নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধুই মানুষ

সম্রাট ইজ বেস্ট

নিঃশব্দ সময় পেরিয়েছে ধাপে ধাপে মৌনতায়, কালে কালে কেটে গেছে অযুত নিকষ প্রহর; আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা নিযুত স্পর্শের ঘ্রাণ, প্রতিদিন চুপিসারে বয়ে চলে বুকের ভেতর৷

সম্রাট ইজ বেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবী বিখ্যাত রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনা: নরমাংস ভক্ষণ করে বেঁচে থাকার এক অত্যাশ্চর্য আর লোমহর্ষক কাহিনী

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

দুর্ঘটনার পর ফেয়ারচাইল্ড

ক্যারিবিয়ান সাগরের তীর থেকে ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ কেপ হর্ন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার মাইল লম্বা, তিনশো মাইল গড় প্রস্থ আর তের হাজার ফুট গড় উচ্চতাসম্পন্ন বৈরী পার্বত্য এলাকা- অ্যান্ডেজ পর্বতমালা, পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতমালার গর্ব মিশ্রিত আভিজাত্য নিয়ে দুর্লঙ্ঘ বাধার প্রাচীর হয়ে লম্বালম্বি দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েকটা দেশের উপর।

১৯৭২ সালের ১৩ অক্টোবর চির রহস্যময়তায় মোড়া এই অ্যান্ডেজ পর্বতমালা নিজের ভীতিকর সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রাখা সম্মোহনী মায়ার জালে আটকে, নিজের অপার রহস্যের অবগুন্ঠনের ভেতর টেনে নিয়েছিল কিছু উচ্ছল, তরুণ, প্রাণশক্তিময় তাজা প্রাণকে। তারপর নিষ্ঠুরতার চরম রূপ দেখিয়ে কিছু প্রাণকে অকালে ঝরিয়ে দিয়ে আবার কিছু প্রাণকে মুক্তির ব্যবস্থাও করে দিয়েছিল; যাতে বিশ্ববাসী তাকে কখনও আন্ডার এস্টিমেট না করে।

চিলির একটি রাগবি টিম ওল্ড বয়েজের আমন্ত্রণে উরুগুয়ের আরেক রাগবি টিম, ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালের চ্যাম্পিয়ন ও ১৯৭২ সালের রানার্স আপ ওল্ড ক্রিশ্চিয়ানের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের যাত্রা যে এতটা অশুভ হবে সেটা কেউ কস্মিনকালেও ভেবে উঠতে পারেনি। অ্যান্ডেজের হিমশীতল ভয়াবহতার ছোবল থেকে পাঁচজন মহিলা ও চল্লিশজন পুরুষসহ ৪৫ জন যাত্রী ও ক্রু'র মধ্যে প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছিল মাত্র ১৬ জন। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা বিপর্যয় কোনটি এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ১৯৭২ সালের ১৩ অক্টোবর অ্যান্ডেজ পর্বতমালার প্লেন দুর্ঘটনাটি যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের তালিকার মধ্যে একেবারে সামনের সারিতে থাকবে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সন্দেহের অবকাশ খুব কমই আছে।
ওল্ড ক্রিশ্চিয়ান রাগবি টিম

উরুগুয়ে বিমান বাহিনীর কাছ থেকে চার্টার করা, মাত্র ৯৭২ ঘন্টা আকাশে ওড়া ও টিপটপ অবস্থায় থাকা ৫৭১ নাম্বার বিমান এফ-২২৭ ফেয়ারচাইল্ডে চড়ে চিলির রাগবি টিম ওল্ড বয়েজের আমন্ত্রণে উরুগুয়ের রাগবি টিম ওল্ড ক্রিশ্চিয়ানের খেলোয়াড়, তাদের কিছু আত্মীয় ও সমর্থক এবং পাঁচজন ক্রু'র এই যাত্রাটা শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর। উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিও থেকে কোথাও না থেমে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স হয়ে মেন্ডোজা, তারপর অ্যান্ডেজ পাড়ি দিয়ে চিলির রাজধানী সান্টিয়াগো পৌঁছুনোর জন্য পশ্চিমা বাতাসের বাধা ঠেলে প্রায় নয়শ' মাইল পাড়ি দেয়ার কাজটা যে মর্মান্তিক এক ট্র্যাজেডিতে রূপ নেবে তা কে ভাবতে পেরেছিল?


