নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদুম্ভূত বলেছেনঃ বনু কোরায়জার শাস্তি যথাযথ ছিল

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫



উদুম্ভূত বলেছেনঃ

উইকিপিডিয়া অনুসারে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বনু কুরাইজা কর্তৃক পুর্বে কৃত মদিনা সনদে অমুসলিমদের বিষয়গুলি ছিল নিম্নরুপ

১। The security of God is equal for all groups,
২। Non-Muslim members have the same political and cultural rights as Muslims. They have autonomy and freedom of religion.
৩। Non-Muslims take up arms against the enemy of the nation and share the cost of war. There is to be no treachery between the two.
৪। Non-Muslims are not obliged to take part in the Muslims' religious wars.

এখানে ৩ নম্বর পয়েন্ট অনুসারে বনু কুরাইজা বিশ্বাসঘাতকতা করবে না - এই মর্মে মুসলমানদের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। কিন্তু তারা আক্রমনকারী কুরাইশদের সাথে নেগোশিয়েশন আরম্ভ করে (সুত্র: Watt, Muhammad at Medina, p. 36-38)- যা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সরাসরি ৩ নম্বর পয়েন্ট অনুযায়ী চুক্তির খেলাফ।

বনু কুরাইজার উদ্দেশ্য ছিল, আক্রমনকারী কুরাইশদেরকে মদিনা দখল করতে সাহায্য করা, মদিনা দখল হওয়ার পর মুসলমানদের সাথে কুরাইশরা কি করত সেইটা তো আর বলার দরকার নাই।

নবিজী যখন বুঝতে পারলেন যে বনু কুরায়জা চুক্তি ভংগ করতেছে, তখন লোক পাঠিয়ে বনু কুরায়জাকে নিবৃত করার চেষ্টাও করছেন (Watt, Encyclopaedia of Islam, "Kurayza, Banu".- উইকি সোর্স রেফারেন্স)

মদিনা শহরের তিন দিকে প্রাকৃতিক দেয়াল থাকায় (বনজংগল-পাহাড় ইত্যাদি) শুধুমাত্র উত্তর দিক থেকে আক্রমনের আশংকা ছিল, সেইজন্য উত্তর দিকে খন্দক তৈরি করা হয়। খন্দকের ভিতরের দিকে সাহাবিরা বিভিন্ন যায়গায় ক্যাম্প বসিয়ে পাহারা দিতেন, যাতে যখনই কেউ খন্দক অতিক্রমের চেষ্টা করবে তখনই প্রতিহত করা যায়।

পোষ্টের ছবি অনুযায়ি, বনু কুরাইজার অবস্থান ছিল মদিনার পিছনে এমন এক যায়গায়, যে এরা পিছন থেকে মুসলমানের উপরে ঝাপিয়ে পড়তে পারত। তখন পরিখার বাইরের বিশাল বাহিনীর মোকাবেলায় নবিজী সব সৈন্য এনগেজ রাখতে পারতেন না, ফলে পরিখার প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে যেত এবং আলটিমেটলি যুদ্ধে পরাজয় ছাড়া কোন উপায় ছিল না।

তখন অবরোধের ফলে মুসলমানদের অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল যে ক্ষুধার কষ্ট কিছুটা নিবারনের জন্য স্বয়ং নবিজী সহ সাহাবিরা পেটে পাথর বেঁধে রাখতেন, রাত্রিগুলি ছিল অত্যন্ত ঠান্ডা, শীতে সবার জমে যাওয়ার মত অবস্থা হত। ক্রমাগত আক্রমন ঠেকাতে ঠেকাতে ঠিক মত ঘুমাইতে না পারার কারণে সবাই দিনে দিনে দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলেন। (Lings, pp. 224–226.) এমনকি দিনের বেলা নামাজ পড়ারও সুযোগ হচ্ছিল না, রাত্রে যখন আক্রমনের তীব্রতা কম থাকত তখন সবাই নামাজ পড়ে নিতেন। (Peterson, Muhammad. Prophet of God, p. 123f.)

মুসলমানদের অবস্থা কতখানি সংগীন ছিল সেইটা সুরা-আল আজহাবে আল্লাহ তায়ালা নিজেই বর্ননা করছেন :

"যখন তারা তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল উচ্চ ভূমি ও নিম্নভূমি থেকে এবং যখন তোমাদের দৃষ্টিভ্রম হচ্ছিল, প্রাণ কন্ঠাগত হয়েছিল এবং তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা বিরূপ ধারণা পোষণ করতে শুরু করছিলে।" - [আল আজহাব: ১০]

"সে সময়ে মুমিনগণ পরীক্ষিত হয়েছিল এবং ভীষণভাবে প্রকম্পিত হচ্ছিল।" [আল আজহাব: ১১]

সাহাবায়ে কেরাম যখন তাদের শক্তির সবটুকু খরচ করে ফেলছেন তখন গুজব রটানো হল বনু কুরাইজা মুসলমানদের ভিতর থেকে আক্রমন করবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মিরজাফরি কতখানি ভয়াবহ হতে পারে তার ভুরি ভুরি নজির ইতিহাসে আছে।

খন্দকের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে বনু কুরাইজার শাস্তি অবধারিত হয়ে গিয়েছিল। তাদেরই চাহিদামতন তাদের পছন্দের বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এবং তাদের ধর্মগ্রন্থ তৌরাতের বিধান অনুযায়িই তাদের শাস্তি হইছিল।

নাস্তিক ভন্ডরা আজকে আমাদেরকে মানবতা শিখাইতে আসছে - এইটা খুবই হাস্যকর।

উদুম্ভূত এর পোষ্ট

আমার এ সংক্রান্ত পোষ্ট

বিপ্লব ০০৭ এর এ সংক্রান্ত পোষ্ট

বিঃদ্রঃ উদুম্ভূত ও বিপ্লব ০০৭ এর পোষ্ট আমার পোষ্টের প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উদুম্ভূত আমার পোষ্টের পক্ষে এবং বিপ্লব ০০৭ আমার পোষ্টের বিপক্ষে পোষ্ট দিয়েছেন। এ বিষয়ে অনেকে মহানবিকে (সাঃ) দোষী সাব্যস্ত করে মুসলমানের স্বীকৃতি আদায় করে মুসলমানদেরকে ঈমান হারা করতে চায়। কাজেই মুসলমান এ স্পর্শ কাতর বিষয়ে মহা সাবধান থাকুন।

মন্তব্য ১১৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি দেখি বনু কোরাইজা নিয়ে খুব লেগে গেছেন!

প্রশ্ন: মক্কার 'রিফিউজিরা' কয়েক বছরের মাঝে কি করে 'মদীনার মালিক' হয়ে গেলেন যে, তারা মদীনার লোকদের বিচার করছেন?

আমাদের রিফিউজিরা, "রোহিংগারা" ১৯৯৩ সাল থেকে এই দেশে আছে, তারা কিসের কিসের মালিক?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

সনেট কবি বলেছেন: বিষয়টা মুসলমানদের জন্য স্পর্শকাতর।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


তখন মদীনায় অন্যায় হয়েছিলো বলে, আজ আরবেরা সেটার ক্ষতিপুরণ দিচ্ছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

সনেট কবি বলেছেন: তখন মদীনায় অন্যায় হয়েছিলো আপনার এ কথা মানলে আল্লাহ ও নবির (সাঃ) ন্যায় বিচার অস্বিকার করা হয়। যাতে প্রকারান্তরে আল্লাহ ও নবিকে (সাঃ) অস্বীকার করা হয় বলে মুসলমান আপনার কথায় একমত হতে পারবেনা। আপনার কথায় একমত হতে হলে তাদেরকে ইসলাম ত্যাগ করতে হবে।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



তখন ইহুদীদের মদীনা থেকে উৎখাত করেছে মক্কাবাসীরা; আজকে ইরানে ইহুদী ও খৃষ্টান নেই, আফগানিস্তানে হিন্দু ও বৌদ্ধ নেই, পাকিস্তানে হিন্দু ও শিখ নেই, বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা পালিয়ে গেছে; কিন্তু আজকে নতুন করে ভারত থেকে মুসলমানরা আর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে যাচ্ছে না; ২০ কোটী ভারতীয় মুসলমান বাংলাদেশে আসতে চাইলে কি অবস্হা হবে?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

সনেট কবি বলেছেন: কোন ঘটনার পিছনে যথযথ কারণ থাকলে সেটা অবশ্য অনুমোদন যোগ্য। ভারতের মুসলমান ভারতের স্বাধীণতা সংগ্রামে অবদান রেখেছে। তারা বাংলাদেশে আসবে কেন?

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: এ বিষয়ে আমার কোনো জ্ঞান নাই।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

সনেট কবি বলেছেন: আমারো এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ ছিলনা। ইসলাম বিরোধীরা বিষয়টা বার বার উপস্থাপন করে এটাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শালার মুসলমানরা যে মিথ্যাবাদী জানোয়ার যে ৬০০/৭০০ নিরপরাধ মানুষ এবং নাবালক হত্যার জন্য কত বড় বড় মিথ্যা বলে তা সমর্থন করতেছে এই পেসট গুলো দেখলেই বোঝা যায়।

এজন্যই আমি বলি স হী ইসলাম জানলে হয় মানুষ ইসলাম বিদ্বেষী হবে নাইলে সে জঙ্গি
। কাজে একটু বিজি আছি নাইলে বানু কুরায়জারে ডাকাত মুসলমানরা কি বাহানা করে মারলো সেটা নিয়ে পুরো একটা পোস্ট দিতাম

যাই হোউক, জঙ্গি মুসলমানদের জন্য প্রশ্ন:

১) এই যে এত চুক্তি ভঙ্গ, কুন চুক্তির কথা হইছে? তার লিখিত নাম কি? মদিনা সন্দ না কুন চুক্তি ছিলো কুরায়জার মধ্যে?

২) সেই চুক্তির কুন ধারা ভঙ্গ করছে এবং কিভাবে ভাংছে?

৩) বর্বর ডাকাত মুসলমানরা যে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করতো সেটা কারা বানাইতো?

৪) সা'দ যে কিনা বিচারক ছিলো তার কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া খন্দকের যুদ্ধে তীর লেগে বাহু রগ ছিড়ে যায় শালায় তখন একটা ডায়লগ দিছিলো, সেই ডায়লগটা কি ছিলো?

৫) যখন সা'দ রে বলা হয় তার বিচারে কেন এ রায় দিলো তখন তার ডায়লগ কি ছিলো এবং সে যেখানে থেকে এই শাস্তির কথা বলছে সেখানে এর ব্যাখ্যা কি?

