নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সনেট কাব্যে আল্লাহ, সস-৯৩

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭



(এক)

প্রতিটি সৃষ্টির হাল অবগত তুমি
অনুভবে অনুপম। প্রতিটি মুহুর্ত
স্মৃতিতে সঞ্চয় করে বিচার নিমিত্তে
প্রভুত্বের দাবিদার যথার্থ সে তুমি।
আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি শুনি চিত্তকর্ণে
অচিন্তনীয়, সে মধু প্রত্যেক সৃষ্টির
অভ্যন্তরে সঞ্চয়নে কারুরূপে করে
বিমহীত আমোদীত প্রতিটি হৃদয়।

শুধুকি পাগল হয় অহেতুক কেহ?
কুদরতের হিসেব মস্তিষ্কে প্রবাহে
জ্ঞান হারা হয়ে হাজির এ হাল।
অথচ কতক আছে অনুভুতিহীন,
বুঝেনা কিছুই তারা। না বুঝে বিভ্রম
ছড়িয়ে সমগ্র মন অপবিত্র করে।


# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দুই)

অন্তহীন হে আল্লাহ অনন্ত হে গুনী
সাজালে এ অনুপম জীবন জগৎ
নিজ ইচ্ছা ক্ষমতায়। যাতে নেই খুঁত
কোন কাজ ব্যবস্থায়, এ মহা বিস্ময়!
হে বরেণ্য বুঝ সব সৃষ্টির অবস্থা
সুখ-কষ্ট কার কত? কি মনে আকুতি
বিরাজে সৃষ্টির মাঝে? দর্শনে সে সব
অবিচল থেকে কর সঠিক ব্যবস্থা।

এত গুণ ওহে গুণী বর্ণনা অসাধ্য
ভাষা জ্ঞানে।ভাবনায় মাথাধরে আসে,
নাহিপেরে দিতেস্থান এ চিন্তা মস্তকে।
সে কারণে কতজন জ্ঞানশূণ্য হয়ে
তোমাতে হারায় নিত্য বিসর্জনে নিজ
অনুভুতি। সেথা শুধু থাক তুমি প্রিয়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(তিন)

হে সুন্দরতম তুমি, অনন্য সৃষ্টির
অপরূপা মনোহরী রূপ বৈচিত্রের
চিত্তাকর্ষ অপলক দৃষ্টির নন্দন
এ জগৎ অবলকে বলে এ হৃদয়।
জ্ঞানান্ধ দৃষ্টি আাঁধার হাতড়ে ‘কোথাও
কেউ নেই’ চিৎকারে অহেতুক তোলে
তোমায় না পাওয়ার ভোগাস জিগির;
অথচ নিকট জনে তুমিতো ভাস্বর।

যে পায় সে থাকে তাঁর ভাবনার বশে
বিমোহীত হয়ে মনে।না পাওয়া জন
না পেয়ে ভাবে এ নেই দূর্ভাগ্য কারণে।
আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি মুগ্ধতায় শুনি
মর্মভেদি স্মরণের কৃতজ্ঞতা স্বরে
সৃষ্টির প্রত্যেক প্রান্ত হতে প্রতিদিন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনে

(চার)

যে দিকে তাকাই আমি অপরূপ তাঁর
সৃষ্টির শোভায় ভরে মুগ্ধ দু’নয়ন।
অপলক চেয়ে থাকি নৈপূণ্যে সাজানো
গড়ে তোলা সৃষ্টি রাজ্যে উদাস পরানে।
দেখ দেখ নিলাকাশ তারাখচা রাতে
ফুরফুরে বাতাসেতে সুখের প্রভাতে
অশান্ত ঢেউয়ে দোলা বিস্তৃত সমূদ্রে
ফুলের কাননে কত ফুলেদের হাসি।

হে আল্লাহ হে আল্লাহ জিকিরের ধ্বনি
মৌনমন মোহনার স্রোতে ভেসে যায়
কি অফুরন্ত সম্পদ সেথায় বিরাজে!
হে ধনি হে ধনি তুমি অনন্ত সম্পদে
অসীম সকল ক্ষেত্রে আমি দেখে তায়
ভাবছি তোমায় শুধু অবিরত মনে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(পাঁচ)


কে সৃজিল চন্দ্ররূপ এ জোছনা কার?
ইচ্ছে কার অবিরত ফুল হয়ে ঝরে?
শিউলি তলার ঘাসে ঝরা ফুল দেখি
ঝর্ণার অঝোর জল নির্ঝর রূপালী।
বকেরা আকাশে উড়ে ধবধবে সাদা
রেখাচিত্রে দেখি কত মনমুগ্ধ ছবি
তীরের ফলার মতো বৃষ্টি নেমে আসে
বালক-বলিকা নামে করতে গোসল।

হে আল্লাহ এসব কি ছন্দে অফুরান
তোমার মহিমা গাহে চিরন্ত এ জানি
ভুলেনা তোমায় তাই এ সজাগ মন।
যে ভুলার সে ভুলুক দ্যুলোক ভূ-লোক,
আমার মস্তকে শুধু মহিমা তোমার
অবনত করে দেয় কৃতজ্ঞ অন্তর।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছয়)

কার খাই কার পরি কে সারে অসুখ?
সুখের বেলায় কারে ভুলে থেকে করি
আমদ প্রমোদ ঢের। চলে যেতে হবে
চিরন্তন একথাটি কোথায় হারায়?
মরাকে ভুলেই গেলে মরা কিহে ভুলে?
সময় হলেই সে যে হয় উপস্থিত
সজনেরা পারে কিহে কেড়ে নিতে প্রাণ
আজরাঈলের (আঃ)হাত, হতে কোন দিন?

এই আছি এই নেই এ জগতে আমি
ফিরছি তোমার কাছে আল্লাহ মহান
একটু আমায় প্রভু রেখ কাছে কাছে।
তোমার ও মনে জানি দয়াভরা আছে
আমি চাই সে দয়ার ভাগ পুরোটাই
আশাকরি দিবে তুমি প্রভু দয়াময়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনে

(সাত)

আদিগন্ত চেয়ে দেখি খোঁজ নেই তাঁর
অনন্ত সৃষ্টির মাঝে, রেখে কুদরত
লুকিয়ে থাকেন তিনি দৃষ্টির আড়ালে
সৃষ্টি দেখে যেন তাঁরে খুঁজে নেয় বান্দা।
দর্শনে করলে তাঁরে অস্বীকার কেউ
উতরে অসীম রাগ বিনাশ ঘটার
কারণ হবে সে রাগ, সেজন্য অদৃশ্যে
এখন আছেন তিনি, আল্লাহ মহান।

‘অবিশ্বাসে অপ্রকাশ্য বিশ্বাসে প্রকাশ্য’
শুধুই দেখবে তাঁরে বিশ্বাসী বান্দায়
নয়ন জুড়িয়ে তার, বিমোহীত হয়ে।
অধমে অগম্য তিনি, বোধগম্য নন,
যতই বুঝাবে তারে সে হবে অবুঝ
কপাল পোড়ার এযে অভাগা কপাল।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আট)

অন্তরে জমেছে কালি ধোঁয়ার আঁধারে
যুক্তিহীন অহেতুক চিন্তা-চেতনায়।
অবিশ্বাস চোরাবালি গ্রাসেতে বিশ্বাস
আগ্রাসনে আছে সদা সাকুল্যে প্রস্তুত।
কে তোমার বন্ধু লাগে শয়তান নাকি?
তবে তার আবাসনে বানাতে ঠিকানা
নিজেরে প্রস্তুত কর; চেয়োনা মঙ্গল।
তোমার কপালে আছে ইবলিশি ঝাঁটা।

আল্লাহ মহান যাঁরে না চিনে নির্বোধ
মনগড়া রাস্তাধরে চলে এলোমেলো
কে তারে দেখাতে পারে সুখের ঠিকান?
আল্লাহ হলেন চির শান্তির মালিক
সেথায় শান্তির খোঁজে আসেনা যে জন
তার জন্য অশান্তির নিশ্চয়তা আছে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(নয়)

ক্বোরআনে অফুরান অমৃতের বানী
নাজিলেতে দেখালে যে আমাদের পথ
সে কারণে কৃতজ্ঞতা নিমিত্তে তোমার
হে আল্লাহ আমাদের নিখাঁদ বান্ধব।
আরো এক নবী(সঃ)দিলে স্নেহের সাগর
উম্মত মঙ্গলে যাঁর আকূল পরান
ছিল নিত্য সে কারণে শীতল অন্তর
তোমায় স্মরণ করে খুশির জোয়ারে।

স্বস্নেহে শুনাও তুমি হাজারে হাজার
আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, শ্রুতির শান্তিতে
ভুলেথাকে মুগ্ধজন আমদ-প্রমোদ।
তোমার স্মরণ লয়ে অবাক জগত
অনুভবে থাকে যার সে বুঝে কেমন
তোমার সান্নিধ্য সুখ, কৃতজ্ঞ অন্তরে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দশ)

আল্লাহর ইচ্ছে বিনে কি হয়রে আর?
দয়াময় দয়াকরে দিলে উপহার
তখন মানুষ করে অসাধ্য সাধন
যদি পায় আল্লাহর মায়ার বাঁধন।
অকৃতজ্ঞ ভুলে যায় নেপথ্য আল্লায়
নিজের কৃতিত্ব নিয়ে গর্বে উপচায়
অবশেষে ধাক্কা খেয়ে হয়ে চিৎপাত
হয়ে যায় বন্ধ তার সব উৎপাত।

খলের সকল ছল ধরাপড়ে শেষে
সৎজন সত্যে তাই যায় ভালবেসে
যতহোক কষ্ট তার যায়না সে থেমে।
অহেতুক ছলনায় খল নীচে নেমে
চিরকাল ঘরেফিরে ফলশূণ্য হাতে
সত্যের জয় হয় সুখের প্রভাতে।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত ও পয়ার
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ গীতি সনেট


(এগার)

আলো ঝলমলে দ্যুতি দৃষ্টির দুয়ারে,
অপরূপ সে দ্যুতির কিরণ ছড়ায়
মনের গভীরে।তার মোহনীয় রূপের
মহিমায় আলোকিত করে অন্তর আধাঁর।
সেথায় স্বপ্নরা সব জেগে উঠে তুলে
উন্নত মস্তক তাতে। সত্য অনুসন্ধানে
সে স্বপ্নের যাত্রাপথে সে আলো আঁধার
বিনাশে দ্যুতি ছড়িয়ে হয় পথিকৃত।

এদ্যুতি ক্বোরআনের। আল্লাহ প্রদত্ত
এদ্যুতির কার্যকর পথপ্রদর্শনে
পথপেয়ে মু’মিনেরা হয় পরিতৃপ্ত।
এনাহলে পথতবে কোথায় পেতাম?
ক্বোরআনের দ্যুতির জন্য ধন্যবাদ
হে আল্লাহ তোমায় হে মহিয়ান প্রভু।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(বার)

কে আল্লাহ কি আল্লাহ, কেন হবে তাঁর
আরাধনা একমাত্র? এ প্রশ্ন সবার।
পরিচয়ে তাঁর, পেয়ে প্রশ্নের উত্তর
তাঁর পথে চলে কেহ দৃঢ়পদক্ষেপে।
আর যার কাছে নেই তাঁর পরিচয়
সে বুঝেনা তাঁকে তাঁর মহিয়ান রূপে।
আরাধনা জন্যে তারে বুঝে নিতে হবে
আগে ভালভাবে, পরে হবে আরাধনা।

সত্য বুঝার জন্যেতে অনুসন্ধানের
সঠিক পন্থার কোন বিকল্প কোথাও
কোন কালে নেই কভু, এসত্য নিশ্চিত।
ভুল পথে থাকে চির ভুলের মাসুল
গনার অকাজ সদা। যাতে যন্ত্রণার
জ্বালাতনে কাঁদেমন দুঃখে দিবানিশি।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তের)

আমার আপন তুমি, রেখেছ আপন,
আমায় আপন পথে আপন নিয়মে
ভাবতে আপন সবে করতে আপন
পাঠালে আপন বাণী আপন বান্দায়।
বানালে আপন কত আপন ইচ্ছায়
থাকতে আপন মনে আপন মতন
তারাতো আপন হয়ে আপন হৃদেয়ে
সকলে আপন রাখে আপন দায়িত্বে।

আসল আপন জন আল্লাহ মহান,
সজন আপন হয় আপন আলোর
মহান আপন বাঁধে আপন সুখেতে।
অনেকে আপন সাজে নকল আপন
বিফল আপন সব এমন আপন,
আপনে আপন করে রেখেছে আপন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(চৌদ্দ)

নিখুঁত বলেছ নিজ সৃষ্টির বাগান
বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি অভিভূত হয়ে
সেথায় তোমায় পাই অত্যাচার্য রূপে
নিজ শিল্প মহিমায় হে মহান শিল্পী।
কিগুণ বিবৃত করি মথা ধরে আসে
না আঁটে মগজে আর না কুলায় মুখে
মাথা ঘুরে হই যেন ভূ-তলে পতিত
এমন গুণির গুণ বর্ণনা অসাধ্য।

হে আল্লাহ হে আল্লা করি সৃষ্টি দল সাথে
কি করব ভাবনা যদি গুলিয়েই আসে?
তখন জজবা উঠে আল্লাহু আল্লাহ।
একটু জিরিয়ে শেষে ভাবতে আবার
আবার গুলিয়ে মাথা আল্লাহু আল্লাহ
জিকিরে জিকিরে থাকি আবেগ উচ্ছাসে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পনের)

