নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেয়সী (TSN-12)

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭



(এক)

তোমার মায়াবী চোখে প্রেমের সমূদ্র
উথাল পাথাল ঢেউ; কূলেতে আছড়ে
পড়েই আবার ফিরে অকূলে হারায়;
নিরন্ত নয়ন তলে রূপের আলেখ্য।
নাসিকা কপাল গাল নিখুঁত গড়নে
অনন্যা হয়েছ তুমি গুণেতে জ্ঞানেতে।
রূপালী দাঁতের দোলা নির্ঝর কথন
নিরন্ত শুনায় নেই ক্লান্তির কারণ।

পছন্দ সকল দিকে সে অর্থে আকৃষ্ট
দেখেছি দীঘল চুল কি কৃষ্ণ বরণ
ভদ্রতা মেশানো হাসি ব্যঞ্জনা মিশানো।
প্রেয়সী তোমায় পেলে সঙ্গিনী রূপেতে
রবেনা অপূর্ণ আশা মনের ভিতর
হৃদয়ে রইবে তুমি রাণীর মতন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রা বর্ণঃ তিন তিন দুই তিন তিন (৮+৬)
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

বিঃদ্রঃ কবিতাটি আমার ২০০২ সালের চতুর্দশপদী কবিতার সনেট রিমেইক। মূল কবিতা-

টানা টানা মায়া চোখ ঠোঁট দুটি লাল
নেই খুঁত নাকে তার নিখুঁত কপাল।
অপরূপ গালে হাঁসে অপরূপ হাসি
দেখে মন বলে প্রিয়া তোরে ভালবাসি।
ঝক ঝকে দাঁত মুখে ঝর ঝরে কথা
শুনে তাই চারদিকে নামে নিরবতা।
সুগঠিত দেহ তনু বড় কালো চুল
একি নারী নাকি কোন বাগানের ফুল।
নূপুর পায়েতে বাজে হাঁটে হেলে দুলে
তারে দেখে সব কিছু গেছি আমি ভুলে।
মানস মনেতে সদা ছবি তার আঁকি
যত আঁকি তত যেন থেকে যায় বাঁকী।
অবশেষে আঁকা ছেড়ে ভালবেসে ভাবি
এ হৃদয়ে তুমি ছাড়া নেই কারো দাবী।

কবিতাটির ছড়া রূপ-

টানা টানা মায়া চোখ
ঠোঁট দুটি লাল।
নেই খুঁত নাকে তার
নিখুঁত কপাল।

অপরূপ গালে হাঁসে
অপরূপ হাসি।
দেখে মন বলে প্রিয়া
তোরে ভালবাসি।

ঝক ঝকে দাঁত মুখে
ঝর ঝরে কথা।
শুনে তাই চারদিকে
নামে নিরবতা।

সুগঠিত দেহ তনু
বড় কালো চুল।
একি নারী নাকি
কোন বাগানের ফুল।

নূপুর পায়েতে বাজে
হাঁটে হেলে দুলে।
তারে দেখে সব কিছু
গেছি আমি ভুলে।

মানস মনেতে সদা
ছবি তার আঁকি।
যত আঁকি তত যেন
থেকে যায় বাঁকী।

অবশেষে আঁকা ছেড়ে
ভালবেসে ভাবি।
এ হৃদয়ে তুমি ছাড়া
নেই কারো দাবী।

(দুই)

দুঃস্বপ্ন

আমাদের নাওখানি সাগরের জলে
ভেসে চলে ক্রমাগত।আকাশ-পাতাল
ঢেউ উঠে ক্রমাগত পর্বত প্রমাণ,
নাওখানি দুলে দুলে উঠে আর নামে।
আরোহিরা বিভৎস দৃশ্য অবলোকে
আল্লাহু আল্লাহু করে, জীবনের আশা
নেই বুঝি কোন আর।মরি কিবা বাঁচি
পরপারে যেতে গুনি অপেক্ষা প্রহর।

