নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধুই মানুষ

সম্রাট ইজ বেস্ট

নিঃশব্দ সময় পেরিয়েছে ধাপে ধাপে মৌনতায়, কালে কালে কেটে গেছে অযুত নিকষ প্রহর; আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা নিযুত স্পর্শের ঘ্রাণ, প্রতিদিন চুপিসারে বয়ে চলে বুকের ভেতর৷

সম্রাট ইজ বেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা- দ্বিতীয় পর্ব

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪০



প্রথম পর্ব এখানে: Click This Link



এলিফ্যান্ট রোডে একটা নিরিবিলি আর পরিপাটি রেস্টুরেন্ট আছে। এরা খুব ভালো সার্ভিস দেয়। এদের রান্নাটাও বেশ ভালো। আর খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আমি প্রায়ই এখানে খাওয়াদাওয়া করি। আরেকটা সুবিধা হল ফ্যামিলি নিয়ে বসার জন্য ভেতরে ছোট ছোট কেবিন আছে। তাই আশেপাশের বাসিন্দাদের অনেকেই ফ্যামিলি নিয়ে নিরিবিলিতে আর কমদামে ভালো খাবারের জন্য এখানে চলে আসে।

পরদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে সেই রেস্টুরেন্টের একটা কেবিনে ঢুকে নাস্তা শেষ করে এক কাপ কফি নিয়ে আস্তে আস্তে চুমুক দিচ্ছি। ফারিহার আসার কথা নয়টার মধ্যে।

পৌনে নয়টার দিকে ও এলো। ওয়েটারকে ডেকে আরেক কাপ কফির অর্ডার দিলাম। চেয়ারে বসার পর ওর দিকে ভালো করে তাকালাম। সাধারণ একটা হলুদ শাড়ি পরে এসেছে। একেবারে নিরাভরণ। শুধু বাম হাতের কব্জিতে ছোট্ট একটা রিস্টওয়াচ। ওর সেই পাগল করা রূপে কোথায় যেন ভাটা পড়েছে। আগের মত চোখ ধাঁধানো অবস্থাটা আর নেই! চোখমুখে ক্লান্তির ছাপ সুস্পষ্ট! তারপরও বলা যায় এখনও যে কোন পুরুষের মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা ওর রূপে আছে।

ওয়েটার আরেক কাপ কফি দিয়ে গেল। আমি ইশারায় ওকে কাপটা নিতে বললাম। একটু ইতস্তত করে কাপটা নিয়ে ধীরে ধীরে চুমুক দিতে লাগল ও। কিছুক্ষণ পর কাপ নামিয়ে রেখে আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। মনে হয় চেহারায় কিছু খুঁজল। তারপর চোখ নামিয়ে নিল। মুখ নিচু করে আস্তে করে জিজ্ঞেস করল-

"কেমন আছো তুমি?"

"ভালো আছি" বললাম আমি।

"আমি জানি তোমাকে আমার সাথে দেখা করার ব্যাপারে জোর করা উচিত হয়নি। কিন্তু আমি খুব বড় বিপদে পড়ে তোমার সাহায্য চাইতে এসেছি। তোমার সাহায্য না পেলে আমি এ বিপদ থেকে উদ্ধার পাবো না, তাই জোর করে তোমাকে দেখা করতে রাজি করিয়েছি" বলল ফারিহা।

"দেখো ফারিহা, এখন তুমি আরেকজনের ঘরণী। তোমার যে কোন বিপদে তোমার স্বামীই সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী। তুমি বিপদের কথা তার কাছে খুলে বল, সে নিশ্চয়ই তোমাকে সাহায্য করবে" বলে আমি তার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে চাইলাম।

"না, আমি তোমার সাহায্য চাই। সে আমাকে সাহায্য করতে পারবে না" বলে ও আমার দিকে আবেদনভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।

"কিন্তু আমি তো এখন তোমার কেউ নই। আমার কাছে আসা তোমার উচিত হয়নি। আর তোমার স্বামী পারবে না অথচ আমি তোমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারব এ ব্যাপারে এত নিশ্চিত হলে কী করে, আর বিপদটাই বা কী?" আমি প্রশ্ন করলাম।

