নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সোস্যাল মিডিয়া আধুনিক ধ্যান-ধারণার বাহক হচ্ছে না কোনভাবেই।

০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪



বাংলাদেশের সোস্যাল মিডিয়ার লেখা/পোষ্টে, লেখক/ব্লগারদের শিক্ষা, পেশা ও অভিজ্ঞতার প্রতিফলন থাকছে না; বেশীরভাগ লেখায় আদিযুগের প্রচলিত ভুল ধারণা, কুস্ংস্কার ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের পসার ঘটছে।

বাংলাদেশে বন্যা, অনাবৃষ্টি ও সেঁচের সমস্যা আছে, বর্ষায় কয়েকটা ব্যাঙ পেসাব করলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর ঢুবে যায়; পুরো দেশের ভুমির প্রকৃতি ও গঠন, পানির স্বাভাবিক প্রবাহের পথ, টিউব-অয়েলের পানিতে আর্সনিক, দেশের কোন কোন এলাকার ভুগর্ভস্হ পানি দ্রুত কমছে, নদী কেন স্রোত হারাচ্ছে? এগুলোর সঠিক উত্তর কে দিতে পারেন? জিওগ্রাফীর লোকজন ও জিওলোজিষ্টদের লেখায় এগুলো থাকার কথা। ১ গল্পকারের লেখায়/মন্তব্যে দেখেছিলাম যে, তিনি বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ পড়তে চান। অন্য ব্লগার, যিনি পেশায় জিওলোজিষ্ট, তিনি কবিতায় লিখেছেন, আল্লাহ যেন রহমত করেন, যেন বৃষ্টি দেন! এগুলো শিক্ষা, পেশা ও অভিজ্ঞার প্রতিফলন?

দেশে সাহিত্যিকদের মাঝে কবি বেশী; বেশীরভাগ কবিতা হচ্ছে প্রেমের কবিতা, সেটা আবার বিরহের কবিতা, ধর্মীয় কবিতা; মানুষের জীবন সংগ্রাম, জীবনদর্শন, জাতি ও সমাজের প্রতিবাদী কন্ঠ তেমন একটা নেই বললেই চলে। অর্থহীন ছন্দ সাহিত্যের অংশ নয়।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে কিছু লেখা আসে; কিন্তু ৯০ ভাগই নীচু মানের ও ভুল ধাণার উপর ভিত্তি করে; আধুনিক সমাজ ব্যবস্হার প্রবক্তা নেই। নীচু মানের শিক্ষার কারণে রাজনৈতিক ধারণা ও অর্থনৈতিক ধারণা কলোনিয়েল যুগের লেভেলে এখনো।

সবাই ১টা বিষয়ে পন্ডিত, সেটা হলো ধর্ম; এখন ধর্মটা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ ব্যাপার, প্রশ্নফাঁস থেকে পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তার, কম্প্যুটারের লোকজন, সোস্যাল মিডিয়ার লোকজন ধর্মের ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন। সবাই কিন্তু ভুলে গেছেন যে, যেই যুগে ধর্মগুলো এসেছিলো সেইসব সময়ের পন্ডিতেরাও নিজের নাম লিখতে জানতেন না।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ২:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ও চেতনা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে।
সব মানুষ স্বাধীনভাবে কাজগুলো করে কিন্তু সকলে শৃঙ্খলাবদ্ধ। মানুষ তার জীবন অতিবাহিত
করে, তাকে ঘিরে থাকা তার সামাজিক ও তার নীজ ধর্মীয় সম্পর্কের মাধ্যমেই। এছাড়াও -
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আর এই পপ্রযুক্তির দিনে পরিবর্তনের ধারা একটি চলমান প্রক্রিয়া।
আজকের যুগে যে আর্থ -সামাজিক নিয়ম মানুষের নিকট অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনে হতে পারে,
পরবর্তীতে তার চাহিদা নাও থাকতে পারে। মানুষের চাহিদা, মানুষের গতিশীলতা, মানুষের
দৃষ্টভঙ্গির পরিবর্তন হওয়ার কারণে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন কৌশলেও পরিবর্তন হতে
পারে। তাই নতুন দৃষ্টিভঙ্গী , উন্নয়ন কৌশল বা থিউরি তথা মতবাদ নিয়ে ভাবার পুর্বে, পৃথিবীর
নিকট অতীত ও সমসাময়িক কালের সফল আর্থ - সামাজিক উন্নয়ন কৌশল, সেগুলির পিছনে
ধর্মীয়, অধর্মীয় বা ধর্মনিরপেক্ষ যে কোন মতবাদ বা থিউরই হোক না কেন তার চুলচেরা পর্যালোচনা
ও বিশ্লেষন হওয়া প্রয়োজন । তাই যে যাই ( যথা পিএইডি , ইঞ্জিনিয়ার , ডাক্তার, রাজনিতিবিদ ,
অর্থনিতিবিদ, সমাজতত্ববিদ , দার্শনিক ) বলুকনা কেন তাঁদের আলোচনাকে কোন ট্যাগিং না করে
ধৈর্য ধরে সে গুলি পাঠ করেসে সকলের অন্তরনিহিত অর্থ হৃদয়ঙ্গম করে তার পরে যথোপযুক্ত
উন্নয়ন ভাবনা কৌশল ও তা বাস্তবায়ের জন্য যথাযথভাবে প্রি এপ্রাইজাল , পাইলট প্রকল্প গ্রহন ,
পাইলট প্রকল্পের মুল্যায়ন ও তার আলোকে যথাযথ উন্নয়ন কৌশল ও তা বাস্তবায়নের
বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হওয়া প্রয়োজন । এগুলি ছাড়া যে
কোন আলোচনাই একটি বাকোয়াজ তথা বেহুদা প্যাচাল মাত্র , এর বেশী কিছু
নয় । তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোন লেখা তার বুকে ধারণ করবে
আর সেখানে কারাই বা বিচরণ করবে তা নির্ধারণ ও প্রয়োগ রিতির উপযুক্ত
পরিবেশ তৈরী করুক । তাহলেই আপনার কাংখিত সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম হতে পারে সত্যিকার আধুনিক ধ্যান ধারনার বাহক ।

