নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কানাডায় বেড়ে ওঠা তামিমের পুরো নাম তামিম আহমেদ চৌধুরী। তার জম্ম ১৯৮৬ সালের ২৫ জুলাই। তার বাবা শফিক আহমেদ চৌধুরী, মা খালেদা শফি চৌধুরী। তামিম সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর নাতি। মজিদ চৌধুরী একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন ।তামিমের বাবা শফি আহমদ জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি স্বপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান। কানাডার উইন্ডসরে থাকার সুবাদে ৩০ বছর বয়সী তামিমের বেড়ে ওঠাও সেখানে। তামিম তিন সন্তানের জনক। আইএসের (ইসলামিক স্টেট) কথিত ‘বাংলার খিলাফত দলের প্রধান’ শায়খ আবু ইব্রাহিম আল হানিফি হল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার সেই তামিম চৌধুরী। কানাডার উইন্ডসর শহরে থাকতেন। সেখানে বসেই আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। বিষয়টি কানাডীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে। এ অবস্থায় গ্রেফতার এড়াতে তিনি বাংলাদেশে চলে এসে জঙ্গি তত্পরতা শুরু করেন।তামিম আহমেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে জঙ্গিদের নতুন ধারার তৎপরতার নেপথ্য ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে তামিমকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।এর আগে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস তাদের বাংলাদেশ শাখা প্রধান হিসেবে তামিমকে আবু ইব্রাহিম আল হানিফ নামে নিয়োগ করে। গুলশান হামলার পরই তামিমের নামটি ব্যাপক আকারে আলোচনায় আসে। তামিম চৌধুরী ২০১৩ সালের অক্টোবরে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তামিমকে ‘নব্য জেএমবি’র শীর্ষনেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশে জেএমবির যে ভগ্নাংশটি আইএস অনুসারী হয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, নব্য জেএমবি নামের সে অংশের শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরী। রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ।আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তামিম চৌধুরীই দেশীয় জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কল্যানপুরে গ্রেফতারকৃত জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান জানিয়েছিল কল্যাণপুরে তাদের জঙ্গি আস্তানায় তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল ও আজাদুল ওরফে কবিরাজ নামে ব্যক্তিরা নিয়মিত যাতায়াত করত। তারা তাদের ধর্মীয় ও জিহাদি কথাবার্তা বলে উদ্বুদ্ধ করত। প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা দিয়ে যেত।গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় ঘরছাড়া তরুণ-যুবকদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ১০ জনের যে প্রথম তালিকা দিয়েছিল, তাতে সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরীর নাম আসে। এছাড়া কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর জেএমবি ও এর সমর্থনপুষ্ট অন্যান্য সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের মাধ্যমে সহায়তা ও প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল তামিম চৌধুরীরসহ আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে ।আমরা আশা করব তামিম অধ্যায় যেন এখানেই শেষ হয় আর যেন কোন তামিম জঙ্গি হয়ে না উঠে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে যতদিন জামাত ও শিবির তৎপর থাকবে, ততদিন তানিম ফামিমরা স্হান পাবে, টাকা পাবে।
তামিম যখন বাংলাদেশে ছিল, টাকা কিভাবে যোগাড় করেছে? আমার ধারণা, টাকা জামাতের।