নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবিধ সনেট (চৌদ্দ সনেট পর্ব-৮) (TSN-22)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪



(এক)

নিদ্রা ভঙ্গ

সিরামিক ভাষাদিয়ে চকচকে লেখা
কবিতা নিবেন কেউ? না না তারা নিবে
সিরামিকের বাসন বাটি ও পেয়ালা
তারা ভাষণ চায়না বাসনটা চায়।
নিজেরে চালাক ভাবা নির্বোধ জাতির
পিছন পিছন চলা কে থামাতে পারে?
নেহায়েত ভদ্রবলে তারা চিরকাল
পিছনে থাকবে বলে করেছে যে পন।

পিছন চলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জাতির
পিছন চলা রুখতে পারে সাধ্য কার?
এরা তলিয়েই তবে চির জয়ী হয়।
জেগেও ঘুমিয়ে থাকা জাতিকে জাগানো
চিরকাল অসম্ভব তথাপি এ আশা
মাথাটা ফাটালে যদি নিদ্রা ভঙ্গ হয়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দুই)

রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার

মিয়ানমার সে এক অসভ্য জাতির
দেশে আজ মানবতা আর্তনাদ করে
নির্বাক নয়নে ভাষা হারা হয়ে ফিরে
বিশ্ব দুয়ারে করতে অভিযোগ তার।
সভ্যতায় অসভ্যতা চরম আকারে
নিষ্ঠুরতা প্রদর্শনে রাক্ষসের মতো
চালায় তান্ডব সেথা মানুষের রক্ত
প্রবাহের পৈশাচিক জঘণ্য উল্লাসে।

রোহিঙ্গা নিজের দেশে অধিকার হারা
হয়ে অবশেষে প্রাণে বাঁচা দায়ে ছেড়ে
আপন নিবাস খোঁজে জীবন আশ্রয়।
অসম্মান পর দারে তথাপি উপায়
কিছুই না খুঁজে পেয়ে ছুটছে মানুষ
যদি কারো দয়া মিলে সেই প্রত্যাশায়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তিন)

কবি সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাঁই এর ‘প্রবাদ পুরুষ কবিতায় মন্তব্য-

প্রবাদ পুরুষে আছে মজার ব্যাপার
শুরুহতে শেষতক পড়ে পড়ে যাই
পড়ে পড়ে অবশেষে কাাঁচ কলা খাই
আদাটা চায়ের জন্য যতনেতে রাখি।
নাই এতে কোন কিছু এমন খেপার
আদাজল খেয়ে দেখি আর জল নাই
তথাপি কাজের জন্য আদা জল চাই
অথচ সে জল নাকি খেয়ে গেছে পাখি।

নিজেই নিজের চুল বসে বসে ছিড়ি
পাগল পাগল বলে যে দেখে সে বলে
ময়নার বাপ বলে টেনে টেনে বিড়ি
একাজটা কর ভাই ছলে বলে কলে।
আমি বলি আগে ভাই আদা জল দাও
কিসে কি যে করি সেটা তারপরে চাও।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# মাত্রাঃ ৮+৬
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চার)

রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা আসায় বাধা তথাপি আসছে
রোহিঙ্গা স্রোতের মতো জীবন বাঁচাতে।
রোহিঙ্গা বিতাড়নের মিয়ানমারীয়
রোহিঙ্গা নিধন বুদ্ধি সার্থক হয়েছে।
রোহিঙ্গা ভালবাসায় যুদ্ধ বাঁধানোর
রোহিঙ্গা প্রেমীর বুদ্ধি আনবে কি ফল?
রোহিঙ্গা যেথায় শত্রু ভারত-চীনের
রোহিঙ্গা মিত্রের দল যেথায় দূরের।

রোহিঙ্গা রক্ষায় যুদ্ধ কূ-বুদ্ধি গ্রহণে
রোহিঙ্গা মিত্রের জন্য অসম্ভব ঝুঁকি
রোহিঙ্গা বিপদ তাতে বাড়বে অধীক।
রোহিঙ্গা এখন থাক সয়ে অত্যাচার
রোহিঙ্গা জন্যে প্রভুর সাহায্য আশায়
রোহিঙ্গা আবেগে নয় এর বেশী কিছু।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পাঁচ)

