নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের চার মূলনীতি

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩



ইবাদতের কিছু অংশ কোরআন থেকে, বাকী অংশ হাদিস থেকে, আর দ্বন্দ্ব ও সংকট সমাধানে ইজমা ও কিয়াছ।বদরের বন্দীদের কি করা হবে এ বিষয়ে মহানবি (স.) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইজমা এর ভিত্তিতে। আবুজর গিফারীকে (রা.) হজরত ওসমান (রা.)রাবওয়াহ নামক স্থানে বনবাসে পাঠিয়েছিলেন কিয়াছের ভিত্তিতে।কারণ হজরত আবুজর গিফারী (রা.) হজরত ওসমানকে (রা.)কোরআনের আয়াত পাঠকরে স্বর্ণ ও রূপ্য (দ্বীনার ও দেরহাম বা আমাদের হিসেবে টাকা-পয়সা) সঞ্চয় করতে নিরুৎসাহিত করতেন। যদিও কোরআনের আয়াতে যাকাত না দিয়ে সঞ্চয় করতে বারণ করা হয়েছে। আর হজরত ওসমান (রা.)যাকাত দিয়ে সঞ্চয় করতেন। কাজেই কিয়াছ মতে হজরত আবুজর গিফারী (রা.) হজরত ওসমানকে (রা.) অহেতুক বিরক্ত করা বিষয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন।যার শাস্তির পরিমাণের কথা কোরআন ও হাদিসে না থাকায় হজরত ওসমান (রা.) সেটা কিয়াছ বা অনুমানের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছেন।তাঁর কিয়াছি সমাধান হলো, বিরক্তকারীকে দূরে সরিয়ে দেওয়া।কিন্তু হজরত ওসমানের (রা.) কাজ কোরআন ও হাদিসের বাইরে বা মনগড়া আখ্যা দিয়ে কিছু সংখ্যক লোক হজরত ওসমানের (রা.) বিরোধী হয়ে পড়ে।হজরত ওসমান (রা.) তাঁর যোগ্য স্বজনদের চাকুরী প্রদান করেছেন বা বিরোধী পক্ষের দাবী উপেক্ষা করে চাকুরীতে বহাল রেখেছেন এটাও বিরোধী পক্ষ হজরত ওসমানের (রা.) দোষ হিসেবে সাব্যস্ত করে। যদিও কিয়াছ মতে তাতে হজরত ওসমানের (রা.) কোন দোষ ছিলনা।অতঃপর নিজ বিবেচনায় অতি ন্যায়বান লোকেরা হজরত ওসমানকে (রা.) হত্যা (শহীদ) করে ফেলে।আর তাতে ইসলামের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা সবার জানা।বাস্তব হলো, শাসকের সামনে এমন কিছু বিষয় উপস্থিত হয় যার সমাধান কোরআন ও হাদিসে না পেলে তিনি ইজমা ও কিয়াছে বাধ্য হন। এজন্য বিজ্ঞ ফকিহগণ ইসলামের চার মূলনীতি (কোরআন হাদিস ইজমা ও কিয়াছ) ঘোষণা করেন।কিন্তু ইসলামের অতি বুঝদার বা চরমপন্থিরা ইজমা ও কিয়াছ অমান্য করার ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক ফিতনা সৃষ্টি করছে, যার শুরু তারা করেছে হজরত ওসমানের (রা.) সময়ে।তাদের ফিতনা চলতে থাকলে মসজিদ সমূহ মুছল্লী শূন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে এরা ফিকাহ অস্বীকারকারী আহলে হাদিস নামে বিদ্যমান, যারা ইজমা ও কিয়াছ মানে না।অথচ ইজমা গ্রহণ করেছেন স্বয়ং মহানবি (সা.) এবং কিয়াছ গ্রহণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ট সাহাবা জামাতা ও খোলাফায়ে রাশেদার তৃতীয় খলিফা। সংগত কারণে এ দু’টি কোরআন ও হাদিসের বাইরে নয়। কারণ কোরআনে মহানিকে (সা.) মানতে বলা হয়েছে এবং সাহাবায়ে কেরামের (রা.) উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট বলা হয়েছে। কাজেই ইসলামের চার মূলনীতি নির্ধারক ফকিহগণ ইসলামী মতে সঠিক। আর অতি ইসলাম বুঝদার আহলে হাদিস ইজমা ও কিয়াছ অস্বীকার করে সঠিক পথে নেই।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

আহলান বলেছেন: ভালো বলেছেন ..! দেখবেন এমন লেখার কারণে সেফ থেকে জেনারেল বা আরো গুরুতর অপরাধে ফেঁসে যেতে পারেন ...

