নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কচু পাতার পানি ও আমার পরকাল বিশ্বাস

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০১



জীবনটা কচুপাতার পানির মত। একটু নাড়া খেলেই পড়ে যায়। নাড়া খাওয়ার আগ পর্যন্ত টল টল করে।
কেউ বলে জীবন এখানেই শেষ। কেউ বলে এরপর আছে পরকাল, যাতে এ জীবনের কর্মফল ভোগ করতে হয়।দু’টি বিশ্বাসের একটি অবশ্যই সঠিক।মানুষ পারিবারিক ভাবে এমন একটি বিশ্বাসের অনুসারী হয়। তারা ভাগ্যবান যারা সঠিক বিশ্বাসের পরিবারে জন্মগ্রহণ করে।তারাও ভাগ্যবান যারা সঠিক বিশ্বাস খুঁজে পেয়ে সে মত জীবন যাপন করে এবং ভুল বিশ্বাস পরিত্যাগ করে।এরা অগোচরে ভুল বিশ্বাসে থেকে যাওয়া অথবা সঠিক বিশ্বাস গ্রহণ করতে না পারা থেকে আত্মরক্ষা করতে সত্য অনুসন্ধান করে।এরা বুদ্ধিমান।কতিপয় বেকুব বলে পারিবারিক ভাবে লোকে বিভিন্ন বিশ্বাসের অনুসারী হয়।তো পারিবারিক ভাবে লোকে বিভিন্ন বিশ্বাসের অনুসারি হয় বলে সঠিক বিশ্বাস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবেনা সেটা আবার কেমন কথা? কেউ বলে এটা তার দোষ নয় যে ভুল বিশ্বাসের পরিবারে জন্মের কারনে সে ভুল বিশ্বাসের অনুসারী হয়েছে। কিন্তু দোষ নয় বলে কি ভুল বিশ্বাসের ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে? কেউ বলে এটা কারো গুণ নয় যে ঠিক বিশ্বাসের পরিবারে জন্মগ্রহণ করার কারণে কেউ ঠিক বিশ্বাসের অনুসারী হয়েছে। কিন্তু গুণ না হলেও কি সে ঠিক বিশ্বাসের উপকার থেকে বঞ্চিত হবে? এখন বিধাতা কারে কোন পরিবারে জন্মের ব্যবস্থা কেন করেছেন সেটা না হয় তাঁকে কাছে পেলে জিজ্ঞাস করে নেওয়া যাবে। বিধাতাকে কাছে না পাওয়া পর্যন্ত না হয় যাতে নিজের ভাল হয় সে চেষ্টা করি!
কোরআন পরকালের কথা বলেছে। আর বলেছে কোরআনের কথায় ভুল নেই। আর মানুষ দেড় হাজার বছর কোরআনের ভুল সনাক্ত করতে পারেনি।মানুষের ভুল আছে। কাজেই কোরআনের কথা মানুষের কথা নয়।কোরআন এমন কারো কথা যার ভুল নেই।
যারা মধ্যে তথ্য, জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধিগত ঘাটতি আছে তার ভুলও আছে। কারণ যে বিষয়ে যার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে সে সঠিকটা কিভাবে বলবে? সেতো সেটা জানেইনা।সংগত কারণে ঘাটতি থাকলে ভুল থাকবেই।
সসীমের মধ্যে ঘাটতি থাকবেই। কারণ সীমার বাইরে তাতে কিছু থাকা সম্ভব নয়।ঘাটতি থাকবেনা শুধু অসীমে। যতই খরচ হয় তথাপি অসীমে ঘাটতি তৈরী হয়না। সংগত কারণে ঘাঠতি না থাকায় অসীমের ভুল নেই।
অসীম একাধিক হতে পারেনা। কারণ একাধীক করতে অসীমে সীমা দিতে হয়। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকেনা।সসীম হয়ে যায়। কাজেই অসীম একাধিক হওয়া অসম্ভব।সুতরাং অসীম শুধুই একজন। যার ভুল নেই। যার মানব প্রদত্ত ও আত্মস্বীকৃত নাম আল্লাহ।
সংগত কারণে ভুল না থাকায় কোরআন অসীম বা আল্লাহর বাণী এবং কোরআনের কথা অবশ্য সঠিক। সেই কোরআন যখন বলেছে পরকাল আছে সুতরাং পরকাল অবশ্যই পরকাল আছে। এটাই আমার পরকাল বিশ্বাসের একমাত্র কারণ। আর পরকাল সম্পর্কে কোরআন যেমন যা বলেছে আমার বিশ্বাসও হুবহু সে রকম।
কচুপাতার পানির মত কখন জীবনটা গড়িয়ে পড়ে সেজন্য বেঁচে থাকতে পরকালের চিন্তা করি যেন সে কালে একটু শান্তিতে থাকা যায়। এরমধ্যে কতিপয় আল্লাহ ইসলাম কোরআন ও মহানবির (সা.) কূৎসাগায় তখন বিরক্ত লাগে।তাদের সে সব মুরালি সংগীত কোন লাভ আছে কি? আরে বাপু এসব যদি সত্যই হয় তবে এসবের দোষ ধুয়ে কি আমি পানি খাব? কোরআন যদি আমি সত্যই প্রমাণ করতে পারি তবে এটা কে কার কাছ থেকে শুনেছে সে ইতিহাস আমি কেন দেখতে যাব? আমার কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই নাকি? হায়রে মানুষ কত প্রকারের যে নির্বোধ তারা হতে পারে বলা মুশকিল!