আমাকে আমার চেয়ে তুমি বুঝ ভাল
অনুভবে, প্রতিক্ষেত্রে প্রত্যেক সৃষ্টির
বেলায় এমন হয়। মাথাটা ঘুরায়
তোমার ক্ষমতা ভেবে হে প্রভু আমার।
তথাপি বিপদে কেহ ধৈর্য্য হারা হয়ে
হারায় পুরস্কার এ কাজের বরাদ্ধ।
মানুষ বুঝেনা ভাল নিজেই নিজের
অকারণে আল্লাহর করে বদনাম।

আল্লাহর কোন ক্ষেত্রে কোন দোষ নেই
একথা কেমন করে মানুষ ও জ্বীনে
বুঝাই আমি, জানিনা উপায়-পদ্ধতি।
এটুকু আমার জানা মন ভাল হলে,
উপযুক্ত হলে কেহ হেদায়েত তরে
আল্লাহ নিজেই তারে সকল বুঝান।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(ষোল)

রহমান নিজে দেন ক্বোরআন শিক্ষা
উপযুক্ত হলে কেহ তার থেকে পেতে
জ্ঞানরাজি ছাত্র হয়ে, তখন হবেন
শিক্ষক একান্ত তিনি সে যোগ্য ছাত্রের।
এ শিক্ষক এমন যে মুগ্ধ করে প্রাণ
অনেক কঠিন কথা সহজে বুঝিয়ে
সব প্রশ্নের উত্তর ঠিক ঠিক দেন
স্নেহ তাঁর অফুরান শিক্ষার বেলায়।

প্রশ্নকরে সে উত্তর পেয়ে স্মৃতি ভান্ডে
ক্বোরআনের সাথে এ মিলিয়ে দেখবে
মিলেগেলে মেনেচল, না মিল্লে তা’বাদ।
তুমি কি পেয়েছ একা অপরের তাতে
দায় নেই।সে মানবে শুধু ক্বোরআন
তেমনটাই তার ক্ষেত্রে তাকে বলা আছে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সতের)

আল্লাহ অদৃশ্য আর দৃশ্যমান তুমি
দেখনা দৃশ্যতে খুঁজে অদৃশ্যমানের
আলামত পাওকিনা নিজেই নিজের
সত্ত্বাজুড়ে পরিপাটি ছড়ানো ছিঁটানো।
পেলেই তোমার লাভ না পেলে বিপদ
সেটাও তোমার হবে শাস্তির মাত্রায়
বুঝবে তখন তুমি আলস্যের দায়
কিভাবে বহন করে অবোধ মানুষ।

খুঁজে না পেলেই নেই এটা ঠিক নয়
খোঁজার ত্রুটিতে থাকে বাস্তব অদৃশ্য
যা আছে তা’নেই বলে বেউকূফ জন।
হতেপারে একক্ষেত্রে বিজ্ঞানী সে হয়
অন্যক্ষেত্রে বলবেনা অজ্ঞানী সে নয়
বিজ্ঞানী অজ্ঞানী আছে বিষয়ে অনেক।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(আঠার)

বড় মিয়া কথা খঁটি সব ক্ষেত্রে নয়
না চিনে আসল বড়, বড় মিয়া হয়,
আসলে সে বড় মিয়া বড় মিয়া নয়
আসল বড়রে চিনে বড় হতে হয়।
আল্লাহ অসীম বড় যে জেনে এ কথা
তাঁকে সদা মান্য করে কায়মনে তার
তিনি সে সুবোধে দেন বড়ত্বে আসন
তাঁর কাছে বড় মিয়া এ ছাড়া যে নয়।

বড়ত্বে আসন নিয়ে আল্লাহ হবেন
বিচারক বড়ত্বের তখন অনেক
ছোট মিয়া বড় হবে বড় মিয়া ছোট।
সে দিন বড়াই সব পড়বে গড়াই
অহেতুক বড়ত্বের অগ্নি হবে জল
ভাবহে মানুষ সব ভাবহে মানুষ।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(উনিশ)

আজানের সুর মিশে মনের ভিতর
তোলে এক ঝড় যার টানেতে অস্থির
হৃদয় অমনি ছুটে সেজদা নিমিত্তে
দয়ময়ে, যাঁর দয়া পেয়ে আমি বাঁচি।
হে কবি কায়কোবাদ বলেছেন খাঁটি,
আজানের সুর সেতো বাজে সুমধুর
মু’মিনের কানে কানে আত্মায় আত্মায়
শ্রবনেতে এরচেয়ে ভাল সুর নেই।

‘আল্লাহু আকবার’ এ ধ্বনি তোলে বান
ছড়ায় প্রত্যেক মনে এমন তুফান
যাতে উড়ায় সকল দুনিয়াবী কাজ।
মু’মিনকে ধরেরাখে আজানের পর
এমন নেইতো শক্তি দুনিয়াদারির
আল্লাহর প্রতি মন মু’মিনে এমন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বিশ)

মেহেরবান আল্লাহ করেনা মেহের
অসহায়ে নিরাময়ে বিপদ আপদ,
কষ্টতে আকুল হয়ে সকল সময়
পরীক্ষা নিমিত্তে তার আস্তা ও বিশ্বাস।
সে যদি এ বুঝে তবে থাকবে অটল
তার চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসের পথে,
আর যদি অবুঝের মতো বুঝে সব
তবেতো খোয়ানো যাবে অমূল্য ঈমান।

এজীবন নয় কারো স্থায়ী আবাসন
এস্থানতো সে স্থানের মূল্য চুকানোর
অস্থায়ী পরীক্ষা স্থান তা’বুঝে সুবোধ।
নেই যার সত্য জ্ঞান সে অস্থির হয়ে
এখানে তালাশ করে সুখের ঠিকানা,
তা’নাপেরে পরিশেষে করে হাহুতাশ।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(একুশ)

পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি হয়ে
আল্লাহর কিছুদায় বহনে মানুষ
পেয়েছে দায়িত্ব কিছু। পুরস্কার যার
মানুষেরা পাবে নিজ কাজের ভিত্তিতে।
নতুবা শাস্তির দন্ড ভোগের নিমিত্তে
তাদের থাকতে হবে সর্বদা প্রস্তুত,
কখন যে এসে যাবে অসময় তার
যার থেকে পালাবার পাবেনা সুযোগ।

প্রতিনিধির দায়িত্ব, অনাচার রোধ
সুবিচার সুশাসন সৎমনোভাবে
অপরের সাহায্যতে থাকা নিরন্তর।
আরো আছে আল্লাহর বিধি ও বিধান
তার ভিত্তিতে করা জীবন যাপন,
প্রতিনিধিত্ত্বের জন্য এ হলো উত্তম।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(বাইশ)

আল্লাহর প্রতিনিধি মানুষের দল
সক্ষমতা পেয়ে কভু দেখেনা দু’চোখে
দূর্বল মানুষ কত কষ্ট ভোগ করে
অথচ তাদের দায় এসব দেখার।
জীবনের প্রতিক্ষেত্রে অসহায় জন
বাঁচার আকতি নিয়ে অবলম্বনের
পিছেছুটে ক্লান্ত দেহে, তাদের আশ্রয়
সক্ষমেরা হবে এটা কাম্য আল্লাহর।

আল্লাহ ধরায় এসে করেননা কাজ
রাস্তাঘাট নির্মানের, শাসন বিচারে
এখানে মানুষ আছে প্রতিনিধি তাঁর।
কে খায় কে না খায় এ দেখবে মানুষ
মানুষের সুখ শান্তি পরস্পর দেখা,
এসব না করে কেউ পাবেনা নিস্তার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তেইশ)

প্রকৃতিতো আল্লাহর করুনার দান
প্রকৃতির দান সেটা কি অদ্ভুত কথা
প্রকৃতির দান সেতো আল্লাহর দান
প্রকৃত এ কথা কেন বুঝে না মানুষ?
আল্লাহর ইচ্ছে বিনে হয়না কিছুই
যার ইচ্ছা সাথে তাঁর ইচ্ছা যোগ হয়
তার কাজ হয়ে যায় বাধাহীন ভাবে,
ইচ্ছার কারণে দায়ী অকাজের কাজী।

গজর গজর করে গজালের দল
তা’বলে পাপের দায় খসবেনা কারো,
পাপকাজে আল্লাহর কোন দায় নেই।
কেন নেই? কারণতো একটাই এযে
পাপীর ইচ্ছায় যুক্ত আল্লাহর ইচ্ছা
শুধুমাত্র সেইকাজ ঘটার নিমিত্তে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চব্বিশ)

আকাশে তারার দলে দৃষ্টিরা হারায়
কতবড় এ জগৎ ভাবনা উপায়
নেই বলে আমাদের ক্ষুদ্র চেতনায়
অপলক চেয়ে থাকি হয়ে অসহায়।
এতবড় জগতের শ্রষ্টার চিন্তায়
এ হৃদয় ডুবে থাকে মহা মুগ্ধতায়
তারে চায় তারে চায় মন তারে চায়
তিনি ছাড়া এজীবন শুধু নিরুপায়।

যে পায়নি তাঁর কোন হদিস সত্ত্বায়
যে পায়না তাঁরে খুঁজে নিজের আত্মায়
সারাটা জীবন তার বৃথা চলে যায়।
যে জন ‘আল্লাহ’ পায় মন মোহনায়
জিকিরেতে মন থাকে সারাটা বেলায়
তার মনে বহে সুখ স্রোতের ধারায়।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ এক অন্তমিল
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পঁচিশ)

আল্লাহ সহজ করে সাজালেন বাণী
ক্বোরআনের আয়াতে সুলালিত্যে সব
হুকুম পালন তরে সকল বান্দার
জটিল আয়াত সেথা নয় হুকুমের।
অখচ জটিলে ঢলে কূটিল জনের
জটিল হৃদয়, খোঁজে কূ-মন্ত্রণা দানে
সরল মানুষ জনে কূপথে চালাতে
সাবধান হে মানুষ এসবের থেকে।

শয়তান কোন কালে নয় বুদ্ধিমান
বেউকূফ অহেতুক বড়াই কারণে
নিজপদে মারে তার নিজেই কুড়াল।
কি দরকারে কে খোঁজে ক্বোরআনে ত্রুটি
যার জ্ঞান ত্রুটিপূর্ণ ত্রুটি সে কি ধরে
ত্রুটি ধরাই যে ত্রুটি বাস্তব সে কথা।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছাব্বিশ)

শুকরিয়া করি প্রভু তোমার দানের
অফুরান হে মহান হে মহা মহিম
আমিতো বোকার মতো ভুলে থাকি তারে
পেয়েছি জীবন আমি যাঁর উপহারে।
আমি কারে ভালবাসি তাঁরচেয়ে বেশী
হিসাবটা করেছি কি, কি ভুল কোথায়?
সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর বুঝাব কি বলে?
মুখটা ফিরালে তিনি কি হবে তাহলে?

কেউ নয় কেউ নয় তাঁর চেয়ে দামী
কেউ নয় কেউ নয় তাঁর চেয়ে মানী
কে আমারে ভালবাসে আমি কি তা’জানি?
তাঁর চেয়ে বেশীভাল বাসেনাতো কেউ
সে আল্লায় ভালবেসে উঠ জেগে উঠ
তাঁর ভালবাসা পেতে ছুট জোরে ছুট।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ মাঝে মাঝে
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সাতাশ)

হে আল্লাহ আমি যেন নিজেকে সর্বদা
নিজের মতো ভাবতে রুচি বোধ করি
আর আপনাকে ভাবি আপনার মতো
দয়ালু মেহেরবান অনন্ত অসীম।
আমিতো তুচ্ছ ও ক্ষুদ্র আর হে আল্লাহ
আপনি বিশাল মনে ব্যাপক বিস্তৃত
ক্ষমতাবান মহান সকলের প্রভু
একচ্ছত্র আধিপত্যে আপনি অনন্য।

হে মানুষ দেখ তাঁর কুদরত কত
আর তাঁকে নিয়ে ভাব সকল সময়
তবেকি তোমার দুঃখ সন্দেহ বিস্তারে?
এটাতো পরীক্ষা এক ঈমান দেখায়
উত্তীর্ণ হলেই পাবে মহা পুরস্কার
জালিম ধরা খায়না সেজন্য এখন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আটাশ)

জালিমকে জুলুমের সুযোগ দেয়ায়
সে নিজের পায়ে মারে কুড়াল নিজেই
আর মজলুম পায় অনন্ত জান্নাত;
এবার তাহলে বুঝ কার বেশী লাভ?
মজলুম করবেনা খোয়াতে জান্নাত,
আল্লাহর বদনাম, অহেতুক কোন
কথা ও কাজের ফেরে।অপেক্ষায় থেকে
সে চাইবে আল্লাহর হেদায়েত সদা।

হাসরে জালিম হবে দিশেহারা মনে
ছুটোছুটি করা কোন গাধার মতন
সে পাবেনা তার কোন মুক্তির উপায়।
আর মজলুম হবে রাজার মতন
টান টান উত্তেজনা মনে বিরাজিত
মহা পুরুস্কার পাবে জুলুম ভোগার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ঊনত্রিশ)

