নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সনেট ভাবনা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০২



আল্লাহকে মানি, ইসলাম মানি, সেজন্য লোকে বলে ধর্মান্ধ! কেনরে বাপু যেখানে চোখ দু’টো জ্বল জ্বল করছে সেখানে অন্ধ বল কেন? তারা বলছে ইসলাম মোহাম্মদ (সা.) ও তার চেলাদের বানানো এটা না বুঝে এটা আল্লাহর প্রেরিত মনে করে নিষ্ঠার সাথে পালন করে অহেতুক সময় নষ্ট করছ, অমুক তমুক দেশের লোকেরা এটা না মেনে খুব সুখে আছে, তোমরা এসব মেনে মারামারি করে অশান্তি বাড়াচ্ছ, তবে তোমরা ধর্মান্ধ নয়তো কি? কথাগুলো মনে হলো ঠাস করে গালে একটা চড় কষে দেওয়া। সেই থেকে শুরু হলো তাদের সাথে তর্ক।আর তর্ক হলো আসলেই আমি ধর্মান্ধ কিনা সেটা খতিয়ে দেখা।তাদের একজন ব্লগার মহা সমম্বয় আমাকে ব্লগ লিংক দিয়ে সামুতে নিয়ে আসে। সেখানে সে ছবির মাধ্যমে দেখাল ধর্ম কিভাবে মগজ বের করে মানুষের মাথায় গোবর ভরে দিচ্ছে।সে যাই হোক আমি ধর্মযোদ্ধা। ভাবলাম আমার বিশেষগুণ থাকলে হয়ত লোকেরা আমাকে কিছুটা সমিহ করবে। ভাবলাম সে বিশেষ গুণের জন্য সনেট কবিতা লিখি। কিন্তু বিষয়? চিন্তা করলাম ধর্ম চিন্তা ও সনেটের বিষয় চিন্তা একত্রে করতে গেলে চিন্তা বেশি হয়ে যাবে। তারচে বরং বিনা চিন্তায় সনেট লিখি।এর উপায়? ব্লগারদেরকে নিয়ে সনেট লিখব। তো ব্লগারদের ব্লগে গেলেই তাদের গুণপনা চোখের সামনে জ্বল জ্বল করছে, এরপর চৌদ্দ চৌদ্দ মিলিয়ে দিলেই হয়ে গেল।আমি লিখি স্বীকৃতি কিছু লোক বলে তৈল। হয়ত তারা মনে করে আমি ব্লগারদের দোষ লিখি না। তো এক ব্লগারদের দোষ লিখলাম এখন বলে দোষ লিখলেন কেন তিনি কি মনে করবেন? এখন কথা হলো আমি স্বীকৃতি কেন লিখি? কারণ একটাই তিনি যেন আরো উন্নত হওয়ার ভাবনা ভাবতে পারেন। শুরু হলো আমার ধর্মীয় ও সনেট পোষ্ট।এর মধ্যে মডু আমার একটা ধর্মীয় পোষ্ট বোধগম্য নয় আখ্যাদিয়ে মুছে দিয়ে আমাকে জেনারেল করে দিল।সেই থেকে আজ অবদি আমার ‘ফরিদ আহমদ চৌধুরী’ নিক জেনারেল অবস্থায় পড়ে আছে। তারপর নতুন সংসারের স্বপ্নে ‘সনেট কবি’ নিক খুলে ব্লগিং শুরু করলাম। পোষ্টতো আর প্রথম পাতায় যায় না। সে জন্যই একপোষ্টে অসংখ্য পোষ্ট যোগ করতে থাকলাম। মন্তব্য করতাম সনেটে এরপর তা’ পোষ্টে এনে রেখে দিতাম। প্রতি মন্তব্যও করতাম সনেটে।এভাবেই আমার সনেট কবি ব্লগের পোষ্টে সনেট সংখ্যা বেড়ে সাড়ে সাতশ ছাড়িয়েছে। অবশ্য পোষ্ট করিনি বা হারিয়েগেছে আমার এমন সনেটের সংখ্যাও পাঁচশতের কম নয়।মনে পড়ে একদিন ষোলটি সনেটও লিখেছি। আর সবচেয়ে কম ১৩ মিনিটে একটা সনেট লিখেছি। মন্তব্যের পর প্রতিমন্তব্য হিসেবে ১৩ মিনিটের মাথায় ওটা পোষ্টে যোগ হওয়া ওটার ১৩ মিনিটে তৈরী হওয়ার প্রমাণ।
