নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূণ্যতা জীবনে পূর্ণতা পাওয়ার আশা

সোহেল চৌধুরী

মুহাম্মদ সোহেল চৌধুরী, সত্যকে আকড়ে ধরে, জীবনকে রঙ্গিন করে, আজীবন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান।

সোহেল চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ প্রেমের সূর্য্য ডোবা

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

সব মানুষের ভিতরে প্রেম ব্যাপারটা রক্ষিত থাকে সুপ্ত অবস্থায়, বিষয়বস্তু সামনে চলে এলে এর প্রকাশ পেয়ে যায়। মানুষ তখন প্রেমিক হয়ে ওঠে। আর তাই সমাজের একজন দুষ্ট চরিত্রের মানুষকেও কখনো কখনো প্রেমিক হয়ে উঠতে দেখা যায়। এই প্রেমের অনুভুতি এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতেও সে কুন্ঠা বোধ করে না। এই প্রেম হতে পারে একজন নারীর প্রতি, হতে পারে মায়ের প্রতি, সন্তানের প্রতি, দেশের প্রতি। তবে মায়ের জন্য এবং দেশের জন্য যে প্রেমবোধ তার চারিত্রিক সাদৃশ্য খুবই নিবিড়। সন্তানের জন্মের পরই অথবা সন্তানকে জন্ম দেয়ার পরই মায়ের সঙ্গে সন্তানের প্রেমের বন্ধন তৈরি হয়ে যায়। তেমনি মানুষ যে দেশে বা যে মাটিতে জন্ম নেয় সেই দেশ বা মাটি হয়ে ওঠে তার মাতৃভূমি। মায়ের স্তনদুগ্ধে যেমন সে জীবনকে ধারন করে, বাড়ন্ত করে, তেমনি দেশের মাটি, আকাশ-বাতাস, রোদ-বৃষ্টি, গাছ-পালা, লতা-গুল্ম তথা সমগ্র পরিপার্শ্বের ভিতরে সে বেড়ে ওঠে এবং অজান্তেই এক গভীর প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। এই মাতৃপ্রেম এবং দেশপ্রেম তাকে বিভাজিত করতে পারে না, পারে না বিচ্ছিন্ন করতে। আর তাই মায়ের কাছ থেকে সন্তান যখন দুরে চলে যায়, হৃদয়ের গভীরে এক শুন্যতার সৃষ্টি করে যা আকুল হয়ে চোখের জলে ব্যক্ত হয়ে ওঠে। তেমনি দেশ মাতৃকা থেকে যখন কেউ জীবন-জিবিকার প্রয়োজনে বিদেশ-বিভূঁইয়ে পাড়ি জমায় তখন তার হৃদয়টা হু হু করে কেঁদে ওঠে। আর ভিন্‌ দেশ থেকে কেবলই ক্ষন গননা শুরু হয় কবে দেশে ফিরবে। কিন্তু এ সবই আপেক্ষিক। এই প্রেম এতটাই গভীরে প্রথিত থাকে যে মা বা দেশের মান হানিকর কোন কার্য্যকলাপ যা তাদের অপমানিত করে, ভক্তি-শ্রদ্ধার ব্যত্যয় ঘটায়, তা কখনো বরদাশ্‌ত করতে পারে না। আর পারে না বলেই দেশের জন্য মানুষ জীবন বাজি রাখে মান বাঁচানোর তাগিদে। আর তাই সেই তাগিদ থেকেই সৃষ্টি আমাদের এই বাংলাদেশের।

কিন্তু দীর্ঘকালের পথ পরিক্রমায় আজ অনেক প্রশ্ন জমা হয়ে গেছে আমাদের দেশপ্রেম নিয়ে, সন্তান হিসেবে দেশমাতৃকার জন্য আমরা কি করেছি, কতটুকু করেছি? যে জন্মদাতৃ জন্ম দিয়ে আমাদের করেছে সুমহান, আমরা সেই গর্ব এবং গৌরবকে ধারন করতে পেরেছি কিনা! নাকি কলংক লেপন করেছি দেশমাতৃকার পবিত্র দেহে, নিজেরাই করেছি তাকে অপমানিত? আমাদের যতটা আছে গৌরব, ততই আছে কলংক। এই কলংক লেপন আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি, বুঝে না বুঝে সম্মতি জানিয়েছি, সম্মোহিত থেকেছি। কিন্তু যখন বোধ বা চেতনায় জাগ্রত হয়েছি, দেখেছি দেশ আমার ক্ষত-বিক্ষত পাশবিক ছোবলে। কিন্তু কেন হলো? তা’হলে কি আমাদের দেশপ্রেমে ঘাটতি আছে? বোধে আছে অবিমৃষ্যতা! দেশপ্রেম যদি জীবন দানে উদ্বুদ্ধ করে তবে তার কলংকে কেন চেতনাহীন! যারা মৃত্যু অবধারিত জেনেও শত্রুর সামনে দাঁড়িয়ে বন্দুকের বুলেট ছুড়েছে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন করেছে তারা, সেই মানুষগুলো কি করে চেতনার স্থলনের দর্শক হয়ে যায়, হয়ে যায় সেসবের অংশী? কিন্ত্তু হয় না সবাই। যারা এই সব স্থলন আর বিচ্যুতি সহ্য করতে পারেনি তারা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে, কেউ নিয়েছে নিভৃত বিজনে স্বেচ্ছা বনবাস।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.