১০ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আজকের দিনে, সারা বিশ্বের মানুষ তাদের চিন্তাভাবনাকে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করছে। আপনি যদি ১৯৯১ সাল থেকে ১৯১৬ সালের মাঝে বেগম জিয়া বক্তব্য শুনে থাকেন, আপনার কাছে কি রকম লেগেছে আপনি জানেন; আমি জানি যে, উনার মুখ থেকে যা বের হয়েছিলো, উহা ছিলো গার্বেজ। তেমনি আমাদের মাল-মুহিত সাহেব যা লিখেছিলেন (মিডিয়ায়, প্ল্যানিং ও বাজেটের ডকুমেন্টে ) সবই ছিলো গার্বেজ।

সেদিন ১ জন ব্লগার ১টি পোষ্ট লিখেছিলেন, "এগিয়ে থেকেও আমরা কেন পেছনে পড়লাম": লেখার বক্তব্য হলো, বাংলাদেশ সব সময় ভারত থেকে এগিয়ে থেকেও কি করে পেছনে পড়লো? এসব হচ্ছে গার্বেজ ভাবনা। এই ধরণের লোকেরাই আমাদের সোস্যাল মিডিয়ায় লিখছেন।

২| ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পুরোনো কিছু গল্প দিয়েই চলছে দেশ।

১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



সবই পুরাতন, সবই পুরাতন, সবই বেকুবী; রাখাল বালকদের জীবন ভাবনা।

৩| ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১

কথামৃত বলেছেন: আমি এখন চিন্তিত- কাচা মরিচের কেজি ১০ টাকা বেড়ে গেছে আমাদের বাজারে, আপনাদের বাজার কি রকম?

১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার লেখা কি সামনের পাতায় যায় না? আপনার শেষ পোষ্টটি খুবই দরকারী পোষ্ট ছিলো!

বাংলাদেশে কাঁচা মরিচের দাম বাড়বে, মানুষের মুল্য কমতে থাকবে; কারণ, কাঁচা মরিচ আগের মতোই আছে, কিন্তু মানুষ ইডিয়টে পরিণত হচ্ছে।

৪| ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনার কথা সঠিক।

আমরা যে ফিল্ডে এক্সপার্ট সেই ফিল্ডের উপর লিখতে জানি না।

ব্যপারটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

তবে, লেখালিখিটা আমার জন্যে হবি, আর, আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে চর্চা আমাকে জীবন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের কবি সেলিম আনোয়ার, জিওলোজিষ্ট ( সম্ভবত ); বিরহের কবিতা লিখছেন; জিওলোজীতে নতুনরা কি করে চাকুরী পেতে পারেন, তাও জীবনে লিখেননি।

সোনাবীজ বড় চাকুরী করতেন; কোথায় কি করেন লিখেননি; গান নিয়ে লিখেন, কিন্তু উনি গানের প্রফেশানেল নন। কবি খায়রুকল আহসান বড় চাকুরী করেছেন জীবনে; সেই সম্পর্কে নতুনদের জানতেও দেন না, আল্লাহের মহিমার উপর কবিতা লেখেন। সবাই সব কিছু লুকিয়ে রাখছেন।

৫| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ৩:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সাথে অনকেটা একমত। বঙ্গদেশীয় মুসলিমরা মনে হয় জীবনের চেয়ে মৃত্যু পরবর্তী বেহেস্ত-দোজখ নিয়ে বেশি চিন্তিত, তাই কম বেশি সকলে ধর্ম নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে।

তবু ধর্ম নিয়ে ইন্টারেস্টিং কিছু যদি বলতো, যেমন করে স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ বা গান্ধী বলেছিলেন, তাহলে আগ্রহ নিয়ে শুনতাম। যেসব বলে এগুলো শুনলে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর কথাটা মনে হয় হখন তিনি বলেছিলেন "শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের চেয়ে আগাছা বেশি"। আগে যেটা ধর্মান্ধ, মুর্খদের জায়গা ছিলো এখন তথাকতিত "শিক্ষিতেরাও" সেখানে যোগ দিয়েছে।

১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:


কারণ, ধর্ম নিয়ে যেকোন বেকুবও কিছু একটা বেকুবী কথা বলে, বেকুবদের কাছ থেকে বাহবা পেতে পারে।

৬| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা দুনিয়ায় শুখি হতে না পেরে সবাই মরনের পরে শুখের চিন্তায় বিভোর।গর্বভরে প্রচার করি আমাদের নবী ছিলেন মূর্খ নবী।সবাই মুর্খ হবার প্রতিযোগিতায় লেগে গেছি।জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করি।

১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:




আমি দুরে যাচ্ছি না, ব্লগে দেখছি; ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি ড: নাইমুল ইসলাম ( নিক: মলাসইলমুইনা ) বই লিখেছিলেন "অলৌকিক কুরান ও বিস্ময়কে হাদিস"; দেখেন পড়েছে কি তোতাপাখী লিখেছেন কি নিয়ে? এগুলো ইডিয়ট!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.