জুনের ‘বার্মা এক নৃশংস জাতির দেশ’ পোষ্টে মন্তব্য-

বিশ্বের চিরকালিন সেরা অমানুষ
জাতির দৃষ্টান্ত হলো মায়ানমারের
সেই বর্গি জাতি যারা আমাদের দেশে
নিষ্ঠুর দস্যু পনায় হামলা চালাত।
এখন সে অসভ্যরা নিজের দেশের
নাগরিক বিতাড়নে এমন নিষ্ঠুরতা
দেখাচ্ছে ,যা বিবেকের চরম ঘৃণার
উৎগিরনে প্রকাশে, তাদের পশুত্ব।

জুন আপনার পোষ্ট সত্যের প্রকাশে
আলোক বর্তিকা হয়ে জানোয়র জাতি
সম্পর্কে নয়া প্রজম্মে অবগত করে।
ওদের বিনাশে আজ বড় প্রয়োজন
সভ্য দুনিয়ার ঐক্য, নতুবা পশুরা
কখন কি করে সেটা বুঝা মুশকিল।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছয়)

কবি সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাঁই এর
‘রানি ভানুসিংহীর ব্লগ এবং একটি ধাঁধা’ পোষ্টে মন্তব্য-

গোলক ধাঁধাঁর গল্পে কাব্য যোগের এ
দারুন কারুর সাথে কারসাজি মিলে
একাকার মানুষের মনভাব কত
মোহনায় প্রবাহিত হিসেব করিনি।
কবিতায় ডুবে ডুবে আবার ভেসেই
ভেবেছি গল্পের মাঝে এ গভীরতায়
ঠাঁই পেতে আর কত উচ্চতায় উঠে
নিজেকে কল্পনা রাজ্যে হারাব অজান্তে।

এখানে আলো আঁধারে লুকো চুরি খেলা
শেষে মেঘেরা হারিয়ে মেঘে খোঁজে রোদ্র
ঝলক জ্বালতে কোন দীপ শিখা আজ।
কিন্তু সকাল ও সাঁজে থেকে নানা কাজে
মাথাটা ঘুরালে আর ধাঁধার উত্তর
ছেড়েছুড়ে ভাবে মন তারচে চা খাই।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সাত)

কবি কি করি আজ ভেবে না পাই এর
‘সূচি তোমায় অভিবাদন প্রিয় নেত্রী’ পোষ্টে মন্তব্য-

নোবেলের ‘নো’ সূচির আর বেল সেটা
আপনার জন্য বরাদ্ধ দেখতে মনটা
আকুপাকু করছিল ভাবছি সে কথা,
বেলের শরবতটা অবশ্য শান্তির!
অজামিন যোগ্য সেই অপরাধে তার
‘নো বেল’ হতেই পরে আর আপনার
শান্তি বেল শরবত কলজে ঠান্ডার
উপলক্ষ্য হয়ে থাক সমগ্র জীবন।

কবিতার কথা আর কি বলব সেটা
আরেক দিন না হয় বলব একাকী
চুপি চুপি কানে কানে, দারুন সুন্দর।
কি করি কি করি আজ সব লজ্জা লাজে
কাচুমাচু অন্তরের আদিখ্যাতা কাঁথা
মুড়ানো দিয়ে বীরের ভেসে ছুটে চলে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আট)

ব্লগার নির্ভিকের‘ এবার আক্রান্ত রোহিঙ্গা মুসলিমদের
নিয়ে মহান প্রভুর সাথে কথোপকথ’ পোষ্টে মন্তব্য-

প্রভু বলেছেন সে কথা মনোযোগ দিয়ে
অন্তরে গেঁথে সে মতে দেখে পরিস্থিতি
বুঝে শুনে অতঃপর ব্যবস্থা গ্রহণে
কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।
বর্গীর বহু পাওনা রয়েছে খাঁতায়
দেখি হিসেবের খাঁতা রোজ রোজ খুলে,
অসভ্য সে জাতি ঋণ আরো বাড়িয়েই
চলছে অসভ্যতায়, পরিশোধ নেই।

সভ্যদের ঐক্য আজ বড় প্রয়োজেন
একযোগে অসভ্যদের দমন নিমিত্তে
মানুষের কাঙ্খিত এ শান্তির নিবাসে।
নিজ নাগরিকে পর দেশে ঠেলে দিয়ে
অমার্যনীয় অন্যায় করেছে সূচির
হায়না সেনাবাহিনী ও রাখাইনরা।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(নয়)