আল্লাহু আল্লাহু করে মনে সারাক্ষণ
জিকিরের ধ্বনি উঠে মুগ্ধতায় তাঁর
এ যেন প্রভুর দেয়া সেরা উপহার
যাতে মন হয়ে যায় দুনিয়া বিবাগী।
এ স্বর এমন যাতে হয়ে নিমগন
বাঁশে না কোথায় উঠি বোধ নেই তার
এ সুখ পায়নি যারা তাদের কি আর
ভাগ্যআছে হতে কোন এভাগের ভাগী।

চল চল সবে চল জিকিরের সাথে
আল্লাহর ওলি ডাকে আয় ছুটে আয়
এখনি সময় চল আল্লাহর পথে
চেয়ে দেখ কাফেলা ঐ যায় চলে যায়

পীর সাহেবের ডাকে ঐ চরমনাই
থাকতে সময় সবে চল ছুটে যাই।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙচচ
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ত্রিশ)

যে দিকে তাকাই আমি সে দিকে তোমার
অনুভব আমারে যে পাগল বানায়
সব মন বুঝ তুমি সে কিরে বিস্ময়
সকলের অনুভুতি কর অনুভব।
মানুষ কষ্টতে তার বুঝেনা তোমায়
কত যে মহান তুমি কত দয়াবান
দয়ার সাগরে নিতে কাঁটাভরা পথ
উছিলা তোমার এযে দানের বেলায়।

তোমার ভাবনা জেগে মনের ভিতর
কষ্টকর অনুভুতি দূর হয়ে যায়।
সে মনে তখন তুমি অনুভবে থাক।
যেই মনে নেই তুমি সেই মনে ক্ষোভ
দানা বেঁধে বিশ্বাসের বারোটা বাজায়
সুপথের জন্য চাই তোমার স্মরণ ।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙচচ
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(একত্রিশ)

মানুষের প্রচেষ্টায় আল্লাহর দয়া
হলে কার্য সিদ্ধ হয়ে মানুষ দারুন
খুশীহয়ে কৃতীর্তটা নিজে নিতে চায়
আর আল্লাহর ভাগে দিতে চায় শূণ্য।
মানুষের প্রচেষ্টায় আল্লাহর দয়া
নাহলে মনের দুঃখে নিজেই নিজের
চুলছিঁড়ে হতভাগা মানুষেরা কাঁদে,
তথাপি কৃতজ্ঞাতায় অনিহা অনেক।

ওরে তোর কাজ হবে যদি কৃতজ্ঞতা
অন্তরে পুষিস, তবে তোর কাজ করে
সমাধা আল্লাহ নিজে দিবেন অবশ্য।
তুই আসলেই কিছু পারিসনা নিজে
একা একা শত চেষ্টা সাধনায় থেকে
যদি আল্লাহ সহায় না হন কাজেতে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বত্রিশ)

হৃদয়ের গহিনেতে আছে যাঁর নাম
আমার সকল কিছু শুধু যাঁর দান
তিনি আর কেউ নন আল্লাহ মহান
তাঁর দানে গড়ি আমি সুখের নিবাস।
নিখুঁত কাজেতে তাঁর নেই বদনাম
যে দিকে তাকাই শুধু শোভা অফুরান
ভ্রমরেরা ফুলে ফুলে উড়ে গায় গান
তাঁর দয়া বিনে কভু চলেনা নিঃশ্বাস।

সেই তাঁরে ভুলে থাকে বোকাদের দল
জীবন সময় পার করে বৃথা কাজে
করেনা সঞ্চয় তারা জীবন সম্বল।
এমন মানুষ জন নেহায়েত বাজে
কখন কি করে তার কোন খোঁজ নাই
জানিনা জীবন পথে এদের কি চাই।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ গীতি সনেট

(তেত্রিশ)

আল্লাহ বুঝেন সব মনভাব রুচি
দেহ অনুভুতি কষ্ট ক্ষুধার যন্ত্রণা
ইচ্ছা আবেগ প্রত্যাশা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া
ন্যায় বিচারের স্বার্থে সকলের মাঝে।
মাথাটা ঘুরায় দেখে তাঁর যোগ্যতার
ব্যাপকতা বিস্তারিত সমগ্র জগতে,
এত প্রার্থনার প্রতি মনোযোগে দিয়ে
ব্যবস্থা গ্রহণ করা অসীম বিস্ময়।

কারো ইচ্ছা পূরণেতে কারো ক্ষতি থাকে
সেজন্য কারো খুশির মাঝে কারো দুঃখ,
দুঃখিরে পুষিয়ে দেন অন্য কোন ভাবে।
তাঁকে বুঝার সাধনা নির্জনে একাকী
সুবিধা বলে সাধক তেমন করেন
যা আল্লাহর খুশির কারণ সর্বদা।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চৌত্রিশ)

আমি অভিভূত জেনে আপনি জানেন
মনের সব খবর যা লুকানো আছে
মনের গহিনে যত্নে অন্যের অজানা
সকল সৃষ্টির যাতে কেউ বাদ নেই।
তাহলে কি আপনাকে অবহেলা করা
যায় কখনো বলেন? ক্ষতিটা তাহলে
কার হবে অবশেষে, সে গোপন তথ্য
ফাঁস হয়ে গেলে কার কি উপায় হবে?

তখন নির্ঘাত কেউ নিরুপায় হবে
মন্দ তথ্য এসেগেলে সামনে সবার
মুখ লুকানোর স্থান পাবেনা তখন।
মানুষকে অপদস্ত করতে যে মন
উৎগ্রিব হয়ে কারো গোপন প্রকাশে
শেষ বিচারে সে তার কূকর্ম বুঝবে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পঁয়ত্রিশ)

অনাচার অত্যাচার দেখে নির্বিকার
থাকেন সেজন্য কারো সন্দেহ বাতিক
মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আবল তাবল
বলে ফেলে আপনার সম্পর্কে সহসা।
অথচ এটাই হলো আসল পরীক্ষা
অত্যাচারী জন্য আছে নির্মম শাস্তির
ঘোষণা, এখন যার অবকাশ কাল
মজলুমের বরাদ্ধ মহা পুরস্কার।

আল্লাহর হিসেবেতে নেই ফাঁকফোঁক
তেমন নাহলে কেন এমন রাজার
হালেতে মানুষ রবে অনন্ত জান্নাতে?
সে জন্য জালিম হয় এমন কঠিন
নতুবা মজলুমের সৌভাগ্য নসিব
হয়না কখনো অন্য কাজের গুনেতে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছত্রিশ)

আল্লাহ নিরাকার

নিরাকার আল্লাহর আকার সাব্যস্ত
অনেকেই করে থাকে অথচ বুঝেনা
সমগ্র জগৎ হতে আকারটা ছোট,
আল্লাহকে ছোট করা উদ্দেশ্য এদের।
আল্লাহ শব্দের অর্থ অভিধানে নেই
পরিভাষা দিয়ে তাঁরে বুঝা যায় ভাল
অভিধান দিয়ে তারে বুঝতে গেলেই
আল্লাহ আর আল্লাহ রবেননা তাতে।

আল্লাহর সবগুণ ঠিকঠাক রেখে
আল্লাহর আলোচনা করতে গেলেই
কিছুক্ষেত্রে পরিভাষা মানতেই হবে।
অভিধান দিয়ে অর্থ করে যদি হয়
আল্লাহর গুণ ক্ষুন্ন, তবে পরিভাষা
দিয়ে সেটা ঠিক রাখা কর্তব্য সবার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সাঁইত্রিশ)

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান

সর্বত্র আল্লাহ যদি না থাকেন তবে
সর্বত্র আল্লাহ থেকে বড় হয়ে যায়
আল্লাহ সর্বত্র এর পরেও আছেন
কারণ আল্লাহ বড় সকলের চেয়ে।
যখন ছিলনা স্থান তখন আল্লাহ
থেকেই থাকেন যদি তবে কেন স্থানে
আবদ্ধ হবেন তিনি? কাজেই স্থানেতে
অবস্থান নয় তাঁর, শুধু অধিষ্ঠান।

অভিধান আল্লাহর বন্ধিশালা নয়
তাঁর কাজ বুঝা হবে পরিভাষা দিয়ে
অভিধান হবে শুধু প্রয়োজনমত।
আল্লাহ শব্দের অর্থ অভিধানে নেই
অভিধানে তাঁকে বাঁধা অযোক্তিক কাজ
আল্লাহকে তাঁরমত বুঝে চলা ভালো।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আটত্রিশ)

আল্লাহর পুরস্কার

আমার লেখায় নেই সক্ষমতা কোন
আল্লাহ লেখান বলে টুকটাক লিখি
ইচ্ছে এই হাসরেতে তাঁর কাছে থাকা
তাঁর মন সন্তুষ্টির অনন্ত মায়ায়।
দয়াময় থেকে লাভ অনেক উত্তম
পুরস্কার নিজ জন্যে প্রত্যাশায় এর
মন শুধু সারাক্ষণ উড়াউড়ি করে
করতে প্রভুর কাজ যা পারি যখন।

কার কাজ কারো কাছে না লাগলে ভাল
কি আর করার থাকে সেক্ষেত্রে করার
নিজ নিজ কবরেতে সবে যাবে একা।
জান্নাত যে পথে আছে সেপথ খোঁজার
দায়িত্ব সবার আছে নিজের উপর
ভুল হলে খেসারত নিজে দিবে সবে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ঊনচল্লিশ)

আল্লাহর নামে কাব্য

আল্লাহ তোমার নামে কাব্য লিখে ভাবি
তুমি যদি টাকা দাও তোমার এ কাব্য
প্রকাশের জন্য আমি খাটতেই পারি;
নতুবা তোমার কাব্য প্রকাশ পাবেনা।
আর যদি টাকা তুমি না দাও তাহলে
তুমি ছাড়া কারো কাছে পাতবনা হাত
আমার লেখার কাজ শুধু লিখে রাখি
প্রকাশ কিভাবে হবে সে জানা তোমার।

তুমি না লেখালে আমি লিখতে পারিনা
তুমি না করালে আমি করতে পারিনা
বলেছ চেষ্টার কথা তা’করছি শুধু।
তুমি নাকি সব পার তবে তাই কর
অক্ষমের তুমি ছাড়া নিরুপায় সব
সাফল্য তোমার হাতে সে আমার জানা।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চল্লিশ)

প্রভুর ইঙ্গিত

একামনে লিখে যাই সনেটের রাশি
ভাসা ভাসা কথা পেয়ে মুখে আসে হাসি।
যে দেয় আমার মনে কথার যোগান
তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা মনে অফুরান।
যত গুণ যত জ্ঞান আল্লাহতে আছে
ছিঁটে ফোঁটা নেই এর অন্য কারো কাছে।
আল্লাহ পারেন সব যা চান যখন
সে জন্য তাঁকেই ভাবি বসে সারক্ষণ।

মানুষের দুঃখে প্রভু দেখেন কি করে
সইতে যে পারে তারে জড়ান আদরে।
জালিমের জন্য থাকে শাস্তির বরাদ্ধ
অসভ্য করেই চলে যে কাজ অশুদ্ধ।
জ্ঞানীগন বুঝে সব, প্রভুর ইঙ্গিত
সে জন্য তাদের মনে তাঁরই সঙ্গীত।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(একচল্লিশ)

জালিম ও মুমিন

একামনে ভাবি কত কান্ড ঘটে হেথা
যা দেখে মানুষদের ঘুরে যায় মাথা,
অত্যাচারী চিরকাল পেয়ে যায় পার
মজলুমের কাতরতা হয়ে যে অসার।
হতাশায় বলে কেউ আল্লাহ কি নেই?
আল্লাহ বলেন আমি থাকি গোপনেই।
প্রকাশ না হতে তিনি সাড়া শব্দহীন
সে জন্য জালিম বুঝে সে আছে স্বাধীন।

জালিমেরা খুশীমনে করে অপরাধ
মিটায় সকল আশা জীবনের সাধ,
মজলুমের দু’চোখে পানি থাকে অনিবার।
অবকাশ শেষহলে জালিম অসার
দেখবে সমুক্ষে তার কি মহা বিপদ,
মুমিন জান্নাতে পাবে অপার সম্পদ।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বিয়াল্লিশ)

সাধনা ও প্রার্থনা

সাধনার অনুকুলে আল্লাহ মিলান
সাফল্যের শেষহাসি নিরপেক্ষ ভাবে
এ ক্ষেত্রে সকল সৃষ্টি সমান বিবেচ্য
তাঁর ন্যায় বিচারের কার্যব্যবস্থায়।
আল্লাহর অনুগত জন প্রার্থনায়
চায় তাঁর অনুগ্রহ বিনীত মনেতে
কারণ তাদের জন্য পরকাল আছে,
সেজন্যই ইহকাল তাদের কঠিন।

প্রার্থনা মুমিন জন্যে প্রাপ্তির কারণ
ইহকালে হতে পারে সাধনার পর
অমুমিন জন্য এটি দরকার নেই।
অমুমিন জন্য প্রাপ্তি ইহকালে বেশী
সেজন্য তাদের আছে অগ্রাধীকারের
দায় হেথা যা কর্তন প্রার্থনার সাথে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তেতাল্লিশ)

ভাবনার ফল

ভাবনারা ডানা মেলে উড়ে আকাশের
তারাদের দেশে ভেসে দেখে নীলিমার
নীচে গভীর অরন্য বন বনান্তরে
তরুছায়া প্রাণীদের জড়ানো বিস্ময়।
তারা দেখে সৃষ্টি চারু কারুকাজ ঘেরা
আনন্দ দুঃখ বেদনা সুখ কষ্ট হাসি
অভিযোগ অনুযোগ প্রত্যাশা হতাশা
যেথা বিরাজিত অন্য অনুভুতি সব।