৬) আসলে সবাই যে এত বিশ্বাসঘাতকতার কথা বলতেছে, আসলে কি কারনে সবাই মনে করলো বিশ্বাসঘাতকতা হইছে?

৭) বানু কুরায়জা ঐ এলাকায় কয়শত বছর ধরে বসবাস করছে এবং নবী মোহাম্মদের ডাকাত দল মদীনায় কবে গিয়ে নিজের ডাকাত ও লুটতরাজের ওপর জীবিক নির্বাহ শুরু করছে?

৮) বানু কুরায়জা, বানু কাইনুকার ক্বাবরে মারার পর মোহাম্মদ যখন নিজে চুক্তি ভঙ্গ করছে, শুধু তাই না বিভিন্ন সময় তাদের লোকজন ধরে ডাকাতী এবং হত্যা ও নিজের লেখা মিথ্যা বই কোরানে সারাদিন গালি দেয়ার পর কুরায়জা তাদের কত বার আক্রমন করছে?

এইসব প্রশ্নের উত্তর কিন্তু কেউ বলছে না।
ভাবছিলাম পোস্ট দিমু না। এখন দেখতেছি সব ডিটেলসে একটা পোস্ট দিতেই হয়। উইকিপিডিয়ার অনুবাদটাও দেখি জঙ্গিরা ঠিক মতো করতে পারে না এরা! দুঃখজনক

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

সনেট কবি বলেছেন: আপনার অবান্তর প্রশ্নে উত্তর আপনি খুঁজতে থাকুন। আপনার প্রশ্ন যোক্তিক হলে লোকে অবশ্যই উত্তর দিবে।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " কোন ঘটনার পিছনে যথযথ কারণ থাকলে সেটা অবশ্য অনুমোদন যোগ্য। ভারতের মুসলমান ভারতের স্বাধীণতা সংগ্রামে অবদান রেখেছে। তারা বাংলাদেশে আসবে কেন? "

-ইরানের শাহের বিপক্ষে খৃষ্টান ও ইহুদীরা সক্রিয় আন্দোলন করেছে; আয়াতোল্লাহ ক্ষমতায় আসার পর, তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়েছে; মুসলমানেরা কিন্তু ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়াকে নিরাপদ ভাবেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: আমি খমিনিকে সমর্থন করিনা।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন, মানুষ জঙ্গী হয় অর্থনৈতিক কারনে নাহয় ব্রেনওয়াশের কারনে। আবার ইসলাম বিদ্বেশিও হয় অর্থনৈতিক কারনে নাহয় ইউরোপ যাবার ধান্দায়। ইসলাম বিদ্বেশ আর নাস্তিকতা যে এক নয় এটা সবাই এখন খুব ভাল করেই বুঝে ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

সনেট কবি বলেছেন: সুরা নাছে যে ওয়াছওয়াছার কথা বলা হয়েছে, ব্লগে এমন কিছু ওয়াছওয়াছা প্রদানকারী রয়েছে। সম্ভবত এরা ইসলাম বিরোধীদের টাকায় মুসলমান ছদ্মভেসে মুসলমানদের মনে ওয়াছওয়াছা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। মুসলমানদেরকে ঈমান হারা করার জন্য।

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঢাবিয়ান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুন বিষয়ে পড়ালেখা করছো যে এমন বিকলাঙ্গ কমেন্ট করো? আমার ইউরোপে ১০ বছর চলে, পেশায় প্রকৌশলী

আর হোলি আর্টিজান থেকে শুরু করে মুফতী হান্নান রাহমানী কেউ আর্থিক সমস্যাতে ছিলো না। এবং তাদের মতো ইসলাম জানা স্কলার এমনকি বোগদাদীর মতো ইসলামী স্কলার যে কিনা সাদ্দাম সরকারের শরীয়া কাউন্সিলের হেড সাথে ইসলামী স্টাডিজের ওপর পিএইচডি ও কোরানে হাফেজ তারাও ব্রেন ওয়াশ হয নাই। এই ফরিদ মিয়া এক বছর আগেও বাল্যবিবাহেস বিপক্ষে ছিলো এখন যখন আমার পোস্ট পড়ে জানছে ইসলামে এটা সুন্নতে মোয়াক্বাদা এরপর থেকেই তিনি বাল্যবিবাহের পক্ষে। আর কত ভুল প্রমান করবো আপনাদের

ইসলাম নিয়ে যদি কোনো মিথ্যা পোস্ট বা মিথ্যা কমেন্ট করে থাকি তাহলে ব্লগে ঘোষনা দেয়াই আছে যে ইসলাম নিয়ে লেখা বন্ধ করবো। আজ পর্যন্ত আপনার স্বঘোষিত শিশুকামী ফরিদ মিয়া তো পড়ে বড় বড় ব্লগের আলেমরাও কোনো ভুল বা মিথ্যা বের করতে পারে নাই আর আপনের মতো নিও জামাতী রাজাকার তথা বিএনপির সাপোর্টার তো কিছুই না।

আর স্বঘোষিত কবির পুরানা পোস্টে দেখেন তার ভুলে ভরা ইসলামী পোস্টে ব্লগের সাচ্চা মুসলমানরাই ভুল ধরে বসে আছে।

এই হইলো জঙ্গি বাংলাদেশী মুসলমানদের কাহিনী

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

সনেট কবি বলেছেন: সবটাই যদি ভুল হয় তবে আর ভুল কোথা থেকে বের করে?

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: আমার কাছে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হল।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

সনেট কবি বলেছেন: আরেক বার পড়লে হয়ত বুঝতেও পারবেন।

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তবে এই পোস্টে মাসলম্যানদের সমর্থন দেখে একটা জিনিস প্রমানিত হলো।

আমরা সবাই বলি আইএসআইএস স হী ইসলাম নয়। কারন তারা শিশু এবং নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা করে। বানু কুরায়জা ৭০০/৮০০ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, ব হু নাবালক শিশু যাদের মধ্যে ৬ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে ১৫ বছরের কিশোর পোলাপান ছিলো এমনকি ৮০ বছরের বৃদ্ধ যার কল্লা আলি ফেলতেছিলো তখন তার নিদারুন আকুতি তার সন্তানদের যেনো রক্ষা করা হয়, এসবকে মুসলমানরা অকাট্য সমর্থন দিচ্ছে সেকানে খেলাফত প্রতিষ্ঠার নামে আইএসআইএস একই কাজটা করেছিলো।

আবার আবু বকরের অনুমতিতে ওমর যখন নবী কন্যা ফাতেমারে পেটে লাথী মাইরা বাচ্চা খসায় ফেলে এবং তার আর্তনাদ বন্ধ করার জন্য মুখে লাথী মারে সেই বকরের ওফাতে জঙ্গি মুসলমানদের মর্সিয়া ক্রন্দন প্রমান করে যে ইসলাম কায়েমের জন্য নিব্রাসদের হোলি আর্টিজানে ইতালীয় নাগরিক ৬ মাসের অন্তঃসত্বা মহিলার গলায় ছুরি চালানোটাও ইনিয়ে বিনিয়ে সমর্থন করে। মূলত নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা এবং শিশুদেরকে হত্যা করা নবী মোহাম্মদ যে পরে অনুমতি দিয়ে গেছে সেটা কিন্তু সবাই চেপে যায়। দ্বীনের ব্যাপারে জবরদস্তি নাই বা বানু নাখলার সময় উদ্বৃত নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা যাবে না এসব নাসুখ মানসুখ আয়াত দিয়ে প্রমান করার চেস্টা করে ইসলাম জঙ্গি ধর্ম না। আজ এই বানু কুরায়জার পোস্ট দিয়ে প্রমানিত হলো মুসলমানরা আদতেই এসবই সমর্থন করে।

এটা ভালো যে স হী ইসলাম মুসলমানদের শিশুকামী করে, জঙ্গিদেরও সমর্থন করে। ইসলাম রক্ষার নামে পাকিস্তান ৭১ এ যা করেছিলো তাও স হি ইসলাম মেনেই তারা করেছিলো।

অনেকেই বলবেন তখন আল্লাহ হুকুম দিছিলো কিন্তু পাকিস্তানীদের আল্লাহ হুকুম দেয় নাই। সমসয়া হইলোবানু কুরায়জার গনহত্যা যখন সংঘটিত হচ্ছিলো তখন বানু কুরায়জার চুক্তি ভঙ্গ বা তাদের হত্যা বিষয়ে কোনো আয়াতের রচনা মোহাম্মদ করে নাই। তার ওপর মোহাম্মদ বানু কুরায়জার যুক্তি ভঙ্গের কথা জানতে পেরেছিলো তার বিশ্বস্ত দুই ডাকাত সহযোগীকে স্পাই হিসেবে পাঠিয়ে। নবী মোহাম্মদের যত দাবী আছে যে আল্লাহ তারে বলছে যে চুক্তি ভঙ্গ বা বিশ্বাসঘাতকতা করছে সেগুলো যে সবই সে তার স্পাই দের মাধ্যমে এবং কিছু কিছু সময় তার জীবিকা নির্বাহ এবং নারীর কামনা লালসা চরিতার্থ করার ফসল সেটা কিন্তু তার সীরাত ও হাদিস গুলো পড়লেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

যাই হোউক বানু কুরায়জার ওপর একটা পোস্ট দিবো এসব কিছু নিয়ে। চ্যালেন্জ দিয়ে রাখলাম যদি কোনো মাকে লাল আমার পোস্টে ভুল বা মিথ্যা বা অতিরন্জিত দেখাতে পারেন। তারপরই ডিসিশন নেন যে নবীর লেখা ইসলাম কতটা বর্বর

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

সনেট কবি বলেছেন: মুসলমান কোন মিথ্যাবাদীর কথা বিশ্বাস করে না।

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এত কিছু বোঝার ও জানার দরকার প্রকৃত মুসলমানদের আছে বলে মনে হয় না। কারণ, আমাদের নবীজি(সাঃ) যাই করে থাকেন সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে। এসব যুক্তি, তর্ক করবে অবিশ্বাসীরা...

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সনেট কবি বলেছেন: কতিপয় উল্লুকের সাথে তর্ক করে আসলেই লাভ নেই। কোরআনে যেসব ওয়াছওয়াছা করাীর কথা বলা হয়েছে এরা হলো তারা। এরা কারো কাছে আসলে আউযুবিল্লাহ পাঠ করতে হয়। ওয়াছওয়াছাকারী কেমন হয় সেটা চিনে রাখলে এদের থেকে সাবধান থাকা যায়। আর ওয়াছওয়াছাকারী কেমন নোংরা সেটাও মানুষ বুঝতে পারে। কত লোক কত কষ্ট করে জাহান্নামে যাওয়ার জন্য। পরকালে এদের বেকুবী হবে উপভোগ্য বিষয়।

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ন্যায়দন্ড বলেছেন: আপনারা সবাই মিলে প্রতিনিয়ত ইসলামকে ধর্ষন করে চলেছেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: কি জঘণ্য কথা!