যে সময়ে বিমানটির যাত্রার প্ল্যান করা হচ্ছিল তখন পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস আছড়ে পড়ছিল অ্যান্ডেজে। অ্যান্টার্কটিকা থেকে ধেয়ে আসা এই হিম বাতাস চিলিতে প্রচন্ড শীত নামিয়ে দিয়েছিল, আর সান্টিয়াগোতে ঝরছিল তুষার।

অ্যান্ডেজের উপর দিয়ে বিমান চলাচল শুরু হয় ১৯২০ সালে। তখন থেকেই পাইলটরা এই পর্বতমালাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখে থাকে। এ অঞ্চলে সবসময়ই প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ধেয়ে আসা গড়ে ৩০-৪০ নট গতিতে প্রচন্ড বাতাস বইতে থাকে। গিরিখাতের মাঝ দিয়ে প্রবাহের সময় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রায়ই বাতাসের গতিবেগ ৬০-৭০ নটে উঠে গিয়ে প্রবল ঝড়ো হাওয়ার সৃষ্টি করে। তাই অত্যন্ত দক্ষ বৈমানিক ছাড়া এ পথে বিমান চালনা আত্মহত্যারই নামান্তর। এ ঘটনার আগেও অনেকগুলো বিমান অ্যান্ডেজ টেনে নিয়েছিল নিজের বুকে, যার মধ্যে অনেকগুলোই চিরদিনের জন্য চাপা পড়ে গেছে অ্যান্ডেজের তুষারমোড়া গিরিখাদের গভীরে। তাই সকাল এগারটার পর অ্যান্ডেজ পাড়ি দেয়ার ব্যাপারে এ এলাকার পাইলটদের মধ্যে একরকম অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু প্রাক্তন জেট পাইলট, ১৯৮৪ ঘন্টা আকাশে ওড়ার ও দশবার অ্যান্ডেজ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফেয়ারচাইল্ডের কো-পাইলট লেঃ কর্নেল দান্তে হেক্টর লাগুরারা গিয়াদো সে নিষেধাজ্ঞা না মেনে এতগুলো যাত্রীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন।

(উরুগুয়ে বিমান বাহিনীর রীতি অনুযায়ী ট্র্যান্সপোর্ট ডিভিশনে কম অভিজ্ঞ পাইলটদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য কো-পাইলট হিসেবে দেয়া হত। বিমানের কমান্ডার তথা পাইলট নিজের আসন ছেড়ে কো-পাইলটের সীটে বসে বিমান চালাত আর বামের সীটে বসে থাকা কো-পাইলট কমান্ডারের কাছ থেকে শিক্ষা নিত। বিমান বাহিনীর প্রত্যেক ট্রান্সপোর্ট ফ্লাইটকে এক অর্থে ট্রেনিং ফ্লাইটও বলা যায়। আর বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ রীতি অনুযায়ী কো-পাইলটকে উড্ডয়ন পরিকল্পনা দিতে হয়, তাই ফেয়ারচাইল্ডের উড্ডয়ন পরিকল্পনা তৈরী করেন কো-পাইলট লাগুরারা)

