নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কেন হানাফী হবেন?

১৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:০৭



কেউ যদি আহলে ছুন্নাত হয় তবে স্বভাবত প্রশ্ন আসে সে কেন আহলে ফরজ নয়? কেউ যদি আহলে হাদিস হয় তবে স্বভাবত প্রশ্ন আসে সে কেন আহলে কোরআন নয়? কেউ যদি শীয়ায়ে আলী হয় তবে স্বভাবত প্রশ্ন আসে সে কেন শীয়ায়ে মোহাম্মদ (সা.) নয়? কেউ যদি ইবাদী হয় তবে স্বভাবত প্রশ্ন আসে সে কেন মুসলমান নয়? আর এ প্রশ্ন যদি আল্লাহ করেন, তবে তাঁর মনপুত জবাব না দিয়ে পার পাওয়া যাবে কি? আর আল্লাহ এমন প্রশ্ন করেন, যেমন তিনি বলেছেন,‘ওয়া ইযাল মাউউদাতু সুয়িলাত, বি আইয়ি যামবিন কুতিলাত-যখন জীবন্ত কবরস্থ কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল?’-আল কোরআন, সূরা তাকভীর, ৮ ও ৯ নং আয়াত। আল্লাহ যদি বলেন আহলে ছুন্নাত, আহলে হাদিস, শীয়ায়ে আলী ও ইবাদী হতে তিনি বলেছেন কি? তখন উত্তর কি হবে?
আল্লাহ বলেছেন,‘ওয়াকালু কুনু হুদান আও নাসারা তাহতাদু,কুল বাল মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা,ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন- তারা বলে ইয়াহুদী বা খৃস্টান হও, হেদায়েত পাবে।বল বরং ইব্রহীমের হানিফি মিল্লাত এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না’- আল কোরআন,সূরা বাকারা, ১৩৫ নং আয়াত।তবে কি ইব্রাহীমের (আ.) হানিফি মিল্লাত না হয়ে লোকেরা এমন কিছু হয়েছে যা হতে আল্লাহ তাদেরকে বলেননি।
বানু কোরায়জার ইহুদীদের সাতশত পুরুষকে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে হত্যাকরে তাদের স্ত্রী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদেরকে দাসদাসীতে পরিণত করা হয়েছে। বানু কোরায়জার বেঁচে থাকা সদস্যরা পরিবার হারিয়ে স্বজনদের শোক বুকে নিয়ে অবমাননাকর জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছে। আর ইহুদীদের চেয়ে সামান্য লঘু অপরাধে খ্রিস্টানদেরকে মদীনা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এদের কেউ কেউ প্রতিশোধ পরায়ান হয়ে মুসলমান সেজে বানয়াট হাদিস প্রচার করে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ তৈরীতে কাজ করেছে কি? যাতে করে মুসলমানরা নিজেরা মারামারি করে শেষ হয়? নতুন কিছু গ্রহণ করে মুসলমানরা যেন এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য নতুন কিছু গ্রহণে বাধা সৃষ্টিকারী হাদিস কি কেউ তৈরী করেছে? হাদিসের নাম শুনলেই যাচাই বাছাই না করেই মুসলমান কেন উহা গ্রহণের জন্য পাগল হয়ে যেত? অথচ মহানবি (সা.) বলেছেন তাঁর নামে বানোয়াট হাদিস প্রচার করা হবে।
ইমাম আবু হানিফা (র.) একটু ব্যতিক্রম ছিলেন। তিনি হাদিসের নাম শুনলেই পাগল হতেন না।বরং তাঁর পর্যবেক্ষণে গ্রহণযোগ্য না হলে তিনি সে হাদিস গ্রহণ করতেন না।আর সে জন্যই দুই তৃতীয়াংশ মুসলিম তাঁকে তাদের ইমাম মানে।সম্ভবত আরবদের অনেকে তাঁকে শুধুমাত্র অনারব হওয়ার কারনে ইমাম মানে না। ঘটনা এমন হলে এরা হেদায়েত থেকে অনেক দূরেই থাকবে।কিন্তু যারা মুসলমানদের মাঝে বিভেদ তৈরীতে কাজ করেছে অতি হাদিস ভক্তকুল তাদের ফাঁদে আটকা পড়ে হানাফী থেকে আলাদা হয়েছে।অতি হাদিস ভক্তরা যে সব হাদিস মেনে হানাফী থেকে আলাদা হয়েছে সে সব হাদিস প্রথমত হাদিস নয়। আর হাদিস হলেও সে সব হাদিস মানসুখ।