"সেটা বোঝানোর জন্য আমাকে তোমার একটু সময় দিতে হবে। বিশ্বাস কর, অন্য কোন উপায় থাকলে আমি তোমার কাছে এভাবে কখনও ছুটে আসতাম না। কারণ, তোমার সাথে আমি যে অন্যায় করেছি তারপর আর তোমার কাছে সাহায্য চাওয়ার কোন অধিকার আমার নেই। কিন্তু আমি বর্তমানে অপারগ। তোমাকে ছাড়া এই বিপদের কথা আর কাউকে বলা সম্ভব নয়।"

ফারিহার কথায় আমি একটু অস্বস্তি বোধ করলাম। সে এমন কোন্ বিপদে পড়েছে যে নিজের স্বামীকে না জানিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে সাহায্যের আশায় ছুটে এসেছে? তার কথায় নিজের ভুলের জন্য হালকা অনুতপ্ত হওয়ারও আভাস পেলাম। সে তার অন্যায় কাজের জন্য কিছুটা হলেও অনুতপ্ত হয়েছে জেনে তার জন্য মনে কিছুটা করুণারও উদ্রেক হল।

"আচ্ছা ঠিক আছে, ওসব কথা থাক। তোমার বিপদটা কী তা-ই বল" বললাম আমি।

ফারিহা মনে মনে কথাগুলো গুছিয়ে নিয়ে বলতে শুরু করল:

"আমাদের ক্লাসের রবিনের কথা তোমার মনে আছে?

"হ্যাঁ, মনে আছে। ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে পয়সাঅলা আর সবচেয়ে স্মার্ট ছেলে ছিল সে। তার সাথে সবসময় আরেকটা ছেলে ঘোরাফেরা করত। নামটা মনে পড়ছে না।"

"সেই ছেলেটার নাম ছিল আজিম।"

"হুম! তারপর বলে যাও।" বললাম আমি।

"রবিনকে আমি পছন্দ করতাম এবং ভালোবাসতাম।"

শুনে স্থির হয়ে গেলাম আমি। কিছুক্ষণ নির্নিমেষ তাকিয়ে রইলাম ওর মুখের দিকে। তার মানে আমার সাথে অভিনয় করলেও আসলে ও ভালোবাসত রবিনকে? কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে ও রবিনকে বিয়ে না করে ধনীর দুলাল আরেক ছেলের গলায় বরমাল্য পরালো কেন? মনের প্রশ্ন মনেই রয়ে গেল। তারওপর একটু আগে ওর প্রতি যে সহানুভূতি তৈরী হয়েছিল এ কথা শোনার পর তা বেমালুম উবে গেল। আমি শুধু একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম- হুম!

"আমি জানি এ কথা শুনে তুমি খুব আঘাত পেয়েছ। আমাকে ক্ষমা কর" বলে ও চোখ থেকে টপটপ করে পানি ছেড়ে দিল।

যেন কিছুই হয়নি এমনই নির্বিকারভাবে অন্যদিকে তাকিয়ে আমি বললাম- বলে যাও। ও হাতব্যাগ থেকে রুমাল বের করে চোখের পানি মুছে নিয়ে আবার বলতে লাগল-

"রবিনের সাথে আমার খুবই ঘনিষ্ঠতা ছিল। আমরা প্রায়ই একসাথে এখানে ওখানে ঘুরতে যেতাম। আমাদের ব্যাপারটা আজিম সবই জানত। কিন্তু তুমি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারোনি।"

আমার এসব কথা শুনতে ভালো লাগছিল না। তাই ওকে ওসব কথা বাদ দিয়ে মূল কথায় আসতে বললাম। ও মুখ নিচু করে আবার বলতে লাগল-