আমার পরিবারের ধারণা এসব না করে আমি আমার মেধা আয় মূলক কাজে খাটালে তা’ পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে বেশ কাজে লাগতো। অথচ আমি উল্টা এ কাজে অহেতুক অর্থ ব্যায় করছি।তাদের এ কথার জবাব দেওয়ার মত অবস্থানে আমি এখনো নেই। সেদিন মাননীয় ব্লগার নতুন বলেছেন তিনি আমার নাম গিনিস বুক অফ ওয়াল্ডে তোলার চেষ্টা করবেন। তা’ দেখিয়ে ঘরের জনকে কিছুটা আশ্বস্ত করলাম। আমি অপরের স্বীকৃতির জন্য সনেট লিখি আমার স্বীকৃতির জন্যও সনেট লিখেছেন চঞ্চল হরিণী। বা অনেকে আমাকে নিয়ে পোষ্ট দেয় এসব আমার লেখালেখির অবশ্য সহায়ক।যদি বড় কোন স্বীকৃতি ঝোটে তবে হয়ত লেখালেখিতে সেটা আরো সহায়ক হবে।
কেউ বলে সনেট লেখা বাদ দেন, কেউ বলে ধর্মীয় লেখা বাদ দেন, আমিতো এ দু’টাই লিখি, এবার তাহলে কি করব? কাজেই সকলের মনমত হওয়া সম্ভব নয়। কেউতো বিরোধী থাকবেই।
অবশেষে মডু আমার ‘সনেট কবি নিক’ নিরাপদ করে দিল। এখন নিরাপদে লিখছি। পাঠক পরামর্শে সাধারণ বিষয় নিয়েও সনেট লিখছি।
সম্ভবত নব্বই জন ব্লগার নিয়ে সনেট লেখা হয়েছে।তৈল অপরাধে এধারা অনেকে বন্ধ করতে চায়।কিন্তু আমি ১৬০ জন ব্লগারকে নিয়ে ৪৮০ সনেট লিখে তা’থেকে বাছাইকৃত ১৬০ বা তার কিছু কম সনেট নিয়ে ‘সনেট কাব্যে সামু ব্লগার’ নামে একটা মহাকাব্য লিখতে চাই। একই ব্লগের ব্লগারদের নিয়ে লিখার কারণে এটা মহাকাব্য হবে। আর বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। কায়কোবাদও মহাকবি হয়েছেন। তিনি পানিপথের যুদ্ধ নিয়ে মহাকাব্য লিখেছেন।
যারা ব্লগারদের নিয়ে সনেট লিখেনা তাদের পোষ্টে তুলনা মূলক আমারচেয়ে মন্তব্য অনেক বেশী। তাতে কি প্রমাণ হচ্ছে আমি এ দিয়ে সুবিধা আদায় করছি? আমার মনে হয় সহ ব্লগারদের নিয়ে পোষ্ট না লিখলে আমি আরো বেশী মন্তব্য পেতাম। কাজেই সহব্লগারদের নিয়ে পোষ্ট দিয়ে উল্টো আমি আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি।তথাপি আমি তাদের নিয়ে লিখি তাদের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের উন্নয়নের জন্য। আর সেটা লোকের অপবাদ মাথায় নিয়ে নিজের ক্ষতি করে।
আমার সাধারণ পোষ্টও আলোচিত পাতায় যায় ব্লগারদের নিয়ে লেখা পোষ্টও আলোচিত পাতায় যায়।আবার উভয় পোষ্ট আলোচিত পাতায় যায়না। তাহলে এখানে আপত্তির কারণটা আসলে কি? আমি ব্লগারদের স্মৃতি সনেটে ধরে রাখতে চাই এখানে ভুলটা কোথায়? প্রত্যেক বিষয়ে ইতি নেতি দু’দিক থাকে। নেতি বাদ দিলে যদি ইতিও বাদ হয়ে যায় তবে তো দেখতেই হয় আমি আসলে কি করব?
আল্লাহ, ইসলাম, কোরআন, মোহাম্মদ (সা.), হানাফী মাযহাব, পীর, তাবলীগ ও মীলাদ অনেকে বেঠিক বলে; আমি এসব মানি বিধায় আমি এসব সঠিক প্রমাণের চেষ্টা করি, তাতেও অনেকে দোষ ধরে বলছে আমি অন্যদের মত সঠিক প্রমাণ করছিনা কেন? আমার কথা হলো আমি যে মত মানি না সেমত আমি কেন সঠিক প্রমাণ করতে যাব? সেটা যারা মানে তারা না হয় সঠিক প্রমাণ করবে!
সর্বশেষ ভাবলাম খোঁচাখুঁচি যে যাই করে করুক আমি থাকব আমার মত।যতদিন ব্লগিং করার সুযোগ পাই ব্লগিং করব, বন্ধ করে দিলে তখন না হয় বসে বসে হাওয়া খাব।

