নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোধহয় সেই ক্ষণজন্মা জন্ম যার প্রভাতে,যার আবেদনে মেঘ ঝরেছিলো আসমান হতে।।

সকাল রয়

কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত

সকাল রয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

-।। পাঠ পরিক্রমায় "মেমসাহেব" -।।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৯







মেমসাহেব

নিমাই ভট্টাচার্য

প্রথম প্রকাশ-১৯৮৫ খ্রিঃ

প্রকাশনায়- দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা।

প্রচ্ছদ- অজিত গুপ্ত





কলকাতার দে’জ পাবলিশিং থেকে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের মহালয়ায় প্রথম দে’জ সংস্করণে প্রকাশিত হয় মেমসাহেব। যুগযুগ ধরে যে প্রেমকে বাঙালী অন্তরে লালন করে এসেছে তারই আরেকটি অনুপম প্রেমের ইতিহাস নিয়ে সাতচল্লিশের প্রেক্ষাপটে রচিত এই উপন্যাস। বাঙ্গালীর আবেগ নদীতে নতুন ভাবে দোলা দিয়ে যায় পাঠক মহলের কাছে প্রিয় হয়ে আছে মেমসাহেব। পাঠকনন্দিত এই উপন্যাসটি রোমাঞ্চকর প্রেম ও জীবন সংগ্রামের মিশেলে রচিত। কথাশিল্পী নিমাই ভট্টাচার্য তার জীবনের এক মহেন্দ্রক্ষণে লিখেছিলেন এই মেমসাহেব উপন্যাস। সুবিন্যস্ত ভাষা ব্যবহার আর জোড়ালো অনুভূতিতে লেখা এই গল্পকাহিনী বার বার নতুন করে ভালোবাসতে শেখায়। অনেক পাঠক উপন্যাসের চরিত্রের ভেতর দিয়ে ভালোবেসে ফেলে মেমসাহেবকে। সাহিত্য বোদ্ধাদের কেউ কেউ মনে করেন এই মেমসাহেবের গল্পটি লেখকের নিজের জীবনের এক সত্য উচ্চারিত ঘটনা প্রবাহের আলোকপাত।



মেমসাহেব মূলত প্রেমের উপন্যাস হলেও এখানে রয়েছে দেশভাগের কথা, এক রিপোর্টারের অজানা জীবনকথা। সাতচল্লিশের দেশ ভাগ পরবর্তী সময়ে কলকাতা শহরের লাখ লাখ বেকারের মাঝে কি করে একজন হাফ বেকার, হাফ রিপোর্টার শুধু মনের জোর আর নিষ্ঠায় ভালোবাসার শক্তিকে অবলম্বন করে কিভাবে সর্বোত্তম পদে নিজেকে অধিষ্ঠিত করার গল্প।

উপন্যাসটির শুরু হয়েছে দোলা বৌদিকে লেখা চিঠির মাধ্যমে। পুরো উপন্যাসটিই চিঠির মতো করে লেখা। উপন্যাসের মূল চরিত্র দু’জন। একজন মেমসাহেব অপরজন এই উপন্যাসের নায়ক বাচ্চু। নিজের অনাড়ম্বর জীবনের কথাগল্প শোনাতেই একদিন চিঠি লিখতে শুরু করে দোলা বৌদির কাছে। পাঠকের চোখকে গভীর সমুদ্রের ঢেউ দিয়ে ভিজিয়ে সুনিপুণ ভাবে লেখক তুলে আনেন মেমসাহেব চরিত্রটিকে। তবে তার আগে উপন্যাসে এসেছে নায়ক বাচ্চুর জন্মকথা। উপন্যাসের এই অনুচ্ছেদটি পড়লেই তার আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠে-



“ সেদিন কি তিথি, কি নক্ষত্র, কি লগ্ন ছিল, তা আমি জানি না। জীবন নদীতে এত দীর্ঘদিন উজান বাইবার পর বেশ বুঝতে পারছি যে সেদিন বিশেষ শুভলগ্নে আমি পৃথিবীর প্রথম আলো দেখি নি। এই পৃথিবীর বিরাট স্টেজে বিচিত্র পরিবেশে অভিনয় করার জন্য আমার প্রবেশের কিছুকালের মধ্যেই মাতৃদেবী প্রস্থান করলেন। একমাত্র দিদিও আমার জীবন নাট্যের প্রথম অঙ্কেই জামাইবাবুর হাত ধরে শ্বশুরবাড়ি কেটে পড়ল। আমার জীবনে সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আমি নারী- ভূমিকা-বর্জিত নাটকে অভিনয় শুরু করেছি। ”