একনিষ্ঠতার বিচারে হানাফীর চেয়ে এগিয়ে কেউ নেই।আল্লাহকি কোন লোককে প্রশ্নকরবেন যে সে হানাফী কেন? সম্ভবত তিনি এমন প্রশ্ন করবেন না। কারণ কোরআনের অনেক স্থানে তিনি হানাফী বা একনিষ্ঠ হতে নিজেই বলেছেন। আর তিনি যদি প্রশ্ন করেন কেন আবু হানিফার (র.) অনুসারি হয়েছ? আর কেউ যদি দেখাতে পারে যে আবু হানিফার (র.) মাঝে একনিষ্ঠতা রয়েছে, তবেতো সে ধরা খাবে না।
আবু হানিফা (র.) বলেছেন, সহিহ হাদিস তাঁর মাযহাব। কাজেই সহিহ হাদিসের বাইরে কোন হাদিস তিনি গ্রহন করেননি। তিনি যে হাদিস বাদ দিয়েছেন, তা’মূলত হাদিস নয় অথবা মানসুখ হাদিস। কাজেই তাঁর মাসয়ালার বিরুদ্ধে মানসুখ ছাড়া সহিহ হাদিস পাওয়া যাবে না। আর সহিহ মানসুখ হাদিস আমল যোগ্য নয়।
আল্লাহ খুঁটিনাটি প্রশ্ন করবেন। সে প্রশ্নের জবাব প্রদানের জন্য সবাইকে অবশ্যই তৈরী থাকতে হবে। আল্লাহ অবশ্যই জিজ্ঞাস করবেন দুই তৃতীয়াংশের বেশী মুসলমানদের দল হানাফিতে কারা এবং কেন শামিল হয়নি? তখন তাঁর মনপুত জবাব দিতে না পারলে বিপদতো ঘটবেই। তবে এ ক্ষেত্রে সে রক্ষাপাবে যাকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন। আর ফেল করে পাশ কোন উঁচু দরের পাশ নয়। উঁচু দরের পাশ হলো উঁচু গ্রেডে পাশ।
আল্লাহ সব মুসলমানকে একদল হতে বলেছেন। একদলের নাম আহলে ছুন্নাত, আহলে হাদিস, শীয়ায়ে আলী, ইবাদী সঠিক নয়। একদলের নাম ‘হানিফাম মুসলিমা’ সঠিক। কারন ‘হানিফাম মুসলিমা’ আল্লাহ প্রদত্ত নাম।একদলের নাম শুধু মুসলিম হলেও হবে। কারণ আমাদের জাতির পিতা আমাদের নাম মুসলিম রেখেছেন।আর আল্লাহ আমাদের নাম রেখেছেন ‘হানিফাম মুসলিমা’।
বানোয়াট ও মানসুখ হাদিস হতে আত্মরক্ষা করতে হাদিসকে কোরআন দিয়ে যাচাই করে দেখতে হবে।অমুক সহিহ বলেছেন, তমুক সহিহ বলেছেন বলেই হাদিস সহিহ হবেনা। কারণ সে অমুক ও তমুক ভুল কথাও বলতে পারেন। কারণ মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়।যে হাদিস সঠিক বা বেঠিক কিছুই প্রমাণিত হবেনা সে হাদিস মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে বাদ দিতে হবে। আর কল্যাণকর প্রমাণিত হলে আমল করতে হবে।
মুসলমানদের মাঝে অধিক গন্ডগোল হচ্ছে হাদিস নিয়ে। কাজেই দেখতে হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বানানো হাদিস সহিহ তালিকায় যুক্ত হয়ে সমস্যা সৃষ্টি করছে কি না?
