নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবিধ সনেট (চৌদ্দ সনেট পর্ব-৩) রিপোষ্ট (TSN-20)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪



(এক)

জীবন সঙ্গিনী

চন্দ্রিমা আলোক স্নিগ্ধ নিশিথের পানে
তাকিয়ে আকুল ভাবি রাবেয়ার মুখ
সঙ্গিনী তোমার সাথে কি অমৃত সুখ
আমি যে সর্বদা পাই কি বলব আর।
তুমিহে আমার রাবু গুনগুন গানে
দুরেতে তাড়িয়ে দাও আজম্মের দূঃখ
অবাক আটকে থাকে তোমাতেই চোখ
নিখাঁদ এ সত্য জানি, অকপট সার।

গুনেতে অতুল্য দেখি অফুরান তারে
কি রাত কি দিন আমি শুধু তারে চাই।
রাবেয়া ফরিদ নামে ভালোবাসা ভারে
সে তার মতন জানি, আর কেহ নাই।
জীবন সঙ্গিনী সখী সানন্দের সুর
আমাকে বিলিয়ে ফিরে কাছে থেকে দূর।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙচচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
বিঃদ্রঃ- আমার স্ত্রীর নামঃ রাবেয়া আখতার রাবু

(দুই)

আরিল্ড ক্লকার হাউ (সামু ব্লগ পিতা)

আরিল্ড ক্লকার হাউ এদেশী জামাই
শ্বশুর দেশের প্রেমে সামুকে গড়েন
একত্রে পত্নীর প্রেমে চরকে চঁড়েন
ঘুরতে ঘুরতে সামু হয়েছে উন্নত।
এধন্য জামাই গুনে সালাম জানাই
কামনা এমন করে আকাশে উড়েন
আবার নতুন কোন সাধনা জুড়েন
যা দেখে নয়ন হবে সুখেতে আনত।

আরিল্ডে সন্ধান করে নেটের পাতায়
জেনেছি অনেক কিছু সে গুনি উচ্চতা
সাজানো ব্লগের পাতা বিচিত্র কথায়
এসব আরিল্ড ছায়া গুনের পূর্ণতা।
জানাপি সে তার সাথে সরব নিরব
সঙ্গিনী আকুল প্রাণ যতটা সম্ভব।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তিন)

আরিল্ড কিন্নরী জানা

সুরান্না কিন্নরী করে আনন্দে আপন
সে কথা জানায় জানা মামনি যে তার
আসলে সন্তান ছাড়া জীবন অসার
ত্রিজন সদস্য নিয়ে তাদের নিলয়।
অারিল্ড কিন্নরী জানা তাদের আসন
হৃদয়ে সবার আছে গুনেতে উদার
লুকানো প্রতিভা তারা করেন উদ্ধার
সকলে প্রদর্শে তারা সুপথ নিশ্চয়।

নিতান্ত বয়স অল্প প্রচেষ্টা বিরাট
আমরা সকল মুগ্ধ কিন্নরী গুনেতে,
প্রার্থনা আল্লাহ পরে কাটিয়ে বিভ্রাট
কিন্নরী হবেন বড় মানব মনেতে।
আরিল্ড কিন্নরী জানা ব্লগের প্রদ্বীপ
সাজায় আলোয় স্নিগ্ধ এ বঙ্গ বদ্বীপ।


# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চার)

কিন্নরি

কিন্নরি বিস্ময় মনে সঞ্চারে অনেক
পাঁচেতে সুস্নিগ্ধ দ্যুতি কথার কমল
আচারে সতেজ প্রাণ সবুজ শ্যামল
প্রকাশে নতুন কিছু সহসা উন্মুখ।
নয়েতে সে নাহি থাকে অপূর্ণ অর্ধেক
পূর্ণাঙ্গ রন্ধন শিল্পী এ জ্যান্ত পুতুল
কি বলি সে সব ক্ষেত্রে বুদ্ধিতে অতুল
জানায় সে কথা জানে সন্তানে কি সুখ।