উপন্যাসের বাচ্চু নারী ভুমিকা বর্জিত জীবনকে শৈশব থেকেই উপলব্ধি করতে শিখে। শৈশব থেকেই আক্ষেপ শব্দটির সাথে পরিচয় ঘটে। মা’র অভাব পূর্ন হয়না, উল্টো চোখের জলে বুঝতে পারে যদি শৈশবের শুরুতে গাছের গোড়ায় জল পড়তো তাহলে সুন্দর একটা জীবন তারও হতো। কিন্তু বিধাতা পুরুষ হয়তোবা সেটা চাননি। শৈশবের দিনগুলোতে কোন জন্মদিনেই বাবা ছাড়া আর কেউ তাকে আর্শীবাদ করেনি, কোনদিন অপেক্ষা করেনি কেউ স্কুল গেটে। তবে ছোটবেলা থেকে অপেক্ষা হয়েছিল তার সঙ্গি। রোজ রাত্তিরে এবং দুর্গোপুজায় সঙ্গীবিহীন ঘুরে একা একা বাড়ি ফিরে বাবার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। এই অংশে মাকে নিয়ে উপন্যাসে চিত্রিত হয়েছে লেখকের বেশ কিছু মমস্পর্শী বয়ান যার মাঝে একটি অনুচ্ছেদের খানিকটা তুলে দিলাম-



“ অনেকে মা পায়না কিন্তু তাঁর স্মৃতির স্পর্শ পায় প্রতি পদক্ষেপে। মা’র ঘর, মা’র বিছানা, মা’র বাক্স, মা’র ফার্নিচার, মা’র ফটো ফটো থাকলেও মা’র একটা আবছা ছবি মনের পর্দায় উঁকি দেবার অবকাশ পায়। আমার পোড়াকপালে তাও সম্ভব হয় নি। নিমতলা শ্মশানঘাটে মা’র একটা ফটো তোলা হয়েছিল। পাঁচ টাকা দিয়ে তিনটে কপিও পাওয়া গিয়েছিল। নিয়মিত বাসাবদলের দৌলতে দু’টি কপি নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। তৃতীয় কপিটি দিদির সংসারে ক্ষুধার্ত উইপোকার উদরের জ্বালা মেটাচ্ছে। মানুষের জীবনের প্রথম ও প্রধান নারী হচ্ছে মা। তাঁর স্নেহ, তাঁর ভালবাসা, তাঁর চরিত্র, আদর্শ, প্রতি পুত্রের জীবনেই প্রথম ও প্রধান সম্পদ। ”



নায়কের জীবনে প্রথম নারীর উপস্থিতি ঘটে কৈশরের শেষ দিনগুলিতে পাড়াতো দাদার বাড়িতে। জীবনের প্রথম আবেগী অনুভূতিটির নাম হলো ‘নন্দিনী’। কিশোরী নন্দিনী জীবন নাট্যের নায়ক খুজতে বেড়িয়েছিলে সে বয়সেই। কিন্তু উপন্যাসের নায়ক বাচ্চু প্রথম প্রেমের আহবান গ্রহন করতে পারেনা। কারো কারো জীবনে আক্ষেপের সাথে অপরাগতা এত বেশি মাত্রায় যুক্ত হয়ে যায় যে তখন অনেক কিছুই গ্রহন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। নন্দিনী হয়তোবা বাচ্চুর জীবন মঞ্চে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারেনি তবে জীবনের প্রথম প্রেম হিসেবে রয়ে যায় অমূল্য স্মৃতি। ম্যাট্রিক পাস করবার পর নন্দিনী চলে যায় বোম্বে। তবে জীবন থেকে একেবারে চলে যায় না, সেই থেকে জীবনের এই মাহেন্দ্রক্ষণ পর্যন্ত প্রতি নায়কের জন্মদিনে শুভেচছা জানাতে ভূল হয় না। দীর্ঘ দশ বছর পর একদিন কার্শিয়াং এর কুয়াশা ভেদ করে নন্দিনীর সাথে পুনরায় দেখা হয়ে যায়। লেখক এখানে দেখিয়েছেন প্রেমের প্রেম রুপ। প্রেম কি পুরোনো হয়? বাচ্চু হয়তো নন্দিনীকে ভালোবাসেনি তবে প্রেমকে উপেক্ষা করবার মতো ও যে সাহস ছিলনা।