উৎসর্গঃ সেইসব ব্লগার যারা আমার পোষ্টের পাঠক, মন্তব্য, লাইক ও প্রিয়তালিকা ভুক্তকারী, যারা আমাকে নিয়ে কষ্টকরে পোষ্ট প্রদান করেন ও যাদের আলোচনায় আমি থাকি।

বিঃদ্রঃ কিছু কথা চেপে গেছি। কারণ মানুষ সব কথা বলেনা। জনাব চাঁদগাজীর প্রতি অধীক মহব্বতের কারণ যখন আমার লেখা প্রথম পাতায় যেতনা তখন তিনি নিয়মিত আমার ব্লগে ঢুকে আমার পোষ্ট পড়ে মন্তব্য রেখে আসতেন। দূর্দিনের সেই হিতাকাংখির কথা কেমন করে ভুলা যায়?
শৈশবে বলদা গার্ডেনের পাশদিয়ে স্কুল যাওয়ার সময় কাঁঠাল চাঁপা ফুল বেগে ভরে নিয়ে যেতাম। এটা ছিল তখন আমার প্রিয় সখ। এ ছাড়াও গন্ধরাজ ফুল খুব প্রিয় ছিল।
আমার বিরুদ্ধেও অনেক পোষ্ট হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা পোষ্ট স্টিকিও হয়েছে। আমার মনে হয় আমি জনপ্রিয় থেকে বেশী অজনপ্রিয়। কিন্তু কি করব, জন প্রিয়তার জন্যতো মত বদলানো যায় না! দোষের কথা আর কি বলব, মানুষ সৃষ্টিকর্তাকেও দোষমুক্ত রাখেনি। আর শাসকেরতো পদে পদে দোষ!

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২১

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: প্রীশু।

চুলকানি সবজায়গায় থাকে।

আমি মনে করি আপনি আপনার ধারা অবলম্বন ঠিক রাখবেন।

আর 'সনেট কাব্যে সামু ব্লগার' গ্রন্থের পাশাপাশি সনেটে আসমাউল হুসনা পায় যেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

সনেট কবি বলেছেন: সনেট কাব্যে আল আসমাউল হুসনাও পরিকল্পনায় আছে কিন্তু লেখার সময় ভুলে গিয়েছিলাম।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: সনেট চলুক। এটা লেখা সময় ও কষ্ট সাপেক্ষ বিধায় কেউ সহজে এটাতে হাত দিতে চায়না।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: বাস্তবিক এটা যথেষ্ট কষ্ট সাপেক্ষ। এখন আমি নদী নিয়ে লিখলে নদীতো আর বলতে পারেনা তারা আমার এ কষ্টে খুশী হয়েছে কিনা, কিন্তু ব্লগারদের নিয়ে লিখলে তারা অবলিলায় বলে দেয় তারা খুশী হয়েছে, এতে মানসিক শ্রান্তি ঘটে। তা’ছাড়া ব্লগারদেরকে নিয়ে লিখলে যতটা মন্তব্য পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথ অথবা আল্লাহকে নিয়ে লিখলেও ততটা মন্তব্য পাওয়া যায়না।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চলমান আন্দোলন "নিরাপদ সড়ক চাই"
শিরোনামে একটা সনেট আশা করছি