"এর মধ্যে একদিন রবিনের জন্মদিন চলে এল। এ উপলক্ষে রাজধানীর এক নিরিবিলি আর দামি হোটেলে পার্টির আয়োজন করল ও। সেই পার্টিতে রবিনের অনেক বন্ধু আর বান্ধবীও এসেছিল। তার মধ্যে আজিমও ছিল। সেদিন পার্টি শেষ হতে অনেক রাত হয়ে যায়। আমি তখন ড্রিংক করে একটু একটু টলছিলাম। আমি চলে আসতে চাইলে রবিন নিজের গাড়িতে আমাকে বাসায় পৌঁছে দেবে বলে আশ্বাস দিল। তারপর শুধু আজিম ছাড়া সবাই চলে যায়। রবিন আমাকে তার রুমে নিয়ে যায়। তারপর......."

আমি পাথর হয়ে গেলাম। কাপটা এমনভাবে চেপে ধরলাম যে মনে হচ্ছিল হাতের ভেতর সেটা ভেঙে গুঁড়িয়ে যাবে। কার প্রতি জানি না মনের ভেতর থেকে ঘৃণা উথলে উঠতে চাইল। দাঁতে দাঁত চেপে আমি নিজেকে সামলে নিলাম।

"আমি আসলে তখন ঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলাম না। তারপর রবিন আমাকে বাসায় পৌঁছে দেয়। রবিনকে তখনও খুবই স্বাভাবিক লাগছিল। বাসায় এক বান্ধবীর জন্মদিনের কথা বলে গিয়েছিলাম। তাই এতরাতে ফেরার পরও বাবা-মা উদ্বিগ্ন হননি।"

আমি কিছুই না বলে শুধু সাদা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

ও বলে যেতে লাগল-

"এরপর থেকে রবিন আমার সাথে অনেকবার অন্তরঙ্গ হয়েছে। বলতে বাধা নেই, আমিও সাগ্রহে তার আহবানে সাড়া দিতাম। তারপর ফাইনাল পরীক্ষার পর রবিন আমাকে কিছু না জানিয়ে বিদেশে চলে যায়। বিদেশে যাওয়ার কথাটা শুধু আজিমকেই জানিয়ে যায়। কিন্তু পরে আর ওর সাথে আজিমের যোগাযোগ ছিল না। আজিমের মাধ্যমে তার খোঁজ পাবার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজিম ওর খোঁজ দিতে পারেনি। ওর কোন খোঁজ না পেয়ে আমি মনে মনে প্রায় ভেঙে পড়েছিলাম। এমন সময় হঠাৎ একদিন আজিমের ফোন পেলাম। সে আমাকে পূর্বে রবিন আর আমার যাতায়াত ছিল এমন একটি হোটেলে দেখা করতে বলল। তার কাছে নাকি এমন কিছু আছে যা দিয়ে রবিনের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হতে পারে। আমি মনে মনে ভাবলাম- হয়ত সেই হোটেলে তার কোন ডায়েরি বা তার ঠিকানা পাওয়া যাবে বা এমন কোন তথ্য পাওয়া যাবে যাতে রবিনের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। তাই দেরী না করে আমি সেই হোটেলে পৌঁছে গেলাম। আজিম আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। সে আমাকে রিসিভ করে পরিচিত একটি রুমে নিয়ে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিল। তারপর আমাকে খাটে বসতে বলে পকেট থেকে একটি সেলফোন বের করল। আমি ভাবলাম ফোনে হয়ত রবিনের কোন তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু স্ক্রীনের দিকে চেয়েই আমার শরীর শিউরে উঠল" বলে একটু বিরতি নিল ফারিহা।

আমি কন্ঠস্বরে কাঠিন্য এনে প্রশ্ন করলাম- তারপর?

ফারিহা করুণ দৃষ্টিতে আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ঝরঝর করে কেঁদে দিল।

চলবে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ ধরনের মেয়েদের জন্য এটাই উচিত শিক্ষা। X((

গল্প এগুচ্ছে দারুনভাবে! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আসলে সমাজে সবধরনের মেয়েই আছে। আধুনিকতার নামে যারা এসব করে বেড়ায় তার ফল যে আখেরে ভালো হয় না এটা আমরা অনেকেই বুঝতেই চাই না।

পড়া ও সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ! আশা করি সঙ্গেই থাকবেন!

