নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদয়াত (পর্ব-৩)

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৫



পীর, তাবলীগ, মীলাদ, শবে বরাত ও মাযহাবের প্রতি একদল লোকের ঘোর আপত্তি। কারণ একটাই এগুলো মহানবি (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) যুগে ছিলনা।মহানবি (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) যুগে হরকত ও নোকতা যুক্ত ছাপানো কোরআন ও হাদিস ছিলনা, এগুলো তবে তাদের ঘরে কেন আছে? তারা আগে তাদের ঘর থেকে হরকত ও নোকতা যুক্ত ছাপানো কোরআন ও হাদিস বিদায় করুক তারপর না হয় পীর, তাবলীগ, মীলাদ, শবে বরাত ও মাযহাবের বিরুদ্ধে কথা বলুক।তারা কোরআন ও হাদিস শিখবে হাফেজের কাছ থেকে আর তারা এগুলো হাতে লিখে নিবে এটাই তাদের জন্য ছুন্নতি তরিকা।প্রসঙ্গত আলেম সমাজের মতে ইসলামে মন্দ নতুন সৃষ্ট বিদয়াত। আর পীর, তাবলীগ, মীলাদ, শবে বরাত ও মাযহাব বিরোধীদের মতে ইসলামে সকল নতুন সৃষ্ট বিদয়াত এবার সেটা ভাল অথবা মন্দ যাই হোক না কেন! পীর, তাবলীগ, মীলাদ, শবে বরাত ও মাযহাব বিরোধী এ দলটি হঠাৎ গজিয়ে মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক ফিতনা সৃষ্টি করছে।এদের কারণে মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক হানাহানি মারামরি।সেজন্য এটা নিশ্চিত হওয়া দরকার এদের কথার সঠিকতা আসলে কতটুকু?
শত কোটি মুসলমান যে সবের সাথে যুক্ত, কারো ঠুনকো কথায়তো আর সে সব বাদ দেওয়া যায় না। আমাদের আপত্তি এখানে।এদের কারণে মুসলমানদের মাঝে চরম অশান্তি বিরাজ করছে। মসজিদে মসজিদে মারামারি হচ্ছে। মানুষ মসজিদ ছেড়ে ঘরে নামাজ পড়ছে। এ এক মহা কেলেংকারি অবস্থা। এরা ঈদ ও রমজান সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে পালন করে এবং এরা আলাদা মসজিদ তৈরী করে। এরা কথার মধ্যে বোখারী শরীফ ঢুকায় যদিও মহানবিমহানবি (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) যুগে বোখারী শরিফ ছিল না। যে হাদিস গ্রন্থে বিদয়াত সংক্রান্ত হাদিস খানা আছে সে হাদিস গ্রন্থও মহানবিমহানবি (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) যুগে ছিল না। কাজেই এদের পীর, তাবলীগ, মীলাদ, শবে বরাত ও মাযহাবের বিরোধীতার কারণ একটাই, আর তা’হলো এগুলো তাদের পছন্দ নয়। সেজন্য যে কোন প্রকারে তারা এগুলো বন্ধ করতে চায়। এদের কথামত ইসলাম থেকে বিদয়াত বাদ দিতে গেলে ইসলামে আর কিছুই থাকবে না। কারণ ইসলামের অনেক কিছুই আর আগের মত নেই। দেড় হাজার বছরে অনেক কিছুই আমুল বদলে গেছে।
বাংলাদেশে যদি একদল লোক প্রস্তত হয়ে পীর, তাবলীগ, মীলাদ, শবে বরাত ও মাযহাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে তবে একদা দেখা যাবে বাংলাদেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। কাজেই এ বিষয়ে আগে থেকে সচেতনতা জরুরী। শায়েখ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাই মূলত পীর, তাবলীগ, মীলাদ, শবে বরাত ও মাযহাবের বিরোধী সেই দলের সদস্য। তারা কি করেছে সেটা সবার জানা।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১২

এখওয়ানআখী বলেছেন: হজরত সনেট কবি হুজুর, তাইলি আপনেই কন বিদয়াতটা কি জিনিস?