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সত্য মিথ্যা যাচাই করে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। আমি যে মতাদর্শ, বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছি সেটা কতটুকো সত্য তা যাচাই না করে জীবনযাপনে সার্থকতা কতটুকো সেটা ভাববার বিষয়।
তবে ভেড়ার পালের মতো সামনের ভেড়াটিকে অনুসরণ করে করেও গন্তব্যে যাওয়া সম্ভব যদি সামনের ভেড়াটির গন্তব্য ঠিক থাকে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

সনেট কবি বলেছেন: কি যে সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাষায় বর্ণনা করার মত নয়। একেবারে একশতে একশ সঠিক। এ সহজ কথাটাই অনেক নির্বোধ বুঝতে পারেনা। এরা আজাইরা প্যাঁচাল ও খাজুইরা আলাপ নিয়ে ব্যস্ত। আমি বুঝিনা হাসরের মাঠে যখন এরা সামনা সামনি আল্লাহর প্রশ্নের সমুক্ষিন হবে তখন এরা কোন বৈজ্ঞানীক সুত্রে এটা অস্বীকার করবে? আর জাহান্নামে পড়ার পর সেটাই বা এরা কিভাবে অস্বীকার করবে? এক লোক বলছে মহানবি (সাঃ) নাকি কার থেকে কোরআন শুনে লিখেছেন। আরে বাপু এটা যদি সঠিক হয় তবে এটা কার থেকে শুনে লিখা হল সে কথার আর কি দরকার থাকে?

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আমি বুঝিনা হাসরের মাঠে যখন এরা সামনা সামনি আল্লাহর প্রশ্নের সমুক্ষিন হবে তখন এরা কোন বৈজ্ঞানীক সুত্রে এটা অস্বীকার করবে?