আমি মুসলমানদেরকে মুসলমানদের সর্ব বৃহৎদল হানাফীতে একত্রিত হতে আহবান জানাই।কারণ একত্রিত হওয়া ফরজ।কেউ যদি অন্য কোন দলে একত্রিত হতে আহবান জানিয়ে থাকেন তবে তাঁকে সে দল সঠিক প্রমাণ করতে হবে। আহলে হাদিস নামের দিক থেকেই প্রশ্নবিঁদ্ধ। আর প্রশ্নহলো আহলে কোরআন কেন নয়? আহলে কোরআনও নামের দিক থেকে প্রশ্নবিঁদ্ধ। আর প্রশ্নহলো আহলে কোরআন ওয়াল হাদিস কেন নয়? শীয়ায়ে আলী নামের দিক থেকে প্রশ্নবিঁদ্ধ। আর প্রশ্নহলো শীয়ায়ে মোহাম্মদ (সা.) কেন নয়? আহমদী, ইবাদী ও হানাফী ক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো মুসলিম কেন নয়? এ ক্ষেত্রে ইবাদী ও আহমদী মুসলীমের সমার্থক না হলেও হানাফী মুসলিমের সমার্থক। আর ‘হানিফাম মুসলিমা’ আল্লাহ প্রদত্ত নাম। ‘ইবাদী-ইবাদতকারী’ যে কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে।‘আহমদী-অধীক প্রসংশাকারী’ যে কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে।কিন্তু ‘হানিফাম মুসলিমা’ মুসলিম হিসেবে সুনির্দিষ্ট। তা’ছাড়া এক্ষেত্রে কোরআনের বর্ণনা রয়েছে।‘মুসলিম-আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পনকারী’ আর হানাফী বলতেও শুধুমাত্র আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পন বুঝায়।সেজন্য হানাফী ও মুসলীম সমার্থক।
আপনি কেন হানাফী হবেন? এর উত্তর হানাফী বা একনিষ্ঠ হতে আল্লাহ বলেছেন। প্রমাণ সূরা বাকারা ১৩৫ নং আয়াত।এখন আবু হানিফার (র.) অনুসারি হলে হানাফী হওয়াগেলে আবু হানিফার অনুসারী হতে অসুবিধা কোথায়? আপনি কেন হানাফী ছাড়া অন্য কিছু হবেন না? কারণ অন্য কিছু হতে আল্লাহ বলেননি।আপনি হানাফী না হয়ে মুসলিম হবেন, যদি এমন হয় যে হানাফী না হয়ে মুসলিম হওয়া যায়না, কারণ একনিষ্ঠ হওয়া মুসলিম হওয়ার প্রধান শর্ত। তখন কি করবেন? যদি এমন হয় যে আবু হানিফার অনুসারি না হলে মুসলিম হওয়া যায়না। কারণ আবু হানিফার (র.) মধ্যে যদি মুসলিম হওয়ার যাবতিয় বিষয় থাকে তবে তো এর বাইরে গেলেই মুসলিম থেকেও বের হতে হবে।যদি বলে আবুহানিফা (র.) নয় রাসুলের (সা.) অনুসরন। কিন্তু আবু হানিফার (র.) অনুসরন ও রাসুলের (সা.) অনুসরন যদি বরাবর এক হয়, তাতেও আবু হানিফার (র.) অনুসরন থেকে বের হলে রাসুলের অনুসরন থেকে বের হতে হবে।তবে হ্যাঁ আবু হানিফার (র.) রাসুলের খেলাফ অনুসরন করা যাবে না। তবে সেটা রাসুলের খেলাফ অবশ্যই প্রমাণীত হতে হবে।
আমাদেরকে হানাফী হতে হবে। এতে আবু হানিফার (র.) অনুসরন যতটা সহায়ক তাঁর অনুসরন ততটা করতে হবে।যা সহায়ক নয় তা’বাদ দিতে হবে। হানাফী যাদের নাম তারা আবু হানিফার (র.) একশভাগ অনুসারী নয় বরং তাঁর ভুলগুলো বাদ দিয়ে তারা তাঁর অনুসারী।কাজেই কারো হানাফী হতে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমাদেরকে কোরআন ও হাদিসের অনুসারি হানাফী হতে হবে। তবে কোনভাবেই হাদিস নয় হাদিস হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে রাসুলের (সা.) অনুসরনের নামে এমন কিছুর অনুসরন করা যাবে না।
হানাফী আলেমদেরকে অনেক হাদিস গ্রহণকরানো যায়নি। কারণ সেসব আমলযোগ্য হাদিস ছিলনা।সেসব হাদিস ছিল বানোয়াট অথবা মানসুখ।
দুই তৃতীয়াংশের বেশী মুসলমান এমনিতেই হানাফী, কাজেই মুসলমানদের হানাফী হতে বলা দোষের কিছু হতেই পারে না। কেউ যদি বলে এটা দোষের। তবে সে বলুক হানাফিদের সমস্যাটা কোথায়? যদি সেটা বলতে না পারে তবে সে যেন আজারা প্যাঁচাল থেকে বিরত থাকে।