অক্টোবরের ১২ তারিখে মন্টেভিডিও থেকে রওনা হওয়ার পর বুয়েন্স আয়ার্স হয়ে মেন্ডোজাতে যাত্রাবিরতি করতে হয় খারাপ আবহাওয়ার কারণে। যাত্রীরা শহরে গিয়ে পছন্দমত কেনাকাটা আর খাওয়াদাওয়া করে রাতটা মেন্ডোজাতেই বিভিন্ন হোটেলে কাটিয়ে দেয়। পরদিন অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর আবহাওয়া কিছুটা ভালোর দিকে দেখে বিমানের পাঁচজন ক্রু যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। দুপুর দুটো বেজে আঠারো মিনিটে মেন্ডোজা থেকে টেক অফ করে বিমানটি। এবার ফেয়ারচাইল্ডের যাত্রাপথ হল মেন্ডোজা থেকে সোজা দক্ষিণে চিলেসিতো হয়ে মালার্গ, মালার্গ থেকে পশ্চিমে মোড় নিয়ে প্লানচন গিরিপথ দিয়ে অ্যান্ডেজ ডিঙিয়ে চিলির কিউরিকো এবং কিউরিকো থেকে উত্তরে মোড় নিয়ে সোজা সান্টিয়াগো।
যাত্রাপথ

বিশ মিনিট ওড়ার পর দুটো বেজে আটত্রিশ মিনিটের সময় মেন্ডোজা থেকে বাষট্টি মাইল দূরে মধ্যবর্তী রিপোর্টিং পয়েন্ট চিলেসিতো পৌঁছে মেন্ডোজা কন্ট্রোলকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে চিলেসিতো পৌঁছার ব্যাপারে রিপোর্ট করেন কো-পাইলট লাগুরারা। পরবর্তী রিপোর্টিং পয়েন্ট মালার্গে হিসেবের চেয়ে দুমিনিট পর অর্থাৎ তিনটে বেজে আট মিনিটে পৌঁছে মেন্ডোজা কন্ট্রোলকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে রিপোর্ট করেন তিনি। তারপর চিলির কিউরিকোর উদ্দেশ্যে গভীর রহস্যে ঢাকা অ্যান্ডেজের প্লানচন গিরিপথের উপর চলে আসেন। আইএফআর* এর প্রয়োজন অনুযায়ী কমপক্ষে ষোল হাজার ফুট উপরে উঠে যান লাগুরারা। কিন্তু মেঘের স্তর চৌদ্দ থেকে সতের হাজার ফুট পর্যন্ত উঁচু থাকে বলে আরও দুহাজার ফুট অর্থাৎ আঠার হাজার ফুটে উঠে যান তিনি। তখন উত্তরদিকে কিছু চূড়া ছাড়া মেঘের স্তরের ভেতর দিয়ে অ্যান্ডেজের আর কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না লাগুরারা।

মালার্গ থেকে তিপ্পান্ন মাইল পশ্চিমে চিলি-আর্জেন্টিনা সীমান্তে প্লানচন গিরিপথ বাধ্যতামূলক রিপোর্টিং কেন্দ্র। কিন্তু এখানে কোন রেডিও কেন্দ্র না থাকায় এবং নিচে মেঘের স্তর থাকায় এখানে পৌঁছুনোর ব্যাপারে অনুমান ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। তাই মালার্গ ছেড়ে আসার তের মিনিট পর তিনটে একুশ মিনিটে সান্টিয়াগো কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আঠার হাজার ফুট উঁচুতে আছেন বলে জানালেন লাগুরারা। উত্তরে তখন সান্টিয়াগো কন্ট্রোল জানাল যে প্লানচন থেকে ঊনচল্লিশ মাইল পশ্চিমে বাধ্যতামূলক রিপোর্টিং কেন্দ্র কিউরিকো পৌঁছুনোর পর লাগুরারা যেন বিমান পথ অ্যাম্বার থ্রি ধরে উত্তর দিকে মোড় নেন।