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: নিরাপদ সড়ক চাই

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কি করে চোখের আড়াল হলো বুঝিনাই
যা হোক ধন্যবাদ আপনাকে

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

সনেট কবি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মাননীয়।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

ঋতো আহমেদ বলেছেন: কে কী বললো না ভেবে আপন মনে লিখে যান ফরিদ ভাই। মনের প্রশান্তিই আসল কথা। লিখুন। নিজেকে সদা প্রফুল্ল রাখুন। শুভ কামনা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

সনেট কবি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি। প্রীশু নিয়েন।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

সাাজ্জাাদ বলেছেন: এটা আপনাকে করা আমার প্রথম মন্তব্য।
সনেট নিয়ে অনেক পরিকল্পিত আর সময়সাপেক্ষ প্লান করেছেন আপনি। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা খুব ধৈর্য আর কষ্টসাধ্য। দোয়া করি আপনার পরিকল্পনা সফল হোক।
আর একটা ব্যাপার ,আপনার সনেটের চেয়ে ধর্ম সংক্রান্ত লেখা অনেক অনেক ভালো আর কোয়ালিটিফুল হয়।
রম্যতেও আপনার হাত খুব ভালো।
ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু ধর্মীয় পোষ্টগুলো বেশী অবহেলিত। তারচেয়ে যারা ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে তাদের জনপ্রিয়তা বেশী দেখা যাচ্ছে। আর ইসলামী বিষয়ের সনেটগুলো বেশ প্লপ যাচ্ছে। তবে কি ইসলাম বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? নাকি আমার এ সংক্রান্ত লেখা পাঠকের পছন্দ নয়?

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

সাাজ্জাাদ বলেছেন: ইসলাম বিলুপ্তির পথে না।
কোন বিষয় নিয়ে সনেট পড়েই কমেন্ট করা যেমন সহজ ধর্ম নিয়ে কমেন্ট করা তত সহজ নয়।
তার উপর আপনার যদি শক্ত যুক্তি থাকে।
মন্ত্যব্বের উপর নির্ভর না করে সত্য আর কোয়ালিটিফুল লিখা লিখে যাবেন আসা করি।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

সনেট কবি বলেছেন: কোয়ালিটি ফুল কি করে বুঝি, যদি কেউ সেটা না বলে। আর আমার লেখা যেখানে নির্বাচিত পাতায় যায়না তাতে মনে হয় লেখালেখিতে আমি এখনো শৈশব অতিক্রম করতে পারিনা। তারউপর একবার জেনারেল হওয়ায় মনে ভয় ঢুকেছে আবার না কখন জেনারেল করে লেখা প্রথম পাতায় আসা বন্ধ করে দেয়। সেকালে দেখতাম অনেকের লেখা প্রথম পাতায় যায় আর আমার লেখা প্রথম পাতায় যায় না।তখন কি করে ভাবা যেত যে আমার লেখা কোয়ালিটি ফুল। যেখানে অনেকের লেখা শুরুতেই প্রথম পাতায় গেল সেখানে আমাকে প্রথম পাতায় যেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। পাঠক পছন্দ না করলে সেটা আসলেই অনেক হতাশার কারণ হয়। অনেকের মনের ভাব এমন, ‘একবার যদি কেউ আমার লেখা পড়তো, একবার যদি কেউ লেখায় একটা মন্তব্য করতো’। অথছ কতিপয় স্বার্থ্যপর নিজেদের লেখা প্রথম পাতায় বেশিক্ষণ থাকার আশায় অভাগাদের লেখা প্রথম পাতা থেকে বিদায় করতে চায়। এ পৃথিবী বড় কঠিন। সবাই তেলা মাথায় তেল দিতে চায়। হতভাগাদের পাশে কেউ থাকতে চায়। তবে হতভাগাদের দু’জন খাস বন্ধু হলেন রাজীব নুর ও চাঁদগাজী। অবশ্য এমন আরো অনেকে আছেন। তাদের সবার মঙ্গলের জন্য দোয়াকরি।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ১। অবশ্যই সামুর ব্লগারদের নিয়ে লেখা সনেট বের করবেন। সবার আগে আমি এক কপি সংজ্ঞ্রহ করবো।
২। চাঁদ গাজী গ্রেট ব্লগার।
৩। আপনার পরিবার ঠিকই বলেছেন, আপনার মেধা খাটালে পরিবারের জন্য বেশি ভালো হতো।
৪। চাচাজ্বী আপনি মন খারাপ করবেন না। দুষ্টলোক সব জাগায় থাকে। মক্কা মদীনায়ও আছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু আমি সবার জন্য কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম বা এখনো চাচ্ছি।