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কুকরা বলেছেন: খন্দকের যুদ্ধে মুসলমানদের অবস্থা কতটা করূন ছিল সেটা বিভিন্ন কিতাবের ঘটনা বিশ্লেষন করলে পাওয়া যায়। নবিজি (সাঃ) মদীনার মহিলাদেরকে একটা দুর্গে আবদ্ধ করে একজন মাত্র দুর্বল সাহাবি হজরত হাসসান (রাঃ) কে সমস্ত মহিলার নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে বাকি সমস্ত পুরুষদের খন্দকের পাহারায় নিযুক্ত করেছিলেন। তার মানে বনু কুরাইজার হাত থেকে নিরাপত্তার জন্যই এটা করা লাগছিল। এবং যথারীতি বনু কুরাইজার লম্পট ইহুদিরা দল বেঁধে সেই দুর্গের আশে পাশে ঘোট পাঁকাচ্ছিল, ভিতরে যে মাত্র একজন দুর্বল পুরুষ পাহারায় আছে এইটা ইয়াহুদি হারামজাদারা বুঝতে পারে নাই, বুঝতে পারলে সর্বনাশ হয়ে যেত। নীচের স্ক্রিনশট পড়লে সেই ঘটনার কিছুটা আভাস পাবেন:

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সনেট কবি বলেছেন: এ জঘণ্য হারামীদের পক্ষে আবার কেউ কেউ ওকালতি করে।

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ন্যায়দন্ড বলেছেন: তাহলে এসব বন্ধ করুন। ইসলাম শান্তির ধর্ম।

আল্লাহকে বিশ্বাস করলে চুপ থাকুন। তিনিই সব করবেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০২

সনেট কবি বলেছেন: তিনি করবেন না বলেই আমাদেরকে তাঁর খলিফা বানিয়ে আমাদের উপর গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। কোরআনে ও হাদীসে সে সব দায়িত্বে কথা বিস্তারিত লেখা আছে।

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ন্যায়দন্ড বলেছেন: পৃথিবীর অন্য কোন ধর্ম নিয়ে তো এমন কামড়াকামড়ি হয়না। গলদটা কোথায়?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৫

সনেট কবি বলেছেন: তারা মুসলমানদেরকে বিপন্ন মনে করে লুন্ঠন করে নিজ দল ভুক্ত করতে চাচ্ছে। কতিপয়কে অলরেডি দলে নিয়ে তাদেরকে শিকারী ঘুঘু বানিয়ে অন্য মুসলমানদেরকে তাদের মাধ্যমে শিকার করতে চাচ্ছে। এটাই হলো নিগুঢ় সত্য।

১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০১

কুকরা বলেছেন: ব্লগার উদাসীকে মনে হয় ইয়াহুদিরা টাকা-পয়শা অথবা কোন সুযোগ সুবিধা দেয়, যেইভাবে ইয়াহুদীদের পক্ষে ফাইট দিতেছে !

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১২

সনেট কবি বলেছেন: আমারো সেরকমই মনে হয়। নতুবা তার এত্ত চুলকানির কারণ কি?

১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৩

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সনেট কবি - জনাব, চৌদ্দশ বছর আগে খুন হওয়া বনু কোরাইজা গোত্রের শত শত পুরুষ ও নাভীর নীচে কেশ গজানো বালকদের প্রেতাত্মা কি জেগে উঠেছে ? এবং মুমিন মুসলিমদের haunt করছে ? সবাই ভূলেই গিয়েছিল এসব হত্যাকাণ্ডের কথা,কিন্তু ইবনে ইশাক/ইবনে হিশাম/ওয়াকিদি/তাবারী-র নবীর সীরাত ও যুদ্ধ কাহিনীর ইংরেজীতে অনুবাদ হওয়ার পর চৌদ্দশ বছর আগের ইতিহাস আবার জেগে উঠেছে।

বনু কোরাইযা/বনু নাদির/বনু কাইনুকার খূন হওয়া ইহুদিদের অভিশাপে পুরো নবীবংশ নির্বংশ, তিন রাশেদুন খলিফা খুন হলো, জঙ্গে জামাল,জঙ্গে সীফফীনে হাজার হাজার সাহাবী নিহত হলো।

আর আজ সৌদী-আমীরাতি আক্রমণে হাজার হাজার ইয়েমেনী মুসলিমদের নিহত,দশ লক্ষ রোহিঙ্গা আজ উদ্বাস্তু,সিরিয়া গৃহযুদ্ধে ধ্বংস,ফিলিস্তিনিরা পর্যদুস্ত...... কেন ? কেন ?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১১

সনেট কবি বলেছেন: পতন আসে উত্থানের জন্য। মুসলমান আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সবাইকে অবাক করে দিবে। অপেক্ষোয় থাকুন। ডোন্ট ওরি!

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৪

ন্যায়দন্ড বলেছেন: লেখক বলেছেন: তিনি করবেন না বলেই আমাদেরকে তাঁর খলিফা বানিয়ে আমাদের উপর গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।[/sb

আপনি অবিশ্বাসী। আল্লাহকে বিশ্বাস করেন না??

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সনেট কবি বলেছেন: আমি আল্লাহর খলিফা এ বিষয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।

১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৯

উদুম্ভূত বলেছেন: সনেট কবিকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটা সামনে নিয়ে আসার জন্য। নাস্তিকদের কলিজায় তো মনে হয় আগুন ধরে গেছে, আমি সত্যিই সারপ্রাইজড !!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৪

সনেট কবি বলেছেন: আমি বুঝেছি আপনি দারুণ কিছু উপস্থাপন করেছেন। ওরা আসলেই খুব হিট হয়ে গেছে।

২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৫

ন্যায়দন্ড বলেছেন: তারা মুসলমানদেরকে বিপন্ন মনে করে লুন্ঠন করে নিজ দল ভুক্ত করতে চাচ্ছে। কতিপয়কে অলরেডি দলে নিয়ে তাদেরকে শিকারী ঘুঘু বানিয়ে অন্য মুসলমানদেরকে তাদের মাধ্যমে শিকার করতে চাচ্ছে। এটাই হলো নিগুঢ় সত্য।[/sb

নিজের অক্ষমতা অন্যের উপরে চাপালে হবে?

আল্লাহ তাদের এখন ইহুদী ইউরোপে পাঠাচ্ছেন, ভিক্ষা পাওয়ার আশায়। তাদের কি আপনি থামাতে পারছেন?
তাহলে আল্লাহ আপনার থেকে অনেক বড়, আপনি আল্লাহর খলিফা নন, বান্দা।

আপনি কি আল্লাহর থেকে বড়? তাই ওসব কথা বলবেন না, আল্লাহর সাথে থাকুন। তাকে মানুন।

নাহলে আপনি অবিশ্বাসী, ইসলাম বিদ্বেষী।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৫

সনেট কবি বলেছেন: ওদের ইউরোপে যেতেই হবে নতুবা ইউরোপে মুসলমান জনসংখ্যার হার আর কিভাবে বাড়তে পারে? সকলি আল্লাহর কুদরত। আল্লাহ মানুষকে তাঁর খলিফা বানিয়ে তাদেরকে ন্যায় বিচারের দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনাকে যথেষ্ট অজ্ঞ লোক বলেই মনে হয়। অথচ কি বিচিত্র যে আপনার নিকের নাম ন্যায়দন্ড! অথচ ন্যায় দন্ডের জন্য বিজ্ঞলোক হতে হয়।

২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২২

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: নাস্তিকরা এলোমেলো কমেন্ট করতেছে, হা হা হা, বলের লাইন লেংথ ঠিক রাখতে পারতেছে না।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৭

সনেট কবি বলেছেন: তারা বেকায়দা পজিশনে পড়ে এলোমেলো খেলছে।

২২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সনেট কবি-জনাব, বনু কোরাইজা হত্যাকাণ্ড justify করে তো পোস্ট দিলেন । এবার আশা করবো, সামনে আপনি সাহাবীদের দ্বারা খলিফা ওসমান হত্যা, জামাই-শ্বাশুড়ীর মধ্যে জঙ্গে জামালের যুদ্ধ, আলী-মুয়াবিয়ার মধ্যে সিফফীনের যুদ্ধ নিয়ে লিখবেন। কারণ কোন ওয়াজ-মাহফিলে,কোন আলোচনা সভায় ,কোন ব্লগে মুমিনরা এসব নিয়ে কথা বলেন না। আপনি লিখুন।

আলো আসুক, অন্ধত্ব দূর হোক।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫১

সনেট কবি বলেছেন: বানু কোরায়জাকে অনেকে মহা গুরুত্বপূর্ণ বানিয়ে ফেলেছিল। সেজন্যই সে বিষয়ে কেউ কেউ লেখে। আর এ লেখাটিও জনাব উদুম্ভূতের।

২৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

কুকরা বলেছেন: হুজাইফা (রাজিঃ) এর বর্ণনা থেকে বুঝা যায় খন্দক যুদ্ধ চলাকালীন মুসলমানদের অবস্থা কত করূন ছিল: নীচের স্ক্রিনশটগুলি দেখেন:







২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: অথচ এ হারামিদের জন্য কত লোকের হৃদয় বিগলিত হয়!

২৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

ন্যায়দন্ড বলেছেন: ওদের ইউরোপে যেতেই হবে নতুবা ইউরোপে মুসলমান জনসংখ্যার হার আর কিভাবে বাড়তে পারে?[/sb

আমরা মুসলিমরা কত বোকা তার উজ্জ্বল উদাহরণ আপনি।

মানব সভ্যতায় উন্নয়নে মুসলিমদের অবদান খুবই সামান্য, তবু এরা বলে সব এদের।

এখানেও আল্লাহকে অবিশ্বাস করছেন। আল্লাহ সব অমুসলিমদের দ্বারা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছেন তবুও এরা বলে সব এদের।

হে প্রভূ তুমি এদের জ্ঞান দাও, এদের ক্ষমা করো।
এই বোকারা নবীজীর সময়ও ছিল, এখনও আছে। ১৫০০ বছর ধরে এরা তোমার কাছ থেকে কিছুই নিতে পারেনি।

আমি ন্যায়দন্ড, আমি ন্যায়ের পক্ষে, আল্লাহর পক্ষে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০০

সনেট কবি বলেছেন: অমুসলীমদের জন্য পৃথিবী সেজন্য তারা পৃথিবী গড়ে চলছে। আর মুসলীমদের জন্য জান্নাত সে জন্য তারা জান্নাতের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সবতো দেখছি ঠিক। আপনি অসংগতির কি দেখলেন? নাকি ন্যায় দন্ড হাতে নিয়ে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছেন বলে সত্যদেখতে পারছেন না।

২৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

নতুন বলেছেন: কেউ অস্বীকার করছেনা যে বনু কোরাইজা চুক্তি ভঙ্গ করেনাই। এবং তাদের সাজা পাওনা নয়।

একটা বিষয় উপরের পোস্টে এসেছে সেটা হলো.... খন্দকের যুদ্ধে বনু কোরাইজার চুক্তি ভঙ্গের ফলে যেই কস্ট মুসলিমরা ভোগ করেছে তার পুরো রাগ এবং তাদের ক্ষমতা দেখিয়েছে ৬০০-৮০০ শত মানুষ হত্যা করে।

সনেট কবি আপনি আসল বিষয়টা বুঝতে পারবেন না। কারন যেই পয়েন্ট থেকে ৬০০-৮০০ মানুষের হত্যার কথা আমি বলছি সেটা আপনি বুঝতে পারছেন না।

অবশ্যই বনু কোরাইজা চুক্তি ভঙ্গের সাজা পাবে.... তাদের নেতাদের মৃত্যুদন্ড দিতেই পরে বিচারক....

কিন্তু একটা গোত্রের ৬০০-৮০০ মানুষ ছেলে যারা বালেগ....তাদের হত্যা এবং নারী/শিশু/বৃদ্ধ মিলে কতজন হবে? তাদের সম্পত্তি বাজেয়পাতপ্ত করা <<< এটা সাজা হিসিবে অনেক বেশি... এবং এটা মুসলমানদের রাগ+ক্ষমতা+সম্পত্তির লোভেই করেছে।

এটা ন্যায় বিচার না।

আমি আগের একটা পোস্টে বলেছিলাম.... আপনি যদি বত`মানের সরকারের আমলে দেশদ্রধিতার মতন অপরাধ করেন।

তবে কি সরকার যদি আপনাকে সহ আপনার বালেগ সন্তান + স্ত্রী+কন্যা+মা+বাবাকে দাসী বানায় এবং আপনার সকল সম্পত্তি সরকার বাজায়পপ্ত করে আপনি সেটাকে ন্যায় বলে মেনে নেবেন????????


উপরের প্রশ্নের উত্তর যারা বনু কোরাইজা হত্যাকে সমথ`ন করে তাদের সবার আছে আশা করছি আমি।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৪

সনেট কবি বলেছেন: জঘণ্য অপরাধের শাস্তি সেই মাপের হওয়া বাঞ্চনীয়।

২৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২০

উদুম্ভূত বলেছেন: ব্লগার "নতুন" খুব কৌশলে যেই বিষয়টা এড়িয়ে যাচ্ছেন তা হল ঘটনার কনটেক্সট। নবিজীর পথে বুড়ির কাঁটা বিছানোর ঘটনার সাথে উনি জ্ঞানপাপীর মত একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির তুলনা করতেছেন।

প্রথমত, বুড়ির কাঁটা বিছানোর ঘটনাটা যুদ্ধকালীন কোন ঘটনা ছিল না এবং বিষয়টি শুধু নবী করিম (সাঃ) এর ব্যক্তিসত্তার সাথে সম্পর্কিত ছিল, এই ধরণের ঘটনা নবিজী উদারতার সাথে মাফ করে দিতেন। যেমন এক ইয়াহুদি মহিলা নবিজীকে বিষ খাওয়ানোর পরে ঐ মহিলাকে নবিজী মাফ করে দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই বিষের কারণে যখন একজন সাহাবি মারা গেলেন তখন আর বিষয়টা শুধু নবিজীর ব্যক্তিসত্তার সাথে সম্পর্কিত ছিল না বরং অন্যের জীবনের সাথে সম্পর্কিত হয়ে গিয়েছিল, ফলে তখন নবিজী ঐ মহিলার শাস্তির হুকুম দেন।

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল তা উপরের কিছু পোষ্ট থেকে বুঝা যাচ্ছে। এবং বিষয়টি শুধু একক ভাবে নবিজীর ব্যক্তিসত্তার সাথে সম্পর্কিত ছিল না বরং সমস্ত মুসলমানের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর সাথে সম্পর্কিত হয়ে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় বনু নাজিরের শাস্তি অবধারিত হয়ে গিয়েছিল এবং যেহেতু বনু নাজির নবিজীর আনা ইসলাম ধর্মের কোন বিধান মানতে অস্বিকৃতি জানাতো, কাজেই শাস্তির বিধান ইয়াহুদিদের ধর্মগ্রন্থ থেকেই নেওয়া হয়েছিল।

এখন ব্লগার নতুনের উচিত তাওরাতের শাস্তির বিধানের সমালোচনা করা - কিন্তু সেইটা উনি সম্ভবত করবেন না, কে জানে সেইটা করতে গেলে উনার "পে-স্লিপ" সম্ভবত লাইন অব ফায়ারে চলে আসতে পারে। হা হা হা।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৮

সনেট কবি বলেছেন: জনাব নতুনের জন্য ভাল জবাব হয়েছে।

২৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

উদুম্ভূত বলেছেন: একটি কারেকশন: ২৬ নম্বর কমেন্টে বনু নাজিরের যায়গায় বনু কুরাইজা হবে। অনিচ্ছাকৃত ভূলের জন্য দুঃখিত।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৫

সনেট কবি বলেছেন: ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক।

২৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৭

নতুন বলেছেন: উদুম্ভূত পে স্লিপ আমি কত পাই সেটা ব্লগে মানুষ সাড়ে ১২ বছর ধরে জানে... আপনার সেটা জানতে আরো সময় লাগবে।

মানুষ ব্যক্তি আক্রমন তখনই করে যখন তার কাছে যৌক্তিক উত্তর থাকেনা....

অপরাধ আর সাজা এর মনে হয় একটা নিয়ম থাকে... আমার ভালো সময়ে অপরাধের সাজা হালকা এবং যুদ্ধের সময়ে কঠিন সেটা আমি এখনো পাইনাই। যদি ন্যায় বিচার হয় তবে সেটা সব সময়ই সমান থাকবে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৯

সনেট কবি বলেছেন: তাহলে প্রবাদে সময়ের একফোঁড় অসময়ের দশফোঁড় কথাটা কেন আছে?

২৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৯

নতুন বলেছেন: সনেট কবি আপনার মতামত দিলেন না আমার জিঙ্গাসার<<<

আপনি যদি বত`মানের সরকারের আমলে দেশদ্রধিতার মতন অপরাধ করেন।তবে কি সরকার যদি আপনাকে সহ আপনার বালেগ সন্তান + স্ত্রী+কন্যা+মা+বাবাকে দাসী বানায় এবং আপনার সকল সম্পত্তি সরকার বাজায়পপ্ত করে আপনি সেটাকে ন্যায় বলে মেনে নেবেন????????উপরের প্রশ্নের উত্তর যারা বনু কোরাইজা হত্যাকে সমথ`ন করে তাদের সবার আছে আশা করছি আমি।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৭

সনেট কবি বলেছেন: আপনার প্রশ্ন সঠিক হয়নি। প্রশ্ন হওয়ার কথা ছিল কেউ কাউকে এমন শাস্তি দিবে কিনা? অপরাধীর বিচারের রায় মানা/না মানায় কি আসে যায়? এখন যে ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত সে যদি বলে আমি ফাঁসি মানিনা। তাহলে তাকে ফাঁসি দেওয়া বন্ধ হবে কি?
এখন যদি প্রশ্ন হয় আমি এমন শাস্তি দেব কি না? এর জবাবে আমি বলব কেউ যেন দেশের অস্তিত্ব নিয়ে খেলা না করে সেই ভয় সৃষ্টির জন্য প্রয়জনে যারা দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলে একটা জাতির স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করতে চায় আমি তাদেরকে এরচেয়ে জঘণ্য শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করব এবং আমি সেটা দেশ প্রেমের অংশ হিসেবে করব। আমার কাছে তখন সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিবে আমার দেশ ও জাতি, পরে অন্য কিছু।
বিঃদ্রঃ অপরাধীর মতামত নিয়ে কেউ বিচার করেনা।

৩০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৯

উদুম্ভূত বলেছেন: ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন, মি নতুন, কনটেক্সট অনুযায়ী পদার্থের আচরনও পরিবর্তন হয়। স্বাভাবিক বায়ু মন্ডলের চাপে, ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পানি ফুটতে আরম্ভ করে, কিন্তু বাতাসের চাপ যদি আপনি কমাতে থাকেন তাইলে একসময় রুম টেমপারেচারেই পানি ফুটতে আরম্ভ করবে। একই ভাবে অপরাধের গুরুত্বও কনটেক্সট অনুযায়ি পরিবর্তন হয়। আর বনু কুরাইজার বিচার তাদের অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ি তাদের কিতাবের আইন অনুযাই ই করা হয়েছে, সো এইখানে এত পিছলানোর সুযোগ নাই।

- কনটেক্সট না বুঝে কথা বলা এক ধরণের জ্ঞানপাপ - যা আপনি ক্রমাগত করে যাচ্ছেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: অপরাধী কোন শাস্তি মেনে নিবে ইনি সে অনুযায়ী বিচারের কথা বলছেন। এমনটা কোথাও হয় নাকি? আমি অবশ্যই বলব অপরাধ অনুযায়ী বনু কোরায়জার শাস্তি যথাযথ ছিল। যে সব দেশে মুসলমান আছে তারা সে দেশের ও সে দেসের জনগণের সাথে এমন বে-আদবী করলে সে দেশ তাদেরকে ছেড়ে দিবে নাকি? ইজরাইলও কি এমন অপরাধের শাস্তি লঘু করবে? আমি বুঝিনা এরা আসলে কি বলতে চায়? জনাব নতুনের কথার জবাবে আপনার এ মন্তব্যটিও সঠিক হয়েছে। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার কথার জবাব আপনি দিচ্ছেন এটা অত্যন্ত ভাল দিক।

৩১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বাপরে! বিরাট আলোচনা দেখছি....