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সব কিছুরই সাইড এফেক্ট আছে।
আর আজকাল তো অনেক ক্ষেত্রেই অতি আধুনিকতার বাই-প্রোডাক্ট হয়ে গিয়েছে যৌনতা। X( X((

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। আধুনিকতার নামে সমাজে যা শুরু হয়েছে এর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ব্রেকআপ আর ডিভোর্স তো এখন ডালভাত। আস্তে আস্তে পাশ্চাত্যের সাথে পাল্লা দিতে শুরু করেছি। এসব কোনদিনই মঙ্ল বয়ে আনবে না।

আবারও মন্তব্যের জন্য আবারও স্পেশাল ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: পড়লাম, বেশ ভালই লাগল।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়া ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা!

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হায়! হায়!
মেয়েটা তো ফাঁইসা গেছে!!!!:(


ফা. নামের মেয়েরা হারামি হয়।X(
আমার সাথে একটা হারামিপনা করেছেX(

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মন্ডল ভাইয়ের সাজার মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি? আপনাকে তো দেখছি বিশেষ আইনে বিশেষ শাস্তি দেয়া হয়েছে! নাহ্, ব্যাপারটা আসলেই বেশী হয়ে গেল!

ফা. নামের মেয়েরা হারামি হয়।X(
আমার সাথে একটা হারামিপনা করেছেX(


তা ফা. নামের মেয়েটার কাহিনী কি জাতি জানতে পারে?
আপনার সাথে হারামিপনা করা মেয়েটা তো মনে হয় হেব্বি স্কিলওয়ালী ছিল। তা না হলে আপনাকে ঘোল খাওয়াতে পারত? =p~

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম! পড়লাম। অনেকদিন অপেক্ষার পরে পেলাম। আগের মতোই সাবলীল, পরের পর্ব পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সবমিলে লেখক সফল।

মেয়েটি ভীষন খারাপ বোঝা যাচ্ছে, তবে রবিন ছেলেটিও কি কম দোষী? এভাবে ধোঁকা দিয়ে চলে গেল! মেয়েটি সমাজের নিয়মে ভালোই শাস্তি পাবে, কিন্তু ছেলেটির কিছু হবে কিনা তাই ভাবছি।

মিস্টার বোকা ভালো থাকুক।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হেই মিস বোকামতী! আপনার খোঁজখবর নেয়ার জন্যই তো আঙুলটা তাড়াতাড়ি সেরে গেল। তাই এই পর্বটা লিখতে পারলাম। :) তারপরও অপেক্ষায় রাখার জন্য দুঃখিত। আমি আসলে একটু বেশী অলস। কিন্তু আপনি এই নগণ্য বোকার লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন জেনে যারপরনাই পুলকিত ও আনন্দিত হলাম! ;)

মেয়েটি খারাপ কিন্তু ছেলেও কম খারাপ নয়। আসলে সমাজে ভালোমন্দ মিলিয়েই মানুষ। তাই কাউকে একতরফাভাবে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। আপনার কাছে সাবলীল লেগেছে জেনে ডাবল আনন্দ লাগল! আশা করি পরের পর্বে সঙ্গেই থাকবেন? বেস্ট অভ লাক মিস বোকামতী!

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কাহিনীটা ভাল লেগেছে; বর্ণনায় আছে সাবলীলতা। গল্প চলুক, আশা করি দারুণ সমাপ্তি হবে। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আসলে আমি আপনার মত সুন্দর করে গল্প লিখতে পারি না কাওসার ভাই। অবসর সময়ে হাবিজাবি মনে যা আসে তাই টাইপ করে ফেলি। গল্পটা আপনাদের কাছে ভালো না-ও লাগতে পারে। তারপরও কষ্ট করে পড়ার জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ নিন। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩১

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:

ওস্তাদ


আমার মনে মরীচিকা পড়ছে এখন কী করা যায়!!!!!!!!!!!!! :P :) :-B
আপনার গল্প ভাল্লাগছে.................... =p~

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সকলের বিনোদন বন্ধু দার্শনিক কুঁড়ের বাদশাকে স্বাগতম! :P আপনার মনের মরীচিকা দূর করার জন্য একজন কুঁড়েনি খুঁজে বের করতে হবে। :P আশা করি খুব তাড়াতাড়িই পেয়ে যাবেন। ;)

গল্প ভালোলাগায় কুঁড়েকে ধন্যবাদ!

