নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নারী নেতৃত্ব

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯



সুরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের, ‘আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলাননিসা-পুরুষ নারীর কর্তা’ আয়াতাংশের ভিত্তিতে অনেকে বলেন ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। কিন্তু আয়াতাংশটি নেতৃত্ব সংক্রান্ত নয় বরং দাম্পত্য সংক্রান্ত। আর পুরুষকে নারীর কর্তা বলা হয়েছে ভরন-পোষনের শর্তে। পুরুষ ভরন-পোষন না করলে সে নিয়ম অনুযায়ী নারীর উপর কর্তৃত্ব হারাবে।আর যদি পুরুষের ভরন-পোষন উল্টা নারী করে তাহলে হিসেব মতে নারী উল্টা পুরুষের উপর কর্তৃত্ব করবে।যেমন আমাদের বেদে সম্প্রদায়ের কিছু নারী করে থাকে।যারা বিষয়টি পরখ করতে চান তারা সুরা নিসার ৩৪ নং ও ৩৫ নং আয়াত মন দিয়ে পড়তে পারেন।
নারী নেতৃত্ব হারাম হলে সন্তানের উপর মায়ের নেতৃত্ব হারাম হবে।অথচ মহানবি (সা.)বলেছেন,‘আল জান্নাতু তাহতা আকদামিল উম্মাহাতি-জান্নাত মায়ের পায়ের নীচে’। তারমানে মায়ের আনুগত্যের মাঝে জান্নাত। তারমানে সন্তানের উপর মায়ের নেতৃত্ব হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত।পিতা নিকটে না থাকলে মা স্বাভাবিক ভাবেই সন্তানের উপর নেতৃত্ব করে থাকেন। এটা হারাম হলে মায়েদের আর জান্নাতে যাওয়ার উপায় থাকবে না।
আর জাতীয় নেতৃত্বের বিষয় যদি হয় তবে বলতে হয় এ সংক্রান্ত কোন কোরআনের আয়াত নেই যা দিয়ে নারী নেতৃত্ব হারাম ঘোষণা করা যায়।একখানা হাদিস পাওয়া যায় যাতে বুঝা যায় জাতীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মহানবি (সা.) নারীনেতৃত্ব অপছন্দ করেছেন।কিন্তু নেতৃত্ব একটি কাজ যার জন্য যোগ্য লোক প্রয়োজন। যোগ্য পুরুষ পাওয়া না গেলে যোগ্য নারীর নেতৃত্ব না মেনে উপায় থাকেনা। যেমন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া না গেলে বসে নামাজ পড়া যায়। কাজেই যোগ্য পুরুষ নেতৃত্ব না পাওয়া গেলে যোগ্য নারী নেতৃত্ব নাজায়েজ হবেনা।অবশ্য যোগ্য পুরুষনেতৃত্ব পাওয়া গেলে কেউ নারীনেতৃত্ব এমনিতেও পছন্দ করেনা। সে জন্য নারীনেতৃত্ব এক্কেবারে নগণ্য।
সার কথা হলো জাতীয় ক্ষেত্রে নারীনেতৃত্ব হারাম নয় এবং শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ, কোরআন ও হাদিস থেকে এটাই প্রতিয়মান হয়।তবে যোগ্য পুরুষনেতৃত্ব পাওয়া গেলে নারীনেতৃত্ব পরিহারকরা সংগত।তবে সন্তানের ক্ষেত্রে মায়ের নেতৃত্ব অপরিহার্য।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

বিজন রয় বলেছেন: কিন্তু আপনি যা বলতে চেয়েছেন ওরা তো তা মানে না।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

সনেট কবি বলেছেন: এ বিষয়ে তারা পূর্বে আমার সাথে অনেক তর্ক করেছে। কিন্তু তারা তাদের কথা দাঁড় করাতে পারেনি। ইসলামে যা নেই ইসলামের নামে এমন প্রচারণার আমি বিপক্ষে।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ..... ওরা অনেকেই তো ইসলাম নিজেই লিখেফেলে।
বিপদ সেখানেই।

অশিক্ষিত হলে যা হয়।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: যে যা পছন্দ করে সে সেটা ইসলামের নামে চালিয়ে দিতে চায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা সেখানে।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুরা নেসার ৩৪ নং আয়াত ।

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩২

সনেট কবি বলেছেন: জি

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পুরুষ নেতৃত্ব পাওয়া না যাওয়ার পরিস্থিতি দুনিয়াতে কোন দেশেই নাই। ইমাম, কাজী, খলিফা সব পুরুষ তাই রাষ্ট্র, সমাজও পুরুষের হাতেই থাকতে হবে বলেই ইসলামের মতবাদ মনে করি। যদিও পর্দার ভেতর থেকে নারীও সব কাজ এমনকি যুদ্ধও করতে পারে...

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: কিছু ক্ষেত্রে নারীর যোগ্যতা তাকে সামনে নিয়ে আসে।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

গরল বলেছেন: নারীরা কি মসজিদে ইমামতি করতে পারবে বা কাবা শরীফের খাদেম হতে পারবে?

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: এমন কিছু কাজ আছে যা নারীর জন্য নয়, এমন কিছু কাজ আছে যা পুরুষের ক্ষেত্রে নয়। কিন্তু নেতৃত্বের ক্ষেত্রে উভয়ের অংশগ্রহণ বাস্তব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.