কিন্তু লাগুরারার এই রিপোর্টে সম্ভবত ভুল ছিল। কারণ প্রায় একচল্লিশ নট প্রবল বাতাসের বিপরীতে উড়ছিলেন লাগুরারা। ফলে মূল গতি দুশো চল্লিশ নটের স্থানে গতি নেমে যায় দুশো নটে এবং প্লানচন গিরিপথে পৌঁছার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন মিনিট পিছিয়ে যান তিনি। ঠিক এখান থেকেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। তিনটে চব্বিশ মিনিটে অর্থাৎ প্লানচন অবস্থিতির তিন মিনিট পরই লাগুরারা সান্টিয়াগোকে জানান যে তিনি কিউরিকোর উপরে অবস্থান করছেন। কিন্তু ফেয়ারচাইল্ড নিয়ে মাত্র তিন মিনিটে ঊনচল্লিশ মাইল পাড়ি দিয়েছেন তিনি এ কথা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। হ্যাঁ, ছয়শ মাইল বেগের জেট বিমান হলেই তা সম্ভব হতে পারত। এই ভুলের কারণ যে কী ছিল সেটা কোনদিনই জানা সম্ভব হয়নি। অনেকেই অনেককিছু অনুমান করেছেন কিন্তু ভুলের আসল কারণটা দুর্ঘটনায় লাগুরারার মৃত্যুর সাথেই চিরকালের জন্য চাপা পড়ে গেছে।

যাই হোক, সান্টিয়াগো কন্ট্রোল সময়ের হিসেবের এই গরমিল ঠিকভাবে খেয়াল করতে না পেরে ফেয়ারচাইল্ডকে উত্তর দিকে ঘুরে গিয়ে উচ্চতা দশ হাজার ফুটে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয়। কন্ট্রোল ফেয়ারচাইল্ড থেকে পাঠানো খবর পরিষ্কার এবং জোরালোভাবে শুনতে পেয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কন্ট্রোল খেয়াল করেনি যে পরপর দুটো কলের মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র তিন মিনিট। অবশ্য বিমান থেকে পাওয়া নেভিগেশনাল রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা সান্টিয়াগো কন্ট্রোলের দায়িত্বও নয়। তারপর কন্ট্রোলের নির্দেশ মোতাবেক লাগুরারা উত্তর দিকে মোড় নিয়ে উচ্চতায় দশ হাজার ফুটে নামিয়ে আনেন ফেয়ারচাইল্ডকে। লাগুরারা হয়ত মনে করেছিলেন যে তিনি অ্যান্ডেজ পার হয়ে এসেছেন কিন্তু আসলে তাঁরা ছিলেন অ্যান্ডেজের একদম মাঝখানে।

নেভিগেশনের হিসেবে মারাত্মক ভুল করে সান্টিয়াগো কন্ট্রোলের নির্দেশে উচ্চতা দশ হাজার ফুটে নামিয়ে এনে সম্পূর্ণ অপরিচিত গড়পরতা সতের হাজার ফুট উঁচু গিরিশৃঙ্গের দিকে পঁচিশ মাইল উড়ে যান তিনি। তারপর সামনের স্ক্রীনে তাকিয়ে বরফঢাকা সুবিশাল শৃঙ্গ দেখে ভয়ে অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে তাঁর। ইতোমধ্যেই তিনি বুঝে ফেলেছেন, যেমন করেই হোক কোথাও মারাত্মক একটা ভুল হয়ে গেছে। থ্রটল সামনের দিকে চেপে ধরে উপরের দিকে উঠে যাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। চৌদ্দ হাজার একশো ফুট উচ্চতায় উঠে যাওয়ার পর বিমানটির ডান পাখা একটা পর্বতশৃঙ্গের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রচন্ড ঝাঁকুনি খেয়ে কাত হয়ে যায় ফেয়ারচাইল্ড। সাথে সাথেই প্লেনটা দুটুকরো হয়ে বাঁ দিকের পাখা ও এঞ্জিনটা ছিটকে পড়ে বরফের ভেতর। লেজের দিকটাও একদিকে ছিটকে যায়। প্রধান অংশটা দু'ডানা ভাঙা অবস্থায় বুকে ভর দিয়ে বরফের উপর দিয়ে ছুটে গিয়ে ঢালু অঞ্চলে বরফের মধ্যে নাক গুঁজে থেমে যায়।

তিনটে একত্রিশ মিনিটে সান্টিয়াগো কন্ট্রোল আবার ফেয়ারচাইল্ডকে ডাকাডাকি করে, কিন্তু কোন উত্তর পায়নি।