হাসরের মাঠ টা কোন দ্যাশে ? সৌদি আরবের মরুভূমিতে ? জায়গা তো বহুত গরম হবে। ওখানে শুনছি লাইন দেওয়ন লাগবে। আল্লাহ কি ভাষায় প্রশ্ন করবেন আরবিতে না বাংলায় ? বৈজ্ঞানীক সূত্র ধরে উত্তর দেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

সনেট কবি বলেছেন: উহা কেয়ামতের মাঠ হওয়ার কারণে বর্তমানে বিদ্যমান কোন মাঠ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আল্লাহ যে ভাষায় কথা বলুন না কেন আপনার ভিতর অনুবাদ সফট্ওয়ার দেওয়া থাকলে প্রশ্ন উত্তরে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে কথা হলো আপনার মেমরীর আরবী অনুবাদ হয়ে যাওয়ায় তখন আপনি আরবী নির্ভর হয়ে পড়বেন। একদা আপনি আরবী জানতেন না সেটাই আপনার মনে থাকবেনা। একটা বাস্তব ঘটনা হলো আমি ভীষণ পান ও জর্দা খোর ছিলাম। ছিলাম এ জন্য বলছি কারণ আমি এখন এর ধারে কাছেও নেই। স্ট্রোক পরবর্তী কালে আমি আমি ভুলেই গেছি আমি একদা পান খেতাম। এখন সমান্য জর্দার ঘ্রাণও আমার সহ্য হয়না। পঁত্রিশ বছরের বদভ্যাস কিরে কেটে গেল ভেবে আমি রীতিমত অবাক হই। আর এভাবেই একভাষার স্থানে অন্যভাষা বসিয়ে দিলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ যিনি এমনটা করবেন তিনি সর্ব শক্তিমান। তারমানে সব শক্তি তাঁর মাঝে অসীম মাত্রায় বিদ্যমান। এমনকি পদার্থ সমূহ তাঁর মাঝে শক্তিরূপে অসীম মাত্রায় বিদ্যমান।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!! খুব সুন্দর অভিব্যাক্তি।


শুভকামনা জানবেন ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

সনেট কবি বলেছেন: শৈশবেই মাকে জিজ্ঞাস করে ছিলাম আপনি যা বলেছেন এর প্রমাণ কি? তিনি বলেছেন এসব বিশ্বাসের বিষয়। প্রমাণ খুঁজতে গেলে ঈমান থাকবেনা। তাঁর সাথে তর্কে জড়ালাম না। ভাবলাম আল্লাহ সর্বশক্তিমান হলে তার প্রমাণ করতে পারার কথা। আর সে প্রমাণ তিনি যদি আমাকে সর্বরাহ করেন তবেতো আমার প্রমাণ জানার কথা। কাজেই প্রমাণ পাওয়া অসম্ভব নয়। আর এখন দেখছি প্রমাণ আসলেই অসম্ভব নয়। এটা বিশ্বাসের বিষয় তাদের জন্য যারা প্রমাণ করতে জানেনা। কিন্তু যারা প্রমাণকরতে জানে তাদের নিকট এটা অবশ্যই প্রমাণীত বিষয়। তারমানে একই বিষয় কারো কাছে প্রমানীত আর কারো কাছে বিশ্বাসের বিষয়।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: অাপনার ইহকাল-পরকাল সুন্দরভাবে কাটুক এই আশা করি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ যেমন রাখেন তাতেই খুশী থাকতে হয় প্রিয় কবি।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: "যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা" - বলে একটা প্রবাদ আছে না। কাউকে ভালো-মন্দ বিচার করতে বা কারো সম্পর্কে জানতে হলে মন সুস্থ ও সুন্দর থাকা চাই। কারো প্রতি প্রেম বা বিদ্বেষ রেখে বিচারবিবেচনা করলে ফলাফল সঠিক না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

আমি মনেকরি, যারা কোরান ও সহিহ হাদিস পড়েও বেপুথগামী তারা সুস্থ ও সুন্দর মনে পড়েন নি। বিদ্বেষ এবং নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে পড়েছেন।
এক লোক বলছে মহানবি (সাঃ) নাকি কার থেকে কোরআন শুনে লিখেছেন। আরে বাপু এটা যদি সঠিক হয় তবে এটা কার থেকে শুনে লিখা হল সে কথার আর কি দরকার থাকে? -সেটাই। ঐ লোক কে ছিলো? নিশ্চয়ই আইনস্টাইনদের মতো কোনো বিজ্ঞানী ছিলেন না যিনি দিনের পর দিন গবেষণা করে করে স্থল জল, আকাশ ইত্যাদি ইত্যাদি তথ্য জোগাড় করেছেন।

