নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানসুখ সহিহ হাদিস

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৩



হাদিস সহিহ কিন্তু মানসুখ। এমন সহিহ হাদিসের আমল নামাজে বাড়তি কাজ।আর নামাজে বাড়তি কাজ করলে নামাজ ভঙ্গ হয়।আহলে হাদিস যে হাদিসের আমল করছে ছুন্নাত মনে করে, উল্টা সে হাদিসের আমলে তাদের নামাজ বরবাদ হচ্ছে।নামাজে জোরে আমিন বলা, বুকে হাত বাঁধা ও রফে ইয়াদাইন করা সংক্রান্ত হাদিস মানসুখ। কাজেই সহিহ হলেও নামাজে এসব কাজ করা হলে বিধিমত নামাজ ভঙ্গ হবে।
ইমাম আবু হানিফা (র.) এসব হাদিসের আমল বাদ দিয়েছেন। আহলে হাদিস বলছে ইমাম আবু হানিফা (র.) এসব হাদিস পাননি। যদিও তাদের দাবীর কোন সত্যতা নেই।বরং তিনি এসব হাদিস পেয়েও এসব হাদিসের আমল করেননি এ কথার সত্যতার প্রমাণ বিদ্যমান। কারণ ইমাম আবু হানিফা (র.) হজরত আলীর (রা.) রাজধানী কুফার বাসিন্দা। হজরত আলীর ইমামতিতে নামাজ আদায়কারীলোকদের ইমাম আবু হানিফা (র.) পেয়েছেন, কারণ তিনি তাবেঈ।হজরত আলীর (রা.) পিছনে নামাজ আদায়কারীরা একযোগে এসবকাজ ছেড়ে দেবেন তা হতে পারেনা। আর হজরত আলী (রা.) মহানবির (সা.) মত নামাজ পড়েননি এমন কথাও সংগত নয়। সুতরাং সাব্যস্ত হলো যে মহানবি (সা.) এসব কাজ আগে করলেও পরে তা’ছেড়ে দিয়েছেন।যার কারনে হজরত আলী (রা.) ও তাঁর পিছনে নামাজ আদায়কারী মুছল্লিরা এসব কাজ করেননি। কাজেই প্রমাণীত হলো যে এসব কাজ মানসুখ। কাজেই সহিহ হাদিসে এসব কাজের কথা বলা থাকলেও নামাজে এসব কাজ করলে ছুন্নাত আদায়ের বদলে নামাজ ভঙ্গ হবে। শয়তান মানুষের নামাজ বরবাদ করতে সহিহ হাদিসের দোহাই দিয়ে মানুষকে এসব কাজ করতে প্ররোচিত করছে যেন মানুষের কষ্ট করে আদায় করা নামাজ বরবাদ হয়।
হাদিস যারা লিখেছেন তারা সহিহ হাদিস লিখলেও তাতে কোনটা চলমান আর কোনটা মানসুখ বা রহিত সেটা আলাদা করেননি। তবে মানুষ জানে এসব হাদিসের আমল করা যাবে না। সেজন্য এসব সহিহ হাদিসের বয়স হাজার বছর ছাড়িয়ে গেলেও সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমান এসব সহিহ হাদিসের আমল করে না।জানার বিষয় হলো হাদিস সহিহ হলেও যদি তা’ মানসুখ হয় তবে তার আমল করা সংগত নয়। এটা যেন মহানবিকে (সা.) এটা বলা যে আপনি এ কাজ ছেড়ে দিলে কি হবে, আমরা কিন্তু ছাড়িনি।এভাবে এসব হাদিসের আমলের দ্বারা মহানবির (সা.) সাথে মশকরা হয়।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৬

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বড় জটিল বিষয়।

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: ক্লিনভাবে ভাবলে বিষয়টি বুঝতে কষ্ট হয়না। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে সহিহ হওয়া সত্ত্বেও মানুষ কেন কিছু হাদিসের আমল করতেই চায় না। এর প্রকৃত কারণ এসব হাদিসের আমল করলে উল্টা ইবাদতের ক্ষতি হয়।

২| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: বড় স্পষ্ট কিছু কথা বললেন। যৌক্তিক ও মানানসই। আমার কাছে ভাল লেগেছে। তাছাড়া অগ্রাহ্য করার মত এখানে কোন সুযোগ নেই।
আশাকরি, এতে আমাদের সমগোত্রীয় আহলে হাদিস দাবীদারী ভাইয়েরা নিজেদের ভূল বুঝতে পারবেন!

ধন্যবাদ কবি।

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৮

সনেট কবি বলেছেন: ভুল যারা করে তারা সেটা সহজে বুঝতে চায় না। মাযহাব মেনে মুসলমানরা শান্তিতেই ছিল। আহলে হাদিস হঠাৎ মাযহাবের বিরোধীতা করে। মুসলমানদের শান্তি নষ্ট করে। এ কাজে সৌদি ভুমিকা থাকায় মুসলমানরা তাদের এ অভিবাবক রাষ্ট্রকে ভাল নাবেসে বরং ঘৃণা করে।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট++।

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৩

সনেট কবি বলেছেন: পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

শামচুল হক বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে বিষয়টি পরিষ্কার হলো। আমার মনেও এসব প্রশ্ন দীর্ঘ দিন হলো জমা ছিল। ধন্যবাদ

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৩

সনেট কবি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

মিজান.ঢাকা বলেছেন: হানাফি মাযহাবের (১২ হাজার মাসআলা সম্বলিত) মুল কিতাব "আল মুখতাসারুল কুদুরী" কত সালে লেখা হয়েছে কে লিখেছে তা কারোই জানা নাই। তবে হানাফি মাযহাবের এই মুল কিতাবের শুরুতে লিখা আছে যে আবুল হাসান বলেছেন....। এতে প্রমান হয় যে,আবুল হাসান ১২ হাজার মাসআলাহ বলেছেন,অন্য কেউ তা লিপিবদ্ধ করেছেন। কিন্তু কে লিখেছেন,তার নাম, ঠিকানা কিছুই জানা যায় না। অতএব, সংকলনকারীর নাম ও ঠিকানা বিহীন এই গ্রন্থখানাই হল হানাফি মাযহাবের নির্ভরযোগ্য কিতাব।

তিনি (আবুল হাসান) জন্মগ্রহন করেছেন ৩৬২ হিজরীতে। মৃত্যুবরণ করেন ৪২৮ হিজরীতে। আর ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) জন্মগ্রহন করেছেন ৮০ হিজরীতে আর মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫০ হিজরীতে। কুদুরী সংকলনের আনুমানিক সময় (আবুল হাসানের জন্ম ও মৃত্যুর সনের আলোকে) ধরে নিলে তা হবে ইমাম আবু হানিফার মৃত্যুর প্রায় ২৫০ বছরের ও বেশী। তাহলে আবুল হাসানের সাথে ইমাম আবু হানিফার কখনোই দেখা হয় নাই। আবার আবুল হাসান ইমাম আবু হানিফার কথাগুলো কিভাবে পেয়েছেন তার রেওয়ায়েত (দলিল) উল্লেখ করেন নাই।

অতএব, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)র নামে বর্ণিত কথাগুলির কোন সূত্র নাই। তেমন বহু কথা আছে যা ইমাম আবু হানীফারও নয়, তাও হানাফি মাযহাব বলে পরিচয় দেয়া হয়। যেমন- ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)র মতে মাটি জাতিয় সমস্ত বস্তূ দ্বারা তায়াম্মুম জায়িয। যেমন বালি, পাথর, চুন, সুরকী, সুরমা, হরিতাল [কুদুরী] এ কথাটা ইমাম আবু হানীফার নামে বলা হল। কিন্তু ইমাম আবু হানীফার মৃত্যুর ২১২ বত্সর পর জন্ম নিয়ে কোন সূত্রে আবু হানীফার কথাটা পেলেন লেখক তা বললেন না। অতএব, কথাটা আবু হানীফা (রহঃ)র তা বিশ্বাস করার যুক্তি কি?