নিজেই কবিতা কিন্নু উচ্ছল আনন্দে
এটাতো সকলে দেখে একলা কি আমি?
কিন্নুর কীত্তন চলে সানন্দ সুছন্দে
এখন দেখার পালা মেধার সুনামি।
কে বলে কি বলে আমি জানিনা সেসব
কিন্নরি সে হোক বড় যতটা সম্ভব।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পাঁচ)

নারী

নারী ছাড়া এ জীবন আনন্দ বিহীন
তার ছোঁয়া মন-প্রাণ করে যে পবিত্র
তারে বিনা অস্থিরতা বিরাজে সর্বত্র
অকৃতজ্ঞ জন তার বুঝেনা অন্তর।
বিচরণে বিবেকের আলয়ে গহীন
মায়াময় দেখ চেয়ে নারীর সুনেত্র
অসম্মান করে তারে খান্নাছ সুমিত্র
শূণ্যতার মহৌষধ নারীত্ব প্রান্তর।

প্রিয়া হারা পুরুষের মনের ব্যাথায়
সবকিছু মনে হয় আপদ- বিপদ
মা যদিনা থাকে ঘরে কি কষ্ট সেথায়
যার নেই সেই বুঝে মা কি যে সম্পদ।
সমাদরে কন্যা বোন অতুল্য সকল
নারী ছাড়া পুরুষেরা হয়না সফল।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ চার চার তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছয়)

রক্তের ঋণ

দারিদ্র তাড়াতে কর সুকঠিন যুদ্ধ
কর্মের হে বীর সাজ নব যুদ্ধ সাজে
সবাই থাকবে ব্যাস্ত নিত্য নিজ কাজে
তবেতো উজ্জ্বল হবে স্বজাতির মুখ।
আলস্য দারিদ্র আনে একথাটি শুদ্ধ
মাদক নেসার ঘোর বদভ্যাস বাজে
বদলে এসব আজ বিবেকের ত্যাজে
ব্যার্থতা বদলে আন অনিবার সুখ।

জনতা সকল করে সরকার আলো
কাজকে এখন বল বলবেনা কাল
স্মরণ নাকর কেহ অতীতের কালো
পতাকা উড়ছে দেখ সবুজেতে লাল।
এমন নিশান কেহ ভুলে কিহে কেউ?
রক্তের ঋণেতে তোল উন্নয়ন ঢেউ।

## ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সাত)

উগ্রতা ও শান্তি

উগ্রতায় অশান্তির বিভৎস গান
তারা সব চিরকাল দলাদলি করে
মারামারি যুদ্ধ করে, মানুষেরা মরে
এমনটা কোনদিন কারো কাম্য নয়।
শান্তিপেতে পরমতে থাকা চাই টান
এমনটা না হলেই শান্তি যায় দূরে,
মিলেমিশে বসবাসে শান্তি আসে ঘরে
সবে যদি এটা বুঝে তা’হলেই হয়।

উগ্রদল এমতের ধারে কাছে নেই
তারা বুঝে নিজমত যে করেই হোক
অপরের মানা চাই কথা সার এই
এরা সব মানুষের রক্ত চোষা জোঁক।
উগ্রমতে বাই বাই সবে দিলে বলে
শক্ত বাঁধ গড়া হবে দু’চোখের জলে।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আট)

কৃষক ও শ্রমিক

কৃষক শ্রমিক শ্রম কর্ম ক্লান্তি ত্যাগে
পৃথিবী আনন্দে ভরা মন্ত্রমুগ্ধ মায়া
সাজানো বাগান বাড়ী বৃক্ষ-তরু ছায়া
এয়ার কুলারে আসে নাকডাকা ঘুম।
সাহেব বাবুর দল পাবে সব আগে
বিলম্বে খুন্তির ছেঁকা প্রাণেবাঁচা দয়া
তাদের পদেতে ধন্য মক্কা কাশি গয়া
যেথায় সাহেব বাবু সেথা পড়ে ধুম।