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সম্রাটভাই,

গল্প হলে বলবো ভালো হয়েছে। তবে সামান্যতম জীবনের অভিজ্ঞতা হলে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের ও বেদনার বটে। যাইহোক ফারিহার নাটকের পরিসমাপ্তির দিকে চেয়ে রইলাম। আশাকরবো প্রিয় সম্রাটভাই মানবিকতার এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে তার বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। আমরা লৌকিকতাতে পুলিশ টুলিশ আনার বিপক্ষে। লাইকও দিয়েছি।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এটা আসলে গল্পই পদাতিক ভাই। তবে গল্প তো সমাজেরই প্রতিচ্ছবি তাই না? এমন দুর্ভাগ্য ও বেদনার ঘটনা সমাজে অহরহ ঘটছে। এমন ফারিহা আর রবিনেরও অভাব নেই সমাজে। আমি গল্পে একটা মেসেজ দিতে চেয়েছি। আর পুলিশ-টুলিশ আনার ইচ্ছে আমারও নেই। আশা করি পুলিশের শরণাপন্ন না হয়েও ঘটনাটার একটা সুষ্ঠু সুরাহা করা যাবে।

আপনার মন্তব্য সবসময়ই সুখদ ও প্রেরণাদায়ক। ব্লগে এমন আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্য করার ব্যাপারে আপনি সবসময় প্রথম সারিতেই থাকবেন। খুব খুশি হলাম আপনাকে পেয়ে। ভালো থাকুন সবসময়। ধন্যবাদ!

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

নাজিম সৌরভ বলেছেন: ভাইয়ের গল্প খুব ভালো লেগেছে। +++

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম! গল্প ভালোলাগায় অবশ্যই আনন্দিত। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ! পরের পর্বের অগ্রীম দাওয়াত রইল।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর এবং আমার চাচাজ্বি ''সনেট কবি'' আপনাকে নিয়ে খুব সুন্দর সনেট লিখেছেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হ্যাঁ রাজীব ভাই, দেখেছি। সনেট কবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা! আপনাকেও ধন্যবাদ!

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই! আন্তরিক প্রতিমন্তব্যে কৃতজ্ঞতা মিস্টার বোকা!

হেই মিস বোকামতী!
এহ! আমার স্টাইল কপি মেরেছে। কপিবাজ! ভেংচি! ;) :D

আপনার খোঁজখবর নেয়ার জন্যই তো আঙুলটা তাড়াতাড়ি সেরে গেল। তাই এই পর্বটা লিখতে পারলাম। :)
ওমা! আমার খোঁজখবরে এত শক্তি? ভাবছি অফিস খুলে বসব, দেশ বিদেশের নানা মানুষকে রোগে শোকে ম্যাসেজ, ইমেইল করে খোঁজ খবর নেব। সবাই ভালো হয়ে যাবে, আর আমি হবো বড়লোক থুক্কু বড়মহিলা! :D

আরেহ না দুঃখিত হবার কিছু নেই। জীবনে নানা সমস্যা তো লেগেই থাকে। সেসব সামলে সুযোগ সুবিধা করতে পারলে তবেই না ব্লগে লিখবেন।

লেখা ভালো তাই পড়তে এসেছি। আর আমার খুব জানার ইচ্ছে সামনে কি হবে।

তাই কাউকে একতরফাভাবে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না।
একদম। সহমত। কিন্তু এই লেখাটি পড়ার সাথে সাথে বেশিরভাগ মানুষের শরীর গুলিয়ে উঠবে মেয়েটিকে ঘৃণা করে। তাদের মনে হবে, একটা "মেয়েমানুষ" এত খারাপ হতে পারে? হাহা! খারাপের প্যাটেন্ট যেন পুরুষদের শুধু! এখানে দুটো চরিত্রের প্রতিই সমান ঘেন্না আসা উচিৎ ছিল! কিন্তু সমাজের চিরায়ত কিছু ভাবনা, সহজ হিসেবকে জটিল করে ফেলে!

