নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধুই মানুষ

সম্রাট ইজ বেস্ট

নিঃশব্দ সময় পেরিয়েছে ধাপে ধাপে মৌনতায়, কালে কালে কেটে গেছে অযুত নিকষ প্রহর; আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা নিযুত স্পর্শের ঘ্রাণ, প্রতিদিন চুপিসারে বয়ে চলে বুকের ভেতর৷

সম্রাট ইজ বেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৫



বিশাল বাড়িটার গেটের বাইরে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছি। একে একে দামি দামি গাড়ি হাঁকিয়ে অভ্যাগত মেহমানরা হুশ করে সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। অবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রায় সবাই চলে যাওয়ার পর বাড়ির ভেতরে কেমন একটা নিরবতা নেমে এসেছে। শুধু একটি গাড়িই এখনও গাড়িবারান্দায় সগৌরবে নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করছে।

আরও কিছুক্ষণ পর গাড়িটার আশেপাশে কিছু মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেল। কনের বাবা-মা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে অশ্রুসজল চোখে কিছু কথা বলছেন মনে হল। সম্ভবত শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কেমন আচরণ করতে হবে সে ব্যাপারে মেয়েকে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। আরও কিছু পুরুষ-মহিলা কনেকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থেকে তাকে বিদায় করার শেষ আনুষ্ঠানিকতা সারছেন। একে একে সবাই কনেকে বিদায় জানানোর পর হরেক রকমের রঙ-বেরঙের ফুলে সাজানো অত্যন্ত দামি গাড়িটায় বর-কনে আসন গ্রহণ করল। ড্রাইভার অত্যন্ত দক্ষতায় খুব ধীরে ধীরে গাড়িটাকে চালিয়ে গেটের বাইরে নিয়ে এল। নিয়নসাইনের স্পষ্ট আলোয় খুবই সুন্দর করে সাজানো কনের অপূর্ব সুন্দর মুখটি ক্ষণিকের জন্য দৃষ্টিগোচর হল। গেটের বাইরে এসে ড্রাইভার গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিল। আমার ঠিক সামনে দিয়ে অত্যন্ত খুশিমনে পরম নিশ্চিন্তে নিজের ভালোবাসার মানুষটার সাথে হাসতে হাসতে চলে গেল মেয়েটা! নির্বাক হয়ে স্থাণুর মত কিছুক্ষণ নিশ্চল দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণহারা মাতালের মত টলতে টলতে মেসের দিকে রওনা হলাম।

পরদিন ট্রেনে করে সন্ধ্যার দিকে নিজের বাড়িতে পৌঁছুলাম। মা আমার অপেক্ষায় বসে ছিলেন। আমার ক্লান্ত বিধ্বস্ত চেহারা দেখে মা কিছু আঁচ করলেন কি না বলতে পারব না। আমি সটান বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। বেশ কিছুক্ষণ পর মা খেতে ডাকলেন। নিরবে খেয়ে যেতে লাগলাম। সাদামাটা খাবারও মায়ের হাতের যাদুস্পর্শে অমৃতের মত লাগে; কিন্ত আজ কেমন যেন বিস্বাদ লাগছিল। অল্প কিছু নাকেমুখে গুঁজে দিয়ে হাত ধুয়ে উঠে পড়লাম। ঘরের বাইরে এসে আকাশের দিকে অনেকক্ষণ নির্নিমেষ তাকিয়ে রইলাম। আরও কিছুক্ষণ পর মা এসে ডেকে ঘরের ভেতর নিয়ে গেলেন। নড়বড়ে খাটের একপাশে বসে মা'কে বসার জায়গা করে দিলাম।
-কী হয়েছে? সব খবর ভালো?' মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন।
-মা' বলে আমি মাকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম।
মা কিছুই না বলে নিশ্চুপ বসে রইলেন।
আমার কান্নার দমকে চোখ থেকে বেরিয়ে আসা বাঁধভাঙা অশ্রুর জোয়ারে মায়ের জীর্ণ শাড়িটা খুব দ্রুত ভিজে যেতে থাকল। মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে আমাকে সান্ত্বনা দিতে থাকলেন। তারপর আস্তে করে আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে উঠে চলে গেলেন।