কৃষক শ্রমিক খাদ্য উৎপাদন করে
বেহায়া সাহেব খায় নাশোকর মনে
যাদের শ্রমেতে তার সব আছে ঘরে
তাদের যে করে ঘৃণা জানোয়ার জনে।
মানব যাদের কষ্টে পাও সব কিচু
তাদের সম্মান কর মাথা করে নীচু।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(নয়)

মডু ও কাউয়ার জাত

শেকল বাঁধেনা মডু সকলের পায়
কোথায় জমেছে দেখে আবর্জনা স্তুপ
অথবা লুকানো কোন বিষেভারা কূপ
সেসব দেখেন তারা ব্লগতরু ছায়।
মডুরা ব্লগের শুধু ভালহোক চায়
বাচালে ক্যাচলে বলে একদম চুপ
ক্ষতির পতঙ্গ নাশে আছে হেথা ধুপ
নাটিকে যে তা’তে তারা ব্লগছেড়ে যায়।

ব্লগার ব্লগের প্রাণ পোষ্টে চাই মান
নয়তো মডুর শেল বিঁদ্ধ হবে বুকে
অযথা লাফালে কেউ সুতো দেবে টান
অলেখা কূলেখা কান্ড যাবে তাতে চুকে।
হেথায় আছেন এক কাউয়ার জাত
সুকাজে ব্যায়ীত হয় তার দু’টি হাত।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখক কখখক ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দশ)

ঈদ

রমজান শেষ হয়ে ফিরেছে আবার
মুমিনের দারে দারে আনন্দ দরিয়া।
মান্যগন্য অগন্যরা ভাসছে খুশিতে
শুনি ঈদ মোবারক শব্দের ঝঙ্কার।
বাসে ট্রেনে ফিরে লোক গ্রামের ঘরেতে
লঞ্চগুলো লোকে ঠাঁসা ফিরতে আপনে
দূর্ঘটনা না ঘটুক কামনা সবার
স্বজনের মুখে মুখে আল্লাহু আল্লাহ।

অবশেষে সবে মিলে আনন্দ উল্লাস
তারপর ফিরে চলা কাজের গোড়ায়
ক’দিনের প্রিয় স্মৃতি প্রবাহ জোয়ার
সুখ-শান্তি রাখে মানে সকল জনের।
আনন্দের উপলক্ষ্যে একটা সময়
ব্যঞ্জনায় ভরা থাকে পরেও বিস্তর।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(এগার)

মুছাফির

আাঁধারে হুতুম পেঁচা ঝিঁঝিঁ পোকাদের
নিজস্ব বয়ান শুনি। দেখি নিরিবিলি
কোথাও মানুষ নেই। পায়ে মেঠো পথ,
পাদুকা ঘর্ষণ ধ্বনি, রাতে পথ চলা।
পথের সমাপ্তি প্রান্তে তুমি প্রতিক্ষায়
নির্ঘুম হয়তো আছো। ভাবি সে কেমন?
সহেনা বিরহ আর, তরা তাড়া করে,
অজান্তে বাড়ায় গতি, এই এসেগেছি!

উচ্ছাস আনন্দ অশ্রু ঝরে মিলনের
সান্নিধ্য সুখের তরে। পরে বিরহের
যাতনা বিদায়ে জ্বলে, মনে অনিবার।
সুখের কোমল পুস্প আর কষ্টকর
সময় থাকেনা কারো, চির কোন জনে
সকল পিছনে ফেলে, যায় মুছাফির!