এসব যারা বলেন, তাদের ১৪০০ বছর পূর্বের সভ্যতা, মানুষের জীবনযাত্রা, সমাজ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: একই কোরআন পড়ে কেউ পথ পায় আর কেউ বিপথে হাঁটে। এটা আসলেই দৃষ্টি ভঙ্গির ব্যাপার। যে যেমন মন নিয়ে কোরআন পড়ে তার ফলাফল হয় ঠিক তেমন।
যারা কোরআনে সন্দেহ প্রকাশ করে তাদের এ সন্দেহ প্রকাশে কোন ভিত্তি থাকেনা। এরা উড়াদুড়া কথা দিয়ে তাদের মত প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অথচ এ আধুনিক যুগে যে সেটা মোটেও সম্ভব নয় তারা সেটা বুঝতে চেষ্টা করেনা। গাঁজাখুরী কথা দিয়ে এ যুগে কোন প্রতিষ্ঠিত সত্যকে ঠেলে ফেলে দেওয়া সম্ভব নয়।
আপনি খুব সুন্দর পয়েন্ট তুলে এনেছেন। আশাকরি পাঠকেরা এর থেকে উপকৃত হতে পারবে। যদি তারা বুঝতে চায়।আর কেউ যদি সত্য বুঝতেই না চায় তবে তার বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামানোই বরং ভাল।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো পড়ে..

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

সনেট কবি বলেছেন: আপনি পড়েছেন জেনে খুব খুশী হলাম। আর আপনার ভাললাগা বোনাস হিসেবে পেলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রীশু নিয়েন।

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: উহা কেয়ামতের মাঠ হওয়ার কারণে বর্তমানে বিদ্যমান কোন মাঠ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তার মানে সবকিছুই হাওয়ায় --হাসরের মাঠও হাওয়ায় , জান্নাতও হাওয়ায়। আচ্ছা জাহান্নাম টা কোথায়। মানে বৈজ্ঞানীক সুত্রে কি বলে ?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: একবার যিনি বানাতে পারেন তিনি আবারো বানাতে পারেন। আর তিনি মডেল চেঞ্জ করেও বানাতে পারেন। হাওয়ায় না থেকে গ্রহে হাওয়ার মন্ডল থাকে। আর সব কিছু রয়েছে নভমন্ডলে। নভঃতে দ্বীপের মত ভাসমান সব ভূ-মন্ডলের দৃষ্টান্ত বিদ্যমাণ। তবে সব গ্রহে হয়ত হাওয়া নেই। প্রথম আকাশের সীমানাও মানুষ চিন্তা দ্বারা পাড়ি দিয়ে শেষ করতে পারেনি। কাজেই মহা জগতের এ ক্ষুদ্র প্রাণী বাস্তবতা থেকে এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছে।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: চলো! ভুলে যাই সবকিছু...
হিসাব বরাবর হয়ে গেল।
তোমার কাছে আমি নেই
আর আমার কাছে তুমি.......

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

সনেট কবি বলেছেন: ঠিক তেমনটাই। আমরা আল্লাহকে নিয়ে না ভাবলেও। আমরা কিন্তু তাঁর পরিমন্ডলের বাইরে নই।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আকাশের সীমানাও মানুষ চিন্তা দ্বারা পাড়ি দিয়ে শেষ করতে পারেনি। কাজেই মহা জগতের এ ক্ষুদ্র প্রাণী বাস্তবতা থেকে এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছে।