কালকের বেদনাদায়ক ঘটনাগুলোর কথা ভাবতে ভাবতে পোড়াচোখে কখন যে ঘুম নেমে এসে আমাকে যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে তা বলতে পারব না। ঘুম থেকে উঠে দেখি অনেক বেলা হয়ে গেছে। মা'কে ডাকতে ডাকতে তাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম। দেখি তিনি নামায পড়ছেন। এত বেলা হওয়ার পরও কোন্ নামায পড়ছেন বুঝতে পারলাম না। বেশ কিছুক্ষণ পরও তিনি সেজদা থেকে মাথা তুলছেন না দেখে আবার মা'কে আস্তে আস্তে ডাকলাম। তিনি অনড় রইলেন। বুকের ভেতর ধ্বক করে উঠল। তাড়াতাড়ি কাছে গিয়ে তাঁকে আস্তে ঠেলা দিতেই তিনি জায়নামাযের উপর কাত হয়ে পড়ে গেলেন। 'মা' বলে বুকফাটা এক তীক্ষ্ণ চিৎকার দিয়ে তাঁর পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ে বিলাপ করতে লাগলাম।

মা'র কাফন-দাফন শেষ করে ঢাকায় ফিরে পুরনো মেসে উঠলাম। আগের কয়েকটা টিউশনি ছিল সেগুলোতে নতুন করে মনোযোগ দিলাম। একাকী জীবন কেটে যেতে লাগল। চাকরির চেষ্টা করার মনমানসিকতা আর ছিল না। রেজাল্ট খুব একটা ভালো নয়। তারওপর মামার জোর বা টাকাপয়সা কোনকিছুই নেই। নিদেনপক্ষে কোন রাজনৈতিক দলের সাথেও সখ্যতা নেই। তাই চাকরির আশা বাদ। গ্রামে বাড়িতে শুধু থাকার ভিটেটুকু আছে। সামান্য জমি ছিল সেটা বিক্রি করে আমার পড়ার খরচ যুগিয়েছেন মা। বাবা দরিদ্র স্কুলমাস্টার ছিলেন। গ্রাম্য এক কোন্দলের মধ্যে পড়ে অকালে প্রাণ হারান। আমার বয়স তখন সাত-আট বছরের মত। তারপর মা আমাকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া শিখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পৌঁছার ব্যবস্থা করেন। মা শিক্ষিতা ছিলেন। বাবার স্কুলমাস্টারের চাকরিটা পেয়ে যান। সেই মা, যিনি সারাটি জীবন দুঃখ আর কষ্টই সহ্য করে গেলেন। আর আমি তাঁর অপদার্থ ছেলে একটি মেয়ের জন্য আমার নিজের ভবিষ্যত আর মা'র সব আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে তাঁকে মৃত্যু পর্যন্ত ঠেলে দিলাম!