এমন ভয়ানক ক্র্যাশের পরও বেশ কিছু যাত্রী সেই বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর বেঁচে ছিল। টানা বাহাত্তর দিন তারা নিজেদের জীবন বাঁচানোর অবিরাম চেষ্টায় ক্ষান্ত দেয়নি। নিরলস সংগ্রাম করে শেষ পর্যন্ত ষোলজন যাত্রী নিজেদের জীবন বাঁচিয়ে সভ্যজগতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের পর্বতের ১২ হাজার ফুট উঁচুতে জীবন ধারণের সামগ্রী ছিল নেহাতই অপ্রতুল। সঙ্গে থাকা অল্প কিছু খাদ্য এক সময় ফুরিয়ে যায়। শেষে নিরুপায় হয়ে মৃত বন্ধুদের মাংস খাওয়া শুরু করে। ৭২ দিনের টিকে থাকার এই চরম যুদ্ধে তাদের নেতৃত্ব দেন নান্দো প্যারাডো ও রবার্তো কানেজা। এই দুজনই শেষ পর্যন্ত অসংখ্য চড়াই-উৎরাইয়ে পূর্ণ বরফমোড়া অ্যান্ডেজের সুবিশাল গিরিশৃঙ্গ ডিঙিয়ে পৃথিবীর কাছে এক অবিশ্বাস্য খবর পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। বিস্ময়ে চমকে ওঠে গোটা বিশ্ব। এও কি সম্ভব!!

সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার অবিস্মরণীয় কাহিনী আসবে আগামি পর্বে।


*আইএফআর- ফেয়ারচাইল্ড স্বাভাবিক অবস্থায় বাইশ হাজার পাঁচশো ফুট উঁচু দিয়ে উড়তে পারে। তার মানে ফেয়ারচাইল্ড অন্য যে কোন কমার্শিয়াল জেট বিমানের মত অ্যান্ডেজের যে কোন স্থানের উপর দিয়ে পাড়ি দিতে পারবে না, তাকে অ্যান্ডেজ পাড়ি দিতে হলে দুই পর্বতের মাঝের গিরিপথ খুঁজে নিতে হবে। আবহাওয়া ভালো থাকলে অর্থাৎ দৃষ্টিগোচরতা ভালো থাকলে ভিজ্যুয়াল ফ্লাইট রুলস বা ভিএফআর অনুযায়ী ফেয়ারচাইল্ডের জন্য এমন চারটে গিরিপথ আছে। জুংকাল, নিভস্, অ্যালভ্যারাদো ও প্লানচন। এদের মধ্যে মেন্ডোজা থেকে সরাসরি সান্টিয়াগো যাবার বহুল ব্যবহৃত পথ হচ্ছে জুংকাল গিরিপথ। ফেয়ারচাইল্ডের মত বিমানগুলো সান্টিয়াগো যেতে এই পথই ব্যবহার করে থাকে। অবশ্য আবহাওয়া খারাপ থাকলে দৃষ্টিগোচরতায় সীমাবদ্ধতা এসে যায়। তখন আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ফেয়ারচাইল্ডকে ইনসট্রুমেন্ট ফ্লাইট রুল বা আইএফআর মেনে উড়তে হয়। আইএফআর মেনে যেতে হলে জুংকাল গিরিপথে ছাব্বিশ হাজার ফুট উচ্চতা রক্ষা করতে হবে যা ফেয়ারচাইল্ডের পক্ষে অসম্ভব। নিভস্ ও অ্যালভ্যারাদো গিরিপথে আইএফআর ধরে যাবার ব্যবস্থা নেই অর্থাৎ খারাপ আবহাওয়া হলে এ দুটো গিরিপথ বন্ধ থাকে। বাকি থাকে সর্ব দক্ষিণের গিরিপথ প্লানচন। এ পথে সর্বনিম্ন আইএফআর সুবিধা হচ্ছে ষোল হাজার ফুট। অর্থাৎ ফেয়ারচাইল্ড যদি আইএফআর অবস্থায় অ্যান্ডেজ অতিক্রম করতে চায় তবে মেন্ডোজা থেকে দক্ষিণে গিয়ে প্লানচন গিরিপথ হয়ে অ্যান্ডেজ পাড়ি দিতে পারবে। আর এই প্লানচন গিরিপথে পৌঁছার পরই শুরু হয় ভূতুড়ে কান্ড।