আসলে আপনি খুব দামী কথা বলেছেন। .আমার পছন্দ হয়েছে। ধরুন এই বিশাল ইউনিভার্স -----বিলিয়নস অফ লাইট ইয়ার্স এর ব্যাপ্তি.. .আমরা যে ছায়াপথে আছি --মিল্কি ওয়ে --এর ব্যাস বিজ্ঞানীরা বলছেন একলক্ষ আলোক বর্ষ ,এরকম নাকি কয়েক শতকোটি ছায়াপথ আছে ...এখানে সৌরমণ্ডল, .তার মধ্যে এই পৃথিবী এদের আয়তন প্রশান্ত মহাসাগরের তুলনায় একটা বালুকণার থেকেও কম। কোনো সৃষ্টি কর্তা এই ইউনিভার্স /মাল্টিভার্স সৃষ্টি করেছেন এটা মনে করা খুবই লজিক্যাল।

এখন এই সৃস্টিই এতো বিশাল ,মানুষ অনুমানও করতে পারে না ,তো সৃষ্টিকর্তার বিশালতা কেমন তা অনুমান সম্ভব নয়। এটা মনে করার জন্যে ,মানার জন্যে আপনার কোন প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী হওয়ার দরকার নেই।

এরপর এলো ধর্ম। আমার ধর্ম সহি , তোমার ধর্ম মিথ্যা। লক্ষ -কোটি আলোকবর্ষ বিস্তৃত ইউনিভার্স বা মাল্টিভার্স যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর কি কিছু যায় আসে ,আপনি কাকে ইবাদত করলেন ,আদেও করলেন কিনা , অন্য কারো সাথে মিশিয়ে তেনাকে ইবাদত করলে সেটা আপন মায়ের সাথে জেনা করার থেকেও ভয়ংকর অপরাধ ,তিনি জাহান্নামের আগুনে পোড়াবেন ----এগুলো সেই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা , বাণী ----অথবা মধ্য যুগীয় কোন আরব নেতা তাঁর আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে এই সব কাব্য কাহানী রচনা করেছেন।

ভাবুন ,ভাবতে থাকুন । বিশ্বাস সবাইকার মনোপলি ,বিশ্বাস করা খুব সহজ কাজ , থিঙ্কিং কারো মনোপলি নয়।থিঙ্কিং খুব কঠিন । এই থিঙ্কিং এর হেদায়া প্রাপ্ত হোন ,আমিন!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৪

সনেট কবি বলেছেন: সসীমের অজ্ঞতা থাকতে পারে অসীমের নয়। অসীম ক্ষুদ্র বৃহৎ সব পরিজ্ঞাত। আল্লাহ তাঁর সৃষ্টি থেকেও বড় তবে তিনি নিরাকার। মানুষ থেকে ক্ষুদ্রের খবরও আল্লাহ রাখেন। রোগ জীবানুদের খবরও তাঁর রয়েছে। অণু পরমানুদের খবরও তাঁর রয়েছে। মানুষতো সে হিসেবে অনেক বড়। কোন বিষয় তাঁর দৃষ্টি এড়িয়ে যায়না। কাজেই তাঁর মনতুষ্টি বিধান যারা করেনা। তাদের শাস্তি হওয়া লজিকের বাইরে নয়।
আল্লাহ অসীম বলে তাঁর জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক ও মেমরী ঘাটিতি নেই। সে হিসেবে তাঁর অবিচারী হওয়ার কথা নয়। সংগত কারণে পাপের শাস্তি হওয়ার কথা। আর পাপের শাস্তি যদি হতে হয় তবে কোরআনের কথা সঠিক হতে হয়। আর কোরআনের কথা সঠিক হলে এটা আরব নেতার বানানো অবশ্যই নয়।
আপনারা বলছেন এসব হবেনা। বেশতো নিশ্চিন্ত থাকুন। তারপর যখন বিপদ আসবে তখন সেটা আপনাদেরকেই ভোগ করতে হবে। আমরা বিষয়টি হবে সেটা নিশ্চিত জানি। বিশ্বাস তার জন্য যে জানে না। সে জ্ঞানিদের কথা বিশ্বাস করে। কিন্তু যে নিশ্চিত জ্ঞান অর্জন করে সে নিশ্চিতভাবেই সঠিকটা জেনে নিতে পারে। আপনি সে পথে হাঁটছেননা। যে পথে যা নেই সে পথে সে পথের জিনিস পাওয়া যায়না। সেজন্য আপনি তা’পাচ্ছেন না। আমরা যা পাচ্ছি আপনিও তা’ পেতেন যদি আমরা যে পথে হাঁটছি সে পথে আপনিও হাঁটতেন।
আপনি বলুন একটি পরমাণু কি অসীমের আয়ত্বের বাইরে? আপনি কি থিঙ্কিং করেন? তাহলে আপনি অসীমের আয়ত্বের বাইরে কেমন করে থাকেন? কাজেই অপরাধের কারণে আপনার শাস্তি অবশ্যই হবে। আপনি পাপের শাস্তি থেকে কিছুতেই রক্ষা পাবেন না। একটা বিন্দুর মত পোকা দেখেন, এটাকে এমন করে জিনি বানাতে পারেন তিনি আপনার ব্যাপারে বেখবর এমন থিঙ্কিং আপনি কেমন করে করেন? অবশ্য একজন সাপুড়ের ভাবনা এরচেয়ে বেশী আর কেমন হতে পারে?

