নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুহাম্মদ সোহেল চৌধুরী, সত্যকে আকড়ে ধরে, জীবনকে রঙ্গিন করে, আজীবন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান।
জীবন নয় মাদক মুক্ত জীবন চাই।
সোহেল চৌধুরী
এক সময় বাংলাদেশে ফেন্সিডিল ব্যবহারের জনপ্রিয়তা ছিল তাবে তার ব্যবহার এখন ও কমে যায়নি। ফেন্সিডির ব্যবহার একখন ঘরে ঘরে ব্যবহার চলছে। বর্তমান বাংলাদেশে ইয়াবা একটি মর্ডান নেশায় পরিনত হয়েছে। ইয়াবা সেবন না করলে মনে হয় যেন আধুনকি জীবন থেকে অনকে দূরে। তাইতো বাংলাদেশে ইয়াবা সেবন কারির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জে সাতলা বিল অঞ্চলেও । বর্তমান সময়ের প্রক্ষাপঠে ইয়াবা বাংলাদেশের সর্বাধিক অপব্যবহৃত মাদকদ্রব্য। আর এই মাদকদ্রব্য পাচার বিশেষ করে ইয়াবা পাচারের প্রধান জনপদ হয়ে উঠেছে টেকনাফ সীমান্ত। টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত মায়ানমার থেকে বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবা প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। পাচারকৃত ইয়াবা বাংলাদেশ ভূখন্ডে ঢোকার পরে কক্সবাজার, টেকনাফ দুইটি সড়কই (প্রথমটি ভায়া সদর উখিয়া ও দ্বিতীয়টি মেরিন ড্রাইভ এলজিইডি সড়ক) ইয়াবা পরিবহন কাজে ব্যবহৃত হয়। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারকৃত ইয়াবার সিংহভাগই নাফ নদী ও তৎসংলগ্ন অববাহিকা ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে জেলে নৌকা বা জনসাধারণের চলাচলকারী বোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশের পশ্চিম দিক থেকে এগার পয়েন্ট দিয়ে মাদক দ্রব্য প্রবেশ করছে। উত্তরে চারটি পয়েন্টে দক্ষিনে তিনটি পয়েন্ট বাকি তিনটি পয়েন্ট ব্যবহার করছে টেকনাফ কক্সবাজার ও মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে।
দেখে নিন কিছু মাদক দ্রব্যের নাম ও তার পরিচিতি:
গাঁজা: ক্যানাবিস স্যাটিত নামক ভারতীয় শন গাছ থেকে ভাং পাওয়া যায়। ভাং গাছের মানষিক সক্রিয়তা উপাদক উপাদান রয়েছে। এটি ব্যবহার করলে মানুষের মনে মানষিক পরিবর্তন ঘটে। গাঁজার রং ধূসর সবুজ থেকে সবুজ জাত বাদামি হতে পারে।
চরস: ভাং গাছের রসালো রস শুকিয়ে চরস বানানো হয়। যার রং কালো।
ভাং: গাঁজা বানানোর পাতা ও দুধসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ভাং তৈরি করা হয়। যাকে আমরা সিদ্ধি বলে থাকি। এসব ব্যবহারের ফলে মানুষের স্মৃতি শক্তি ও মনোযোগে অভাব দেখা দেয় এবং ক্যান্সার হবার সম্ভবনা থাকে।
ফেন্সিডিল: বাংলাদেশে ফেন্সিডিল বেশ জনপ্রিয়। এটি একটি কমলা রংঙের তরল পর্দাথ। এটি এক সময় কাশির জন্য ব্যবহার করত।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি বৈধ হলে বাংলাদেশে মাদক দ্রব্য হিসাবে ব্যবহার করে থাকে।
আফিম:আফিম একটি মন্ড জাতীয় পর্দাথ। এর রং কালচে।আবার এর আর একটা আকার রয়েছে পাউডার মতো। এ গুলো তীব্র গন্ধ। খাদ্য দ্রব্যের সাথে মিশি খায়।,
পেথিডিন: পেথিডিন তৈরি করা হয়েছিল গভাধি পশুর জন্য পিডিজেসিক ইঞ্জেকশন কিন্তু বর্তমানে এটি মাদক হিসাবে মানুষের শরীরে ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ দিয়ে ব্যবহার করে।
কোকেন: কোকেন হলো সাদা রং মিহি জাতীয় পাউডার। গম অথবা ভুট্টা ভাঙ্গলে যে ভাবে দানা দান দেখা যায় ঠিক কোকেন ও তেমনি দেখা যায়। কোকেন মানুষ মাদক হিসাবে ব্যবহার করে। মানুষের শরীরে ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে সেবন করে।
মদ: মদের মুল উপাদান হল ইথাইল এলকোহল। বাংলাদেশে সকল প্রকার মদের আসক্তি লক্ষনীয় বাংলা মদ, তাড়ি, বিয়ার,ওয়াইন, লিকার ইত্যাদি।
হেরাইন: বর্তমানে বাংলাদেশে হেরাইন চাষ করা হচ্চে। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর দিক। তাই আমাদের উচিত সকল মাদক দ্রব্য প্রত্যাহর করা। তাহলে আমাদের যুব সমাজ ধবংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তাই জীবন নয় মাদক মুক্ত জীবন চাই।
আপনাদের সুবিধার জন্য একটি ম্যাপ দেওয়া হলো।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সোহেল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ আহসান ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
হামিদ আহসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন - মাদকমুক্ত জীবন চাই ......।