কবি ভ্রমরের ডানার‘ব্যাবচ্ছেদ - ১৬ - কিছু শব্দ প্রয়োজন...’ কবিতায় মন্তব্য-

অত্যাচারীর শিরায় ঢুকানো বিষের
বোতল, এ কবিতায় নজরুল এসে
চুম্বন দিয়ে আদরে ভরিয়ে তুলবে,
তাঁর আত্মায় হয়ত এমনি প্রত্যাশা।
কবির দরকারী সে শব্দ-কবিতারা
হয়ত এবার হচ্ছে গোঁচগাঁচ রনে
শামিল হয়ে বর্গীর মুন্ডু চটকিয়ে
অতীত পাওনা সহ শোধের নিমিত্তে।

রক্ত বিলাশীর রক্ত ঝরাতে এবার
বিশ্বকে এগুতে হবে দৃঢ় পদক্ষেপে
একসাথে কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে সবাই।
রক্ত পিপাসুর রক্তে ওদের পিপাসা
নিবারন ব্যবস্থায় ওদের রক্তেই
ওদের দাপন করা সবার দায়িত্ব।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দশ)

কবি মৌমুমুর‘ভালোবাসি তোমাকে...’ কবিতায় মন্তব্য-

প্রেমের মাহাত্ম আমি এভাবে বুঝিনি
যে ভাবে বুঝালেন এ প্রেমের মেডাম
তাঁর কবিতার ছত্রে, যাতে মাথামোটা
ছাত্রের বোধগম্যতা লেবেল বাড়বে।
এটি আদর্শ প্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত
হয়ে প্রেম সাহিত্যের সমৃদ্ধি ঘটিয়ে
প্রেমকে উঠাবে এক শীর্ষ উচ্চতায়
তথাপি যদি মানুষ প্রেম কি তা’ বুঝে।

তথাপি যদি গবেট প্রেমিক না বুঝে
তাতে প্রেমর মেডাম মৌমুমুর দোষ
কিছুতেই আমি দিতে পারবনা নিজে।
সে সময়টা আমার এখন পেরিয়ে,
সেজন্য মেডামের এ তালিম আমার
হয়ত স্ত্রী’র বেলায় কার্যকর হবে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(এগার)

চাঁদগাজীর‘বাংগালীদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে
ঘৃণিত ব্যক্তি, বার্মার আং সান সুচি’ পোষ্টে মন্তব্য-

সূচিকে করবে কেট কুচি কুচি বলে
গায়ের ঝাল ঝেড়েছে ছবি কবি ক্রোধে,
হারামজাদীকে তেমন করাই উচিত
তার কার্যক্রম দেখে সুতীব্র আক্রোসে।
চাপায়ে দিয়েছে রাক্ষসি নিজের
নাগরিক আমাদের ঘাড়ের উপর
অল্প স্বল্প গল্প নয় সাত লাখ লোক
ভাবুন মশায় তবে কি কান্ডটা হলো?

দূরাচারিনী মগের কন্যার এ বর্গীপনার
অপরাধ সীমাহীন জঘণ্যতাছাড়া
আর কিবা হতেপারে মনুষ্য বিবেকে?
ওরে ধরে জুতামালা পরায়ে হাঁটানো
থুথূ দেয়া জনে জনে বৃষ্টির মতন
এখন এটাই হলো সময়ের দাবী।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বার)

কবি খায়রুল আহসানের নাতনির প্রবাস যাত্রায়-

সম্পর্ক এমন হয় দাদা নাতনির
মাঝে যেন সময়ের অলিগলি ভরা
ঝরা ফুলে হেঁটে চলা পথিকের চুল
দক্ষিণা বাতাসে উড়ে, এমন আনন্দ।
সেজন্য আলাদা হলে বৈশাখি ঝড়ের
কবলে পড়ে কুড়ের ঘরের চালের
খড়গুলো উড়ে গেলে গরীবের মনে
যেমন বেদনা জাগে, সেরকম লাগে।

