৃষ্টি করা হয়। তার সাথে সাথে হিজড়াদের থার্ড জেনন্ডার হিসাবে গণ্য করা হয়। মন্ত্রীপরিষদের এক বিল ও পাস করা হয় যে হিজড়ারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে তারা সুযোগ সুবিধা পাবে। এতো সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও তারা কেন সুবিধা নিচ্ছে না। আমাদের দেশের হিজড়াদের শিক্ষার অভাব মানষিকতা অভাব ওরা আমাদের সমাজের সাথে তালমিলে চলতে পারে না বলেই আমাদের সাথে মিলেমিশে থাকতে চায় না। আমরা কি ওদের কে কোন সুযোগ দিচ্ছি না, তাই? ওদের মানষিকতা পরিবর্তন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

সব ‍সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পর তারা কেন আমাদের সমাজের সাথে মিলে থাকছে না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হলে আমাকে লিখতে অনেক কিছু......

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

ডরোথী সুমী বলেছেন: হুম! আরও জানতে চাই। শুভ কামনা।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

সোহেল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ডরোথী সুমী আপা, দ্বিতীয় পর্বে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমার একটা প্রশ্ন আছে- চিকিতসা করে কি হিজড়াদের সেক্স (নারী বা পুরুষ) নির্ধারিত করে দেওয়া যায়?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

সোহেল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ গোধুলী রঙ, আপনার প্রশ্নের উত্তর দ্বিতীয় পর্বে পেয়ে যাবেন।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

গোধুলী রঙ বলেছেন: ঠিক আছে দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

ওদের প্রতি সাধারনের ব্যবহার অমানবিক অনেক ক্ষেত্রে, আবার ভেজাল হিজড়াও আছে (পুরুষ হিজড়া সেজে চাদাবাজি করছে), এসব নিয়ে যে বিশৃংখলা, সরকার বা এন্টারপ্রিনররা চাইলে এই প্রায় লাখখানেক মানুষকে সমাজের মূল ধারায় আনা সহজ হত।

উদ্যোগ গৃহিত হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। তবে ভিক্ষুকরা পুনর্বাসনের পরেও ভিক্ষায় ফিরে আসে কারন এখানে কায়িক শ্রম ছাড়াই ভালো ইনকাম এই দেশে, একই ধারায় যদি হিজড়ারা চলে যায় তবে পুনর্বাসন শতভাগ সফল হবে এটা বলা মুশকিল।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

সোহেল চৌধুরী বলেছেন: গোধুলী রঙ, আপনার সাথে আমি একমত। হিজড়া বলেন আর ভিক্ষুকদের কথা বলেন তাদের পূর্ণবাসন দেওয়ার সত্যে ও কেন তারা এই কাজ গুলো করে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন আমার আপনার সবার।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎকার !
অনুসন্ধানী লেখা
দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

সোহেল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৫

নতুন বলেছেন: হিড়জা/ট্রান্সজেন্ডারদের পুনর্বাসনের ধারনাটাই ঠিক না।

এদের সমাজে সাধারনের মতন কাজের সুযোগ দিলেই এরা আর কোন সমস্যা থাকবেনা।

বাইরের দেশে এদের পুনর্বাসন করা হয়নি। বরং সমাজ তাদের আলাদা করে রাখে না। তাই তারা কোন সমস্যাও না।

আমাদের সমাজ এই সমস্যা তৌরি করেছে এবং এরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে এবং সমাজে এখন চাদাবাজি করে পেট চালাচ্ছে।

সমাজে সবাই এদের কাজ দিক এরা সাধারনের চেয়ে ভাল কাজ এবং ক্রিয়েটিভ ভাবেই করবে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

সোহেল চৌধুরী বলেছেন: আমি বেশি দেশে ঘুরতে পারি নাই,তার পরও যে কয়েকটি দেশে ভ্রমন করেছি তাতে দেখলাম আমাদের দেশের মতো এই রকম হিজড়ারা চাঁদাবাজি করে না।তারা কাজ করে খায়। নেপালের অনেক হিজড়া দেশের বাহিরে কাজ করে এবং ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে, আর আমাদের দেশের চিত্র উল্টা।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৬

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের সমাজের কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। ভন্ডামী বেশি তাই এটা ঠিক হতে সময় লাগবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.