মনে পড়তে লাগল ফারিহার সাথে কাটানো সুখস্মৃতিগুলোর কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোন জায়গা ছিল না যেখানে আমাদের পদধুলি পড়েনি। ক্লাসের সবাই জানতো আমাদের দুজনের একে অপরকে ভালোবাসার কথা। আমি ওর ভালো রেজাল্টের জন্য কত পরিশ্রমই না করেছি। দিন নেই রাত নেই ওর পেছনে সময় দিয়েছি। যত নোট প্রয়োজন পড়ত সবই আমি ব্যবস্থা করে দিতাম। ওর পেছনে সময় দিতে গিয়ে নিজের পড়ালেখা গোল্লায় গেল। সবসময় ওর চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেত। পরীক্ষার পর দেখা গেল ওর রেজাল্ট আশাতীতভাবে ভালো হয়েছে আর আমারটা অনেক খারাপ। তারপরও সব মেনে নিয়েছিলাম। নিজের ভবিষ্যত, মা'র আশা-আকাঙ্ক্ষা সব তখন গৌণ ছিল আমার কাছে। ওর প্রেমে এতটাই বেহুঁশ ছিলাম যে একবারও নিজের আর মা'র কথা ভাবার ফুরসত পাইনি। অথচ সেই ফারিহা এখন অন্যের ঘরণী! আমার মত হাভাতের সাথে ও প্রেমের অভিনয় করেছিল শুধু ওর স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। আমি ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম। আমার সাথে যেচে আলাপ করে ও। কাছে আসার অভিনয় করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে নিয়ে এখন বিরাট বড়লোকের এক ছেলের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে!

প্রায় দশটি বছর কেটে গেছে। আমি এখনও আগের মতই আছি। পরিবর্তনের মধ্যে এতটুকু হয়েছে যে আগে টিউশনি করে নিজের খরচ চালাতাম আর এখন ট্যাক্সি চালাই। এক রুমের ছোট্ট একটা ভাড়া বাসায় থাকি। আমার মতই আরেকজন পাশের একটা রুম নিয়ে থাকে। কমন বাথরুম ব্যবহার করি। কিচেন নেই। রান্না করতে চাইলে রুমেই স্টোভ বসিয়ে সেটা করতে হয়। যদিও আমি বেশিরভাগ সময় বাইরেই খাই। এখন মোটামুটি কিছু সঞ্চয় হয়েছে। ভাবছি এই কবুতরের খোপটা ছেড়ে দিয়ে একটা দু'রুমের বাসায় উঠব। অ্যাটাচড্ বাথরুম আর কিচেন থাকতে হবে। রান্না তেমন না করলেও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করে দেখব পারি কিনা। অগত্যা যদি রান্না না-ই পারি তাহলেও তেমন কিছু আসবে যাবে না। কম সে কম চা বানিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা তো অন্তত হবে।

এর মধ্যেই একদিন ধানমন্ডির নামকরা এক স্কুলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখি এক সুন্দরী মেয়ে তার সাত-আট বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবত ট্যাক্সির জন্য। আমি কাছাকাছি যেতেই হাত তুলে থামার জন্য ইশারা করল। কাছে গিয়ে ব্রেক কষে থামলাম। কাচ লাগানো গাড়ির ভেতর থেকে সম্ভাব্য যাত্রীর দিকে চেয়েই পাথর হয়ে গেলাম! মেয়েটা আর কেউ নয়, আমার এককালের ধ্যান-জ্ঞান, আমার জীবনের সবচেয়ে আরাধ্য মানুষ, আমার প্রাক্তন ভালোবাসা ফারিহা!
একবার ভাবলাম চলে যাই কিন্তু পরক্ষণেই সিদ্ধান্ত পাল্টে পেছনের দরজা খুলে দিলাম। দু'জন উঠে বসে বসল। মেয়েটা বলল উত্তরা চলুন। আমি গাড়ি ছেড়ে দিলাম। মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলাম- যে মেয়ের স্বামী শহরের নামকরা ধনী, তিন-চারটে গাড়ি সবসময় যার বাড়ির গাড়িবারান্দায় দাঁড়ানো থাকে সেই মেয়ে ট্যাক্সিতে কেন? কিন্তু কোন উত্তর বের করতে পারলাম না। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে ওর দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী বিশাল এক বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালাম।