আশা করি পরের পর্বে সঙ্গেই থাকবেন?
জ্বি থাকব। তবে হ্যাঁ, কোন পর্বে গল্পটিকে ঝুলিয়ে দেবেন না উদ্ভট কোন টুইস্ট এনে। তাহলে আমিই আপনাকে জামার মতো দড়িতে ঝুলিয়ে দেব! :D

বেস্ট অভ লাক মিস বোকামতী!
আমার কোন এক্সাম নেই এইসময়ে। সো বেস্ট অফ লাক ফর হোয়াট মিস্টার বোকা? ;)

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: তাহলে মিস বোকামতী আজকে হেনা ভাইয়ের কাছ থেকে চূড়ান্ত সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন! :P বোকাদের আসলেই দুঃখ-কষ্ট কম। তারা সবসময় তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে ভালোই থাকে। :)
আপনার খোঁজখবর নেয়াতে আঙুল ভালো হওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু কোন অযৌক্তিক কথা নয়। জানেন না, ডাক্তারের মধুর ব্যবহারে রোগীর রোগ অর্ধেক সেরে যায়? তেমনি কেউ যখন আন্তরিকতার সাথে খোঁজখবর নেয় তখন তাড়াতাড়ি সেরে যাওয়াটা কিন্তু মোটেও অলৌকিক কোন ঘটনা নয়। তাই মিস বোকামতীকে আন্তরিক ধন্যবাদ!
আর আমার গল্প কেমন হয় সেটা আপনাদের মত পাঠকদের মন্তব্যেই বের হয়ে আসে। আপনি হয়ত বন্ধু হিসেবে গল্প খারাপ হলেও প্রশংসা করেই যাবেন কিন্তু আমার গল্প আসলেই ভালো কিনা তা অন্যদের মন্তব্যেই প্রমাণ হবে। তবুও আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে নিজেকে অবশ্যই গর্বিত লাগবে। :)

আসলে শুধু মেয়েটাকে দোষ দিয়ে গল্পটা লেখা হচ্ছে না। আমি একটা মেসেজ দিতে চেয়েছি। গল্প শেষ না হলে সেটা বোঝা যাবে না। পরের পর্বে আপনি থাকবেন জানি তারপরও আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দিয়ে রাখলাম।
আপনার জন্য বেস্ট অভ লাক শুধু কি এক্সামের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? না মিস বোকামতী। আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনায় বলা হয়েছে। সবসময় ভাগ্যের সহায়তা যেন আপনার সঙ্গে থাকে! অবশ্য এমনিতেও বোকারা ভাগ্যের সহায়তা একটু বেশীই পায়। :P

সবশেষে মিস বোকামতীকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালো থাকুন সবসময়!

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

রানা আমান বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ রানা আমান! পরের পর্ব যথাসময়ে পাবেন ইনশাআল্লাহ!

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা! আমার ওপরে থুক্কু আমার পোস্টর ওপরে তো ভালোই নজর রাখা হচ্ছে দেখছি! ;)
কিন্তু জানেন, তিনি আড্ডাঘরে আমার সার্টিফিকেট ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। :( :(

ওমা আমি কখন বললাম অযৌক্তিক? আমি তো আপনার কথার সাথে তাল মিলিয়ে অফিস খুলে বসতে চাইলাম। হেহে।