ভাবনার হিসেবেতে আল্লাহ আছেন
মহিমায় বিস্তারিত নিজ গুণাগুণে
দৃষ্টির আড়ালে থেকে বুদ্ধি পরীক্ষায়।
বুদ্ধিমান ভাবনার দৃষ্টি এড়ায়না
আড়ালে লুকিয়ে থাকা আল্লাহর দীপ্তি,
যাঁকে তারা বরে থাকে নিখাদ বিশ্বাসে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চুয়াল্লিশ)

চিরন্তন সত্য

জগৎ যে ভাবে আছে শৃঙ্খলা সাজানো
সর্বক্ষেত্রে কারুকাজে সুচারু সুন্দর,
তাতে এর সৃষ্টিকর্তা আছে বুঝাযায়,
একমাত্র নিজে নিজে হয়েছেন তিনি।
নিজে নিজে হতে পারে শুধু এক জন,
কারণ যে হবে নিজে সে হবে অসীম;
বাধা না থাকায় তার অসীমত্ত্বে কোন
সে সসীম হবেনা এ সুনিশ্চিত কথা।

সীমা দিতে অসীমের সীমানা পাওয়া
অসম্ভব বলে এটা সীমা দিয়ে করা
একাধীক কোন কালে হয়না সম্ভব।
নিজে নিজে একজন হলে বাকীদের
সৃষ্টিকর্তা সেইজন এ সহজ কথা
চিরন্তন সত্য কথা যা মানা উচিত।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পঁয়তাল্লিশ)

আল্লাহর অপার সন্তুষ্টি

আমি চাই আল্লাহর অপার সন্তুষ্টি
যাতে আছে অনুপম সম্পদ সমগ্র
ইচ্ছে তাঁর এনে দেয় অপার মঙ্গল
সাময়িক যদিওতা কষ্টকর হয়।
আমার কি প্রয়োজন আল্লাহ বুঝেন
আমি যদি বেশী বুঝি তবে ক্ষতি হবে
নিজের বুঝায় চাপে কষ্টকর বোঝা
তার চেয়ে আল্লাহর বুঝা বেশী ভাল।

আল্লাহর বুঝাতেই প্রাপ্যতা অনেক
তাঁর উপরেতে কারে স্থান দেয় কেউ?
এমন কর্মতো হলো মহা অবিচার।
আল্লাহর সম আর তাঁর থেকে বড়
কোথাও তো’ নেই কেহ আর কোন জন
তাঁর অপমান ফল কভু ভাল নয়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছিচল্লিশ)

আল্লাহর হিসেব

সামান্য সময় শুধু ইচ্ছে মত চলা
পরীক্ষা নিমিত্তে তাও না বুঝে বিপদ
ডেকে আনা আরো জন্য সমিচিন নয়,
অত্যাচারিত করুন সামান্য অপেক্ষা।
অত্যাচারী মনে করে কিছুই হবেনা
অপকর্মে তার সেতো পেয়ে যাবে পার,
অথচ সে অবকাশ শেষে পাবে সব
জুলুমের কড়াগন্ডা ফল পূর্ণরূপে।

জাহেলেরা বলে তারা বুঝে নাকি সব
অনুমান করে করে কি চমৎকার
খুশী মনে করে তারা যা’খুশী যখন।
আল্লাহর ধরা খেলে বুঝা যাবে শেষে
কতধানে কতচাল গনেদিতে হবে
হিসেবের বাইরেতে রইবেনা কিছু।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সাত চল্লিশ)

আল্লাহর শর্ত

শর্ত সাপেক্ষে আল্লাহ দেন সব কিছু,
প্রাপ্তির সে শর্ত জানা বাস্তবিক জ্ঞান
সে শর্তের ভুল জ্ঞান জাহিলিয়াতের
জ্ঞান বলে সর্ব ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে।
আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান আল ক্বোরআন
অভিধান পরিভাষা সাকুল্যে বিবেচ্য
কোন ক্ষেত্রে কোন অর্থ হবে নির্ধারণ
সে কথা যাচাই করে জেনে নিতে হবে।

যেথা হবে পরিভাষা সেথা তা’ নামানা
অভিধান নিয়ে শুধু টানাটানি করা
ক্বোরআনের অর্থের ভুল ব্যাখ্যা হয়।
ক্বোরআন হাদীসের প্রকৃত মর্মের
অনুসন্ধান করাটা সবার দায়িত্ব
সে শর্তে পাওয়া যাবে আল্লাহর পথ।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আট চল্লিশ)

আল্লাহর বিচার

জালিমের পূণ্যকরা অতি প্রয়োজন
মজলুমেরে প্রদানে প্রাপ্য বিনিময়ে,
মজলুমের পাপের ভাগ জালিমের
এসকল ভেদবুঝা বড় দরকার।
পৃথিবীতে ঘটেকত অনাচার কান্ড
কেউহাসে কেউ কাঁদে সকল সময়
এসবের একদিন হিসেব হবেই
আল্লাহর কথাসব প্রমাণীত সত্য।

চোখবুঁঝে বাস্তবের অস্বীকৃতিকারো
কাকদের অনুরূপ স্বভাব অযথা
অবকাশ শেষে সেটা হবে পরিস্কার।
জোর করে আল্লাহকে অস্বীকার করে
কেউ পার পাবেনাতো হাসরের দিন
সে দিন এসবে হবে কঠিন বিচার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(উনপঞ্চাশ)

পরকাল

ওহে মূঢ় খাও গুড় মজাকরে বেশ
কার গুড় খাও এর আছে কি হিসেব?
কবরে যখন খাবে মুগুর পিটনী
তখন কি হবে কিছু ভেবেছকি কোন?
ওরে শুন এ বেলাই শেষ বেলা নয়
পরকাল আছে বাকী ইহকাল পরে
নাস্তিক বৌদ্ধরা যেটা করেনা স্বীকার
যদিও তাদের কথা অসত্য এ ক্ষেত্রে।

পরকাল হবে এর হাজার প্রমাণ
না দেখে করলে ভুল কি করার আছে?
অহেতুক ধারণার কোন মূল্য নেই।
পাপি দল যতপার কোলাহল কর
একদিন থেমে যাবে এ আনন্দ সব
একদিন দেখবেই অনন্ত আঁধার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পঞ্চাশ)

তামাশা

তামাশায় ঝুটে যদি তামাশা তেমন
তখন বুঝবে এটা সইতে কি পার
তখন বুঝবে মুখে কি কইতে পার
হাসিগুলো বদলাবে কান্নার রূপে।
তামাশার বদলার দিন এলে পরে
বিপদের টের পেয়ে ভাববে কি করা
যাবে এ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে নিজে
কিন্তু তখন পাবেনা বাঁচার উপায়।

ওরে পাপি মাথামোটা ভারী কথা বলে
কোন পথে আনন্দেতে যাও তুমি চলে?
জাননা সে দিকে কত বিপদ তোমার।
এখনো সময় আছে ফিরবার জন্য
খুঁজে নাও কোন দিকে সুখের জান্নাত
তামাশায় নিজ পায়ে মেরোনা কুড়াল।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(একান্ন)

ভাগ্য নিয়ন্ত্রক

ভাগ্যের চাকা কখন ঘুরবে জানেন
আল্লাহ।যাঁর আয়ত্বে সমগ্র জগত
তিনি না ঘুরালে জানি কোন চাকা ঘুরা
অসম্ভব সে যে চাকা হোক, ঘুরবেনা।
ভাগ্যের চাকা থামেনা আল্লাহর ইচ্ছা
ব্যতিরেকে অন্য কার কূটিল জটিল
কোন ইচ্ছার কারণে সে ক্ষমতা কারো
নেই সে আমার জানা সর্বান্ত করণে।

ইবলিশ অহেতুক একটা মিশন
চালায় তার দলের লোকদের নিয়ে
আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা মেনে।
তাহলে বুঝুন ভাগ্য কোথায় আটকে
থেকে আপনাকে কোন ভুল পথে টেনে
নিয়ে যায় নিরবধি প্রতারীত করে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বায়ান্ন)

আল্লাহর ইচ্ছা

তাঁর ইচ্ছা ভিন্ন আমি করতে পারিনা
ভাল-মন্দ কোন কাজ বেলা অবেলায়
যদিও মন্দের দায় একান্ত আমার
ইচ্ছা প্রচেষ্টা কারণে, এ অবোধ্য নয়।
ভাল জন্যে ধন্যবাদ তাঁকে দেব একা
কারণ তাঁর অনিচ্ছা এক্ষেত্রে আমার
ইচ্ছা অসফল করে দিলে সেথা আমি
পরতাম না একলা কিছুই করতে।

ভাল-মন্দে দু’রকম কারণ মন্দেতে
আমার ইচ্ছায় হয় আল্লাহর ইচ্ছা
অথচ ভাল হয়না তাঁর ইচ্ছা ভিন্ন।
আমি অপারগ হই সুকাজে আল্লাহ
যদি না দেন ক্ষমতা সে ক্ষেত্রে কূকাজ
আমার ইচ্ছায় নিত্য ঘটা করে ঘটে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

বিঃদ্রঃ এ পোষ্টের সনেট সংখ্যা একশতে উপনিত করতে চাই। বাঁকী আল্লাহর ইচ্ছা।

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯

কবিন্দু বলেছেন: সনেট খুব সুন্দর হয়েছে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কবিন্দু।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১

সনেট কবি বলেছেন:




ক্বোরআনের বুঝ

সহজ করেছে প্রভু ক্বোরআনে জানি
হুকুম পালনে।আর যা সহজ নয়
তা’হুকুম নয়।তবে কেন জটিলেতে
বেউকুফ লেগে করে ঝগড়া বিবাদ?
যা বুঝিনা তা’ নিয়ে না ভেজাল করলে
ঘুম কি আসে না চোখে? নির্বোধ না হলে
এমন কি করে কোন বুদ্ধিমান লোক
যেথা হুকুম থাকতে একত্রে সবাই!

জটিলে বুঝিনা বলে এড়িয়ে গেলেই
বিবাদ এড়ানো যায়। অথচ তাতেই
না বুঝে মন্তব্য করে মতভেদ করে।
কুফুরি না হলে ছেড়ে মতভেদে তার
স্থানেতে তেমনি রেখে ঐক্য গড়া যায়
তা’বুঝার সময়তো তরিতে মঙ্গল।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এত গুণ ওহে গুণী বর্ণনা অসাধ্য
ভাষা জ্ঞানে।ভাবনায় মাথাধরে আসে,
নাহিপেরে দিতেস্থান এ চিন্তা মস্তকে।
সে কারণে কতজন জ্ঞানশূণ্য হয়ে
তোমাতে হারায় নিত্য বিসর্জনে নিজ
অনুভুতি।সেথা শুধু থাক তুমি প্রিয়।

দারুন ++++++

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

সনেট কবি বলেছেন:




কবি সেলিমের ‘খোল তোমার ভালবাসার
জানালা’ কবিতায় সনেট মন্তব্য-

ভালবাসার জানালা ওপাশে দাঁড়িয়ে
ভরপুর প্রেম সিক্ত কবির অপেক্ষা
প্রিয়ার বিলম্বে ক্লান্ত মনে অনুযোগ
জানালা খোলায় বাড়ে তাগাদা অনেক।
অতীত স্মৃতির কণা ছন্দ হয়ে ঝরে
যেন ফুলেরা ঝরছে অনবরত সে
কবিমন দূর্বাঘাসে শিশিরের ভেজা
ভোরের আবছা আলো আধাঁরের মাঝে।

অবশেষে খুলে যায় প্রিয়ার জানালা
ফুরফুরে হাওয়ার সাথে কবি দৃষ্টি
পড়ে প্রিয়ার মুখের চন্দ্রিমা উদ্যানে।
শায়মার আঁকা ছবি প্রিয়ার মুখের
অনুরূপ ভাবে কবি। অনুপমা তবে,
কবি মনে বহে প্রীতি সুখ স্রোত ধারা।

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। সেই সাথে আপনার কবিতায় করা মন্তব্য এখানে রেখে দিলাম।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

সনেট কবি বলেছেন:




কবি সেলিম আনোয়ারের পুত্র সালমানের শুভ জন্মে-

কবির দু’নয়নের মনি সালমান
শুক্রবার শেষরাতে শুভ জনমের
শুভক্ষণ, আনন্দের উপলক্ষ্য বড়,
কবি তাই আল্লাহতে সেজদা আনত।
আল্লাহর দরবারে এ কামনা করি,
কবি পুত্র হবে খঁটি জ্ঞানবান তার
প্রতিভা উজ্জ্বল্যে ভরে জগৎ আলোয়,
জ্ঞানলয়ে বিচরণে হবে সে বরেণ্য।

আপনার খুশিতেই আমাদের খুশি
হে সেলিম আনোয়ার মহোদয় কবি
সালাম জানাই প্রিয় পিতৃত্বের জন্য।
সালমান গুণী হয়ে সে আলো ছড়ায়ে
জগতে করবে ধন্য। আল্লাহ মহান
তার তরে দয়া যেন করে অফুরান।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মহান আল্লাহ পাকের গুন-গান সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে সনেটে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

সনেট কবি বলেছেন:




কবি মোঃ মাইদুল সরকারের ‘সনেট কবি’ পোষ্টে মন্তব্য-

কবির তল্লাটে এসে অভিভূত আমি
আমাকেই নিয়ে তাঁর কি চমৎকার
কাব্য ছন্দ দোলা দেয় পাঠক হৃদয়ে
তাঁদের মন্তব্যে সেটি অনুভুত হয়।
এ সৌজন্যে প্রিয় কবি হে ‘মোঃ মাইদুল
সরকার’ বলেন কি দেব খাজনায়?
আনন্দের বাজনায় দিগন্ত দূরত্ব
হতে শুনি যেন কোন সুমধুর গান।

জেগে থাকা অন্তরের স্মৃতির মিনার
যেথা এক সুরক্ষিত স্থানে লেখি এক
নতুন কবির নাম প্রীতি স্বর্ণাক্ষরে।
‘মাইদুল সরকার’ কারা যেন তোলে
হৃদয়ের তারে তারে মোহনীয় সুর;
সত্যি আনন্দীত আমি এপদ্য সুছন্দে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি। আর মুগ্ধ হলাম আপনার চলমান পোষ্টে। দুঃখিত পোষ্টটি দেরিতে দেখার জন্য । আপনার অনেক মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করছি। আল্লাহ তাঁর দয়াদানে আপনার জীবন ভরে তুলুন সেই কামনা থাকল।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

সনেট কবি বলেছেন:





কবি মাইদুল সরকারের সনেট কবি পোষ্টে সনেট মন্তব্য -২

সনেটের উঠোনেতে বসে তারা গুনি
এখনো দারেতে দেখি তালা ঝুলে আছে
ভেঙ্গে ফেলব সে তালা? অপেক্ষায় আছি
কি দোষ করতে আশা প্রাপ্তির নেশায়?
সরকার সাহেবের সৌজন্য দারুণ
উপভোগ্য হয়েছে এ বলতেই পারি
সেই সাথে মন্তব্যের কথন চমক
লেগেছে অনেক ভাল, শুভেচ্ছা সেজন্য।

দু’দিনের পান্থশালা মুছাফির দল
আত্মিয়তা বন্ধনেতে থাকলেই ভাল
তথাপি মিলবে কিছু শান্তির পরশ।
তারার মেলায় এসে তারার আলোয়
লাগছে অনেক ভাল। এখন সময়
পায়ে পায়ে একসাথে সবে পথ চলা ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩০

সনেট কবি বলেছেন:




কবি মাইদুল সরকারের ‘প্রেমিক নজরুল’ কবিতায় মন্তব্য-

প্রেমিক নজরুল যে আমাদের কবি
যার প্রেম মহিমায় আজ আমাদের
সাহিত্যাঙ্গন ঐশ্বয্যে ভরপুর হয়ে
আমাদেরকে করেছে চির আনন্দীত।
মাইদুল সরকার আপনি কবির
স্মরণে লিখে কবিতা করেছেন এক
দারুন মহৎকাজ। ধন্যবাদ কবি
অগন্য এ আপনার কবি বন্দনায়।

নজরুল ঋণভারে ভারাক্রান্ত হয়ে
আমরা মাগফিরাত কামনায় তাঁর
বিদেহী আত্মার, সবে জানাই মিনতি।
হে রাহিম রাহমান কবিকে করেন
ক্ষমা। তাঁর যেন হয় জান্নাত নসিব,
হে মেহেরবান দোয়া কবুল করুন।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

রাকিব মুন্না বলেছেন: দারুন ++

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২০

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: Sonnet

The sonnet was created by Giacomo da Lentini, head of the Sicilian School under Emperor Frederick II.[1] Guittone d'Arezzo rediscovered it and brought it to Tuscany where he adapted it to his language when he founded the Siculo-Tuscan School, or Guittonian school of poetry (1235–1294). He wrote almost 250 sonnets.[2] Other Italian poets of the time, including Dante Alighieri (1265–1321) and Guido Cavalcanti (c. 1250–1300), wrote sonnets, but the most famous early sonneteer was Petrarca (known in English as Petrarch). Other fine examples were written by Michelangelo.

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

সনেট কবি বলেছেন:




পলাশ মিয়া

জনাব পলাশ মিয়া নামে ‘মোহাম্মদ
আব্দুল হাক’ সাহিত্যে ইন্দু প্রভাকর
রূপে করে বিতরণ কথামৃত কত
যার তুলনা বিরল সাধনা শোভায়।
যদিও সাধনা শোভা দু’বান্ধবী হয়,
ইন্দু’র প্রেমিকা যারা কাড়াকাড়ি করে
ইন্দু পেতে জীবনেতে, আমি কিন্তু সেটি
বুঝাইনি কখনই উপর বক্তব্যে।

দুলাভাই মনে হয় চোখের দেখায়,
রসিকতা গুণে ভরে মুগ্ধতায় মন
চমৎকার ব্যক্তিত্ব সামুর ব্লগেতে।
অনেকের নানা তিনি, না করেনা নানা,
নাতিপুতি নিয়ে থাকে গল্পে মশগুল,
আরে না না ভুল নয়, নেই ভুল এতে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

সনেট কবি বলেছেন: তাহলে দেখছি আমার এখনো বিশ্ব রেকর্ড ভাঙ্গা হয়নি। তবে আশাকরি সিগ্র ভাংতে পারব। দোয়া করবেন। আপনাকে নিয়ে একটা সনেট লিখলাম। আরো লিখব ভাবছি। আপাতত এটি কেমন হলো বলেন তবে খুব খুশী হব।

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সবকয়টা সনেট অনেক ভাল লাগল। রবের প্রিয়ার যার দিলে আছে সে তার রবকে ভুলে কি করে! সত্যি আপনি আল্লাহর নেক বান্দা।যাযা কাল্লাহ খায়রান।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

সনেট কবি বলেছেন:




কবি মাহমুদুর রহমান সুজন

স্বজনতো মনে করি হে ‘মাহমুদুর
রহমান সুজন’ হে অনবদ্য কবি;
তবে কেন দূরে থেকে যাতনা বাড়ান?
অভিমান আছে নাকি মন কোণে জমে?
হয়ত কথায় কোন কষ্ট পেয়েছেন,
নয়তো মতের মিল হয়নি কোথাও,
নতুবা কি কারনেতে এড়িয়ে চলেন?
জানিনা কি সত্য এতে লুকায়িত আছে!

এদিক ওদিক ঘুরে দেখি প্রিয় কবি
কতজনে কতকথা অকৃপন মনে
বিলিয়ে তাদের করে মঙ্গল সাধন।
আমাদের মঙ্গল কি পরিপূর্ণ হয়ে
উপচায়? তবে কেন আমরা বঞ্চিত?
আমরাও চাই কবি আপনার বাণী।


৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:০২

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন:






আজব মেকার



মাটির এক পুতুল দেখিতে সুন্দর,
কোন থিওরি প্রয়োগে গড়িল কুমোর।
কোন দেশে কারখানা কোথায় ফ্যাক্টরি?
কোথায় বসতি তার করে কারিগরি?
পুতুল সৃজনে দেয়া দক্ষ হাতে চাবি,
নাচে গানে ফুর্তি করে মিস্ত্রির কি দাবী?
নিরাকারে বসে বসে আজব মেকার,
পুতুলের খেলা দেখে কি চমৎকার।


সন্ধান করে পুতুল দেখিবে মেকার,
খুজে শুধু দেহ মাঝে কে ইঞ্জিনিয়ার।
পৃথিবীতে পুতুলের ব্যথিত জীবন,
বন্ধ হলে চাবি দিবে কে আছে সে জন?
জগতে সেই পুতুল চলে কতক্ষণ,
আজব মেকার নিজে করে নির্ধারণ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

সনেট কবি বলেছেন:




তোফায়েল আহমেদ টুটুল হে কবি
সনেট হয়েছে বেশ মনমুগ্ধকর।
শুরু থেকে শেষ তক ছন্দের ঝঙ্গার
অনবদ্য ছিল এর প্রত্যেক বাঁকেতে।
বঙ্গীয় সাহিত্যে এক কবির উদ্ভব
জানান দিচ্ছে সে তার কাব্যিক সুন্দর্যে।
আদ্যপান্ত পড়ে আমি বিমোহীত হয়ে
কাব্য দোলায় দোদোল দুলছি নিরত।

লয়ে ভাব কবিতার রেখে তাল ঠিক
এভাবে লিখলেে উঠে আকাশ চুড়ায়
একদিন উড়াবেন বিজয় কেতন।
হে কবি চলুক তবে আনন্দ ধারায়
নতুন সনেট সব প্রাণবন্ত রূপে
কবিতা জীবন্ত হোক সনেট প্রবাহে।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাইজান, আপনি ঠিক দিশায় আছেন, চলতে থাকলে গন্তব্যে পৌঁছবেন।

(ইংলিসে লিখতে হবে)

On His Blindness by Milton, gives a sense of the Petrarchan rhyme scheme:

When I consider how my light is spent (a)
Ere half my days, in this dark world and wide, (b)
And that one talent which is death to hide, (b)
Lodged with me useless, though my soul more bent (a)
To serve therewith my Maker, and present (a)
My true account, lest he returning chide; (b)
"Doth God exact day-labour, light denied?" (b)
I fondly ask; but Patience to prevent (a)
That murmur, soon replies, "God doth not need (c)
Either man's work or his own gifts; who best (d)
Bear his mild yoke, they serve him best. His state (e)
Is Kingly. Thousands at his bidding speed (c)
And post o'er land and ocean without rest; (d)
They also serve who only stand and wait." (e)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

সনেট কবি বলেছেন:




সাহিত্যিক মোহাম্মদ আব্দুলহাক।

সাহিত্যিক মোহাম্মদ আব্দুলহাক হে
সাহিত্য রবির প্রভা বিকিরণ করে
আমাজনে ছড়ালেন বিস্তর আলোক,
মুগ্ধতায় ভরে তায় মনপ্রাণ হৃদি।
কথা ফুল দল খুঁজে কুঞ্জ ও কাননে
মায়া তরু বিথি দেখে সে ছায়ায় বসে
আকাশের তারাদের মিটি মিটি আলো
দেখে ভাল গড়ে যান সাহিত্য সম্ভার।

আমারা সেথায় পাই, পঁই পঁই খুঁজে
এযে এক সমুদ্দুর বিস্তৃত জ্ঞানের
আহা কিযে মনোহর মানব কথন।
বাস্তব সাহিত্যে এসে গড়াগড়ি খায়
জীবন্ত চরিত্র গুলো নড়ে চড়ে যেন
মনে হয় আমরাও রয়েছি সেথায়।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

সনেট কবি বলেছেন:



ইংলিশে লিখতে আরো সাধনা লাগবে। তা’ছাড়া মধুসোধন তো ইংলিশে লেখা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন।

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সনেট ভাইয়া নতুন কবিতা লিখেছি !! পোষ্ট দিয়েছি, দেখুন গিয়ে কেমন হয়েছে !! আপনি আমার কবিতা না পড়লে ; মনে হয় কবিতার কোন ব্যখ্যা পেলাম না।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সনেট কবি বলেছেন:



কবি শাহরিয়ার কবিরের ‘স্পর্শহীন ভালোবাসা’ কবিতায় মন্তব্য-

ভালোবাসা থেকে ভালো, ভালো বাসা। আর
ভালোলাগা থাকে সব ভালো বাসায় কি
নিদারুণ ভাবে। তাই ওরকম বাসা
ভাঁড়ায় একটু বেশী; গুণের কারণে।
দাম্পত্যে আমরা খুঁজি ভালোবাসা আর
বেকার যুবক খোঁজে বৃথা ভালোবাসা,
তাদের অযথা কষ্ট, অন্ধকার আনে
জীবন জুড়ে অযথা, নেড়া-নেড়ী প্রেমে।

তথাপি কবির মন হয় তার বলি,
বলি হে কবি কবীর, কচুগাছে দিতে
গলায় দড়ি কি ইচ্ছে? তবেত থামুন।
ভালোবাসা ভাল নয়, অহেতুক প্রেম
ছেড়ে দিয়ে, মনকরে মোহমুক্ত চলে
সাধারণের মতন, শান্তিতে থাকুন।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: প্রিয় কবি আপনার কবিতা পড়েছি। আপনাকে নছিহত করে একটা মন্তব্যও করেছি। আসা করি কিছু মনে করবেন না। আর সে মন্তব্য এখানে সংরক্ষণ করলাম।

১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কবিসাহেব, আপনি বিজ্ঞ এবং পাকাপোক্ত তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আপনার সফলতা কামনা করি।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সনেট কবি বলেছেন:





কবি মোহাম্মদ আব্দুলহাকের শব্দের খেলা

পড়ে মুগ্ধ হয়েছি এ নির্দিধায় বলি
চমৎকার শব্দের মনোরম খেলা
এতে ক’টা প্লাস দিলে কুলোবে ভাবছি
তবে ধরবে কি সেটা ব্লগের পাতায়?
দারুন এ খেলেছেন, জনাব দারুণ
হেথায় শব্দরা যেন নৃত্য করে নানা
অঙ্গঢঙ্গে রূপরঙ্গে কবিতার কোণে
প্রত্যেক তল্লাটে আছে মধুর ব্যাঞ্জনা।

শব্দকে কেমন করে জব্দকরে দিয়ে
বশ্যতা স্বীকার জন্যে বাধ্যকরা হয়
সে চিত্র এখানে আছে নিদারুণ ভাবে।
ইঁদুর বিড়াল খেলা দেখেছি সেকালে
ছেড়েদিয়ে খপকরে ধরেফেলে ফের
এখানে তেমন খেলা কি চমৎকার!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: আপনার কবিতা পড়ে দারুণ ভাল লাগল তাই একটা সনেট মন্তব্য লিখেই ফেল্লাম। আর সেটি এখানে সংরক্ষণ করলাম। সে সাথে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: উপরে আমি একটা ইংলিস কবিতা দিয়েছি, তা একটু খেয়াল করলে অনেক বিষয় খোলাসা হবে।


