নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দারিদ্র্য বিমোচনে চা

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭


দারিদ্র্য বিমোচনে চা চাষ বদলে দিচ্ছে অর্থনীতির চাকা। পঞ্চগড়ে চায়ের আবাদ এখন আর সম্ভাবনা নয়, বাস্তব। শুধু পঞ্চগড় নয়, পার্শবর্তী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়ও ইদানীং চায়ের আবাদ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের তৃতীয় চা-অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে পঞ্চগড় জেলা। ফলে ‘দারিদ্র্য বিমোচনে চা’- স্লোগানটি এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। ‘ক্ষুদ্রায়তন পদ্ধতি’তে চা চাষ প্রকল্প শুরুর সময় থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে এই স্লোগান গ্রহণ করে। বিগত কয়েক বছরে এই চা আবাদই বদলে দিয়েছে গোটা পঞ্চগড় জেলার অর্থনীতির চিত্র। দিনে দিনে পাল্টে যাচ্ছে অভাব, দারিদ্র্য। বিশেষ করে সমতল ভূমিতে ক্ষুদ্রায়তন পদ্ধতিতে চা চাষ করে অসংখ্য চাষী এখন স্বাবলম্বী। এই জেলার অন্তত ৫ শতাধিক চাষী ক্ষুদ্রায়তন পদ্ধতিতে চা আবাদের জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক অফিসে নিজেদের নাম নিবন্ধনভুক্ত করেছে। এবং আরও শতাধিক চাষী নাম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। এক সময় যে জমিতে শুধু আমন অথবা আখের এক ফসলী আবাদ হতো, আজ সেই পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে শয়ে শয়ে একর জমি চায়ের সবুজ পাতায় ভরে গেছে। চা বিশেষজ্ঞদের মতে, এখানে আন্তর্জাতিক মানের এবং দার্জিলিং ভ্যারাইটির চা উৎপাদন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির জন্য পঞ্চগড়ের চা নিলামে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মিনা টি (অর্গানিক) নামে একটি ব্র্যান্ড রফতানি হচ্ছে। বড় মাঝারি এবং ক্ষুদ্রায়তন এই তিন ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৭১৩ দশমিক ৮৩ হেক্টর জমিতে চায়ের আবাদ হলেও জেলায় চা আবাদযোগ্য জমি রয়েছে দুই হাজার ৪৯ দশমিক ২ হেক্টর। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব টি এস্টেট ও বাগান থেকে এক কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার ২৬ কেজি কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়েছে, যা থেকে কাল চা উৎপাদিত হয়েছে ২৫ লাখ ২১ হাজার ৯২১ কেজি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় চা আবাদের যে অগ্রগতি ছিল, চলতি বছরের গেল জুন পর্যন্ত আরও ২শ’ হেক্টর বেশি জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে। এতে, এ বছর অতিরিক্ত আরও ২৫ লাখ কেজি কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। প্রতিবছরই চা আবাদের পরিধি বাড়ছে। যে হারে চায়ের আবাদ বাড়ছে তাতে করে ভবিষ্যতে এ অঞ্চল থেকেই বছরে তিন কোটি কেজি কাঁচা চা পাতা আহরণ করা যাবে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

কল্লোল পথিক বলেছেন:





সুন্দর পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.