নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসের মর্ম (পর্ব-২)

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭



মহানবি (সা.) তাঁর মত নামাজ পড়তে বলেছেন, হানাফীদের মতে তিনি এটা পুরুষদেরকে বলেছেন।কারণ সেই জামানার নারীরা পুরুষের মত নামাজ পড়তোনা বিধায় হানাফী মাযহাবে তাদের আলাদা নামাজের বর্ণনা এসেছে।
হানাফী মাযহাবের জন্ম খোলাফায়ে রাশেদার চতুর্থ খলিফা হজরত আলীর (রাঃ) রাজধানী কুফায়। কুফায় তাঁর সাথে আসা মহিলা সাহাবা (রা.) থেকে কুফার মহিলারা নামাজ শিখেছে। সেই নামাজই হানাফী মাযহাবে এসেছে।কাজেই হাদিসের মনগড়া অর্থ করে নারী-পুরুষের নামাজ এক করে ফেলা যুক্তি সংগত নয়।
অনেক ক্ষেত্রেই নারী পুরুষে ভিন্নতা রয়েছে। এমন ভিন্নতা রয়েছে যা কখনো এক করা যাবে না।কাজেই নারী-পুরুষ সবক্ষেত্রে এক করার প্রচেষ্টা অহেতুক।আবার অনেক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে অভিন্নতা রয়েছে সে ক্ষেত্রেও তাদেরকে আলাদা করার দরকার নেই। এসব কথা বুঝতে বিজ্ঞ ইমামের মতামত লাগে। আর কোরআন ও হাদিস মানায় যেন ভুল না হয় সে জন্যই কোরআন ও হাদিস মানতে ইমাম মানতে হয়।সাহাবায়ে কেরামও (রা.) মহানবিকে (সা.) ইমাম মেনেছেন।কিন্তু মহানবির (সা.) কিছু কথা আমাদের নিকট ভুল ভাবে উপস্থাপিত হওয়ায়, সঠিকটা কি সেটা বুঝতে আমাদেরকে ইমামের মত আমলে নিতে হয়।তারমানে আমাদের ইমাম মানা সমস্যার পরিপেক্ষিতে। নতুবা আমরাও সরাসরি মহানবিকে (সা.) মানতে পরতাম। শয়তান এ ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরী করায় শয়তান থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে ইমামের কথা শুনতে হয়।

মহানবি (সা.) ইহুদীদের রাষ্ট্র গঠন না করতে পারার কথা বলেছেন। তিনি কোন ইহুদীর কথা বলেছেন? বানু কোরায়জার ইহুদী, খায়বরের ইহুদী, না সকল ইহুদী? কিন্তু ইহুদীরা রাষ্ট্র গঠন করেছে। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে উহা রাষ্ট্র। এবার এটা কেউ মানুক অথবা না মানুক। কাজেই বুঝা যাচ্ছে মহানবি (সা.) সব ইহুদীর কথা বলেননি। বরং যারা তার প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র যারা ধ্বংস করতে চেয়েছে তাদের কথা বলেছেন। তারামানে তারা তাঁর রাষ্ট্রের স্থলে তাদের রাষ্ট্র বানাতে না পারার কথা বলেছেন।বাস্তবতার আলোকে হাদিসের মর্ম এমনটাই বুঝা যায়। কাজেই ফিলিস্তিনিরা হাদিসের মর্ম যেমন বুঝেছে তাতে পড়ে না থেকে তাদের সমস্যা সমাধানের ভিন্ন পথ খোঁজা উচিৎ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। চমৎকার দিক নির্দেশনামূলক লেখা। আশা করি যারা বিভ্রান্তীর মধ্যে আছেন তারা আপনার এ জ্ঞানগর্ব আলোচনা থেকে উপকৃত হবেন।

০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১২

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু বিভ্রান্তি যারা জিইয়ে রাখতে চায় তারা আলোচনার বিরোধী।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজতন্ত্রের জন্য ইহুদীরা ছিল নরম জাতি; গণতন্ত্রে (রিপাবলিক) এসে তারা শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হয়েছে; আরবেরা তাদের সমজাতি হয়েও ইহুদীদের সঠিভাবে বুঝতে পারেনি; কারণ, আরবদের পর্যাপ্ত শিক্ষা নেই