(আমি সর্বমোট ৫ ইংলিস উপন্যাস লিখেছি, একটা আমাজনে আছে)

লিখতে পারলে কোনো সমস্যা নেই। মাইকেল ইংলিস হতে চেয়েছিলেন।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

সনেট কবি বলেছেন:



কবি মোহাম্মদ আব্দুলহাক

মুগ্ধতায় মোহাম্মদ আব্দুলহাক হে
বরণীয় প্রিয় কবি বলবনা কিছু।
আপনারা কবিতারা মানবী সুন্দর
যেন রূপসী অনন্যা চোখ টিপ মারে।
কবিতার হেথা হোথা লুকিয়ে আবার
কবিতা সুন্দরী ফের, ফিরে ফিরে আসে
তার মৃদু হাসি যেন চন্দ্রিমা সুন্দর
আর অট্টহাসি যেন সাগরের ঢেউ।

হে কবি অজ্ঞান হয়ে ফিরে পেয়ে জ্ঞান
বার বার কত পড়ি কবিতার প্রেমে
পড়ে আপনার সব অতুল্য কবিতা।
কবিতা ও কবিতায় নিদারুন মিল
উভয় সন্দুরী যেন একাকার হয়ে
বিরাজে হে আপনার সব কবিতায়।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

সনেট কবি বলেছেন: আপনার প্রতিভায় আল্লাহ আরো মেহেরবানি ছড়িয়ে দিন। আর আপনার উপদেশ মনে রাখব-ইনশাআল্লাহ।

১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ লিখা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

কৃতজ্ঞতা।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০২

সনেট কবি বলেছেন:





শিল্পের প্রেম
(সৌজন্যে কবি মোহাম্মাদ আব্দুলহাক)

এমন সুন্দর সৃষ্টি তোমার হে প্রিয়
মহিয়ান গরিয়ান মেহেরবান এ
মহাজগতের প্রভু। তোমার সৃষ্টির
প্রেমেতে আকুল নর নিতান্ত বেঁহুস।
প্রেমাস্পদ তরে তার ব্যকুলতা তারে
নিয়ে যায় অগচরে কোন ঠিকানায়
নিজেরে হারায়ে তাতে, পায়না উদ্দিশ
কোথায় সে আছে, এমনি তন্ময়।

তখন তোমার মনে কি ভাব জন্মায়
যখন নিজ শিল্পের আকুলতায় এ
পাগল পারা মানুষ দেখ নয়নেতে?
তারা মাতোয়ারা হয় শিল্পের নেশায়,
সেথায় অনুপস্থিত শিল্পির ভাবনা,
হে আল্লাহ কি অবোধ মানুষেরা হয়!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫০

সনেট কবি বলেছেন:






সাহিত্যিক মোহাম্মাদ আব্দুলহাকের উদাস মাঝি গল্পে মন্তব্য-

ফুটানি বাবুর থেকে উদাস মাঝির
রূপান্তর। ফাঁকিবাজ বেগরে মাঝির
ফাঁকে পড়ে গড়াগড়ি, চাল সব যায়
চুলায়, মাঝি কথনে ফাঁকিবাজ ক্লান্ত।
উদাস মাঝির স্বরে বৈঠা প্রদানের
আগ্রহে ফাঁকিবাজের গাঙ পেরুবার
আগ্রহ হারিয়ে যায়, বিপদের আঁচ
টেরপেয়ে ফাঁকিবাজ রনে ভঙ্গ দেয়।

ফুটানি বাবুর তবে গাঁয়ে অভিজ্ঞতা
মন্দ হয়নি। পাটনি পিটটান দিয়ে
তার অভিজ্ঞতা ঋগ্ধ করেছে এযাত্রা।
চিম চাম গল্প ফাঁদে পাঠক কিছুটা
দিশেহারা হয়ে কষ্টে দিশা খুঁজে পেয়ে
অবশেষে ফিরে যায় নিজ গৃহ পানে।

১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সনেট ভাইয়া আমার পোষ্টে জাহিদ অনিক একটা প্রশ্ন করেছে; আমার কবিতা একটু গবেষণা করুন আর দেখুন তার প্রশ্নটা কতটুকু যৌক্তিক ও অযৌক্তিক !!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: প্রিয় কবি জাহিদ অনিকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন পাশ না ফেল সেটা আপনি ভাল বলতে পারবেন। আর মন্তব্যটা এখানে রেখে দিলাম।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৬

সনেট কবি বলেছেন:




কবি শাহরিয়ার কবিরের ‘স্পর্শহীন ভালোবাসা’
কবিতায় জাহিদ অনিকের প্রশ্নের উত্তর-

প্রেমিকার স্পর্শহীন উপস্থিতি বলে
প্রেমিকও স্পর্শহীন আত্মার জগতে
শতবর্ষ পরে সেথা অভিমানী প্রেম
প্রেমিকায় করে পেশ অনুযোগ তার।
স্পর্শের সুযোগ সেথা নেই বলে দগ্ধ
ব্যাথার বন্যায় ভাসে প্রেমিক হৃদয়।
প্রেমিকাও ব্যাথার এ যুগ্ম উপস্থিতি
কবি তুলেছেন তাঁর কাব্যের ভিতর।

কবিগুণে পাঠকের হতভম্ব মন
সত্যিই এ বিস্ময়ের দারুণ ব্যাপার
আধ্যাত্মিক রসবোধ এখানে বিস্তর।
জাহিদ অনিক তার মন্তব্যে ভীষণ
গভীর বিষয় ধরে তুলে এনেছেন,
হে কবি আপনার এ স্বার্থক কবিতা।

১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভালোবাসা আর ভালোলাগা কী এক?
এ দু'য়ের মাঝে তফাৎ কী!


এটা একটা সবজনীয় সাধারণ প্রশ্ন !!

এক ললনার অসীম ছলনায় এ হৃদয়ের চারপাশ জুড়ে
রক্ত জমাট বাঁধার মত বেঁধে আছে কিছু নীলকষ্ট।
কী এক জ্বলনে জ্বলছি, কী যেন এক ব্যথার অনলে

এর পিছনে মেয়ে দায়ী করা হয়েছে !!

আমি আবেগের পরাজয়ে পরাজিত;
তবে কী আমার সংজ্ঞা সংজ্ঞায়িত হবে ব্যর্থতায়?

এখানে কবি নিজে দায়ী করেছে !

আজও কী এর উত্তর খুজে পেয়েছে কোন কবি?
তবে কেন রঙহীন ভালোবাসার হাহাকারে
কবিদের ঘুম হয় বুকের ব্যথায়।
তবে কেন কবিদের মনে এতো হাহাকার
এই নিরুউত্তরে উত্তর;


মোটামুটি যারা প্রেমের কবিতা লেখেন, তাদের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে !!
কোথায় গেলে কীভাবে মিলবে?
ভালোবেসে যে ব্যথা পেয়েছে সে,
তবে কী ব্যথার অপর নামই ভালোবাসা।


যত মুধুর প্রেম হোক না কেন ,তাতে মান অভিমান থাকে !!!



তোমাকে আর ভালোবাসতে চাইনা।
ধূসর মলিন ধূলি কনায় আমার এ পথ চলায়,
কোথায় কিসে আমি বন্দী?

এখানে দুটি প্রশ্ন আছে ........

এই প্রশ্নটা আমায় বারে বারে কুড়ে কুড়ে খায়।
ওহে হৃদয়হীনা তুমি কি একবারও-
নিজেকে নিজে কখনো প্রশ্ন করে দেখেছ?
তোমার অস্তিত্ব আসলে কিসে?


শুরুতে ছলনাময়ী দিয়ে শুরু করেছি ; এখানে কোন অস্তিত্ব পাঠক বুঝবে ?
তুমি যদি আসবেই আমার জীবনে,
তবে কেন এতো শত বছর পরে!
স্পর্শহীন ভালেবাসায়
তুমি আসলে কেন তবে!


আমার অতীতের অনেক কবিতা শতাব্দীয় ব্যবধান আছে !! অতীতে প্রেম ছিল আবার সে ফিরে এসছিল........

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৩

সনেট কবি বলেছেন: এবার মাথা আমারটাও ঘুরছে।

১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

প্রামানিক বলেছেন: সনেট অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

সনেট কবি বলেছেন:




কবি শহীদূল ইসলাম প্রামানিকের ‘অথৈ জলে জলের অভাব’ পোষ্টে সনেট মন্তব্য-

ঘরের চালেতে বসে জীবন কাব্যের
বিরহ পাতার পাঠে ধূসর নয়ন
দেখে জল চারদিকে দিগন্ত বিস্তৃত
উপর আকাশে শুধু হতাশা বিরাজে।
এখানে জীবন থেমে হয়েছে অচল
খাবার পানীয় নেই বাঁচাতে জীবন
সাহায্য আশায় থেকে কাটাতে সময়
কত আর ভাল লাগে বানের তান্ডবে?

সরকার আরো নিবে দায়িত্ব পালনে
কার্যকর পদক্ষেপ। নতুবা চেতনা
বানের জলেতে সব ধুয়ে যাবে শেষে।
বিপদে থাকতে পাশে মানুষের দায়
ঢের আছে অন্যসব মানুষের তরে
অসময়ে বন্ধুত্বের পরিচয় মিলে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কবি। সেই সাথে আপনার পোষ্টে করা মন্তব্য এখানে রেখে দিলাম।

১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার আইডি কি "সেইফ" স্টাটাস পেলো না?

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

সনেট কবি বলেছেন:





চাঁদ গাজীর গল্প

সুন্দর চরিত্র গল্পে, জীবন বোধের
চিত্রায়নে মানুষের আশা হতাশার
আবেগ আকুল চিন্তা বিহবলতার
বিবরণ, চাঁদগাজী সাজান যতনে।
তাঁর বিপ্লবীর ভাষা সাহিত্য রসের
সাথে মিলেমিশে যেন একাকার হয়ে
গতিসঞ্চারে, সর্বত্র অতপর সেথা গড়ে
সুরম্য সুন্দর এক সাহিত্য মহল।

গাজীর গল্পে জমানো অনেক মুগ্ধতা,
অবিরল বয়েচলা পর্বত শিখর
হতে নেমে আশা কোন নদীর মতন।
সেথায় সম্পদ আছে আহরণে, নিত্য
দূর যাত্রার গন্তব্যে মমতায় ভরা
দিক নির্দেশনা, সব সুদূর পথের।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:২৯

সনেট কবি বলেছেন: মডুর এখনো এদিকে নজর পড়েনি।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

সনেট কবি বলেছেন:




চাঁদ গাজী

একদা একটা চাঁদ পেলাম, দিগন্তে
রাতের জোছনা ভরা তারার আকাশে
হাজার তারার সাথে রূপালী আলোয়
ভরেদেয় পৃথিবীর অঙ্গ সুষমায়।
আকাশে মাটির চাঁদ দেখেছি? তবেকি
আকাশ মানবতার? হয়ত তেমন,
আমার সে চাঁদ থাকে মানব চিন্তায়;
দরিদ্রের চাঁদগাজী, সে চাঁদ এ চাঁদ।

যে মানুষেরা থাকেন দৃষ্টির আড়ালে,
তাদের দেখায় চাঁদ মমতার দীপ্তি
ছড়িয়ে নিরন্ত তাঁর কথা চিত্রায়নে।
অবহেলিতদের এ বান্ধবের জন্য
আমার সালাম থাকে অন্তরের মনি
কোঠার তাকে সাজানো, থাকুন সেথায়।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

সনেট কবি বলেছেন: জানিনা আমার দিকে কখন মডুর নজর পড়বে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১১

সনেট কবি বলেছেন:




সকল পদ্যের শুরুতে চাঁদ (চাঁদগাজী)

চাঁদকে চাঁদ বলায় অথবা চাঁদকে
চাঁদ না বলায় চাঁদ করেনা চাঁদের
চাঁদমুখ চাঁদহারা গোমরা অথবা
চাঁদমুখ অতিরিক্ত আনন্দ উজ্জ্বল।
চাঁদ গ্রহের সঙ্গেই থেকে সখ্যতায়
চাঁদমুখ রাখে সদা চাঁদ মুখ,সেতো
চাঁদ চাঁদ রব করে জিগির তোলেনা;
চাঁদমুখে থাকে তার বিনয় স্নিগ্ধতা।

চাঁদ যেটি আমাদের সে চাঁদ উল্টায়
চাঁদ থেকে সূর্য হয় প্রখর আলোয়,
চাঁদের জন্য এমন শোভাকর নয়।
চাঁদগাজী চাঁদ নামে আছেন যখন
চাঁদের মতন চাই চন্দ্রিমা তখন
চাঁদগাজী প্রখরতা ছেড়ে দিন তবে!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

সনেট কবি বলেছেন:





চাঁদগাজী উন্মাদনা

চাঁদের সাথে মিতালী স্নিগ্ধতা আশায়
সেথা প্রখর তেজের কামনা থাকেনা
কখনো মনের কোণে।সে কথা বুঝেনা
মাননীয় চাঁদগাজী অনেক সময়।
খোঁছালে বেলুন ফাটে, সুমিষ্ট রসেতে
কখনো কলস ভরে, মজার পায়েস
সে রসে হয়, সে জন্য কি খোঁচাই সেটা
জেনেই খোঁচাতে হয়, বুঝুন হে গাজী।