পরের পর্বে আমন্ত্রণ রইল।

সূত্র: অনলাইন ও সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বই 'আন্দেজের বন্দি'।


মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৬

করুণাধারা বলেছেন: প্রথম লাইকটি জানালাম, পুরোটা না পড়েই।

যে সময় এটা হয়েছিল, সেসময় বিচিত্রায় পড়েছিলাম। আজ আরেকবার পড়তে পেরে ভালো লাগলো।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমিও ছোট থাকতে পড়েছিলাম। কিন্তু তখন এত ভালোভাবে খুঁটিনাটি বুঝতে পারিনি। কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে সেবা থেকে প্রকাশিত সুধাময় কর-এর লেখা “আন্দেজের বন্দি” বইটা পড়ার সুযোগ হয়। তারপর অনলাইনের সাহায্য নিয়ে বিভিন্নভাবে সবকিছু সার্চ দিয়ে সবটা আত্মস্থ করার পর সামুর পাঠকদের সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। পুরনোদের অনেকেরই পড়া আছে কিন্তু নতুনদের মধ্যে অনেকেই হয়ত পড়ার সুযোগ পায়নি তাই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

প্রথম কমেন্ট ও লাইক দিয়ে আনন্দিত করলেন। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ!

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বিস্তারিত জানা হল। ধন্যবাদ রইলো এবং পরের পর্বের অপেক্ষায়

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আসলে বিস্তারিত লিখতে গেলে বিশাল একটা বই হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব সংক্ষেপে পুরো ঘটনাটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি পরের পর্ব আরেকটু বিস্তারিতভাবে আসবে। পড়া ও কমেন্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!! বেশ ভালো লাগলো আন্দিজের বন্দি।

শুভকামনা প্রিয় সম্রাটভাইকে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হ্যাঁ, আন্দিজের বন্দিই বলতে পারেন। আসলে ঘটনাটা পড়ে আমার কাছে এত ভালো লেগে যায় যে সংক্ষেপে এখানে তুলে না ধরে পারলাম না। আমার অনুসন্ধিৎসু মনের খোরাক পেয়ে যাই এই ঘটনাটায়। তাই বিভিন্ন জায়গা ঘেঁটে মূল ঘটনাটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পদাতিক ভাইয়ের কাছে ভালো লেগে থাকলে আমি সার্থক। অফুরন্ত শুভকামনা আপনার জন্যও।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
মিঃ বেস্ট ! বেশ হয়েছে। অনেক কিছু জানা গেল। প্লেন ক্রাশ ইনভেস্টিগেশন বরাবরই আমার প্রিয় ডকুমেন্টারি।
আপনার পোস্ট তাই ভালো লাগলো।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্লেন ক্র্যাশ আপনার প্রিয় ডকুমেন্টারি হলে আমি ফেল। কারণ, এই প্লেন ক্র্যাশের ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চয়ই এর চেয়ে ঢের ভালো লেখা আপনার চোখে পড়েছে। সেই হিসেবে আমার এই লেখা কিছুই হয়নি। আসলে বিস্তারিত লিখতে গেলে আর ছবি দিতে গেলে কলেবর অনেক বড় হওয়ার আশংকা ছিল তাই যতটুকু সম্ভব সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সামনের পর্ব আরেকটু বিস্তারিতভাবে লেখার চেষ্টা করব। আশা করি সঙ্গেই থাকবেন!