বাচ্চুর জীবনে সংগ্রামের মূল পরিবর্তনের চিত্র ফুটে উঠে দেশভাগের সময়। কলেজ জীবন শুরুর দিকে দেশভাগের নিদারুণ দৃশ্যপটে সে নিজেও বিহবল হয়ে যায়। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বলি হওয়া মানুষ গুলোর বাঁচার প্রয়োজনীয়তা আর দেশে হঠাৎ দরিদ্রতা, সেই সাথে শুরু হয় হাজার বেকারের সাথে তার নিজেরও পড়ালেখা চালানোর জন্য চাকুরী খোঁজার চেষ্টা বাচ্চুর পরিবারের লোক তো নয়ই তার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের কেউ কোনদিন খবরের কাগজে চাকুরী করেনি কিন্তু সেই চরম দরিদ্রতা কাধে নিয়ে সে হাফ রিপোর্টারের চাকুরী নিয়ে নেয়। শুরু হয় তার আর এক কঠিন জীবন সংগ্রাম। জীবন সংগ্রামের সেই চরম মূহুর্তে এসেই একদিন শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতা ফেরার পথে বোলপুর রেল কামরায় ভিড়ের মধ্যে মেমসাহেবের সাথে দেখা হয়ে যায়।



দৈন্যতা কে পকেট সঙ্গী করে ফেরা সেই তরুন বাচ্চুও ‘বুদ্ধিদীপ্ত উজ্জল গভীর ঘনকালো টানা টানা শ্যামলিমার চোখ দুটির প্রেমে পড়ে গিয়েছিল’। প্রথম দেখায় হয়তোবা একটা আচ্ছন্নতা তাকে ঘিরে ছিল কিন্তু বিধাতা পুরুষের এই বুঝি ছিল লিখন। তাই কদিন পর ফাইন-ইন-আর্টস বিল্ডিং এ যামিনী রায়ের এক্সিবিশনে দ্বিতীয় বারের মতো দেখা হয়ে যায় মেমসাহেবের সাথে। এই নাগরিক পথে বিশ্বকর্মার তীর্থক্ষেত্র মেমসাহেব নামধারী শ্যামলিমা আর বাচ্চুর শুরু হয় প্রেমজীবন।

উপন্যাসের পরবর্তী অংশে লেখক নিজের মনের তুলিতে আঁচড় কেটে ফুটিয়ে তুলেন চিরাচরিত নারীর রুপ। প্রতিটি পুরুষ মানুষই একজন নারীকে অবলম্বন করে বড় হয়। সামনের দিকে এগিয়ে যায়। মানুষ একটি মুখের হাসি আর দুটি চোখের জলের জন্যই তো এত কিছু করে। বাচ্চুর জীবনে মেমসাহেব প্রদীপ হয়ে আলোর ছটা ছড়িয়ে দেয়। হাফ রিপোর্টারের চোখে নতুন স্বপ্নের কার্পেট ছড়িয়ে দেয়। ভাগ্য বদলাতে কলকাতা থেকে দিল্লীর এক উইকলি নিউজ পেপারের করসপনডেন্ট এর পদে তৎকালীন একশ টাকার বেতনে চাকুরী করতে পাঠিয়ে দেয়।



এভাবেই উপন্যাসের পাতা বেড়ে যায় মেমসাহেবের প্রেম আর রিপোটার বাচ্চুর সফলতায়। সম্পর্কের শুভ পরিণয়ের সময় যতই এগিয়ে আসতে থাকে ততই রাজনৈতিক অস্থিরতা আর রিপোর্টারের ব্যস্ততা বাড়তে থাকে। এর মাঝে দিল্লীতে নতুন সংসার সাজানোর জন্য সব আয়োজন সমাপ্ত হয়। ভাগ্যবিশ্বাসী এই বাচ্চু একদিন কলকাতার শহরে এক পয়সার অভাবে ট্রামে চড়তে পারেনি, কতদিন না খেয়ে দিনযাপন করেছে আর সেই বাচ্চু আজ প্রাইম মিনিস্টারের সাথে ঘুড়ে বেড়ায় দেশ-বিদেশ। ঈশ্বর যে কাউকে বেশিক্ষন সুখি দেখতে পারেন না তার একটা এই উপন্যাসে লেখক সুক্ষ্ণ ভাবে রচনা করেছেন। যে কারনে উপন্যাসের শেষ অংশে এসে আবার বেদনার আল্পনা দেখতে পাই।