ফাটাতে বেলুন তাঁর খোঁচানো অভ্যাস
সেজন্য বেলুন পেলে জ্ঞান হারা হয়ে
অমনি খুঁচনি দিয়ে খোঁচাতেই থাকে।
ওদিকে বেলুন ফুটে ঠুস ঠাস ঠুস
চাঁদগাজী সে আনন্দে আত্মহারা হয়;
আমরা তখন এক উন্মাদনা দেখি।

১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: সনেটের তুলনা হয় না।

সৃ্ষ্টি ও স্রষ্টাকে নিয়ে কত সুন্দর সনেট।
প্রীয় কবি, আপনার উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করি।


২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সনেট কবি বলেছেন:






তারেক ফাহিমের ‘সময়মত নোটিফিকেশন পরিশোধ করুন’ পোষ্টে মন্তব্য-

সামুব্লগে ব্লগারের অকুলান নেই
কোনভাবে। রোজ রোজ আয়তন বেড়ে
ব্লগরাজ্য সাম্রাজ্যের রূপ নিচ্ছে দেখে
দিশেহারা মডুদল উল্লাসে অস্থির।
ভুল নোটিফিকেশন, এ আর এমন
দোষের কি দেখলেন? পর্যবেক্ষণের
তিন দিন এখন যে কয়মাসে হয়
তা’বুঝার সাধ্য আর এখন যে নেই।

আপনার লেখবার সুযোগ কি কম?
ভাগ্যিস চাচ্ছেনা তারা টাকা কড়ি কোন
বিনে পয়সায় পান লেখার সৌভাগ্য।
কেউ পড়ুক অথবা না পড়ুক কেউ
নিজের লেখা নিজেই পড়তে পারেন
এতেই সবার যেন প্রাণ ঠান্ডা হয়।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

সনেট কবি বলেছেন:




তারেক ফাহিমের ‘ও... মন মনা’পোষ্টে মন্তব্য-

একজন পরিস্কারে ধুলাবালি খোঁজে
মুছে ফেলার নিমিত্তে, অন্যজন সেটি
মোছেনা পড়েথাকা সে ধুলাবালি তার
প্রকৃতির পাটি হতে এখানে পার্থক্য।
পরিস্কারের ছুতোয় প্রকৃতিও মুছে
যা মিলে তাতে নিখাদ প্রকৃতি থাকেনা
মন তা না বুঝে করে অকারণ কাজ
কাজেই মোছায় চাই সঠিক বিচার।

আমাদের মন করে বিচরন তার
ভুলের ঘোরেতে পড়ে বৃথা স্বপ্ন দেশে
রাঙ্গাভেসে খোঁজে কোন মনচারিনীর।
তারচে প্রকৃতি রাজ্যে প্রকৃত প্রেমের
আরাধ্য খোঁজাই ভাল, ক’জন তা’বুঝে?
এভাবে অবুঝ হারে ভুল পদক্ষেপে।

১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: সময় সুযোগ হলে মন্তব্যকারীর প্রোফাইলে সুদৃষ্টি কামনা করছি।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৭

সনেট কবি বলেছেন:





তারেক ফাহিমের ‘আমরা যার যার অবস্থান থেকে কোন না কোনভাবেই প্রতারিত হচ্ছি’ পোষ্টে মন্তব্য-

আল্লাহকে ফাঁকি দেয়া অসম্ভব সেটি
হয়তবা ঠকবাজ বুঝেনা তেমন
সে হয়ত মনে করে বিশাল সাম্রাজ্যে
কতআর দেখবেন আল্লাহ মহান?
যে দিন সে দেখবে সে কত বড় ভুলে
ডুবে ছিল এতকাল তখন যে তার
কি অবস্থা হবে সেটি বর্ণনা অসাধ্য
তখন পাবেনা সেতো ফিরবার পথ।

মানুষ যখন বুঝে আল্লাহ কেমন,
তখন মনেতে তার ভয় এসে বানে
হৃদয় কম্পনে খোঁজে আল্লাহর পথ।
আল্লাহকে না চিনে কি ভয় কেউ পায়?
বাঁচতে বিপদ হতে তাঁকে চিনে নিয়ে
চল্লে সুপথে তবেই মিলবে কল্যাণ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫১

সনেট কবি বলেছেন:





তারেক ফাহিমের‘পরামর্শ চাই’ পোষ্টে মন্তব্য-

ইয়া হাফিজু ঘুমের আগে তিন বার
পড়ে তিন ফু দিবেন বুকে হয়তবা
তাতে সমস্যার ঠিক সমাধান হবে
এতে পেয়েছেন ফল শুনেছি অনেকে।
আমি অবশ্য পেয়েছি এ আমল স্বপ্নে;
আমিও পেয়েছি এতে উপকার বেশ
অন্যরা আমার থেকে আমল গ্রহণে
উপকৃত হয়েছেন জানালেন তাঁরা।

লাভের বিশ্বাস থাকা জরুরী আমলে
নতুবা আমল থাকে বেকার সর্বদা
আল্লাহ পারেন সব, এটা সে বিশ্বাস।
বোবার কি সাধ্য আছে ধরবে লোকেরে
বোবার বিরুদ্ধে যদি আল্লাহ থাকেন?
আল্লাহ থাকলে সাথে হবেই মঙ্গল।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২২

সনেট কবি বলেছেন:






তারেক ফাহিমের‘সত্যি হলেও প্যাক’ পোষ্টে মন্তব্য-

সত্যিকার ভালবাসা মেকির ভিড়েতে
এখন যায়না চেনা জটিল সময়ে
মেকিতে সত্যও যেন মেকি মনে হয়
সে জন্য এখন সত্যে ঝুঁকি প্রয়োজন!
‘নো রিক্স নো গেইন’ এ সূত্রটি এখন
ভালবাসা চিনতেও হয় প্রয়োজন
অতঃপর বিশ্বাসের ভেলাচড়ে পার
হতেহবে নিরিবিলি জীবন সাগর।

রতন চেনায় লাগে জহুরী বিদ্যার
যথাযথ এলেমের আসল সনদ
নতুবা নকলে যাবে জীবনটা ক্ষয়ে।
পন্ডিতের বিদ্যা আজ পন্ড হয়ে যায়
ভন্ডদের ভন্ডামির স্রোতে ভেসে গিয়ে
আল্লাহ সহায় হলে মিলবে সাফল্য।

১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রোফাইল ঘুরে অগোচালো, এলোপাথাড়ী বানান ভুলে, অযোগ্য লেখার কত সুন্দর সনেট মন্তব্য, আপনার মত সনেট কবি পেয়ে সত্যি আমি সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করছি। (আলহামদুলিল্লাহ্)
আল্লাহ সর্বদায় আপনার মঙ্গল কামনা করুক।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

সনেট কবি বলেছেন:





জনাব তারেক ফাহিমের মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য

যোগ্য-অযোগ্য লেখাতো পাঠক বিচারে
নিজেকে অযোগ্য ভাবা লেখক বিনয়
সাহিত্য মনের ভাব গুছিয়ে প্রকাশ
যেন সেটা পঠকেরা বুঝে নিতে পারে।
সাহিত্যে অনেকে দেখি কঠিন করেন
শুনাতে সাহিত্য কথা অনেক সুন্দর
অথচ বুঝায় সেটি সুকঠিন হয়ে
হয়েযায় কথাকলি বুঝায় অবোধ্য।

মানুষে করতে ভাল জ্ঞানের কথন
দরকার হয় সদা তা’হলে অবোধ্য
কথায় কি লাভ হয় বুঝিনা সে কথা।
আপানার যোগ্য লেখা যোগ্য মন্তবের
অহেতুক কেন তবে নিজেরে দোষেন?
লিখতে লিখতে সবে সুলেখক হয়।

২০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মেঘা পোষ্ট হয়েছে প্রিয় কবি। অনেক অনেক মুগ্ধতা জানবেন সনেটগুলিতে।

এভাবেই জড়ো করতে থাকুন আপনার সনেট গুলো।
আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সনেট কবি বলেছেন:




কবি নয়নের মিনতি কবিতায় মন্তব্য-

কবিতার ভালোবাসা কবি কবিতায়
কবিতার চাই এক ভালো বাসা যাতে
কবিতা করবে বাস দু’পদ দুলিয়ে
কবি নয়নের মন উপযুক্ত এতে।
কবি নয়নের মনে দেখি ছানা পোনা
কবিতার, কবিকর ধরে বসে আছে
কি সুন্দর সাজানো এ কবিতার নীড়
নয়নে কবিতা গড়ে সুখের জীবন।

কবির মিনতি পড়ে আগাগোড়া
দেখে কবিতার ছবি কবিতা কানন
অথবা কবিতা কুঞ্জ বিমুগ্ধ হলাম।
প্রাণ ঠান্ডা করে তাতে শীতলতা আনে
কবির প্রেয়সি সেই কবিতা সুন্দরী
তার ঐশ্বর্য্য আতিথ্যে মধুর বচনে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সনেট কবি বলেছেন: প্রিয় কবি দোয়া করবেন যেন সনেটের সর্বোচ্চ সংখ্যার নতুন রেকর্ডগড়ে দেশকে একটা নতুন সম্মান এনে দিতে পারি। কোন বাঙ্গালী কবি যেন হয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশী সনেট রচয়িতা ।

২১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সনেট ভাইয়া ব্লগে কবিতা দিয়েছি , সুন্দর বিচার-বিশ্লেষণ করবেন ! আপনি না পড়লে কবিতার লেখার স্বাথকতা খুঁজে পাই না !!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৫

সনেট কবি বলেছেন:





কবি কবিরের‘ নিস্ফল অপেক্ষা’ কবিতায় মন্তব্য

ভালবাসার মানুষ সহজে মিলেনা
সেজন্য যে মিলে তাকে ভালবেসে পার
করতে হয় জীবন। নতুবা অপেক্ষা
ব্যার্থ জীবনের গল্প বয়ে নিয়ে চলে।
ঘরের খেয়ে বনের মোষ যে তাড়ায়
সেইতো বেকার কবি, আর ভালবাসা
বানে ভাসা টগরের ফুলে হৃদয়ের
অহেতুক টান, যার কোন অর্থ নেই।

নেড়া-নেড়ীদের প্রেম বড্ড বেড়ে গেছে
সেজন্য দুশ্চিন্তা বেড়ে তাদের বাবা-মা
নির্ঘুম রাত্রি কাটান মন যন্ত্রনায়।
একটাইতো করবি বিবাহ তাহলে
নিস্ফল অপেক্ষা কেন? চট জলদি এ
কর্মসেরে সুথে থাকা, সেইতো সুন্দর।

২২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নতুন কোন পোষ্ট পাচ্ছিনা কেন?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

সনেট কবি বলেছেন:






শাহাদাৎ হোসেন সত্যের ছায়ার অসমাপ্ত প্রেমের গল্পে মন্তব্য-

রাশেদাদের অবস্থা এমনি ঘটছে
অহরহ। প্রতিকারে শুধুই হতাশা
বিরাজে সর্বত্র কিন্তু শাসক ঘুমায়
নাকে তেল দিয়ে নিত্য নিরিবিলি সুখে।
পরের অত্যাচারের বিচারে নিজের
শান্তির বারোটা কেবা বাজাতে চাইবে?
সেজন্য নগদ লাভ সুখ উপলক্ষ্য
উৎকোচ কামিয়েই দায়মুক্ত তারা।

এখন যার ক্ষমতা সম্পদ ও শক্তি
নেই, তার নেই কোন অধিকার সুখে
সম্পদে থেকে বাঁচার, তস্কর দলেতে।
মগের মুল্লুকে চলে রহিঙ্গা নিধন
সভ্যতায় অসভ্যতা এখন সভ্যতা
কাজেই কুলুপ মুখে পাথর নয়ন।

২৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার কবিতা প্রথম পাতায় যায়না, খঁুজে নিতে হয়। এব্যাপারে সামু কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা কেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

সনেট কবি বলেছেন:





শাহাদাৎ হোসেন (সত্যের ছায়া) এর মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য-

সামুর অনেক নিক দেখার সময়
পায়না মডুর দল তাইতো নজরে
না পড়ে অনেক নিক আড়ালেই থাকে
যারটা নজরে আসে ভাগ্যভাল তার।
সর্বদা আমার ভাগ্য হয়না সহজ
আমিও ভাগ্যের কথা চিন্তায় রাখিনা।
আমার নিজের কাজ আমি করে যাই
ভাগ্য অপেক্ষায় থাকে ভাগ্যের নিমিত্তে।

এমনও হতেপারে আমার সনেট
নয়তো পছন্দ কোন মডুর দলের
তথাপি পাঠক এসে পড়ে যায় দেখি।
মডুর পদ যে কোথা যায় যে কখন
সে আমার জানানেই শাহাদাৎ ভাই
দোয়া করেন নজর যেন হেথা পড়ে।

২৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অবশ্যই দোআ কামনা থাকে থাকবে আপনার জন্য, এবং বিশ্বাস, আপনি জয়ী হবেন
আপনি অসাধ্যকে সাধন করেছেন, জয় অনিবার্য আপনার।

আমি যেন স্নেহাশিস না হারাই প্রত্যাশা

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

সনেট কবি বলেছেন:

নদী
(কবি নয়নের সৌজন্যে)