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সনেট লেখা অনেক কঠিন একটি কাজ; আর আপনি তা অতি নিষ্টার সাথে করে যাচ্ছেন এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি সহ ব্লগারদের নিয়ে অনেক সনেট লিখেছেন, এর মধ্যে আমিও আছি; এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। এজন্য কৃতজ্ঞতা সব সময় থাকবে। কে কি বললো তা নিয়ে না ভেবে নিজের মত করে লেখে যান। অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় সনেট কবির জন্য।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

সনেট কবি বলেছেন: প্রতিকূলতা কাটিয়ে চলার চেষ্টা করছি।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

মোহাম্মদ এন ইউ ইসলাম নাজিব বলেছেন: যাদের চুলকানি আছে তারা চুলকাক...আপনি আপনার কাজ চালিয়ে যান

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

সনেট কবি বলেছেন: চুলকানি একটা খারাপ রোগ।

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী লিখে সার্চ দিয়ে আপনার সেই নিক খুঁজে পেলাম। তারপর কি পরিমাণ অবাক হয়েছি বলে বোঝাতে পারবো না। সেখানে আপনার দেড়শত এর উপর ফলোয়ার আছে, সকল পোস্ট পনেরোশত বার পড়া হয়েছে! কি আশ্চর্য! আপনি তো তাহলে শায়মাপু বা ব্লগার সোহানি আপুর চেয়েও জনপ্রিয় ছিলেন! সেই নিক জেনারেল হয়ে গেছে কি কারণে আমি বুঝতে পারছি না। হয়তো আপনার লেখাতে নিশ্চয়ই কোন না কোন সমস্যা ছিল, এমনিতে তো সামু কর্তৃপক্ষ জেনারেল করে দেয়নি।

এনিওয়ে, আপনার এই লেখাটি আমি অফলাইনে বসে পড়েছি। তারপর মন্তব্য লিখছি অফলাইনে বসেই। এই কমেন্ট পোস্ট করে আবার অফলাইনে গিয়ে সামু থেকে কয়েকদিন ছুটি কাটাবো। এখন সামুতে ঢুকলেই খালি আন্দোলন দেখছি। এই আন্দোলনের ঢেউ কমলে আবার সামুতে এসে সবার লেখাগুলো পড়ব।

আপনার এই লেখাতে কোন জটিলতা নেই, স্বচ্ছতা এবং সরলতায় পরিপুর্ন আপনার বক্তব্য, যে দুঃখ প্রকাশ করার চেষ্টা করছেন তা আমি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারছি। আপনার জন্য আমার খারাপ লাগছে। এতো জনপ্রিয় নিক যদি আমার হত, আর আমার নিক যদি সামু কর্তৃপক্ষ জেনারেল বানিয়ে দিত তাহলে অভিমান করে হয়তো আর সামুতেই আসতাম না। আপনি এরপরেও সামুতে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন, ব্যপারটা রীতিমত বিস্ময়কর।

আমি আপনাকে একটা পরামর্শ দেবো, সেই পরামর্শটা গ্রহণ করবেন নাকি করবেন না তা আপনার ব্যপার। আমার ধারণা পরামর্শ আপনি গ্রহণ করবেন, এই আশায় লিখছি।

পাঠক হিসেবে আমার অনুভূতি হল, মানুষ কবিতা পছন্দ করে না। সাধারণ কবিতা হোক বা সনেট হোক, মানুষ এগুলো আগ্রহ নিয়ে খুব কমই পড়ে। বিশ্বাস হচ্ছে না কথাটা? আপনি দেখুন তো, এই সামুতে যে লেখাগুলো পোস্ট হয় সেগুলোর মাঝে কবিতার ভিউ এবং মন্তব্য সবচেয়ে কম। অর্ক নামের একজন ব্লগার সামুতে কবিতা লিখতেন, পড়েছেন নিশ্চয়ই উনার কবিতা। কবিতা খারাপ ছিল না, কিন্তু কবিতার মাণ অনুযায়ী লাইক পেতেন না! এজন্য উনার মনে হয়ত দুঃখও ছিল। একদিন তিনি কি বলেছিল দেখুন....