গাড়ি থামিয়ে জানালার কাচ নামিয়ে দিলাম। নেমে আমার দিকে ভালোমত না তাকিয়েই ও জিজ্ঞেস করল- কত এসেছে? মিটার দেখে টাকার অংকটা বললাম। পার্স থেকে টাকা বের করে ও আবছাভাবে একবার আমার দিকে তাকিয়ে টাকা দিয়েই ঘুরে গেটের দিকে রওনা হল। আমিও কিছু না বলে গাড়ি ছেড়ে দিলাম। ভিউ মিররের দিকে তাকিয়ে দেখি ও আবার ঘুরে গিয়ে গাড়ির পিছন পিছন কয়েক কদম এগিয়ে আসতে আসতে আমাকে হাত ইশারায় থামতে বলছে। আমি না থেমে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলাম।

পরদিন রাতে গাড়ি কোম্পানীর গ্যারেজে জমা দিয়ে যখন ঘরে ফিরলাম তখন রাত এগারোটা পার হয়ে গেছে। শরীরটা ক্লান্তিতে ভেঙে পড়তে চাইছে। কাপড়চোপড় না ছেড়েই মাত্র খাটে একটু পিঠ ঠেকিয়েছি এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠল। স্ক্রীনের দিকে চেয়ে দেখি অপরিচিত নাম্বার। কোন প্যাসেঞ্জার হয়ত নাম্বার রেখে দিয়েছিল, এখন ফোন করে ট্যাক্সি ভাড়া করতে চায় মনে করে রিসিভ করলাম না। রিং বেজে বেজে থেমে গেল। মিনিটখানেক পর আবার বাজতে শুরু করল। চেয়ে দেখি সেই আগের নাম্বারই। বিরক্ত হয়ে কেটে দিলাম। কিছুক্ষণ পর আবার রিং। রেগে গিয়ে এতরাতে বিরক্ত করার জন্য প্যাসেঞ্জারকে কয়েকটা শক্ত কথা বলব ভেবে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সুরেলা নারীকন্ঠ ভেসে এল। কন্ঠটা শোনার সাথে সাথে চমকে সোজা হয়ে বসলাম! সেই পরিচিত কন্ঠ! এ কন্ঠস্বর আমি কেমন করে ভুলি? সারাজীবনেও কি এই কন্ঠস্বরের মালিককে ভুলতে পারব? না, পারব না। (চলবে)

ছবিঃ গুগল।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাহ দারুন সূচনা......
আশা করি আগামী পর্বও সুখপাঠ্য হবে।
ধন্যবাদ সুন্দর গল্পের জন্য।

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্রথম কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ নুরু ভাই! আগামি পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইল।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: হায় অন্ধ প্রেম!

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্রেম তো অন্ধই হয়। বাছবিচার করার ক্ষমতাহীন। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট ,




এরকম এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের একই কাহিনী এই ব্লগেই পড়েছিলুম । মনে করতে পারছিনে সেটাও আপনার লেখা কিনা ।

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: না, আমার লেখা না। আমি এটা নতুন লিখেছি। সেই কাহিনীটা কেমন ছিল জানি না। তবে এটা শতভাগ মৌলিক লেখা। কোন গল্প থেকে কোনকিছুই নেয়া হয়নি, এমনকি থিমও নয়। তারপরও যদি কারো লেখার সাথে মিলে গিয়ে থাকে তবে সেটা নেহাতই কাকতালীয়।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ জী এস ভাই!

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩২

নীলপরি বলেছেন: ইন্টারেস্টিং লাগলো ।

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ! শুভকামনা রইল! ভালো থাকুন।

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভালো লিখেছেন++

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম! পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এ কি কিংবদন্তী গল্প লিখেছেন সম্রাটজ্বী??? B:-)


গল্পের নায়ককে আমার থাপড়াইতে ইচ্ছে করছে!! ব্যাটার পেটে নাই ভাত, আবার প্রেম করে!!X(
ক্যারে? তুই গ্রামে গিয়ে সংসার করতে পারিস না???X(

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কেন ভাই? শুধু যাদের পেটে ভাত আছে তারাই প্রেম করতে পারবে? গরীবদেরকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করাটা কি ঠিক হবে? :)