নদী বহে টল মলে এঁকে বেঁকে তাই
সোজাসুজি পথ চলা স্বভাবেতে নাই
তার থেকে সময়েতে কত কিছু পাই
ভাঙ্গা-গড়া নদী থেকে আর কিবা চাই।
যেখানে বসত তুলে ছিল বাপ-ভাই
আজ সেথা দোলে পানি অতল অঠাঁই
ঘরে ছিল মায়া ভারা আদরের গাই
নদী তারে নিয়ে গেল খুঁজে পাই নাই।

তথাপি নদীর জলে ফসল ফলাই
জ্বালপেতে সেথা হতে কত মাছ পাই
যা খেয়ে আমরা সবে জীবন বাঁচাই।
কখনো বলেনা কেউ এ নদী না চাই
আল্লাহ দিয়েছে এতে প্রকৃতি সাজাই
তাই তাঁর গুণগাঁথা সকলে জানাই।

২৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কবিসাহবে, আট পদের কবিতা,
প্রতি শব্দে অক্ষর আটটা থাকতে হবে তাই না?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:২৩

সনেট কবি বলেছেন: মাননীয় এখানে পদকে দু’অংশে ভাগ করা হয় যার প্রথম অংশে ৮ ও পরের অংশে ৬ অক্ষর থাকে। আটে আবার অনেক শব্দ থাকেতে পারে। অবশ্য প্রশ্নটি আপনি নিজের জন্য নয় বরং অন্যের জানার জন্যই করেছেন বলে মনে হয়। কারণ সাহিত্যে আপনি অনেক পাকাপোক্ত।

২৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:১৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: চমৎকার ছনেট জগত।


লিখতে থাকুন অবিরত।

অনেক শুভকামনা

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সনেট কবি বলেছেন:




কবি সামিউল ইসলাম বাবুর ‘ভুল বুঝাবুঝি’ পোষ্টে মন্তব্য-

যে কথা যায়না বলা সে কথা থাকুক
সঞ্চিত হয়ে, মনের গহিনে লুকানো
হারানো ভাষার রাজ্যে দূর ঠিকানায়
যেন কেউ না পায় তা দৃষ্টির সীমায়।
হৃদয় জানালায় কি দেখ ঊঁকি দিয়ে?
জানোতো সবার কাছে ভালনা সবাই
আর ভালকাজ সেকি সদা ভাল হয়?
নাকি ভালকেই ভাবে উল্টা মন্দ কেউ?

মানুষের ভূলভাবা অভ্যাস বাড়ায়
অসহ্য যন্ত্রণা কারো। যে অনলে জ্বলে
মনপুড়ে ছাঁই হয় নিরিহ মানুষ।
তারচে অনেক ভাল প্রভু দয়াময়
যাঁর সান্নিধ্য সুখের তুলনা অতুল্য,
সেজন্য অবিভাবক একমাত্র তিনি।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: আপনার জন্য ঈদের দওয়াত রইল।

২৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

উম্মে সায়মা বলেছেন: ফরিদ ভাই আপনি তো সনেটে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলবেন! শুভ কামনা.....

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৫

সনেট কবি বলেছেন:




কবি উম্মে সায়মার ‘অনুকাব্যের মিলন’ কবিতা গুচ্ছের সারমর্ম-

মনের মযূরে স্মরে ময়ূরী একান্তে
সেতার অপেক্ষা ক্লান্ত মেলতে পেখম
একত্রে বৃষ্টির শব্দে তালে তাল রেখে
নাচতে দু’জনে মিলে মনের আনন্দে।
আর প্রেম? সে চাইলে হতে পারে সব
প্রেমে‘মনে ধরে যারে নায়ে ধরে তারে’
প্রবাদের মতো হয় মনের অবস্থা,
যেথা প্রেমাস্পদ হয় শেষ কথা কারো।

বিচ্ছেদ বিরহ কষ্টে হিমায়িত মন
অচল একাকী হয়ে অভিমানে মরে
বাস্তবে মরার আগে, এ যে জীবম্মৃত।
কেন তবে প্রেমাস্পদে ভুলে থাকা আর
তাকে ছেড়ে চলা কোন বিরান প্রান্তরে?
এ অন্যায়ে সমস্বরে চাই প্রতিকার।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৭

সনেট কবি বলেছেন: প্রিয় কবি বিশ্ব রেকর্ডটা হয়ত করেই ফেলেছি। এখন প্রয়োজন প্রাপ্য স্বীকৃতি। অবশ্য আমি সংখ্যা আরো বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত প্রচেষ্টা চালানোর কথা ভাবছি।

২৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৩

মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম (স্বপ্নময় স্বপন) বলেছেন: অসাধারণ!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

সনেট কবি বলেছেন:





কবি মোহাম্মদ শামসুল ইসলামের ‘পরানে পরান পোড়ে’ কবিতায় মন্তব্য-

পরানে পরান পোড়ে গহীন কথন
বৃক্ষের পরান নিয়া পাথরে টক্কর
কবি মনে শান্তি নেই জলের কিনারে
কাঁচের বাসন ভেঙ্গে করে খান খান।
দেহ জুড়ে দূঃখ হাঁটে বড় সুনসান
একজনে কষ্টে ফেলে অন্যে খোঁজে সুখ?
এটা ভাল কথা নয় সুধী জন বলে
তারচে প্রেমিক মনে ঠাঁই নেয়া ভাল।

কবিমন উচাটন চায় তারে কাছে
সে বুঝুক প্রেমটানে প্রেমিকের মন
তারপর এক সাথে কাটাক জীবন।
কবিতার পাঠ শেষে হৃদয় কথন
উপলব্ধি করে করি একামনা সার
প্রেমিক সফল হোক প্রেমাস্পদে পেয়ে।

২৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৯

রওশন_মনি বলেছেন: আপনার প্রতিভা অসাধারণ হে সনেট কবি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

সনেট কবি বলেছেন:




কবি রওশন মনির মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য-

প্রতিভা সকল হলো আল্লাহর ইচ্ছা
মানুষ পারেনা কিছু দয়াবিনে তাঁর
এমন অনেক আমি দেখেছি জীবনে
আল্লাহর না সহায়ে কলমটা চুষি।
আল্লাহর হুকুমেতে দৌড়ায় কলম
কোথাথেকে কথা আসে নিজেই বুঝিনা
মাঝে মাঝে ভাবি একি নিজেই লিখেছি?
মিলে মিলে কথাগুলো অবিরত আসে।

আঁকিবুকি করে কত কেটেছে কাগজ
লিখেই ছিড়েছি সব বাজে হলো বলে
অতঃপর একদিন দেখি কথা মিলে।
তাহলে বলুন কবি কে লেখায় আর
কে লেখে কাগজে সেটি? এমনি করান
তিনি নিজে সব কাজ অপরের হাতে।

৩০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৩০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:

ধন্যবাদ সনেট কবি অাপনাকে
কোন ভাষায় বলবো তা অজনা
এই বয়সে অাপনি বড় রঙ্গিন মণ
অাপনাকে তরুণ বলতে নেই মানা
কোথায় পান এতো জোস সারক্ষণ
ব্লগে বিচরণ দেখি সর্বদা একটানা

মন থেকে তাই শুভেচ্ছা নিরন্তর
ভোরে উঠুক ভালোবাসার প্রান্তর

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

সনেট কবি বলেছেন:





কবি সামিউল ইসলাম বাবুর মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য-

কবির দরদে কবি প্রকাশে শুভেচ্ছা
অকৃপন মনে তাঁর আন্তরিক ভাবে
পেয়ে তাই হলো সেটি সাদরে গৃহিত
অনুরূপ আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।
ঈদটা কাটুক ভাল কোরবানি দিয়ে
কোরবানির গোস্তের সুসাধু খাবারে
পরান জুড়িয়ে যাক প্রভুর কৃপায়
সেই সাথে দেশ দশ সকলে সালাম।

আর মাত্র এক দিন পরে হবে ঈদ
টান টান উত্তেজনা মনেতে বিরাজে
এমন সবার মনে আমার মতন।
আল্লাহর রহমতে ঈদের আনন্দ
ভোগকরে সবে হোক উচ্ছসীত মন
সে সাথে কবির হোক ঈদটা সফল।

৩১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমটা পড়লাম। ভাল হয়েছে, ভাল লেগেছে।
একসাথে একটা বা দুটো করে দিলে ভাল হতো বলে মনে হয়। তখন আংশিক পোস্ট পড়ে মন্তব্য করতে হতোনা।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৬

সনেট কবি বলেছেন:



কবি খায়রুল আহসানের ‘যা কিছু রচেছি প্রফুল্ল হিয়ায়’ কবিতার সারমর্ম-

প্রভু বেহিসেবে দেন চান যারে দিতে
দু’হাত ভরিয়ে তার দু’চোখ জুড়িয়ে
অবলোকে কৃতজ্ঞতা মু’মিন বান্দার
খুশীহতে নিরবধি চিরন্ত সত্ত্বায়।
মু’মিন কৃতজ্ঞ হয়ে সে দানের দেয়
প্রতিদান সাবলিল কৃতজ্ঞ অন্তরে
চন্দ্রিমার ন্যায় স্নিগ্ধ আলোক ছড়িয়ে
বিনয়াবনত হয়ে সদা অনিবার।

কৃতজ্ঞ প্রভুকে পায় দানে-করুনায়
জোছনার ন্যায় তিনি আলো ঝলমণ
প্রাপ্তির উৎস তিনি একা একমাত্র।
প্রভুর সাথে কোথাও ভাগ নেই কারো
এ বাস্তবতায় ছুটে অন্তর প্রভুতে
নিবিষ্ট মনে জানাতে ভক্তির প্রণতি।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৮

সনেট কবি বলেছেন: মহোদয় আমি আসলে পাঠকের কষ্ট কমাতে চেয়ে ছিলাম। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৪

মৌমুমু বলেছেন: প্রতিটি প্যারাই মাশাআল্লাহ্ অনেক সুন্দর।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

সনেট কবি বলেছেন:





কবি মৌমুমুর মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য-

অনেক দিনের পরে একটি মন্তব্য
মৌমুমু ছেড়ে দিল আমার ব্লগেতে
আহা কি চমৎকার সে মন্তব্য খানি
মনখানি ভিজেগেল কথার মাধুর্যে।
তোমাকে কোথায় আমি রাখি হে মন্তব্য
পথ ভুলে এসেছ কি আমার দুয়ারে
মনচায় তারে ধুয়ে পানি পান করি
যদিবা এতেই বাড়ে কাব্যের প্রতিভা।

কি বলব সে বেচারি তার জন্য থাকে
অপেক্ষায় গুনে দিন, কার কথা ভাবে
এসময় আর কার? সে জন্য এমন।
দোয়া করি সে ফিরোক কবি কুঞ্জ চিনে
বেচারা কোথায় গেল পথটা হারিয়ে?
জানি না বিলম্ব কেন, কি ঘটেছে তার!

৩৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

একটা দুটো করে দিয়েন। এত্তগুলা একসাথে পড়তে পাঠকের কষ্ট হয়। আশা করি সেটি বিবেচনায় রাখবেন। সনেটগুচ্ছ চমৎকার হয়েছে। আপনার সাফল্য কামনা করি!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২

সনেট কবি বলেছেন:





কবি ভ্রমরের ডানার মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য-

বিষয়ের কাব্যরূপ কল্পে হেথা আছে
বিষয়ের সাথে যুক্ত সকল সনেট
এটা আরো বেড়ে যাবে গড়ানো সময়ে
এমনটা আপাতত প্রত্যাশা আমার।
পাঠকের একটুখানি কষ্ট হয় জানি
আশাকরি তাঁরা এটি করবেন ক্ষমা
সেইসাথে দোয়া চাই সকলের কাছে
সাফল্য আমার যেন অধরা না থাকে।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমার
কাজের বাড়াবে গতি সে প্রত্যাশা করে
আপনাকে ধন্যবাদ জানাই বিনয়ে।
আপনার কাব্যভক্ত আমি একজন
উপভোগ করি সদা চিত্তাকর্ষ কাব্য
আপনি যতন করে যা কাব্যে গাঁথেন।

৩৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ এক সনেটের ভুবন । প্রিয়তে গেল ।
আল্লার কাছে দোয়া করছি আপনার পুর্ণ সুস্থতার জন্য ।
কামনা করি শীঘ্রই ফিরে আসুন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: এখন অনুরূপ দোয়া আপনার জন্যও করতে হয়। আল্লাহ আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ্যতা দান করুন।

৩৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই আমাকে কিছু কাজ দিয়ে যে সম্মান দিয়ে সেটি নিয়ে আজ প্রথম কাজ শুরু করলাম । আবার নতুন করে পড়তে হচ্ছে । একটু সময় লাগবে। আপনার তারা আছে কিনা একটু জানতে চাই । সামনে বইমেলা আছে কিনা । তবে যখন পোস্ট পড়েছিলাম তখন তো একটি একটি পড়েছিলাম এখন আপনার মেগা পোস্ট টি পড়ে আমি অভিভূত । বাস্তবে মনে হল আমি যেন কোন সনেটের মহাসাগর এসে পড়লাম। আপনার স্বপ্ন সফল হোক - কামনা করি ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

সনেট কবি বলেছেন: চৌধুরী ভাই আমার কোন তাড়া নেই। আমি চাই ভাল কিছু হোক। তা’ছাড়া আপনার প্রতি সবার আস্থা আছে। আমি চাই আপনি স্বভাবিকভাবে কাজ করুন আর তাতে ভাল কিছু হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.