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ তিন তিন দুই দুই চার
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বার)

তরি ও তরুণ

চুপচাপ টুপটাপ ধুপধাপ কিল
দিয়ে চলে যায় তরি তরুণের পিঠে।
খেয়েদেয়ে কিলগুতো বালিকার হাতে
তরুণের ভাবনায় জেগেউঠে তরি।
ওমা ওমা উঠ বাবু হাত ধরে টানে
নিত্য লাই পেয়ে পেয়ে শেষে ধরে কান
ব্যারিষ্টার কিজিনিস বুঝেনাতো তরি
তরুণের মা’র গালে, আলবেলে চায়।

‘নাহি হবে বিয়ে কোন’ ব্যারিষ্টার বাবু
সাফ সাফ বলে দেয় মা-বাবার কাছে।
একদিন এতরির আঠারোর পরে
ব্যারিষ্টার তরি ধরে নিয়ে আসে ঘরে।
তরি খোঁজে তরুণেরে বাসরের রাতে
বুঝে তার মনে কত ভালবাসা ছিল।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তের)

কোরবানী

কার্পণ্যের কোরবানী, পশুর জীবন
বিনিময়ে, পায় সবে উত্তম খাবার,
প্রতিবেশী দুঃখি জন আত্মীয় দরিদ্র
পোষ্য ভৃত্য, ভাসে সব ঈদের খুশিতে।
পশুবলি বলে একে নাস্তিক, নাপাক
বচনেতে।অযোক্তিক ভরাট মস্তিষ্ক!
নিরামিষ ভোজি তারা? অথচ তা’নয়
তবে কেন দোষারোপ অন্যের বেলায়?

খাবারের কত স্বাদ! না খেয়ে বঞ্চিত
নিরামিষ খেয়ে থাকে, প্রাণীর দরদে।
কত প্রাণী, খায় প্রাণী, পারলে ঠেঁকাও!
বাস্তবতা প্রকৃতির নিয়ম, যা দিয়ে
স্তরে স্তরে সব কিছু আল্লাহ সাজান;
তাঁরে করে দোষারোপ? অবোধ সকল!

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চৌদ্দ)

মু’মিনের বিশ্বাস

মু’মিনের এ বিশ্বাস বদ্ধমূল আছে
আল্লাহতে, তাঁর ইচ্ছে মত চলে সব,
অনিচ্ছায় বন্ধ থাকে কার্যক্রম যত
এ ধরায়। তাই তাঁকে মেনে চলা ভাল।
চলে যায় কবিতার কথাগুলো, ফের
ফিরে আসে কোথা থেকে? বিস্ময়ের ঘোরে
ভাবি তাঁরে প্রতিক্ষণে। অসামান্য তিনি
প্রতিকাজে।এ বিশ্বাসে কায়মনে থাকি।

অবিশ্বাসী নির্বিকার মনে চায় তার
ইহকাল। অথবা সে পরকাল চায়
অন্যকারো কাছ থেকে, অহেতুক ভুলে।
হে মু’মিন খুশিমনে নেয়ামত চাও
আল্লাহর, অনুগত থেকে তাঁর।আর
একনিষ্ঠ থাক চির, মঙ্গলের তরে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

টুনটুনি০৪ বলেছেন: বিবিধ সনেট ভাল লাগল।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

সনেট কবি বলেছেন:



টুনটুনি

টুনটুনি টুন টুন টিন টিন টুন
মনোযোগ দিয়ে পড় বলি কথা শুন
বেশী বেশী গেম খেলা ভাল নয় বলি
অযথা সময় এতে যায় শুধু চলি।
লেখাপড়া গেমখেলা সব কিছু হবে
সমতায় রেখে সবে তারপর তবে
স্বেচ্চাচারে দলে দাও নিজ পদতলে
জীবনে হবেনা বড় নিয়ম না হলে।

মেয়ে বলে ভয় নেই গুণী হও বড়
নিজের সম্মান সৌধ নিজে নিজে গড়
তবেতো সুউচ্চ হবে তোমার আসন
তোমায় ভাববে সবে সবার আপন।
পরের মঙ্গল চিন্তা আল্লাহ স্মরণ
এসবে সর্বদা রাখ সুদৃঢ় চরণ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ টুনটুনি। সাথে কবিতায় উপদেশ ফ্রি।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কিন্নরী আসলেই অসাধারণ। সে একদিন অনেক বড় হবে। কতদিন দেখিনা। ও বোধ হয় ছোট্ট শিশুটি নেই আর। ওকে দেখতে যাবো একদিন ।

