নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাযহাব লা মাযহাব দ্বন্দ্ব (পর্ব-১)

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৩



লা মাযহাবী সম্প্রদায় ফিকাহ মানাকে বলছে তাকলিদ বা ব্যক্তি অনুসরন অথচ বোখারী শরিফ মানাকে তাকলিদ বা ব্যক্তি অনুসরন না বলে হাদিসের অনুসরন বলছে।অথচ ব্যক্তি ফিকাহতে কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী মাসয়ালা লিখেছেন আর ব্যক্তি বোখারী শরিফে হাদিস লিখেছেন।তাহলে একটা ব্যক্তি অনুসরন হবে আরেকটা কেন হবেনা? ফিকাহতে হাদিসের সাথে কোরআন যুক্ত হওয়াতে কি হাদিসের জাত গেল নাকি? সমস্যাটা তৈরী হয়েছে ফিকাহ ও হাদিসের কিছু গরমিল নিয়ে। এখন প্রশ্ন হলো উক্ত গরমিলে ফিকাহ সঠিক নাকি হাদিসের কিতাব সঠিক? গরমিলের ক্ষেত্রে হতে পারে ব্যক্তির লেখা হাদিস মহানবির (স.) নয়, অন্যের হাদিস মহানবির (স.) নামে চালানো হয়েছে।হতেপারে ব্যক্তির মাসয়ালা সংক্রান্ত কিয়াছের কোরআন ও হাদিসের ভিত্তি নেই।এ ক্ষেত্রে যেটার সঠিকতা নিশ্চিত হওয়া যাবে সেটাই মানতে হবে। এক্ষেত্রে হানাফী ফিকাহ যে কোন হাদিস গ্রন্থের চেয়ে অধিক শক্তিশালী।কারণ সহিহ লেখা হাদিস গ্রন্থ সমূহে রয়েছে অসংখ্য ভুল।এগুলোর নাম থেকেই ভুলের শুরু।যেমনঃ-
আল্লাহ বলেছেন তাঁর কিতাবে ভুল নেই। তারমানে আল্লাহর কিতাব সহিহ বা শুদ্ধ। বোখারী (র.) বলেছেন তাঁর কিতাব সহিহ বা শুদ্ধ।কিন্তু আল্লাহ আলেমুল গায়েব, বোখারী (র.) আলেমুল গায়েব নন।আল্লাহর কিতাব আল্লাহর বাণী। বোখারীর কিতাব মহানবির (স.) হাদিস হলেও বোখারী (র.) সেটা মহানবি (স.) থেকে প্রাপ্ত নন।তিনি সেটা প্রাপ্ত হয়েছেন পঞ্চম রাবী থেকে। যার চারজন রাবীর সাথে বোখারীর (র.) সাক্ষাত ঘটেনি। আর বোখারী (র.) পঞ্চম রাবীর উপর দেখেছেন ভিতর নয়।কাজেই আল্লাহর তাঁর কিতাব শুদ্ধ বলা ও বোখারীর (র.) তাঁর কিতাব শুদ্ধ বলায় পার্থক্য অনেক।আল্লাহর কিতাবের কোন তথ্য কেউ ভুল প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু বোখারীর (র.)ভ্রুণ সংক্রান্ত হাদিসে পরিবেশিত তথ্য শতভাগ ভুল প্রমাণ করেছেন, বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান গ্রন্থের লেখক ড. মরিচ বুকাইলি।বুকাইলি বলেছেন সমাজে প্রচলিত কিছু কথা অনেকে কায়দা করে মহানবির (স.) নামে চালিয়ে দিয়েছে। যা হাদিসের কিতাব সংকলকগণ সনাক্ত করতে পারেননি।তাতে করে যা মোটে মহানবির (স.) হাদিস নয় তা’ সহিহ হাদিস পরিচয়ে বিদ্যমান রয়েছে।তিনি বলেছেন যিনি হাদিস সংকলন করেছেন এর দায় তাঁর নয়, এর দায় হাদিসের রাবীর। যাদের অনেকের সাথে হাদিস সংকলকের সাক্ষাত ঘটেনি।এখন ভুল হওয়ার এমন সম্ভাবনার মধ্যে হাদিস সংকলক তাঁর কিতাবকে সহিহ ঘোষণা করলেন কেমন করে? আল্লাহ তাঁর কিতাব সহিহ বলবেন বিধায় তাঁরাও কি তাঁদের কিতাব সহিহ বলতে পারেন? তাদেরতো আলেমুল গায়েব হওয়ার যোগ্যতা নেই।কাজেই এসব হাদিস গ্রন্থের নাম থেকেই ভুলের শুরু।কাজেই ফিকাহ ছুড়ে ফেলে এসব হাদিস গ্রন্থের অনুসারী হওয়া যুক্তি সংগত নয়। আর মাযহাব বাদ দিয়ে লা মাযহাবী হওয়াও যুক্তি সংগত নয়।
কোরআন সহিহ হওয়ার আরেকটি কারণ যিনি কোরআন সংকলনে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন,তিনি মহানবী (স.) থেকে কোরআন সরাসরি শুনে মুখস্ত করেছেন, এরপর হাফেজে কোরআনদের সাথে মিলিয়ে তিনি কোরআন সংকলন করেছেন।কিন্তু সহিহ হাদিসের দাবী করা গ্রন্থের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেনি।কাজেই এসব গ্রন্থের তাপে গলে মাযহাব ছাড়ার দাবী শক্তিশালী নয় বিধায় সে দাবী বরাবর অগ্রাহ্য হয়ে আসছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল কবি ভাই। আগামীকাল থেকে তো রমজান শুরু হতে চলেছে। তবে আজকের দ্বন্দ্বটি যেন মাথার উপর দিয়ে চলে গেল। আমি ওসব দ্বন্দ্ব তদ্বন্দ্বের বিরোধী। চিরকাল হেরে পথ বয়েছি। আগামীতেও সেই হেরেই চলতে চাই। বরং রমজানের কোলাকুলিতে মেতে উঠি এখন। আপনাকে অনুরোধ রইল রমজানের কোলাকুলি নিয়ে একটি সনেট রচনা করার।


অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

সনেট কবি বলেছেন: দ্বন্দ্বকে এড়িয়ে চলতে চাইলেও দ্বন্দ্ব এসে গলা জড়িয়ে ধরে। দীর্ঘ্য কাল যাবৎ মানুষ মাযহাবের অনুসরন করে আসছে। এখন হঠাৎ সৌদি অনুপ্রেরণায় একদল মাযহাব ছাড়তে বলছে। এখন বিষয়টি বোধগম্য না হলে কেউ মাযহাব ছাড়বে কি?

২| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আপনি প্রতিদিন দু-চারটি সনেট লেখেন এগুলো বাদ দিয়ে; সনেট লিখে গিনেজ বুকে নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

সনেট কবি বলেছেন: অর্ক আমাকে কদবেল পুরস্কার দেওয়ার কথা বলেছে। যাক আমি কদবেল খুব পছন্দ করি। এখন কথা হলো মাযহাবী থাকব না লা মাযহাবী হব এ নিয়ে আমিও বিস্তর ভাবছি। যদিও এখন পর্যন্ত আমার মত মাযহাবের পক্ষে। এখন আলোচনা করলে হয়ত বিষয়টা সহজবোধ্য হবে সে জন্যই আলোচনা করছি।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী কেমন আছেন?
কি খবর?
দিনকাল কেমন চলছে?

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

সনেট কবি বলেছেন: সময় কোন রকমে চলে যাচ্ছে। স্ট্রকের পর ভয়পেয়েগেছি। এখন বেঁচে আছি মৃত্যুর অপেক্ষায়।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভালো ভাবনা। স্বাগতম।

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

সনেট কবি বলেছেন: চার মাযহাব মেনে মুসলমানেরা শান্তিতেই ছিল। লা মাযহাবীরা এসে ব্যাপক ফিতনা সৃষ্টি করেছে।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: যাযাকাল্লাহ এমন যুক্তিযুক্ত উপস্থাপনের জন্য

১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

সনেট কবি বলেছেন: সবাই মিলে প্রচেষ্টা চালালে যদি মানুষ ফিতনা চিনতে পারে।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

অদৃশ্য বালক বলেছেন: লা মাযহাব বা কথিত আহলে হাদিসদের থেকে দূরে থাকা দরকার। এরা হাদিসের অপব্যাখ্যার মাধ্যেমে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে চলছে। আহলে হাদিসের মতোই আহলে কুরআন নামে আরেক দল আছে, আশা করি তাদের নিয়েও লিখবেন। আল্লাহ আমদের সঠিক পথ দেখান, আমিন।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

সনেট কবি বলেছেন: আহলে কোরআন এখনো আলচ্য বিষয়ে আসেনি। কিন্তু আহলে হাদিস মুসলমানদের ব্যাপক শান্তি বিনষ্ট করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.