এদিকে মেমসাহেবের সাথে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়ে যায়। মেমসাহেব পরিবারের সম্মতিক্রমে নিজেই বিয়ের বাজার করে। শুভক্ষণের অপেক্ষায় যখন ছিল সবাই ঠিক তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে ঘটে যায় মহাপ্রস্থান পর্ব। বিয়ের তিনদিন আগে রিপোর্টার বাচ্চু লাডাক থেকে রিপোর্ট করে গ্রীন রোডের ফ্লাটে ফিরে এসে মেমসাহেবের বোনকে বসে থাকতে দেখে অবাক হয়ে যায়। রোমাঞ্চকর এই অধ্যায়ে কান্নার আকাশ নেমে আসে লেখকের কলমে।



কলকাতার রাজনৈতিক লীলা খেলায় প্রিয় ভ্রাতৃ সম ভাই খোকনকে মিছিল থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় মেমসাহেব, তারপর অকালমৃত্যু। যে মৃত্যুটি কারো কাম্য ছিলনা। উপন্যাসের নায়ক বাচ্চুর চরম বেদনাদায়ক পরিণতি আর আকাশ ভারি করা কান্নার পরিবেশ খুব করুণ ভেসে উঠে চোখে।

মোহাচ্ছন্ন মেমসাহেবের প্রেম পুরো উপন্যাসটাকেই মায়ার যাদুবলে বিহ্বল করে রেখেছে। পরিশেষে মেমসাহেবের অন্তর্ধানে রিপোর্টারের জীবনে নেমে আসে বেদনার কালো ছায়া। মানুষ মরে যায় কিন্তু সম্পর্ক তো মরে যায় না রয়ে যায় অদৃশ্য হয়ে। সেই অদৃশ্য ভালোবাসা, অদৃশ্য স্মৃতি ক্রমশই বাচ্চুকে নিজ জীবন থেকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে দেয়। আর সে জন্যই লেখক উপন্যাসের নায়ক বাচ্চুর চরিত্রের সাথে মিশে গিয়ে লিখেছেন-



“ভগবানের ব্যঙ্কে আমার অদৃষ্টের যে পরিমাণ আনন্দ জমা ছিল. আমি বোধহয় তার চাইতে অনেক,অনেক বেশি আনন্দের চেক কেটেছিলাম। তাই বোধহয় এখন সারাজীবন ধরে চোখের জলের ইনস্টলমেন্টে দিয়ে সে দেনা শোধ করতে হবে।” প্রতিটি মানুষই জীবনের কোন কোন অধ্যায়ে গিয়ে এমনটাই ভাবেন।

মেমসাহেবের বিদায় যাত্রা দিয়ে উপন্যাসটি শেষ হতে পারতো কিন্তু তা হয়নি। গ্রীন রোডে সাজানো মেমসাহেবের মানুষ বিহীন সংসার যন্ত্রনা নিয়ে প্রতিদিন অপেক্ষা করে। উপন্যাসের নায়ক তার ব্যাক্তিজীবনে আর কোন মেয়ের সান্নিধ্য চায়নি। শেষ পৃষ্ঠায় মেমসাহেবের স্মৃতিচারণ নিয়ে নিদারুণ দৃশ্য লেখক পরম কষ্টে ফুটিয়ে তুলেছেন। উপন্যাসের কল্প চিত্র নির্মাণে লেখক শব্দে শব্দে এতটাই মায়াজাল সৃষ্টি করেছেন যে মনের আকাশে নেমে আসে দু:খের নীল পাখি। করুণ সুরে নেমে আসে শ্রাবণ। উপন্যাসের রচিত লেখকের কল্পচিত্র বাস্তবকে চোখের সামনে সুনিপুণ ভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে এবং বাক্য নির্মাণে যে মুন্সিয়ানা আছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মেমসাহেব পাঠ করার পর ভালোলাগার আবেশ এতটাই মোহগ্রস্ত করে পাঠককে লেখকের মতো অজান্তেই মনে ভেসে উঠে টেনিসনের সেই লাইন-



‘Time marches on out

Memories stays.