পোস্টে +। সনেট কবি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

সনেট কবি বলেছেন:



কবি সেলিম আনোয়ার ও জ্বালানী নিরাপত্তা

অবুজের দল সব বুঝেনা মঙ্গল
নিজ জাতি স্বদেশের অথবা বিশ্বের
সে সবের জন্য কবি কাব্যে আছে খাঁটি
উপদেশ অনবদ্য পালনে উত্তম।
জ্বালানির অপচয় রোধের বেলায়
কবি কথা অনুপম সকলের জন্য।
ঠিক বলেছেন কবি সম্পদ সসীম
হিসেবে করলে ব্যায় কমবে বিপদ।

হে সেলিম আনোয়ার যথার্থ বিষয়
উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ দেব,
এমনটাই ভাবলে উন্নতি সম্ভব।
জনগন মিলে মিশে গড়ে তোলে দেশ
সরকার সহায়ক ভূমিকায় থাকে
তবেতো জাতির সুখ সুনিশ্চিত হয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

সনেট কবি বলেছেন: পোষ্টে প্লাস প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। সেই সাথে আপনার পোষ্টের সার সংক্ষেপ এখানে কবিতায় রেখে দিলাম।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:০২

শামচুল হক বলেছেন: দারুণ লাগল। ধন্যবাদ ভাই সনেট কবি।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

সনেট কবি বলেছেন:




গল্পকার শামচুল হক

সুন্দর গল্প লিখেন শামচুল হক
উপদেশ আছে তাতে আছে বিনোদন
সবটাই ভাল হয় শুরু থেকে শেষ
মাঝে মাঝে গানে যেন জুড়ায় পরান।
গোটা দুই গল্প পড়ে ভাল লাগে বেশ
তৃতীয় গল্পের আশে অপেক্ষায় থাকি
হয়ত দারুন কিছু আসবে আবার
নতুন কাহিনী নিয়ে ছড়াতে আলোক।

মানব জীবন গল্পে প্রাণবন্ত হয়
দেখা যায় তাতে চেনা সমাজের ছবি
ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে যা হয় পাথেয়।
সুচিন্তার প্রকাশেতে শামচুল হক
লেখন সুন্দর গল্প মনের আনন্দে
প্রার্থনা এমন তিনি লিখুন সর্বদা।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ শাসচুল ভাই।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন:





নারী


নারী জগতে সম্পূর্ণ, একটি মানুষ,
ভোগ্যবস্তু মনে করে ,যৌনতার ফুর্তি,
রুপে বীরাঙ্গনা নারী, কভু দেবমুর্ত,
বিশ্বজুড়ে দেখে ,হুশ -হারায় পুরুষ।
পুরুষের চেয়ে শ্রেষ্ট, সতীত্ব নারীতে,
কামনা রাজ্যের রাণী ,স্বর্গের অপ্সরী,
বিশ্বের জননী জানি, আমাদের নারী,
ক্ষুধায় তৃষ্ণায় সুধা, তৃপ্তির অমৃতে।

জগতে নারী বিদ্বেষী, নারীগণ হয়,
নারীতো গোলাপ ছাড়া, অন্য কিছু নয়।
বিপথগামী হয়না, নারী কভু একা,
যৌন বাসনা নারীকে, নর দেয় ধোকা।
নারীতেই মধু , যাদু ,নারীতে ছলনা,
নারীহীন বিশ্ব কভু, হয়না কল্পণা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

সনেট কবি বলেছেন:





কবি তোফায়েল আহমেদ টুটুলের কবিতা মূল্যায়ন ও পরামর্শ

নারী মূল্যায়নে কবি নিরীক্ষণ করে
নারীর সকল দিক ভিতর বাহির
নারীর সার্থক রূপে হয়েছে বিচার
তোফায়েল আহমেদ টুটুল হে কবি।
সনেটে ফুটেছে ভাল মমতাময়ীর
ভালদিক যত আছে পরিপূর্ণ রূপে
মন্দ দিক তাও আছে নিরপেক্ষ ভাবে
বিষয়টা সর্বদিকে ফুটেছে সুন্দর।