কুদুরীতে লেখা আছে- "যদি কোন ব্যক্তির শরীরে বা কাপড়ে এক দিরহাম পরিমান (এক তোলা; অর্থাৎ রিয়াদ মিউজিয়ামে রক্ষিত দিরহামকে নমুনা ধরা হয়েছে) রক্ত, মল-মুত্র, মদ লেগে থাকে তাহলে তা সহ নামায় পরা জায়েয হবে [কুদুরী]।"
এ মাসাঅালাটা কে রচনা করেছেন, তার নাম নাই। অথচ এটা কুরাআনে নাই, হাদীসে নাই, কার কথা তারও নাম নাই। আর এটাই মানা হচ্ছে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)র নামে।

এ হানাফী মাযহাব চালু হয়েছে ইমাম আবু হানীফার মৃত্যুর (৪২৮-১৫০)=২৭৮ বত্সর পর। বিশ্বের প্রায় সকল সহীহ হাদীস সংকলনের বহু বছর পর।

পৃথিবীর সর্বপ্রথম সহীহ হাদীসের সংকলন হয় মুয়াক্তা মালিক যা সংকলিত হয় ১৭৯ হিজরীতে। অতএব:-
1: কুদুরী মুয়াত্তা মালিকের প্রায় ২৪৫ বত্সর পর রচিত হয়।
2: সহীহ আল বুখারীর প্রায় ১৭০ বত্সর পর।
3: সহীহ মুসলিমের প্রায় ১৬৫ বত্সর পর।
4: সুনান আবু দাউদের প্রায় ১৬৫ বত্সর পর।
5: সুনান তিরমিযীর প্রায় ১৫০ বত্সর পর।
6: সুনান ইবনু মাজার প্রায় ১৫০ বত্সর পর।
7: সুনান নাসাঈর প্রায় ১২৫ বত্সর পর।
অর্থাৎ সিহাহ সিত্তার সংকলনের বহু বছর পর (হানাফি মাযহাবের কিতাব) আল মুখতাসারুল কুদুরী লিপিবদ্ধ হয়। এই কিতাবে সিহাহ সিত্তার কোন বরাত নেই।
অতএব, প্রশ্ন: হানাফী মাযহাবের সাথে হাদীসের কি সম্পর্ক? তেমনই প্রশ্ন; ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)র সাথে কি সম্পর্ক?

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১১

সনেট কবি বলেছেন: ইবাদত চালু হওয়ার পর একদিনের জন্যও সেটা বন্ধ হয়নি। কাজে কুদুরীতে ভুল কিছু উপস্থাপিত হলে সেটা আলেমদের অগোচরে থাকার কথা নয়। তা’ছাড়া বইটি যেহেতু পাঠ্য সেহেতু বলা যায় এর ওজন আছে। ইসলাম মূলত যাত্রা শুরু করেছে মুখে মুখে। কোরআন ও হাদিস ইবাদতে একত্রে মিশেছে শুরু থেকেই। তো ইবাদতে কোন কিছু যুক্ত করা বা এর থেকে কোন কিছু বাদ দেওয়া সহজ নয়। এ জন্যই সহিহ মানসুখ হাদিসকে মানসুখ বাদ দিয়ে চলমান হিসেবে মুসলমানদের গিলানো যায়নি। চলমান ইবাদতকে যে কিতাব দিয়ে বদলানো যায় না, এটা তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। হানাফী মাযহাবের কোন কিতাব কখন লিখা হলো এটা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ ধারাবাহিক ভাবেই হানাফী মাযহাব এর অনুসারীদের আমলে রয়েছ্ েএখন ম্নসুখ সহিহ হাদিস দিয়ে যা উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে ঘটনা এ পর্যন্ত।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

মিজান.ঢাকা বলেছেন: ইসলাম আবোগ এবং রসমের ধর্ম নয়। ইসলাম দলিলের ধর্ম। যে কারণে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেছেন: "ইযা সাহ্‌হাল হাদিস ফাহুয়া মাযহাবি - (যদি হাদিস সহিহ হয় ওইটাই আমার মাযহাব)।"

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৪২

সনেট কবি বলেছেন: হাদিস চলমান সহিহ হাদিস হলে তাঁর মাযহাব হবে মানসুখ সহিহ হাদিস হলে তাঁর মাযহাব হবে না। কোরআনের মানসুখ আয়াতও (যার হুকুম রহিত) দলিল সাব্যস্ত করেনা। যেমন স্বর্ণ রূপ্য সঞ্চয় কারীদের জাহান্নামের আগুনের সুসংবাদ প্রদান সংক্রান্ত আয়াতের হুকুম যাকাতের আয়াত দ্বারা রহিত হয়েছে। এখন যাকাত দিয়ে স্বর্ণ রূপ্য সঞ্চয় করলে আর জাহান্নামে যেতে হবে না।

৭| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৩

নতুন বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=VX-Pr5RQFcg

এই ভিডিওতে ৯টা সহী হাদিসের রেফারেন্স আছে যে জোরে বলা যাবে।

https://www.youtube.com/watch?v=gbP9SCKgyN0

ভাই উপরে মিজান ঢাকা ভাই তো আরো বড় জিনিস নিয়ে আসলো। যত সময় পরে এই হানাফী মাজহাব শুরু হয়েছে তাতে যথেস্ট বিকৃতির সুযোগ আছে।

এখন আপনি বলছেন যে সহী হাদীস বাতিল?

ধম` এতো ঠুনকো জিনিস না যে কেউ আমিন জোরে বললে নামাজ বাতিল হয়ে যায়। এই রকমের বিষয় নিয়ে কাদাছোড়া ছুড়ি করলে মানুষই ধম` থেকে দুরে চলে যাবে।


এবং আসলে এই কারনেই মানুষ ধম` থেকে দুরে চলে যাচ্ছে।

দেশে হাজারো ভন্ড পীর,মাজারের টাকার ধান্দায় মানুষ ধম`কে ভন্ডামী হিসেবে দেখা শুরু করবে আস্তে আস্তে।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

সনেট কবি বলেছেন: সহিহ হাদিস মানসুখ হলে এর আমল বাতিল হবে। কারণ মানসুখ মানে রহিত। কিন্তু সহিহ হাদিস মানসুখ না হলে বাতিল হবে সেটা আমি বলিনি। আর হাদিসকে সহিহ যযীফ বলছে ব্যক্তি তার অনুমানের ভিত্তিতে। তা’ কতটুকু সঠিক বলেছে সেটাও দেখতে হবে।

৮| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৫

শহীদ আম্মার বলেছেন: @মিজান.ঢাকা বলেছেন: ইসলাম আবোগ এবং রসমের ধর্ম নয়। ইসলাম দলিলের ধর্ম। যে কারণে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেছেন: "ইযা সাহ্‌হাল হাদিস ফাহুয়া মাযহাবি - (যদি হাদিস সহিহ হয় ওইটাই আমার মাযহাব)।"
আপনি ইমাম আবু হানিফার (রহঃ) বক্তব্যগুলো সনদের ধারাবাহিকতায় ঘাটতি আছে বলে এর উপর নির্ভর করতে আপত্তি করেছেন।
তাহলে তাঁর উপরের বক্তব্যের উপর কিভাবে নির্ভর করলেন। ঐ বক্তব্যের নির্ভরযোগ্য কোন সনদ আছে আপনার কাছে?

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:১০

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর যুক্তি।

৯| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:১২

আ.আ.আজাদ বলেছেন: েখক ভাই, দয়া করে বলবেন কি, সহিহ হাদিস গুলো রহিত করল কে বা কারা? কিসের ভিত্তিতে? তারা কোন জাহান্নামের কিট?

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

সনেট কবি বলেছেন: অন্যের হাদিসকে কেউ সহিহ হাদিস বলে চালিয়ে দিলেই সেটা সহিহ হাদিস হবেনা। সহিহ হাদিস হতে হলে সেটা মহানবির (সাঃ) হাদিস হতে হবে।

১০| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: কোর আন হাদী মানলেও দিন যায়, না মানলেও দিন যায়।

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: দিন কখনো বসে থাকে না। হিসেব কষতে হয় সঠিকতা ও বেঠিকতার।

১১| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সহিহ হাদিস মানসুখ হলে এর আমল বাতিল হবে। কারণ মানসুখ মানে রহিত। কিন্তু সহিহ হাদিস মানসুখ না হলে বাতিল হবে সেটা আমি বলিনি।

হাদিস বাতিল করার অথোরিটি কে?

২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

সনেট কবি বলেছেন: যে সব হাদিস ফিকাহ এর ইমামদের আমলে নেই সেগুলোকে তাদের দৃষ্টিতে বাতির বলে ধরা হয়। এটা যোক্তিক হিসাব। কারণ নতুবা তারা সে সব হাদিস মানেনা কেন? এখানে নিদৃষ্ট কোন অথরিটি নেই। মুসলমানদের সমস্যা হলো খ্রিস্টানদের মতো তাদের একজন বিশ্ব ধর্মীয় প্রধান নেই।

১২| ২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নতুন বলেছেন: রাসুল সা: এর হাদিস বাতিল করার ক্ষমতা ইমামরা কবে পেল?

রাসুল সা: যা করেছেন তা বাতিল বলার ক্ষমতা কোন ইমামের নেই। এটা আপনাদের ভুল ধারনা যে ইমামরা করেনাই তাই এটা বাতিল....

বাতিল করার অথ` হইলো যে রাসুল সা: ঠিক জানিস করেন নাই তাই ইমামরা সেটা বাতিল করেছেন...

এটা অনেক বড় কথা...

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

সনেট কবি বলেছেন: ইমাম সেটা বাদ দিয়েছেন রাসুল (সাঃ) বাদ দেওয়ার কারণে। আর রাসুল (সাঃ) বাদ দেওয়ার পর ইমাম বাদ না দিলে সেটা কেমন হয়ে যায় না?