বিঃদ্রঃ বিশ্ব হানাফী জামাত নামে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন অচিরেই যাত্রা শুরু করবে- ইনশাআল্লাহ। এ সংগঠনের কাজ হবে মুসলমানদেরকে ভুল পথ থেকে সঠিক পথে ফিরানো। কেউ যদি বলে আমি ডাক্তার মানিনা আমি চিকিৎসা বিজ্ঞান মানি তো সে চিকিৎসা বিজ্ঞান দিয়ে তার চিকিৎসা করুক। এমনটা সে করবে কি? কেউ যদি বলে আমি ইমাম মানিনা, আমি কোরআন হাদিস মানি, তো সে তেমন মেনে জান্নাতের ঠিকানায় পৌঁছতে পারলে আমাদের সমস্যা কি? কিন্তু আমরা বলি আমরা কোরআন হাদিসের যা বুঝি না সেটা ইমাম কি বুঝেছেন সেটা আমরা দেখে ইমামের বুঝার সাথে আমাদের বুঝা মিলিয়ে সঠিক ভাবে কোরআন ও হাদিস বুঝার চেষ্টা করি। এটাকে কেউ দোষের কাজ বলে থাকলে তার পন্ডিতি কথায় কান দিতে আমরা রাজি নই। কারণ ইবলিশের এমন অনেক পন্ডিতি কথা সম্পর্কে আমরা অবগত।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Thank you

১৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

সনেট কবি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ যত বেশী শিক্ষিত হবে, ধর্মে সামানুপাতিক হারে বিভক্তি দেখা দিবে।

১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

সনেট কবি বলেছেন: শিক্ষিত হলে বিভক্তি কমেও যেতে পারে। যখন এক একটা মত মনুষের নিকট অহেতুক প্রমাণীত হবে তখন তারা সে মত ছাড়তে থাকবে। কালের গর্ভে সে মত বিলুপ্ত হবে। কিন্তু মুসলমানদের হানাফীমত হাজার বছরের বেশী সময় ধরে স্বগৌরবে দুই তৃতীয়াংশের বেশী সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বিদ্যমান রয়েছে।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

Shahjalal বলেছেন: Thank You

১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

সনেট কবি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সহিহ তরিকা চারটি যথাক্রমে,,, হানাফি, শাফি, হাম্বলি,মালেকী। প্রশ্ন হচ্চে এগুলো র মধ্যে যেকোন টাই মানলে হবে???
এবং আমার দেখা আছে এক তরিকার ভক্ত আরেক তরিকার লোকদের ভুয়া প্রমান করতে উদগ্রীব থাকে।।।
কেন???

১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ এবং মহানবি (সাঃ) সংগঠিত থাকতে বলেছেন। আমরা লোকদেরকে একটি মতে সংগঠিত হওয়ার দাওয়াত দেব। যে মতে আমরা লোকদেরকে সংগঠিত হতে বলব সে মতের সঠিকতার প্রমাণ আমরা যোগাড় করে রাখব এবং উপস্থাপন করব। অন্যমতের হিসেব কষার সময় আমাদের হবেনা। ঘরের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানোর সময় আমাদের কোথায়? পরের হিসেব পরে করুক। বাকী তিন মাযহাবকে হানাফীরা সঠিক মনে করে। তাদের পিছনে নামাজ পড়া বিষয়ে এ সিদ্ধান্তের দরকার আছে। কিন্তু তারেকে সঠিক প্রমাণ করতে আমরা যাবনা। আমরা শুধু আমাদেরকে সঠিক প্রমাণ করব। সম্ভবত আমাদেরটার ব্যাপারে আমাদেরকেিআল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। অন্যদের ব্যাপারে আমাদেরকে আল্লাহর দরবারে জবাবাদাহ করতে হবেনা। কারণ আমরাতো সেগুলো অনুসরনই করিনা, তবে জবাব দেব কেন?

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মাযহাব মেনে আমল করা জরুরী। যারা মাযহাব মানতে চান না, বুঝে হোক অথবা না বুঝে তাদের বিভ্রান্তিতে নিপতিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কারন, সরাসরি কুরআন হাদিস দেখে আমল করা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব।

চার মাযহাবের যে কোনো একটি মেনে আমল করলেই হলো। এর মধ্যে হানাফি মাযহাব আমলকারীদের জন্য অধিকতর সহজ ও সহনীয় মনে হয়।

ঈদ শুভেচ্ছা।

১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু আমরা হানাফী মত সংগঠিত রাখতে চাই।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হানাফিরা ভদ্র।
সালাফিষ্টরা কট্টরপন্থী।
দাড়ি বড়, মোচ ছোট

১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

সনেট কবি বলেছেন: মুসলমানদের মাঝে হানাফীরাই দুই তৃতীয়াংশের বেশী। আমরা এদের গুঁচিয়ে রাখতে চাই। এদের সঠিকতার প্রমাণ যোগাড় করে সে সব উপস্থাপন করতে চাই। কারণ আমি কোন মতের অনুসারি ঘোষণা দিলেই লোকেরা জানতে চাইবে এর সঠিকতার প্রমাণ কি? প্রমাণ দিতে না পারলে বলবে অন্ধ অনুসারী। আমি হানাফী মতের সঠিকতা অকাট্যভাবে প্রমাণ করতে চাই।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনার প্রচেষ্টা মহত এবং বলার অপেক্ষা রাখে না, অবশ্যই সঠিক। সাথে আছি। আল্লাহ পাক সফলতা দান করুন।

১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: একটি বিষয় আমাকে অনেক ভাবিয়ে তুলেছে। যখন আমরা জোহরের নামাজ পড়ি তখন অন্য দল আসরের নামাজ পড়ে। এ মতভেদ দূরকরা কি সম্ভব নয়? যখন আমরা রোজা রাখি তখন অন্যদল ঈদ করে। এ কেলেংকারির অবশান কি কখনো হবে না?
আল্লাহ যেহেতু সর্বশক্তিমান সেহেতু সঠিক মত অকাট্যভাবে নির্ণয় করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। এর জন্য আমাদেরকে সবার আগে সহিহ মানসুখ ও সহিহ বানোয়াট হাদিস সবার আগে নির্ণয় করতে হবে। আমার মনে হয় সংগঠিত হয়ে কাজ করলে আল্লাহর রহমতে অন্ধকার একটু একটু করে কাটতে থাকবে।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সিগন্যাস বলেছেন: এইসব জটিল জিনিস।