শুভকামনা রইল।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪০

প্রামানিক বলেছেন: ঘটনাটি সম্ভাবত অনেক আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম আবার পড়লাম।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জ্বী প্রামানিক ভাই। এই ঘটনা সারা পৃথিবীর পত্রিকাগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল। প্রায় প্রতি বছরই ১৩ অক্টোবর এই দিনটিকে স্মরণ করে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি হয়। সামুর পাঠকদের অনেকের অজানা থাকতে পারে বিধায় এখানে তুলে ধরার চেষ্টা।
পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রামানিক ভাই।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই ঘটনা নিয়ে কি কোনো মুভি হয়েছে?
মনে হচ্ছে এরকম একটা মুভি দেখেছি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হ্যাঁ, রাজীব ভাই। আমার জানামতে বেশ কয়েকটি মুভি বানানো হয়েছে। অনেক বইও লেখা হয়েছে। মুভি দেখে থাকলে এই ঘটনাটা আপনার একেবারে চোখের সামনে ভেসে ওঠার কথা। পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

গরল বলেছেন: অনেক পুরাতন ঘটনা, এটা নিয়ে মুভিও হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হ্যাঁ, ভাই। আমার জানামতে বেশ কয়েকটি মুভি বানানো হয়েছে। অনেক বইও লেখা হয়েছে। তবে নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই ঘটনা সম্পর্কে জানে না। মূলত তাদের জন্যই এই লেখা।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এ ঘটনাটি কিছুটা জানতাম, তবে ডিটেলে নয়। খুব ভাল লাগলো পড়ে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কাওসার ভাই! এ ঘটনাটি একাধারে এতই চমকপ্রদ, ভীতিকর এবং রোমহর্ষক যে পড়ার পর অনেক্ক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে বসে ছিলাম। জীবনধারণের জন্য নিজেদেরই সহকর্মী আর বন্ধুদের শুকনো মাংস ভক্ষণ করার কাহিনী পড়ে গা শিউরে উঠেছিল। তারপর বিপদসঙ্কুল তুষারমোড়া পর্বতশৃঙ্গ পাড়ি দিয়ে দুজনের লোকালয়ে পৌঁছার অবিশ্বাস্য কাহিনী পড়ে একাধারে রোমাঞ্চিত ও শিহরিত হয়েছি।

পরের পর্বটা আশা করি এর চেয়ে ভালো হবে। সঙ্গে থাকার আমন্ত্রণ রইল। শুভকামনা জানবেন।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এই ঘটনা যদিও আগে পড়েছি।

আবার পড়লাম।

গা শিউরে উঠার মত লোমহর্ষক ঘটনা।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার মত অনেকেরই আগে পড়া আছে তবে নতুনরা অনেকেই এ ঘটনা জানে না। মূলত তাদের জন্যই লেখা। আমার কাছে ঘটনাটা খুবই রোমাঞ্চকর লাগায় শেয়ার না করে পারলাম না।

পাঠে ও মন্তব্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: অাপনার বর্ণনা ভাল হচ্ছে, পরের পর্বের অপেক্ষায়।

+++

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ! পরের পর্ব আশা করি আরও ভালো লাগবে!

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

মনে হল পুরো মুভিটাই যেন দেখছি! থূরি পড়ছি!

হুম আসলেই কিছু কিছু ভূলে কোন মাসুল হয়না।
পরের পর্বের অপেক্ষাতো হার্টবিট বাড়িয়ে রেখেছে। জলদি দিয়েন :)

+++

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভৃগু ভাই। আমিও যখন পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল ছায়াছবির মত সব চোখের সামনে ভেসে উঠছে।

পরের পর্ব ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি দেয়ার চেষ্টা করব।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যে কোন দুর্ঘটনার খবর পড়লে আমার খুব মন খারাপ হয়।
পৃথিবীর সকল প্রাণী ভালো থাকুক।
সবাই সুখী হোক।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খবরগুলো প্রকাশ করার কারণ হল মানুষকে সতর্ক থাকার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা। সামান্য ভুলের কারণে যে কতবড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয় তা যেন মানুষ কোনভাবেই বিস্মৃত না হয়।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