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১২

সনেট কবি বলেছেন: আপনার কথায় ভয় পেয়ে পোষ্টের কিছু অংশ বাদ দিয়ে দিলাম।

২| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১০

কানিজ রিনা বলেছেন: অসাধারন উপস্থাপনা, ফিতনা সৃষ্টিকারীরা
মহাঃ নবী সাঃ জীবন আদর্শকে অশীকার
করে এবং গোটা মুসলিম বিশ্বকে ফেতনার
মাধ্যমে দন্দলিপ্ত মুসলিম নিজেরা নিজের
সক্রতায় আসীন। ধন্যবাদ।

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

সনেট কবি বলেছেন: আমাদের দেশে মসজিদে দু’পক্ষের ঝগড়ায় যে ফিতনা সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে মনে হয় অনেকেই অবশেষে মসজিদে প্রবেশের রিক্স নিতে চাইবে না। এতে করে হয়ত এক সময় মসজিদ মুছল্লি শূন্য হয়ে পড়বে।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: যার যে দায়িত্ব,
সে যদি তা পালন করতো!

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

সনেট কবি বলেছেন: তবে খুব ভাল হতো।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! খুব সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

শুভ কামনা প্রিয় কবি ভাইকে।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: নিরন্তর শুভেচ্ছা চৌধুরী সাহেব।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:




যথার্থ বলেছেন। মূল সমস্যাটা এখানেই। এরা ইসলাম ধর্মের চার মূলনীতির দু'টিকেই পরিত্যাগ করেছেন। কুরআন এবং হাদিস মানার নামে মহান সাহাবীদের আমলকে পরিত্যাগ করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। সাহাবীগন যে ন্যায়পরায়নতার মাপকাঠি, তাদের আমল পরিত্যাগ করার মাধ্যমে প্রকারান্তরে সেই সত্যটিকেও আহলে হাদিস দাবিদারগন অস্বীকার করে বসেছেন। অতি সন্নাসীতে গাজন নষ্ট- এই আর কি। এরা অতি ধার্মিক সাজতে গিয়ে ইসলাম ধর্মকেই খন্ডিত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছেন। শরিয়তের দলিল দিয়ে প্রুভ্ড (প্রমানিত) এবং প্রতিষ্ঠিত হাজার বছর যাবত মুসলিম জাহানে আচরিত অনেক আমল এরা নিজেরা ছেড়ে দিয়েছেন। অন্যদের ছাড়ানোর জন্য জোরজবরদস্তি করে সমাজে ফিতনা-ফাসাদ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে চলেছেন। অাল্লাহ পাক ক্ষমা করুন। জাতিকে এইসব বিভেদ থেকে বেঁচে সত্য সঠিক আমল করার তাওফিক দিন।

বস্তুত: ইসলামী শরিয়তের চার মূলনীতির দু'টিকেই প্রত্যাখ্যান করে এরা ইসলাম ধর্মের অঙ্গহানি করেছে। মজার কথা হচ্ছে, আমার জানামতে ইজমা এবং কিয়াস বাদ দেয়ার ফলে এরা নিজেরাও প্রায়শই জীবন-জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনের মুহূর্তে ফতোয়া তালাশ করে আটকে যায়। কারন, একথা ইসলাম ধর্মের প্রাথমিক জ্ঞান রয়েছে, এমন ব্যক্তিও জানেন, কখনও কখনও আমাদের সামনে এমন কিছু বিষয় এসে পড়ে যেসব বিষয়ে স্পষ্টত: কুরআন এবং হাদিসে সরাসরি কোনো ফায়সালা দেয়া হয়নি। এসব ব্যাপারে সাহাবীদের আমল, ইজমায়ে উম্মত, উলামায়ে হক্কানীগনের মতামত তালাশ করতে হয়। আহলে হাদিস দাবিদারগন যেহেতু সাহাবীদের আদূল (ন্যায়নিষ্ঠ) মনে করেন না, তাদের অনুসরন-অনুকরনকে যথার্থ গ্রহনযোগ্য ভাবেন না, সেহেতু তারা আটকে গেলেও ছুটিয়ে নেয়ার আর সুযোগ থাকে না। এসব ক্ষেত্রেই যুক্তিতে হেরে গিয়ে, মনমতলবি হাদিস খুঁজে না পেয়ে এরা হয়ে ওঠেন কখনও কখনও ভয়ঙ্কর উগ্রবাদী। অথচ এই উগ্রবাদের স্থান ইসলামে নেই। তখন তাদের প্রতি কৃপা করা ছাড়া উপায় থাকে না।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: প্রিয় কবি আপনার পোষ্টের মত মন্তব্যে আশাকরি ব্লগাররা উপকৃত হবে।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: Click This Link