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৬

সনেট কবি বলেছেন: জটিল জিনিস সহজ করার দায়িত্ব মানুষকেই পালন করতে হবে।

৯| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: পথিক কি আদৌ ভেবেছিলো! যে একফালি মেঘের ছায়াকে আশ্রয় করে সে দাঁড়িয়ে ছিলো, সে মেঘের বজ্রাঘাতেই তার জীবন নাশ হবে...

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৭

সনেট কবি বলেছেন: মানুষ যা ভাবেনা সেটাই অনেক সময় হয়ে পড়ে।

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: যুগে যুগে ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রচেষ্টা ছিল, আছে, থাকবে কিভাবে ইসলামকে ভ্রান্তির পথে নেয়া যায়...

লিখনি সময় উপযোগী ও সুন্দর উপস্থাপনায় মুগ্ধতা রেখে গেলাম...

১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

সনেট কবি বলেছেন: ইসলাম ঠিকঠাক ছিল। এরপর দুষ্ট লোকেরা দ্বীনদার সেজে ভুয়া ও মানসুখ হাদিস দিয়ে মুসলমানদের মাঝে পার্টিশন তৈরীর ব্যবস্থা করেছে। যেন তারা নিজেরাই মারামারি করে শেষ হয়ে যায়।

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

নতুন বলেছেন: আপনি যেমন আপনার মাজহাবকেই সেরা ভাবেন... তেমনি বাকিরাও তাদের মাজহাবকেই সেরা ভাবে....

হানাফী সালাফী না হয়ে সবাই মুসলমান হবার চেস্টা করা উচিত।

১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: পার্টিশন উঠেগেলে আপনি যা বলেছেন সেটাই হবে। কিন্তু পার্টিশন থাকা অবদি মুসলিমের প্রতিশব্দ হিসেবে হানাফী থাকবে।

১২| ১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জটিল সমীকরণ...

১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ চাইলে জটিলও সহজ হয়ে যেতে পারে। তবে আল্লাহর চাওয়ার জন্য মানুষের প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

১৩| ১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি প্রিয়কবি ভাই ভালো আছেন। আমি এই বিষয়ে ভীষণ অজ্ঞ। আমার নিজস্ব কোনও স্টক নেই, যেকারনে আমি নিশ্চুপ থাকি। তবে বিশ্ব হানাফী জামাত তাঁর আপন ছদ খুঁজে নিক, এই মোর প্রার্থনা।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ভাইকে।

১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাবছি মুসলমানের পুরনো ক্ষত নিরাময়ে প্রচেষ্টাতো শুরু হওয়া দারকার। কাজই যদি করা না হয় তবে ফল কিভাবে আশা করা যায়?

১৪| ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০১

নিশি মানব বলেছেন: হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী আর মালিকি এগুলোইতো ভাল আছে। যদিও এর বাহিরে ছোট বড় আর অনেক মাজহাব আছে।
"বিশ্ব হানাফী জামাত" নামে একটা দল করতে গেলে মুসলিম উম্মাহ আর বিভক্ত হয়ে পড়বে। এমনিতেই বিভক্ত, তখন আর বিভক্ত হয়ে পড়বে। মুল হানাফীরা ভেঙ্গে দুুই তিন টুকরো হয়ে যাবে।

২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬

সনেট কবি বলেছেন: তথাপি হানাফীদের পক্ষ থেকে অন্যদের জবাব দেওয়ার একটা প্লাটফর্ম পাওয়া যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.