ইনফরমেশন ভুলের কারণে যে বিমান ঘুরপাক খায় তা বিধ্বস্ত হওয়া প্রায় সুনিশ্চিত। পাইলট, কো পাইলট রিপোর্ট স্টেশন সকলকেই প্রখরভাবে মনোযোগী হতে হয়। আকাশ পথে রুট ভুল করা মানে হারিয়ে যাওয়া।

নরমাংস খাওয়াই প্রমাণ করে মানুষের বেচে থাকার স্পৃহা কত প্রবল এবং হিংস্র।

সুন্দর পোস্ট। ভাল লেগেছে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সামান্যতম ভুলের জন্য কতবড় খেসারত দিতে হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর আকাশপথে এমন ভুলের কোন ক্ষমা নেই। এতগুলো মানুষের জীবন দিয়ে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।

১৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: পুরাতন ঘটনা। ভালো লাগল।

যাহোক আপনি সেবা প্রকাশনীর কথা মনে করে দিলেন। একসময় রাত-দিন একাকার করে কত শত বই পড়েছি। একসময় দেখা গেল সেবা'র বেশির ভাগই বই পড়া হয়ে গেছে। ফলে কখন রহস্য পত্রিকা বের হবে, নতুন ওয়েস্টার্ন কি আসছে, মাসুদ রানা সিরিজের নতুন বই কবে নামছে, অনুবাদ কি বের হচ্ছে এগুলো নিয়ে রাজশাহীর সোনাদীঘির মোড়ের এক দোকানদারকে ভীষণ জ্বালাতন করতাম।

কী সেসব দিন!

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক পুরাতন ঘটনা। কিন্তু এর পরতে পরতে যে রোমাঞ্চ জড়িয়ে আছে সেটা কোনমতেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই অন্যদেরকে এই রোমাঞ্চের স্বাদ দিতে লিখে ফেললাম।

আহ্! সেবার নাম শুনলে এখনও রোমাঞ্চিত হই। আপনার মতই আমিও সেবার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলাম। কত রাত জেগে যে সেবার বই পড়েছি তার কোন লেখাজোখা নেই। আমি বলতে গেলে সেবার বই পড়েই কিছু শিখতে পেরেছি। এখনও সময় পেলেই সেবার সাথে একাত্ম হয়ে যাই। পুরনো কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।

১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

চাঙ্কু বলেছেন: আগামী পর্ব তাড়াতাড়ি দেন। পড়তে পড়তে মনে হল কল্প কাহিনি পড়তেছি।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আগামি পর্ব লেখার কাজ চলছে। হ্যাঁ, কাহিনীটা আসলেই কল্পকাহিনীর মত। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সুখী হলাম।

১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহেল ভাই। পরের পর্ব লেখার কাজ চলছে। আশা করি তাড়াতাড়িই পাবেন।

১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সম্রাট ভাই! সম্রাট ভাই!
গল্পটা পড়েছি। ওরে বাবা কী ভয়ংকর কাহিনী!!!!:(

পুনশ্চঃ
দেখুন একটা কমলা সুন্দরী পেয়েছি। আপনাকে গিফট দিলুম.....http://www.somewhereinblog.net/blog/Nabila344

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কাহিনীটা খুবই রোমাঞ্চকর ছিল। আপনার পড়া থাকলেও অনেকেরই পড়া নাও থাকতে পারে। তাই নতুনদের জন্য এই লেখা।

পুনশ্চঃ সুন্দরী তো আপনারই লাগবে। যেহেতু আপনি ব্লগের হিরো। আর হিরোকে না দিয়ে গিফট নেয়া অন্যায় হবে। তাই এটা আপনাকেই দেয়া হল। আমি প্রয়োজন হলে অন্য একটা খুঁজে নিতে পারব। ;)

১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক পরে হলে ও পড়া শুরু করলাম ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমি নিঃসন্দেহে খুবই সৌভগ্যবান! আপনি কষ্ট করে খুঁজে বের করে পড়া শুরু করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা। পর্বগুলো একটু বড়ই হয়েছে। আশা করি বিরক্তি উৎপাদন করবে না! আপনার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।

১৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১১

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.