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।

৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: মাযহাব হল, কুরআন ও সুন্নাহে বর্ণিত মাসায়েলের সংকলিত রূপ।আরেক শব্দে বললে বলতে হয়, মাযহাব অর্থ হল পথ। তাই’ কুরআন ও হাদীসে নিহিত-লুকায়িত মাসায়েল পর্যন্ত গমনের পথ হল মাযহাব।

যেমন গোসলের ফরজ কয়টি? অজুর ফরজ কয়টি? অজু ভঙ্গের কারণ কয়টি? নামায ভঙ্গের কারণ কয়টি? ইত্যাদি সংখ্যাসহ পরিস্কার শব্দে কুরআন ও হাদীসে আসেনি। কিন্তু মূল বিষয় বিদ্যমান। তো মাযহাবের ইমামগণ উক্ত বিষয়গুলোকে কুরআন ও হাদীস মন্থন করে আলাদা আলাদাভাবে উল্লেখ করে দিয়ে উম্মতের উপর ইহসান করে গেছেন।

তা’ই আমরা মাযহাবের ইমামদের জন্য দুআ করি, এবং ইবাদত করি আল্লাহর জন্য।

যেহেতু কুরআন ও হাদীসে লুকায়িত মাসায়েলের সমন্বিত রূপের নাম হল মাযহাব। তা’ই মাযহাবের বিরোধীতা মানেই হল কুরআন ও হাদীসেরই বিরোধীতা।

সুতরাং মাযহাব বিরোধীতা কোন মুসলমানই মেনে নিতে পারে না। আর মাযহাব বিরোধীতা ঠিক হবারতো প্রশ্নই উঠে না।

সিহাহ সিত্তাসহ হাদীসের প্রায় সকল সংকলকগণই কোন না কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন।

১। ইমাম বুখারী রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।

সুত্রঃ আহলে হাদীস আলেম নবাব ছিদ্দিক হাসান খান লিখিত আবজাদুল উলুম পৃষ্ঠা নং ৮১০, আলহিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৮৩।

শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৬৭।

আল্লামা তাজ উদ্দীন সুবকী রহঃ লিখিত ত্ববকাতুশ শাফেয়ী পৃষ্ঠা নং ২/২।

২। ইমাম মুসলিম রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।

সুত্রঃ ছিদ্দিক হাঃ খান লিখিত আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।

৩। ইমাম তিরমিজী নিজে মুজ্তাহিদ ছিলেন। তবে হানাফী ও হাম্বলী মাজহাবের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।

সুত্রঃ শা ওয়ালিউল্লাহ রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৭৯।

৪। ইমাম নাসাঈ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন।

সুত্রঃ নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান লিখিত আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৯৩।

৫। ইমাম আবুদাউদ রহঃ শাফেয়ী।

সুত্রঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।

আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহঃ ইবনে তাইমিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়জুল বারী ১/৫৮ তে ইমাম আবুদাউদ রহঃ কে হাম্বলী বলে উল্লেখ করেছেন।

৬। ইমাম ইবনে মাজাহ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য। সঠিক পথের দিশা পাওয়ার সহায়ক।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

