নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের অহেতুক সমালোচনা কেন?

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬



# আল্লাহর অবাধ্য হওয়া অসম্ভব। তিনি বলেছেন, ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক সবাই তাঁকে মেনে চলে।বেঁচে থাকার জন্য সবাই তাঁর নিয়মে গ্রহণ, ত্যাগ, পরিশ্রম ও বিশ্রামের মাধ্যমে অনিবার্য ভাবে তাঁকে মান্য করে থাকে।এমন কেউ নেই যে তাঁর এ সংক্রান্ত বিধি লংঘন করে তাঁকে অমান্য করে।কাজেই আল্লাহর সম্পূর্ণ অবাধ্য কেউ নয়; বরং কিছুটা হলেও আল্লাহর বাধ্য সবাই।
# ৭২ হুরের কারণে অনেকে জান্নাতে যেতে আগ্রহী নয়।আল্লাহ বলেছেন, সেখানে যা চাইবে তাই পাবে। যার হুরের প্রয়োজন নেই সে বলে দিলেই হবে যে আমার হুরের প্রয়োজন নেই। তাহলে তার জান্নাতে হুর থাকবেনা। আল্লাহতো বালেননি যে বাধ্যতা মূলক ভাবে হুর নিতেই হবে।কাজেই হুর নিয়ে অহেতুক কেন এত দুশ্চিন্তা?
# যে মহিলা চাইবে হুর না থাক, অথচ তার স্বামী যদি হুর চায় তাহলে দু’জন আলাদা হয়ে গেলেই হয়ে গেল। আল্লাহতো বলেননি যে তাকে সেই স্বামীর সাথে থাকতে বাধ্য করা হবে।
# স্বামী স্ত্রী দু’জন যদি হুর চায় তবে তাদের হুর থাকাতে অন্যকারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
# মহানবি (সা.) অনেকগুলো বিয়ে করেছেন। অল্প বয়স্কা আয়েশাকে (রা.) বিয়ে করেছেন সে জন্য অনেকে জান্নাতে যেতে চায়না্ তো তাদেরকে তাদের অনিচ্ছায় জান্নাতে যেতে বাধ্য করছে কে? জাহান্নামে কি যায়গার অকুলান পড়েছে নাকি? তো উক্ত কারণ সত্ত্বেও যারা একান্তই জান্নাতে যেতে চায় তাদের এ জান্নাতে যেতে চাওয়ার পিছনে যারা জান্নাতে যেতে চায়না তাদের অসুবিধা কোথায়? নাকি লেজকাটা শেয়ালের মত তারা জাহান্নামে যেতে চায় বলে তারা চায় অন্যরাও তাদের মত জাহান্নামগামী হোক? তো তারা কি বলদ নাকি যে তারা তাদের সাথে জাহান্নামে যেতে চাইবে?
# মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সব তাঁর নবুয়ত পরবর্তী ইস্যু নিয়ে। আর নবুয়ত পরবর্তী কোন কাজ মহানবি (সা.) নিজের ইচ্ছায় করেননি বরং নবুয়ত পরবর্তী সব কাজ মহানবি (সা.) আল্লাহর ইচ্ছায় করেছেন বিধায় এসংক্রান্ত কোন দায় মহানবির (সা.) নয়।কাজেই বলদের ঘরের বলদেরা নবুয়ত পরবর্তী কাজের জন্য মহানবিকে (সা.) দোষারফ করে।
# কিছু সংখ্যক লোকের নিকট ইসলাম এতটাই মন্দ যে তারা জাহান্নামে যেতে রাজি তথাপি তারা ইসলাম মানতে রাজি নয়।আর যারা জাহান্নামে যেতে রাজি নয় ইসলাম যতই খারাপ হোক তারা ইসলাম মানবেই মানবে।তো এদেরকে জোর করে জাহান্নামগামী করার মানেটা কি?
# তবে খাস কথা হলো যত ধর্ম বা মত রয়েছে তার মধ্যে একমাত্র ইসলামকে সঠিক প্রমাণ করা যায়।। অন্য ধর্ম বা মত যদি ইসলামের চেয়ে অধিক সঠিক না হয় তবে ইসলাম ছেড়ে মানুষ কোথায় যাবে? আমি বলেছিলাম এটাতো ভাল নয় বুঝলাম তবে ভাল কোনটি? কিভাবে ভাল সে ব্যাপারে তোমাদের কথা তোমরা বলে যাও যার পছন্দ হয় তারা তোমাদের ধর্ম বা মত গ্রহণ করবে। কেই যদি স্বেচ্চায় মন্দ ধর্ম বা মতে থাকতে চায় তবে তাকে আর ডিস্টার্ব করোনা।কিন্তু অহেতুক কারো ধর্ম বা মতের সমালোচনা করতে গিয়ে তুমি নাই হয়ে গেলে এর দায় কেউ নিবেনা।
# এক বেকুব বলছে মৌমাছি সূরায় মৌমাছির কথা এক লাইন কেন? আমিতো মনে করি এক শব্দ থাকলেই চলে। কারণ সূরায় মৌমাছি যেমন নিজ দায়িত্ব সূচারু রূপে সম্পন্নন করে অন্যদেরকেও নিজ দায়িত্ব সূচারু রূপে সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। কোরআন কি রচনার বই নাকি, আর সূরা কি মৌমাছির রচনা নাকি যে এতে মৌমাছি ছাড়া আর কোন কথা বলা যাবে না?
# আজকের এ কোরবানীর দিনে মানুষের মনের পশুত্বের কোরবানী হোক। তারা আর ইসলামের অহেতুক সমালোচনা না করুক।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