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সনেট কবি- জনাব, আপনি ভূল সময়ে বসবাস করছেন। আপনার জন্ম হওয়া উচিত ছিলো চৌদ্দশ বছর আগে। উটের দুধ, দুম্বার গোশত,খেজুর খেয়ে জ্বীন-পরী-হুরের কিছ্ছা-কাহিনি শুনে শুনে কি সুন্দর দিন কাটাতে পারতেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৩

সনেট কবি বলেছেন: আপনার চিন্তা আসলেই অনেক নিম্নমানের। ভিন্ন চিন্তা হবে বলে এমন নিম্নমানের চিন্তা অকল্পনীয়। যেখানে বর্তমানেই ১৮০ কোটি লোক চৌদ্দশত বছর আগের কথাগুলো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। সেখানে আপনি আমাকে একা চৌদ্দশত বছর আগে পঠিয়ে দিচ্ছেন? ১৮০ কোটি লোকের তবে কি হবে? আপনার চিন্তা একালের জন্য নেহায়েত অচল চিন্তা। আপনার জন্ম লেংটা মানুষদের যুগে হলে সঠিক হতো। তখন আপনার পশু শিকার করে দিনকাল ভাল কাটত।
আপনি আমার মানের চিন্তা করছেন নিজের মানের চিন্তা কি কখনো করেছেন? পরের কথা বাদ দিয়ে আগে নিজেকে নিয়ে ভাবতে শিখুন। এমনভাবে কথা বলবেন যেন সবাই আপনাকে তাদের একজন ভাবতে পারে।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সনেট কবি- জনাব, আপনি ভূল সময়ে বসবাস করছেন। আপনার জন্ম হওয়া উচিত ছিলো চৌদ্দশ বছর আগে। উটের দুধ, দুম্বার গোশত,খেজুর খেয়ে জ্বীন-পরী-হুরের কিছ্ছা-কাহিনি শুনে শুনে কি সুন্দর দিন কাটাতে পারতেন।
পরকালীন বিশ্বাসের জন্য ১৪০০ বছর আগে জন্ম গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই ভাই। আরো চৌদ্দশ বছর পরে মানুষ জন্ম গ্রহণ করলেও কোরআনের দেওয়া বিধান অনুসারে মানুষ পরকালে বিশ্বাস করবে। বিজ্ঞান পর কালকে প্রমাণ করতে পারে না আবার ভুল প্রমাণ করতে পারে না। সুতরাং আপনার মন্তব্য ঠিক নয়।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ অসীম। সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।সংগত কারণে তাঁর বিবেক গত কোন ঘাটতি নেই। সেজন্য তিনি ন্যায় বিচারী। সংগত কারণে পাপের শাস্তি না হওয়ার কথা নয়। যেহেতু অনেক পাপের শাস্তি এখন হচ্ছেনা সেহেতু সে সব পাপের শাস্তি যে পরকালের জন্য তোলা আছে সেটা সহজ বোধ্য। যদিও পাপিরা সেটা হবেনা মনে করে অহেতুক আত্মতুষ্টিতে ভুগছে। এটাইতো বিজ্ঞান যে অসীমের হাত থেকে পাপী রেহাই পাবেনা। পাপী যদি রেহাই পায় তবে অসীম কি কাজে লাগে? বিজ্ঞান বলতে বুঝায় বিশেষ জ্ঞান। বিজ্ঞান বলতে পদার্থ বিজ্ঞান বুঝায় না। কতিপয় পদার্থ বিজ্ঞানে পায়না বলে, বলে বেড়ায় এটা বিজ্ঞানে নেই। কি অদ্বুত তাদের জ্ঞান!