Torturing silently the rest

of our days’





মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩০

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক প্রিয় বই এবং অনেক অনেক কষ্টেরও ।:(

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

সকাল রয় বলেছেন: আমারও খুব প্রিয় বই এটি।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমার প্রিয় বই। ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক আগে পড়েছি। সত্যি বলতে যখন আমি বইটি পড়ার জন্য অনেক ছোট তখন পড়েছিলাম। কিন্তু ভালো লাগাটা আজো রয়ে গেছে।



+++ ও প্রিয়তে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৫

সকাল রয় বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালোলেখার ভালোলাগা টিকে থাকে অনেকদিন

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার রিভিউ মন ছুঁয়ে গেল।
দারুন ভাবে তুলে এনেছেন লেখকের আকুতি
মা এর জন্য , নন্দিনী জন্য আর মেম সাহেব।
পড়ার তৃষ্না বেড়ে গেল।
ধন্যবাদ :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৭

সকাল রয় বলেছেন: নন্দিনী চরিত্রটি নিয়ে লেখক আরো একটি উপন্যাস লিখতে পারতেন তবে এটা জীবন কাহিনী কি না তাই হয়তোবা পাঠকের তৃষ্ণাকে এভাবেই আটকে রেখেছিলেন।

বইটি সময় পেলে পড়ে নেবেন
তাহলে ভালো লাগবে

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: অনেক প্রিয় একটি বই । অনেক আগে পড়েছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম বর্ষে, অনেক ভালো লেগেছিল বইটি ।
“শেষের কষ্টটা” মানতে অনেক কষ্ট হয়েছিল ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৮

সকাল রয় বলেছেন:
শেষের কষ্টটা এত বেশি ভুগিয়েছিল যে কারনে মনে হতো
জীবনে প্রেমটা এক কঠিন জিনিস!

অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকুন

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: রিভিউ পাঠ করে বইটির মর্মকথা জানা গেল ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২০

সকাল রয় বলেছেন:
কেমন আছে কবি?
আপনার বইটির কি খবর?

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

টুম্পা মনি বলেছেন: সত্যি অসাম একটা উপন্যাস।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৫

সকাল রয় বলেছেন: ধন্যবাদ
লেখিকা
আপনার লেখাও কিন্তু চমতকার

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:




অসাধারণ একটা বই। রিভিউ চমৎকার হয়েছে। বইটা পড়েছি মনে হয় ১৫ বছরের বেশী হবে। আবারও পড়ার ইচ্ছে আপনার রিভিউ দেখে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৭

সকাল রয় বলেছেন: এই বইগুলো হয়তোবা বাংলা সাহিত্যে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি তবে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।

ধন্যবাদ
ভাই ভালো থাকবেন

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২২

রাসেল আপন বলেছেন: দারুন একটা উপন্যাস পড়ে খুব সহজে কেঁদে ফেলা যায়

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩০

সকাল রয় বলেছেন:
কখনো কখনো মনে হতো
মেমসাহেবের মতো এমন ভালোবাসা পেলে মন্দ হতো না

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪১

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: জানি না অন্যের কাছে পুরো গল্পটা কেমন ! বাট আমার কাছে অনেক কিছু। প্রথম কোন উপন্যাস যেটা পড়ে আমি কেঁদেছিলাম , আবার হেসেওছিলাম । + +্ ++++++++++ অনেক ধন্যবাদ রিভিউ এর জন্য ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

সকাল রয় বলেছেন:
আমি তো প্রথম কয়েকদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আমার জীবনে এমনটা হলে আমি হয়তোবা বেচে থাকতে পারতাম না। এমন ভালোবাসা হারালে জীবনে আর বাকী কিছু থাকেনা।