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: একটা পক্ষ্য বনুকোরায়জা প্রশ্নে আল্লাহ, নবি (সাঃ) ও মুসলমানদের দোষী সাব্যস্ত করবেই করবে এমন ব্রত গ্রহণ করেছে। একাজে তাদের এমন কঠোর সাধনার বিষয়টি আমাকে ব্যাপকভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। একটা অপরাধী চক্র একটা জাতির স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এটা তাদের নিকট কিছুই নয়। তাদের নিকট সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দেখা দিল অপরাধীকে কি শাস্তি দেওয়া হলো সেটা। আরো শাস্তিতো অপরাধ বিবেচনায় হয়। তা’ছাড়া এখানে অপরাধী নিযুক্ত শালিশের রায় কার্যকর করা হয়েছে। তথাপি এরা শাস্তি দাতার দোষ যে কোন পাতালে খুঁজে পায়!

৩২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কোরআনের আইন অনুযায়ী বিচার হলে ৭০০ মানুষকে একসাথে কতল করা সম্ভব হতো কি? জাস্ট জানতে চাওয়া।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

সনেট কবি বলেছেন: কোরআনে এমন বিধান আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। বিচার হয়েছে তৌরাহ এর বিধান অনুযায়ী। বিচার করেছে তাদের নিজেদের নিযুক্ত শালিশ। এখন দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে অন্য একজনকে। কি অদ্ভুত মানুষের মন। তাদের কথা হলো তারা যে কোন ভাবে মহানবিকে(সাঃ) দোষী সাব্যস্ত করবে। মুসলমান সেটা খুশীমনে মেনে নিয়ে ইসলাম ছেড়ে দিবে। তারা এটা বুঝেনা যে তাহলে জাহান্নামে যাবেটা কে? তারা যেতে চায় একলা একলা যাক। মুসলমানকে কেন তারা সহগামী করতে চায়? এত দেখি সেই লেজকাটা শিয়ালের গল্পটাই আবার ফেরৎ এল!

৩৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫২

নতুন বলেছেন: উদুম্ভূত বলেছেন: ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন, মি নতুন, কনটেক্সট অনুযায়ী পদার্থের আচরনও পরিবর্তন হয়। স্বাভাবিক বায়ু মন্ডলের চাপে, ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পানি ফুটতে আরম্ভ করে, কিন্তু বাতাসের চাপ যদি আপনি কমাতে থাকেন তাইলে একসময় রুম টেমপারেচারেই পানি ফুটতে আরম্ভ করবে। একই ভাবে অপরাধের গুরুত্বও কনটেক্সট অনুযায়ি পরিবর্তন হয়। আর বনু কুরাইজার বিচার তাদের অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ি তাদের কিতাবের আইন অনুযাই ই করা হয়েছে, সো এইখানে এত পিছলানোর সুযোগ নাই।- কনটেক্সট না বুঝে কথা বলা এক ধরণের জ্ঞানপাপ - যা আপনি ক্রমাগত করে যাচ্ছেন।

ভাই আপনি পদাথ`বিদ্যা জানেন ভালো কিন্তু ন্যায় বিচার কনটেক্সট অনুযায়ী পরিবত`ন হয় না.... পরিব`ত`ন হইলে সেটা ন্যায় বিচার হয় না।

উপরে কবি বলেছেন যে তিনি ছেলেকে বাবার অপরাধে সাজা দেবেন... তার পরিবারকেও সাজা দেবেন সমাজে/রাস্টে দৃস্টান্তমুলক কঠিন সাজা তিনি দিবেন....

আ্মার পয়েন্ট এই ছোট্ট জিনিস টাই... বাবার অপরাধে ছেলেকে বা তার পরিবাতের সবাইকে... কয়েকজন নেতার অপরাধে ৬০০-৮০০শত মানুুষকে হত্যা ন্যায় বিচার হতে পারেনা।

আপনারা যদি বাবার অপরাধে ছেলেকে ফাসি, স্ত্রী/কন্যা/দাদা/দাদীকে দাসী বানানো তাদের সম্পত্তি বাজায়পাপ্ত করাকে ন্যাবিচার মনে করেন তবে কিছূই বলার নাই।

এই একই আইডিওলজির জঙ্গীরা হলিআটিসানের মানুষকে জবাহ করতে পারে... জঙ্গীরা বাসে বোমা মেরে মানুষ মারতে পারে... যাদের কোন অপরাধ নাই তাদের হত্যা করতে পারে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: ইতিহাসে সার কথা লেখা আছে। কে বা কারা কি পরিমাণ অপরাধ করেছে সেটা লেখা নেই। আর নারী-শিশুও অপরাধ করতে পারে। তবে শিশুর দন্ড লঘু হয়। উক্ত ঘটনায় আল্লাহ যুক্ত ছিলেন। তিনি সব কিছু জানেন। তখন অহির ব্যবস্থা ছিল। কাজেই অসংগতি মূলক কিছু হয়ে থাকলে আল্লাহ অহী নাজিল করতেন। দেড় হাজার বছর আগের মামলার নথি এখন আমার কাছে নেই। কাজেই বিচারের নামে অবিচার হয়েছে এমন কথা বলার কোন সুযোগ আমার নেই। জনাব নতুন যা বলছেন তা’ নিচক ধারণা ছাড়া কিছু নয়।

৩৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৬

নতুন বলেছেন: এই হইলো সেই আইন যেটা বিচারক ব্যবহার করেছিলেন বলেই ধারনা করা হয়।
Deuteronomy 20:12-14 New International Version (NIV)
12 If they refuse to make peace and they engage you in battle, lay siege to that city. 13 When the Lord your God delivers it into your hand, put to the sword all the men in it. 14 As for the women, the children, the livestock and everything else in the city, you may take these as plunder for yourselves. And you may use the plunder the Lord your God gives you from your enemies.

এখন কথা হইলো এখানে আপনি খোদা বললো যে আপনি সবাই পুরুষকে মাইরা তাদের বউ/পোলামাইয়াকে দাস বানান আর আপনি সেটা ভালো আইন বইলা মাইনা নিলেন..... কিন্তু কথা হইলো আপনি কিন্তু ঐ খোদার বাকি কথা মানেন না... মানলেন শুধুই এইকয়টা লাইন কারন এই লাইনে আপনার লাভ... :)

আর ১২ নং লাইনে ''If they refuse to make peace and they engage you in battle, lay siege to that city.''

যদি শান্তি চুক্তি না করে এবং যুদ্ধে লিপ্ত হয় তবে সেখানে আক্রমন করে তাদের এই সাজা দেবার কথাবলেছে....

বানু কুরাইজারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে কিন্তু তারা কি মুসলিমদের সাথে কোন যুদ্ধে করেছিলো? মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্রধরেছিলো?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: তারা অস্ত্র ধরতে পারলে মুসলমানদের অস্তিত্ব বিপন্ন হতো। তাদের সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। আর তাদের জন্য সে সুযোগ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মহানবি (সাঃ) এতটা বোকা ছিলেন না যে সাপকে আবার ছোবল মারার জন্য রেখে দিবেন। মহানবির (সাঃ) স্থানে আপনার মত ভাল মানুষ থাকলে ইসলাম মদীনাতেই শেষ হয়ে যেত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মানব গোষ্ঠিতে পরিণত হতোনা। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে তিনি কোন বুদ্ধিমান কে নবি (সাঃ) বানিয়েছেন। নিজের অস্তিত্ব বিপন্ন করে অন্যের মনপুত কাজের চিন্তা কোন বুদ্ধিমান করেনা।

৩৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামের অন্ধকার দিকগুলো তুলে না আনাই ভাল।
চুপচাপ নামাজ-কালাম পড়েন, আল্লাকে ডাকেন।

সেই আমলের যুদ্ধ নিয়মে যেসব স্বাভাবিক ছিল, বর্তমান সভ্যযুগে আমাদের দৃষ্টিতে তা গুরুতর যুদ্ধাপরাধ।
ভয়াবহ নৃসংস! অমানবিক বর্বরতা।
দুচারজন গোত্রপ্রধানের কথিত চুক্তিভংগের জন্য গুষ্টি সহ সকল এলাকাবাসি হত্যা, নারীশিশুদের অবিরাম ধর্ষন করতে দাস বানানো!

শান্তির ধর্ম ইসলামে এহেন বর্বরতা কোন সুস্থ বিবেকবান ব্যক্তি সমর্থন করবে না। মেনে নিবেনা। কিছু কট্টর ধর্মান্ধরা বাদে।
যুদ্ধকালিন আবস্থায় যে কোন বড় পদক্ষেপ নেয়ার আগে আয়াত নাজেল হত, কিন্তু এই বর্বরতা করতে কোন আয়াত নেই।
কোরানের কোন আয়াতে আশ্রয়দাতা মদিনাবাসিদের উপর এহেন বর্বরতাকে সমর্থন করেনি।

মোহম্মদের (স) ভাল কাজের প্রসংসা করি।
কিন্তু দলবল সহ মোহম্মদের (স) নারী-শিশু সহ মদিনাবাসিদের উপর বর্বর নৃসংসতাকে ধিক্কার জানাই।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

সনেট কবি বলেছেন: চোখ বন্ধ থাকলে আলোকেও অন্ধকার মনে হয়। মহানবির (সাঃ) সব কাজ ভাল। তবে সে ভালকে ভাল বলে দেখার চোখ থাকতে হয়। প্রখর মেধার কারণেই তিনি বিশ্বে এক নম্বর। কিন্তু বোকা লোকের নিকট চালাক লোককেও বোকা মনে হয়, কি আর করা!