নাহ বস! আমি তা করিব না। আপনার একটি পোস্টে আপনার করা মন্তব্যকে সমালোচনাও করেছি। ব্লগে অন্য অনেক বন্ধুদের পোস্ট পড়া হয়না লেখা ভালো না লাগার কারণে। আমার খারাপ লাগলে জানাব এক দুবার, ইমপ্রুভমেন্ট না দেখলে আর সেই ব্লগে বেশি একটা যাব না। পরিচয়ের খাতিরে কখনো কারো লেখা ভালো বলিনি। আর পরিচয় না থাকা নতুন কোন ব্লগারের লেখা ভালো লাগলে সেটা প্রকাশ করেছি। আমার আসলেই ভালো লেগেছে গল্পটি। বেশ ইন্টারেস্টিং।

আমি এটা বলতে চাইনি যে আপনি মেয়েটিকে দোষ দিয়ে লিখছেন। আপনার লেখা ঠিক আছে। তবে আমি পাঠকের কথা বলেছিলাম। যে তারা সমাজের নিয়মে মেয়েটিকে বেশি ঘৃণা করবে। হুমম অপেক্ষায় থাকব পরের পর্বের.......

মোস্ট ওয়েলকাম। আপনাকেও আন্তরিক প্রতিমন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা সকল।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা! আমার ওপরে থুক্কু আমার পোস্টর ওপরে তো ভালোই নজর রাখা হচ্ছে দেখছি! ;)
কিন্তু জানেন, তিনি আড্ডাঘরে আমার সার্টিফিকেট ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। :( :(


হুম! পোস্টের উপর না শুধু মিস বোকামতীর উপরও নজর আছে। :P কিন্তু হেনা ভাই এমন কেন করলেন? মিস বোকামতীর টাইটেলটা কেড়ে নেয়া তাঁর উচিত হয়নি। :P

ওমা আমি কখন বললাম অযৌক্তিক? আমি তো আপনার কথার সাথে তাল মিলিয়ে অফিস খুলে বসতে চাইলাম। হেহে।

আপনি অফিস খোলার আগেই প্রথম পেশেন্ট হিসেবে আমাকে পেয়ে গেছেন। =p~

নাহ বস! আমি তা করিব না। আপনার একটি পোস্টে আপনার করা মন্তব্যকে সমালোচনাও করেছি। ব্লগে অন্য অনেক বন্ধুদের পোস্ট পড়া হয়না লেখা ভালো না লাগার কারণে। আমার খারাপ লাগলে জানাব এক দুবার, ইমপ্রুভমেন্ট না দেখলে আর সেই ব্লগে বেশি একটা যাব না। পরিচয়ের খাতিরে কখনো কারো লেখা ভালো বলিনি। আর পরিচয় না থাকা নতুন কোন ব্লগারের লেখা ভালো লাগলে সেটা প্রকাশ করেছি। আমার আসলেই ভালো লেগেছে গল্পটি। বেশ ইন্টারেস্টিং।


হুম! আমার হাবিজাবি পোস্ট যদি মিস বোকামতীর ভালো লেগে থাকে তাহলে আমি সার্থক। :)


আমি এটা বলতে চাইনি যে আপনি মেয়েটিকে দোষ দিয়ে লিখছেন। আপনার লেখা ঠিক আছে। তবে আমি পাঠকের কথা বলেছিলাম। যে তারা সমাজের নিয়মে মেয়েটিকে বেশি ঘৃণা করবে। হুমম অপেক্ষায় থাকব পরের পর্বের.......


আপনার বক্তব্য বুঝতে পেরেছি। এমন বোদ্ধা পাঠক পেলে লিখেও আরাম। আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যে খুব খুশি হলাম।

সবশেষে মিস বোকামতীর জন্য অফুরন্ত শুভকামনা! ভালো থাকুন।

১৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর আর গতিময় লেখা। তবে আমার মনে হয় অতি চালু মেয়েদের আরো প্রগতিময় হওয়া উচিত। অবাধ মেলা মেশা কে অনেকে প্রগতিবাদী মনে করে।

আপনার লেখা খুবই সুন্দর। পড়ে আরাম পাওয়া যায়।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

নীলপরি বলেছেন: দারুণ ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.