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৪

শহীদ আম্মার বলেছেন: ১১ নং প্রশ্নের উত্তরে সনেট কবি বলেছেন: যে সব হাদিস ফিকাহ এর ইমামদের আমলে নেই সেগুলোকে তাদের দৃষ্টিতে বাতির বলে ধরা হয়। এটা যোক্তিক হিসাব। কারণ নতুবা তারা সে সব হাদিস মানেনা কেন? এখানে নিদৃষ্ট কোন অথরিটি নেই। মুসলমানদের সমস্যা হলো খ্রিস্টানদের মতো তাদের একজন বিশ্ব ধর্মীয় প্রধান নেই।
জনাব, আপনাকে আগেও বলেছি আবার বলছি,
যে কাজ আপনার না সেকাজ আপনি করে আরো ঝামেলা বাধিয়ে দিচ্ছেন। ভাল করে শুনুন,
কোন হাদিস কোন ইমাম রহিত করতে পারেনা। কুরআনের আয়াত, হাদীস বা কোন হুকুম মানসূখ তথা রহিত হওয়ার বিষয়টি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বক্তব্য বা আমল দ্বারাই প্রমানতি। এসব আমরা হাদীসে এবং সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য থেকে জানতে পেরেছি। আপনি এসব বানোয়াট যুক্তি কেন দিচ্ছেন?

২৮ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪৭

সনেট কবি বলেছেন: ঘটনা হলো যিনি যে হাদিসের আমল করেননি তিনি হয় সেটা মহানবির (সাঃ) হাদিস মনে করেন না। অথবা তাঁর দৃষ্টিতে সেটা মানসুখ বা আমল যোগ্য নয়। এখন মহানবি (সাঃ) ছাড়া অন্যকারো হাদিস মুসলমানদের মানার দরকার কি? এযেটা মোটে মহানবির (সাঃ) হাদিস নয় সেটাকেতো হাদিসের তালিকা থেকে বাদ দিতেই হবে। আর মহানবি (সাঃ) নিজেও তাঁর নামে বানোয়াট হাদিস প্রচার করার কথা বলেছেন। কোন হাদিস যদি জাল হয় তবে সে হাদিস ইমাম কেন আমিও রহিত করতে পারি। জনাব আমার মনে হয় আপনিও না বুঝে কথা বলেন।

১৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৯

নতুন বলেছেন: বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=VX-Pr5RQFcg

এই ভিডিওতে ৯টা সহী হাদিসের রেফারেন্স আছে যে জোরে বলা যাবে।

https://www.youtube.com/watch?v=gbP9SCKgyN0

এখানে ৯টা সহী হাদিসের রেফারেন্স আছে।

আপনি দেখান যে এই হাদীস গুলি রাসুল সা: বাদ দিয়েছিলেন।

২৮ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: মহানবির (সাঃ) নামে বহু হাদিস বানানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো মানসুখ না হলে আবু হানিফার (রঃ) মত একজন ফরহেজগার তাবেঈর আমলে এটা নেই কেন?

১৫| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৩১

শহীদ আম্মার বলেছেন: Click Link

২৮ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫৫

সনেট কবি বলেছেন: ফিতনা ফাছাদের যুগে কারো কথা যাচাই বাছাই না করে মানার কোন সুযোগ নেই।

১৬| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫১

মিজান.ঢাকা বলেছেন: @শহীদ আম্মার বলেছেন: "@মিজান.ঢাকা বলেছেন: ইসলাম আবোগ এবং রসমের ধর্ম নয়। ইসলাম দলিলের ধর্ম। যে কারণে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেছেন: "ইযা সাহ্‌হাল হাদিস ফাহুয়া মাযহাবি - (যদি হাদিস সহিহ হয় ওইটাই আমার মাযহাব)।""

ইমাম আবু হানিফার উপরোক্ত কথার দলিল: রাদ্দুল মুহতারঃ ১ম খন্ড/৪৬২ পৃষ্ঠা।

২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৩

সনেট কবি বলেছেন: উহা সহিহ গ্রন্থতো?

১৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১৮

নতুন বলেছেন: তাহলে আপনি ইমাম আবু হানিফার অনুসারী....

যেখানে যাকির নায়কের ভিডিওতে ৮টা সহী হাদিসের রেফারেন্স আছে.... তার পরে আপনি কিভাবে এটা কে জাল হাদিস বলেন?

আর যদি ইমাম হানিফা সেটা আমল না করেন তবে সেটা কিভাবে বাতিল হাদিস হয়?

অন্য ইমাম তো এর আমল করেছিলেন.... তাহলে তিনি কিভাবে ঐ হাদিস পেলো?

ধম`কে আপনারা অন্ধবিশ্বাসের দ্বারা বিতকি`ত করছেন।

আপনি যেই ইমাম আবু হানিফার অনুসরন করছেন তিনি রাসুল সা: এর মারা যাবার কত বছর পরে জন্মেছেন? কত বছর পরে তিনি ইমাম হবার মতন জ্ঞান অজ`ন করেছেন?

সময়ে অনেক কিছুই পাল্টে যায়্। এখনকার মতন এতো পক্ত রেফারেন্স তখন ছিলো না।

তাই আমিন বল্লে নামাজ নস্ট হবে আর না বল্লে নামাজ হবে না এটা নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না।

এই সব ছোট বিষয় নিয়ে সময় নস্ট না করে মানুষের কাজে লাগে এমন বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

সনেট কবি বলেছেন: হাদিস সহিহ বলায় কিছু প্রক্রিয়াগত ত্রুটি রয়েছে। সে জন্য হাদিস সহিহ বললেই সেটা সবাই মেনে নিচ্ছে ঘটনা এমন নয়। এ ক্ষেত্রে সাহাবা ও তাবেঈনে কেরামের (রাঃ) আমলের বিষয়টা অবশ্যই আমলে নিতে হবে। এটা স্বাভাবিক প্রশ্ন যে কেন তারা করেনি? চলমান ইবাদতও একটা বিষয়। স্বভাবিক প্রশ্ন আসে এটা চলমান ইবাদতে নেই কেন?

১৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৩

খনাই বলেছেন: আপনার লেখার শিরোনামটার সাথে কিন্তু আমি দ্বিমত করলাম প্রচন্ড ভাবে | নতুন -এর প্রশ্নটাই আমার |রাসূল কিছু জিনিস করেন নি জীবনের শেষ দিকে তার মানে কিন্তু সে সবই মনসুখ হয়ে গেছে সেটা কে বললো ? হজরত আয়েশার হাদিস থেকে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জীবনের শেষ দিকে লাঠিতে ভর করে কিয়ামুল লাইলে সেজদা থেকে উঠতেন | তার মানে কি রাসূল (সাঃ) আগে যে ভাবে আমল করতেন লাঠিতে না ভর করে সেজদা থেকে ওঠা সেটা আমাদের বাদ দিতে হবে ? রাসূল (সাঃ) নানা ভাবে নামাজ পড়েছেন ফরজগুলোকে অটুট রেখে | সেটা সাহাবিদের সুবিধার জন্যই | সবারতো একধরণের ক্ষমতা ছিল না |তাই নামাজের ফরজগুলো রক্ষা করে নানা ভাবেই নামাজ আদায় শিক্ষা দেওয়া হয়েছে | এজন্য একটা করা যাবে উন্নত করা যাবে না এই ফতোয়া দিলেতো মুশকিল |আমি মসজিদুল হারামের অনেক মানুষের সাথে নামাজ পড়ি আমাদের মসজিদে | প্রায় সবাই রাফায়েল ইয়াদাইন করে | রাসূলের সুন্নত সবচেযে বেশি পালন করে মক্কা আর মদিনার লোকেরাই | তাই এসব আমলে নামাজ ভঙ্গ হবে সেটা না বলাই মনে হয় ভালো | রাসূল আল্লাহর নির্দেশানুসারেই কথা বলতেন দ্বীনের ব্যাপারে | তার হাদিস মানসুখ হবে কেন ? তাকে দেওয়া নির্দেশনা ভুল ছিল (নাউযুবিল্লাহ)? সেটা হতে পারে না |তাই তার হাদিস মানসুখ হতে পারে না |

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০১

সনেট কবি বলেছেন: হাদিসের সাথে সাহাবা ও তাবেঈনে কেরামের আমলটাও মিলিয়ে দেখা জরুরী। নতুবা একটা সঠিক মানদন্ড বের করা দুষ্কর!
একালের মক্কা-মদিনা ও সেকালের মক্কা- মদিনায় তফাত অনেক। কারণ এ কালের মক্কা-মদিনা রাজতন্ত্রের অধিনে চলে। সে জন্য সারাবিশ্বে মুসলমান হজ্জ্ব করতে গিয়ে একালের মক্কা-মদিনার লোকদের ইবাদত বন্দেগী দেখলেও তারা তাদের অনুসারি হয় না। মুশকিলটা এখানে। যদি একালের লোক একালের মক্কা-মদিনার অনুসারি হতো তবেতো সারা বিশ্বের সব মুসলমান এক হয়ে যেত।

১৯| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাদিস সহিহ বলায় কিছু প্রক্রিয়াগত ত্রুটি রয়েছে। সে জন্য হাদিস সহিহ বললেই সেটা সবাই মেনে নিচ্ছে ঘটনা এমন নয়। এ ক্ষেত্রে সাহাবা ও তাবেঈনে কেরামের (রাঃ) আমলের বিষয়টা অবশ্যই আমলে নিতে হবে। এটা স্বাভাবিক প্রশ্ন যে কেন তারা করেনি? চলমান ইবাদতও একটা বিষয়। স্বভাবিক প্রশ্ন আসে এটা চলমান ইবাদতে নেই কেন?