শিশুরা ক্রন্দন রোলে করে চিৎকার
বিকৃত ভয়ার্ত মুখে।ভাবি মনে শেষে
তার চেয়ে তুফানের চিত্র দেখা ভাল।
হঠাৎ দৃষ্টির তলে সকলি উধাও
নেই নাও নেই নদী।খাটে শুয়ে আছি
প্রেয়সি আমার সাথে জড়ানো সজ্জায়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

বিঃদ্রঃ কবিতাটি আমার ২০০২ সালের চতুর্দশপদী কবিতার সনেট রিমেইক। মূল কবিতা-

আমাদের নাওখানি সাগরের জলে
পর্বত প্রমাণ ঢেউ উঠে ক্রমাগত,
নাওখানি উঠে নামে আকাশ-পাতাল
হৃদপিন্ড ধুপধাপ মরি কিবা বাঁচি।
আরোহিরা বিভৎস দৃশ্য অবলোকে
বিকৃত ভয়ার্ত মুখে করে চিৎকার
মনে হলো শেষ বুঝি জীবনের বেলা
তার চেয়ে তুফানের চিত্র দেখা ভাল।
ক্ষণে ক্ষণে আঁকা বাঁকা বিদ্যুৎ চমক
মন্দ নয় শেষ স্মৃতি অন্তিম কালের।
হঠাৎ দৃষ্টির তলে সকলি উধাও
কেটেগেল নিতান্ত এ মরনের ভয়।
দেখি আমি চুপচাপ খাটে শুয়ে আছি
প্রেয়সি সাথেই আছে জড়িয়ে সজ্জায়।

(তিন)

হতাশ জীবন

হৃদয়ের অগ্নিগিরি জ্বলে অনিবার
দূরত্বে তোমায় রেখে।হে প্রিয়া আমার
দৈনন্দিন ভালবাসা অর্পণ অভাবে
নষ্ট হয় একে একে; অফুরান ক্ষতি।
প্রাপিকার প্রাপ্য আমি পৌঁছেদিতে তারে
অপারগ হয়ে কাঁদি। অপচয় রোধ
তাহলে কিভাবে করি? দাও উপদেশ!
অথচ এ প্রেম দেয়া অন্যে অসম্ভব।

পিনপিনে ব্যাথা করে মস্তকে অসহ্য
অনবরত এমন তাতে বেদনা-বিঁধুর
আঁখি টলমল করে; হতাশ জীবন।
নিজের সম্মুখ দিয়ে লস হয়ে যায়
লাভ গুলো একে একে।সিক্ত হয়ে আসে
নয়ন দু’কোনে জমে বিন্দু বিন্দু অশ্রু।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

বিঃদ্রঃ কবিতাটি আমার ২০০২ সালের চতুর্দশপদী কবিতার সনেট রিমেইক। মূল কবিতা-

হৃদয়ে উম্মত্ত এক অগ্নিগিরি জ্বলে
দূরত্বে তোমায় রেখে হে প্রিয়া আমার।
দৈনন্দিন ভালবাসা নষ্ট হয়ে যায়
প্রাপীকার প্রাপ্য তারে অর্পণ অভাবে।
এমন পদার্থ এটি ফ্রিজেও থাকেনা
তরতাজা ফ্রেসবস্তু। অপারগ আমি
অন্যকরে সমর্পণে, সেটা অসম্ভব।
তাহলে কিভাবে হবে অপচয় রোধ?
ঝিমধরা মস্তকেতে পিনপিনে ব্যাখা
লাভগুলো একে একে লস হয়ে যায়।
বেদনা বিঁধুর আঁখি সিক্ত হয়ে আসে,
নয়ন দু’কোণে জমে বিন্দু বিন্দু জল
হস্তের রুমাল আঁটি বাঁধ ভাঙ্গা স্রোতে
নিপূণ নিরবে মুছি অনাহুত কান্না।

(চার)