পারভীন শীলা বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয় । আমাদের সকলের সেদিকে খেয়াল রাখা উচি?

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু কতিপয়ের মনভাব এমন যেন ইসলাম উঠে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এদের মগজে যে কি আছে আল্লাহ মালুম।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাগুলো ভালো লাগলো ফরিদ ভাই। দেখা যায় যে, ইসলামের বিরুদ্ধে যত বিষোদ্গার আছে, তা মুসলমান নামধারীরাই করে থাকে। তাদের একটা অ্যাজেন্ডা থাকে, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে যাতে বিদেশে অ্যাসাইলাম নেয়া যায়। আপনার ঐ কথাটা গুরুত্বপূর্ণ- মানুষ ইচ্ছেয় হোক বা অনেচ্ছেয় হোক, আল্লাহর আদেশ মেনে চলে।

হুরের ব্যাপারটায় আপনার সাথে একমত। এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। তবে আমার মনে হয়, হুর বা হুরের সংখ্যাটা একটা প্রতীক, যা দ্বারা বেহেশতের আকর্ষণ, আরাম আয়েশ ও সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বোঝানো হয়েছে। আমি মনে করি, একজন বেহেশতবাসী যা ইচ্ছে করবেন, যা চাইবেন তা চোখের পলকে হয়ে যাবে বা ঘটে যাবে। ওখানে সবকিছুই হবে বহুমাত্রিক। একজন স্বামী যদি তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গ চায়, সে ১ম স্ত্রীর সঙ্গেই থাকবে। আবার, তার ২য় স্ত্রীও যদি একই স্বামীর সান্নিধ্য চায়, ২য় স্ত্রীও যুগপৎ ঐ স্বামীর সাথেই থাকবে। আমি ব্যাপারটা এ ভাবেই বুঝি। বেহশতে কারো মনে কোনো আক্ষেপ থাকবে না, এবং কোনো চাহিদার ঘাটতি থাকবে না।

তো, যারা বেহেশতে যেতে চান না, যাবেন না। আল্লাহ তো কাউকে জোর করছেন না বেহেশতে যাওয়ার জন্য :)

কেউ বুঝতে চাইলে তাকে বোঝানো যায়। বুঝেও যদি কেউ না বোঝার ভান করে তাহলে তার সাথে তর্কে না যাওয়াই সমীচীন।

শুভেচ্ছা রইল পোস্টের জন্য।

ইদ মোবারক।

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু এরা ইসলাম নিয়ে যেমন খাস্তা কথা বলে তাতে কিছু না বলেও পারা যায়না। তবে কথা ঠিক বলেছেন, মূর্খের সাথে তর্ক না করাই ভাল।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: যারা বাড়াবাড়ি করে আল্লাহ তাদের হাদায়েত দান করুন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু বাড়াবাড়ি করা লোকদেরকে আল্লাহ কুফুরির সিল মেরে দেন। এরা আর হেদায়েত পায়না। কারণ আল্লাহ বাড়াবড়ি পছন্দ করেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.