৩৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

উদুম্ভূত বলেছেন: @ ব্লগার নতুন, আপনি যেই বিধানের বিরোধিতা করতেছেন, সেইটা ইয়াহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধান, বনু কুরাইজা নবিজীর দেওয়া কোন বিধানই মানতে রাজি ছিল না, এবং তাদেরকে বিচারক পছন্দ করার অনুমতি দেওয়া হলে তারা সাদ বিন মুআজ (রাঃ) কে বিচারক হিসাবে পছন্দ করেছিল। তারা এমন সময় সাদ বিন মুয়াজ(রাঃ) কে বিচারক হিসাবে পছন্দ করল যখন তিনি আহত হয়ে মৃত্যু শয্যায় পড়ে কাতরাচ্ছেন। (এইখানেও ইয়াহুদীদের কুটনামির একটা পরিচয় পাওয়া যায়, এমন একজন লোক কে নির্বাচন করছে যার পক্ষে স্বাভাবিক অবস্থায় বিচার করা সম্ভব ছিল না)। সাদ বিন মুআজ (রাঃ) তাওরাতের যেই বিধান অনুযায়ি ইয়াহুদিদের শাস্তির ফায়সালা দিয়েছিলেন তা নিম্নরুপ:

12 "However, if it does not make peace with you, but makes war against you, then you shall besiege it. 13 "When the LORD your God gives it into your hand, you shall strike all the men in it with the edge of the sword. 14 "Only the women and the children and the animals and all that is in the city, all its spoil, you shall take as booty for yourself; and you shall use the spoil of your enemies which the LORD your God has given you. [Deuteronomy 20:12-14]

এর আগে একবার বিশ্বাস-ঘাতকতা করার পরও বনু কুরাইজাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছিল। এইটা ছিল বনু কুরাইযার দ্বিতীয় বিশ্বাস-ঘাতকতা, তাও আবার এমন একটা সময়ে যখন মুসলমানদের অস্তিত্বের সংকট চলছে, কুরাইশ, বনু গাতফান প্রভৃতি গোত্রের আক্রমনের মুখে মুসলমানরা কোন রকমে খন্দক খুড়ে আত্মরক্ষা করছিলেন।

এমনকি যখন নবিজী বুঝতে পারলেন বনু কুরাইজা বিশ্বাস ঘাতকতা করে ভিতর থেকে আক্রমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন লোক পাঠিয়ে তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু তারা নিবৃত হয় নাই। খন্দকের যুদ্ধ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা আক্রমনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে নাই।

মুসলমানদের দুর্গে অবস্থান করা মহিলাদের উপর আক্রমনের জন্য প্রাথমিক রেকি করার কাজও তারা সম্পন্ন করে ফেলেছিল। সেই সংকটের মুহুর্তে যাঁদের নিরাপত্তার জন্য একজনের বেশি পুরুষ সাহাবি নবিজী রাখতে পারেন নাই, তাও আবার সেই পুরুষ সাহাবি এতই দুর্বল যে ইয়াহুদি গুপ্তচরকে আক্রমন করা তো দুরের কথা সাফিয়্যা (রাঃ) সেই ইয়াহুদিকে হত্যা করার পর তার লাশের মাথা কেটে নিয়ে আসতেও তিনি সক্ষম ছিলেন না। (১৩ নম্বরে ব্লগার কুকরার কমেন্টে এই ঘটনা বিস্তারিত দেয়া আছে)

তখনকার সময়ে মানুষ গোত্র বদ্ধ হয়ে বাস করত এবং গোত্রের সারভাইভালের জন্য সবাইকে যুদ্ধ করতে হত। গড় আয়ু খুব বেশি ছিল না, এবং বালেগ হওয়ার পরপরই ছেলেদেরকে যুদ্ধ উপযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করা হত। শাস্তির রায়ে, এক বুড়া ইয়াহুদিকে বাচ্চাদের সাথে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে ঘাড় ত্যারামি করে সেচ্ছায় শাস্তি মাথা পেতে নেয় - এই ঘটনা থেকে মুসলমানদের প্রতি বনু কুরাইজার ইয়াহুদিদের কিরকম হিংসা/ঘৃনা ছিল তা বুঝা যায়।

যুদ্ধবন্দিদের অনেককে বাইরের মুশরিক এবং ইয়াহুদিরা কিনে নেয়। অনেককে মুসলমানরা পরে মুক্ত করে দেয়। যুদ্ধবন্দিদের সাথে নবিজীর হুকুম অনুযায়ি সদয় আচরন করা হয়েছিল যা তখনকার দিনে সাধারণতঃ করা হত না, যেমন বাচ্চাকে মা থেকে আলাদা করা হয় নাই, কম বয়সি ভাই-বোনদের আলাদা করা হয় নাই।

শাস্তির রায় হওয়ার সময় অনেক পরিবার যাদের আগে থেকে ভাল কাজের সুনাম ছিল, তারা সাহাবিদের সুপারিশে মুক্তি পেয়ে যায়, অনেকে ইসলাম গ্রহন করে, যে্মন মুহাম্মদ ইবনে কা-ব আল কুরাইজি, যিনি পরবর্তিতে ইসলামের বড় একজন আলেম এবং হাদিস বিশারদ হিসাবে পরিচিতি পান [al-Dhahabi, Siyar A’lam al-Nubalaa’]।

-/-/-/-/-/-/-/-/-

আপনাদের মত ইসলাম বিদ্বেষি নাস্তিকরা সবসময় মিথ্যা কথার উপরেই চলেন, কোন দিন একটু চিন্তা করে দেখেন না, দুনিয়াতে হঠাৎ করে কিভাবে এসে পড়লেন, উন্নত জীবনের আশায় বেইমান কাফেরদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্লগে এসে পিছলামি করেন। আপনাদের আগাও মিছা- গোড়াও মিছা- পুরাই মিছা। মিথ্যার উপরেই আপনাদের জিন্দেগি। মরার পরে সব বুঝে আসবে, কিন্তু তখন আর সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।


২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: যাদের চোখে পর্দা রয়েছে তারা সঠিককে ভুল দেখে। তাদের জন্য আফসুস!

৩৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: হাসান বাল-বৈশাখি যে একজন নাস্তিক-মুর্তাদ সেইটা উনার ৩৫ নাম্বার কমেন্ট থেকে আমার কাছে একেবারে পরিষ্কার হয়ে গেল।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

সনেট কবি বলেছেন: অবোধ হলে যেমন হয় আরকি! তাদের পছন্দ মত সেসময় কাজ করলে আজ হয়ত আমি ফরিদ না হয়ে অন্য কিছু হতাম। আর তিনিও হাসান না হয়ে অন্য কিছু হতেন। বিষয়টা ছিল মুসলমানের অস্তিত্বের প্রশ্ন এটা এরা কিছুতেই বুঝতে পারেনা। কিন্তু নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে মহানবি (সাঃ) কোন লোককে দয়া দেখাবেন মহানবি (সাঃ) এমন লোক ছিলেন না।

৩৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

নতুন বলেছেন: সমস্যাটা কোথায় জানেন... ব্রেনওয়াস।

আপনি যে নিচে আমার সম্পকে বললেন তা পুরাই আপনার ব্রেনওয়াসড ধারনার বহিপ্রকাশ<<<

আমি ব্যক্তিজীবনে কেমন সেটা আমার সাথে পরিচিত ব্লগারা জানে... এবং যারা বুদ্ধিমান তারা আমার লেখা এবং কমেন্ট পড়ে ধারনা করতে পারেন।

ব্লগে ব্যক্তিগত বিষয়ে টেনে আনবেন না।

আপনাদের মত ইসলাম বিদ্বেষি নাস্তিকরা সবসময় মিথ্যা কথার উপরেই চলেন, কোন দিন একটু চিন্তা করে দেখেন না, দুনিয়াতে হঠাৎ করে কিভাবে এসে পড়লেন, উন্নত জীবনের আশায় বেইমান কাফেরদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্লগে এসে পিছলামি করেন। আপনাদের আগাও মিছা- গোড়াও মিছা- পুরাই মিছা। মিথ্যার উপরেই আপনাদের জিন্দেগি। মরার পরে সব বুঝে আসবে, কিন্তু তখন আর সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।

আমি তো কখনোই বলিনাই যে বনু কুরাইজা বিশ্বাস ঘাতকতা করেনাই।

কিন্তু দুচারজন গোত্রপ্রধানের কথিত চুক্তিভংগের জন্য গুষ্টি সহ সকল এলাকাবাসি হত্যা, নারীশিশুদের অবিরাম ধর্ষন করতে দাস বানানো! ন্যায় বিচার না।

যাই হোক আপনারা এটা বুঝতে পারবেন না।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

সনেট কবি বলেছেন: আপনার চাহিদা মত বিচার হলে আপনার যে নামটা এখন আছে সেটা হয়ত অন্য কিছু হতো। আমি আপনার চেয়ে মহানবিকে (সাঃ) অনেক বেশী বুদ্ধিমান মনে করি। কারণ তিনি মাত্র দশ বছরে একটা সাম্রাজ্যের গোড়া পত্তন করেছেন। সে দিন তিনি কোরায়জার প্রতি দয়া দেখালে তারা তাঁকে পিছনে টেনে ধরত। সামনে এগুতে দিতনা। এ সোজা কথাটা বুঝার মত অবস্থানেও আপনি নেই। আপনাকে মনে রাখতে হবে তিনি বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে সফল ব্যক্তি। যাঁর অনুসারী এখন বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম।

৩৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বনু কুরাইজার শাস্তি যথাযথ ছিল।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

সনেট কবি বলেছেন: একশভাগ সঠিক বলেছেন।

৪০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

নতুন বলেছেন: কারণ তিনি মাত্র দশ বছরে একটা সাম্রাজ্যের গোড়া পত্তন করেছেন। <<<<<<<<<<<
আপনাকে মনে রাখতে হবে তিনি বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে সফল ব্যক্তি। যাঁর অনুসারী এখন বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম।


চেঙ্গিস খান ২১ বছরে এর চেয়েও বড় সাম্রাজ্য গোড়ে ছিলেন....

আর যীষুর অনুসারীরা কেন ১ নম্বরে আছে???

যার ১৩ জন অনুসারী ছিলো মারা যাবার সময়... তাদের ১ জন তাকে চেনে না বলেছিল...১ জন তাকে ধরিয়ে দিয়েছিলো।

রাজনিতি সব সময় ধম`কে ব্যবহার করেছে.... সেটা বুঝতে পারলে বুঝতে পারবেন এই সব ক্যাচাল... :)

না হলে বুুঝতে পারবেন না সিং্গাার মধ্যে আলু কেমনে গেলো। B-)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

সনেট কবি বলেছেন: ২১ বছরতো ১০ বছরের ডাবলেরও বেশী। যীশুর অনুসারী প্রচারই প্রসার তরিকায় বেড়েছে। রাজনীতি প্রয়োজনীয় সব কিছই ব্যবহার করে। সার কথা হলো যে কাজে আল্লাহর অনুমোদন রয়েছে সে কাজ কিছুতেই বেঠিক হতে পারেনা।

৪১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

কুকরা বলেছেন: মদিনার ইয়াহুদি গোত্রগুলি আগে থেকেই কুটিল এবং জুলুমবাজ টাইপের ছিল। পারস্যের রাজার পক্ষ নিয়ে এরা কুখ্যাত চিরস্থায়ী বন্দোবোস্ত প্রথার আদলে আশেপাশের গরীব গোত্রগুলির কাছ থেকে কর আদায় করত। অ-ইয়াহুদি গোত্রগুলির উপর এরা নিয়ম চাপিয়ে দিয়েছিল যে অ ইয়াহুদি কোন মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর সাথে রাত্রি যাপনের আগে ইয়াহুদিদের সাথে ঐ মেয়েকে রাত্রি যাপন করতে হবে। এই অপমানজনক প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পর্যন্ত হয়েছিল। আইয়ামে জাহিলিয়াতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে এরা শয়তানের উপাসনা, জাদু বিদ্যার চর্চা করত, নবিজীর উপরে একবার এক ইয়াহুদী প্রাণনাশি জাদু করছিল, পরে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা সুরা নাস এবং সুরা ফালাক নাজিল করেন।