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গল্পের নায়ককে আমার থাপড়াইতে ইচ্ছে করছে!! ব্যাটার পেটে নাই ভাত, আবার প্রেম করে!!X( ক্যারে? তুই গ্রামে গিয়ে সংসার করতে পারিস না???X(

বন্ধু এতো খেপলে ক্যান? নিজে কয়েকখান প্রেম করতে পার অবলীলায় আর বেচারার একখান প্রেম, তাও সহ্য হচ্ছে না!! তুমি এতো হিংসুটে ক্যারে :( :(


সম্রাট ভাই, চমৎকার গল্প। লাইক দিলাম ++++++।

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আচ্ছা! নিজাম ভাই তাহলে সর্বসাকুল্যে কতজনকে ঘোলাজল খাইয়েছেন জাতি কি সেটা জানার অধিকার রাখে? :)

সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কাওসার ভাই! শুভকামনা সবসময়! ভালো থাকুন।

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪১

বিজন রয় বলেছেন: এরকম লেখার দরকার কি?

তবুও চেষ্টা করছেন এই যা।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ বিজনদা! আপনার পরামর্শ মনে রাখার চেষ্টা করব।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: পানিয় জল
তৃষ্ণার্ত প্রাণিদল
তৃপ্ত সকল

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্রচুর উপাদেয় পানীয় জল হলে তৃষ্ণার্ত প্রাণিদলকে তৃপ্ত করা সম্ভব!

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

জুন বলেছেন: শেষটা ভীষন রহস্য বজায় রাখলেন সম্রাট ইজ । পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় ।
ভালোলাগা রইলো গল্পে ।
+

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম! আশা করি পরের পর্ব তাড়াতাড়িই দিতে পারব! সাথে থাকবেন আশা করি!
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল! ভালো থাকুন সবসময়।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

শামচুল হক বলেছেন: গল্পের পুরোটাই ভালো লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার গল্পগুলো দারুণ হয় শামচুল ভাই! সময় পেলে কখনও মিস করি না। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দেয়ার চেষ্টা করব। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

নীল মনি বলেছেন: কী চমৎকার করে গল্প এগিয়ে যাচ্ছে। বাহ! আমাকে একটু শেখাতে হবে কিন্তু। অজুহাত চলবে না। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা। আপনার লেখার হাত ভালো মাশা আল্লাহ্‌।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: শিখতে হলে স্টুডেন্ট হতে হবে। :) স্টুডেন্ট হতে পারবেন কি না আগে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন। :)
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম! পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি সাথেই থাকবেন!

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আ হা হা হা, আপনার এই গল্প আমার নজর এড়ালো কি করে?
আপনার গল্পের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম.....! :(

যাইহোক, এবার গল্পে আসি।
আপনার গল্পের ব্যাক্কল নায়কের উচিত শিক্ষাই হয়েছে। কোন ব্যাপারেই অন্ধ হওয়া ভালো না।

পড়ে ভালো লাগলো....পরের পর্বের অপেক্ষায়!

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কেউ একজন উপরে বলেছেন- হায় অন্ধ প্রেম! প্রেম তো ভাই চোখে কিছুই দেখে না, সে অন্ধ। তাই অন্ধকে দোষারোপ করা কি ঠিক হবে?

আপনার মন্তব্য সবসময়ই প্রেরণাদায়ক! আমি কয়েকদিন অনিয়মিত ছিলাম। তাই আপনাদের কারো লেখা পড়া হয়নি। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত হব! সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। বেশ রহস্যের মাঝৈই রেখে শেষ করলেন!

আগীম পর্বের অপেক্ষায়!

+++

০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সামনের পর্ব পড়ার আগাম দাওয়াত দিলাম ভৃগু ভাই! আশা করি দাওয়াতে যথাসময়েই উপস্থিত হবেন!

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো পরে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ! আপনি কি নতুন কোন গল্প লিখছেন?

