নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দারিদ্র বিমোচনে গৃহিত পদক্ষেপ

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

বাংলাদেশের কৃষকরা বরাবরই অবহেলিত। আর্থিক চাপের কারণে তারা ফসলের ন্যায্য দাম পান না। এতে বেশিরভাগ সময় প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারে এমন প্রকল্প নেয়া হয় খুব কম। ধান কিংবা অন্য ফসল উৎপাদনের পর পর বা মধ্যবর্তী সময়ে এভাবে কম দামে শস্য বিক্রি ঠেকাতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ সময়ে কৃষকদের ঋণ দেয়া হবে স্বল্প সুদে। প্রাথমিকভাবে দেশের নয় জেলার ৫০ উপজেলার ১৫ হাজার কৃষকের মধ্যে এ ঋণ বিতরণ করা হবে। ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে প্রতিজন কৃষক ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ পাবেন। একই সঙ্গে তাদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে। শস্য উৎপাদন, মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি পালন ও অন্যান্য আয়বর্ধক কর্মকান্ডের ওপর দেয়া হবে প্রশিক্ষণ। এসব দিক বিবেচনায় সরকারের নতুন এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে এ ধরনের ঋণ প্রদানে মাঠপর্যায়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। প্রকৃত অর্থে প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকরা যাতে ঋণ ও অন্যান্য সুবিধা পান সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এটি করতে পারলে ১৫ হাজার কৃষক পরিবারের প্রায় এক লাখ মানুষের দারিদ্র্য-মুক্তির পথ সুগম হবে। প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের শস্য সংগ্রহ পরবর্তী সহযোগিতার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ নামের এ প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রম চলবে ২০২১ সাল পর্যন্ত। প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার সুবিধাভোগী চিহ্নিত করা হবে। নির্বাচিত সুবিধাভোগীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হবে ৬০০ গ্রামভিত্তিক সংগঠন। এসব সংগঠনের মাধ্যমে ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি না করে তা সংরক্ষণে কৃষককে উৎসাহিত করা হবে। মৌসুম শুরুর পর দুই থেকে তিন মাস সহযোগিতা করতে পারলেই তারা ফসলের ন্যায্যমূল্য পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি তারা যাতে ফসলে মূল্য সংযোজন করতে পারেন, সে জন্য প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। এই প্রকল্প দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.