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিশ্বাস রাখতেই হবে...

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

সনেট কবি বলেছেন: ইসলামে বিশ্বাস না রাখার পিছনে কোন লজিক নেই এবং কোন বিজ্ঞানও নেই। সংগত কারণে ইসলামে বিশ্বাস না রাখা অযোক্তিক!

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪১

ching বলেছেন: কেন আমরা এখানে?
কেন আমরা জন্মায়?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহর একটা বিশাল জগৎ আছে। যা তিনি বুদ্ধিমানদের দিতে চান। তো সেই বুদ্ধির পরীক্ষার জন্য আমাদেরকে এ ছোট্ট গ্রহে পাঠানো হয়েছে। বুদ্ধির পরীক্ষা হলো সৃষ্টি দেখে স্রষ্টার অনুমান। তারপর স্রষ্টার কাছে আবেদন নিবেদন। তারপর তিনি যে পথ দেখাবেন সে পথে পদচারনা। তারপর সে বিশাল জগতের সদস্য হওয়া যাবে। বিষয়টা গোলক ধাঁধাঁ। যেন মাথা খাটাতে হয়। মাথা খাটালে অশিক্ষিত বালক-বালিকাও বুঝবে। আর মাথা না খাটালে বিজ্ঞানীও বুঝবেনা। এ ক্ষেত্রে জ্ঞানের চেয়ে বুদ্ধির কার্যকারিতা বেশী। আর জ্ঞানের প্রয়োজন হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির বিধান বুঝার জন্য।

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৬

বলেছেন: খুব সহজ সুন্দর অভিব্যাক্তি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

সনেট কবি বলেছেন: অথচ দেখুন এ সহজ কথাটাও ওদের বুঝার ক্ষেত্রে কত কঠিন। আল্লাহ ওদের সহায়ক নয় বলে ওদের কি দূরবস্থা! কাজেই ঈমানের জন্য আমাদেরকে আল্লাহর দরবারে অনেক শুকরিয়া জ্ঞাপন করা উচিৎ।

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৩

রাকু হাসান বলেছেন:


সুন্দর বলেছেন কবি ‘‘সসীমের মাঝে ভুল থাকবেই’’ আমরা সীমার মধ্যে ,সীমার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতাও আমাদের নেই । জীবনের সাথে কোন কিছুর তুলনা করা চলে সেটা মনে হয় ‘‘কচু পাতার জল’’ ই বেশি উপযোগি উপমা ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪০

সনেট কবি বলেছেন: এ পোষ্টের দিকে তাকালেই দেখবেন এক পক্ষের আল্লাহকে ও ইসলামকে বুঝা কত সহজ আর অন্য পক্ষের আল্লাহ ও ইসলাম বুঝা কত কঠিন। উভয় পক্ষের মনভাব দেখার জন্য এ ধরনের পোষ্ট খুব উপযোগী।

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩১

নতুন বলেছেন: ভাই বিশ্বাসী হতে হলে খুব বেশি ভাবতে হয় না। তখন আপনি বিশ্বাসের পক্ষেই সব কিছু দেখবেন।