অতঃপর আপনার বেলায় নাতনি
নামক ছোট্ট পাখির টুকিটাকি সব
আর স্মৃতি গুলো হৃদে এখন সম্বল।
কলজে ছিড়ছে তার শূণ্য অবস্থিতি
এ বয়সে অবসর যাপনের ফেরে
কিন্তু সে পাখিকে রাখা যায়নি কিছুতে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তের)

সনেট কবি তোফায়েল আহমেদ চুচুলের‘ এক গুচ্ছ কবিত ’ পোষ্টে মন্তব্য-

সনেটগুলো মানের দিক থেকে ভালো
হয়ে ক্রমাগত আরো উন্নতির দিকে
এগিয়ে চলছে আর অর্থবহ হয়ে
হৃদি দখল করছে বলে মনে হয়।
তবে আপনাকে এর ছন্দের ব্যাখ্যায়
যোগ্যতা দেখাতে হবে, হোক তা’ নতুন
না হয় স্বীকৃতি পেতে বেগ পেতে হবে,
কারণ কবিতা ছন্দ ব্যাতীত হয়না।

যেহেতু সনেট লিখে সনেটের কবি
খেতাবেতে অভিসিক্ত হতে চান কবি
সেহেতু এ চিন্তা থাকা জরুরী একান্ত।
আমি আশাবাদী খুব, অসম্ভব নয়
এটি অন্তত এ কবি টুটুল বেলায়
ক্ষুরধার কলমের নিপূণ যাত্রায়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চৌদ্দ)

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাঁই এর ‘রানি ভানুসিংহীর ব্লগ
এবং একটি ধাঁধা’ গল্পের সার সংক্ষেপ-

ফুলের শোভায় মিশে ছুটে চলে ফুলে
মনের আনা গোনার করুণ মিনতি,
জড়াও আমায় প্রিয় তোমাদের মাঝে
জমানো শিশিরে আমি হাসব অরুণে।
মনের সে আশ্রয়ের আশ্রম বানালে
ফুলদানিতে তাহলে মনেরা কোথায়
হারাবে নিজের চির চেনা অস্তিত্বের
রম্যরূপ আবেগ আর উচ্ছাস অনিন্দ?

প্রকৃতির সুন্দর্যের বিনাশ সাধনে
গৃহের শোভার হীন স্বার্থপরতায়
ভানুসিংহীর দৈন্যতা পরস্ব হরন।
যে পুস্প বৃক্ষ পত্রের শোভায়
দারুণ, চুরুনী তাকে শ্রীহীন করেছে
মালির আক্ষেপ সেথা আহত অক্ষম।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সনেট পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই !!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

সনেট কবি বলেছেন:





কবি শাহরিয়ার কবীরের ‘ভালোবাসার অভিসারে. ’ কবিতায় মন্তব্য-

প্রেমিকা পাগলী হলে খুনসুটি করে
সময়টা কাটে বেশ আনন্দের সাথে
মোহাবিষ্ট হয়ে থাকে মন সারাক্ষণ
দু’সত্ত্বায় মিশে যেন একাকার হয়।
প্রেম হলে সেথা ঘর কম গুরুত্বের
হয়ে প্রেম উচ্চকিত হয়ে যেন উড়ে
মেঘ ভেলা চড়ে কোন অজানা আকাশে
যেথা শুধু দুজনার অনুভব থাকে।

দু’জনের পাশাপাশি কাছাকাছি থাকা
প্রেমে হয়ে উদাসিন তাতে জেগে উঠে
আবেগের ফুলগুলো সুঘ্রাণ বিলিয়ে।
দেহমন বিবশের অতলে তলিয়ে
হারাতে হারাতে আর নাহি খুঁজে পায়
কে কোথায় সে তাদের আছে কে কোথায়!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

সনেট কবি বলেছেন: সনেট পড়া ও ভাললাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মায়ানমার ধ্বংস হোক । মানবতা মুক্তি পাক ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

সনেট কবি বলেছেন:



কবি সেলিম আনোয়ারের ‘শতাব্দী ( বাস)’পোষ্টে মন্তব্য-

অবশেষে প্রেমিকার মতো মনে হলো
বাসের আসনখানি যার অপেক্ষায়
মনকরে আকুপাকু সরাটা সময়
তারপর তারে পেলে গ্রহণ আনন্দ।
ছুটে চলে বাসখানি গন্তব্য উদ্দেশ্যে
মন কিযে ভাল লাগে বুঝাবার নয়
কিন্তু জ্যামের জ্বালায় মন হাসপাস
ক্যানভাসার এ সাথে যন্ত্রণা ভীষণ।