প্রিয়ার স্মৃতি

তোমার মায়ার মুখ স্মৃতির পাতায়
ভেসেউঠে।ক্রমাগত শুনি যেন ধ্বনি
মধুময় সম্ভাসন তোমার কন্ঠের
কোন দূর লোক হতে অন্তর জুড়ানো।
প্রীতিবাণী মোহমায়া, জীবন বেলার
সাগর সৈকত তীরে মৃদুমন্দ বায়
পরান শীতল করে, প্রাণ উচাটন
সে স্মৃতির অণুকণা সকল সময়।

চঞ্চলা প্রিয়তমার আদর সোহাগ
যেন কোন ফুলমালা সুঘ্রাণ ছড়ায়
অন্তরের অন্তপুরে; বিবশ ভাবনা।
চক্রবাঁকে ঢেউখেলে চিত্র কথা গুলো
আন্দোলীত হয়ে ভোর বায় যেন
নিয়ত করছে যেন শীতল পরাণ।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

বিঃদ্রঃ কবিতাটি আমার ২০০২ সালের চতুর্দশপদী কবিতার সনেট রিমেইক। মূল কবিতা-

মায়ামুখ ভেসেআসে হৃদয় পাতায়
অশ্রুজলে ক্রমাগত তোমার কথার
কানে বাজে শুনি যেন মধুর স্বরের
লিখিআমি স্মৃতিরেণু অঝোর ধারায়।
প্রীতিবাণী মোহমায়া অন্তর জ্বালায়
দুষ্টপ্রিয়া মিষ্টিপ্রিয়া আদর আমায়
দিয়ে তুমি কেড়েনিলে কোমল প্রীতির
ফুলমালা, কুলবালা প্রেম পারিজাত।
পুস্পশোভা দু’টিগালে কেমন এমন
ফুটেহাঁসি দেখি আমি মাতাল সাগর
চক্রবাকে ঘুরে ঘুরে ঢেউখেলে যায়।
প্রেমানলে দিবানিশি কঠিন পাষান
পেয়ে আমি তোরো হীরা মানিক আমার
ধন্যহল বড়বেশী জীবন পরাণ।

(পাঁচ)

প্রেয়সীর প্রীতি প্রশ্রয় ভুলে যাওয়া ও প্রীতি কাম্য

প্রেয়সীর পক্ষ থেকে ভালবাসা প্রাপ্তি
উপভোগ্য জোছনায় ফুলবনে থেকে
বিচরণ প্রিয়াসনে অতঃপর তার
সনে পাশাপশি বসে খোশগল্প তুল্য।
প্রিয়ার প্রশ্রয় যেন সাগরের ঢেউ
কুলে আছড়ে পড়েই ফিরে আসে ফিরে
সাগরের বুক চিরে কি স্বাধীণতার
উদ্ভ্রান্ত জীবন যাত্রা, অফুরান মোহে।

সেই প্রিয়া ভুলে গেলে বেদনার নীল
স্রোত নেয় চির চেনা জীবন ভাসিয়ে
অর্থহীন করে দিয়ে সমগ্র জীবন।
প্রীতি হোক জীবনের স্বচ্চ সরোবর
ফুলদল সুঘ্রাণেতে ভরপুর খুশি
বসন্তের ফুরফুরে বায়ুর প্রবাহ।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কবিতার ববহুমাত্রিক ব্যবহার ও ধরণ- সত্যি প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

সনেট কবি বলেছেন:



শাহাদাৎ হোসাইন সত্যের ছায়া

শাহাদাৎ হোসাইন সত্যের ছায়ায়
সত্য হয় পরিদৃষ্ট সহমত তাই।
দেশ প্রিয় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ
এককালে ছিল বেশ এখন তা’ নেই।
বিভাজনে জনগন বহুত্তে বিভক্ত
সকলেরে এক করা জাতির মঙ্গল।
এ সময় সে প্রত্যাশা অনেক কঠিন
সে রকম নেতা নেই এখানে এখন।