২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

সনেট কবি বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর শেয়ারের জন্য।

৪২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

কুকরা বলেছেন: মদীনার ইয়াহুদিরা কি পরিমান বদমাইশ ছিল, সেইটা তাদের কর আদায়ের বিষয়টা বিশ্লেষন করলে বুঝা যায়।

আইয়ামে জাহিলিয়াতে রোম এবং পারস্যের শাসকরা আরব উপদ্বিপের গোত্রগুলিকে শাসন করা ঝামেলা মনে করত, তখন আরবের গোত্রগুলি একধরণের স্বাধীনতা নিয়ে আরব উপদ্বিপে বাস করত এবং নিজেদের মধ্যে ক্যাচাল করত। এই শয়তান ইয়াহুদীরা তিন দিকে পাহাড়ে ঘেরা মদীনার শহরের নিরাপত্তার মধ্যে বসে গুটিবাজি করত এবং পারস্য সম্রাটের জুজুর ভয় দেখিয়ে আশেপাশের স্বাধীন গোত্রগুলি থেকে কর আদায় করত অথচ কর আদায়ে এদেরকে কেউ বাধ্য করার ছিল না। এ ধরণের গুটিবাজ শয়তানদের কাছে নবিজীর নেতৃত্বে আরবের স্বাধীন গোত্রগুলি শক্তিশালি হয়ে উঠার বিষয়টা কতখানি অসহ্য ছিল তা পরবর্তিতে এদের দ্বারা নবিজী এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে যাওয়ার মাধ্যমে ফুটে উঠে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: এরা মহানবি (সাঃ) ও মুসলমানদেরকে একেবারে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ সহায় ছিল বলে কিছু করতে পারেনি।

৪৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমারো এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ ছিলনা। ইসলাম বিরোধীরা বিষয়টা বার বার উপস্থাপন করে এটাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

ভালো থাকুন।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

সনেট কবি বলেছেন: আসলে তাদের কারনেই আমি এ দিকে আগ্রহী হয়েছি।

৪৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: নাস্তিকদের কাজই খোঁচানো আলোচনায় আসার জন্য

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২০

সনেট কবি বলেছেন: তাদের টেনশন শুধু কি ভাবে ইসলামের ক্ষতি করা যায়।

৪৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

উদুম্ভূত বলেছেন: নবিজীর বিরুদ্ধে ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র নিয়ে আরো লেখালিখি করতে হবে। তাইলে নাস্তিকরা মানুষের কম জানার সুযোগ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী করতে পারবে না।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০১

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু তার আগে আপনার সেফ হওয়া দরকার। আমি আপনাকে সামনে এনেছি সামুর নজরে পড়ার জন্য। দেখি তারা কি করে। সেফ হলে সুসংবাদ অবশ্য দিবেন। আপনার সুদিনের অপেক্ষায় থাকলাম।

৪৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

উদুম্ভূত বলেছেন: সামু এই লেখার পরে আমাকে সেফ করবে !! আমি বিশ্বাস করি না। বরং আগে সেফ থাকলে জেনারেল করে দিত। হা হা হা.....

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৩

সনেট কবি বলেছেন: আসলে অনেক ধরনের লেখক হলে ব্লগ জমে ভাল। সামুর সেটা বুঝা উচিৎ।

৪৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি নাস্তিক নই।
এখনো বাপের ধর্ম ইসলামে আছি। পোলাকেও ইসলাম ধর্মে রাখছি।
তাই বলে বিবেকহীন ধর্মান্ধতার কাছে মাথা বিক্রী করে ফেলি নি।

এদেশে কিছু লোক আছে যেকোন কিছু দেখলেই 'আমিন' 'আমিন' করতে থাকে, এরা ইমরান খানের ছবি, এমনকি শিয়ালের পায়খানা দেখলেও 'আমিন' 'আমিন' করে। একঘন্টার ভেতর 17.K আমিন! ভাবা যায়?
দেশে এত সাচ্চা মোসলমান থাকতে দেশ দুর্নিতি চ্যাম্পিয়ান হয় কিভাবে।
এসব অন্ধ ধার্মিক নামধারিরা ভাবে মাগনা আমিন বলে যদি ফাও কিছু নেকি হাসিল হয়! গাধার দল।

এসব বিবেকহীন আমিন আমিন বলা লোক গুলোই ফাও নেকি লাভের জন্য অন্ধভাবে চোখবন্ধ করে বলছে -
"বনু কুরাইজা ও মদিনা বাসিদের উপর নৃসংসতা সঠিক ও যথাযথ ছিল"।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৯

সনেট কবি বলেছেন: আপনার মত সবার মানা জরুরী নয়।

৪৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫১

অনল চৌধুরী বলেছেন: তসলিমা নিয়ে লেখাটা কই গেলো???

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

সনেট কবি বলেছেন: সেটা তারা মুছে দিয়েছে এবং আমাকেও জেনারেল করেছে। তাদের দৃষ্টিতে মহানবীকে(সাঃ) আক্রমন করে কথা বলা ব্যক্তি আক্রমন নয়্ যারা তাঁকে আক্রমন করে কথা বরে তাদের প্রতি ইইঙ্গতে কিছু বলাও ব্যক্তি আক্রমন। কি আর করা তাদের আইনে বসবাস করতে হলে তাদের আইন না মেনে উপায় নেই। অনুরূপ আল্লাহর আইন মানা উচিত এটা কিন্তু তারা মোটেও মানতে রাজি নয়।

৪৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

উদুম্ভূত বলেছেন: দেখছেন, আমার ৪৬ নাম্বার কমেন্টের বক্তব্য কতখানি সত্য? সামুর মডারেশন যদি পক্ষপাত দুষ্ট না হত, তাইলে এইসব তৃতীয় শ্রেনীর গৃহপালিত ব্লগাররা নাস্তিকতার আড়ালে কোনদিন নোংরামি করার সুযোগ পেতো না।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

সনেট কবি বলেছেন: আপনার কথাটা তারা দারুণভাবে সত্য প্রমাণ করেছে। এরা ওরা আসলে একই লোক। মুসলমানের দিন কাল ভাল না। সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই।

৫০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

উদুম্ভূত বলেছেন: নবিজীর কোন একটা সিদ্ধান্তের উপরে ধিক্কার জানানোর পরেও হাসান কালবৈশাখির মত ব্লগাররা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করে। হাশরের ময়দানে দেখা যাবে, কে মুসলমান আর কে না। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইও (মুনাফেকদের সরদার) নিজেকে মুসলমান দাবি করত।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০০

সনেট কবি বলেছেন: মুসলমান দাবী করার বিষয় নয়। নিয়মের খেলাপ হলে মুলসমানিত্ব থাকেনা।

৫১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

উদুম্ভূত বলেছেন: মুসলমানদের দিনকাল ভাল না - আপনার সাথে একমত। তবে শুধু সহ্য করে যেতে হবে - এই কথার সাথে আমি একমত নই। এই খারাপ দিনকালের মধ্যেও আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ আছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

সনেট কবি বলেছেন: মুসলমানদের একটা ভাল ব্লগ সাইট দরকার যা সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে। তাহলেই কেবল এদের অত্যাচার থেকে রেহাই মিলবে।

৫২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

উদুম্ভূত বলেছেন: যেমন শুধু নবিজীর বিরুদ্ধে ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র নিয়েই আমরা অনেক গবেষনা মূলক লেখা লিখতে পারি। আজকে হোক কালকে হোক এই লেখাগুলি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কোন না কোন মুসলমান ব্যবহার করতে পারবে। নাস্তিকরা মূলত মিথ্যাবাদি, শুধুমাত্র সত্য রিভিল করতে পারলেই এদের মিথ্যার ব্যপ্তি সংকীর্ণ হয়ে যাবে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১১

সনেট কবি বলেছেন: মুসলমান পরিচালিত সবার জন্য উম্মোক্ত ব্লগ সাইট এখন সময়ের দাবী। যাদের যোগ্যতা আছে তারা এগিয়ে আসবেন সেটা কামনা করি।

৫৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



নিচের লিঙ্কযুক্ত বইটি দয়া করে দেখে নিন। বিশেষ করে ৩৪৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত খন্দকের যুদ্ধের বর্ননা থেকে শুরু করে পরবর্তী অংশ পড়ে দেখুন। মূলত: বনূ কুরাইজার ঘটনা মদিনার দুষ্ট ইয়াহুদিদের অমানবিক আচরনের ধারাবাহিকতারই প্রতিফলনকে তুলে ধরে। এটি ভাল করে বুঝার স্বার্থে আগের এবং পরের ইতিহাস জানা জরুরী। ইতিহারেস পূর্বাপর না জেনে অনেকেই মাঝখান থেকে একটু শুনেই মায়াকান্না নিয়ে হাজির হন। এই মানসিকতা পরিহার করে সামগ্রিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বনূ কুরাইজার ঘটনার বিশ্লেষনে যেতে চাইলে আদ্যোপান্ত ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলাতে হবে। আলোচ্য গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:

তৎকালীন আরবের ভৌগোলিক, সামাজিক, প্রশাসনিক,​ অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অবস্থা।
রবের ধর্ম-কর্ম ও ধর্মীয় মতবাদ।
জাহিলিয়াতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে বংশ পরিচয়, বিবাহ, দাম্পত্য, সন্তান-সন্ততি, তাঁর আবির্ভাব এবং এর পর ঘটনা বহুল পবিত্র জীবনের চল্লিশটি বছর।
নুবুওয়াত লাভের পূর্বকালীন সংক্ষিপ্ত চিত্র
নবুওয়তী জীবন এবং তার দাওয়াত
প্রথম পর্যায়ের মুসলিমগণের ধৈর্য ও দৃঢ়তার অন্তর্নিহিত কারণসমূহ।
মক্কা ভূমির বাইরে ইসলামের দাওয়াত প্রদান।
ইসরা ও মিরাজ।
হিজরত।
মাদানি জীবন
যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ধি-চুক্তি।
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা
সামাজিক ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
এবং তার ইহ লৌকিক জীবন থেকে তিরোধান।

উম্মুল মুমেনীন আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহা বলেছেন, আসমানি গ্রন্থ আল-কুরআনই হল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চরিত্র। তাঁকে অনুসরণ করা, তাঁর জীবন সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব। এই বইটিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবন কাহিনী বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। সকলের জন্য শুভকামনা।

আর রাহীকুল মাখতুম

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

সনেট কবি বলেছেন: প্রিয় কবি আপনার এ মন্তব্য আরো আগে প্রয়োজন ছিল। তবে এখন দিয়েছেন এটাও মন্দ হয়নি। হঠাৎ কেউ এসে পড়লে দেখতে পারবে।

৫৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

উদুম্ভূত বলেছেন: নতুন নকিবের দেওয়া লিংকের কিতাব পড়তেছি, এখানে অত্যন্ত বিস্তারিত ভাবে পুরো বিষয়টি দেওয়া আছে। আগ্রহি পাঠকের এই লিংকটা অবশ্যই পড়া উচিত বলে আমি মনে করি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

সনেট কবি বলেছেন: ঈমান বাঁচাতে ঈমান রক্ষাকারী পুস্তকতো পড়তেই হবে।

৫৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই পোস্টে মন্তব্য করিবনা ভাবিয়াছিলাম ! বিশেষত যখন আমি ধর্মবেত্তা নই। ধর্মীয় বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকিলে ভুল হইতে পারে। তবুও চেষ্টা করিতেছি !