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: আলেম সমাজের মতে মন্দ নতুন সৃষ্ট বিদয়াত, ভাল নতুন সৃষ্ট বিদয়াত নয়।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: এখন যেমন বিদয়াত নিয়ে বিতর্ক চলে। তারপর চলে নফল, সুন্নাত ওয়াজিব নিয়ে। সর্বশেষে হয়তো ফরয বিষয় নিয়েও এক সময় বিতর্কের সৃষ্টি হবে। তারপর হবে দুনিয়া ধ্বংস অর্থাৎ কেয়ামত।

যারা দ্বীনি শিক্ষা অর্থাৎ কোরআন, হাদিস, ফিকাহ শাস্ত্র, ইজমা, কিয়াস ইত্যাদি শিক্ষালাভ করেছেন। যাদের মুফাচ্ছির বা মুহাদ্দিস বলা হয়। তাদের পাশাপাশি বাংলা কোরআন হাসিদের বই পড়ে অনেকেই ফতোয়া দেয়। এজন্য দিনে দিনে মতানৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে বেশি।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

সনেট কবি বলেছেন: কোরআন, হাদিস, ফিকাহ শাস্ত্র, ইজমা, কিয়াস - ফিকাহ ইজমা ও কিয়াস একদলের অস্বীকার করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: সব ধর্মেই ফিতনা সৃষ্টিকারী লোক থাকে। ইসলাম ধর্মেও আছে। যারা অল্প ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে নানা মতানৈক্য সৃষ্টি করে। প্রবাদে আছে, A little larning is a dangerous think.

সুতরাং ফিতনা সৃষ্টিকারী এসব মানুষদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৩

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু মুসলমানেরা ফিতনাতে শুধু জড়িয়েই যাচ্ছে।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: সামান্য বিদআত নিয়েও কত কিছু জানার আছে !!!

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৪

সনেট কবি বলেছেন: বিদয়াত নামক বিষয়টি এখন মুসলিম জাতির বোঝা।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

রেযা খান বলেছেন: তারা এখন বলে, শবে বরাত কোরআনে নেই। আমি প্রশ্ন করলাম নামাজ ও রোজা কোরআনের কোথাও আছে কিনা? উত্তরে বলে হ্যাঁ আছে, কোরআনে সলাত হলো নামাজ, আর সওম হলো রোজা। আমি বললাম লায়লালি নিস ফি শাবান হলো শবে বরাত। আরেকটা মজার বিষয় হলো, এরা ইউটিউব মুফতি! অথচ তাদের সংজ্ঞা মতে ইউটিইব ও বিদাআত। তারা এতো অন্ধ যে, সিহা সিত্তার কিতাবগুলো থেকে জাল হাদীস খোজে। আর রেফারেন্স দেয় আলবানী- আর ইবনে তায়্যিমিয়ার কিতাবের। হাস্যকর বটে, আল বানী কোন যুগের, আর ইমাম আবু হানিফা কোন যুগের। ইমাম আবু হানিফা (রাহ:) কাছে নাকি হাদীস আসে নি তাদের বাবা আল বানী-তায়্যিমিয়ার কাছে হাদীস এসেছে। অথচ তারা এটাও জানে না যে, ইমাম আবু হানিফা (রাহ:) ছিলেন তাবেঈ। আর হাদীসের সংজ্ঞা মতে, নবী করীম (দ) ,সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ’ন দের কথা ,কাজ এবং মৌন সমর্তনকে হাদীস বলে।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৬

সনেট কবি বলেছেন: আমার আজ পর্যন্ত এটা বুঝে আসেনি যে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) উপর কিভাবে ইমাম বোখারীকে (রঃ) প্রাধান্য দেওয়া যায়।

৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২০

রেযা খান বলেছেন: আমি দু:খিত রহমাতুল্লাহি তা’আলা আলাইহি কে সংক্ষেপে লিখতে গিয়ে ইমোজি হয়েগেছে। যা দৃষ্টিকটু দেখাচ্ছে।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সনেট কবি বলেছেন: এমন একটু আধটু ভুল অনেক সময় হয়। এ নিয়ে উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।

৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

সমুদ্রচারী বলেছেন: আমাদের মাঝে সহনশীলতা জিনিসটার বড়ই অভাব। অন্যের চিন্তাভাবনাকেও আমাদের সন্মান জানাতে হবে এবং কোন কিছু নিয়েই অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা যাবে না।এবার মসজিদেও দেখলাম শবে বরাত নিয়ে ইমামগন যারা শবে বরাত মানে না তাদের নিয়ে কড়া বক্তব্য দিচ্ছেন ।কেউ যদি মনে করেন শবে বরাত নেই তাকে তার মত থাকতে দিন।প্রত্যেকের নিজ নিজ আমল তো নিজের কাছেই থাকবে।আপনি যা বিশ্বাস করেন আপনি তাই মেনে চলুন ।
এ কথা সত্য যে পীর ,মাশায়েখদের বদৌলতে এই উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার ঘটেছে তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে পীরদের বাড়তি সন্মান জানানো হয়।কিন্তু এই সন্মানের নামে মাজারে যা কিছু হয় তার সব-ই কি সমর্থনযোগ্য ?

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৯

সনেট কবি বলেছেন: এখানে মাজারের প্রসঙ্গ আসেনি। আর মাজারের সমর্থন ব্যাপক নয়। যারা এর ভক্ত, তারা কেন ভক্ত জানি না। তাদেরকে এর যুক্তিকতা তুলে ধরতে দেখিনি।

৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

কানিজ রিনা বলেছেন: যেমন সমর্থন করা যায়না বিদাত বিদাত চিল্লা
মিল্লি করা ফতোয়াবাজদের তেমনই মাজারে
মাজারে বাড়াবাড়ি রকম কান্ডকারখানা সমর্থন
করা ঠিকনা। আজকাল আবার রাস্তায় গজিয়ে
উঠা পীরদের ব্যবসার পসড়া দেশের সকল
এলাকায় দেখা যায়। এইসব পীরের তাবেদারীর
কারনে আমরা আসল পীরের গীবদে যেন
লিপ্ত না হই। এখন একচেটিয়া ভাবে ইসলামীক
মৌলানাদের হুজুর বলে সম্যধোন করা হয়।
কিন্তু সে যুগের মুসলিমরা মহানবী হুজুর সাঃ
কে সম্মান দেখিয়ে যারতার হুজুর বলে
সম্যধোন করে নাই। যারা ইসলাম প্রচারে
এই ভারত উপমহাদেশে এসেছিলেন তারা
অনেক ত্যাগ করেছিলেন ইসলাম প্রচারে।
তারা পীর আওলীয়া নামে পরিচিত।
আসল পীর আওলিয়া যারা এসেছিলেন
ইসলাম প্রচার করতে মধ্যোপাচ্য থেকে।
হযরত মোহাঃ সঃ ওফাতের পড়ে প্রধান চার
খলিফার বংশধরেরা। তারাই পীর আওলিয়া
নামে ক্ষ্যাত।
এখন যারা বিদাত বিদাত নামে পরিবর্তন
করতে উঠে পড়ে লেগেছে তারা মওদূদীবাদী
ওয়াহাবী মতদর্শনে সৌদী রাস্ট্রের তাবেদার।
এখন মূখোশ উন্মচোন হয়েছে তারা খৃষ্টান
ইহুদীর কাছে মাথা নত করে চলে। ধন্যবাদ।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১১

সনেট কবি বলেছেন: বাস্তবতার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন। আশাকরি পাঠকেরা সহজে বুঝতে পারবে।

৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

Doctor hasnat বলেছেন: Eto gula sonnet prosob korlen ki kore..ami o record gorlam apnr profile dekhe...

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১২

সনেট কবি বলেছেন: কি ভাবে রেকর্ড গড়লেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.