মিজান.ঢাকা বলেছেন: কথাটা বোধ হয় ঠিক হলো না। ইজমা, কিয়াস মানেনা এমন ফেরকা আছে কি-না জানা নেই। আমার জ্ঞান বলে কুরআন-হাদিস ফিক্সড্‌ আর ইজমা-কিয়াস কেয়ামত পর্যন্ত পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। অথচ যারা ৮০ হিজরী থেকে ২৪১ হিজরী পর্যন্ত যেসব ইজমা এবং কিয়াস হয়েছে সেগুলোকে কুরআন-হাদিসের মতই ফিক্সড্‌ করে নিয়েছে তারা কি সঠিক পথে আছে?
জানা কথা যে, কোন কিয়াস যদি সঠিক হয় তবে কিয়াস-কারী ২ নেকী পাবেন; আর যদি ভুলও হয় তাও ১ নেকী পাবেন। আচ্ছা কিয়াস ভুল হয়েছিল কখন বোঝা যাবে? যখন কিয়াস-কারী বা অন্য কেউ পরে কখনো সঠিক বা আরো উত্তম কিয়াস করবেন। এখন কথা হলো যিনি ভুল করেছিলেন তিনিতো এক নেকী পেলেন কিন্তু সেই ভুল কিয়াস কি সঠিক বা উত্তম কিয়াসের পরেও জারী থাকবে? মানা যাবে? আমারতো মনে হয় যারা ৮০ হিজরী থেকে ২৪১ হিজরীর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ইজমা-কিয়াসকে কুরআন-হাদিসের মতো অপরিবর্তনীয় ও অবশ্য পালনীয় বানিয়ে নিয়েছে তারাই ভুলের মধ্যে আছে।
বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণের সাথে সাথে পূর্বের ইজমা, কিয়াসের পরিবর্তন হতে পারে। কিয়াস করার সময় কিয়াসকারীর সংগ্রহে কোন হাদিস না থাকা বা কোন হাদিসের মর্ম সঠিক ভাবে না বুঝার কারণে ও ভুল কিয়াস হতে পারে। সেই ভুল ধরা পড়ার পর এবং প্রমাণ হওয়ার পরও যদি কেউ বলে; দুইটাই ঠিক (পূর্বের দুর্বল বা ভুল কিয়াসকে যারী রাখার জন্য) অথবা যদি বলে তোমার যুক্তি ঠিক আছে হাদিসও ঠিক আছে কিন্তু আমার ইমাম বলে নাই তাই মানা যাবেনা; তাহলে তাদের ভেবে দেখা উচিৎ তারা আসলে কাকে মানছে নবী (সঃ)কে না ইমামকে।
সব ইমামগণই বলে গেছেন "আমার কোন কথা যদি কুরআন-হাদিসের সাথে না মিলে তাহলে আমার কথা ছেড়ে দাও; কুরআন-হাদিস মানো।" তাহলে কেন সকল ইমামদের সঠিক মতগুলো গ্রহণ করা যাবে না?

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

সনেট কবি বলেছেন: যাদের সঠিকতা ও বেঠিকতা নিরূপন করার যোগ্যতা নেই তারা, ‘আমার ইমাম বলে নাই তাই মানা যাবেনা’ এমনটাই বলবে। কিন্তু যে সঠিকতা ও বেঠিকতা পরিমাপ করতে পারে সে নিজে থেকেই এমনটা না বলে সঠিকটা মেনে চলবে।

৯| ২৬ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এ ক্ষেত্রে মেধাবী, যোগ্য ফিকাহ শাস্ত্রবিদরাই একসাথে বসে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। যেমন - সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির ফতোয়া অনেকেই গ্রহণ করে থাকেন। যদিও সৌদি আরব বিষয়ে অনেকের এলার্জি থাকতে পারে। তাই যে কোন নতুন সমস্যার সমাধান যদি কোরআন, সুন্নাহতে না পাওয়া যায় তখন কোন ইসলামিক ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা চলতে পারে...

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২২

সনেট কবি বলেছেন: আর স্বীকৃত সে ইসলামী ফোরামের সংখ্যা গরিষ্ঠের মতই হবে ইজমা। যেমন সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) ফোরাম স্বীকৃত ছিল। এখনও যদি এমন কোন ফোরাম সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানের স্বীকৃত হয় তবে তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠের মত ইজমার স্বীকৃতি পাবে।

১০| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিন্তু তারপরও দেখা যাবে সেই ফোরামের বিপরীতে আরো ফোরাম দাঁড়িয়ে যাবে। সবার প্রথমেই বিপক্ষে থাকবে ইরানের শিয়ারা। তারপর উপমহাদেশের দেওবন্দ...

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

সনেট কবি বলেছেন: পক্ষে বিপক্ষে লোক থাকবেই তারপরো সংখ্যা গরিষ্ঠকে একদিকে জড়ো করার চেষ্টা করতে হবে। আর কাজটা যোক্তিক করা গেলে অন্যদেরকে বুঝিয়ে নিতে হবে। আর যারা কোন যুক্তির ধার ধারেনা তাদের এ প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখাই শ্রেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.