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৪৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নিমাই ভট্টাচার্যের 'মেমসাহেব' পড়ার আগে আমি তাঁর 'গোধুলিয়া' উপন্যাসটি পড়েছিলাম। মূলত 'গোধুলিয়া' পড়েই আমি নিমাই ভট্টাচার্য এর ভক্ত হয়ে যাই। 'গোধুলিয়া' পরেই 'মেমসাহেব' পড়েছিলাম। তাও প্রায় অনেক বছর হয়ে গেলো। সব কিছু পুরোপুরি ঠিক মনে ছিল না। তবে আপনার পাঠ পরিক্রমা পড়ে সবই আবার চোখের সামনে যেন পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। খুব ভালো লিখেছেন পাঠ পরিক্রমা। 'মেমসাহেব' তাঁর বিখ্যাত বই। যদি হাতের কাছে পান তবে তাঁর 'গোধুলিয়া' বইটি পড়ে দেখতে পারেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

সকাল রয় বলেছেন:
শ্যামলিমাকে নিয়ে এতটাই বিভোর হয়ে ছিলাম যে কোনদিন ভাবিইনি নারী কখনো ছলনাময়ী হতে পারে।
এরপর
দেবযানী কে নিয়ে লেখা পড়ে তো আমি একরকম অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম একদিন সত্যি চলে যাবো গোধূলীয়ার মোড়ে, সেই কাশিতে হয়তোবা পেয়ে যাবো দেবযানীকে।

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:০১

জাফরুল মবীন বলেছেন: অসাধার উপন্যাসের চমৎকার রিভিউ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৩

সকাল রয় বলেছেন:
ধন্যবাদ
ভাই
আপনার লেখাগুলো বেশ উপকারী
বেশ ভালো লাগে

১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:০১

জাফরুল মবীন বলেছেন: দুঃখিত ‘অসাধারণ’ হবে।

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

আলম 1 বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রিভিউ এর জন্।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

সকাল রয় বলেছেন:
ধন্যবাদ
ভালো থাকুন

১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: অনেক বিখ্যাত উপন্যাস আমার ভালো লাগে নি , যেমন এই উপন্যাস টি।আমার কাছে অতি অখাদ্য মনে হয়েছে।লেখক বাহুল্য দোষে ভুগেছেন , অপ্রয়োজনীয় কথা বেশি।নতুন এক্সপেরিমেন্টের জন্য নিমাই বাবু এটা লিখতে পারেন।উপন্যাস টা কেমন জানি আমাকে টানতে পারেনি।অনেক সময় অতি ফালতু অতি অখাদ্য জিনিস ও অতি বিখ্যাত হয়ে উঠে।বুদ্ধদেবের মতে এটা লেখকের ভাগ্য।নিমাই বাবু ভাগ্যবান ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

সকাল রয় বলেছেন:
জীবনকে নিয়ে লেখা গুলো সবার কাছে খাদ্য হয়ে উঠেনা আবার নিজের জীবন দিয়ে বুঝতে গেলে তা সেটা বিভ্রম হয়ে দাঁড়ায়। উপন্যাসে সব কথায় প্রয়োজনীয় থাকেনা।
ফালতু অখাদ্য অনেক বই কিনতু অনেকেই কিনে থাকে। তবে যিনি লিখেন বা যিনি সৃষ্টি করেন সেটা তার একটা স্বপ্ন থাকে তার একটা দৃষ্টিভঙ্গী থাকে সেটা সব পাঠকের সাথে নাও মিলতে পারে তবু্ও সেটা সৃষ্টি।
অনেক বিখ্যাত উপন্যাসকে অনেক বিখ্যাত লেখক আমলে নেন না হতে পারে সেটা ঠিক তাদের মতে তাদের রুচীসম্মত নয় তাই বলে সত্যিকারের লেখকরা থেমে থাকেন না। লিখে যান
আর আমরা সাধারণরা তা পড়তে আগ্রহী। তবে অসাধারণ পাঠকরা সে বিষয়ে খানিকটা অনাগ্রহী।

অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য

১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বই আলোচনা ভাল লাগল

পড়ি নাই বইটি :(

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪০

সকাল রয় বলেছেন:
পড়ে ফেলুন যদি কিনা
ফিনফিনে লাভ স্টোরি পছন্দ করে থাকেন তাহলেই...

