নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইজমা

২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭



ফকিহগণের বিবেচনায় ইজমা বা অধিকাংশ আলেমের মত ইসলামের তৃতীয় মূলনীতি, আহলে হাদিস যা স্বীকার করেনা।‘মেজরিটি মাস্টবি গ্রান্টেড-সংখ্যা গরিষ্ঠতা অবশ্য গ্রহনীয়’, সারাবিশ্বে আইনসিদ্ধ।মাইনরিটি কি আইনসিদ্ধ হতে পারে? কোন ফোরামে যখন মতামত গ্রহণ করা হবে তখন মাইনরিটির উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে কি? কোন ফোরামে মাইনরিটির উপর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় কি? মূলত এটা রীতি বিরুদ্ধ।এ ক্ষেত্রে মাইনরিটির আলাদা দল গঠিত হবে। সে দলে মেজরিটি বহাল হবে।তারমানে দল সংখ্যা বেড়ে হলেও সর্বদা মেজরিটি বজায় থাকবে।সে জন্য মাইনরিটি কখনো আইনসিদ্ধ হবেনা।
বদর যুদ্ধের বন্দীদের কি করা হবে? এ ক্ষেত্রে অধিকাংশের মত ছিল মুক্তিপন নিয়ে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া। একজনের মত ছিল বন্দীদের হত্যাকরা। আল্লাহ বললেন, অধিকাংশের মত সঠিক নয়, একজনের মত সঠিক। আল্লাহ অধিকাংশের বেঠিক মত বাতিল করেননি। বরং সেই বেঠিক মত অনুযায়ী বদরের বন্দীদের মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কাজেই কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী ইজমা ইসলামের মূলনীতি যা অস্বীকার করা অন্যায়।যেখানে পরিস্কার অধিকাংশের মত বেঠিক বলেও আল্লাহ সে বেঠিক মত বাতিল করেননি তাতে ইজমা বিষয়ে আল্লাহর অবস্থান পরিস্কার এবং নবির (সা.) অবস্থানও পরিস্কার। তাহলে আহলে হাদিস কিসের ভিত্তিতে ইজমা অস্বীকার করে? তাদের মত আমার নিকট অদ্ভুত মনে হয় কারণ কোন শালিশে আমি কম সংখ্যকের মতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে দেখিনি। কোন সংসদেও এমনটা হয়না।বরং ভুল হউক আর শুদ্ধ হোক সকল ফোরামে অধিকাংশের মতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।যদি এক অধিকাংশের সিদ্ধান্ত ভুল হয় তবে আরেক অধিকাংশ সে ভুল সিদ্ধান্ত বাতিল করে। কম সংখ্যক কোন সিদ্ধান্ত বাতিল করলে তাকে জবরদস্তি বলে।আর কম সংখ্যক যদি মনে করে তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক তবে তাদের ফোরাম আলাদা হয়ে আবার অধিকাংশের মত গৃহীত হয়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সময়ের সাথে ইসলামের আভ্যন্তরীণ সমস্যা বাড়ছে, মনে হয়!

২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

সনেট কবি বলেছেন: আহলে হাদিস সম্প্রদায় ইসলামের মিমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করে দেওয়ায় এ সমস্যা তৈরী হয়েছে।

২| ২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

বিষাদ সময় বলেছেন: ঐক্য বজায় রাখুন

২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: আপনার ভি ডি ও লিং দেখলাম।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মেজরিটির মতামতের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কোরআন, হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা...

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১১

সনেট কবি বলেছেন: মেজরিটির ভুল হয়েছে বলে আল্লাহ নিজেই সে ভুল মেনে নিলেন। ফলে হত্যার বদলে বদরে মুক্তিপন কার্যকর হলো এবং তা’ কার্যকর করলেন আল্লাহর রাছুল (সাঃ)। এরপরো ইজমা বুঝে না আসলে কিছু করার নেই।

৪| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটায় মন ভরলো না।
আরও অনেক কিছু বাদ রয়ে গেল।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১৩

সনেট কবি বলেছেন: আমি এক সাথে অনেক বেশী বলিনা। তবে এখানে ইজমাকে যথাযথভাবে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

৫| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ সুন্দর লিখেছেন তো।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১৪

সনেট কবি বলেছেন: ইজমার যে ইসলামের মূলনীতি হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে এখানে সেটা উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি, এখন যাদের বুঝার দরকার তারা বুঝলেই হয়।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বুঝি নাই ঠিক মতো...

২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

সনেট কবি বলেছেন: বদর যুদ্ধের বন্দীদের কি করা হবে? এ বিষয়ে হজরত ওমর ছাড়া সব সাহবা বললেন, তাদেরকে মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হোক। হজরত ওমর বললেন, তাদেরতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে হত্যাকরা হোক। মহানবি (সাঃ) সংখ্যাগরিষ্ঠ সাহাবার মতের ভিত্তিতে মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। এরপর আল্লাহ অহী নাজির করে জানালেন, অধিকাংশের মত সঠিক ছিলনা। একজনের মতই সঠিক ছিল। কিন্তু আল্লাহ অধিকাংশের মতে গৃহিত সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন না। মহানবিও (সাঃ) সে সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন না। অধিকাংশের মতকে ইজমা বলে। এঘটনায় ইজমার প্রতি আল্লাহ ও তাঁর রাছুলের অনুমোদন পাওয়া যায়। এখানে ইজমা সে বিষয়ে গ্রহণ করা হয়েছে যে বিষয়ে তখনো কোরআন থেকে কোন সমাধান মিলেনি। আর রাছুল (সাঃ) একক সিদ্ধান্তে বিষয়টির সুরাহা করতে চাননি। ফলে হাদিস থেকেও সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলনা। তখন মহানবি (সাঃ) তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) ফোরামে বিষয়টি উপস্থাপন করলেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন ইজমার ভিত্তিতে। যদিও পরে আল্লাহ জানালেন ইজমা ভুর ছিল। কিন্তু সে ভুল ইজমা আল্লাহ বা তাঁর রাছুল (সাঃ) বাতিল করেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.