আপনি ভুল বলছেন যে এটা তাবেইনের আমলে নেই।

ইমাম হানিফা ছাড়া অন্য ইমাম যখন আমল করেছে এবং সহী হাদিস আছে তখন আপনি কোন যুক্তিতে উপরের মন্তব্য করেন?

আপনি বলুন যে উপরের ৮টা হাদিসের রেফারেন্স গুলি ভুয়া হাদিস.... তবে আপনার দাবি ঠিক আছে।

অন্য ইমামরা আমিন বলেছেন জোরে.... তারা তাহলে কিসের ভিক্তিকে মানসুক হাদিসকে আমল করেছেন?

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: আমি হাদিসকে ভুয়া বলছি না বরং আমি বলছি মানসুখ। এখন একটা কাজ একজন করছে আর একজন করছে না। এর মধ্যে দু’জন সঠিক করছে এটা বলার যো নেই। তবে ইজতিহাদে ভুল হলেও গুনাহ নেই। কারন বেচারা শুদ্ধটা বুঝার চেষ্টাতো করেছে। এখন যে অনুসারি সে বুঝার চেষ্টা করবে কারটা শুদ্ধ? সে কাকে মানবে? এ ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার শুদ্ধতার রায় দিয়েছে সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমান ও আলেম। সেজন্য তারা তার অনুসারি হয়েছে।
সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) মধ্যে কেউ ইমাম আবু হানিফার (রঃ) কাজটা করেননি। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) করেছেন দায়ে ঠেঁকে। যখন তিনি দেখলেন জাল হাদিসে সয়লাভ হয়ে গেছে। তখন তিনি কোরআন ও হাদিস মিলিয়ে মাসয়ালা সমূহ নির্ধারন করা শুরু করলেন। তাঁর কাজ শেষ হলে তিনি তাঁর ছাত্র আবু ইউসুফকে এসব মাসয়ালা নিরিক্ষা করতে বললেন। তাঁর ছাত্রছিল খেলাফতের প্রধান বিচারপতি। তাঁর জন্যও এটা খুব দরকার ছিল। কারণ বিধি যদি নির্ধারণ না হয় তবে বিচার করা হবে কেমন করে? সেজন্য আবু ইউসুফ (রঃ) চল্লিশ জন বিজ্ঞ তাবে তাবেঈ আলেম নিয়োগ করলেন আবু হানিফার মাসয়ালা নিরিক্ষা করার জন্য। তাঁরা নিরিক্ষা করে যে সব ভুল পেলেন সেগুলো বাদ দিয়ে ইসলামী বিধি-বিধান নির্ধারণ করলেন। এরপর বিভিন্ন লোক বিভিন্ন হাদিস বলে যখন সেসব বিধিবিধানে পরিবর্তন আনতে চাইলেন তখন তারা সে সব হাদিস গ্রহণ করে পরিবর্তন করলেন না। এখন তারা যদি সে সব হাদিসকে মানসুখ মনে না করবেন তবে তাঁরা সে সব হাদিস কেন গ্রহণ করলেন না। এসব লোক হাদিসের গ্রন্থ সংকলকদের আগের লোক বিধায় তারা অবশ্যই অধিক গুরুত্ব পাবেন।
পরে যে তিন ইমাম হানাফিদের সাথে মতভেদ করেছেন তাদের জবাব হানাফি আলেমগণ প্রদান করেছেন যা হানাফী অনুসারিদের মনপত হয়েছে বিধায় তারা হানাফী অনুসরন ত্যাগকরে সেই তিন মাযহাবে যোগদান করেননি। কিন্তু অনারব ইমাম হওয়ায় হানাফি অনুসরনে আরবদের অনিহা ছিল, সে জন্য তারা বাকী তিন ইমামের অনুসারী হয়েছে। তখন মুসলমানদের মনভাব এমন ছির যে। সবাই যখন কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে কথা বলছেন তখন মতভেদ হলেও অসুবিধা নেই। যে কোন একজনকে মানলেই হবে।
কিন্তু বর্তমানে যখন লা মাযহাবীরা বলছে হানাফিরা ভুল তখন হানাফিরা কিভাবে সঠিক সেটা বলতেই হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হানাফিদের কথা হলো মানসুখ বলেই তারা সে সব হাদিসের আমল করে না। আর অন্যরা বলছে সে সব হাদিস মানসুখ নয় সে জন্যই তারা সে সব হাদিসের আমল করছে। এখন কিভাবে মানসুখ সেটাআমি বলেছি। এখন আমার কথা মানা অথবা না মানা অন্যদের অভিরুচি। আমরাতো প্রমাণ সহকারেই বলছি আমাদের ধর্ম সঠিক, কিন্তু হিন্দুরা কি সেটা মানছে? অথবা আস্তিকরা যত জোর দিয়েই বলুক আল্লাহ আছেন নাস্তিকরা কি সেটা মানছে? কাজেই কে কি মানল আর না মানল সেটা তার ব্যাপার। প্রত্যেকে শুধু বলবে সে যা করছে সেটা সে কেন করছে? আমি কেন আস্তিক আমি তার জবাব দেব। আমি কেন মুসলমান আমি সে কথার জবাব দেব? আমি কেন হানাফি আমি সেকথার জবাব দেব।
আমাদেরকে এসব প্রশ্নের মুখোমুখি নিজ ঘরেই দাঁড়াতে হয়। আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকে বুঝিয়ে দিতে হয় তাদেরকে আমরা যা করতে বলছি তা কেন করতে বলছি? অথবা তাদেরকে আমরা যা করতে বারণ করছি তা কেন বারণ করছি। অবশ্য পরিবার কেন প্রথমে আমার নিজের কাছে প্রথমে নিজেকেই জবাব দিতে হয়েছে যে কেন আমি এসব করছি? এতে আমার কি লাভ?
আপনার একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি তা’ হলো আপনি খুব সূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন তা’ সে যে বিষয় হোক। এখন যারা কোন একটা বিষয় মান্য করে সে সেটা সঠিক মনে করেই মান্য করে যদিও তার নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকে না। তবে আপনার প্রশ্ন এমন প্রত্যেককে খাটাখাটি করতে বাধ্য করবে। নতুবা সে বিরক্ত হয়ে আপনার কথার জবাব প্রদান করা থেকে বিরত থাকবে। অবশ্য একটু কষ্ট করে সঠিকটা বের করে আনার চেষ্টা করা হলে সঠিকটা জানা যায়।

২০| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩২

নতুন বলেছেন: আমি মনে করে ধম` খুবই সহজ একটা বিষয় হউয়া উচিত। নতুবা মানুষ ধম`থেকে দুরে চলে যাবে....

তাই এই সব ছোট বিষয়গুলি নিয়ে বিতক` করা উচিত না। এটাই আমার এই সব প্রশ্নের উদ্দেশ্য।

আপনি বলেছেন এই সব বিষয়ের উপরে অনেকেরই যথেস্ঠ তথ্যপ্রমান থাকেনা.... এটা অনেকটা বিশ্বাসের মতন....

তাই আমার মত হলো আমাদের আরো বেশি সহনশীল হতে হবে ধমের ব্যাপারে।

এখন মানুষ সুদ খাচ্ছে ব্যাংকের থেকে.... কিন্তু বাইরে এমন অনেক বিষয়নিয়ে ধম` আলোচনা করছে....

যা আসলে ধম` থেকে সরে গিয়ে নামে ধম` পালনের কারনে হচ্ছে। এটা পোষাকী ধামিক`

৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:১২

সনেট কবি বলেছেন: আপনি যা মনে করেন এটাই আগে সবার মত ছিল। কিন্তু একদল নেমে যখন বলল আগেরটা বাদ দিয়ে পরেরটা গ্রহণ করতে হবে তখন থেকে সমস্যা শুরু হলো। গ্রামে গ্রামে এ ‍নিয়ে প্রচন্ড গন্ডগোল। পাবলিক আমাকে বলতে শুরু করল আগে আপনারটা যে শুদ্ধ সেটার প্রমাণ দেন। সেই তাড়না থেকে ‘আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ’ বইটি প্রকাশ করলাম। এখন দেখছি ‘হানাফী মাযহাবের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ নামেও একখানি বই বের করতে হবে। তাহলে আর কথা বলা লাগবে না। বই ধরিয়ে দিলেই চলবে।

২১| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫১

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা!

৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

সনেট কবি বলেছেন: বুঝাগেল মন্ত্রী সাহেব খুশী হয়েছেন।

২২| ০১ লা জুন, ২০১৮ ভোর ৪:২৭

মিজান.ঢাকা বলেছেন: একটি হাদিস মানসুখ হবে অন্য আর একটি হাদিসের দ্বারা। নবীজী (সঃ)এর (দ্বীনকে পূর্ণ করে দুনিয়া থেকে চলে) যাওয়ার ৭০ থেকে ৮০ বছর পরের কোন একজন বুজুর্গের কোন হাদিস না মানার অর্থ এটা দাঁড়ায়না যে ওই হাদিস মানসুখ। বরং এটাই যুক্তিযুক্ত কথা যে ওই হাদিস তাঁন নিকট পৌঁছে নাই।

এ প্রসঙ্গে ইমাম মালেক (রহঃ) একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য: [ইবনু ওয়াহাব (রহ.) বলেন, আমি ইমাম মালিক (রহ.)কে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি ওযূর সময় পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা সম্পর্কে? তিনি উত্তরে বলেন: ওযূর মধ্যে এমন কোন নিয়ম নেই। ইবনু ওয়াহাব (রহ.) বলেন : আমি একটু অপেক্ষা করলাম, তারপর মানুষ চলে গেলে ইমাম মালিক (রহ.)কে বললাম : পায়ের আঙ্গুল খিলাল করার ব্যাপারে আমাদের কাছে হাদীস রয়েছে। ইমাম মালিক (রহ.) বললেন : তা কি? আমি বললাম: লাইস ইবনু সা’দ মুসতাওরিদ ইবনু শাদ্দাদ আল কুরাইশী (রাযি.) বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল দিয়ে পায়ের আঙ্গুলের মাঝে খিলাল করতে বা ভালোভাবে ঘষতে দেখেছি।
ইমাম মালিক (রহ.) বলেন: এ হাদীসটি হাসান, তবে আমি ইতোপূর্বে কখনো এ হাদীস শুনিনি। ইবনু ওয়াহাব (রহ.) বলেন: এর পরবর্তীকালে ইমাম মালিক (রহ.)কে ঐ প্রশ্ন করা হলে তিনি উক্ত হাদীসের আলোকে আঙ্গুল খিলাল করার নির্দেশ দিতেন।]


অথচ, আপনি যে প্রমাণ দিলেন সেই সহিহ হাদিসগুলো মানসুখ হওয়ার (যেগুলো আমাদের হানাফী মাযহাবে মানা হয়না) তা খুবই হাস্যকর। আপনার দলিল নিম্নরূপ:
[ইমাম আবু হানিফা (র.) এসব হাদিসের আমল বাদ দিয়েছেন। আহলে হাদিস বলছে ইমাম আবু হানিফা (র.) এসব হাদিস পাননি। যদিও তাদের দাবীর কোন সত্যতা নেই। বরং তিনি এসব হাদিস পেয়েও এসব হাদিসের আমল করেননি এ কথার সত্যতার প্রমাণ বিদ্যমান। কারণ ইমাম আবু হানিফা (র.) হজরত আলীর (রা.) রাজধানী কুফার বাসিন্দা। হজরত আলীর ইমামতিতে নামাজ আদায়কারীলোকদের ইমাম আবু হানিফা (র.) পেয়েছেন, কারণ তিনি তাবেঈ।হজরত আলীর (রা.) পিছনে নামাজ আদায়কারীরা একযোগে এসবকাজ ছেড়ে দেবেন তা হতে পারেনা। আর হজরত আলী (রা.) মহানবির (সা.) মত নামাজ পড়েননি এমন কথাও সংগত নয়। সুতরাং সাব্যস্ত হলো যে মহানবি (সা.) এসব কাজ আগে করলেও পরে তা’ছেড়ে দিয়েছেন।যার কারনে হজরত আলী (রা.) ও তাঁর পিছনে নামাজ আদায়কারী মুছল্লিরা এসব কাজ করেননি। কাজেই প্রমাণীত হলো যে এসব কাজ মানসুখ।]


প্রসিদ্ধ চারজন ইমামের মধ্যে একজন ইমাম না মানাতেই সেই হাদিস আপনার মতে মানসুখ। কিন্তু অন্য তিনজন ইমামই সেই হাদিসের উপর আমল করেছেন- তারপরও আপনার মতে সেই হাদিস মানসুখ!‍ অথচ হানাফী মাযহাবের সকল যুগের সকল আলেম-ওলামারা বলছেন চার মাযহাবই হক্ক! এখন প্রশ্ন হলো এই হাদিসগুলো মানসুখ হয়েছে কি শুধু হানাফিদের জন্য নাকি পুরো উম্মাতের জন্য। যদি পুরো উম্মতের জন্য হয়ে থাকে তাহলে (আপনার মতে) মানসুখ হাদিস মানার পরও অন্য মাযহাবগুলো হানাফী বিশেষজ্ঞদের নিকট হক্ব হয় কিভাবে?
আর একটা বিষয় হলো: ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেছেন:
১) হাদীস যদি সহীহ হয়, তবে সেটাই আমার মাযহাব।
২) কারো জন্য আমাদের কথা মেনে নেওয়া ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ নয়, যতক্ষন না সে জেনেছে যে, আমরা তা কোথা থেকে গ্রহন করেছি। (হাশিয়া ইবনুল আবেদীন ২/২৯৩ রাসমুল মুফতী ২৯, ৩২ পৃষ্ঠা, শা’ রানীর মীথান ১/৫৫; ইলামুল মুওয়াক্কিঈন ২/৩০৯)
৩) যে ব্যাক্তি আমার দলিল জানে না, তার জন্য আমার উক্তি দ্বারা ফতোয়া দেওয়া হারাম। (আন-নাফিউল কাবীর ১৩৫ পৃষ্ঠা)
৪) যদি আমি এমন কথা বলি যা আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের (সা) হাদীসের পরিপন্থি, তাহলে আমার কথাকে বর্জন কর (দেওয়ালে ছুড়ে মারো)। (ঈক্কাবুল হিমাম ৫০ পৃষ্ঠা)

অথচ হানাফী মাযহাবে এমন ফতোয়া আজো জারি আছে যা কুরআনেরও বিরোধী। উদাহরণ হিসেবে যদি একটা বলি: "বন্দুকের গান পয়েন্টের উপর বা গলায় তলোয়ার ধরে অর্থাৎ কোন ব্যক্তিকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য করা হলে তালাক হয়ে যাবে।" এটা হানাফি মাযহাবের মাসায়ালা যা আজো বিদ্যমান। কিন্তু আমরা যদি কুরআন দেখি: সুরা নাহল; আয়াত ১০৬-এ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন বলেছেন: [কেউ তার ঈমান আনার পর আল্লাহর সাথে কুফরী করলে এবং কুফরীর জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে কুফরীর জন্য বাধ্য করা হয় কিন্তু তার চিত্ত ঈমানে অবিচলিত।]

এর মানে দুনিয়াতে একজন মুসলিমের সকল কিছুর চাইতে দামী যে সম্পদ ঈমান; তা যাবেনা যদি তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কুফরী উচ্চরণে বাধ্য করা হয় কিন্তু তালাক উচ্চারণে বাধ্য করা হলে বউ চলে যাবে। এই জাল মাসায়ালা জারী করা হয়েছিল - কারো সুন্দরী স্ত্রী বাদশাহ বা তার পারিষদবর্গের পছন্দ হলে যাতে নিয়ে নিতে সুবিধা হয় যা আজো বিদ্যমান হানাফী মাযহাবে।