বনু কুরাইজার যোদ্ধাদের মর্ত্যুদন্ডে ইসলাম বিদ্বেষীদের আপত্তি বা ইহাকে অবিচার সাব্যস্ত করার চেষ্টা মূলত কেন ইহুদিদের বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে তাহাদের সকল বালেগ পুরুষকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হইল ইহা লইয়া। তাহাদের নারী-শিশুকে দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি করা হইল ইহা লইয়া !

প্রথমত বুঝিতে হইবে তখনকার যুদ্ধ এখনকার মতন নিয়মিত সেনাবাহিনীর ছিল না। গোত্রে গোত্রে যুদ্ধে এখনকার মতন কিছু লোক যুদ্ধে যাইবে, আর কিছু লোক দালালি করিয়া তেলাপোকা হইয়া বাঁচিবে বা ভার্চুয়াল জগতে মহাবীর হইবে এমন নহে বা দেশ হইতে ভাগিয়া যোদ্ধা দাবি করিবে এমন নহে ! সকল বালেগ , সক্ষম পুরুষের যুদ্ধে যোগদান বাধ্যতামূলক ছিল। অর্থাৎ বালেগ সকল পুরুষ প্রকৃতপক্ষে সৈন্য ছিল ! আর যুদ্ধক্ষেত্রের বেইমানি, বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি সকল দেশের সামরিক আইনে চূড়ান্ত পর্যায়েরই হইয়া থাকে। বনি কুরাইজার সকল সৈন্য তাহাই পাইয়াছে।

আর যুদ্ধে বিজিত গোত্রের নারী-শিশুকে দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি করা ছিল তখনকার প্রথা। বিচার্য হইল অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মতন বা ধর্মহীনদের মতন ইসলাম আচরণ করিয়াছে কিনা , যথেষ্ট মানবিক ছিল কিনা।যুদ্ধবন্দী এবং দাস দাসীদের সাথে আচরণের নির্দেশনা আর তাহা মানিতে সাহাবী রা. এর প্রয়াস এমনকি রাসূলুল্লাহ স. মৃত্যুর সময়কালের নির্দেশ দেখিলেও তাহাদের আচরণ সম্মন্ধে ধারণা পাওয়া যাইবে। দাস-দাসীদের অধিকার, তাহাদের মুক্তির যথাযথ নির্দেশনাও দেওয়া আছে। এবিষয়ে বিস্তারিত বলিতে গেলে আলাদা পোস্ট দিতে হইবে !

পক্ষান্তরে তখনকার অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিজিতদের কোন অধিকারই ছিল না ! বিজয়ের পরে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, রক্তের হোলিখেলা ইহা সাধারণ নিয়মে পরিণত হইয়াছিল। এখনো তাহাই ! দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মান, রাশিয়া আমেরিকা সকলেই এই আকামে দোষী ! তাহাদের শশুর আমেরিকার ভিয়েতনাম, জাপান , আফগানিস্তান , ইরাক বিজয়ের পর কি হইয়াছিল পাঁঠারা একটু খোঁজ নিয়া দেখুক ! তাহাদের আব্বা সোভিয়েত , পূর্ব জার্মানিতে , আফগানিস্তানে কি করিয়াছিল তাহা একটু ভাবিয়া দেখুক ! স্মরণযোগ্য, মক্কার কাফির আর ইহুদিরা খন্দকের যুদ্ধে বিজয় পাইলে মুসলমানদের চিহ্নই থাকিত না ! জেরুজালেম বিজয়ের পরে ক্রুসেডাররা কি করিয়াছিল তাহা নমুনা মাত্র।

আর বিচারে অনিয়মের প্রশ্নই আসেনা। প্রথমত ইহুদিরা নিজেরাই তাহাদের সাবেক মিত্র গোত্রের সর্দার সাদ রা. কে বিচারক মানিয়াছিলো , আর তাহারা নিজেদের কিতাব অনুযায়ীই বিচার চাহিয়াছিল। তাহারা তাহাই পাইয়াছে ! এখানে সাদ রা. এবং রাসূলুল্লাহ সা. এর দোষ কোথায় ?

এইসব বিচিওয়ালা পাঁঠারা সারাক্ষন রাজাকারদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করিয়া থাকে কারণ ইহারা যুদ্ধাপরাধী, আর বনু কুরাইজা যুদ্ধাপরাধী হওয়া সত্ত্বেও (যুদ্ধক্ষত্রে বেইমানি, বিশ্বাসঘাতকতা সকল দেশের আইনেই যুদ্ধাপরাধ ) তাহাদের মৃত্যুদণ্ড তাহাদের কাছে অন্যায় হইয়া গেল !

বিচির বেদনায় ইহারা বিচি প্রদর্শন ব্যাতিত থাকিতে পারে না বিধায় ব্লগে আসিয়া বিচি প্রদর্শন করিয়া থাকে !

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।

৫৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: সেটা তারা মুছে দিয়েছে এবং আমাকেও জেনারেল করেছে। তাদের দৃষ্টিতে মহানবীকে(সাঃ) আক্রমন করে কথা বলা ব্যক্তি আক্রমন নয়্ যারা তাঁকে আক্রমন করে কথা বরে তাদের প্রতি ইইঙ্গতে কিছু বলাও ব্যক্তি আক্রমন। কি আর করা তাদের আইনে বসবাস করতে হলে তাদের আইন না মেনে উপায় নেই। অনুরূপ আল্লাহর আইন মানা উচিত এটা কিন্তু তারা মোটেও মানতে রাজি নয়। -আমি সোজা কথা পছন্দ করি।
কেই ইচ্ছা হলে ধর্ম মানবে না হলে না।কিন্ত পরিকল্পিতভাবে শুধু ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজের সুযোগ করে দেয়ার মানে কি?
ব্লগ তো দেশে একটা না অাপনি আমিও দুই দিনের বৈরাগী না।
অামরা প্রবীণ লেখক।
সব কিছু চলে গেছে বেয়াদবদের নিয়ন্ত্রণে।
এরা পড়াশোনা করে না,হুমায়ন অাজাদ-তসলিমার নির্দিষ্ট কিছু বুলি ছাড়া কিছু জানে না,জানতেও চায় না।
এরাই তো আসল ধর্মান্ধ,কূয়ার ব্যাং।
মুক্তচিন্তা অার চর্চার চরম শত্রু।
অাপনার কি ফেসবুক অাইডি আছে?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২১

সনেট কবি বলেছেন: আমার ফেসবুক আইডি আছে।
আমার মতে একটা পোষ্ট পছন্দ না হলে দরকার হয় সেটা মুছে দাও। কিন্তু একেবারে ব্যান মেরে দেওয়া সেটা কেমন কথা? যাকগে যাদের জিনিস তারা যেমন খুশী করতে পারে।এরা মুক্তমনার বুলি আওড়ায় কিন্তু ইসলামের পক্ষে কথা বলতে দিতে মোটে রাজি নয়। নতুবা আমার পুরনো আইডি টা এত দিন ব্যান করে রাখা লাগে?

৫৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: অ-ইয়াহুদি গোত্রগুলির উপর এরা নিয়ম চাপিয়ে দিয়েছিল যে অ ইয়াহুদি কোন মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর সাথে রাত্রি যাপনের আগে ইয়াহুদিদের সাথে ঐ মেয়েকে রাত্রি যাপন করতে হবে। এই অপমানজনক প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পর্যন্ত হয়েছিল।-ব্রেভহার্ট ছবিতে দেখানো হয়েছে যে ইংরেজরাও স্কটদের জাত নষ্ট করার জন্য এই পদ্ধতিটা প্রয়োগ করতো।
যাদের এতো ইহুদী প্রীতি,তাদের জিজ্ঞেস করি,ইউরোপেও প্রাচীনকাল থেকেই তাদের এতো ঘৃণা করা হতো কেনো?
শেক্সপিয়ারও ৪০০ বছর আগে মার্চেন্ট অফ ভেনিস নাটকে ইহুদী শাইলক কে ড: ইউনুসের চেয়েও বড় সুদখোর হিসেবে দেখিয়েছিলেন,যে ধারের টাকা দিতে না পারলে মানুষের মাংস কেটে নিতে চাইতো।
হিটলার কেন এতো ইহুদী মেরেছিলো?
এই জানোয়াররা পৃথিবীর সব যুদ্ধের জন্য দায়ী বলে ২০০ সালে মেল গিবসন বলেছিলেন।
এরাই চরম নিষ্ঠুরভাবে যিশুখ্রীষ্টকে হত্যা করিছিলো।
এসব ঘটনার একটার সাথেও মুসলিমদের কোন সম্পর্ক নাই।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: বিষয়টা আমার নিকট বিস্ময়কর বলেই মনে হয়।

৫৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

পলাতক মুর্গ বলেছেন: নাস্তিকরা ভন্ড, সামুর মডারেশনও ভন্ড। সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা খাওয়ার ভয়ে এরা কিছুটা ভদ্দরনোকামির ভাব ধরে থাকে আরকি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: আমার শুধু এটাই বুঝে আসেনি যে এরা মহানবিকে (সাঃ) ব্যক্তি মনে করেনা। তাঁকে নিয়ে জঘন্য কথাতেও এরা একশনে যায় না। অথচ ইসলাম বিষয়ে যারা কূ-কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে কি বলা হলো সেটা তারা দূর্বিন দিয়ে দেখে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.