এরপর ঠিকানায় এসে ক্লান্ত দেহ
মন খোঁজে বিশ্রামের উপলক্ষ্য গুলো
বাসের আসন প্রাপ্তি তখন উদাও।
ক্ষণিকের ভাললাগা প্রেম যে আসন
সময়ের পরে তার স্মৃতি হয় শেষ
এ ক্ষেত্রে প্রিয়তমা একটু আলাদা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

সনেট কবি বলেছেন: আপনার আর আমার চাওয়া এক রকম প্রিয় কবি।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


প্রথম সনেটেই বাজিমাৎ...

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

সনেট কবি বলেছেন:




কবি ভ্রমরের ডানার মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য-

আপনার কবিতার আকাশেতে উড়ি
ডানামেলে পাখিদের মত শান্তমনে
অথবা সে কবিতার সাগরেতে ভেসে
জলতলে চোখ রাখি দেখতে রতন।
কবিতার বৃক্ষ বনে বড় বড় গাছ
ছায়াদিয়ে ভূ-তলকে ঠান্ডা করে রাখে
ভাবছি এমন ভাব কোথা হতে পান?

আপনার হাতে এসে ধরা দেয় শব্দ
তাদেরকে ধরে ধরে আদরেতে নিয়ে
পদ্য সাজান আপন মনে আনমনে।
আপনার পদ্যদল যেন ফোটা ফুল
ভ্রমরের ডানা নাকি সেজন্যই নিক?
কি দারুণ কি দারুণ লিখেন আপনি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: অনুপ্রাণীত হলাম প্রিয় কবি।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: বেশ বেশ। সনেট লেখা চলুক।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

সনেট কবি বলেছেন:





কবি উম্মে শায়মার‘কবিতা তোমায় দিলাম ছুটি’ পোষ্টে মন্তব্য-

ক্লান্তি জনিত কারণে কবিতাকে ছুটি
দিলেও কবিতা ছুটি শেষে ফের ফিরে
আসবে আবার নিজ দায়িত্ব পালনে
নতুন করে জড়াতে কবিকে আবেগে।
কবিতা মন রাজ্যের সে দূর্দমনীয়
কন্যা যে জড়াতে জানে ছাড়তে জানেনা
সে জন্য তাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার
ক্ষমতা কারো থাকেনা আদৌ কোন কালে।

আপনি বিদায় করে দিয়েছেন বলে
কবিতার ফিরে আসা হবেনা এমন
ভাবনার দরকার নেই অহেতুক।
আপনার ক্লান্তি চলে গেলে দেখবেন
কবিতা কড়া নাড়ছে মনের দুয়ারে
আর আপনিও এতে অমলিন খুশী।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বিশ্বের সর্বাধিক সনেট কবিতা রচয়িতাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ১মটাই বেশি সুন্দর।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

সনেট কবি বলেছেন:




কবি মাইদুল সরকারের‘বৃষ্টি নামল বলে’ এর ছায় অবলম্বনে-

বৃষ্টি নানান কাজের ঝামেলা তৈরীতে
বেজায় পটু সেজন্য, বৃষ্টি গৃহিনীর
তাড়না বাড়িয়ে তোলে নানা ভাবে তার
কাজে কর্মে দেখা যায় দারুণ ব্যস্ততা।
শুকনো কাপড় যেন না ভিজে বৃষ্টিতে
মাটির চুলা ঢাকতে সাবধান থাকা
ছেলেটা যেন বৃষ্টিতে না ভিজে সেদিকে
খেয়াল রাখা কতকি, নানা কাজ আরো।

বৃষ্টির তাড়না গাঁয়ে বেশ উপভোগ্য
শুকনো ধান বাঁচাতে জবর ব্যস্ততা
উঠোনের কোথায় কি সেসব খবর।
কারো কারো সখ করে বৃষ্টিতে ভিজতে
কেউ বৃষ্টির পানির জমানো সাধনা
সবমিলে তোড়জোড় কম নয় এতে।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অভিনন্দন নতুন রেকর্ডে । :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

সনেট কবি বলেছেন:





কবি সেলিম আনোয়ারের ‘প্রেরণা ও সুখোনদী’ কবিতার ছায়া অবলম্বনে-

কে সৃজেছে বিরহের নদী অন্তহীন
যাতনায় গড়ে তারে বুকের ভিতর
কার ফুল বনে সুখ প্রজাপতি উড়ে,
ভ্রমরের দল মধু অম্বেষণ করে।?
তাঁর সৃষ্টি কাননের অন্ধপায় বাসা
আর কালার অন্তর বুঝে হৃদয়ের
ভাষাগুলো অনুভবে, তবে কেন হবে
ভালবাসা অপারগ খুঁজতে ঠিকানা?