দুই দিন আগে ব্লগার অর্ক সামুকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন। সবাই যদি উনার কবিতায় আহামরি মন্তব্য করত তাহলে তিনি হয়তো এখনি সামু থেকে অবসর নেবার কথা চিন্তা করতেন না। উনার সেই কথার সুর এখন আপনার এই পোস্টেও দেখা যাচ্ছে। খুব সম্ভবত কোন এক সময় আপনিও লেখালেখির উৎসাহ হারিয়ে অর্কের মত বিদায় নেবেন।

আপনি বলুন, পাঠক যদি কবিতা পছন্দ করত তাহলে কি কবিতার ভিউ এতো কম হত? কিন্তু আপনি শুধু কবিতা নিয়েই পড়ে আছেন কেন?

শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে বলছি, মহাকাব্যের চিন্তা বাদ দিন। আধুনিক সময়ের মানুষ কবিতা পড়ার যুগে নেই, এখন মানুষ অনেক ব্যস্ত সময় কাটায়। সারাদিন জীবনযুদ্ধে লড়াই করে আসার পর ক্লান্ত মানুষ ফেসবুক বা ব্লগে ঢোকে মজার কিছু পড়ার জন্য। এই সময়ে কবিতা কাউকে আকর্ষন করতে পারে না। প্রমাণ তো উপরেই উল্লেখ করলাম, দেখুন কবিতার ভিউ কত কম! ছোট কবিতাও পড়তে চায় না, মহাকাব্য পড়ার মত সময় ও ইচ্ছে তো মোটে কারো নেই। কেন মহাকাব্যের কথা চিন্তা করছেন বলুন তো! আমি যতদূর জানি বিশ্বসাহিত্যে মহাকাব্য একটি মৃত বস্তু। বাংলা বাদ দিন, কোন ভাষাতেই এখন মহাকাব্য আর জনপ্রিয়তা পায় না। আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি, সনেট বা কবিতা বাদ দিন। যদি পারেন আজ থেকেই বাদ দিন।
আবার বললেন ইসলাম নিয়ে লিখলেও সমস্যা। সত্যি কথা, ধর্ম নিয়ে লিখলে মানুষ খুব একটা পছন্দ করে না। পক্ষে লিখলেও পছন্দ করে না, বিপক্ষে লিখলে পছন্দ করা দূরে থাক বরং সবাই ঘৃণা করে।

তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, আমি কি নিয়ে লিখবো? (প্রশ্নটা অলরেডি করে ফেলেছেন) কি লিখবেন তাও আমি একটু সাজেশন দিতে পারি।
আপনি কি ব্লগার খায়রুল আহসানের পোস্ট দেখেছেন? লক্ষ্য করে দেখুন, উনার যে সকল পোস্ট নিজের জীবনের স্মৃতিকথা নিয়ে লিখেন ওগুলো বেশি জনপ্রিয়তা পায়। কবিতা উনিও লিখেন, কিন্তু উনার কবিতাতে স্মৃতিকথার মত সাড়া নেই। আপনিও আজ থেকে আপনার নিজের জীবনের স্মৃতিকথা লিখতে পারেন। আপনার এই পোস্টের শেষে শিউলি ফুল নিয়ে কত সুন্দর একটা লাইন লিখেছেন! যা লিখেছেন তা কিন্তু জীবনের স্মৃতি, এরকম অসংখ্য স্মৃতি আপনার রয়েছে। কোন স্মৃতি আনন্দের, কোন কোন স্মৃতি খুব দুঃখের। এই স্মৃতিগুলোকে আপনি সুন্দর করে লিখে সামুতে পোস্ট করুন। এভাবে ব্লগার খায়রুল আহসান নিয়মিত লিখছেন। আপনিও লিখুন। দেখুন সেই লেখা ভিউ পায় কিনা, মন্তব্য পায় কিনা দেখুন। আমার বিশ্বাস, আপনি এধরনের লেখা লিখলে জেনারেল হয়ে যাওয়া আপনার সেই নিকের মত আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন।