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)র জীবনী পড়ুন দয়া করে। আব্বাসীয় দ্বিতীয় শাসক আল মনসুর ইমাম আবু হানিফাকে কাযিউল কুযাতের (চীফ জাস্টিস) দ্বায়িত্ব গ্রহণের ওয়াদা করতে বললে ইমাম আবু হানিফা একথা বলে বাদশাহকে প্রত্যাখ্যান করেন যে, "এ দায়িত্ব নিলে আমাকে তোমার মর্জি মতো ফতোয়া দিতে হবে।" তখন বাদশাহ আল মনসুর ইমাম আবু হানিফার মহব্বতে তাঁকে জেলখানায় বন্ধী করে এবং প্রকাশ্য রাজপথে চাবুক মেরে রক্তাক্ত করা হয় ও নানা নির্যাতন করে এবং শেষ পর্যন্ত রাজী করাতে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে জেলখানায় বিষ প্রয়োগে শহীদ করে দেয়। অতঃপর তাঁরই প্রধান সাগরেদ আবু ইউসুফ (মৃত্যু ১৮৯ হিজরী) ঐ ওয়াদা কবুল করেন এবং আল মনসুরের চীফ জাস্টিস হন। তখন উক্ত ফতোয়া জারী করা হয়। ঐ সময় (মালেকী মাযহাবের ইমাম) ইমাম মালেক (রহঃ) ইমাম কাযি আবু ইউসফের এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, যে আল্লাহ বলেছেন হত্যার ভয় দেখিয়ে কুফরী উচ্চারণ করতে বাধ্য করলে ঈমান যাবে না তাহলে বউ কিভাবে যায়? এর প্রতিক্রিয়ায় ইমাম মালেক (রহঃ)কে এত পরিমাণ প্রহার করা হয় যে তাঁর দুই কাঁধের হাড় ভেঙ্গে যায়। যে কারণে পরবর্তীতে তিনি নিজের নিজের তহবন্দ (পরনের বস্ত্র/লুঙ্গি) বাঁধতে পারতেন না। সেই কারণেই (অপারগতা বশতঃ) তিনি হাত ছেড়ে নাজায পড়তেন। অথচ তিনি তাঁর হাদিস গ্রন্থ "মুয়াত্তা মালিক-এ" নামাযে হাত বাঁধার হাদিসগুলো লিখেছেন। কিন্তু এখন কি পালন করা হচ্ছে? ইমাম মালেক কাঁধের হাঁড় ভেঙ্গে যাওয়াতে হাত ছেড়ে নামায পড়তেন তাই মাযহাবের নামে তারা এখন হাত ছেড়ে নামায পড়ছে। যাই হোক এটা আলাদা টপিক।

কিন্তু মুল বিষয় হলো ওস্তাদ ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) জান দিয়ে দিয়েছেন কিন্তু ওয়াদা কবুল করেননি যে ওরা আমার কাছ থেকে গলদ ফতোয়া নেবে; আর তাঁরই সাগরেদ ঐ ওয়াদাই কবুল করলেন!!! আর আবু হানিফা (রহঃ)র অপর বিশিষ্ট সাগরেদ ইমাম মোহাম্মদ ও আব্বাসীয় সালতানাতের আইন ও বিচার বিভাগের জন্য কাজ করেন। এই বুনিয়াদের উপরই বনু আব্বাস প্রায় সাত থেকে আট শত বছর রাজত্ব করে এবং তলোয়ারের জোরের উপর সারা দুনিয়ায় হানাফি ফিকাহ প্রতিষ্টিত করে। সবাই যে বলে হানাফী এত বেশী কেন? - এই কারণেই হানাফী এত বেশী।

০১ লা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

সনেট কবি বলেছেন: জোর আর অপারগতার বিষয় বাদে বাঁকী বিষয় তাহলে কি? আবু হানিফা (রঃ) রাজধানীতে বসে যে হাদিস পাননি সে হাদিস অন্যরা কোথা হতে পায়? হতে পারে সে সব হাদিস গজানো হাদিস। মহানবি (সাঃ) তো তাঁর নামে হাদিস গজানোর কথা বলেছেন। মুসলমানদের মাঝে যত বিভেদ এ হাদিস নিয়ে। আর নামাজ প্রতিদিন পাঁচ বার করে আদায় করা হয়। এক দিনের জন্যও নামাজ বন্ধ থাকেনি। তো হাদিস দিয়ে নামাজে নতুন আমল যোগ করা যায় কি রূপে? আর মহানবির (সাঃ) আমল নামাজ থেকে বাদ পড়ল কেমন করে? সে কালের আলেম কি একালের আলেম থেকে কম উন্নত ছিল? ঘটনা কি এমন যে সে কালের লোক ভুল করেছে, আর একালের লোক শুদ্ধ করছে? আর আপনি মিথ্যা বলছেন না সেটাই বা কি করে বলা যায়? কারণ মানসুখ হাদিস টিকে গেলেই তা দিয়ে ইবাদতে গলদ তৈরী করা যায়। সম্ভবত মানসুখ হাদিস আমলে আনতে যুগে যুগে অনেক কসরত হয়েছে বা এখনো হচ্ছে। কারণ নামাজ ভুন্ডুল করতে পারলেই আর সব কাজে গন্ডগোল পাকানো যায়। নামাজে একটা সুন্নাত ছুটে গেলে নামাজ ভন্ডুল হয় না। কিন্তু নামাজে নামাজের বাইরের একটা কাজ ঢুকে গেলে নামাজ ভেঙ্গে যায়।
যেহেতু সবাই বলছে তারা কোরআন হাদিস মানছে সেহেতু এটা মেনে নেওয়া হয়েছে সবাই সঠিক। আব্বাসিয়রা এখন নেই। এখন কার ভয়ে সে নষ্ট ফতোয়া মানা হচ্ছে। এখন কার ভয়ে হানাফি মানা হচ্ছে। ঈমান আর বউ এক জিনিস নয়। সে জন্য ফতোয়া এক রকম হবে না। জোর করল বউ তালাক হলো না, জোরের লোক জোর করে সেই বউ বিবাহ করল। সেখানে সন্তান হলো। তবে কি সে সন্তান জারজ? ঈমানের কারণেতো জারজ জন্মায় না। জারজ সন্তান সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানেই বলা হয়েছে জোর করে তালাক দিলেও তালাক হবে। নতুবা পিতার দোষে সন্তানের জারজের কলংক বয়ে বেড়াতে হয়।
ঘটনা হলো জোর করে তালাক আদায়ের কারণে ব্যক্তি গুণাহগার হবে। তালাক হয়ে যাওয়ার কারণে সন্তান জারজ সাব্যস্ত হবে না। মনে করুন হানাফিদের ফতোয়া সঠিক মনে হওয়ায় এখনো আমরা হানাফি থাকতে আগ্রহী এর জন্যতো আব্বাসীয়দের কোন দায় নেই।

২৩| ০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মিজান.ঢাকা বলেছেন: আপনার কাছে ২৬ মে'তে করা আমার প্রশ্ন ছিল - হানাফী মাযহাবের সাথে হাদীসের কি সম্পর্ক? এবং ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)র সাথে কি সম্পর্ক? আপনি রেফারেন্স ভিত্তিক উত্তর না দিয়ে সবার প্রশ্নেরই যে গতবাধা উত্তর দিচ্ছেন তাহলো: ইবাদত একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি এটা চলমান প্রক্রিয়া সুতরাং চলমান ইবাদতে ভুল নেই। যদি ভুল থাকতো তাহলে যুগ যুগ ধরে আলেমরা এটা মেনে নিতো না! এটা কোন দালিলিক উত্তর না। এটা হলো আপনার মনের কল্পনা। এটা সবাইই বলে - দুনিয়ব্যাপী এত্‌ত্‌ এত্‌ত্‌ আলেম উলামা!!! সবাই কি ভুল?
দয়া করে ২৬ তারিখের আমার মন্তব্য পুরো পড়ে বিষয়ভিত্তিক প্রামাণসহ উত্তর দিবেন আশা করি।

০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: প্রমান যদি খুঁজতে যান তবে কোরআন ছাড়া কোন কিছুর প্রমাণ খুঁজে পাবেন না। হাদিস ও ফিকার কোন গ্রন্থের শুদ্ধতার প্রমাণ আপনি দিতে পারবেন না। কাজেই আপনাকে লজিকে না গিয়ে উপায় নেই।

২৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৫:১৭

মিজান.ঢাকা বলেছেন: কি সব আবোল তাবোল বলছেন ভাই! হাদিসের শুদ্ধতার প্রমাণ নেই??? আপনার টপিকের হেডিং দিয়েছেন "মানসুখ সহিহ হাদিস"। এখানে হাদিস মানসুখ হওয়ার আপনি একটা আজব যুক্তি দিয়েছেন যে ইমাম আবু হানিফা রহঃ ঐসব হাদিসের উপর আমল করেননি তাই আপনার মতে ওগুলো মানসুখ- এটা হাদিস মানসুখ হওয়ার একটা উদ্ভট যুক্তি। কিন্তু আপনার হেডিংয়ে সহিহ হাদিস কথাটা কেন লিখলেন এটাই আমার বোধগম্য হচ্ছেনা। যেহেতু (আপনার মতে!!!) কোন হাদিসেরই শুদ্ধতার কোন প্রমাণ নেই; তাহলে কোন একটি হাদিসকে আপনি সহিহ না দ্বয়িফ না জাল এটা কিভাবে বলেন? আর যেগুলো আপনি আমল করছেন সেগুলো কিসের ভিত্তিতে করছেন?