সকলেই মনকথা করেছে প্রকাশ
একমত সকলেই ঐক্যের বেলায়,
জনতার ইচ্ছা হেথা উপেক্ষিত থাকে।
জানিনা কি হবে শেষে এ দেশে জানি না
তবে চাই সকলের বোধদয় হোক
সকল প্রচেষ্টা হোক জাতির কল্যাণে।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কবিতার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্যে আপনি যে সনেট ব্যবহার করেন তা সংরক্ষণ করা উচিৎ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

সনেট কবি বলেছেন: আমিও সেটা ভাবছি। দেখি কি করা যায়।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

নাগরিক কবি বলেছেন: বাহ! প্রেয়সী থাকুক যত্নে। সুন্দর।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

সনেট কবি বলেছেন:



নাগরিক কবি

নাগরিক জীবনের সুখ দুঃখ গাথা
তুলে আনে যথাযথ নাগরিক কবি।
বেঁচে থাকা কষ্টকর অচল সময়ে
অনেকের, সে কথাটা বুঝে কয় জন?
কারো কারো দিন কাটে মহা সুখে থেকে
সে সময়ে কারো কারো ঝুটেনা খাবার
কতজন সে কথার রাখছে খবর?
স্বজন হারিয়ে কেউ করে ছটপট।

স্বধীণতা পেয়ে আজ গর্ব আমাদের
হারিয়েছে যারা সব উপলক্ষ্যে এর
তাদের কথা কি কেউ রেখেছে স্মরণ?
স্বদেশের জন্য যারা সর্বহারা হয়
তাদের পাশেতে থাকা দায়িত্ব সবার,
সে কথাই কবি কথা জীবন্ত বর্ণনে।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা +++


শুভ কামনা রইলো ,বড়ভাই ।
ভালো থাকুন, সবসময়.....

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

সনেট কবি বলেছেন:




কবি শাহরিয়ার কবির

এভাবেই নীলিমারা যায় সব ছেড়ে
অতীতের কথাগুলো ভুলে নিরিবিলি
আর তাতে হাহাকার পড়ে অনবদ্য
বিরহের দাবদাহে প্রিয়জন মনে।
হে কবি শাহরিয়ার কবির, নীলিমা
হৃদয় রাজ্যের এক তোল পাড় করা
মানবী, আপনি যাকে তুলেছেন ভাল
কবিতার ক্যানভাসে ধন্যবাদ তাই।

যে যায় সে বুঝে নাকি বিরহের জ্বালা
শূণ্যতায়? অহরহ অগ্নিগিরি জ্বলে
ঘুমকাড়ে দু’চোখের, কাটেনা সময়।
কবি কথা চেতনায় নীলিমারা বুঝে
সমাপ্তির রেখাটেনে না গেলেই হয়
জীবনটা সুখকর সঙ্গীর বেলায়।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন লিখেছেন। কবিতা নিয়ে বিস্তর গবেষণা বলা চলে। পোস্টে +

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

সনেট কবি বলেছেন:



কবি সেলিম আনোয়ার ও রবীন্দ্র নাথ

কবি সেলিম আনোয়ার ও রবীন্দ্র নাথ

বঙ্গ গগন দেখেছে রবীর প্রকাশ
সাহিত্যের সমুজ্জ্বল দীপ্তির আভায়
কি কাব্য গল্প নাটক উপন্যাস গান
রবীন্দ্রের বিচরণ সর্বক্ষেত্রে আছে।
মুকুট পড়েছি ঢের মজায় মজায়
সমাপ্তি পাঠক মন পরিতৃপ্ত করে
রবীর গানেতে হয়ে নিদ্রায় কাতর
বলাকার রূপ দেখি অনিন্দ সুন্দর।

হে সেলিম আনোয়ার হে কবি বিস্ময়
রবীর প্রকাশে কাব্য উপযুক্ত বটে
আপনার লেখনিতে প্রস্ফুটিত হলো।
কবিবর উপহারে আমোদীত জন
ভুলেনি কবিকে মোটে এখনো ভাস্বর
সে নক্ষত্র বিশ্বজোড়া সাহিত্য আকাশে।