সংক্ষেপে আবার বলছি, কবিতা বাদ দিন। স্মৃতিকথা লিখুন। আপনার শৈশবের কোন কথাটি সবচেয়ে পুরনো কিন্তু মজার, ভেবে দেখুন তো। সেই স্মৃতিটাকে সুন্দর করে লিখুন। যতটা সম্ভব হয় আবেগকে কাজে লাগান। আমার ধারণা মানুষের আবেগ বুড়ো হয়ে যায় না, মানুষ যত বয়সী হয় আবেগ তত শাণিত হতে থাকে। এই লেখাতে শিউলি ফুলের কথা যখন টাইপ করছিলেন তখন কেমন বোধ করছিলেন? অনুভূতি যদি লিখতে পারেন নিশ্চয়ই লেখা আরও সুন্দর হবে।

কয়েকদিন আগে আমি ডাগনি কার্লসন নামের এক বৃদ্ধা ব্লগারকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম, দেখেছেন নিশ্চয়ই। এই বয়সে জনপ্রিয় হবার মূল কারণ হল তিনি জীবনের অনুভূতি লিখতে পারেন। আপনি আপনার লেখার সরল বৈশিষ্ট্য নিয়ে যদি লিখতে পারেন, আমি নিশ্চিত আপনার সেই লেখাগুলো খুব জনপ্রিয় হবে।
আপনার জন্য এই কমেন্ট লিখতে যত সময় ব্যয় করছি আমার পোস্ট লিখতেও এতো সময় লাগাই না। তবুও লিখতে হচ্ছে দায়বোধ থেকে।
যদি আপনি আমার মন্তব্যের ভাষা বুঝতে পারেন, তাহলে সামুতে আপনি অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগারে পরিণত হতে পারবেন। আমার বিশ্বাস নির্বাচিত পাতায় আপনার লেখা দেখতে পাবেন।
আর যদি মহাকাব্যের চিন্তা বাদ দিতে না পারেন তাহলে এরপর আপনি সবসময়ের মত সনেট লিখতে থাকবেন, অন্য ব্লগারেরা তা পড়বে, হয়তো পড়বে না, হয়তো মন্তব্য করবে, হয়তো করবে না, যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে থাকবে। আপনিও মন্তব্য খরায় ভুগে কষ্ট পাবেন। তারপর একসময় হয়তো ব্লগার অর্কর মত সামু থেকে ফিরে যাবেন। কিন্তু আপনাকে যেন এভাবে বিদায় না জানাতে হয় সেই কামনা করছি।

ভালো থাকুন সবসময়!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: ভেবে দেখার মত একটা মন্তব্য দিয়েছেন। ভাবছি কি করা যায়। বই করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এত দিন যখন কষ্ট করেছি। তখন না হয় কয়টা বই যদি পারি করে যাব। ৫০০ কপি বই করতে হয়। সৌজন্য দেওয়ার মত লোকতো আছে। কিছু লাইব্রেরীতে যদি আমার কিছু বই থাকে তা’ যদি মানুষের কিছু কাজে লাগে। কিছু লস দিয়েছি, না হয় আরো কিছু লস দিলাম।
মানুষের মজার শেষ নেই। মানুষ পর্ণমূখি হয়ে গেলে সমূহ বিপদ। পর্ণ থেকে মানুষকে কোন দিকে ফিরানো যায়? এসব লেখালেখি করে না হয় কিছু সময় কাটাক। আরো ভাল লিখুক, আরো উন্নতি করুক। ক্ষতিকর কাজের বদলে অলাভ জনক কাজ করুক। পাপ মুখি হওয়াতো বেশী ক্ষতিকর।
ব্লগারদের নিয়ে গদ্যে পোষ্ট দিলে এতটা গুরুত্ব পাবেকি? ব্লগাররা ভাল লিখুক। অন্তত কিছু লোক এদিকে থাকুক। কূ-পথ থেকে ফিরে চলারমত পথতো থাকা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.