আপনার কথার মর্ম হলো ইবাদত একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই আমরা আমাদের সমাজে, আমাদের বাপ-দাদার কাছে যা দেখেছি তাই আমল করছি এবং এটাই সঠিক। অথচ আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ) এই চলমান প্রক্রিয়ার এবাদতের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আবু জাহেল, আবু লাহাব, উতাব, শায়াবারা আল্লাহ্‌রই এবাদত করতো, নামায পড়তো, রোযা রাখতো, কাবা ঘর তাওয়াফ করতো, ইব্রাহিম (আঃ)এর শরিয়ত মানতো। কিন্তু চলমান প্রক্রিয়ায় তারা সেই শরিয়তে কালক্রমে বিকৃতি করেছিল এবং এই বিকৃত চলমান এবাদত প্রক্রিয়াই মানতো। অথচ আল্লাহ্‌ বলেন ["আর তাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তোমরা তা অনুসরণ কর। তারা বলে, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাতে পেয়েছি তারই অনুসরণ করব। শয়তান যদি তাদেরকে জ্বলন্ত আগুনের দিকে ডাকে, তবুও কি? (তারা পিতৃ পুরুষদের অনুসরণ করবে?)"] (সুরা লুকমান: ২১)

ভাই, যুগ যুগ ধরে চলমান এবাদতই যদি সঠিক হয় তাহলে এই বিচারে খ্রিষ্টান, ইহুদীদের এবাদত ও ঠিক কারণ তারা হাজার হাজার বছর ধরে চলমান প্রক্রিয়ায় এবাদত করে আসছে। এক দিনও ওদের এবাদত বন্ধ থাকেনি। যদি ওদের ধর্মে কোন বিকৃতি ঘটানো হতো তবে তাদের ধর্মগুরুদের অগোচরে থাকার কথা নয় (আপনার যুক্তি অনুযায়ী)। অথচ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেন তারা পথভ্রষ্ট।

আর একটা কথা আপনি যে বললেন হাদিসের শুদ্ধতার কোন প্রমাণ নেই তা যদি সত্য ধরা হয় তাহলে কোরআন যে নবী (সঃ)এর উপর নাযিল হয়েছে ত কি দিয়ে প্রমাণ করবেন? কারণ আপনার যুক্তি মেনে নিলে কোন হাদিসই মানার সুযোগ থাকেনা কারণ শুদ্ধতার প্রমাণ না থাকলে কেউ যদি হাদিস সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে তা প্রমাণের কোন রাস্তাই থাকেনা।

আপনি প্রথমে বোঝালেন যে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)র আমলে নেই তাই ঐ হাদিসগুলো বাতিল। আবার বললেন অন্যান্যরা হাদিস সহিহ, জাল, যয়ীফ বলেছেন অনুমানের ভিত্তিতে (এখানে প্রশ্ন: ইমাম আবু হানিফা তাহলে সহিহ নির্ধারণ করেছেন কিসের ভিত্তিতে?); আবার বললেন আবু হানিফা রাজধানীতে বসে যে হাদিস পাননি সেই হাদিস অন্য পায় কোথা থেকে?; তার মানে দাঁড়ায় আপনার হিসাবে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)ই একমাত্র ফাইনাল অথরিটি এ বিষয়ে। কিন্তু শেষের দিকে একটি উত্তরে বললেন ইমাম আবু হানিফার ছাত্র চল্লিশ জন তাবেই আলেম দিয়ে আবু হানিফার মাসায়ালা নিরিক্ষা করে যে সব ভুল পেলেন সেগুলো বাদ দিয়ে ইসলামী বিধি-বিধান নির্ধারণ করলেন। এখানে লেজে-গোবরে এক করে ফেলেছেন ভাই। প্রথম কথা: আপনিই প্রমাণ করলেন যে ইমাম আবু হানিফার ভুল ছিল। দ্বিতীয় কথা হলো ঐ চল্লিশ জন কি সকল ভুলের উদ্ধে এবং কেয়ামত পর্যন্ত জ্ঞানের অধিকারী? কারণ তারা যা নির্ধারণ করে দিল তাই চুড়ান্ত হয়ে গেলো সর্বকালের জন্য?

চার মাযহাবের ইমামই কমন যে কথা বলেছেন তাহল তাঁদের কোন কথা কোরআন এবং হাদিসের সাথে না মিললে তা বাদ দিয়ে কোরআন-হাদিস মানতে। চার ইমামের কেউই নিজেকে ভুলের উদ্ধে দাবী করেন নি। চার ইমামের কেউই তাঁদের নামে মাযহাব তৈরী করেন নাই বা করতে বলেনও নাই। চার ইমামের সর্ব মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহঃ) মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪১ হিজরীতে আর চার মাযহাবই চালু হয়েছে ৪০০হিজরীর পরে। তাহলে প্রচলিত মাযাহাবগুলির সাথে ইমামদের সম্পর্ক কোথায়?

সাহাবীদের নামে মাযহাব হতে পরতো না (সিদ্দিকিয়া, ফারুকিয়া, ওসমানিয়া, আহলিয়া)? কেন হয়নি? উমর (রাঃ) যখন তামাত্তু হজ্জের ব্যাপারে বিধি-নিষেধ আরোপ করলেন তখন তাঁরই ছেলে আব্দুলাহ ইবনে উমর (রাঃ) বললেন আমার পিতার উপরতো শরিয়ত নাযিল হয়নাই! শরিয়ততো নাযিল হয়েছে রাসুলুল্লাহ (সঃ)এর উপর।

অথচ আমরা কি করছি? আমার ইমামের কওলে/আমলে নাই তাই নবী (সঃ)এর কওল/আমল মানছি না; ইমামেরটাই মানছি। এখানে নবীরটা বাদ দিয়ে ইমামের টা মানলে কি দাঁড়ায়? ইমামই শরিয়ত নিয়ে এসেছেন। তাই নবীরটা বাদ; ইমামেরটাই ফাইনাল!!!!! এমতাবস্থায় আমার কলেমা কি হবে? লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আবু হানিফা রাসুলুল্লাহ্‌? লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, শাফেঈ রাসুলুল্লাহ্‌? লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মালিক রাসুলুল্লাহ্‌? লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আহমদ বিন হাম্বল রাসুলুল্লাহ্‌? না কি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্‌ (সঃ)? যার আমলের ফাইনাল অথরিটি যে রকম তার কলেমা সেই রকম হয়ে যায় কিনা তা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।

অথচ চার ইমামই এই ভ্রষ্টতা থেকে মুক্ত। তাঁরা চারজনই নির্দেষ দিয়েছেন তাঁদের কথা/আমলকে বাদ দিতে যদি সেটা আল্লাহ্‌ এবং আল্লাহর রাসুলের কথ/আমলের সাথে না মিলে।

ভাই আপনার প্রতি বিশেষ অনুরোধ আপনি দয়া করে হাদিস সংকলনের ইতিহাস পড়েন। আল্লাহ্ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।

০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

সনেট কবি বলেছেন: ইমাম বোখারী (রঃ) যে সহিহ সেটা আপনি কি ভাবে প্রমাণ করবেন? আমরা তাঁকে প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করি নিচক ঈমানের ভিত্তিতে।

২৫| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

মিজান.ঢাকা বলেছেন: শুধু ইমাম বুখারী সহিহ হওয়ার দলিল কেন চাইলেন আমার কাছে। আমি কি বলেছি একমাত্র ইমাম বুখারীই সহিহ; অন্য আর কেউই সহিহ নয়- এমন কি বলেছি আমি?

উসুলে হাদিস অনুযায়ী যে হাদিস সহিহ এবং আমলযোগ্য প্রমাণিত হবে তা যে ইমামের কিতাবেই থাক না কেন, তা সহিহ।

আর একটা কথা- বিষয়টা এমন নয় যে, যেসব হাদিস বুখারী, মুসলিমে আছে সেগুলো অন্য কোন গ্রন্থে একেবারেই নেই। আর যেসব হাদিস অন্য গ্রন্থসমূহে আছে এর কোনটিই বুখারী মুসলিমে নেই। কথায় কথায় বুখারী মুসলিম টেনে আনেন; মনে হয় যেন যারা হানাফী মাযহাবের ত্রুটিপূর্ণ মাসয়ালার কথা বলে তার বুখারী মুসলিম ছাড়া আর কিছুই মানেনা! বড়ই তাজ্জব ব্যপার। হানাফী ফিকাহ্‌র কোন ত্রুটিই স্বীকার করতে যারা নারাজ তারা সকলেই মনে হয় প্রি-ডিটারমাইন্ড থাকে যে এর ত্রুটি যারাই বলবে তারা শুধু বুখারী মানে আর তারা আহলে হাদিস। আমি ভাই আহলে হাদিসও নই আর শুধুমাত্র বুখারী মাননেওয়ালাও নই। আমি হানাফী মাযাহাবের অনুসারী। কিন্তু গত এক বছর ধরে পড়াশুনা করে বিভিন্ন জনের সাথে ডিসকাস করে যা বুঝেছি তা হলো আমাদের প্রচলিত হানাফি মাযহাবের সাথে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)র দূরতমও কোন সম্পর্ক নেই।