বিঃদ্রঃ কবি সেলিম আনোয়ারের ‘তারে কি ভুলা যায়’ কবিতার মন্তব্যে কবিতাটি লেখা হয়েছে।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন হয়েছে

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

সনেট কবি বলেছেন:



কবি কাজী ফাতেমা ছবি

কথার ফাঁপরে কবি ফেঁসেই গেছেন
সে আক্ষেপে কবি লেখে ব্যাথার পাহাড়ে
বসে নিরালায় একা হৃদয় কথন
কবিতায়, শিল্পগুণ সুসজ্জিত করে।
কে বলে কি? কবি কাজী ফাতেমা ছবির
কবিতার মান নেই? মান নেই তার
দূর্বল বিবেচনার। নাহয় এমন
অবিবেচক কূ-কথা কিভাবে সে বলে?

কবিরা জানেন কাব্যে কতটা কি মান
মূর্খের কথায় কাব্য হবেনা নির্ণয়
এ কাব্যের অপমান অনুচিত কাজ।
আপনি লিখেন কবি জহুরী আছেন
তারাই চিনেন রত্ন সেখানে যতন
আপনি পাবেন বলে আমার বিশ্বাস।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সনেটসহ বিভিন্ন রূপে লেখা কবিতাটি পাঠে ভাল লাগল ।
আপনার কাব্য প্রতিভা দেখে অামি মুগ্ধ । এখানে
একান্তই অপ্রাসঙ্গীক হলেও আপনাকে বলতে চাই
ফার্সী হতে রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের কিছু অনুবাদ
করে আমাদের কাছে সামুতে উপস্থাপনের বিষয়টি
ভেবে দেখতে পারেন । রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের
হাজার খানেক রুবাইত থেকে মাত্র ২০০টির মত অনুবাদ করেছেন
কবি কাজী নজরুল ইসলাম । ওমর খৈয়ামের আরো অনেক
রুবাইয়াত আমাদের আজানা রয়ে গেছে ।
ওমর খৈয়ামের রুবাইতগুলি কতই না অর্থবহ ও সুন্দর ,
যেমন আল্লাহকে জানতে হলে আগে নিজেকে জানা প্রয়োজন এমন
ইসলামী বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে খৈয়াম লিখেছেনঃ

“বিশ্ব-দেখা জামশেদিয়া পেয়ালা খুঁজি জীবন-ভর
ফিরনু বৃথাই সাগর গিরি কান্তার বন আকাশ-ক্রোড়।
জানলাম শেষ জিজ্ঞাসিয়া দরবেশ এক মুর্শিদে
জামশেদের এই জাম-বাটি এই আমার দেহ আত্মা মোর। ”

মহান আল্লাহর দয়া সম্পর্কে খৈয়াম প্রার্থনাসূচক রুবাইয়ে লিখেছেন,
“দয়া যদি কৃপা তব সত্য যদি তুমি দয়াবান
কেন তবে তব স্বর্গে পাপী কভু নাহি পায় স্থান?
পাপীদেরই দয়া করা সেই তো দয়ার পরিচয়
পূণ্যফলে দয়া লাভ সে তো ঠিক দয়া তব নয়।”

ওমর খৈয়ামের এর অনুবাদের জন্য
ফারসী ভাষায় ভাল জ্ঞানের অধিকারী হওয়া প্রয়োজন ।
আমার ধারণা ভুল না হলে সম্ভবত অাপনি ফারসী ভাল
জানেন । আমার ধারনা ভুল হলে ক্ষমা করবেন ।

অামাকে অনুসরণ করার জন্য ধন্যবাদ ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

সনেট কবি বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ও তাঁর প্রত্যাশা

মহোদয় মন্তব্যের মাহাত্মে আপ্লুত
স্বীকৃতি বিহীন এক কবির হৃদয়
উদ্বেলিত হয়ে ক্ষণে শুকরিয়া করে
রাহমান আল্লাহর সমীপে অকুন্ঠ।
আপনার প্রস্তাবনা সাদরে গৃহীত
হবে তবে অনুবাদ পেলে পরিশুদ্ধ;
সনেটে সাজাতে আমি চালাব প্রচেষ্টা
যদি হন করুণায় আল্লাহ সহায়।