হে কবি এবার চাই আবহ প্রবাহ
অনবদ্য ছন্দ ঢেউ উত্থান পতন
অমিত্রাক্ষরে হবে তা’ প্রবাহ সমৃদ্ধ।
এ ছন্দের বাক্যচলে পদের পরেও
অন্যপদে কভু ঘটে বাক্যের সমাপ্তি
সেজন্য পদমাঝে পূর্ণ যতি বসে।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন:




ছাত্র আমি

ছাত্র আমি বিশ্বলয়ে ভর্তি হতে চাই,
বর্ণ শব্দ বাক্য লিখে ভাবের প্রকাশ,
আপনার মূল্যায়নে প্রতিভা বিকাশ,
মূল্যবান পরামর্শ সানন্দে কুঁড়াই।
বাস্তব পাঠশালাতে অধ্যয়ন কালে,
কথা বার্তা ব্যবহার সুন্দর চরিত্র,
অনুকরণে প্রচেষ্টা করি দিবা রাত্র,
শোধরে নেই নিজেকে আছি যত ভুলে।

মানুষ মাত্রই ভুল সর্বলোকে জানে,
বাক্যের মাধুর্য ঘটে সঠিক নিয়মে,
অর্থগুলি পাল্টে যায় লেখার কলামে,
বিরাম চিহ্ন যথার্থ উপযুক্ত স্থানে।
কপালপোড়া অভাগা অল্প মুলধন,
আপনার উপদেশ বড় প্রয়োজন।





২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

সনেট কবি বলেছেন:



কবি টুটুলের মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য-

কবি ডুবে প্রকৃতিতে বিস্ময় দর্শনে
সেথাহতে খুঁজে নিতে রূপের মাধুরী
সাজাতে সে রূপে তার সাহিত্য ভান্ডার
পাঠকের মুগ্ধতায় ছড়াতে আলোক।
যে আলোয় পাঠকের রতন দর্শন
অভিপ্রায় জেগে মনে বাড়ায় উদ্দম
জ্ঞান সাধনায় তার নিত্য সময়েতে
এখানেই কবিদের প্রচেষ্টা সার্থক।

দেখলাম ঘুরে ফিরে কবি টুটুলের
সাহিত্য প্রতিভা আছে আশাজাগানিয়া
সর্বক্ষেত্রে, সে প্রতিভা সম্ভাবনাময়।
কবির প্রচেষ্টা দেখি মুগ্ধ দু’নয়নে
সেথা দেখি নক্ষত্রের নতুন উদয়
চলুক প্রতিভা তবে অব্যাহতভাবে।



৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনার প্রচেষ্টা অতুলনীয়!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সনেট কবি বলেছেন:






কবি ভ্রমরের ডানার ‘জলকাব্য -২০- নিঃস্ব লহরী, এর সার মর্ম-

কবির একাকী যাত্রা রাতের সমূদ্রে
যেথা পূর্ণিমায় ভাসে কালোচিত মেঘ
যাতে কবি খুঁজে ফিরে ফেলে আসা স্মৃতি
বুকের অতলান্তে যা কাব্য বুদ বুদ।
প্রিয়াহীন কবি দেখে সমূদ্র পূর্ণিমা,
চাঁদের কলঙ্কে তোলে অব্যক্ত কথার
গুচ্ছ যাতে এলোমেলো কবি কক্ষচ্যুত
একাকিত্বে করে যায় ব্যার্থ আস্ফালন।

তথাপি নিঃস্ব লহরী নিঃসঙ্গ জীবন
একাকিত্বে, নীলঘন সাগরের জল
হতে চেয়েছেন কবি তাঁর কামনায়।
যেন সে ঘন জলের ঘনত্বে কবির
আজন্ম লালিত স্বপ্ন উম্মাদ আকাঙ্খা
ভেসে যেতে পারে কোন অজানা গন্তব্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.