ভালবাসা দিয়ে বাসা বেঁধে চল প্রিয়া
বাবুই পাখির মতো সুনিপূণ ভাবে
সুখ যেথা বয়ে যাবে বাধাহীন ভাবে।
সেথায় দু’জন এসো মিলি আনোমনে
তোমার দূরেতে থাকা কোন দ্বীপদেশ
আজ থেকে বন্ধ হোক বিরহ বিদায়ে।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অসাধারণ!! মেঘা পোষ্ট। সনেট গুলিতে মুগ্ধতা জানবেন।

যেখানে যেভাবে থাকি, শ্রদ্ধেয় কবির জন্য শুভকামনা সবসময়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সনেট কবি বলেছেন:




কবি নাঈম জাহাঙ্গীর নয়নের‘ তোমার ঠোঁটে’ কবিতার ছায়া অবলম্বনে-

প্রিয়ার ঠোঁটে হাসির মিষ্টি আমেজের
মুগ্ধতায় প্রিয় ভেসে শিহরণ বানে
প্রিয়াতে হারিয়ে নিজে খুঁজে অনিবার
বলে, এ আমি কোথায় কোন ফুল বনে?
মন বাতায়ন খুলে প্রিয় বলে এসো
রেখেছি দুয়ার খোলা প্রিয়া আগমন
অপেক্ষায় বসে থেকে নিশিদিন একা
শুনব বলে শ্রীমুখে ভালবাসি প্রিয়।

যদি আস হেলে দুলে মন ফুলবনে
দু’জন দু’জনে ধরে করে বিচরণ
অবলিলে বলে দেব তুমি যে আমার।
তুমি তাই হও যদি সুখের সাগর
ধরাদিবে প্রিয়তমা তরতাজা মনে
‘ভাললাগে ভালবাসি’ সুর অনুরনে।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:


সনেটের প্রতি আপনার এমন অনুরাগ মুগ্ধ করে । ভাল লাগলো বেশ ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

সনেট কবি বলেছেন:





কবি কথাকথিকেথি কথন এর ‘ ও ঘরে আলো
গেছে নিভে.. ‘ কবিতার ছায়া অবলম্বনে-

এভাবেই সময়ের ফেরে আমাদের
অপ্রয়োজনীয় হয়ে একাকী জীবনে
বেঁচে থাকা মূল্যহীন হয়ে পড়ে কোন
কারণে অখবা কোন অকারণে সদা।
তখন নিঃসঙ্গ হয়ে ভাবনা কাতর
মন ফিরে অতীতের সেই সোনা ভরা
সময়ের দারে যেথা ভরপুর ছিল
জীবনের প্রতি বাঁক সজন মেলায়।

হারানো অতীত আর ফিরেনা কিছুতে
মনের আঙ্গিনা গুলো রাঙ্গিয়ে তুলতে
সেই আগের মতই রাজকীয় সাজে।
তখন অচেনা ডাকে মন ভরলেও
দেখা যায় সে আসলে যমদূত যিনি
এসেছেন অভাগায় নিতে চিরতরে।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: সর্বপ্রকার রাগ অনুরাগগুলো প্রীয় কবি শব্দের মালায় গেঁথেছেন।
ভালো লাগলো।

দুঃখ প্রকাশ করছি প্রীয় কবিকে প্রদত্ত কথাটি রাখতে পারি নাই বলে।
হাল ছাড়ি নাই, কবি কন্ঠে চেষ্টা করছি যতসম্ভব।
ব্লগ সাইটি সর্বদায় ওপেন থাকলে কী হবে পড়ার সুযোগ খুব কমই হয় তাই মন্তব্যে সবার পিছনে। ধন্যবাদ প্রীয় কবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.