রিজাল শাস্ত্র এবং হাদিস সংরক্ষণ, সংকলন, হাদিসের অথেনটিকেশন পদ্ধতি কিছু সম্পর্কে নূন্যতম কোন ধারণা ছাড়াই আপনি এ বিষয়ে লেখালেখি আরম্ভ করেছেন। ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিজী, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসায়ী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ যাঁরাই হাদিসের সংকলন করেছেন তাঁরা সহিহ কি-না এটাতো বিচার্জ বিষয় নয়। কারণ হাদিস সহীহ কিনা তা নির্ধারিত হয় হাদিসের রাবীসমষ্টির মানের ভিত্তিতে। শুধুমাত্র সংকলকের গুণের ভিত্তিতে নয়। দয়াকরে প্রথমে হাদিস বিষয়ে বিস্তারিত পড়াশুনা করুন তার পর এ বিষয়ে লিখেন।

আপনি বলেছেন আলী (রাঃ) রাফউল ইয়াদাইন করেননি তাই ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)ও করেননি। অথচ আলী (রাঃ) থেকে সহিহ সনদে রাফউল ইয়াদাইনের হাদিস বর্ণিত হয়েছে (সুনান ইবনু মাজাহ হাদীস নং-৮৬৪), মুসনাদে আহমাদে (৯১/১), তিরমিযীতে (৩৪২৩), ইবনু খুযাইমায় (৫৮৪), ইবনু হিব্বান সহ আরো অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে। অথচ আলী (রাঃ) থেকে রাফউল ইয়াদাইন তরকের কোন জাল হাদিসও নাই। এছাড়াও উমার, আলী, ওয়াইল ইবনু হুজর, মালিক ইবনু হুয়াইরিস, আনাস, আবু হুরায়রা, আবু হুমাইদ, আবু উসাইদ, সাহল ইবনু সাদ, মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা, আবু কাতাদা, আবু মুসা আশআরী, জাবির ও উমাইর লাইসী (রাদ্বিআল্লাহু আনহুম আজমাঈনগণ হতেও রাফউল ইয়াদাইনের হাদীস বর্ণিত আছে।

এর বিপক্ষে প্রণিধান যোগ্য একটি হাদিসই দেয়ার মত আছে যা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যা ছো্ট্ট একলাইনের একটি হাদিস।

রাফউল ইদাইন করার পক্ষে আন্তত ৫০ জন সাহাবি হতে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তন্মদ্ধে জীবিতাবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবিও আছেন। রাফউল ইদাইন করার পক্ষে ৪০০ এরও বেশি সহিহ দলিল হাদিসের সংকলনগুলোতে পাওয়া যায়। ইমাম বুখারি নিজে এই সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন “জুজউ রাফউল ইয়াদাইন” নামে। যেখানে প্রায় দু'শর কাছাকাছি সহিহ দলিল উল্লেখ করা আছে। অপরদিকে রাফউল ইয়াদাইন না করার পক্ষে খুবই অল্প সংখ্যক হাদিস পাওয়া যায় যার সবগুলোই জঈফ। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আবু দাউদ খুলে দেখুন। সেখানে বর্ণিত রাফউল ইয়াদাইন না করার পক্ষের হাদিসটিকে ইমাম আবু দাউদ নিজেই জইফ বলে গেছেন।

আর নবীজীর কোন আমল রহিত হওয়ার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো তিনি তাঁর জীবনের শেষ দিকে যেই আমল করেননি তা মানসুখ। রাফউল ইয়াদাইনের সবচেয়ে সহিত হাদিসগুলো বর্ণিত হয়েছে ইবনে উমার (রাঃ) ও ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে। নবীজী (সঃ) এর ইন্তেকালের সময় ইবনে উমারের বয়স ছিল ১৭ বছর আর ইবনে আব্বাসের বয়স ছিল ১৫ বছর। তাহলে ইবনে উমার (রাঃ) বুঝ হওয়ার পর নবীজীর শেষ ৫/৬ বছরের আমল দেখেছেন আর ইবনে আব্বাস (রাঃ) দেখেছেন শেষ ৩/৪ বছরের আমল। এ থেকেতো বোঝা যায় নবীজী (সঃ) জীবনের শেষ পর্যন্ত এই আমল করেছেন। তাহলে এই হাদিস মানসুখ হলো কখন?

আসলে আমরা যে নামায পড়ি তা হলো বেহেশতী জেওর আর মকছুদুল মুমিনে বর্ণিত পদ্ধতির নামায। নবীজী (সঃ) এর নামায নয়।

এর একটা ব্যাখ্যা খোন্দকার আব্দুল্লাহ্‌ মোঃ জাহাঙ্গীর (রহঃ) [ফুরফুরার পীর সাহেবের জামাতা] দিয়েছিলেন এভাবে যে, "আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের এই বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের গত কয়েকশত বছরের শ্রেষ্ট আলেম-উলামারা দ্বীন চর্চা করেছেন এবং কিতাব রচনা করেছেন আরবী, ফারসী ও উর্দু ভাষায়। কিন্তু মাতৃভাষায় দ্বীনের কিতাব এত অপ্রতুল ছিল যে সাধারণ মুসলমানরাতো বটেই এমনকি অনেক আলেমরাও শরিয়তের সিদ্ধান্ত নিতেন/দিতেন মোকসুদুল মোমিন থেকে। এই কিতাব যিনি লিখেছেন তাঁর ভুলত্রটি আল্লাহ ক্ষমা করে তাঁকে জান্নাত দান করুন। তবে ঐ বইটাতে এত ভুল আছে যে তা এখন নিষিদ্ধ হওয়া অতিব জরুরী।"

আপনার প্রতি অনুরোধ রইল এই মোকসুদুল মোমিনের ইসলাম থেকে বেরিয়ে এসে আগে জানার চেষ্টা করুন হাদিস সহিহ হয় কিসের ভিত্তিতে? ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিমের নামের ভিত্তিতে? না-কি সকল হাদিস সংকলক ইমাদের নামের ভিত্তিতে? না - কি হাদিস যাচাইয়ের উসুলে হাদিস শাস্ত্রের ভিত্তিতে। প্রথমে নিজের কনসেপ্টগুলো ক্লিয়ার করুন। তারপর লিখুন। তাহলে আপনিও উপকৃত হবেন এবং অন্যেরাও।

০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো হানাফী মাযহাবে রাফেউল ইয়াদাইন নেই। কিন্তু কেন?

২৬| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মিজান.ঢাকা বলেছেন: এটা বিস্ময়ের ব্যাপার না ভাই। এটা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। জেনে বুঝে নবীজী (সঃ)এর সুন্নাতকে ত্যাগ করা মাযহাবের নামে যেই মাযহাবের সাথে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)র দুরতমও কোন সম্পর্ক নেই।

আপনার লেখা এবং সব মন্তব্যের জওয়াবে আপনার পুরো উত্তর জুড়ে আপনি শুধু একটা কথাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, ইবাদাত একটি চলমান প্রক্রিয়া। চালু হওয়ার পর থেকে একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি তাই ইবাদাতে ভুল কিছু ঢুকানো সম্ভব না। আচ্ছা ভাই হিন্দুদের পুজাওতো কখনোই একদিনের জন্য ও বন্ধ থাকেনি তাই বলে ওদের পুজাও কি ঠিক?

আপনাকে যতগুলো কথা জিজ্ঞাসা করেছি কোন কথারই আপনি গঠনমুলক দালিলিক জওয়াব দেন নাই। আর আমি আপনাকে যতগুলো রেফারেন্স দিয়েছি তার একটিরও আপনি আলোচনা সমালোচনা কিছুই করেন নাই। কেউ যদি রেফারেন্স যাচাই করতে না পারে অথবা রেফারেন্স কি তাই না বুঝে তার সাথে ডিসকাস করে না নিজে কিছু অর্জন করা যায়; আর না তাকে অর্জন করানো যায়। তারপরও আপনাকে শেষ দু/একটা রেফারেন্স দেব। সুরা আল আল-আহযাবের ৬৬-৬৮নং আয়াত এবং হা-মীম আস-সাজদার ২৯নং আয়তের তাফসীর পড়বেন দয়া করে। ধন্যবাদ।

০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

সনেট কবি বলেছেন: জেনে বুঝে মহানবির (সাঃ) সুন্নাতকে অহেতুক ত্যাগ করবে কোন লাভের আশায়? হিন্দুদের পুজায় হিন্দুরা ভুল ধরেনা। কেউ বলেনা অমুকের পুজা হয়না। বা তাদের পুজা একেক স্থানে একেক রকম না। এ জন্য তারা সার্বজনিন পুজা নাম দেয়। কিন্তু নামাজতো সব জায়গায় এক রকম না। আপনি যে কি উপমা দেন আল্লাহ মালুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.