১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: বইটা পড়া হয় নাই। রিভিউ পড়ে মনে হলো পড়ে নেয়া দরকার।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

সকাল রয় বলেছেন:
সাবলীল ভাষায় ক্লান্তিহীন একটা বই। পড়ে দেখতে পারেন খুব একটা খারাপ লাগবে বলে মনে হয়না।

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: অনেক আগে পড়েছিলাম বইটা। সম্ভবত কলেজে থাকতে। আসলেই ভালো বই।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সকাল রয় বলেছেন: সাধারন লেখনি যদি বলি তাহলে বেশ ভালো লিখেছেন। লেখক দৃশ্যপট রচনায় বেশ পারদর্শী যে কারনে বইটি বারবার পড়তে মন চায়।

ভালো থাকবেন ভাই

১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মেমসাহেব অসাধারণ বই কিন্তু গোধুলিয়া আরো ভালো| ওর তোমাকে বইটাও ভাল লেগেছে

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

সকাল রয় বলেছেন: গোধূলিয়া পড়েছিলাম ২০০৪।
সেবার ট্রেনে করে ময়মনসিংহ ফিরছিলাম আর সাথে ছিল বইটি। পড়তে গিয়ে এতটাই তন্ময় হয়েছিলাম যে শেষদৃশ্যটার জন্য বেশ কষ্ট হয়েছিল।
এই লেখকের পরবর্তী আরেকটি বই নিয়ে লিখবো আর একদিন।
ভালো থাকবেন।

১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ একটা বই। সেই স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

সকাল রয় বলেছেন: এই বইটির অনেক গুলো লাইন ই মাঝে মাঝে চরম সত্যি হয়ে ধরা দেয়। যে কারণে ভুলতে পারিনা।
অনেক ধন্যবাদ শঙ্কু প্রোফেসর

২০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সকাল রয়



পুরোনো দিনের কথা আবারো মনে করিয়ে দিলেন ।
মেমসাহেব এর মূল ধারনাটি নেয়া হয়েছে তরুন কুমার ভাদুরীর অনেক আগের লেখা "সন্ধ্যাদীপের শিখা" বইটি থেকে । "মেমসাহেব" যতো না কষ্টের "সন্ধ্যাদীপের শিখা" তারচেয়েও বেশী বুক ফাঁটা কান্নার । সম্ভব হলে পড়ে নেবেন এবং এরকমই একটি অনুভবের কথা জানাবেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩১

সকাল রয় বলেছেন:

"সন্ধ্যা দীপের শিখা"
বইটি পড়া হয়নি। এখন তো বয়স অনেক হয়েছে কান্নার বই পড়লে আবার বেশি কান্না চলে আসবে তবুও খুঁজবো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ

২১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল আছি , বই প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু সৌজন্য কপি বন্ধুরা ক্যামনে পাবে চিন্তায় আছি ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

সকাল রয় বলেছেন:
্আমার ঠিকানা নেন। এক কপি পাঠিয়ে দেন। আমি পড়ে আলোচনা করি

২২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২০

সুমন কর বলেছেন: রিভিউ চমৎকার হয়েছে। বইটি পড়েছিলাম, বহু অাগে।

Time marches on out
Memories stays.
Torturing silently the rest
of our days................

+++।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

সকাল রয় বলেছেন:
টেনিসনের সেই লাইন....
অনেক ধন্যবাদ সুমন কবি

২৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪২

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: অনেক আগে পড়েছিলাম । সেই মন খারাপের অনুভূতি মনে পড়ে গেল ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

সকাল রয় বলেছেন:
আমি অবশ্য মনখারাপ হলে এখনও পড়ি...

২৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

বইটা পড়িনি তবে এখন মনে হচ্ছে পড়া উচিত।

কি বলেন সুমন ভাই? :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫০

সকাল রয় বলেছেন:
পড়ুন
তারপর অনুভূতি জানান

২৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার প্রিয় লেখকের অন্যতম প্রিয় একটি বই। প্রথম পড়েছিলাম টিন এইজে। পরে আরও বেশ কয়েকবার। যতবার পড়ি, ততই ভালো লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই বইটি নিয়ে সুন্দর এই রিভিউ লেখার জন্য।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫১

সকাল রয় বলেছেন:
আমি এই লেখকের আরো দুটো বই নিয়ে রিভিউ লিখবো। সময় হলে পড়ে দেখবেন।
ধন্যবাদ
বোকা মানুষ

২৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বইটি আগেই বেশ কয়েকবার পড়েছি ।আপনার দৃষ্টিতে নতুন করে দেখার চেষ্টা করলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.