আমাদের এ জীবন যিনি করেদান
সম্মানের এ আসন করেন প্রদান
তাঁর খুশি চেয়ে চেষ্টা বিশাল ব্যাপার।
ডঃ এম এ আলী দোয়া করেন আমায়
হয়ত এ প্রত্যাশায় আসবে সাফল্য
আল্লাহ চাহেন যদি একান্ত তা’হলে।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ প্রস্তাবে সন্মত হ ওয়ার জন্য ।
তবে অআপনি নিশ্চই জানেন পারস্যের কবি
ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াতগুলি চার লাইনের রুবাইয়াত বা কবিতা
এগুলি সনেটের মত চতুর্দশপদি নয় , আর এগুলি লেখা হয়েছে
প্রায় হাজার বছর আগে । তাই এর অনুবাদ চার লাইনের মধ্যেই হবে ।
একে ভুলেও সনেটে সাজাতে যাবেন না । ওমর খৈয়ামের রুবাইয়েতের
অনুবাদ বিশ্বের অনেক ভাষাতেই হয়েছে । একমাত্র কবি
নজরুল ব্যতিত তার রুবাইয়েতের আর তেমন কোন উল্লেখ যোগ্য
ভাল বাংলা অনুবাদ নেই । তাই তার বাকি রুবাএতগুলির
ভাল বাংলা অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা
রয়েছে বাংলা সাহিত্যে । তাঁর রুবাইতের উপর বইটিতে
নজরুলের নীজের লেখা ভুমিকাটি নীচের
লিংকে গিয়ে একটু দেখে নিতে পারেন

নজরুল ও রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম

সামুর পাতাতেও এটা নিয়া একটি লেখা নীচের লিংক হতে দেখে নিতে পারেন ।

রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামঃ কান্তিচন্দ্র ঘোষ ও নজরুল

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২১

সনেট কবি বলেছেন: সহায়তার জন্য অনেক ধন্যবাদ মহোদয়। আপাতত আমার কিছু চতুর্দশপদী কবিতার সনেট রিমেইক করছি। আমার জানামতে সনেটের একক বিশ্ব রেকর্ড উইলিয়াম সেক্সপিয়রের ১৫৪ সনেট। আমি প্রথমত এ রেকর্ড ভাংতে চাই এবং আমার রেকর্ড গড়তে চাই। আর তাই এখন সংখ্যার দিকে নজর দিচ্ছি। অবশ্য মাঝে মাঝে আপনার প্রস্তাবের বিষয় নিয়েও কাজ করব আশা করি।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনার প্রচেষ্টা মনোমুগ্ধকর! চালিয়ে যান....

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৮

সনেট কবি বলেছেন:




অনুকাব্যে ভ্রমরের ডানা

কবিতার ফুলে ফুলে ভ্রমরের ডানা
ঝাপটিয়ে রাতদিন খুঁজে খুঁজে ফিরে
মৌ বিন্দু কাব্য কলির সঞ্চয়নে সুখে
বিতরণ জন্য সে মৌ সকলের মাঝে।
কাব্য ফুলে উড়াউড়ি দৃষ্টির নন্দন
দেখি তায় ছন্দ দল ঝরে ঝরে পড়ে
অনুকাব্য গড়েকত নিত্য দিন দেখি
পাঠকের সম্মোহনে সে কাব্য দারুণ।

চারপদ্য কবিতায় কতকথা ধরে
অল্পতে অনেক ভাব সুপাঠ্য সহজ
কবিতার এ ভার্সন কি চমৎকার।
এ সময় মানুষের সময়তো কম
ভ্রমরের ডানা বুঝে সে কথা সহজে
অনন্য কবিতার এ করে আয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.