কিন্তু যখন মানুষ সৃস্টিকতা নিয়ে প্রশ্ন করে তখন তাকে অনেক বেশি ভাবতে হয়। অনেক প্রশ্নের উত্তর খুজতে হয়।

আপনে যেহেতু অসীম..সসীম নিয়ে উপরেে কথা বলেছেন.... তবে যদি আমাদের দুনিয়া, এবং আসে পাশের গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি এই ভাবে অবজারভেবল মহাবিশ্বের দিকে একটু তাকিয়ে দেখেন তবে বুঝতে পারবেন....

এই দুনিয়া মহাবিশ্বের ছবিতে একটা সুই এর আগার পরিমান স্হানও পাবেনা। এটা এতো বড় একটা বিষয়...যে সেই মহাবিশ্বের সবকিছু বাইরে অবস্হান করা সৃস্টিকতা দুনিযাতে মানুষের জন্যই সবকিছু সৃ্টি করেছেন?????

আর সেই সৃস্টিকতা দুনিয়ার ইতিহাসে মাত্র কয়েকবার মানুষকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে....নুহ আ: এর কাছে স্বপ্নে ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন..... ইবরাহীম আ: এর কাছে স্বপ্নে ম্যাসেজ দিয়েছেন। মুসা আ: আগুন দেখেছেন পাহাড়ের ঝোপে.... মরিয়ম আ: এর কাছে স্বপ্নে এসেছিলেন.... রাসুল সা: বোরাকে করে গিয়ে পদার অপর পাশে সৃস্টিকতার কাছে গিয়েছিলেন...কিন্তু দেখেন নি নিজ চোখে....

সৃস্টিকতা কে কেউই দেখেনাই। ১০৮ বিলিওন মানুষের মধ্যে এই কয়েকজন হয়তো স্বপ্নে দেখে একটা আইডিয়া দাড় করেছেন।

কোরান সংরক্ষন, সংকলন, রাসুল সা: মারা যাবার পরে ক্ষমতার দন্দে বোঝা যায় রাসুল সা: মারা যাবার পরেই ইসলামের আইডিয়া টি ফিকে হয়ে যাওয়া শুরু হয়েছিলো। তাই্ ইসলামও অন্য ধমের মতনই একটা মত... যেহেতু এটা আপটুডেট ভাসান তাই এতে ভুল একটু কম... এখন নতুন কোন ধম`মত চালু হলে সেটা অনেক আধুনিক ভাবনা থাকবে... যেটা এখনকার ধমে নেই।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩৭

সনেট কবি বলেছেন: এখানে মূল আলচ্য বিষয় পরকাল আছে কি নেই? যেহেতু জীবিত অবস্থায় অনেক পাপের সাজা হয়না সেহেতু পাপের সাজার জন্য হলেও পাপের সাজা হওয়া জরুরী। এখন সৃষ্টিকর্তা যত বড়ই হোক তিনি পাপের সাজার দায় এড়াতে পারেন না। এখন কোন পুস্তকে যদি এ সংক্রান্ত কিছু লেখা থাকে তো সেটাতো ঠিকই আছে। আর ইসলাম থেকে আপগ্রেড কিছু যখন আসেনি তখন ইসলামে থাকাই সংগত। ইসলাম বলে এর চেয়ে আপগ্রেড আর আসবেনা। যদি একান্ত তেমন কিছু এসে যায় তখন না হয় মিলিয়ে দেখা যাবে ইসলামের কথা কতটা সঠিক? কোন কিছু না আসতেই অহেতুক পপাগান্ডার দরকার কি?

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

নতুন বলেছেন: ভাই সনেটের রেক`ডের ব্যাপারে আলোচনা আছে.... ইমেইল দেখুন..

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

সনেট কবি বলেছেন: দেখলাম এবং কিছুটা হতাশ হলাম। দেখি কি করতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.