০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

সনেট কবি বলেছেন: কিছু ক্ষেত্রে আরবরা ইহুদী থেকে পরিস্কার চিছিয়ে, সে জন্য তারা চালকের আসনে না থেকে চালিতের আসনে রয়েছে। মুসলমানদের যারা মুরব্বী তারাই যদি অন্যের মুখাপেক্ষি হয় তবে মুসলমানরা আর কার মুখের দিকে তাকাবে? কাজেই মুসলমান রয়েছে গুরুতর দূরবস্থার মধ্যে।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

শহীদ আম্মার বলেছেন: জনাব, তালিজোড়া দেওয়া এসব কি লিখেন? আপনার ধর্মীয় পোষ্ট গুলোতে একট মৌলিক দূর্বলতা আছে। এতে যাদের ধর্মীয় বেসিক নাই তারা বিভ্রান্ত হবে। আপনি বরং আমাদের কবিতা শেখান । ছন্দ, মাত্রা , সনেট এসব শিখান। সবার লাভ হবে।

০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১০

সনেট কবি বলেছেন: এটা উম্মুক্ত আলোচনার প্লাটফর্ম। তো আপনার শক্তিশালী আলোচনা উপস্থাপন করছেন না কেন? আলোচনার মাধ্যমেইতো সঠিকটা বেরিয়ে আসে। ধর্মীয় বেসিক যাদের নাই আল্লাহকি তাদেরকে মাফ করে দিবেন? যদি তেমন না ঘটে তবে ধর্মীয় বেসিক সবার অর্জন করা দরকার। আর আমি কি করব না করব সেটা আপনি বরং না বলাই ভাল। কারণ আমি আপনাকে তেমন বলি না। আমি মনে করি মুসলমানদের কোরআন হাদিস বুঝায় ভুল আছে বলেই তাদের অধঃপতন। সেজন্য আমি চাই সকলের আলোচনায় সঠিকটা বেরিয়ে আসুক। এ ক্ষেত্রে ভুল আমারো থাকতে পারে। এখন আমার মত যদি আমি উপস্থাপন না করি তবে আমার ভুলটাতো থেকেই গেল।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

শহীদ আম্মার বলেছেন: হায়রে অভাগা আরবীরা! পুরো দুনিয়ায় শিক্ষার প্র্যাগন্যানসি চলে আর তোরা কিনা শিক্ষা খরায় ভুগেতেছস! মরুভূমির দেশ! তোদের পানিও নাই যে একটু শিক্ষার চাষবাস করবি। মাটির নিচে খালি তেলের খনি পাস! শিক্ষার খনি পাস না? কি আর করবি? তোরা মূর্খই থাক। জানিস আমরা কতটা এগিয়ে। আমরা বহুতল ভবনের পিলার ধরে টানাটানি করলে বিল্ডিং ধ্বসে যায়। আমাদের শিক্ষা অফিসার রা এত পরিমাণ হাদিয়া পায় যে; মন্ত্রী কম হাদীয়া নেওয়ার পরামর্শ দেন। আমাদের সামান্য মন্ত্রী পর্যায়ের একজন ব্যক্তিও প্ল্যাটো কিংবা এরিস্টোটল এর রাষ্ট্র বিজ্ঞানের নাগরিকত্ব বিষয়ক সংজ্ঞাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেন। আর কত বলবো! তোরে যতই বলি কোন লাভ নেই। কারণ তোর কোন শিক্ষা নেই।

০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২১

সনেট কবি বলেছেন: এটা অবশ্যই বাস্তব যে আরবরা অনেক ক্ষেত্রেই অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়েছে। সেজন্য তারা বিশ্বের চালকের আসন হারিয়েছে। অনেক জাতি এখন আর তাদেরকে ভয় পায় না। বরং উল্টো আরবরা অন্যদেরকে ভয়পেয়ে তাদের আনুকল্য তালাসে প্রাণপণ।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: খুব মন দিয়ে পোষ্ট টি পড়লাম।

০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২২

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু কি বলবেন বুঝতে পারেননি!

৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১১:০৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমমম। ইমামদের মতামত নেয়া দোষের হবে না...

০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

সনেট কবি বলেছেন: হাদিস ও কোরআন ইমামগণ কি বুঝেছেন সেটা জানার জন্য তাঁদের মত জেনে নেওয়া আবশ্যক। মূলত প্রত্যেকের নিজের দায় নিজেকেই বহন করতে হয়। এখন কেউ যদি মনে করে তার বিবেচনা শক্তি পর্যাপ্ত নয় তবে সে নিরুপায় হয়ে অপরের বিবেচনা গ্রহণ করলে, তাকে আর কি বলা যায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.