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সম্রাট ভাই চমৎকার গল্প হয়েছে। আগামীর অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভ কামনা রইল।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আশা করি আগামী পর্ব আপনাদেরকে হতাশ করবে না! আপনার জন্যও শুভকামনা অফুরান!

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুলিখিত গল্প!
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আশা করি আগামী পর্ব হতাশ করবে না! পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু!

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @" লেখকবলেছেন: কেন ভাই? শুধু যাদের পেটে ভাত আছে তারাই প্রেম করতে পারবে? গরীবদেরকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করাটা কি ঠিক হবে?
-- দুনিয়াতে কি মেয়ের অভাব??X(
গরীব মায়ের ছেলে হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়ায় কেন? ছ্যাঁকা তো খাবেই!


@কাওসার চৌধুরী,
:P:P
ওরে ব্যাটা কাওসার!
আমি হনু লাভগুরু! :P
মাসে সাসে প্রেম মোর
হয় যে খালি শুরু,
হালি হালি প্রেম মোর
তার নাহি হয় শেষ
প্রেমিকাদের ভীড়ে আমি
আছি বাবু বেশ!!:P

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: গরীব মায়ের ছেলে (বামন) হয়ে চাঁদের দিকে হাত যদি না-ই বাড়াত তাহলে এই প্রবাদটাই বা আমরা পেতাম কোথায়?

প্রেমিকাদের ভীড়ে আমি
আছি বাবু বেশ!!:P


আপনার প্রেমিকাদের সংখ্যা হিসেব করতে গিয়ে সুপার ক্যালকুলেটর আবার বার্স্ট করবে না তো? :)

১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! দারুণ লেখা। কবির গল্পের হাতও চমৎকার।
চলুক---------

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ডান হাত আর বাম হাত ছাড়া আর কোন হাত নেই ভাই। গল্পের হাত কোথায় দেখলেন? :`>
কষ্ট করে পড়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম! চলুক---------

২০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: সুখপাঠ্য।

পরের পর্বের আশায় অাছি।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ তারেক ফাহিম ভাই! পরের পর্ব আসছে।

২১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই এই, পরের পর্ব লিখবেন প্লিজ। আমি জানতে চাই সামনে কি হবে? না জানা পর্যন্ত মনে শান্তি পাব না।

লেখা গোছালো, সাবলীল এসব বলার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছিনা। ;) তেমন না হলে পরের পর্ব পরার আগ্রহ হতো না নিশ্চই। :)

যতো যাই হোক, সবসময় হাসিখুশি থাকবেন।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম! আপনার মন্তব্যেই বোঝা যায় কতটুকু আন্তরিকতাপূর্ণ আপনি! আশা করি পরের পর্বে আপনাদেরকে একটু হলেও চমক দিতে পারব!

যতো যাই হোক, সবসময় হাসিখুশি থাকবেন।


আপনার আদেশ শিরোধার্য! :) সবসময় হাসিখুশি থাকব। :)

২২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: গল্প নাকি নিজের কাহিনী বুঝলাম না, তবে গল্প মনে হলো গল্প। চমৎকার হৃদয় ছোঁয়া গল্প

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ নয়ন ভাই! এটা একটা গল্পই। যদি কারো সাথে মিলে যায় তবে সেটা নেহাতই কাকতালীয়।
আগামী পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইল। ভালো থাকবেন।

২৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৫

শামচুল হক বলেছেন: কানাডার জঙ্গলে এক রাত দ্বিতীয় পর্ব দেয়া আছে সময় পেলে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

২৬ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৩৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অবশ্যই পড়ব শামচুল ভাই। আপনার গল্পগুলো খুবই সুখপাঠ্য! লিখতে থাকুন।

২৪| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২১

নীলপরি বলেছেন: এটার পরের পর্ব কবে আসছে ?

২৬ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৩৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আশা করি খুব তাড়াতাড়িই পাবেন! পড়ার জন্য ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।

২৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০২

পবন সরকার বলেছেন: অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.